পাঁচ বছর আগের ২০০৭ এর ১৭ মার্চে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডেই প্রয়াত অলরাউন্ডার মানজারুল রানার মৃত্যুশোকে আচ্ছন্ন বাংলাদেশ বলেকয়ে করেছিলো ভারত বধ। মীরপুরের উইকেটে ভারতের ২৮৯ রানের সংগ্রহ বাংলাদেশ টপকে গেলো চার বল আর পাঁচ উইকেট ব্যব্হার না করেই।
এই এশিয়া কাপ কি দিন বদলের টুর্নামেন্ট টাইগারদের ?? মোঃ আশরাফুল নেই, জেমি সিডন্সের প্রিয়পাত্র জুনায়েদ সিদ্দিকী নেই। তিন বাঁ-হাতি স্পিনার নিয়ে না নেমে তিন পেসার নামানোর সাহস কবে থেকে হলো বাংলাদেশের ?? এই টুর্নামেন্ট থেকেই।
পাকিস্তানের সাথের ম্যাচে হতে হতে হলো না। ৩৯ বলে ৩৯ রানের সমীকরণ মেলাতে পারলেন না শেষ পাঁচ টাইগার। এই টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশ- ইতিহাস বলে- আর বলার মতো কিছু করতে পারবে না।
কিন্তু ইতিহাস নতুন করেই লেখা হয়। শচীন তেন্ডুলকার নামের ক্রিকেট দেবতা সেটাই প্রমাণ করলেন আবার। শতবার শতরান করা- প্লে স্টেশনের ক্রিকেটেই বা কেউ কখনো করে দেখিয়েছে আজতক ?? সাথে ইনফর্ম বিরাট কোহলি, তুখোড় রায়না আর সবসময়ের ‘ক্যাপ্টেন কুল’ এমএসডির ক্যামিও ভারতকে আজ তুলে দিলো ২৮৯ রানের পাহাড়ে। ভারতের ব্যাটিং লাইন আপের শক্তি বিচারে এই রান বড় কিছু নয়, তবে বাংলাদেশের সাথে জিততে বড় কিছু কবেই বা করতে হয়েছে প্রতিপক্ষকে।
১৫ রানের মাথায় সাজঘরে নাজিমুদ্দিন। তামিম খেললো, জহুরুল খেললো। ধোনির একসময় মনে হলো একটু বেশি সময় ধরেই খেলছেন তারা। ততক্ষণে সমীকরণ ২৫ ওভারে একশত নব্বইয়ের কাছাকাছি। কুড়ি-কুড়ি ম্যাচের আদর্শ সমীকরণ।
অভিষেক ফিফটি করে জহুরুল ফিরলেন। এই সিরিজে অচেনা এবং ধারাবাহিক তামিম ফিরলেন। তারপরেও ম্যাচে বাংলাদেশ রইলো ভালো মতই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন বিজ্ঞাপণ নাসির হোসেন ততক্ষণে উইকেটে সেট। আর বরাবরের মতোই, বাংলাদেশের প্রাণ সাকিব উইকেটে সেট হতে সময় নিলেন না।
অশোক দিন্দার করা ৩৮তম ওভারটা ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। মিড উইকেটের উপর দিয়ে বিশাল ছক্কা সহ এই এক ওভারে সাকিব নিলেন ১৮ রান। শেষ দশ ওভারের সমীকরণে ৮৩ দরকার।
কিন্তু রবিচন্দন অশ্বিনের বিশাল ঘূর্ণিতে পরাস্ত সাকিবের স্টাম্পিং করে ভারতকে আরেকবার জয়ের রাস্তায় এনে দিলেন এমএসডি। এখান থেকে ম্যাচ প্রতিপক্ষের – জানিই তো আমরা।
ছোটখাটো শরীরের মানুষটি- যাকে অভিষেক সফরে ইংরেজ নাকউঁচু মিডিয়া আখ্যা দিয়েছিলো ‘বিস্ময় বালক’ বলে – সেই মুশফিক একেকটা ছয় হাঁকালেন, প্রার্থনারত বাংলাদেশ একেকবার ফেটে পড়লো নতুন প্রাণে। ৩ ওভারে ৩৩- হারকিউলেসের পাহাড়কে আলুটিলা বানিয়ে ওহ ক্যাপ্টেন- মাই ক্যাপ্টেন তীরে তরী নিয়ে এলেন প্রায় নির্বিঘ্নে, নাসির এর উইকেটের বিনিময়ে।
পাকিস্তানের সাথে হতে হতে হয়নি, ভারতের সাথে হলো, শ্রীলঙ্কার সাথে হবেই- ঠিক জানি !!
