ঠান্ডা পইড়া গেলো আবার। দেশে শীত কেমুন পড়ছে জানিনা - এখনো নভেম্বর। এইখানে শীত অলরেডি জমাইয়া পড়ছে। বিশেষ কইরা অনেক সকালে আর সন্ধ্যা নামার পরে ঠান্ডাটা একদম হাড্ডি কাপাইয়া দেয়। মোটা জ্যাকেট আর গলায় মাফলার দিয়াও শীতরে তখন বাইরে রাখন যায় না। আর দিনের বেলাও যে তার থেকা খুব বেশী ভাল যায়, তা কওন যাইবো না।
রবিবার বিকাল। টাইপ করতাছি আর শুনতে পাইতাছি বাসার কাছে যেই মাঠ, সেই মাঠে এই দেশীয় কিছু বাঙ্গালি পোলাপান ফুটবল খেলতাছে। কিছু পরপরই কোলাহল। প্রত্যেক বিকালেই ওরা খেলে, উইকেন্ডে তো সারা দিন। এই হিমশীতের মইধ্যে কেমনে এত খেলার গিয়ার পায়, আমি বুইঝা পাই না। আমি খালি ভাবি কতদিন শীতের পিঠা খাই না। সেজো ফুফু দারুন পিঠা বানাইতো - ভাপা, পুলি, পাটিসাপ্টা - আরো কত কি। বছর কে বছর গেলো গিয়া - সেই পিঠার স্বাদও প্রায় ভুলতে বইছি।
উত্তরের শীত। এক আজব জিনিস। বিলাতে পাঁচ-পাঁচটা শীত কাটাইয়া দিলাম, তাও যে ভাল্লাগে কইতে পারুম না। হাল্কা বিষন্নতা পাইয়া বসে শীত আইলে। আকাশ বাতাস থেকা তাপ তো শুইষা নেয়ই, বস্তুজগত থেকাও যে রং রূপ গন্ধ আছে, তা সব চুইষা খাইয়া ফালায়। সব কিছু ছাই রঙ্গা হইয়া যায়।
*
প্রথমবার যখন উত্তরের শীতের মইধ্যে পড়ছিলাম, সেইটা সাত বছর আগের কথা। কয়েক মাস যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের এক ছোট্ট শহরে আছিলাম। কিছুই নাই সেই টাউনে - লক্ষ লক্ষ বর্গমাইলের গম আর ভুট্টা খেতের মইধ্যে ফালায় দিছে ৫০,০০০ মানুষের একটা বসতি। নীচু নীচু সব দালান। চুপচাপ মানুষ। চওড়া সব রাস্তা। ছিমছাম বাড়িঘর। ঠান্ডায় গাছের পাতার রং চেঞ্জ হইয়া যাওয়ার পথে। লাল, কমলা, হলুদ যত রং হইতে পারে। দেখতে ভালোই সুন্দর লাগে - ওরা কয় ফল কালার্স - আমরা যেই হেমন্তরে অটাম জানি, ওগো কাছে ওইটাই ফল (fall)।
জীবনে প্রথম যেই দিন বরফ দেখছিলাম, মাথা খারাপ হইয়া গেছিলো উত্তেজনা আর খুশীর চোটে। সকাল বেলা ঘুম থেকা উইঠা দেখি, জানালার বাইরে মাটিতে শাদার লেপ, আকাশ থেকা পড়তাছে তুলার মতন। এক লাফ দিয়া দরজা খুইলা বাইর হইয়া গেছিলাম - হাতে ক্যামেরা নিয়া। তখনও ডিজিটালের যুগ আসে নাই, ফিল্ম হিসাব কইরা খরচা করা দরকার। তাও খুশীর চোটে ফটাফট অনেকগুলা ছবি তুইলা ফেলছিলাম।
পরে যখন কাপড়-চোপড় গায়ে চাপাইয়া টাউনে যাওয়ার চেষ্টা করলাম, তখন বুঝলাম দেখতে যত মজা, আসলে তত মজা না। ঠান্ডার চোটে মুখ ব্যথা করে, শ্বাস নিলে স্টীম ইঞ্জিনের মত ধুয়া বাইর হয়, আর পা ফেলতে লাগে খুব কেয়ারফুলি। পিছলা বরফে স্লিপ খাইয়া পাছার হাড্ডি ভাঙ্গা অসম্ভব না। ফ্ল্যাট সোলের জুতা ফালাইয়া খাজ-কাটা সোলের ট্র্যাকশন-ওয়ালা জুতা পড়া আরম্ভ করলাম।
আর বরফও যেই সেই। বিকাল আইতে আইতে শাদা বরফ হাজার মানুষের পায়ের পাড়া আর হাজারো গাড়ির চাকার পিষা খাইয়া কেমুন ময়লা বরফিয়া কাদার মত হইয়া গেছে। অত সুন্দর লাগে না আর। বরফের আরেকটা গুণ খেয়াল হইছিলো। সব কিছুর আওয়াজ কমায় দেয় বরফ। গাড়ির শব্দ, মানুষের কথাবাত্রা, পাখির আওয়াজ , সব কিছুই লো ভলিউমে চইলা যায়, যানি পুরু মাফলারের মতন কাজ করতাছে।
আর আছিলো শীতের আকাশ। এইটা নিয়া পাতার পর পাতা লেখতে ইচ্ছা করে। কত বিকাল, কত অলস দুপুর যে কাটায় দিছিলাম সেই জীবনে খালি সেই আকাশের দিকে চাইয়া চাইয়া। মনে হইতো আমি আর এই দুনিয়াতে নাই, অন্য একটা জগতে গেছি গিয়া। দিগন্ত জোড়া আকাশ, নীলের কোন চিহ্ন নাই তাতে। ছাই রংটাই নানা শেডে, নানা ঘনত্ব নিয়া পুরা আকাশটারে ছাইয়া ফেলছে। মেঘের আবরণ আকাশের এক কোনা থেকা আরেক কোনা পর্যন্ত। পান্সা আলো তার ভিতর দিয়া ফিক ফিক কইরা বাইর হয়। আকাশের যেই জায়গাটাতে মাখন-রঙ্গের আলোটা একটু বেশী, ঐখানেই কোনখানে সূর্য মেঘের পিছে লুকায় আছে।
বারিন্দায় একটা পুরান সোফা ফালায় রাখছিলাম। ঐটাতে গিয়া বইতাম যখন মন চাইতো, চুপচাপ দুপুরে বা দিনের শেষে। ফ্ল্যাটমেট রাসেল বা মারুফ চা বানাইতো, সেই গরম চায়ে চুমুক দিতাম, সুখ দুঃখের গল্প করতাম। মাঝে মইধ্যে ওরা না থাকলে একটা বই নিয়া বইতাম, কয়েক ঘন্টা একনাগাড়ে পড়তাম, আলো যতক্ষণ থাকতো। আর নাইলে আছিলো ফোন। দেশে ফোন, বিদেশে ফোন। ঘন্টার পর ঘন্টা বারিন্দার সোফায় আড্ডা।
*
একবার ইন্ডিয়ানা থেকা টেক্সাস যাওয়ার দরকার পড়লো। বন্ধুবান্ধব সব টেক্সাসে, আমার মুভ করার মতলব চলতাছে। তাই টিকেট কাটলাম গ্রেহাউন্ড বাসের। দূর পাল্লার বাস, আমেরিকার এক কোনা থেকা আরেক কোনা ঘুইরা দেখা যায় গ্রেহাউন্ডে উঠলে, অল্প খরচে, যদি নিজের গাড়ি না থাকে। গ্রেহাউন্ডের কাস্টমারও বেশীর ভাগই নিচের তালার লোকজন, যাগো গাড়ি নাই, বা অত তেল কিনার পয়সা নাই - কালা বা রেডনেক।
উঠলাম সেই গ্রেহাউন্ডে এক শীতের বিকালে। ইন্ডিয়ানার এক শহর আছে - টের্ হাউট (Terre Haute) - জেল টাউন। সেইখানেই কুখ্যাত ওক্লাহোমা-বম্বার টিম ম্যাকভেই'রে আটকায় রাখছিলো। সেই টের্ হাউট-এর জেলের কাছে থামলো বাস, কিছু লোক নামলো, আত্নীয় স্বজনের লগে ভিজিট আছে, নাইলে খাবার, কাপড়চোপড় দিতে আইছে। বাসের ভিতরে ময়লা - মদ, বমি আর ঘামের মিশালী গন্ধ। আমি এক কোনায় ঘাপ্টি মাইরা বইসা জানালা দিয়া চাইয়া আছি, বাসের অন্যান্য পাগল কিসিমের লোকের লগে খাতির জমানোর কোন খায়েশ নাই।
মাইলের পর মাইল যায়। শয়ে শয়ে মাইল - ঘন্টার পর ঘন্টা - ইলিনয়, কেন্টাকি, টেনেসি। রাইত দুইটার সময় আইসা হাজির হইলাম টেনেসির মেম্ফিস শহরে - সেই গ্রেহাউন্ড স্টেশানের উপর থেকা নীচ, সামনে থেকা পিছনে খালি এলভিস আর এলভিস। ফাস্ট ফুডের দোকানে টাঙ্গানো এলভিস প্রিসলির ছবি, এলভিস ঘড়ি। স্যুভেনিরের দোকানে এলভিসের মগ, গেঞ্জি, ছাইদানি, কি নাই। মেম্ফিস টেনেসি, রাইত দুইটা, ইলেক্ট্রিক বাত্তির কঠিন আলো, গ্রেহাউন্ডের বাস স্টেশান - সেইখানে কিছু ঘরছাড়া কালা মানুষ, এলভিস আর আমি।
পরদিন সকালে আর্কানসো। ঘোড়ার খামার। লিটল রক, বিল ক্লিন্টনের আদি বাড়ি। তার কয়েক ঘন্টা পরেই টেক্সাস, রোদে গমগম মরুভুমির টেক্সাস - আমার আগামী ঠিকানা।
*
আর দুইটা স্মৃতি দিয়া শেষ করি। সেই বছর ইন্ডিয়ানাতে ভয়ানক তুষার ঝড় হইছিলো। ২০০০ ডিসেম্বর। টানা চাইর দিন বরফ পড়লো। কয়েক ঘন্টা দূরে শিকাগো শহরে কারেন্টের তারে বরফ জইমা তার ছিড়া অর্ধেক শিকাগোর কারেন্ট গেলো গিয়া। এইদিকে নিজের বাসায় বন্দী আমি। তিন-চাইর ফুট উচা বরফের স্তুপ ঘরের বাইরে। ঝড় শেষে বাইর হইলাম দুনিয়া দেখতে - ইন্দুর যেই রকম গর্ত থেকা বাইর হয় চোখ পিতপিত করতে করতে, অনেকটা ঐরকম। বরফের চাদর দিয়া ঢাকা পুরা দুনিয়া। ধবধবা শাদা, বকের পালক বা ডানোর দুধও সেই শাদার কাছে হার মানে। রাস্তার উপরে তখন সিটি কাউন্সিলের বড় বড় বরফ-সরানোর ট্র্যাক্টর গাড়ি চলতাছে, পথ-ঘাট ক্লিয়ার রাখতে। এমনিতে ঘর বাড়ির ছাদ, এমুনকি গাড়ির ছাদেও বরফের পাহাড়। Winter wonderland। অপূর্ব লাগছিলো, জীবনের স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
শেষ স্মৃতিটাও ইন্ডিয়ানাতেই। একটা কফির দোকান আছিলো শহরে। সেই দোকানে সেলাম নামে আমার এক ইথিওপিয়ার ফ্রেন্ড প্রায়ই যাইতো। শীতের দিনে তো ডেইলি ডেইলি। একবার ও কল দিলো - আসো কফি খাইয়া যাও, আরাম লাগবো, আমরা কয়েকজন আছি। কথামত বরফ ডিঙ্গাইয়া আমি গেলাম। সেইখানে সেলামের এক বান্ধবীর লগে পরিচয় হইলো - বিলেন। ইথিওপিয়ার পাশের দেশ এরিত্রিয়ার মাইয়া, ইতালিয়ান ভাষা আর সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি করতাছে। অনেক আফ্রিকানের মতন রং বেরঙ্গের টুপি-স্কার্ফ তার। সেই কফি শপে বইসা সে প্রায়ই হোমওয়ার্ক করে বিকাল বেলায়, কানে সিডি প্লেয়ার লাগাইয়া।
সাক্ষাৎ দেবী ছিলো। প্রথম দেখায়ই পুরা প্রেমে পইড়া গেছিলাম। ঐ দেশে থাকাকালীন আর বাকি তিন বছরে বিলেনের মত পরমা সুন্দরী মাইয়া দেখার ভাগ্য হয় নাই। কিন্তু কি কপাল - টেক্সাসে যাওয়ার দিন তখন চইলা আইছে, আর দুই-এক সপ্তার মত আছি ইন্ডিয়ানায়। খাতির জমানোর টাইম হইবো না। তাও সেলামের লগে আর দুই-একবার ঢুঁ মারছিলাম সেই কফিশপে। একবার দোকানে ঢুকার সময়ে দেখলাম - কাঁচের অন্য পাশে এক টেবিলে বসা বিলেন, মাথা নামানো, কানে ইয়ারফোন, প্রচন্ড মনোযোগে বই পড়তাছে আর নোট তুলতাছে, হাতে ধরা পেন্সিল।
কাঁচের এক পাশে হিম, আরেক পাশে উষ্ণতা। এক পাশে ছাই, আরেক পাশে রংধনুর সাতরং। এক পাশে পূজারী, আরেক পাশে দেবী। সাত বছর পরে সেই দৃশ্য এখনও মনে গাঁথা।
*
মন্তব্য
চমৎকার লাগলো লেখাটা একটানে পড়ে যেতে। চমৎকার।
(পোস্টটা প্রথম পাতা থেকে কি ইচ্ছা করে সরিয়ে দিয়েছেন নাকি এডিট করতে গিয়ে কোনরকমে ভেতরে চলে এলো? প্রথম পাতায় দিয়ে দিয়েন, অন্যদের এরকম লেখা থেকে বঞ্চিত রাখা ঠিক না।)
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
ধন্যবাদ। পোস্টের নীচে সেই পুরানা এলবাম থেকে ঝড়ের পরের কিছু ছবি তুলে দিলাম। একটা অদ্ভূত সময় ছিল সেটা।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ছবি রিসেট করছি। এখন ঠিক হওয়া উচিত...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
দারুণ লাগলো!
লেখার ঢং টাও ভালো লেগেছে।
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
সাধু, সাধু!
হাঁটুপানির জলদস্যু
- টেনে পড়ে যাওয়ার মতো লেখাটা। শেষের দিকে আবার পাঠককে একটু ধুলো জমা স্মৃতিতে উঁকি দেওয়ারও আমন্ত্রন আছে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাল লেখা। বরফশীতে কি বাতাস বয় না? হু হু উত্তুরে বাতাস?
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
বাতাসও বয় তবে অত জোরে না। সাইবেরিয়ার স্তেপ-এ বা মংগলের মরুভূমিতে, আরো জোরে-সোরে...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
স্মৃতিজাগানিয়া। জাঝা
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আমার কাছে বিলেন এর ফোন নাম্বার আসে, দিমু? কথা কবি?
হাহা চাপা মারোস? বিলেনের বিয়া হইছে বহুত কাল, বেটা...
----------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আকাশ থেকে কিছু কিছু ঝরতে দেখেই পাগলের মত অবস্থা। অপেক্ষায় আছি এক সকালে জেগে সাদার সমুদ্র দেখার।
ইশতি, লুইসিয়ানা থেকা গেছো ভারজিনিয়া! বুঝবা শীতের মজা
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
এইরকম চমৎকার একটা লেখা কিভাবে চোখ এড়িয়ে গেল??
একটানে পড়ে গেলাম। ঝরঝরে, চনমনে অনুভুতি জাগানো একটা লেখা।
কি মাঝি? ডরাইলা?
অদ্ভুত সুন্দর লেখা। আপনার ভাষাটাও বেশ টানল।
কাঁচের এক পাশে হিম, আরেক পাশে উষ্ণতা। এক পাশে ছাই, আরেক পাশে রংধনুর সাতরং। এক পাশে পূজারী, আরেক পাশে দেবী।
বিলেনকে কি কোনোভাবে বোঝানো সম্ভব হয়েছিল যে আপনি তাকে উষ্ণতা ঠাওরান, তার মধ্যে রংধনুর সাতরং দেখেন বা তাকে দেবীজ্ঞান করেন?
...................................................................
অসংখ্য 'নেই'-এর ভিড় ঠেলে
জ্বলজ্যান্ত 'আছে' খুঁজে পাওয়া হলো আসল ফকিরি
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
মুজিব ভাই, আপনে শব্দের কারিগর। আপনের কাছ থেকা ভাল কথা শুনলে মন খুশী না হয় কেমনে আসলে শুদ্ধ ভাষায় জীবনে কথা কই নাই, নেহায়েত ঠেকায় না পড়লে (ঘরের প্রভাব) - তাই নিজের জীবনের আলাপ শুদ্ধ ভাষায় লেখলে নিজের কাছেই একটু মেকী-মেকী লাগে।
বিলেন বিবির লগে তখন আর কথা বেশী বাড়াই নাই। ঐ শহর থেকা তো গেলামই গিয়া। আসলে বিদেশে প্রথম পাঁচ বছর আমার প্রচন্ড যাযাবর জীবন গেছিলো। কত জায়গায় যে গিয়া পড়ছি, কত পদের কাম যে করছি, তা জানি খালি আমি আর আমার মাবুদে! সেটেল ডাউন না করলে মাইয়া খেদামু কেমনে? পরে অবশ্য সেলামের থেকা বিলেনের লগেই যোগাযোগ বেশী ছিল। সে পরে ইতালিয়ান সাহিত্যে পিএইচডিও করলো - ইতালিতে গিয়া অনেকদিন ছিল।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
অসাধারণ আবেশ জড়ানো লেখা ! মুগ্ধতায় মুড়িয়ে দিয়ে গেল ! কখনো কি বরফ দেখতে পারব?
সচল না হয়েও মুস্তফী সাহেবের লেখা পড়ার জন্য বারবার ফিরে ফিরে আসি ......
খুব ভালো লাগলো। শেষটা বড় মায়ায় ভরা।
নি:শ্বাস না ফেলেই পড়া যায় আপনার লেখা!
চমত্কার!
আরেফীন
অসাধারণ ছবি, আসাধারণ লেখা ... প্রথম পাতায় না দিয়া গুরুতর অপরাধ করছেন ...
ছবিগুলি দেইখা আমার শীত শীত লাগতাছে
ব্লগে কয়দিন পরে আইলেন ঠিক কইরা কন দেখি?! এই মাল তো ফ্রন্ট পেজেই ছিল।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
নতুন মন্তব্য করুন