দেশান্তরী হওয়ার ঠিক আগে দিয়া বছর দুয়েক একটা বেসরকারী ব্যাংকে চাকরি করছিলাম। একটু বোরিং আছিল কামটা - আর আমিও জন্মের আইলসা - কিন্তু তারপরেও বস কোন এক কারনে আমারে বেশ পছন্দ করতো। শাহেদ ভাই, তার লাইনে বেশ জাঁদরেল ব্যাংকার। তার কল্যাণেই (?) ঢাকার মায়া ছাইড়া পুরা একটা বছর চট্টগ্রামে থাকতে হইছিলো - হুট কইরা আমারে ট্র্যান্সফার দিয়া দিছিলো। ঢাকার পোলা চিটাগাং-এ গিয়া বেশ ভালো ধাক্কা খাইছিলাম।
তো আমারে বনবাসে পাঠানোর কারনেই হউক, কিম্বা আর যে কারনেই হউক, একটা রিজিওনাল মিটিং-এ যাওয়ার লেগা শাহেদ ভাই আমারে একবার ঢাকায় তলব করলো। জিগাইলো - পাসপোর্ট ঠিক আছে? আমি কই, হ। উনি কয়, আচ্ছা, তাইলে অমল'দারে পাসপোর্টটা দিয়া দেও, ও সিঙ্গাপুরের ভিসার ব্যবস্থা করবো, ঐখানে মিটিং আছে।
বাহ! আমি তো মহাখুশী। সাধারণতঃ এইসব মিটিং-এ সিনিয়র লোকেরাই যায়, কিন্তু শাহেদ ভাই দয়াপরবশ হইয়া এইবার আমারেও নিমন্ত্রণ দিছে। এর আগে কোলকাতায় গেছিলাম একবার অফিসের কামে, কিন্তু সিঙ্গাপুর তো অন্য জিনিস! কতো নাম শুনছি। আমার বাপের দিকের কিছু কাজিন ঐখানে গিয়া কামলাও দিছিলো কয়েক বছর।
তো গেলাম সিংহ-পুর। পাঁচ-ছয়জনের টীম। মাত্র দুই দিনের সফর - প্রথম দিন মিটিং-ফিটিং, কিন্তু পরের দিন কোন কাম নাই, নিজের ইচ্ছা মতন ঘুরাফেরা। আসলে মূল ধান্দা যে ঐটাই, পরে গিয়া বুঝলাম। মিটিং গেলো যেমুন-তেমুন -- সবাইর আগ্রহ আসলে পরের দিনের কেনাকাটা আর ঘুরাফেরার উপর। ডলি আপা তো প্রমাণ সাইজের দুইখানা স্যুটকেসই নিয়া গেলো। এবং ডিক্লেয়ার দিয়া দিলো যে দোনোটাই না ভইরা উনি ঢাকা ফিরবো না।
তাই দ্বিতীয় দিন ঘুম থেকা উইঠাই সবাই গেলো গিয়া শামসুদ্দিন নামের বিরাট এক বহুতল দোকানে, সেইখানে আলপিন থেকা এরোপ্লেন (প্রায়!) সবই মিলে। ডলি আপা বিপুল উৎসাহে জিনিস কেনা আরম্ভ করলো, শাহেদ ভাইও লগে লগে বউ-বাচ্চার লেগা জিনিস চয়েস করতাছে। তালহা, শাহনাজ, বাকিরাও একই কেস। এইদিকে আমি দোকানের উপর নীচ দুই চক্কর দিয়া বুঝলাম, এইটা আমার জায়গা না। সেই রকম দোকান - চাইলে ওনারা এইখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরামসে থাইকা যাইতে পারবো। কিন্তু আমি কি করুম। আমার বউ-বাচ্চা কিছুই নাই (বয়স তো হপায় ২৪) আর আউল-ফাউল স্নো-পাউডার কিনা টাইম নষ্ট করার টাইম বা ইচ্ছাও নাই।
বরং আমার খায়েশ হইলো শহর ঘুইরা দেখা। তাই বসরে কইলাম, শাহেদ ভাই, আমি এই বেলা ফুটি, আপনেগো লগে সন্ধ্যায় দেখা হইবো। উনি কইলো, আচ্ছা ঠিকাছে, তয় বেশী দূরে যাইয়ো না, আর টাইম মতন হোটেলে ফিরা আইসো।
চমতকার! আমি শহর দেখতে বাইর হইলাম। ফেব্রুয়ারী মাস - কিন্তু ঘিলু বাষ্প হওয়ার মতন গরম পড়ছিলো সেইদিন। ঠাঠা রৌদ আর তার উপর ট্রপিকাল ভ্যাপসা গরম তো আছেই। সব মিলায় যা-তা অবস্থা। রাস্তা দিয়া হাইটা যাইতে যাইতে আমি দরদর কইরা ঘামতাছি। কিন্তু শহরের লোকজন দেখি ঘামে না। (কিম্বা হয়তো বগলতলায় প্যাড পইরা আছে সবাই)।
দেইখা আরো যা বুঝলাম, তা হইলো সিঙ্গাপুরের লোকের পয়সার কোন অভাব নাই। রাস্তায় গাড়ি সব হইলো হয় বিএমডব্লিউ নয় লেক্সাস নয় মার্সিডিস। একটা টয়োটা দেখছিলাম কিনা সন্দেহ (ওকে, হয়তো দেখছিলাম, কিন্তু খেয়াল নাই, চকচকা গাড়িগুলাই বেশী মনে আছে)। আর মানুষজনের গায়ের কাপড় চোপড় দেইখা টাকার গরমটা আরো বুঝা যায়। আবাল বৃদ্ধ বণিতার গায়ে দামী দামী ব্র্যান্ডের কাপড়। আচ্ছা, অফিসের এক্সিকিউটিভ বা সুন্দরী ললনা দামী ব্র্যান্ড পরবো, তা নাইলে বুঝলাম। কিন্তু তাই বইলা তিন বছরের বাচ্চা পোলা, পাঁচ বছরের কচি খুকি, হেরাও? সবাইর পরনে হয় পোলো নয় রালফ লরেন নয় ডনা কারান বা গ্যাপ বা লাকোস্ত্। আর ব্র্যান্ডের লোগোও একদম মুখের উপর না হইলে চলে না। কঠিন অবস্থা। কিন্তু আমার কাছে অত ভাল্লাগেনাই সিঙ্গাপুরের এই দেখাইন্না প্রতিযোগিতা। আমার অভিজ্ঞতায় এই রকম অতিমাত্রায় ব্র্যান্ড প্রদর্শনী আর কখনো কোথাও দেখছি বইলা মনে পড়ে না, না এর আগে না এর পরে।
তো ভাবলাম এই বাল-ছাল পছন্দ হইতাছে না, অন্য কোথাও যাই। ঘুরতে ঘুরতে ইন্ডিয়ান পাড়ায় গেলাম গিয়া। সাউথ ইন্ডিয়া থেকা যত রাবার চাষের কামলা ধইরা নিয়াইছিলো ১০০ বছর আগে, তাগো বর্তমান বংশধর। চীনাগো তুলনায় ইন্ডিয়ানগো অবস্থা বেশ খারাপ মনে হইলো। ঘরবাড়ি, বেশভূষা - সব কিছুর মইধ্যেই একটা কমতি-কমতির ছাপ। এরই মইধ্যে পাইয়া গেলাম একটা বাঙ্গালী রেস্তোরা-কাম-দোকান টাইপের। কাউন্টারে বেঁচতাছে পুরি-সিঙ্গারা আর উলটা দিকের দেয়ালে ঝুলতাছে এক মাসের পুরান তারকালোক, চিত্রবাংলা এইসব। বাসী খবরের কাগজও আছে কিছু। সেইখান থেকা গেলাম গিয়া মালয়গো একটা বড় মসজিদ দেখতে। সেন্ট্রাল না কি জানি নাম আছিলো।
এরপর দুয়েকজনরে জিগাইলাম, ভাই আর কি দেখার আছে, হেরা কইলো জুরং যাও, পাখির অভয়ারণ্য আছে, হরেক পাখির মেলা দেখতে পাইবা। কিন্তু পাখি দেখার বিশেষ জো পাইলাম না। ঠিক করলাম একটু প্রত্যন্ত কোথাও ঘুইরা আসি। অফ দ্য বীটেন ট্র্যাক, আর কি। ম্যাপ-ট্যাপ ঘাইটা বাইর করলাম যে পুলাউ উবিন নামে একটা ছোট্ট দ্বীপ আছে, মেইন সিংগাপুর-এর উত্তরে। সেইখানে সুন্দর সুন্দর বীচ আছে। দিনে গিয়া দিনে ফিরা আসা যাইবো। ইঞ্জিন চালিত নৌকায় যাওয়া লাগবো - ওরা কয় বামবোট (bumboat)। রওনা হইলাম চাংগি বোট টার্মিনালের দিকে। বুঝি নাই তখনও যে যমের লগে মোলাকাত করতে যাইতাছি। যদিও সেই যাত্রায় যম আমারে টানতে পারে নাই!
দ্বিতীয় পর্বে সমাপ্য।
মন্তব্য
দোকানটার নাম আসলে মোহাম্মদ মুস্তাফা এন্ড শামসুদ্দীন এই জাতীয় কিছু, তবে সবাই এইটারে মুস্তফা বৈলাই ডাকে। জুরং বার্ড পার্কে যাইতে পারতেন, খুব খারাপ লাগত না মনে হয়। তবে এইটা ঠিক যে ব্রান্ড-ম্যানিয়া আছে সারা সিঙ্গাপুরে, সেইটা কাপড়ের হোক বা গাড়িরই হোক। যাক, বামবোট কি কৈরা ডুবিতে বসিল সেইটা শোনা যাক।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
উপরওয়ালা রাজী থাকলে (আর বস টের না পাইলে) আরো দুই-একটা ভ্রমণ অভিজ্ঞতা লেখার ইচ্ছা আছে।
মাগার আপনের কাহিনী কই? ইউকে নিয়া কিছু লেখা দেন। জারমানের চাপে তো বিটিশ কাইত
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ভাগ্যিস ওই বেলা সুবিনয় (দা) ডুবিয়া যায় নাই!
তো ইহার পর?
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
সিঙ্গাপোরিয়ানদের ব্যান্ডপ্রীতির ব্যাপারটা আপনার কাছে দুইদিনে যতটা চোখে লেগেছে, আমার দু'বছরে তত'টা লাগেনি মনে হয়। আমার কাছে আসলে ব্যাপারটা বেশি অস্বাভাবিক মনে হয়নি। সিঙ্গাপুর প্রায় পুরোদস্তুর ওয়েস্টার্ন কান্ট্রির মতই, ওয়েস্টের ব্র্যান্ডগুলোর প্রায় সবগুলোর আউটলেট সিঙ্গাপুরের প্রায় সবখানে আছে, সেগুলোই সিঙ্গাপুরের কমন দোকান হয়ে গেছে এখন। সিং ডলারের সাথে ইউ এস ডলারের বেশি পার্থক্যও নেই। আসলে আমাদের কাছেই ওগুলোকে বড় বেশি বড় 'ব্র্যান্ড' মনে হয় কারণ আমাদের দেশে একে তো নেই বা আনকমন, তার উপরে আমাদের টাকার হিসেবে ওগুলো আসলেই বড় ব্যাপার। কিন্তু সিঙ্গাপুরে ওগুলোই এভরিডে ব্যাপার। তবে আসলেই ওদের অনেক পয়সা। গাড়িগুলো সেইরকম সব! সিঙ্গাপুরের রাস্তায় নানা বাহারি গাড়ির সাথে রকমারি মিনি কুপার দেখতে দেখতে আমি তো ঐ গাড়ির পুরা ফ্যান হয়ে গেছি!
মোস্তাফা সেন্টার থেকে বের হয়ে আবার লিটল্ ইন্ডিয়ায় ফেরার মাঝে ঠিক কোথায় বেড়াতে গিয়েছিলেন? শর্ট ট্রিপে সিঙ্গাপুরে যাওয়া বাংলাদেশীরা ঐ মোস্তাফা আর পাশের বাংলা পাড়ায় ঘুরপাক খেয়ে খামাখাই সময় নষ্ট করে (ওটা আমাদের মত যারা বহুদিন থাকে তাদের জন্য অবশ্য খুব ভাল দেশের সবকিছু পাওয়া যায় বলে)। আরো কত ভাল সব ট্যুরিস্ট অ্যাট্র্যাকশান আছে! বার্ড পার্কটা তো দুনিয়ার সবচেয়ে ভালগুলোর একটা, তবে পুরো একদিন ওখানে না কাটালে অনেক কিছু মিস হয়ে যায়। পুলাউ উবিনের গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম। আমার যাওয়া হয়নি। দু'বছরে ছোট্ট সিঙ্গাপুরের অলিগলি গভীর ভালবাসায় চষে ফেললেও কেন যে উবিন দ্বীপ আমাকে টানেনি তেমন করে কখনো। তাই আরো বেশি জানতে ইচ্ছা করছে আপনার অভিজ্ঞতা। আপনি বোধ হয় খুব সীমিত মানুষের মধ্যে একজন যে দুইদিনের জন্য সিঙ্গাপুর গিয়ে ঐদিকে চক্কর দিয়েছেন।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
মাশীদ, আপনার এই কথার সাথে একমত। তবে আমি যেটা বোঝাতে চেয়েছিলাম সেটা একটু ভিন্ন। আমার অভিজ্ঞতায় ওয়েস্টের লোকজনও এত ব্র্যান্ড জাহির করে কাপড়চোপড় পরে না, যা সিঙ্গাপুরে দেখেছিলাম। আমেরিকাতে যদিও কিছুটা আছে এই অভ্যাস, ইউরোপে কিন্তু ব্র্যান্ড প্রদর্শনী জিনিসটা অনেকাংশেই অনুপস্থিত। অনেক পয়সাওয়ালা লোকজনও রাস্তাঘাটে সাদামাটা কাপড় পরে বের হয়, নিজের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে না। অনেকে ব্র্যান্ড দেখানো ব্যাপারটাকে বেশ অশোভনও মনে করে। সে তুলনায় সিঙ্গাপুরে যেটা দেখেছিলাম, সেটা চোখে পড়ার মতো। সবার কাপড়েই হয় পোলো'র ঘোড়সওয়ার, নয় লাকোস্ত্-এর কুমির নয় অন্য কিছু মুখের উপর সাঁটা। কিছুটা লোক-দেখানো লেগেছিলো আমার কাছে। অনেকটা অশিক্ষিত বেদুইন আরবদের লেক্সাস আর বীমার হাঁকানোর মত ব্যাপার। যদিও সিঙ্গাপুরীদের শিক্ষা-দীক্ষার মান তার থেকে অনেক উন্নত, সেটা স্বীকার করি।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আপনার পয়েন্টটাও বুঝতে পেরেছি। ব্র্যান্ডের প্রতি এদের আকর্ষন নেই তাও কিন্তু আমি ঠিক বলিনি। তবে খুব শো-অফ টাইপ মনে হয়নি আমার। সবাই ওখানে অতি ব্যস্ত, অত দেখার সময় কই কারো? আপনার দু'দিনের ইম্প্রেশানটা পুরোটা ঠিক নাও হতে পারে তাই ভাবছিলাম। ওয়েস্টের সাথে এদের একটা পার্থক্য হল (আমার ইম্প্রেশানও সঠিক বলব না, এটার পুরোটাই আমার দু সপ্তাহের একটা লন্ডন ট্রিপ আর বেশ ক'বছর ধরে অ্যামেরিকায় থাকা আমার মেজবোনের সাথে আলাপের উপর ভিত্তি করা ইম্প্রেশান) ওয়েস্টে পোশাকে কালার কনসেপ্ট বা ডিজাইনটা অনেকটাই সাবডিউড, অনেক লাইট। রঙের ব্যবহার যেমন খুব হালকা (সাদা-ধুসর-কালো এবং প্যাস্টেল শেইডের প্রাধান্য বেশি) তেমনি ডিজাইনও খুব বেশি সিম্প্লিস্টিক। এখানে সেটার উল্টা। সিঙ্গাপুর-মালেশিয়া মাল্টিরেশিয়াল কান্ট্রি (অনেক ওয়েস্টও এখন তাই অবশ্য তবে প্রতিটা কালচার অতটা ডিস্টিংক্ট হয়ত নয়) এবং প্রত্যেকেই বেশ কালারফুল রেইস। এরা সবাই বেশ কালারফুল যেটা নিজ নিজ ট্রেডিশনাল পোশাকে বেশ ভালই প্রকাশ পায়। এখন ব্র্যান্ডের পোশাকের ব্যবহারেও এরা লাউড অনেক, ওয়েস্টের থেকে। আমার নিজস্ব ধারণা সেই কনসেপ্টের জন্যই ব্র্যান্ডগুলোও এদিককার ডিজাইন একটু লাউড করে, যেখানে নামগুলো বারবার এসে পড়ে। টি-শার্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ব্র্যান্ডই এমনিতেও ওদের নাম আর লোগো নিয়েই বেশি কারুকাজ করে থাকে।
যাই হোক, আপনার সাথে খুব তর্কে যাবার কিছু নেই। সিঙ্গাপোরিয়ানরা আসলেই ম্যাটেরিয়ালিস্টিক (শো অফের সাথে সেটা সমার্থক কি?)। বেশির ভাগ চাইনিজ সম্প্রদায়ের মানুষই তাই - তা তারা যে দেশীই হোক না কেন। আপনার উবিন দ্বীপের কাহিনী শোনার অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি আপনার অতি ক্ষুদ্র সিঙ্গাপুর ভ্রমণ পুরোপুরি খারাপ কাটেনি। দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুর কিন্তু অতি চমৎকার! হ্যাঁ, সবকিছুই আর্টিফিশিয়াল, কিন্তু এত সুষ্ঠুভাবে সেগুলো বানানো আর মেইনটেইন করা - সেটাই বা ক'জন পারে?
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
রংচঙ্গা কাপড় নিয়ে আপনার ব্যাখ্যাটা বেশ মনে ধরেছে! শেষে এসে যে কথাগুলা বলেছেন, সে সব নিয়ে দ্বিতীয় খন্ডে মতামত দিলাম।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আমার অভিজ্ঞতাও একিরকম, ব্যাংককে গিয়েও আমার একি অভিজ্ঞতা; ব্রান্ডের প্রতি ওদের আসক্তি বড় বেশী চোখে পড়ে! তবে য়ুরোপ আসলেই ভিন্ন। আমার অনেক য়ুরোপিয়ান বন্ধুকেতো দেখেছি রীতিমতো বিপ্লবী, Starbucks-এ বা চেইন কফি সপ বা স্টোরগুলোতে পকেটে টাকা থাকলে ঢুকে না, দাম দিয়ে লোকাল কফি খাই, বেশী দামে কাপড়চোপড় কেনে লোকাল ডিজাইনার সপগুলো থেকে। ওদের , এমন কি ব্রিটিশদেরো অনেক কিছুই অন্যান্যদের থেকে একটু আলাদা। তবে সে যাইহোক আপনার ভ্রমন কাহিনী যেন না থামে, আরো ডিটেইল খুটিনাটি চাই আপনার কাছ থেকে (এতে নিজের ভ্রমন প্ল্যান করতেও সুবিধে হবে আশা করি)। Cheers!
নতুন মন্তব্য করুন