দুপুর থেকে ফেসবুকে পরিচিত লোকেদের স্ট্যাটাস দেখতে পাচ্ছিলাম, টিপাইমুখ বাঁধ আর সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা ইস্যুতে ব্যানার নিয়ে যত লোক মাঠে ঢুঁকতে চেয়েছেন- সেই ব্যানার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
আমি রাজনীতি বুঝি না, আমি কূটনীতি বুঝি না। আমি কেবল বুঝি, এই এগারজন তরুণ মিলে একশো বিশ কোটির ভারতকে একটা বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে এডিডাসের মূল বার্তাটা- অসম্ভব বলে কিছু নেই।
ব্যাটিং এর শেষ কথা শচীন রমেশ তেন্ডুলকার, প্রাণখোলা অভিবাদন নিন।
আর লাল-সবুজের জার্সির ছেলেরা, কথা সামান্যই। পোর্ট অফ স্পেনে হলো, মীরপুরে হলো, দুনিয়ার বাকি অংশে হতে যেন বেশি দেরী না করেন। আপনারা চাইলেই হবে। স্টেডিয়াম আর টিভি পর্দার প্রতিটি প্রার্থনারত মুখ জানান দিচ্ছিলো, এই দেশের প্রানভোমরা আপনারাই।
আর বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রাণেরা চাইলে হয় না- এমন কিছু নেই।
মন্তব্য
facebook
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
স্কোর দেখে প্রথম বিশ্বাস হতে চায়নি। অভিনন্দন টাইগার্স!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হালুম!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
এই গান শেয়ার না দিলে কেম্নে কী?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
এখনো ল্যাবে। সারাদিন ট্যাঁ-ফোঁ করতে পারিনি। শেষে সইতে না পেরে জার্মান ল্যাবমেটনী'কে বললাম, "শোনো, শেয়ার না করে পারছি না! তোমাকে ক্রিকেটের কথা বলেছিলাম না? আজকে একটা খেলা হচ্ছে, সেটাতে আমরা এইমাত্র জিতলাম!"
ল্যাবমেটনী তার ৩২পাটি মুক্তো বের করে বলল, "দারুণ! অভিনন্দন!"
আমি মনে মনে বললাম, ... ... ... না থাক। বাদ দেই
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমরা বর্ডারে খেলি না, মাঠে খেলি।
জয় বাংলা!
"থার্ড-ক্লাস আম্পায়ার"-এর ভাব সংক্ষেপ কি? "থার্ড আম্পায়ার"?
****************************************
খাইছি তোরে।
হালুম
১১ তারিখের জ্বালা এখনো জুড়োয়নি। কিন্তু আজকের জেতাটা অনন্য। শচীনের খেলায় আমরা জিতলাম, এটা বিশাল ব্যাপার।
কেবল ২০ তারিখের অপেক্ষা এখন।
সেদিনও আপনার কী বোর্ড এমনি আরেকটা আবেগী লেখা উপহার দেবে আমাদের, এই কামনা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আজকের এই জয়কে আমি অন্য যে কোনো জয়ের চেয়ে এগিয়ে রাখবো। সবচেয়ে পরিকল্পিত জয়। এবং ধারাবাহিক ভালো খেলা। এবং শক্তিমত্তার সর্বোচ্চ ব্যবহার, বিশেষত ব্যাটিংয়ের।
ভইরে দিসে। আসলেই। ইংল্যান্ডের সাথে বিশ্বকাপের জয়টা অনেক নাটকীয় হলেও দলগত খেলায় আজকেরটাই সেরা। এদ্দম খাপে খাপ
ধরে দেবানি।
অসম্ভব আনন্দের দিনে অসম্ভব প্রিয় লেখকের প্রিয় ক্ষণটিকে নিয়েই লেখা---
এক কথায়
ঢিশশুম!!
