সমস্ত কিছুর শুরু একটা ফেসবুক গ্রুপ থেকে।
সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুক এখন অবধারিত ভাবে জুড়ে আছে আমাদের দিনযাপনের একটা দীর্ঘ সময়। গলাগলি থেকে গালাগালির, ভাবনার থেকে দুর্ভাবনার বিষয় যোগানোতে ক্লান্তি নেই ওটার। চমৎকার একটা সিনেমা দেখে সেটা বন্ধুদের জানিয়ে দিচ্ছে কেউ, কেউ শেয়ার দিচ্ছে এলক্লাসিকোর হাইলাইটস্।
এতো এতো চোখ ধাঁধানো পোস্ট-স্ট্যাটাসের ভীড়েও নিয়ম করেই ফেসবুকে লগিন করেই আমরা কয়েকজন চলে যাই একটা গ্রুপে, ‘বইপড়ুয়া’।
এই গ্রুপের শুরুটা আমাদের ক’জন বন্ধুদের মাধ্যমেই। ইচ্ছে ছিলো সেখানে আমরা জানাবো সদ্য পাঠিত বইটা সম্পর্কে আমাদের মত, জেনে নেবো অমুক লেখকের এই বইটা পড়ে কে মুগ্ধ হয়েছেন, কোন বইটা না পড়লে একদমই চলবে না। এভাবেই চলতে থাকে। আস্তে আস্তে গ্রুপ সদস্যেরা গ্রুপে যোগ করতে থাকেন তাদের পরিচিত অন্যান্য পড়ুয়াদের, জমে উঠতে থাকে আলোচনা, থ্রেডের দৈর্ঘ্য বৃহত্তর হতে থাকে, বড় হয়ে ওঠে পরিবার।
আমরা দেখি, বইপড়ুয়ারা একেকজন কী চমৎকার মানুষ !! বয়েসের ভেদাভেদ নেই, ধর্ম-জাতের খোঁচাখুঁচি নেই। শুধু মাত্র ‘আউট’ বই পড়ার মতো এতো নগণ্য একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে এতো দারুণ একের পর এক আলোচনা যে জমতে পারে, সে বড় আশ্চর্যের কথা। চট্টলার পড়ুয়া জানান দিচ্ছেন নারায়ন গাঙ্গুলীর বল্টুদার ফাঁপরবাজির খবর, ক্যারোলিনার জীবনানন্দ অন্তঃপ্রাণ মানুষটি বলছেন আবদুল মান্নান সৈয়দের কাব্য নিয়ে। বুয়েন্স আয়ার্সের রাস্তা হতে তারেক অণু কিংবা বাংলাবাজার হতে নজরুল ভাই জানাচ্ছেন সদ্যপ্রাপ্ত ছাই উড়িয়ে পাওয়া সেকেন্ডহ্যান্ড রত্নটির সংবাদ।
আর রঙ্গরসে গ্রুপ সদস্যেরা একেকজন মুজতবা আলী। শঙ্কু নিয়ে কুইজ ধরা হচ্ছে আকছার, কাশেম বিন আবুবাকারের ক্লাসিক নিয়ে আলোচনা হচ্ছে অহরহ, হ্যারল্ড পিন্টার থেকে হ্যারল্ড রবিন্সেরও নিস্তার নেই।
সে এক গ্রুপ আছে, কেবলই লাবণ্য ধরে।
২।
সেবা প্রকাশনীর হার্ড কভারের ‘রবিন হুড’ বইটার কথা জীবনে ভোলা সম্ভব হবে না আমার। উইলো কাঠের বিশাল ধনুকের রবিন হুড, উইল স্কারলেট-লিটল জন- সুন্দরী মেরি এনের রবিনহুড। এই বই প্রথম কাঁদিয়েছিলো আমায়।
বই পড়ে কাঁদার ঘটনা এরপরে আরো দু’বার। কেঁদেছিলাম মু-জা-ই স্যারের ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ পড়ে, আর সবশেষে আলেক্সান্ডার বেলায়েভের ‘উভচর মানুষ’ পড়ে।
