মৃত্যুর পূর্বমূহুর্তে শহরের লোকেরা নাকি ফিসফিসিয়ে 'নির্জনপুর ! নির্জনপুর !' বলে থাকে। এই শহরের মানুষেরা মুখোশও পড়ে থাকে সবসময়ই- হয়তো মৃত্যুর সময়েও তারা সেটি খুলে নিতে অলসতা বোধ করে। কাজেই ঠিক মরণের ক্ষণে সেইসব ফিসফিস স্বরকে তাদের মুখোশের অন্তরালের প্রলাপ বলে আখ্যা বোধহয় দেয়া যায়। অথবা ইটের, অথচ মানুষের, শহরে আজীবন নির্জনতার দেখা না পেয়ে হতাশ লোকেরা বিষন্নতা থেকেই নির্জনপুর খোঁজে- ব্যাখ্যাটা হয়তো এভাবেও দেয়া যায়। আরো শুনি, ' নির্জনপুর ! নির্জনপুর ! ' ফিসফিসের পরেই নাকি লোকেরা মারা যায়- অথচ শহুরেরা কিন্তু বেঁচে থাকে এরপরে আরো বহুক্ষণ। বহুদিন-মাস-বছর। শহরের লোকেরা বেঁচে থাকে; বড়ছেলের অফিস ঘরের ঝোলানো ফ্রেমে- কনিষ্ঠ কন্যার মুঠোফোনের পর্দায়- নাতিদের জন্মোৎসবের সময় জানা-অজানায় নেয়া অজস্র স্থিরচিত্রে। অথচ এই সকল স্থিরচিত্রে কিন্তু মুখের পরিবর্তে মুখোশটাই দেখা যায়। নবীনেরা তা জানে না, প্রবীণেরা না-জানাটা না দেখিয়ে জেনে থাকে কেবল। তবে লোকে প্রাণপণে বিশ্বাস করে যে মৃত্যুর পূর্বক্ষণে মুখোশ খুলে রেখেই পুরুষেরা আর মহিলারা নির্জনপুরের কথা বলে। নইলে তারা তো আর নির্জনপুরের সন্ধান করতে পায় না। মৃত্যুপথযাত্রীর সে ফিসফিস ডাকের সাথে নাকি একটা ছাই রঙের হাওয়া ভেসে আসে শহরের দিকে। সে হাওয়ায় কয়েকজন লোক নির্জনপুরের দিকে ভেসে যায়। যেমন যায় আলী মর্তুজা।
আর এই মুহুর্তে, নির্জনপুরের উপকণ্ঠে দাঁড়িয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা আলী মর্তুজার উদ্দেশ্যে নিজস্ব পেশাগত ঢঙে ইচ্ছামানুষ প্রশ্ন রাখে, কোন ঘুমভাঙানি স্মৃতি তাকে এই নির্জনপুরের পথ পাড়ি দিয়ে নিয়ে এসেছে।
এর পূর্বে আমরা দেখেছিলাম, নির্জনপুরে আসবার পথে আলী মর্তুজা খুব দ্রুত অগ্রসর হতে পারেনি মোটেও। সরু হাঁটা পথে একপেয়ে জলদস্যুর মতো শ্লথগতির এক নিঃসঙ্গ বৃদ্ধের উপস্থিতি তার গতি মন্থর করে। বৃদ্ধকে সে পথেই চলতে দেখে আলী মর্তুজা বিরক্ত হয়। বৃদ্ধদের কেউই পছন্দ করে না। সেও নয়। কারণ তারা বিড়বিড় করে। দুর্বাসা মুনির মতো ক্ষণে ক্ষণে শাপ দেয়। রাবারের মতো অতীতকে টেনে নিয়ে দীর্ঘায়িত করে। পথে পরিচিত বৃদ্ধটি হয়তো শাপান্ত করে না, তবে সে দোষমুক্ত না। আলী মর্তুজাকে বৃদ্ধের চিনিমুক্ত জীবনযাপনের কথা শুনতে হয়, শেয়ারবাজারে বৃদ্ধের ছোটছেলের অদূরদর্শীতার কথা জানতে হয়, বৃদ্ধের স্ত্রী বিয়োগের কথা শুনে শোকাহত হবার ভান করতে হয়। একসময় বৃদ্ধের আর বলবার কিছু থাকে না। তখন আলী মর্তুজা হাসি মুখে বৃদ্ধকে পাশ কাটায়। এরপরে একমনে হাঁটা শুরু হয়। নির্জনপুর, কত দূর...
