পৃথিবীর সবচাইতে ধনী আর শক্তিশালী দেশের নেতা যদি হয় প্রাক্তন মাতাল, ড্রাগ-সেবক, আকাট মূর্খ, আলালের ঘরের দুলাল এক বড়লোকের বাচ্চা যার সারা জীবনে একদিনের লেগাও কাম-কাইজ বা টাকা-পয়সা নিয়া চিন্তা করা লাগে নাই, বরং যে সারা জীবন বাপের পয়সা উড়াইছে, নানান ব্যবসার ধান্দা কইরা প্রত্যেকবারই ফেল মারছে আর বাপের কানেকশান দিয়া প্রতিবার পার পাইয়া গেছে - সেই মূর্খ মদ্যপ নরাধম যদি হয় পরাশক্তির নেতা, তাইলে দুনিয়া কোন দিকে যাইবো, তা গত ৭ বছরে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকা আরেক প্রান্তের পাবলিক ভালোই টের পাইছে। কোন দিক দিয়াই এই রকম লোকের নেতৃত্ব কারো সুফল বইয়া আনতে পারেনা। এমনিতেই সুপারপাওয়ার বা হাইপার-পাওয়ার হইয়া গেলে একটা দেশ নিজ গতিতেই আগ্রাসনের দিকে যায় গিয়া। ঔপনিবেশিকগো ইতিহাস তাই কয় - প্রাচীন রোম থেকা শুরু কইরা ১০০ বছর আগের বৃটিশ পর্যন্ত। তার উপরে আইসা জুটছে জর্জ বুশের মতন স্টুপিড নির্বোধ লোক।
একটা সাইড-চিন্তা মাথায় আইলো এই সিস্টেমগত আগ্রাসন প্রসঙ্গে। রাসেল ক্রো'র গ্ল্যাডিয়েটার ছবিটা নিশ্চয়ই বেশীর ভাগ পাঠকই দেখছেন। ভুরি ভুরি অস্কার জেতা এই ছবিটা অনেকের মত আমারও খুব প্রিয় একটা ছবি। হাজারো কারনে। ইন ফ্যাক্ট, ২০০০-এর আগস্টে বিদেশে আসার পরে সিনেমা হলের বড় পর্দায় দেখা ঐটাই আমার প্রথম ছবি আছিলো। একদম শুরুতে যুদ্ধের যে দৃশ্য আছে - সেইটা দেখার সময়ে হলের সাউন্ড সিস্টেমের প্রকান্ড আওয়াজ আর স্ক্রীনের অবিশ্বাস্য রকম ফাটাফাটি যুদ্ধের চিত্রায়ন দেইখা উত্তেজনার চোটে থরথর কইরা কাপছিলাম, এখনো পরিষ্কার মনে পড়ে। (পুরা দৃশ্যটাই ইউটিউবে তুইলা দিছে কোন সহৃদয় পাবলিক, সেইটা নীচে তুইলা দিলাম।)
সেই প্রথম দৃশ্যটা এই রকম - খ্রীস্টাব্দ ১৮০। শীতকাল। জার্মানীর হিম প্রান্তরে প্রবল পরাক্রমশালী রোমান সম্রাট মার্কাস অরেলিয়াস তার হাজার হাজার সেনা নিয়া হাজির হইছে। কি কারনে গেছেন উনি এই বিরান বিভূঁইয়ে? কারন জার্মানীর অরন্য আর প্রান্তরে যেই স্থানীয় গোত্ররা বসবাস করে - সভ্য রোমানগো কাছে যারা বর্বর জাতি (barbarians) হিসাবে পরিচিত - তারা রোমানগো মতে বেশী বাইড়া গেছে। সহজ়ে তারা রোম সাম্রাজ্যের বশ্যতা স্বীকার করতে রাজী হয় নাই। তাই মার্কাস অরেলিয়াস সেনা পাঠাইলো বশ মানাইতে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে রোমানরা শ্বেতপতাকা লগে দিয়া একটা মধ্যস্থতাকারীরে পাঠাইলো, প্রতিপক্ষের লগে ফাইনাল দেনদরবার করবার লেগা। জার্মানরা দেনদরবার তো দুরের কথা, সেই ভায়া-মিডিয়ার গলা কাইটা ফেরত পাঠাইলো। ঠিক তখন রোমান সেনাবাহিনীর এক অফিসারের লগে জেনারেল ম্যাক্সিমাস (রাসেল ক্রো)-র একটা ডায়লগ আছে -
QUINTUS: People should know when they're conquered.
MAXIMUS: Would you, Quintus? Would I?
রোমান জেনারেল ম্যাক্সিমাস-ও স্বীকার করছিলো যে স্বাধীনতার যে অদম্য স্পৃহা, সেইটা সব জাতির মইধ্যেই কাম করে, বর্বর বা সভ্য জাতি কিনা তাতে ম্যাটার করে না। পরে যুদ্ধ শুরু হইলো - ঘোড়ায় চড়া ম্যাক্সিমাস একটা অসাধারণ বক্তৃতা দিলো তার সেনাগো উদ্দেশ্য কইরা, জার্মানগো উপরে আগুন-মাখা তীরের বৃষ্টি পড়লো, আর ম্যাক্সিমাসের সেনাবাহিনী (আর তার কুত্তাটা) শত্রুরে কচুকাটা করলো। জার্মানীর বিরান প্রান্তর রক্তাক্ত হইলো পরাশক্তি আর মানুষের সেই অসম লড়াইয়ে - আমি পরে কম কইরা হইলেও ডিভিডিতে ১০০ বার দেখছি সেই লড়াইয়ের দৃশ্য। যুদ্ধের মইধ্যে জার্মান গোত্রগুলার নেতা - হিংস্র, বিরাট দাড়িওয়ালা এক ব্যাটা - সে রোমান সেনার হাতে খুন হইলো। তার দোষ কি আছিলো? সে চাইছিলো খালি নিজের ভূখন্ডে নিজের পরিবার, নিজের গোত্র আর জাতিরে নিয়া নিজের মতন কইরা থাকতে। এতটুক চাইয়াই সে মরলো। আমগো সিরাজুদ্দৌলাও কি একই জিনিস চাইছিলো না? ঐ জার্মান যোদ্ধা আর সিরাজের তফাত কত দূর?
*
যাউজ্ঞা, সব দেইখা লাগে যে পরাশক্তি হওয়ার লজিকের মইধ্যেই আগ্রাসন নিহিত। সেইটা বাম না ডান, কোন মতাদর্শের পরাশক্তি তা ম্যাটার করে না। হয় তুমি অন্যরে খাইবা, নয় হে তোমারে খাইবো। তোমার ক্ষমতার পরিধি তুমি যদি সারাক্ষণ না বাড়াইতে থাকো, তাইলে অন্য কোন চ্যাংড়া পাওয়ার আইসা তোমার স্থবিরতা বা অন্যমনস্কতার সুযোগ লইয়া নিজের শক্তির পরিধি (sphere of influence) বাড়াইতে সচেষ্ট থাকবো। হাজার নকশা কইরাও যেমুন আমেরিকা এখন চীনরে ঠেক দিতে পারতাছে না।
তার উপর আইছে জর্জ বুশ - আফগানিস্তান আর ইরাকের যুদ্ধ, গুয়ান্তানামোর গুয়া-মারা, দুনিয়ার হাজারো চুক্তি তছনছ করা - সবই সিস্টেম আর নেতার এক ভয়ঙ্গকর কম্বিনেশান। এই জন্যেই ব্যারাক ওবামা নামের মানুষটার উপর আমেরিকান বাদ দিয়াও বহির্বিশ্বের অনেক মানুষ ভরসা কইরা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হওয়ার ভালো চান্স আছে এই ব্যাটার। যেই দেশে ৩০০ বছর ধইরা দাসপ্রথা চালু আছিলো, মাত্র ৪০-৪৫ বছর আগেও যেইখানে এক কলে শাদা আর কালা মানুষের পানি খাওয়া নিষেধ আছিলো, সেই দেশের প্রেসিডেন্ট যদি হইতে পারে কালা মুসলমান কেনিয়ান বাপের পোলা ব্যারাক ওবামা, তাইলে সেইটারে এক প্রকারের প্রগতি কইতেই হইবো।
বর্তমানে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট নমিনেশানের লেগা হিলারি ক্লিন্টন - বিলের বৌ, ইউনুসের দোস্তাইন - এর লগে মরণযুদ্ধে নামছে ওবামা। আগামী ২-৩ মাসের মইধ্যেই সেই যুদ্ধের ফয়সালা হইয়া যাইবো। অনেকের ভরসা যে বিশেষ কইরা বুশের আমলে যে চরম আগ্রাসী ভাবভঙ্গি আমেরিকার বহির্বিশ্বের লগে আদানপ্রদানে দেখা গেছে, সেই মারমার কাটকাট তো আছেই, এমনকি অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও নিজ দেশের গরীব আর মাইনরিটির প্রতি সমাজের উপরতালার লোকগো যেই চরম উদাসীনতা দেখা গেছে (দ্রষ্টব্য ক্যাট্রিনা) - পাবলিকের ভরসা যে ব্যারাক ওবামা আইসা এই ট্রেন্ডে একটু হইলেও ছেদ ফালাইতে পারবো, দেশটারে একটু ভিন্ন ডিরেকশানে নিতে পারবো। সেইটা আসলেই সে পারবো কিনা, নাকি সিস্টেম ভালো মানুষরে চাবাইয়া হজম কইরা ফালাইবো, সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সময়ই কইয়া দিবো। আগামী বছরের নির্বাচনরে সামনে রাইখা আমেরিকার সাম্প্রতিক রাজনীতি আর ব্যারাক ওবামার উত্থান নিয়া দুই-একটা পোস্ট দেওয়ার ইচ্ছা পোষন করতাছি। পড়ার লেগা ধন্যবাদ।
*
গ্ল্যাডিয়েটারের অবিশ্বাস্য প্রথম দশ মিনিট
কালাগো লেগা পানির কল আলাদা - বেশীদিন আগের কথা না
আরেক কালা - প্রেসিডেন্ট ওবামা?
মন্তব্য
সাইজ কমায় দিলাম। ফায়ারফক্সে ঠিক আসে, এক্সপ্লোরার-এ ভচকায় যায়।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
অতি সুস্বাদু।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
ওবামা যখন প্রথম প্রচার মাধ্যমে এলো ,আমার এক তাবলীগি বন্ধু ফোন করলো তীব্র উল্লাসে- 'দোস্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তো মুসলমান হয়া গেছে!'
আমি ভাবলাম ,সারছে । বুশের সিজোফ্রেনিয়া কি বাড়লো নাকি?
পরে শুনলাম-ওবামা! তার বাপ মুসলমানই ছিলো
মুসলমানের ব্যাটার জন্য বিশ্বমুসলিম ও দোয়াদরুদ পড়তে পারে ।
-----------------------------------------
মৃত্যুতে ও থামেনা উৎসব
জীবন এমনই প্রকান্ড প্রচুর ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আম্রিকানরা এত সহজে একটা মুসলিমরে প্রেসিডেন্ট বানাইবো ওদের এত উদার ভাবা ঠিক না। উদারতার দিক দিয়া আমাগো দেশের কট্টর মৌলবাদীদের থেকেও ওরা শতাব্দীকয়েক পিছাইয়া আছে।
তারচেয়ে বড় কথা, আম্রিকার রাজনীতিতে যেই মানুষ এতদূর উইঠা আসছে, সেই মানুষ মুসলিম কিংবা আর কোন ধর্মাবলম্বী হবার আগে সে পাক্কা আম্রিকান। সুতরাং তৃতীয় বিশ্বের এক অভাগা দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা তাতে কোন রকম লাভবান হবো বলে দুরাশা করি না।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ওবামা'র বাপ মুসলমান ছিল, কিন্তু ব্যারাক নিজে খৃস্টান ধর্মাবলম্বী। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে যারা ব্যারাক-বিরোধী, তারা অনেক সময়ই 'মুসলমানদের চর', 'সিক্রেট উইপোন', এই সব বলে ব্যারাকের নামে গুজব রটায়। আর ওবামা প্রেসিডেন্ট হলেই আমাদের যে বিশেষ কোন লাভ হবে, সেটাও ঠিক না। চেঞ্জ হবে বেশী পলিসির টোন'এ। কন্টেন্ট'এ কতখানি চেঞ্জ সে করতে পারবে আমারও সন্দেহ আছে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
“চেঞ্জ হবে বেশী পলিসির টোন'এ। কন্টেন্ট'এ কতখানি চেঞ্জ সে করতে পারবে আমারও সন্দেহ আছে।”
ঠিক তাই, কিছুদিন আগে পাকিস্তানে মোশাররফ সংক্রান্ত গোলমালের সময় ওবামা বলেইছিলো যে ক্ষমতায় আসলে সে দরকার হলে পাকিস্তানে সৈ্ন্য পাঠাবে। তারপর ও বোধহয় ওবামাই best choice এখন । দেখা যাক ক্যাম্পেইন এর খাতিরে এক হওয়া ওপরাহ আর ওবামা 'ওপ্রাবামা' আর কি কি করে।
স্নিগ্ধা
জিনিস হাল্কা হইলেই খারাপ না...এইরকম একটা কথা ছিল না BTV তে? ওবামা কালো, মুসলমান ইত্যাদি হইলেই যে তিনি আইসা দুনিয়াদারি ঠান্ডা কইরা ফালাইবেন - তা কি ঠিক?
ডেমক্রাটগোর আমলেই কিন্তু দুনিয়ার কসভো আর সোমালিয়া মত দুইটা বড় বড় কুকর্ম হইসিল, দুইটাতেই মুসলমানেরা আসিল গ্লাডিয়েটরের জার্মানগো স্থানে।
আমেরিকান কিছু পাবলিক আসে - এন্টি ওয়ার, এইটা মানি। কিন্তু এই দলটা আমার মতে মাইনরিটি।
বুশ, ওবামা আর হিলারি ~ কয়লা ধুইলে ময়লা যাইব না।
হ
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
- কিন্তু আমেরিকানরাই কসভোর হত্যালীলা থামিয়েছিল। জর্জ বুশ এখনও আলবেনিয়ায় খুব জনপ্রিয় এই কারণে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
যেই লাউ সেই কদু হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা একশো ভাগ। কন্টেন্ট কিছুই বদলাবে না, তা আমরা সবাই স্বীকার করে নিচ্ছি। আমেরিকার মানুষরা তাদের দেশের বাইরে যে একটা পৃথিবী আছে, ভালোমন্দ কিছু আছে তা মানেই না। জানে না, খবরও কিছু রাখে না। কেয়ার করা তো আরো দূরের কথা। সেটাকেও এক ধরনের পরিকল্পিত অজ্ঞতা বা মানসিকতা বলে মনে করা যেতেই পারে। সুতরাং টোন পাল্টালে তা কতোটা? ঊনিশ-বিশের বেশি কিছু নয়। তাতে কী এসে যাবে?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
কঠিন কঠিন সব কথা সহজ ভাষায় লেখা। খুব বেশি ভালো লাগা অংশগুলো তুলে দিলাম উদ্ধৃতিতে।
আর লেখার টপিক বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত - যে যায় লংকায়, সেই হয় রাবণ। তবে নতুন যে কেউ বর্তমান মূর্তিমান ইডিয়ট বুশের চেয়ে অন্তত একটু হলেও বেটার হবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আমিও অধীর আগ্রহে ওবামারামা অনুসরণ করে যাচ্ছি। হিলারি জিতলে আরেকটা রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পাবো আমরা। এই মহিলা রিপাবলিকানদের চেয়েও রিপাবলিকান! ওবামা-র পরিবর্তন আর আদর্শের রাজনীতির কথা ভাল লাগে। জো বাইডেনের সাথে মিলে দাঁড়ালে ভাল হত। তাহলে কেউ আর অভিজ্ঞতার দোহাই তুলতে পারতো না। অনেক কিছু শিখছি পলিটিক্স নিয়ে। দেখি, লিখবো নে কখনো।
পরিবর্তন আর আদর্শের রাজনীতির কথা ভাল লাগে।
সেইটাই। কোন প্রকার অদল বদলের যদি ভরসা থাকে, সেইটা ওবামা বা এডওয়ার্ডস থেকেই আসবে। ওবামার যেইটা ভালো লাগে, সেইটা হইলো সে এখন পর্যন্ত বড় কোন কম্প্রোমাইজ করে নাই সিস্টেমের পাল্লায় পড়ে - ২০০৪-এ বস্টন কনভেনশানে বক্তৃতা থেকে শুরু করে কয়েকদিন আগের আইওয়াতে বক্তৃতা পর্যন্ত - সে নিজের অবস্থান থেকে খুব বেশী সরে নাই।
@ জুবায়ের ভাই - আমার ধারণা ৯-১১-র সময় যেই পরিমান নিরেট অজ্ঞ ছিল আমেরিকানরা, তার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা হইলেও ইম্প্রুভ করছে। যদিও আমেরিকানরা জাতিগত ভাবেই নির্বোধ থাকতে পছন্দ করে। আর কিছু না হোক, ৩ ডলারে গ্যাস কিনতে গিয়ে ওদের কিছুটা হইলেও বোধোদয় হবে, এই আশাটাই করা লাগে...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ওবামার একমাত্র দুর্বলতাটাই হিলারির সবচেয়ে বড় শক্তি -- নেম রেকগনিশন। 'ক্লিনটন' শুনেই নস্টালজিক হয়ে যায় সবাই। ওবামাকে যারা চেনে, তার কথা যারা শুনেছে, তাদের মন গলছে বা গলেছে। এমন কি রিপাবলিকানদের জিতে নেওয়ার দিকেও অনেক এগিয়ে। ডিসফেভরেবল অনেক কম। পোলারাইজিং না। হিলারি নমিনেশন পেলে পঙ্গপালের মত রিপাবলিকান ভোট পড়বে।
তৃণমূল থেকে কীভাবে একটি রাজনৈতিক সংগঠন দাঁড় করাতে হয়, এবং কীভাবে তা আদর্শ বিসর্জন না দিয়েই করা যায়, সেটা শিখছি ওবামার ক্যাম্পেইন দেখে। আমার চোখে হিলারি অনেক রিপাবলিকানের চেয়েও কট্টর ডানপন্থী। যুদ্ধ সমর্থন করেছিল, এখনও করে, ইরাকে ট্রুপ রাখবে, ইরানে হামলা করবে... তফাৎ কোথায়?! শুধু এবং শুধুমাত্র নেম রেকগনিশনের জন্য এই মহিলা এখনো এগিয়ে। দেখা যাক আইওয়া এটা বদলায় কিনা।
টাইমে একটা ভাল কথা লিখেছিল। সম্প্রতি ওপরাহ ওবামার হয়ে ক্যাম্পেইনে নামায় অনেকে বেরিয়ে এসেছে দেখতে। সমস্যা হল, এই রক স্টার স্টেটাস ওবামার নিজেরি আছে। তার মোহজাগানিয়া স্পিচ শুনতে এমনিতেই লোকে ভিড় করে। সমস্যা হল, কেউ 'কমান্ডার-ইন-চিফ' হিসেবে এতটা কম অভিজ্ঞতার কাউকে দেখতে সাহস পাচ্ছে না। দেখা যাক, "দ্য রাইট কাইন্ড অফ এক্সপিরিয়েন্স" কতটা গেলাতে পারে ওবামা ক্যাম্পেইন।
হয়তো কিছুটা সত্যি। কিন্তু মুশকিল হলো, এই নির্বুদ্ধিতার চাষটিকে উৎসাহিত করার সব রকমের ব্যবস্থা করা আছে। আর এই অজ্ঞতার সঙ্গে যদি "সালিশ মানি, কিন্তু তালগাছটা আমার" মার্কা অ্যারোগ্যান্স যোগ হয়, তার উপশম কীসে হয় আমার জানা নেই।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমি ওবামার মধ্যে এখনও কোনো নেগেটিভ পাইনি। ওবামার ইরাক আর দারফুরের ব্যাপারে ভূমিকা, আই-টি নিয়ে বক্তব্য, এবরশনের পক্ষে কথা বলা দেখে মনে হয় ছিন্নমূল থেকে বড় হওয়া এক ইমিগ্রাণ্টের হাতে আমেরিকা নিরাপদেই থাকবে। তবে ওবামার জেতাটা, আর আগে নমিনেশন পাওয়াটা অতটা সহজ হবে বলে মনে হয় না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
শুনেছি ওখানকার ক্ষমতার খেলাটা শুধুই ওখানকার রাজনীতির বিষয় নয়। এর সাথে জড়িত গোটা বিশ্বের মাফিয়া চক্র। অস্ত্রের ব্যাবসা, মাদকের ব্যাবসা আরোও অনেক ফ্যাক্টর এএ হিসেবের মধ্যে একীভূত হয়ে আছে। সেই হিসেবে চিন্তা করলে ওবামা’র সুযোগ তো ক্ষীণ মনে হয়।
এতোকিছু তো বুঝি না। লেখাটা বুঝলাম, পানির মতো সরল ভাষার জন্য ধন্যবাদ।
আরেফীন
কর্পোরেট আমেরিকা ওবামারে চায় না।
ওবামা নয়, হিলারী ক্লিন্টনই হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। আমেরিকান রক্ষণশীল মানুষেরা তাঁকেই পছন্দ করবে, এবং সংখ্যাগুরু ডেমক্রেটদের মধ্যেও কয়েকটি ব্যাপারে রক্ষণশীলতা প্রমাণিত, সেটা গোপনে ভোট দেওয়ার সময় তাঁরা প্রকাশ করেন। প্রাইমারীগুলোতে ওবামা ক্রমাগত হারতে হারতে বিদায় নেবেন।
আমার ধারনা ছিল ওবামার কেনিয়ান-আমেরিকান বাবাই (মা শাদা আমেরিকান) ইসলাম ত্যাগ করেছিলেন । যদিও ওবামার নামে "হাসান" রয়ে গেছে (তাঁর প্রতিপক্ষ এটা খুঁজে বের করেছে), তিনি সেটা বাদ দিয়ে চলার চেষ্টা করেন। এমন কি তিনি যে মোটেই মুসলিমদের প্রতি দুর্বল নন সেটা প্রমাণ করতে এটাও বলেছেন যে, পাকিস্তানের পারমানবিক ক্ষমতাও তিনি ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। হয়তো তিনি ইহুদী ভোট ও অর্থনৈতিক সমর্থনের কথা ভাবছিলেন। কিন্তু তারা এব্যাপারে খুবই চতুর, কোন ঝুঁকিতে যাবে না। আমার ধারণা সংখ্যাগুরু আমেরিকানরাও ওবামাকে বিশ্বাস করবেন না।
আর বুশ ঠিক মুসলিম বিদ্বেষী এটা আমার মনে হয় না। তবে তিনি যে যে বোকা নন এটা প্রমাণ করতে গিয়েই আরো বেশী বোকামী করে বসেন। লাদেন পরিবারের কাছ থেকে বাপ-বেটা প্রচুর টাকা নিয়েছেন, এবং ৯/১১ এর অব্যবহিত পরেই নিজেই বিশেষ প্লেনে লাদেন পরিবারের সদস্যদের সউদীতে পাঠিয়ে দেন। ইরাকের যে এ হাল হবে এটা কখনো বুশের মাথায় আসে নি।
ছোট বুশের নির্বুদ্ধিতা নিয়ে যত গল্পই থাক, বড় বুশ, যিনি সি, আই, এর প্রধান ছিলেন, আমেরিকার ইতিহাসে সব চেয়ে উঁচু আই, কিউ (১৭০) প্রেসিডেন্টদের একজন ছিলেন ।
বুশ ও ব্লেয়ারের অস্বাভাবিক বিশেষ সম্পর্কে কোন প্রচ্ছন্ন সমকামী প্রবৃত্তি ছিল কিনা এটা ইতিহাসবিদদের গবেষণা করে দেখা উচিত।
আমার ধারণা এবারও কোন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টই জিতবে। কালা ওবামা কিংবা হিলারির মতো একজন বামা, কারো হাতেই ক্ষমতা দিবে না আমেরিকার রামছাগল নাগরিকেরা।
হাঁটুপানির জলদস্যু
নতুন মন্তব্য করুন