সেই শিঙ্গে বাজানো দরিয়ার দানো, লোভী পেদ্রো জুরিতা, অনিন্দ্যসুন্দরী গুত্তিয়েরে আর হতভাগ্য ইকথিয়ান্ডারের গল্পটা। সোভিয়েত জুলভার্ন বেলায়েভ মুগ্ধ করেছিলেন এরপরেও, তার বিখ্যাত ছোটগল্প ‘হৈটি টৈটি’ তে। এ গল্পের বিষয়ও অনেকটা সেই উভচর মানুষের মতো অঙ্গ সংস্থাপনের, হাতির দেহে বসানো হবে মানুষের মস্তিষ্ক !! আক্ষেপের বিষয়, বেলায়েভ বাংলা পাঠকদের কাছে রয়ে গেছেন এক বইয়ের লেখক হিসেবেই, তার অন্য কোন বই বাংলা ভাষায় পাঠকের পড়ার ভাগ্য হয়নি মোটেই।
বইপড়ুয়া গ্রুপের সাথে হঠাৎ করেই যোগাযোগটা হয়ে গেলো সেই বেলায়েভের।
জানা গেলো, বইপড়ুয়া ফেসবুক গ্রুপ আত্মপ্রকাশ করেছে ‘বইপড়ুয়া প্রকাশনী’। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়, বরং বাংলা ভাষার প্রচুর প্রথম শ্রেণীর পাঠকের এই সম্মিলনটাকে বছরে অন্ততঃ একটা ভালো সাহিত্যের সাথে পরিচয় করাতেই। এই প্রকাশনীর সকল সমস্যার সমাধান এসেছে বইপড়ুয়াদের মাঝ থেকেই। লেখক, প্রকাশক, সম্পাদক ইত্যাদি ইত্যাদি...
‘বইপড়ুয়া’ প্রকাশনীর প্রথম প্রকাশ আলেক্সান্ডার বেলায়েভের প্রথম উপন্যাস ‘প্রফেসর ডয়েলের মস্তক’, অদিতি কবিরের অনুবাদে পড়ে ফেললাম আজ।
৩।
‘প্রফেসর ডয়েলের মস্তক’-কে বৈজ্ঞানিক কল্পগল্পের আওতাতেই ফেলে দেয়া যায়। একটু মনোযোগী পাঠক হলে এই উপন্যাসের সাথে মিল খুঁজে পাবেন এইচ জি ওয়েলসের সেই ডাঃ মরোর ভয়াল দ্বীপের, কিছু লঘুস্বরে সত্যজিতের প্রফেসর হিজিবিজবিজ। সেই পুরোনো প্লট- এর শরীর কেটে ওর শরীরে লাগিয়ে দেয়া।
গল্পের শুরু হয় প্রফেসর কার্ণের অধীনে সুন্দরী ডাক্তার মারি লঁরোর চাকরি গ্রহণ দিয়ে। লঁরো অচিরেই আবিষ্কার করে, স্বনামধন্য সার্জন প্রফেসর কার্ণের স্টাডির ওই কাটা মুন্ডুটা কার্ণের ভূতপূর্ব গুরু প্রফেসর ডয়েলের। প্রফেসর ডয়েলের এই অসামান্য আবিষ্কারকে নিজের করে নিতে নোংরা চাল চালছে প্রফেসর কার্ন।
প্রফেসর কার্ণের অমানবিক পরীক্ষার পরবর্তী শিকার হয় টমাস নামের এক শ্রমিক আর ব্রিজিত নামের এক সাধারণ গায়িকা। প্রফেসরে ডয়েলের প্রত্যক্ষ সাহায্যে ব্রিজিতের কাটা মাথা জোড়া লাগানো হয় দুর্ঘটনায় নিহত স্বনামখ্যাত গায়িকা এঞ্জেলিকা গাই’য়ের সাথে।
পরিস্থিতি বাঁক নেয় তখনই, যখন চঞ্চল ব্রিজিত তার এই জোড়া লাগানো দেহ নিয়ে পালিয়ে যায় কার্ণের পরীক্ষাগার হতে। নিজের চুরি ঢাকতে মারি লঁরোকে এক দুর্গম পাগলা-গারদে আটকে দেয় কার্ণ।
এদিকে পলাতক ব্রিজিতের সাথে দেখা হয়ে যায় প্রফেসর ডয়েলের পুত্র আর্থার ডয়েল ও তার বন্ধু আরমঁ লাঁরে’র। ঘটনা ঘটতে থাকে দ্রুত...
৪।
সংক্ষেপে এই হলো ‘প্রফেসর ডয়েলের মস্তক’ এর ঘটনা।
পড়তে গিয়ে আটকে যাইনি কোথাও, তবে বেলায়েভের ‘উভচর মানুষ’ এর সাথে তুলনা করে হতাশ হয়েছি কিছুটা। কিন্তু এই আক্ষেপ নিরর্থক জানি, কারণ ‘প্রফেসর ডয়েলের মস্তক’ বেলায়েভের প্রথম উপন্যাস। এই রচনার সময়কাল (১৯২৫) রাখলেও এই উপন্যাসকে মানতে হয়ে অত্যন্ত আধুনিক বলে। এই সামান্য তুলনাটা বাদ দিলে রীতিমতো উপভোগ্য এই উপন্যাস।
অনুবাদ বেশ ঝরঝরে। অদিতি কবির- বইপড়ুয়া গ্রুপের সবার প্রিয় খেয়াদি- স্বল্প সময়ে এই অনুবাদের জন্যে ধন্যবাদার্হ, অনুবাদের সাথে প্রয়োজনে বিভিন্ন টীকা যোগ করে দেয়াটা বইটিকে করে তুলেছে আরো আকর্ষণীয়। বহুবছর ধরে অনুবাদ করলেও এটি বেলায়েভের মতো তারও প্রথম গ্রন্থ।
সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন হিল্লোল দত্ত, প্রচ্ছদ করেছেন নজরুল ইসলাম। বইটির জন্যে চমৎকার একটি মুখবন্ধ লিখেছেন রাদুগা-প্রগতির স্বনামখ্যাত অনুবাদক দ্বিজেন শর্মা। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫০ টাকার এই উপন্যাসটি কমিশন সহ ১৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে একুশে বইমেলার লিটল ম্যাগ চত্বরের ‘সুনৃত’ স্টলে। এবং ‘পাঠসূত্র’তে।
৫।
ঘন্টা দু’য়েক ব্যয় করে প্রফেসরের মুন্ডু কাহিনী পড়তে খারাপ লাগে নি আমার, বেলায়েভের সাথে পরিচিত পাঠকদেরও খারাপ লাগার প্রশ্ন আসে না।
ফি বছর একটা করে ‘উভচর মানুষ’এর তুল্য সাইফাই প্রসব করা এমন কি বেলায়েভের পক্ষেও কঠিন কাজ। কিন্তু যারা আলোড়িত হয়েছিলেন সেই দরিয়ার দানোর কাহিনী পড়ে, প্রেমে পড়েছিলেন গুত্তিয়েরের, সাগর পারে দাঁড়িয়ে বুড়ো বালথাজারের সাথে চীৎকার করে বলেছিলেন ‘ইকথিয়ান্ডার, ফিরে আয় ব্যাটা আমার !!’; তাদের জন্যে বলছি- পড়লে হতাশ হবেন না।
সোভিয়েতের জুলভার্ন আলেক্সান্ডার বেলায়েভ, হতাশ করেন না।
মন্তব্য
সাবাশ ব্যাটা! চ্রম লেখা হয়েছে!
কিছু একখান লিখার আদ্ধেকে গিয়ে পিসি নষত করে বসে আছি! নাহলে আম্মো দিতাম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
রিভিউ পড়ে আমার তো এখনই বইটা পড়তে ইচ্ছে করছে।
দারুন লিখেছেন।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
পড়ে ফ্যালেন।
তার পরেও বেলায়েভ মানেই উভচর মানুষ। অনেকদিন আগে রুশ ছবিটা দেখেছিলাম স্থানীয় টেলিভিশনে।
Watch The+Amphibian+Man Online for Free!