গল্পের আরেকটু পেছনে গেলে, নির্জনপুরের রাস্তায় জনৈক স্কুল পালানো কিশোরের সাথে আলী মর্তুজার দেখা হয়। কিশোরটি সস্তার সিগারেটে টান দেয় এবং তাকে ইতস্তত আহবান করে। আলী মর্তুজা তাকে বলে সে এখন নির্জনপুরের দিকেই যাচ্ছে, সেখানে লোকেরা সিগারেটের দরকার বোধ করে না। অতঃপর কিশোরটি আর বাক্যব্যয় করে না। বরং সূর্যের মাঝআকাশে পৌঁছবার পূর্বের আলোটাতে আলী মর্তুজাকে অনুসরণ করে। আলী মর্তুজা পথে এই অনাবশ্যক-অপ্রয়োজনীয় সঙ্গীকে ঠিক বিড়ম্বনা স্থির করে না। আলী মর্তুজার কিশোরটির কর্মকাণ্ড দেখতে ভালো লাগে। কিশোরটির ব্রহ্মপুত্র নদের স্থির চিলের মতো জলে টুকরো ইট ছুঁড়ে মারা ভালো লাগে। মৃত্যুঞ্জয় স্কুলের মাঠে ইতস্ততঃ জটলার বালক বয়েসীদের সাথে অযাচিত ভাবে ফুটবলে লাথি হাঁকানো দেখতে ভালো লাগে। বিদ্যাময়ী উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ছুটির পরে ছুটে বেরিয়ে আসা কিশোরীদের দেখতে কিশোরটির অপেক্ষার দৃশ্য ভালো লাগে। এইসব ভালো লাগা শেষ করে তাই আলী মর্তুজাকে একা রেখে একসময় সে চলে যায়, কিশোরটি।
আরেকটু পেছনে গেলে আমরা দেখতে পাই, আলী মর্তুজা জনে জনে শুধোয় নির্জনপুরের ঠিকানা। আমি বলেছিলাম যে আমি ঠিক জানি না। রাজারবাগের পেছনে শান্তিবাগ থাকলে মোহাম্মদপুরের, না হলে মীরপুরের আশেপাশেই কোথাও নির্জনপুর আছে বলে আমার ধারণা হয়। সুলায়মানের ভূগোল পড়ায় জানা থাকে যে পশ্চিমবঙ্গের ওদিকে মেদিনীপুর বলে কিছু একটা আছে। চায়ের দোকানের আর কেউ খোঁজ দিতে পারে না নির্জনপুরের। খোঁজ দেয় পাবলিক লাইব্রেরীতে কাজ করা আওরঙ্গজেব। কোন একটা অপ্রকাশিত গবেষণাগ্রন্থের জন্যে মৃত্যু নিয়ে সে নাকি কিছু পড়াশোনা করেছিলো। The Other Mind বা এই জাতীয় আরো কিছু বইতে নাকি বর্ণনা দেয়া আছে মৃত্যুর পূর্ব পরিস্থিতির। স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে গবেষণায় প্রাপ্ত উপাত্ত থেকে আওরঙ্গজেব বলে, জ্ঞান হারাবার ঠিক পূর্বে একটা সোনালী রঙের আলো নাকি তাদের-মৃত্যুপথযাত্রীদের- আচ্ছন্ন করে দেয়। আর মাথার ভেতরে কেউ তাকে নির্জনপুরের রাস্তা বাতলায়। সেই ঠিকানা আমি আর সুলায়মান জানি না। আলী মর্তুজা জানে। ফলে আমরা দেখি, সে নির্জনপুরে রওনা দেয়।
