সিঙ্গাপুরের রাস্তাঘাটে ঘুরার সময় কিল্লিগা জানি বারবার মাইকেল ফে'র কথা মনে হইতাছিলো। আমেরিকার এই চ্যাংরা পোলা নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে সিঙ্গাপুরে একটা আকাম কইরা দুনিয়াজোড়া হাউকাউ ফালায় দিছিলো। কি আকাম? তেমন কিছু না - ফে রঙ্গের ডিব্বা দিয়া কিছু গাড়ির বডি স্প্রে কইরা গ্রাফিটি আঁকিবুকি করছিলো। এই, এর বেশী না।
কিন্তু ভ্যাজাল হইলো যে, সিঙ্গাপুরের আইন-কানুন এইসব টুকিটাকি বিটলামির ব্যাপারেও হেভি কড়া। ঐ দেশে চুইংগাম চাবাইলেও যে ৫০০ ডলার জরিমানা দেওন লাগে, সেইটা হয়তো অনেকেই শুনছেন। আরো হাজারো রকম ফাইন আছে ওগো। ফে'র গ্রাফিটি আঁকার শাস্তি দেওয়া হইলো যে ওরে বেত দিয়া পিটান লাগবো। শাস্তি ঘোষণার লগে লগে বিরাট তুলকালাম লাইগা গেলো। মার্কিনরা হেগো দৃষ্টিতে 'এহেন বর্বরোচিত শাস্তির তীব্র নিন্দা' জানাইয়া তারস্বরে চ্যাঁচান লাগলো। সিএনএন এক গাদা ক্যামেরা আর রিপোর্টার পাঠাইয়া ঘন্টায় ঘন্টায় লাইভ রিপোর্ট প্রচার করা আরম্ভ করলো। শেষমেষ ঘটনা যদ্দুর মনে পড়ে, প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টন পর্যন্ত গিয়া ঠেকছিলো। তবে ফে'র পাছা তাতেও রক্ষা পায় নাই। আইন চলে নিজের রাস্তায় - বেতের বাড়ি ফে'র খাওনই লাগছিলো।
*
এই ঘটনাটা আমার সিঙ্গাপুর ট্রিপের কয়েক বছর আগে ঘটছিলো। কিন্তু রাস্তাঘাটে ঘুরাফিরার সময়ে নানা রকম নিয়মকানুনের সাইনবোর্ড দেইখা পোলাটার কথা আবার মনে পইড়া গেলো। সিঙ্গাপুর-রে আসলে একদিক থেকা ফাইনের দেশও কওন যায়, তাতে বড় কোন ভুল হইবোনা। হেনো আকাম নাই, যার লেগা ঐ দেশে জরিমানা নাই। চুইংগাম বাদ দিলেও আপনে যদি সিঙ্গাপুরে পর্নো ম্যাগাজিন লইয়া যান, ৫০০ টাকা জরিমানা খাইবেন। রাস্তায় ময়লা ফেললে ৫০০ টাকা, যখন ট্রেন স্টেশনে ঢুকলাম, সেইখানে নোটিশ দেখলাম - 'স্টেশনে কোন খাওয়া-দাওয়া মুখে দিস নারে চান্দু, নাইলে আরো ৫০০ টেকা দিবি'। ইত্যাদি ইত্যাদি।
এক ট্যাক্সিতে উঠছিলাম, ট্যাক্সিওয়ালারে জিগাইসিলাম, ভাই এতো নিয়ম কানুন কি তোমগো ভাল্লাগে? হে কইছিলো, অনেকের লাগে না, আবার অনেকের লাগে। যাগো ভাল্লাগেনা, হেরা অনেকে বিদেশ যায় গিয়া, কিন্তু আমি থাইকা গেছি। এইখানে লাইফ খারাপ না, আর আমার ছোট পোলাপাইন আছে, ওরা ইস্কুলে যায়। সিঙ্গাপুরের ইস্কুল-কলেজ আসলেই খুব ভাল। ট্যাক্সিওয়ালা কথা সত্যই কইছিলো।
*
আসলে নিয়মকানুন যে খারাপ হেইডাই বা কেমনে কই। মাশীদ আগের পোস্টে একটা মন্তব্য করছিলো, যে একটা দেশরে এতো সুন্দর সিস্টেমে আইনা সেইটা বছরের পর বছর নিয়মমাফিক চালু রাখা, সেইটা কম কিসের। মাশীদের এই কথার লগে আসলে একমত না হইয়া উপায় নাই। এই কথা তখনো মনে হইছিলো। আমি গেছিলাম ২০০০ সালে, তদ্দিনে সিঙ্গাপুর আয়-উন্নতির দিক দিয়া দুনিয়ার টপ ফাইভে গেছে গিয়া। আর তার মাত্র ৩৫ বছর আগে, ভয়ানক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হইছিলো ঐ দেশে। হিন্দু ভারতীয়, মুসলমান মালয়, আর চীনা - এই তিন দল মিলা রক্তের হোলি খেলা খেলছিলো।
সিঙ্গাপুরের কপাল যেই ব্যাটা ফিরাইছিলো, হের নাম লী কুয়ান ইউ। এই বুড়ার নাম আইজকাইল তেমন কেউ আর নেয় না। কিন্তু ৮০-৯০-এর দশকে লী কুয়ান ইউ-এর দুনিয়াজোড়া নামডাক আছিলো। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-বিধ্বস্ত একটা তৃতীয় বিশ্বের দেশ সিঙ্গাপুর, তারে মাত্র দুই দশকের মাথায় উন্নত দেশের কাতারে লইয়া যাওয়ার কৃতিত্ব পুরাটা না হইলেও মোটামুটি বেশীর ভাগই এই ব্যাটার। লী আছিলো ক্যাম্ব্রিজ পাশ আইনজীবি। ক্যাম্ব্রিজ থেকা ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া কঠিন ব্যাপার, ডবল ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া তার থেকাও অনেক বেশী কষ্টের। কিন্তু লী কুয়ান ইউ তাতেও ক্ষান্ত হয় নাই। ক্যাম্ব্রিজের ইতিহাসে হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্র মাত্র Double Starred First Class পাওয়ার বিরল সম্মান পাইছিলো। লী কুয়ান ইউ তাগো একজন।
তয় ক্যাম্ব্রিজ থেকা আর যাই শিখুক না শিখুক, লী কুয়ান ইউ একটা জিনিস খুব ভাল কইরাই বুঝছিলো। সেইটা হইলো - তিন জাতি আর তিন ধর্মে বিভক্ত একটা ফকিরা দেশরে লাইনে আনতে হইলে, বা তুইলা উঠাইতে হইলে মাইরের উপর ওষুধ নাই। এমনিতে প্রায়োগিক দিক দিয়া সে খুব কামেল লোক আছিলো, তাই কি করলে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বো, চাকরি-বাকরির বাজার ভালো হইবো, মানুষ ভালো আয়-রোজগার করতে পারবো, এই সব লী খুব ভাল বুঝতো। ৭০-৮০-র দশকে আইসা সিঙ্গাপুর রাতারাতি চেঞ্জ হইয়া গেলো। বিদেশী কম্পানীরা আইসা সিঙ্গাপুরে বাণিজ্য করতে চায়। সিঙ্গাপুরের সমুদ্র বন্দরের এমনিতেই চমৎকার লোকেশন, লী-এর পাল্লায় পইড়া এইটা দুনিয়ার পয়লা কাতারের বন্দর হইয়া গেলো। লী এইটা বুঝছিলো যে একটা পিচ্চি দেশ যার কোন প্রাকৃতিক সম্পদ কিছুই নাই, সেই রকম দেশের ভূল করার সুযোগ কম, যা করার তা অহনই করা লাগবো, আর একবারেই তা ঠিক কইরা করা লাগবো। আইজকা পর্যন্ত পরিষ্কার পানির সরবরাহ নিয়া সিঙ্গাপুর আর মালয়েশিয়ার মইধ্যে ঝগড়াঝাটি লাইগাই থাকে। এমুন একটা দেশের নিজের পায়ে না দাঁড়াইয়া কোন উপায় আছে?
*
সিঙ্গাপুরের পড়াশুনার সিস্টেম আইজকা দুনিয়ার সেরা সিস্টেমের মইধ্যে পড়ে। মনে আছে প্রথম দিন যখন ঘুম থেকা উঠলাম, সকালে পেপার দিয়া গেছিলো রুমে, সিঙ্গাপুরের ইত্তেফাক যারে কওয়া যায়- স্ট্রেইট্স টাইম্স। ঐদিন উচ্চ শিক্ষার বৃত্তি নিয়া বিরাট একটা সাপ্লিমেন্ট দিছিলো পেপারের ভিতরে। হিসাব খুব সোজা। সিঙ্গাপুর সরকার প্রতি বছর শয়ে শয়ে বৃত্তি দেয়। অগো সবচেয়ে বুদ্ধিমান মেধাবী পোলা-মাইয়াগো ফুল বৃত্তি দিয়া ওরা বিদেশের টপ টপ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাইয়া দেয়। ঐদিন পেপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিস্ট দেইখা টাস্কি খাইয়া গেছিলাম - বিলাত হইলে হয় অক্সফোর্ড, ক্যাম্ব্রিজ বা এল,এস,ই - আর আমেরিকা হইলে হার্ভার্ড, ইয়েল, প্রিন্সটন, স্ট্যানফোর্ড এই জাতীয়। টপের বাইরে কোন কথা নাই। আর খালি যে আইটি বা বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার স্কলারশিপ তাও না। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বাদেও সব রকম বিষয়েই ঢালাও বৃত্তি দিতাছে - অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আইনশাস্ত্র, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, নগর পরিচালনা, যোগাযোগ ও পরিবহণ - হেনো কোন সাবজেক্ট বাদ নাই। মোদ্দা কথা, একটা দেশ চালাইতে গেলে যা যা জ্ঞান দরকার, সব শিখায় পড়ায় দিবো, দেশের খরচায়।
মাগার কন্ডিশন একটাই। পড়া শেষ কইরা দেশে ফিরা আইসা দেশের খেদমত করবা। সিঙ্গাপুর আইজকা যেই অবস্থায় আইছে, তার থেকাও উন্নত অবস্থায় নিয়া যাইবা তোমাগো আহরিত জ্ঞান দিয়া। পড়ারত অবস্থায় টাকা-পয়সা নিয়া কোন টেনশন করন লাগবোনা, তোমার ইস্কুলের বেতন থেকা শুরু কইরা বাড়ি ভাড়া আর খাই-খরচা - সব কিছুই সরকার তোমারে দিবো। কিন্তু খেলা শেষ হইলে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরা ঘরের চুলা ঠেলবা।
ব্যাস। এতেই কাম হইছে, এবং আইজতক হইতাছে। তবে ভ্যাজাল আছে অন্য জায়গায়। রাজনৈতিক দিক দিয়া সিঙ্গাপুর এখনো বহুত পিছায় আছে। গণতন্ত্র বইলা তেমন কিছু নাই। লোকজন আসলে যে গণতন্ত্র চায়, সেইটাও দুই দিনের সফরে আমার কাছে ক্লিয়ার হয় নাই। (এই বিষয়ে সুমন রহমান বা মাশীদের অভিজ্ঞতা আশা করতাছি।) আমার কাছে মনে হইছিলো, যে সাধারণ পাবলিক আয়-উন্নতি আর ইচ্ছামতন খরচাপাতি করতে পারলেই মোটামুটি খুশী। তাতে যদি পাঁচটা নিয়ম বেশী মানা লাগে আর দশটা স্বাধীনতা ছাইড়া দেওন লাগে, তাইলে তাই সই। তবে সিঙ্গাপুর খুব পিচ্চি দেশ - খালি একটা শহর বা city-state - বইলা এইটা আরো সহজ়েসম্ভব হইছিলো। আমগো মতন দেশে এইটা কখনো সম্ভব হইতো কিনা, সন্দেহ।
তার এই অগণতান্ত্রিক শাসনের সাফাই দিতে গিয়া লী কুয়ান ইউ একটা নতুন আইডিয়া বাইর করছিলো - Asian values। বুড়ারে যখন কেউ জিগাইতো, দেশের লোকরে রাজনৈতিক স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা দেওনা কিল্লেগা, তখন লী কইতো - আরে ঐসব ফালাও, আমগো আছে এশিয়ান মূল্যবোধ। এইটা কইতে লী যা বুঝাইতো তা হইলো, নিয়ম মাইনা চলা, গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো, নিজের স্বার্থ ফালাইয়া সমষ্টির সুখের কথা আগে চিন্তা করা, এইসব আগডুম বাগডুম। তয় লী তো এইসব কইবোই। ছড়ি তো হেই ঘুরাইতাছে। আর লী রিটায়ার করছে অনেক বছর হইলো। কিন্তু সিঙ্গাপুরের এখনকার নেতা কে? আর কে -- লী কুয়ান ইউ-এর নিজের পোলা লী সিয়েন লুং! মানলাম হেও ক্যাম্ব্রিজ আর হার্ভার্ড পাশ, তাই কোয়ালিফিকেশনের কোন অভাব নাই - কিন্তু তারপরেও এইটা তো স্বজনপ্রীতিই! তয় একদিক দিয়া লাভ হইছে যে ১৯৯৭-৯৮-এর পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক মন্দার পর থেকা এই এশিয়ান ভ্যালুজ কথাটা আর বেশি শোনা যায় না!
যাউজ্ঞা - মাইকেল ফে'র কথা কইতে গিয়া আসল কথাই আর কওয়া হইলো না -- কেমনে উবিন দ্বীপে ডুবতে বইছিলাম । আশা করতাছি, এরপরের ধাক্কায় সিঙ্গাপুর কাহিনী খতম কইরা দিতে পারুম! কষ্ট কইরা পড়ার লেগা ধন্যবাদ।
মন্তব্য
অতীব উপাদেয়।
এত্তো মজা কইরা ল্যাখেন! হিংসা হইতাছে রীতিমতো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আপনে কিয়েভের গল্প এখনো কইলেন না, তাতে তো আমরাই বঞ্চিত হইলাম। ব্রেজনেভ্রে দিয়াই শুরু করেন না!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ভাল্লাগছে। সিঙ্গাপুরে প্রায় ৭ বছর আছিলাম। রাস্তার পাশের (বিশেষত ক্লেমেন্টির) ফুড স্টলগুলা মিস করতেছি, এখনোও। ওইগুলা নীল ক্ষেতের চায়ের দোকানের লাহান ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে। রাইতে বাড়ি থেইক্যা হাইটা গিয়া চা খাইতাম। মালে ভাষায় চা রে কয় 'তে তারিক'। তে তারিক মিস করতাছি খুব ।
সিঙ্গাপুরের বাঙালীগো লইয়া একটা লিখা লিখছিলাম। বছর খানেক আগে। জনকন্ঠে আর যায় যায়দিনে ছাপাইছিল এইটা :
http://www.mukto-mona.com/Articles/avijit/singapore_bangalee.pdf
============================
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
চমৎকার লাগলো আপনের লেখাটা। বিশেষ কইরা এলিট সমাজের বর্ণনাটা একদম নিখুঁত হইছে। বাঙ্গালি এলিট মনে হয় সব জায়গায় একই কাম করে! যাউক, এই লেখাটা সচলে দেওয়া যায় না? আর না দেওয়া গেলেও আপনের থেকা আরো অনেক লেখা আশা করতাছি এইখানে। দারুণ হাত।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
অভিজিত্, আপনার 'বিশ্বমানব হবি যদি শাশ্বত বাঙালী হ!'লেখাটি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের এবারের একুশে প্রকাশনা 'নিরবধি'তেও আমরা প্রকাশ করেছিলাম, আপনার হয়তো মনে নেই। আপনি যে সেই অভিজিত্ রায়, এইটা এখন জানলাম!
ক্লেমেন্টির ফুড স্টলগুলোতো ফাটাফাটি। কাচের বড় গ্লাসে গরম চা সত্যিই অসাধারণ। একটু ভেতরের দিকে একটা ইন্ডিয়ান শপ আছে, ফ্রাইড রাইস প্লাস চিকেন কারি -এককথায় দারুণ।
সবিনয় মুস্তফী'র 'সিঙ্গাপুর যাত্রা ' ভালো লাগছে। আপনি ঠিকই বলেছেন, একনায়কঢংয়া গণতন্ত্র দাবড়িয়ে হলেও লি কুয়ান ইউ ঠিকই সিঙ্গাপুরকে উন্নতদের কাতারে নিয়ে গেছে। ইদানীং সবকিছু কস্টলি হয়ে যাচ্ছে এখানে, না হলে একতরফা গুনগানই করতাম
সিঙ্গাপুরকে আমরা আসলেই ফাইন সিটি বলি (চাম হাসি)। দেখতেও ফাইন, আবার একটু এদিকে ওদিকে তাকালেই দেখবেন ৫০০/১০০০ ডলার ফাইনের স্টিকার সাঁটা। এব্যাপারে মাশিদাপু যদি আমাদের সেই বিখ্যাত পুঁথিটা আপলোড করেন তাহলে আরো ভালো বোঝা যাবে।
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
অসাধারন লাগছে লিখাটা! অসাধারান!!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
সেই রকম হইছে!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
সুবিনয়, এইগুলা সিঙ্গাপুর সম্পর্কে মুখস্ত কিছু কথা। থাকি বলেই কিনা, নিজের পর্যবেক্ষণের ভিন্নতার কারণেই কিনা, আমার দেখা সিঙ্গাপুর একটু অন্যরকম। সেসব নিয়ে পরে কখনো লেখা যাবে। আপাতত আপনার নিজের অভিজ্ঞতা বরং শুনি।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
- জব্বর হইছে।
বিনয়ের সহিত পরের পর্ব পড়ার আবেদন করিতেছি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সাধু, সাধু! চলুক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
যতদূর মনে পড়ে, ফে-কে প্রথমে পঞ্চাশ ঘা বেত মারার রায়ই দেয়া হয়েছিলো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে সেটা চার এ নেমে আসে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
নতুন মন্তব্য করুন