দিনলিপি
ঢাকার রাস্তায় বেরোতে ইচ্ছে হয় না। ভার্সিটি বন্ধ থাকায় সেহরির পর বেশ প্রেমসে একটা ঘুম দেয়া যায়, সেটা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে দশটা কি এগারোটা। পাখির কুজন মুখরিত সকাল বা মৃদুমন্দ বাতায়ন টাইপের জিনিসপত্রগুলো, যা কেবল সত্যযুগের কবিদের জন্যেই তৈরী হতো- ঠা ঠা রোদের মধ্যে ঢাকার রাস্তায় আজকাল খুঁজে পাওয়া যায় না। রাইফেলস স্কোয়ার কি বসুন্ধরা শপিং মলেও না, নিউমার্কেট কি বঙ্গবাজারেও না। অতএব চালাও ল্যাপটপ। এক জানালায় সচলায়তন এবং আরেক জানালায় ফেসবুক খুলে ফেলে রাখো। হাতে একখানা বইটই নিয়ে পড়তে থাকো, এই তো। দুপুরের দিকে আরেকবার ঘুমিয়ে নেয়া যায় সুযোগ বুঝে, আর ঘুম থেকে উঠে এদিকওদিক হাঁটাহাঁটি করতে করতেই যে রোযা ভাঙ্গবার সময় হয়ে যায়, ঐটা না বললেও নিশ্চয় চলে।
ঐ ইফতারের পরের দিনলিপি অবশ্য অতটা একঘেঁয়ে থাকে না। ছবির হাটের মাশ্রুমাড্ডায় চলে যাও। ঐখানে পৃথিবীর সকল কিছু নিয়ে রাজা-উযির মারা যায়। দুতিন কাপ চা খেতে খেতেই রাত দশটা। এরপরে বাসায় এসেই জমিয়ে রাখা আরেকটা মুভি দেখতে পারো, মাঝে মাঝে নোটিফিকেশন চেক করতে করতে চশমা মুছতে পারো। ...
মজাটা জমে কোন ইফতারের ছুতোয় করা আড্ডা থাকলে। জনৈক দুর্ভাগা তরুণকে কাঁদিয়ে ক্লাস বন্ধ হবার দিন হলে এরকম একটা আড্ডা হলো, ধানমন্ডিতে আড্ডা আরেকটা জমলো গতকাল। কিছুদিন আগে স্কুলের পুরনো বন্ধুদের নিয়েই আড্ডা দিলাম একটা। আশ্চর্যের বিষয়, স্কুল ছাড়ার সাত বছর পরেও দেখলাম জলদস্যুগুলা একই বিষয়ে আলাপ করে। এখনো স্কুলের সবচেয়ে ইয়ে মেয়েটা কোনখানে পড়ে, অমুক স্যার কারে কীভাবে কী বলেছিলেন, কোন বাঁদরে কোন স্যারের বেতন না দিয়ে সিনেমা দেখতে গেসিলো, মাসুদ রানার 'সংকেত' জনিত এডভেঞ্চারের কততম পৃষ্ঠায় কী ছিলো - এইসব হাবিজাবি। ...
বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টিলিজেন্সের দুর্ধর্ষ- দুঃসাহসী স্পাই মাসুদ রানার বয়স কখনো বাড়ে না, স্মৃতির মতোই।...
কী পড়ি, কী দেখি
ছুটিতে জমে থাকা বইগুলো শেষ করবো বলে ঠিক করে রেখেছিলাম। সকালের দিকেই তাই বইগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করি। আবদুশ শাকুরের 'গল্পসমগ্র'- দ্রুত পড়ে শেষ করা যাচ্ছে না। ভদ্রলোক প্যাঁচান বেশি, বিষয়বস্তুর - যেটাকে সচরাচর প্লট বলা হয়- সেটাতে খুব বেশি বৈচিত্র্য না থাকলেও তার শব্দজ্ঞান এবং শব্দজট পাকানোর ক্ষমতা ঈর্ষা করার মত। শনৈঃ শনৈঃ টেনশন হতে থাকে।
জাকির তালুকদার সাহেবের ছোটগল্পের প্রতি আগ্রহ বোধ করেছিলাম। বর্ষার বইমেলা থেকে সংগ্রহ করা তার গল্পসমগ্রও তাই জমে থাকা বইয়ের তালিকায় ছিলো। এবং বেশ আগ্রহ জাগানিয়া বিষয়বস্তু। শাকুর সাহেবের চেয়ে ইনি বিষয়বস্তুতে বেশ বেশিই বৈচিত্র্য রাখেন। এই বইটা পড়ে বেশ ভালো লাগে। ... এই জাতীয় সিরিকাস ছোটগল্প পড়ে হাঁপিয়ে গেলে তার জন্যে শরদিন্দুবাবু আছেন, তার গল্পসংকলন আছে। অপরাধ সাহিত্য এবং মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণে আমার মতে শরদিন্দুর অবস্থান একান্তই আলাদা।
একটানে পড়ে শেষ করেছি দুটো বই। প্রথমে সৈয়দ শামসুল হকের গল্পগুলো। তাঁর উপন্যাস আগেই পড়েছিলাম- গল্পে তাঁর দক্ষতা যাচাই করা হয়নি। সত্যি বলতে আমি মুগ্ধ। হক সাহেবের লেখায় একটা ব্যাপার, খুব সহজেই গল্পের পেছনে তাঁর পরিশ্রমটুকু ধরা পড়ে যায়। এতে অবশ্য আমার চোখে কৃতিত্ব কমে যায় না। ভাস্কর্যে তো ছেনি-বাটালিও ধরতে হয়, না কি ?? ... দ্বিতীয়ত, "জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা"। ওয়ারি, বনগ্রাম, রায়সা বাজার, ভূতের গলি- আপাত নিরীহ এবং ধ্যাড়ধ্যাড়ে গোবিন্দপুর মার্কা এসব জায়গায় কী করে যে এমন পরাবাস্তব আবহ তিনি তৈরী করতেন, তা কেবল শহীদুল জহিরই জানতেন। সচল নিবিড় ভাইয়ের কাছ থেকে ধার করে এই বইটাও পড়া হয়েছে একবসাতেই।
কী কী দেখলাম বলি নেই এই বেলা। এঞ্জেলিনা জোলির একশন মুভি 'সল্ট' ভালো লাগেনি। ভালো লেগেছে রোমান পোলানস্কির 'গোস্ট রাইটার', উইল স্মিথ তনয় জ্যাডেন স্মিথ (ঐ যে, 'পারস্যুট অফ হ্যাপীনেস' এর পিচ্চিটা আর কী) এবং জ্যাকি চ্যানের 'দা কারাটে কিড'। টুকটাক আরো কিছু মুভি দেখা হয়েছে। মনে রাখার মত মুভি বলতে দুইটা। নাগীব মাহফুজের নোবেল বিজয়ী উপন্যাস অবলম্বনে সালমা হায়েকের মেক্সিকান ছবি " মিডাক এলী " এবং ইতালিয়ান থ্রিলার "আই এম নট স্কেয়ারড "।
... রোযা রমযানের মাস বলে খেলাধূলা বন্ধ। খেলাধূলা দেখাও বন্ধ হবার পথে। আমাদের ডিজিটাল সরকার নিশ্চিত এন্টি-বার্সেলোনা সমর্থক। শালারা সুপার স্পোর্টস ব্যান করসে। (যে কারণে আজকে আর্জেন্টিনা-স্পেন ম্যাচটাও দেখতে পারবো না। ... গররর...) বার্সার মৌসুমের প্রথম ম্যাচটাই দেখতে পারলাম না !! তবে ৩-০ গোলে রেসিংকে হারায়ে মৌসুম ভালোভাবেই শুরু করা গেসে।
ক্রিকেটে আর কিছু না হোক বাটদের বাটে পড়া দেখে ব্যাপক বিনোদন পাইলাম।
এদিকে ইউএস ওপেন চলে। হাইলাইটস হিসেবে এই তৃতীয় রাউন্ড শেষ হবার পরেও চোখে ভাসতেছে প্রথম রাউন্ডে ব্রায়ান ডাবুলের বিপক্ষে পেছনে ছুটে গিয়ে দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে রজার ফেদেরারের মারা সেই অবিশ্বাস্য শট... ক্লাসিক ! ! !
জাকির নায়েক, আম্মা এবং...
কোন বিতর্কে জড়াতে চাই না বলে আগেই পরিষ্কার বলে দেই, আমি নাস্তিক বা সংশয়বাদী নই। এরপরেও আমি আমার পরিচিত মহলে প্রচন্ড রকম জনপ্রিয় বক্তা জাকির নায়েক সাহেবকে দেখতে পারি না। উনি ইসলাম ধর্মের মহিমা প্রচার করেন, পাশ্চাত্যে মুসলমানদের সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারণা দূর করার চেষ্টা করেন- খুবই ভালো কথা, এইখানে আমার মত সাধারণ মানুষের নাক গলানোর কিছু নাই। আমার আশঙ্কা, বিরাট কৃতিত্বের সাথে বিশাল দায়বদ্ধতাও থাকে- সেই বিষয়ে সচেতন হয়ে জাকির নায়েক সাহেবকে হতে হবে সম্পূর্ণ নির্ভুল। বিশ্বের মুসলিমদের একটা বড় অংশ তার মুখের কথাকে সত্য বলে মেনে নেবে কোন প্রমাণ ছাড়াই, সেটা মাথায় রেখেও যে কোন ধরণের ধর্মীয় ব্যাখ্যা দানে তার উচিত সমস্ত বিতর্কের উর্ধ্বে থাকা। দুঃখজনক, আমার কাছে তার অনেক উদাহরণই প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে হয়েছে।
... আমার এই জাকির নায়েক অপ্রীতি যাদের বেশ অপছন্দের, তাদের একজন হচ্ছেন আমার আম্মা। "তুই বাবা আগে পাঁচ ওয়াক্ত নামায রোযা ঠিকভাবে কর, তারপর ধর্ম নিয়ে বাদবাকি কথাবার্তা বল্ "- আমার আম্মার কথাবার্তা এই মনোভাবের। হেহ হেহ, আম্মা তো, কিছু বলাও যায় না... । খুব সঙ্গত কারণেই প্যালেস্টাইন ইসরায়েল বিরোধের কারণে আমার আম্মার মাঝেও মুসলিমদের প্রতি বেশ সহানুভূতি কাজ করে। এর সাথে যোগ হয় জাকির নায়েক সাহেবের প্রতি আমার মনোভাব। " ইশ, ইহুদি লোকজন কত খারাপ !! "- খবর দেখে আম্মার এই জাতীয় সংলাপে বলতেও পারি না যে ইহুদীরাও অন্যান্য জাতির মতোই ভালো খারাপ মিশিয়েই মানুষ। ভেদাভেদটা ধর্মীয় আর রাষ্ট্রীয়ভাবে সৃষ্টি। বিজ্ঞানের আলবার্ট আইন্সটাইন আর শিল্পের স্টিভেন স্পিলবার্গ- এই দুইজনই আমার খুব পছন্দের মানুষ। বলাবাহুল্য আম্মা আমার যুক্তিতে কান না দিয়ে পারলে আমার কান টেনে দেন। ধর্মকর্মে মন না দিয়ে (জাকির নায়েকের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ যার অন্যতম লক্ষণ) আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি- এই জাতীয় সর্বহারা সংলাপ দেন। সে সংলাপ শুনে নিজেকে আমার বাংলা সিনেমার ত্যাজ্য নায়ক বলে বোধ হয়।
... তা আম্মাকে আজ টেনে ধরে বসিয়ে সিনেমা দেখালাম, আমার প্রিয়তম সিনেমা। লাইফ ইজ বিউটিফুল। জীবন বড় সুন্দর। আম্মা দেখেন। ইহুদীদের উপর জার্মান সেনাবাহিনীর নিপীড়নে ফুঁপিয়ে ওঠেন। ইহুদী পিতা গুইডোর পুত্র জোশুয়ার প্রতি ভালোবাসা দেখে বিস্মিত হন। জীবনের সবটুকু হারিয়েও শুধু ভালোবাসায় ভর করে যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে জোশুয়াকে আড়াল করতে দেখে আম্মা হাসেন। গুইডোর আচমকা মৃত্যুতে কাঁদেন। আমি আর কিছু বলি না...
...মানুষই তো মানুষের জন্যে কাঁদে। ধর্ম আর জাতিভেদের আড়ালে মানুষ তো মানুষ-ই। মানুষের জন্যে মানুষের এ জীবন সুন্দর না হয়ে যায় কোথায় ??...
মন্তব্য
সুন্দর দিনলিপি।
স্কুল ছাড়ার ২৪ বছর পরেও একই অবস্থা আমাদের...(যদিও কোন মেয়ে ছিল না)।
আড্ডাগুলো স্থান-কাল বয়সভেদে বিশেষ পরিবর্তন হয় না।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এইটাই তো আমাদের সবচেয়ে বড় দুঃখ বস
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আজকেই এই আড্ডা দিয়ে আসা হয়েছে এক প্রস্থ! ঈদগুলোই একমাত্র যখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সবাই দুর-দূরান্ত থেকে ঘরে ফেরে। অথচ আড্ডাবাজির বিষয়বস্তু ঐ একই থাকে। সবাই বড় হয়েছে, কাজের আর যার যার ব্যক্তিগত জীবনে এসেছে অনেক বৈচিত্র। কিন্তু ঐ স্মৃতিগুলো একই আছে, আর ঐখানেই আবার মিশে যাওয়া যায় সব ছেড়েছুড়ে! আশা করি আমাদের নাতিপুতিদের আমলেও এই আড্ডা এইভাবেই একই বিষয়ে জারি থাকবে, স্মৃতিশক্তি লোপ না পাওয়াতক।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আড্ডা দীর্ঘজীবী হোক !!
_________________________________________
সেরিওজা
আমিন টু দ্যাট।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হুঁ, আগেই জানতাম আপনি আমাদেরই লোক। একই চোথা পড়েছি যখন
থ্যাঙ্কুশ।
_________________________________________
সেরিওজা
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি। হিংসাও লাগসে। সেহেরী শেষে কী আরামের ঘুম। ৭.৩০ তে উঠতে হয়।
সল্ট আমিও দেখলাম পরশু। সহমত। গাজাখুরি লাগছে।
হ রে ভাই, জোলিসাব জ্যাসন বর্ন হইতে গিয়া লাফালাফিটাই করলো কেবল...
_________________________________________
সেরিওজা
সৈয়দ হকের উপন্যাস আমাকে তেমন আচ্ছন্ন করতে পারেনি। বেশি লিখলে যা হয় আর কি। একমাত্র ব্যাতিক্রম 'আয়না বিবির পালা'। এই লেখাটা আমাকে নেশায় ফেলে দিয়েছিলো।
ফেসবুকে তোর স্ট্যাটাস দেখে 'সল্ট' দেখার আর ইচ্ছা হয় নি। গোস্ট রাইটার দেখতে হবে। আরো এক ফ্রেন্ড আমাকে মুভিটা রেফার করসে।
আর বাটদের বাটে পড়া দেখলে আমার কেন জনি সবসময়ই মজা লাগলে। কী করা। সঙ্কীর্ণ মানসিকতার মানুষ বলে কথা।
ফেসবুকের দোস্তোরে তো চিনবার পার্লাম না রে ভাই, নামটাম লিখিস ইক্টু...
_________________________________________
সেরিওজা
বড় অনিয়মিত লেখেন আপনি।
আরে ভাই ছাব্বিশখানা পোস্ট হইয়া গেসে তো... কত আর লিখুম... তাছাড়া ব্লগ এক্টী ভ্রান্ত ধারণা...
_________________________________________
সেরিওজা
পড়ছি- আপাতত কালি ও কলমের ছোটগল্প সংখ্যা , আর...মাথা সাফ করতে ও হেনরির গল্প।
দেখছি- একটা ভিন্নস্বাদের ম্যুভি দেখলাম, নেটওয়ার্ক,প্রিয় পরিচালক সিডনি ল্যুমেটের।
আর দেখলাম গ্রীক ম্যুভি ডগ টুথ, এটা বেশ আগ্রহোদ্দীপক এবং আগেই বলে রাখি, সুশীলদের জন্য নয় কিন্তু।
জাকির নায়েকের ব্যাপারে পরিচিতজনদের সাথে কোন্দল করতে গিয়ে ইতোমধ্যেই ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে যাচ্ছি। তবে রোজার মাস বলে আপাতত এই প্রজেক্ট মুলতবি আছে।
রোজার মাসের শেষকটা দিন ছেলেবেলার বন্ধুদের জন্যই তোলা থাকে, এবারও তাই চলছে।
আর বলি, নাফরমান পুলাপান ম্যুভিগুলা কইত্থেইকা আনে সেইটাও কবুল করেনা, আফসুস!!
আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
কালি কলম শেষ কর অচিরেই... ঘাপাতে মঞ্চায়...
মুভির কথা বললি ?? বটে, তুইই তবে সেই পামর, আম্মার সুশীল ছেলেটির ধর্মের মতিভ্রম ঘটাচ্ছিস তবে ...
_________________________________________
সেরিওজা
পারফেক্ট ব্লগরব্লগর।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
হ...
_________________________________________
সেরিওজা
এবারের আড্ডায় একদমই নাই আমি।
আন্টিকে সিনেমা দেখতে বসাইলি কোন তরিকায়? আম্মাকে তো সিরিয়াল ছেড়ে উঠাতেই পারিনা
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আড্ডা এবার ভালোই মিস দিচ্ছি...
আম্মা সিরিয়াল টিভিটুভি দেখে না...
_________________________________________
সেরিওজা
সুন্দর লিখিস তুই । ভালো লাগলো ।
সেরিওজা এক্সপ্রেস নাম না দিয়ে নাম দাও সেরিওজা লোকাল ট্রেন, বছরে একটা করে আসে
শহীদুল জহির আগে ভাল মত পড়া হয় নি কখনো। এখন পড়ছি। হাতে এখন অফুরন্ত সময় তাই বেশ খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ছি। আর পারলে সৈয়দ হকের গল্প গুলা দিও একদিন।
জাকির নায়েক নিয়া আমিও কথা বলি না আজকাল। চুপচাপ থাকতে ভালবাসি তাই সব শুনে চুপচাপ থাকি
গল্পের মাঝখানে ব্লগর ব্লগর লিখবা। পড়তে ভাল লাগে। তোমার ব্লগর ব্লগর গুলা সব সময় ভাল লাগে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আরে ভাই, ঈদের মৌসুম... এক্সপ্রেস ট্রেন পাকড়ান কি এখন এতোই সোজা ?? ...
খাড়ান, খাড়ান- কে কারে কী শোনায় !! ... ঐ মিয়া, মন পবনের নাও'রে শেষ দেখা গেসিলো ঐ ৯৮ এর বন্যার সুমায় মনে অয়- আপনে আমারে এইসব কী কন ???
...হক সাহেবের বইটা হাতে আছে। আড্ডায় বের হবার সময় ইক্টু মনে করায়া দিয়েন, পেয়ে যাবেন...
_________________________________________
সেরিওজা
সবই ঠিকাছে। কিন্তু জাকির তালুকদারের নাম উচ্চারণ করে তো দিলেন স্মৃতির চাক্কা ঘুরিয়ে। এখন সেটা বনবন করে ঘুরতেছে। না, এই তালুকদার সেই তালুকদার না। এই তালুকদার ব্লগ মুল্লুকের তালুকদার।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঐ নাটকটার নাম মনে আছে নাকি ওস্তাদ ?? ঐ যে, 'ইজ্জত আলী তালুকদার - হাতেনাতে গেরেপ্তার ' ?? ...
... তালুকদারেরা লোক্ষারাপ হয় তাইলে, জাইন্যা রাক্লাম...
_________________________________________
সেরিওজা
'কইতর, পাগলা পানি বাইর কর!'
নাটকের নাম বন্ধন। মিতা নূরের শুরু। আমজাদ হোসেনের মনে হয়। তার পোলা সোহেল আরমানও আছিলো। 'এমে পাস, ফাশ কেলাস'! রোজী সিদ্দিকী ভ্যাংচি কাইটা কইতো, 'ফাশ কেলাশ না লাশ কেলাশ!'
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হায় উচ্চবংশীয়া!!!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
কত বই যে পড়া হয়নি এখনো...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঠিক। জানার কোন শেষ নাই...
_________________________________________
সেরিওজা
টিজার থেকে প্রথম কয়েক লাইন পড়েই আপনার লেখার মধ্যে ঢুকে পড়তে বাধ্য হলাম। আপনার গদ্য দারুণ। আড্ডার কথা পড়তেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমাদের এখানে ইফতার করতে করতে না করতেই তারাবী'র সময় হয়ে যায়। আর দেশের মত আড্ডা? কদাচিৎ সম্ভব।
কি যে বলেন পিপিদা...
সে কী, আপনার ওখানে আড্ডা দেয়ার মানুষ নেই !! আড্ডা ছাড়া আছেন কীভাবে ?? আমাদের তো ভার্সিটি বন্ধ থাকলে এ আড্ডাগুলোই ভরসা...
_________________________________________
সেরিওজা
উপাদেয় হয়েছে টুকরো কথার যাপন!
ধন্যবাদ পান্থদা...
_________________________________________
সেরিওজা
এবার রমজানে আড্ডাটাই হলোনা। গত বছর ইফতারের আগেই কোঞ্চিপার কেউ না কেউ হাঁক দিতো যে "আজ আড্ডা হইবেক"। যেদিন সম্ভব হতো সেদিন আমি ইফতার শেষ করতে না করতে আজিজের দিকে দৌড়াতাম। এবার যে এমন কিছু হয়েছে সে খবরটাই পেলাম না।
"মিডাক এলী"র একটা কপি আমার জন্য রেখো। ব্ল্যাঙ্ক ডিভিডি লাগলে আমার কাছ থেকে নিও।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনার সালমা হায়েক আর ব্যান্ডেরাস দেখা শেষ হয়নি বুঝি
আজ আসছি সন্ধ্যার পরে। আসবেন?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আড্ডা এবার নিয়মিতই হয়েছে মোটামুটি- তবে আমি অনিয়মিত ছিলেম। ...
ডিভিডী লাগবে না। পেন্ড্রাইভেই হবে। এক গিগার মত সাইজ, পিসি থেকে ডিলিট করে দিসি দেখের পরেই। সমস্যা নাই। চাইলে, দেয়া যাবে...
_________________________________________
সেরিওজা
মিডাক অ্যালি টিভিতে দেখেছিলাম বছর ছয়েক আগে। তখন সালমা হায়েককে চিনতামও না। দেখে আমি মুগ্ধ। মুভিও, সালমা হায়েকও।
জাকির নায়েকের একটা ভিডিও লিঙ্ক দিয়েছিলেন একজন নিছক বিনোদন হিসেবে। অনেক কষ্টে আড়াই মিনিট দেখে বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আড়াই মিনিট ধরে সে একই কথা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলে যাচ্ছে। আসলে সে কী যে বলতে চায় আমি বুঝি না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ওঁম মণি পদ্মে হুঁম !!!
_________________________________________
সেরিওজা
কী চমৎকার লেখার হাত!
আহারে, আমি যদি এভাবে লিখতে পারতাম।
আপনার মত যদি মন্তব্য মারতে পারতাম...
_________________________________________
সেরিওজা
আপনার দিনলিপি জেনে ঈর্ষান্বিত। আপনার লেখা ভালু পাই।
ভালু পাওয়া পাঠকের মন্তব্য ভালো লাগ্লো ভাই।
_________________________________________
সেরিওজা
এইরম এক্টানে পইড়ে ফ্যাল্বার মতো এক্টা দুষ্টু-মিষ্টি প্রেমানুগল্পো লেখন যায় না??
"চৈত্রী"
পড়লাম, ভালো লাগলো, মুগ্ধ হলাম ।
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
আম্মাদের সাথে ধর্মালোচনা জিনিসটা জোস; আমাদের আরো লেখা উচিৎ। রিস্কি লাগে ফ্যামিলিরে টানলে যদিও।
জোশ হয়েছে রে ভাই
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
নতুন মন্তব্য করুন