কেন নির্জনপুরে যাওয়া, এই মৌলিক প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমরা আবারো সময়ের উলটো দিকে যাবো। দেখবো- আলী মর্তুজার স্ত্রী বিয়োগের সময় শহরে বিদ্যুৎ ছিলো না, কারফিউ দিয়েছিলেন ঈশ্বর। একনায়কের মত বৃষ্টির সীমাহীন যথেচ্ছ স্বাধীনতায় ঘরদোর ভিজে ভিজে একসা। তবুও সেই হাওয়াটুকু বয়ে এসেছিলো। ছাই রঙা। বেগে। প্রচন্ড হাওয়ার তোড়ে ঘরটিতে যারা ছিলেন, তারা কেউ হলফ করে বলতে পারেন না আলী মর্তুজার স্ত্রী, স্বামীকে আঁকড়ে ধরে বিড়বিড় করে যা বলেছিলেন- তা 'নির্জনপুর ! নির্জনপুর !' ছিলো কি না। দোতলার হাসান সাহেবের মায়ের মুখোশ খুলবার সময় সেখানে চারতলার সাবেরা বানু ছিলেন, সাবেরা বানুর স্বামীর মুখোশ খুলে যাবার কালে নিচতলার নবদম্পতি ছিলেন। এখন সেই নবদম্পতি,সাবেরা বানু, হাসান সাহেব এবং আরো সবাই সে মহিলার পাশে থাকেন। মুখোশ খুলে নেবার সময় মানুষের পাশে মানুষের থাকতে হয়। তবে আমাদের উচিৎ এখানেই মুখোশের কথা শেষবার বলে নেয়া। কারণ, এটা তো আর মুখোশের গল্প না। এটা মানুষের গল্প। তাদের নির্জনপুরে যাবার গল্প।
আর সেই মুহুর্তে, নির্জনপুরের পথে একজীবন হেঁটে আসা আলী মর্তুজা- মৃত্যুঞ্জয় স্কুলের নবম শ্রেণীর প্রাক্তন ছাত্র- বিদ্যাময়ী উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর সেই অনামা ছাত্রীটির চোখে চোখ রেখে কাটানো ব্রহ্মপুত্রের তীরে একটি বিকেল ফিরে পেতে চায়।..
মন্তব্য
যদি বুড়ো হই তবে যেনো কোটিপতি বুড়ো হই নয়তো মন্ত্রী বুড়ো! যার কাছে সবাই এসে ধর্না দেবে।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আশা পূর্ণ হোক।
_________________________________________
সেরিওজা
পড়লাম, একবার, দুইবার এবং তিনবার।
একটি বিষাদ এসে গ্রাস করলো...
গল্প ভাল লেগেছে সুহান।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পড়বার জন্যে ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।
এ বিষাদ আপনার এবং আলী মর্তুজার মতো আমাকেও জাগিয়ে রাখে।
_________________________________________
সেরিওজা
গল্পটার মূল শক্তি এর বুনোটের অভিনবত্ব। আলী মুর্তজার বিভিন্ন আঙ্গিকের দৃশ্যপটগুলোকে নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছিলাম। তবে একটা কথা, আমার মনে হয়, এইসব দৃশ্যপটগুলো কল্পনা করার জন্য যথেষ্ট সময় আমি পাইনি, যাতে চরিত্রগুলোকে একটা নিরেট ছাঁচে ঢেলে ফেলা যায়। আরেকটু স্পষ্ট করে বলি, মনে হল আলী মুর্তজার মধ্যে খানিকটা তাড়া ছিল, কোথাও সে থিতু হওয়ার সময় পায়নি। আপাতত এটুকুই মনে পড়ল।
ভাল কথা, আমি একবার মৃত্যুর বেশ কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম, তোকে বলেছি বোধহয়।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ধন্যবাদ অদ্রোহ। তাড়ার দায়টা আমার ত্যাড়া কাঁধেই বর্তায়।
আর ইয়ে, মৃত্যুর কাছে তো গিয়েচিলামই। ঐ যে, ক্লস্ট্রোফোবিয়ার ঐ মুহুর্তগুলো...