চমৎকার লেখা হয়েছে
নামটা কিন্তু বেলিয়ায়েভ হবার কথা, বইতেও তাই লিখেছে, যদিও বেলায়েভ নামেই সবাই তাকে মনে রেখেছে তারপরও ঠিক নামটাই লেখা উচিত, আমি ভেবে রেখেছি এখন থেকে চে গুয়েভারা না লিখে চে গ্যেভারা লিখব, যেটা সঠিক উচ্চারণ।
মাঝে মাঝে একটু রিভিউ ছাড়ুন না দাদা এমন !
facebook
বিবেকানন্দের চিকাগো'র মতো ব্যাপার। উচ্চারণ জানলেও বেলায়েভই বলি, বলবোও অবশ্য
রিভিউ ছাড়া বড্ড কঠিন কাজ ঘণুদা !! এই মাঝেমধ্যে দেই আর্কি
দারুণ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
সুপার্ব। বইটা নিয়ে বইপড়ুয়াতে আলোচনা দেখেছি। জোগাড় করতে হবে।
সেবার রবিনহুড সম্ভবত আমার পড়া সেবা প্রকাশনীর প্রথম বই। সেই থেকেই সেবার ফ্যান আমি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার প্রথম মনে হয় ছিলো প্রজাপতির খামার
দারুন লাগল রিভিউ ।
বইটা পড়ার অপেক্ষায় থাকব ।
লেখায়
অবশ্যই পড়ে ফেলবেন। লিটল ম্যাগ চত্বরেই পাবেন।
কিন্তু, কিন্তু আমি যে পশ্চিমবঙ্গে থাকি ।
আহা, ষাট ষাট !! আপনার 'দেশের আমি, দেশের তুমি' আমি পড়েছিলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মনে রাখার জন্যে ।
গর্বিত বোধ করছি ।
'ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধি'কে কলা দেখিয়ে বাড়তে থাকা আমার ফেবুসক্তির প্রধানতম কারণ 'বইপড়ুয়া' গ্রুপ। রাজ্যের পরিচিতঅপরিচিতঅর্ধপরিচিত লোকজন জ্ঞানি জ্ঞানি ভঙ্গিতে এতসব চেনা-অচেনা বই নিয়ে আলোচনা চালায়, নিজেকে মনে হয় একটা মূর্খ তেলাপোকা!
চমৎকার রিভিউ সুহান।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
চমৎকার।
_________________
[খোমাখাতা]
ডয়েলের মাথা কিনতে দলে দলে যোগ দিন।
অতীত
কেনা হয়েছে, পড়ার অপেক্ষায় আছি।
ভালো লাগলো, পড়া দরকার
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আমাদের ছোটবেলার বইগুলো কার কার জিম্মায় আছে, এই খবরটা যোগাড় করে রাখেন তো সুহান। তাঁদের বাড়িতে চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হবে। তারপর আমি আর আপনে ফিফটি-ফিফটি শেয়ার! রাজী থাকলে 'এক' চাপুন, না থাকলে 'জিরো' চেপে পূর্বের মেন্যুতে ফিরে যান।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাহাহাহা। এই মন্তব্যটা দারুণ পছন্দ হইসে। এক চাপলাম
তিন গোয়েন্দা কারো লাগলে বলতে পারে, সবগুলো ভলিউমই আছে মোটামুটি
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ছোটবেলায় ঘরে সবার জন্য একটা রবিন হুড ছিলো। কিন্তু এতো পছন্দের, নিজের করে একটা রবিন হুড চাইই আমার। অযৌক্তিক এই দাবী মানবে না বলে বইয়ের দোকানের সামনে আমাকে রেখেই হাওয়া হয়ে গিয়েছিলো সাথের লোকজন। ভয়ে ওখানে দাঁড়িয়েই কাঁদতে শুরু করেছিলাম। তবু বইটা না নিয়ে ফিরিনি। বইটা হারিয়েছি বছর তিনেক আগে।
প্রফেসরের মুন্ডু কাহিনী পড়তে ইচ্ছে করছে।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহারে, সেবার জাদু
পড়ে ফেলেন মুন্ডু কাহিনী।
আমার এমনিতে অনুবাদ (ফিকশনের ক্ষেত্রে) প্রতি প্রচন্ড বিতৃষ্ণা আছে। শুধু সেবার কিশোর ক্লাসিকগুলা ভালো লাগত।
তবে রিভিউ পইড়া মনে হইতেসে এইটা পড়া যায়- এবং ভালো লাগবে।
আর লেখা নিয়ে নতুন কইরা বলার কিছু নাই। সবসময়ের মতই দূর্দান্ত।
আপনি মেলায় আসবেন না নাকি ??
আসেন, আড্ডা হবে- বইটই নিয়ে আলোচনাও হবে।
উভচর মানুষ প্রথমবার পড়ার পরে পাগলের মতো এই লেখকের অন্য বই খুঁজেছি। পাইনি। খুব বড় তৃষ্ণা ছিলো একটা
বইটা পড়ে তৃষ্ণাটা বাড়লো। বেলিয়ায়েভের আরো বইয়ের বঙ্গানুবাদ চাই
রিভিউ দুর্দান্ত হইছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বেলায়েভের নতুন একটা বই কত খুজেছিলাম !! অসংখ্য ধন্যবাদ আপ্নাকে !
সম্ভব হলে পড়ে নেবেন। জানাবেন, কেমন লাগলো
উভচর মানুষ আমার অন্যতম প্রিয় বই, এই বইটা থেকে আবারো মুভি মানাও উচিত, ১৯৬১ টা কারিগরি দিক থেকে অনেক পেছানো থাকবে নিশ্চয়ই । সেবার কিশোর ক্লাসিকগুলো বেশী ভাল লাগতো। প্রথম পড়া সেবা বই সম্ভবত জুলভারনের "মাইকেল স্ত্রগফ "।
পড়ার অপেক্ষায় আছি|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
রুশ ভাষায় লেখা সায়েন্স ফিকশন টাইপের দুইটা অনুবাদ পড়ার কথাই মনে পড়ছে কেবল। একটা বেলায়েভের উভচর মানুষ - ছোটবেলায় পড়া, আরেকটা ইয়েভ্গেনি জামিয়াতিনের 'উয়ি' - বড়বেলায় পড়া। দু'টো সম্পূর্ণ দুই রকমের, দুইটাই দুর্দান্ত!
****************************************
ডয়েলে মন্তকে অটোগ্রাফ দেয়া হচ্ছে।।।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
২১শে ফেব্রুয়ারি বইমেলায় গিয়ে কিনলাম বইটা। পড়া হয় নি এখনও। মাত্রই শুরু করলাম। খুবই দারুণ একটা রিভিউ।
রিভিউ রাজ অতন্দ্র প্রহরীর রিভ্যু চাই
এহ!
একমত
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বইপড়ুয়া গ্রুপে যোগদানের জন্য ৩ দিন আগে 'add request' পাঠিয়েছিলাম।এখনো সেটা ঝুলন্ত(pending)।এই গ্রুপের প্রবেশাধিকার কি সংরক্ষিত?অন্য পাঠকদের সাথে যোগাযোগ না রেখে ভালো বইয়ের খোঁজ পাওয়া যায় না।সেইজন্য যোগ দিতে চাচ্ছিলাম।
জয়তু বইপড়ুয়া গ্রুপ
অনুবাদটি পড়লাম। বেশ ঝরঝরে অনুবাদ। একটি ক্ষেত্রে আপত্তি আছে--কোনট্রালটো বা কনট্রালটো শব্দটি অনুবাদে কোনোভাবেই "তারা" হওয়া উচিত নয়। হওয়া উচিত "উদারা"। "তারা" হল সবচেয়ে উঁচু স্বরগ্রাম বা অষ্টক। নীচু থেকে উঁচুর ক্রমটি হল উদারা, মুদারা এবং তারা। আর প্রুফ আরও ভালো করে দেখা উচিত ছিল। বেশ কিছু বিচ্যুতি থেকে গেছে।
নতুন মন্তব্য করুন