এশিয়া কাপ: পাকিস্তানের সাথে হারা ম্যাচটার গুরুত্ব এখন বুঝা যাবে। ওটায় আরো অনেক ভালো অবস্থায় ছিলাম আমরা নাসিরের আউট হওয়ার পরেও। ওই ম্যাচ জিতলে ফাইনাল নিশ্চিত ছিলো, পাকি আর ইন্ডিয়ানরা মাইরপিট করতো ফাইনালের সেকেন্ড প্লেসের জন্য। জয়ের আনন্দের চেয়ে আফসোসের পাল্লা এখনো ভারী। ফাইনালে খেললে ফিফটি-ফিফটি হবে, ফাইনালে পাকিদের হারিয়ে জিতলে সব আফসোস কাটিয়ে ওঠা যাবে।
বাংলাদেশ দল: জেমি সিডন্স যে ক্ষতিটা করে গেছে, দল সেটা কাটিয়ে উঠুক। খেলোয়াড়বেসিসে এই বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশের প্রধান পার্থক্য নাসির। নাসির শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই না, অ্যাটিটিউডই অনেকটা পালটিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর ২০০ রানের টার্গেট নিয়ে খেলে না, নাসির জয়ের জন্য খেলে, বাংলাদেশ জয়ের জন্য খেলে। ব্যাটিং সামর্থ্যের দিক দিয়ে তার সীমাবদ্ধতা থাকলেও এই অ্যাটিটিউডটাই সিডন্সের অসম্ভবকে সম্ভব করে। সাকিব-তামিমের খেলার ধরণও পরিবর্তিত হয়েছে, ইমরুল কায়েস-জুনায়েদ-রকিবুল-আশরাফুল-নাইম এই ব্যাটিং স্তম্ভ থেকে মুক্ত হওয়া গেছে।
১৫ জন ছাড়া আর খেলোয়াড় নাই - এই তত্ত্ব থেকে বেরিয়ে এসে আরো কিছু লুজারকে রিপ্লেস করা দরকার। মিস্টার টুয়েন্টি নাজিমুদ্দিনকে বাদ দেয়া উচিত। তার সীমা ২০ থেকে ৩০ রান। জুনায়েদ বা আফতাবের চেয়ে খারাপ। অমি মিস্টার ফোরটি, আপাতত রাখা যায়, তবে তার উন্নতির সম্ভাবনা আছে। মুশফিকের গ্লাভস ছাড়া উচিত। ধীমান খেলতে পারে। দলে রিয়াদকে দরকার নাই। নাসিরকে অলরাউন্ডার হিসেবে খেলানো করা উচিত। মিস্টার স্মার্টম্যান শাহাদাত হোসেন এক আশরাফুল কেস। উনাকে আজীবনের জন্য সম্মানের সাথে বিদায় জানাতে দেরি হলেই লস। রাজ্জাক ফিফটি-ফিফটি, ৩ পেসার নিলে তাকে দরকার নাই। কিছু ম্যাচ উইনিং খেলোয়াড় দরকার। সাব্বির, বিজয়, মমিনুলের মতো খেলোয়াড়কে সুযোগ দিয়ে দেখা যায়।
বাংলাদেশে খেলোয়াড় নাই - এই তত্ত্ব সত্য না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সেই রকম মন্তব্য।
শাহাদাত-এর বিষয়ে সহমত। নাজিমুদ্দিনেরে আরেকটু সুযোগ দেয়া উচিৎ মনে করি। ধীমান কিপার হিসেবে ভালো হইলেও মুশির ব্যাটিং মনে হয় একটা প্লাস পয়েন্ট।
ধন্যবাদ, সুহান।
নাজিমুদ্দিন পরীক্ষিত খেলোয়াড়, সে সবসময়ই এরকম খেলে। রোকন-আফতাব-জুনায়েদ কেস।
এখানে সমীকরণটা ধীমান ভার্সেস মুশি না। মুশি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারে। সাথে ক্যাপ্টেন এখন। কিন্তু উইকেটের পিছনে ভালো কীপার দরকার। ধীমান ব্যাটসম্যান হিসেবেও খারাপ না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদার মন্তব্যে জাঝা। দল জিতলে আমরা আত্মপ্রসাদে ভুগতে থাকি এবং পরের ম্যাচের আগে পা মাটিতে থাকে কমই। এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যদিও সামনে উইনিং কম্বিনেশন রাখারই সম্ভাবনা বেশি, তবে শ্রীলংকার পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে দুয়েকটা যোগ বিয়োগ করা যেতেই পারে। শফিউল তো শুওলাম আজকে ইনজুরড হল, সেক্ষেত্রে বোলিং ডিপার্টমেন্ট একটা ধাক্কা খাবে। যাই হোক, গিড লাক ফর দ্য নেক্সট ম্যাচ।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
মমিনুলের ব্যাপারে সহমত। ছেলেটার সাহস আছে। সুযোগ পাওয়ার দাবীদার।
---------------------
আমার ফ্লিকার
সাকিব-তামিম-নাসিরকে রেখে বাকি সবাইকেই রিপ্লেস করে দিলেন!? দারুন! ক্রিকেট বিষয়ে আপনার মন্তব্যগুলো খুব উপভোগ করি।
"সাকিব-তামিম-নাসিরকে রেখে বাকি সবাইকেই রিপ্লেস করে দিলেন!?"
অনেকটা সেরকমই।
যারা পারফর্ম করছে না, তাদেরকে ধীরেসুস্থে হলেও রিপ্লেস করে সম্ভাব্য পারফর্মারদেরকে দিয়ে খেলাতে হবে। এভাবেই দল স্টেপ বাই স্টেপ উন্নতি হবে। কিছু সংখ্যক খেলোয়াড় কবে উন্নতি করবে, সেই আশা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদেরকে খেলিয়ে যাওয়া কাজ দেয় না। দলে এখন দেখেন আশরাফুল, রকিবুল, জুনায়েদ, কায়েস, নাইমরা নাই। সিডন্স আমলে এরা ছিলো অবধারিত খেলোয়াড়। বর্তমান দলের খেলোয়াড় সম্পর্কে আমার মতামত এরকম:
তামিম: তার ব্যাটিং সামর্থ্য অসাধারণ। ফিটনেস বাড়ানো দরকার। নিজের উইকেটের মূল্য বুঝে খেলা উচিত। উদাহরণ, গত ২ ম্যাচ।
নাজিমুদ্দিন: তাকে হিটার মনে করা হয়। সে হিটার না, কুইক স্কোরারও না। সে আসলে উড়াধুড়া ব্যাটসম্যান। কোন শট কোনদিকে যাবে কোনো কন্ট্রোল নাই। আফতাব কেস। সে এভাবেই খেলে আসছে। এটাই তার সামর্থ্য। তাকে দলে টানার কোনো মানে নাই।
জহুরুল: শট সিলেকশনে সমস্যা আছে। ভালো টাইমার; কিন্তু আকাশে খেলার প্রবণতা বেশি। যতোক্ষণ টিকে থাকে, ততোক্ষণ ভালো। সেট হওয়ার পরে আউট হওয়া নিয়ে কাজ করা দরকার। আমার ধারণা, সে যদি সমস্যাটা বুঝে, তাইলে তার পক্ষে উন্নতি করা সম্ভব।
নাসির: চন্দিমলটাইপ খেলোয়াড়। সীমিত সামর্থ্য; কিন্তু অ্যাপ্লিকেশনে দুর্দান্ত। ম্যাচ উইনার।
সাকিব: নোতুন করে কিছু বলার নাই।
মুশফিক: ব্যাটিং ইনকন্সিস্টেন্ট। যখন ভালো খেলে, তখন দুর্দান্ত খেলে, যখন ফ্লপ করে, তখন আগলি। তবে ব্যাটিংয়ের জন্য সে দলে থাকতে পারে। ক্যাপ্টেন হিসেবেও তাকে সাহসী মনে হয়। তাকে পুরো স্বাধীনতা দিলে সে ভালো করার কথা। তার কিপিং টেস্ট স্ট্যান্ডার্ড না। কিপিং এরর দুর্বল দলের জন্য বেশি ক্ষতিকর। সুতরাং এই ডায়িত্ব অন্য কাউকে দেয়া উচিত।
রিয়াদ: অ্যাবিলিটি আছে; কিন্তু টীম কম্বিনেশনের জন্য খেলার সুযোগই তেমন পায় না। সাকিবের ক্যাপ্টেন্সির সময়ও তাকে ঠিকমতো কাজে লাগানো হতো না, এখনও হয় না। সে ধুমধামটাইপ বিগ হিটার না। ৪ নম্বরে নেমে ধরে খেলার মতো ব্যাটসম্যান। তাকে হয় টপ অর্ডারে খেলানো উচিত, নাহয় আরো ভালো হিটার দিয়ে রিপ্লেস করা উচিত। তার বোলিংও খারাপ না; কিন্তু ক্যাপ্টেনরা পছন্দ করেন না।
মাশরাফি: যতক্ষণ ফিট, ততোক্ষণ খেলুক। শেষ ১০ ওভারে বল করার দরকার নাই।
রাজ্জাক: বাংলাদেশে খেলা হলে ঠিক আছে। ৩ পেসার নিলে তাকে দরকার নাই। কিন্তু পেসাররা মার খেলে আবার রাজ্জাক দরকার। এজন্যই ফিফটি-ফিফটি।
শাহাদাত: শারাপোভার নিজের সামর্থ্য সম্পর্কে কোনো ধারণাই নাই। সে মনে করে তার বোলিং স্পিড ১৬০ এর ওপরে। শর্ট অ্যান্ড ওয়াইড বোলার।
শফিউল: কনসিস্টেন্ট লাইন লেংথে বল করা দরকার। তার সামর্থ্য আছে, ডেথ ওভারে ভালো বোলার। কিন্তু খুব বেশি এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়া এক্সপেন্সিভ হয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আনামুলের খেলা খুব একটা দেখা হয়নি, ওকে কি নাজিমুদ্দিনের রিপ্লেসমেন্ট ভাবা যায়, পরের ম্যাচের জন্য? আর শাহাদাতের চেয়ে নাজমুল শ্রীলংকার সাথে বেশি কার্যকরী হবে বলে মনে হয়। আপাতত এদুটো চেঞ্জ নিয়ে ভাবা যেতে পারে।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
পরের ম্যাচের জন্য এনে লাভ নাই। এক ম্যাচ খেলে খারাপ করলেই লং টাইম নো সি হয়ে যাবে।
নাজমুলকে আনা যায়, অভিজ্ঞতা আচে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শারাপোভা কইত্তি আইলো?
এইটা শালারপোলা হইব মনে হয়
শারাপোভা খেলার সময় জোরে শব্দ করে, শাহাদাতও। শ্রীলংকার সাথে খেলার সময় ২ বার জয়াবর্ধনে এটা নিয়ে আম্পায়ারের কাছে অভিযোগও জানাইছিলো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
শাহাদাতের ব্যাপারে একমত। আর বাকিগুলোর ব্যাপারে আরো সময় নেয়া উচিত।
লাভ নাই। আমাদের বোর্ড শুধু পাকিস্থানে যেতে পারে, প্লেয়ার বদলাতে পারে না।
বহুতদিন পর আজকে আনন্দে মরে যাইতে ইচ্ছে করল। এমন আনন্দের স্মৃতি নিয়া মরে যাওয়াটা দারুণ হওয়ার কথা।:-)
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অসাধারন লিখেছিস ভাই!
হ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আজকের খেলা দেখে সত্যি মনে হয়েছিলো আমাদের সবার প্রাণ ভোমরা ওরা। একটু এদিক থেকে ওদিক হলে প্রাণটা বের হয়ে যেতো।
এতো খুশী অনেকদিন হই নি। এতো বেশী আনন্দ আর কোন কিছু আমাদের মনে হয় দেয় না। বাসার সামনে দিয়ে যাওয়া মিছিলের সাথে আমিও বারান্দায় দাঁড়িয়ে গলা ফাটিয়ে বাংলাদেশ! বাংলাদেশ! করছিলাম।
জয়তু বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আগামি তিন দিন 'বাংলাদেশ জার্সি দিবস' ঘোষণা করলাম। পরের খেলায় জিতুক-হারুক, ফাইনাল খেলুক-না খেলুক। আমি আগামি তিন দিন বাংলাদেশের জার্সি পরে রণে-বনে-হলে-জঙ্গলে-অন্তরীক্ষে অবলীলায় হাদুমপাদুম চালিয়ে যাবো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সত্যি কি তার অভিষেক ম্যাচ? মনে হয় প্রথম পঞ্চাশ। অভিষেক হয়েছিল দু বছর আগে (২১ জুন ২০১০) শ্রীলংকার ডাম্বুলায় এশিয়া কাপেরই এক ম্যাচে যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। এগার রান করে অপরাজিত ছিলেন জহুরুল। ইতোমধ্যে আটটি এক দিবসীয় খেলা খেলে ফেলেছেন এই ডান হাতি উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান!
'অভিষেকেই ফিফটি' বলিনি তো- 'অভিষেক ফিফটি'
একটা ব্যাপার বুঝলাম না। আলুপেপারের কীড়া বিভাগ দেখি সবসময় খালি ভিন্দেশের পিরিতিতেই ওস্তাদ। কখনো পাকিপ্রেমে মাতোয়ারা, আবার কখনো ইন্ডিপ্রেমে দিওয়ানা। খালি নিজদেশের ছেলেরাই ঠিকমত কল্কে পায় না- এমনকি এমন বিজয়ের দিনেও! ঘরকা মুর্গা ডাল বরাবর ?! বারেক মুন্সী এই "রূপকথার জয়" নিয়া একখান ঘোড়ার আণ্ডা পাড়ছে দেখেন, যাতে বাংলাদেশের জয়ের চেয়ে টেন্ডুলের হারু সেঞ্চুরি নিয়াই তার আদিখ্যেতা আর গদগদ ঢং বেশি। আলাদা একটা পুরা স্টোরি এই সেঞ্চুরি নিয়া তারা করছে একই সংখ্যায় ঠিক পাশাপাশি - আরো যাত্রাপালার ঢঙে - ঠিক আছে। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট না তারা ! যেই স্টোরিটা স্পেসিফিকালি বাংলাদেশের জয় নিয়া - সেটার ভিত্রেও ৭৫৬ শব্দের মধ্যে ৪১০ শব্দই অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ ৫৫% পার্সেন্ট অংশই টেন্ডুলকার বন্দনায় কাছা খুলে নৃত্যরত ভাষায় নিবেদিত, সাকিব-মুশফিক-স্বদেশের জন্য বাকিটা অর্থাৎ নেহাৎ দয়ার দান ৪৫% কোনমতে! অথচ যেটা হওয়ার কথা ছিল কিনা অন্তত ৯০-৯৫% এই বাংলাদেশ-ডেডিকেটেড স্টোরিতে। অন্য কোন দেশের জাতীয় পত্রিকাতে এমনটা হয় কিনা আমি জানিনা - অর্থাৎ নিজ দেশের জয়ের গল্পে অন্য দেশ নিয়াই উলটা নাচানাচি - অন্তত আমার কমন সেন্সে আসে না। কি জানি, প্রবাসীরা ভাল বলতে পারবেন হয়তো অন্য দেশের পত্রিকার বিষয়ে। তবে আমার কেমন যেন সন্দেহ লাগে - এইটা কি আলুর কীড়া বিভাগের কীড়াদের কোন রকম মানসিক ব্যাধি নাকি ? এরকম ভাবতেছি কারন এই প্রায় বেদের-মেয়ে-জোছনা টাইপের ভাষায় অন্ধ বিদেশপ্রেম তাদের প্রায় অবসেশনে দাঁড়িয়ে গেছে, রিপিটিটিভ লূপের মত। এর বাইরে আর কিছু লিখতেই পারে না যেন। নাকি এটা পশ্চাদ্দোষ ?
****************************************
ইউটিউব থেকে কিছু হাইলাইটস দেখলাম। শেষ কবে এতো খুশি হয়েছি মনে পড়ছে না। ডিগবাজী দিতে ইচ্ছা করছে।
শিরোনামটার কপিরাইট মনে হয় উৎপল শুভ্র'র!
তাই ?? আমার জানা নেই। কোথায় ব্যবহার হয়েছিলো বলতে পারেন ??
--- বহু আগে আমি ক্রিকেট বিষয়ক একটা লেখায় এটা ব্যবহার করেছিলাম(শিরোনামে নয় অবশ্য, সমাপ্তিতে), আমার জানা ছিলো না এটা কারো আগের তৈরী।
খুব সম্ভবত অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর এই শিরোনামে হেডলাইন করেছিলো প্রথম আলো (উশু'র লেখা ছিল সেটা)।
ঠিক। লাল কালিতে প্রথম আলোর(উশু) ফুল পেজ হেডলাইন ছিল "বাঘের গর্জন শুনছে বিশ্ব"।
নতুন মন্তব্য করুন