_________________________________________
সেরিওজা
গল্পটা ভাল লাগল সুহান।
অনেক ধন্যবাদ জানবেন নৈষাদদা।
_________________________________________
সেরিওজা
অন্তত এরকম একেকটা গল্পে তারা দাগানোর জন্যও আমি একদিন সচল হতে চাই।। আপাতত তারা গুলো এমনেই বুঝে নে।
'তারা' থেকে এবার 'তাড়া'র ব্যাপারে আসি। আলী মুর্তজার তাড়াটা আমার কাছে স্বাভাবিকই মনে হয়েছে। গল্পের খাতিরে এমনটাই হওয়া উচিত। তবে হ্যা, একারণে দৃশ্যপটগুলো যে কষ্টকল্প হয়ে উঠেছে খানিকটা তা মানতেই হবে।।
_______________________________________________
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
অনেক ধন্যবাদ ওসিরিফাত, তুই আমার কালাতো ভাই বলে এবং এই গল্পের একমাত্র প্রুফ্রিডার বলে। দ্বিতীয়টির জন্যে তোকে আরেকটু বড় ধন্যবাদ।
_________________________________________
সেরিওজা
শুধু একটা কথাই বলতে এলাম ---
জাদু-বাস্তবতা নিয়ে আমার জ্ঞান খুব অল্প---তারপরও আমি নিশ্চিত যে এইটি একটা অসাধারণ জাদু-বাস্তবতার গল্প !! তুমি তেমন ঘন ঘন লেখা দাও না। আর সেই অল্প লেখার জন্যে জমা করে রাখা আমার অভিযোগ গুলো তুমি এমন করেই কলমের এক খোঁচায় হাওয়ায় উড়িয়ে দাও---
তোমার বিন্দুমাত্র ধারণা নেই তুমি আসলে কত্ত ভাল লেখ---
জয় হোক--
অনিকেতদা, আপনাদের মত সংবেদনশীল পাঠক আছেন বলেই ঘনঘন লিখতে সাহস পাইনা। পাঠককে হতাশ করবার অধিকার নেই তো।
আপনার মন্তব্যটা আরেকটু সাহস যোগাবে ভালো লিখতে। ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্যে।
_________________________________________
সেরিওজা
অসাধারণ কল্পমায়া!!!!!!!!!!!!!!!
-অতীত
পড়বার জন্যে ধন্যবাদ অতীত।
_________________________________________
সেরিওজা
এই জাতীয় কিছু কিছু চিত্রকল্প বেশ ভাল্লাগসে।
---আশফাক আহমেদ
ধন্যবাদ আশফাক।
_________________________________________
সেরিওজা
খুব ভালো লাগলো সুহান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ধন্যবাদ জানবেন তাসনীম ভাই।
_________________________________________
সেরিওজা
দারুণ দারুণ!!!
খুউব ভাল্লাগলো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথীডোর।
_________________________________________
সেরিওজা
এ গল্পে মন্তব্য করার মত যথেষ্ট পরিমান ম্যাচুরিটি আমার হয়নি, তাই মন্তব্য করলাম না
-ঐশ
বলিস কি রে ব্যাটা ?? নে নে- হাতপা ঝেড়ে চালিয়ে দে ক'টা..
_________________________________________
সেরিওজা
খুব অন্যরকম, ভাষার কারুকাজ কঠিন। ময়মনসিংহ শহরের কথা মনে করিয়ে দিলেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
_________________________________________
সেরিওজা
গল্প ভাল লেগেছে সুহান। ঠিকঠাক বুঝেছি কিনা জানিনা, তবে গল্পটা পড়া শেষ করে নিজের মতো করে বুঝে নিয়ে আমার অনুভূতি হলো, ভাল লেগেছে। কিছু জায়গায় বাক্যগঠণের রীতি আর লেখার ধরনের জন্য গল্পটা ভারী মনে হলেও গল্পের মূল ঘটনা ও প্রেক্ষাপটের জন্য হয়তো এর দরকার ছিল।
পাঠক তো নিজের মত করেই বুঝে নেবে।
ধন্যবাদ আপু, পড়েছেন বলে।
_________________________________________
সেরিওজা
অদ্ভূত সুন্দর লেখা।
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা
ধন্যবাদ ভাইয়া।
অন্যকথাঃ অঙ্কনভাই আপনের প্রশংসায় সংসপ্তমুখ।
_________________________________________
সেরিওজা
পড়তে খুব ভাল্লাগ্লো।
ধন্যবাদ শুভাশীষদা।
_________________________________________
সেরিওজা
সুহান,
গত দশ মিনিট ধরে মন্তব্য ঘরে লিখছি আর ব্যাকস্পেস কী চেপে মুছে ফেলছি। খুব সুন্দর কিছু বলার ইচ্ছা করছে, খুব আবেগ নিয়ে অভিনন্দন দেয়ার ইচ্ছে করছে। কিন্তু লিখতে গিয়েই আর কিছু গুছিয়ে লিখে উঠতে পারছিনা। বেশ বুঝতে পারছি, আবেগকে অক্ষরের পর অক্ষর সাজিয়ে প্রকাশ করার ক্ষমতাতেই তুই লেখক আর সেই আবেগকে বুঝে নিয়ে মন ভর্তি তৃপ্তি নিয়ে ঢেকুর তোলার ক্ষমতাতেই আমি পাঠক।
কী জানি কী বলতে গিয়ে কী বললাম! মোদ্দা কথা, গল্পটা খুব ভালো লাগ্লো। অদ্ভুত রকম ভালো।
---- মনজুর এলাহী ----
ধন্যবাদ মনজুর। তোর মত ক্ষমাশীল পাঠকেরা বন্ধু হিসেবে ছিলো বলে রক্ষে।
_________________________________________
সেরিওজা
হায়রে বয়স!!!
তা বাবা সুহান, একটু সহজ শব্দ ব্যবহার কর্না!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
যাক, আপনি প্রকৃতিস্থ একটা মন্তব্য কল্লেন।
ধন্যবাদ।
_________________________________________
সেরিওজা
পড়লাম, আরেকবার।
মুগ্ধ হলাম এই নিয়ে কয়েক হাজার বার। কালেকেই পড়া হয়েছে, মেয়ের কারণে মন্তব্যটা লিখে যেতে পারি নাই।
সুহান আপনাকে আমি চিনি ফেইসবুক থেকে। আমাকে বন্ধু হিসেবে যোগ করেছিলেন বলে। সচলে আসলেও আপনার লেখা খুব একটা পড়া হয় না। কোন ধারণাই ছিল না যে আপনি কি লেখেন বা কেমন লেখেন।
....এই মুহুর্তে শুধু বলা দরকার যে, আপনার বন্ধু লিস্টে থাকাটা আমি উপভোগ করছি। কারণ ভবিষ্যতের খুব বড় একটা প্রায়-মৌলিক গল্পকারের সম্ভাবনা একেবারে জেঁকে আছে লেখাটার পরতে পরতে। খুব আগে, একবার এডগার এলান পোর গল্প পড়ে এরকম লেগেছিল। পড়ার সময় একটা আবেশ চলে আসে, এরপরে পড়া শেষ হয় কিন্তু আবেশটা কাটতে সময় লাগে .... ..... .....
আপনার আর কোন লেখা না পড়লেও এটার জন্য আমি আপনার ফ্যান হতেই পারি
পাঠকের মন্তব্য পড়ে বিব্রত বোধ করছি। বিশেষতঃ পাঠক যখন দুর্দান্ত একজন রম্য লেখক- যার লেখার জন্যে মুখিয়ে থাকি নিয়মিত।
এই গল্প প্রচেষ্টা ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত বোধ করছি।
আপনার ফ্যান আমি বহু আগে থেকেই।
_________________________________________
সেরিওজা
চুপে তারা দিয়া ভাগলাম।
লেখক হিসাবে সুহানের ভবিষ্যত উজ্জ্বল।
কাকস্য পরিবেদনা
হ্যাত্তেরিকা !! আপনে কোথায় একেকটা আগুণে মন্তব্য মারবেন- তা না, কীসব হাবিজাবি বকে গেলেন...
ধন্যবাদ বস- পড়বার জন্যে।
_________________________________________
সেরিওজা
আচ্ছা আমিই তাহলে একটা আগুনে মন্তব্য করি, গল্পলিখিয়ে হিসেবে আপনার ভবিষ্যত খালি উজ্জ্বল না, ভবিষ্যত পুরা দাউদাউ করে দাবানলের মতো জ্বলতেছে! দমকল কোথায়???
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আপনার ঐ ১৭ গোল হজম করা পাপীমুখে আমার নাম নেয়ায় কষ্ট পাইলাম
... কোন ফাঁকে মন্তব্য করেছিলেন কে জানে- মাত্র দেখলাম। গ্রাসিয়া ওডিন্দা।
_________________________________________
সেরিওজা
ধুর!!! গল্পটা পইড়া তো ভয় ধইরা গেল। মন খারাপ করা গল্প।।
মারাত্মক হইছে। ধন্যবাদ, সুহান রিজওয়ান।
দৃপ্র
ধন্যবাদ দৃপ, পড়েছেন বলে।
_________________________________________
সেরিওজা
দেরিতে পড়লাম বলে মাপ করেন। জটিল ব্যাপার্স্যাপার ভাবনাচিন্তা অনেক্কিছু মাথার উপর দিয়ে গেল, কিন্তু গল্পটা খুব্বালু।
কঠিন হয়ে গেছে
মাঝরাতে এইসব লেখায় চোখ রাখে আমার মতো বোকারা...
আবারো ৫ তারা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শিমুল ভাই, তিথীডোর, কৌস্তুভদা- আপনাদের মন্তব্য করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন