বিদায়, ববি ফিশার

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
লিখেছেন সুবিনয় মুস্তফী (তারিখ: শুক্র, ১৮/০১/২০০৮ - ৭:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto
কিংবদন্তীর দাবাড়ু ববি ফিশার মারা গেছেন আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকইয়াভিক-এ। তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ দাবাড়ু - এবং দাবার সবচেয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব - এই উভয় আলোচনায়ই ফিশারের নাম চলে আসে সর্বাগ্রে।

ফিশারের জন্ম আমেরিকার শিকাগো শহরে। ছয় বছর বয়সে প্রথম দাবা খেলা শেখেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক মাস্টার খেতাব আর ১৬ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব তিনি জয় করেন। বয়সের দিক থেকে দুটোই ছিল সে আমলের বিশ্বরেকর্ড।

১৯৭২ সালে রিকইয়াভিক শহরে ফিশারের সাথে মোকাবেলা হয় তৎকালীন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রাশিয়ার বরিস স্পাস্কি'র (Boris Spassky)। ফিশারের লক্ষ্য বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নের টাইটেল জিতে নেয়া। রুশ-মার্কিন স্নায়ুযুদ্ধের একেবারে মধ্য প্রহরে অনুষ্ঠিত এই দাবা প্রতিযোগিতা দুনিয়াব্যাপী আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছিল। সর্বমোট ২১টি খেলা খেলেন তারা। টানটান উত্তেজনা। বিশ্বের মিডিয়ার মনোযোগ রিকইয়াভিক-এর উপরে। শেষমেষ ১২.৫ বনাম ৮.৫ স্কোরে খেলা জিতে ফিশার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জিতে নেন। তার বয়স তখনও ৩০ হয়নি।

তবে ফিশার সারা জীবনই যেখানে গেছেন, সেখানেই বিতর্কের অবতারণা করেছেন তার পাগলাটে আচরনের জন্যে। গ্যাঞ্জাম তৈরীতে ওস্তাদ ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে আনাতোলি কার্পোভ তাকে চ্যালেঞ্জ করেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাবের জন্যে। ফিশার উদ্ভট সব শর্ত জুড়ে দেন এই খেলার আগে। অনেক টানা-হ্যাঁচড়ার পরেও সুরাহা না হলে পরে ফিশার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের টাইটেল স্বেচ্ছায় বিসর্জন দিয়ে দেন। এর পরে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ গুটিয়ে নেন। পরবর্তী বিশ বছর তিনি আর কোথাও পেশাদারী দাবা খেলেননি।

তবে তার পাগলামি থামেনি। ইহুদীদের বিরুদ্ধে নানান জায়গায় বিষোদগার করে তিনি দুর্নাম কুড়ান। সুদীর্ঘ দুই দশক পরে ১৯৯২ সালে ফিরে আসেন দাবার জগতে - প্রতিদ্বন্দি আবারও স্পাস্কি। তবে খেলা ১৯৭২-এর সমমানের হয়নি। আরো খারাপ খবর হলো যে জাতিসংঘের নিষোধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয় যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউগোস্লাভিয়ায় - যুদ্ধের প্রধান আগ্রাসী শক্তি সার্বিয়ার মাটিতে।

২০০১ সালে সেপ্টেম্বর ১১-র আক্রমণের পরে আমেরিকা আর ইস্রাইলের বিরুদ্ধে নানা রকম মন্তব্য করে তিনি পুনরায় সরকার আর দাবা কর্তৃপক্ষের বিরাগভাজন হন। তার মার্কিন পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যায়। তার চেয়েও বড় কথা ১৯৯২ সালে নিষোধাজ্ঞা ভেঙ্গে সার্বিয়াতে খেলায় অংশ নেওয়ার জন্যে তার উপরে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। ২০০৪ সালে তিনি জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন। আমেরিকায় তাকে স্থানান্তর করার কথা ছিল। তবে শেষ মুহুর্তে অনেক দেন-দরবারের পরে তাকে আইসল্যান্ডে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। আইসল্যান্ড - যেখানে তিনি খ্যাতির শিখরে আরোহন করেছিলেন ১৯৭২ সালে।

সেই আইসল্যান্ডেই তার মৃত্যু হয়েছে। মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিলেন। তবে দাবার জগতে তার অবিশ্বাস্য প্রতিভা নিয়ে কোন প্রশ্ন ছিল না। এমনকি দাবার দেয়াল ভেঙ্গে বহির্বিশ্বেও যেই হাতে গোনা কয়েকজন দাবাড়ু বিশ্বখ্যাতি লাভ করেন, ববি ফিশার তাদের অন্যতম। দাবা খেলা নিয়ে ১৯৯৩ সালে একটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র তৈরী হয়েছিল - শিরোনাম Searching for Bobby Fischer.

বিংশ শতাব্দীর এই পাগল জিনিয়াসের প্রয়ানে জানাই শ্রদ্ধা।

লিংক সমূহ -
- উইকিপিডিয়াতে ফিশারের বিস্তারিত জীবনী
- বিবিসিতে তার মৃত্যু সংবাদ
- উইকিতে ১৯৭২-এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের বিবরণ
- ইউটিউবে ববি ফিশার


মন্তব্য

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

বেপরোয়া, একরোখা, অগতানুগতিক ও উদ্ধত ব্যক্তিত্বদের প্রতি আমি সব সময়ই বিশেষ আকর্ষণ বোধ করি। তাঁদের সব কর্মকাণ্ড সমর্থন করতে না পারলেও তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আমার হ্রাস পায় না।

ফিশার ছিলেন সেই রকম এক ব্যক্তিত্ব। মৃত্যু অনিবার্য - তবু মনটা ভারি খারাপ হয়ে গেল।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ঠিকই বলেছেন। ছোটকালে সব রকম খেলার খবরই ফলো করতাম - ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস থেকে শুরু করে এথলেটিক্স, দাবা সব। বয়স যখন দশ, তখন কার্পোভের সাথে তুমুল যুদ্ধ করে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন কাসপারভ। সে এক এপিক লড়াই! কি অধীর আগ্রহ নিয়ে যে অপেক্ষা করতাম খেলার রেজাল্ট জানার জন্যে। তখন তো আর ইন্টারনেট ছিল না - বিটিভির সংবাদ আর দৈনিক পত্রিকাই ছিল ভরসা। তখনই ফিশারের লেজেন্ডের সাথে প্রথম পরিচয়।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

বজলুর রহমান এর ছবি

কেসিয়াস মারসেলাস ক্লে মুহাম্মাদ আলী হওয়ার আগেই বক্সিংকে যেমন বিশ্বমাধ্যমে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি স্পোর্টস-এ পরিনত করতে পেরেছিলেন নিজের অসামান্য প্রতিভা এবং একজন বক্সারের কাছ থেকে সম্পুর্ণ অপ্রত্যাশিত বাকচাতুর্য দিয়ে, তেমনি ববি ফিশারও অসাধারণ প্রতিভা (আই, কিউ ২০০+) ও মিডিয়ার কাছে আকর্ষণীয় বিতর্কিত বক্তব্য রেখে সর্বসাধারণকে এই খেলার প্রতি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ফিশারের মা ইহুদী ছিলেন, এবং সেভাবেই তাঁকে বড় করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ইহুদীত্ব ফিশারের কাছে একটি ঘৃন্য পরিচয় ছিল। ৯/১১ এর পরে তিনি উল্লাস প্রকাশ করে বলেছিলেন ঃ আশা করি এই চক্রান্তে যে ইহুদীরা আছে এটা মার্কিন সরকার বুঝতে পারবে এবং ইহুদীদের উচিত শিক্ষা দেবে।
যীশু ও মার্ক্সও ইহুদী হয়ে জন্মে ছিলেন এবং কিন্তু স্বধর্মীয়দের বৈষয়িক মনোভঙ্গীতে পীড়িত হয়ে অন্য পথ সৃষ্টি করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

অয়ন এর ছবি

জিনিয়াস তো দেখি সব ইহুদী।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

এর পেছনেও অনেক থিওরি আছে। বিশেষ করে আশকেনাজি শাখার ইহুদীদের আইকিউ নিয়ে লেখালেখি হয়েছে - আপাতত কিছু লিংক দিয়েই খালাস -

Are Jews Smarter? (NY Magazine)
Jewish Genius (Commentary magazine)
Natural genius? (Economist)
Did Discrimination Enhance Intelligence of Jews? (National Geographic)

বিজ্ঞানী স্টিভেন পিংকারের হিসাবে -

Jews are remarkably over-represented in benchmarks of brainpower. Though never exceeding 3 percent of the American population, Jews account for 37 percent of the winners of the U.S. National Medal of Science, 25 percent of the American Nobel Prize winners in literature, 40 percent of the American Nobel Prize winners in science and economics, and so on. On the world stage, we find that 54 percent of the world chess champions have had one or two Jewish parents.

বিস্ময়করই বটে!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

জিনিয়াস তো দেখি সব ইহুদী।

কথা সত্য। আর এই কারণেই কি ইহুদি-বিদ্বেষ এতো প্রবল?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

দ্রোহী এর ছবি

বিদায়, ববি ফিশার।


কি মাঝি? ডরাইলা?

বজলুর রহমান এর ছবি

নিরাশ হওয়ার কারণ নেই।

তথাকথিত 'জিনিয়াসদের' তালিকায় ইহুদীদের প্রাধান্য বিগত শতাব্দী থেকেই, যখন তাদের হাতে সুদ ও অন্যান্য 'ফাইনানশিয়াল সার্ভিস' থেকে প্রচুর টাকা জমে যায় এবং সেই টাকা তারা বুদ্ধিমানের মত ছেলেমেয়েদের শিক্ষার পেছনে ব্যয় করে, এবং মিডিয়া হাতে এনে (টাইম, সি,এন,এন, রয়টার, এ, পি ইত্যাদি) নিজেদের প্রচারে 'আমরা জিনিয়াস জাতি' জাতীয় একটি মীথ তৈরী করে। বিজ্ঞানীরা খেয়াল করছেন হয়তো যে ইহুদীদের কোলাবোরেটর সাধারনত অন্য ইহুদীই হয় , এবং তারা অ-ইহুদীদের কাজের রেফারেন্স চেপে যায় ।

ইহুদীদের জিনিয়াস-ত্ব একটি বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকতে দেখা যায়। কারণ প্রচুর পরিশ্রম করে (অধিকাংশ ক্ষেত্রে পারিবারিক চাপে, যা এই জ়েনারেশনে ক্রমশ শিথিল হয়ে যাচ্ছে), তারা একটি বিষয়েই সত্যিকার পারদর্শী হওয়ার সময় পায়। কেউ দাবায়, কেউ বিজ্ঞানে, কেঊ ফিল্মে । এদের মধ্যে ভার্সেটাইল রবীন্দ্রনাথ বা লিওনার্দো দা ভিঞ্চি খুঁজে পাবেন না। অসাধারণ পদার্থবিজ্ঞানী ফাইনম্যানকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন এই বলে - ওটা একটা অশিক্ষিত খ্যাত।

আমরা কম কিসে ? অল্প বয়সে গ্র্যান্ড মাস্টার হয়েছে নিয়াজ মোর্শেদ। এ,সি,এম প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় আমাদের ছেলেমেয়েরা আমেরিকার ইহুদী-অধ্যুষিত সব বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে হারিয়ে দিয়েছে। হাইরাইজ ভবনের প্রথম বিজ্ঞান সম্মত ডিজাইন করেছেন এফ, আর খান। বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শিতা দেখিয়ে মিস আমেরিকা জুনিয়র হয়েছে নোরা আলী । আরেকটু সময় দিন।
ভিঞ্চি ছাড়াও সর্বকালের সেরা মেধাবীদের তালিকায় চিরস্থায়ী শেক্সপিয়ার , নিউটন, গ্যালিলিও, সত্যজিত, রামানুজাম, ওমর খৈয়াম -এরা কেউ ইহুদী ছিলেন না।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

রাগিবের সাথে সহমত।

ইহুদিরা জিনিয়াস বলে অন্য জাতির ভেতরে জিনিয়াস নেই, এমন কথা তো কেউ বলছে না! এক ধরনের অন্ধ বিদ্বেষ নিয়ে তাদের সত্যিকারের কৃতিত্বকে হেয় করার চেষ্টা করার ভেতরে কোনও মহিমা তো নেইই, বরং তাতে নিজেদের ছোট করা হয়।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

বজলুর রহমান এর ছবি

কারো হাজার বছরের এ্যাডভান্টেজ হঠাৎ বিংশ শতাব্দীতে দেখা দেবে কেন, এবং তার পরে কেন নিম্নমুখী হবে ? এখন দাবার রাজা বিশ্বনাথন আনন্দ। চীনারা আর ভারতীয়রা বিজ্ঞানে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

ইহুদিরা জিনিয়াস বলে

সুত্রঃ http://www.amazon.ca/IQ-Wealth-Nations-Richard-Lynn/dp/customer-reviews/027597510X?ie=UTF8&customer-reviews.start=11

Many must curious to know the IQ of all the countries mentioned in book. Here's preview. Average IQ for all 165 nations. Hong Kong (107) is highest. Israel is 94, Africa is at 70. GDP is current year 2000 GDP.
Fitted is GDP as would be indicated by national IQ. For example, China, instead of GDP of 3,000, it would be at 16,000. These numbers are explained in detail in book and correlations are made. This is good peek, buy the book and read the full details and judge for yourself. The high price is worth read.

Country average IQ GDP fitted GDP
Hong Kong 107 20,763 19,817
Korea, South 106 13,478 19,298
Japan 105 23,257 18,779
Taiwan 104 13,000 18,260
Singapore 103 24,210 17,740
Austria 102 23,166 17,221
Germany 102 22,169 17,221
Italy 102 20,585 17,221
Netherlands 102 22,176 17,221
Sweden 101 20,659 16,702
Switzerland 101 25,512 16,702
Belgium 100 23,223 16,183
China 100 3,105 16,183

NewZealand 100 17,288 16,183
U. Kingdom 100 20,336 16,183
Hungary 99 10,232 15,664
Poland 99 7,619 15,664
Australia 98 22,452 15,145
Denmark 98 24,218 15,145
France 98 21,175 15,145
Norway 98 26,342 15,145
United States 98 29,605 15,145
Canada 97 23,582 14,626
Czech Republic 97 12,362 14,626
Finland 97 20,847 14,626
Spain 97 16,212 14,626
Argentina 96 12,013 14,107
Russia 96 6,460 14,107
Slovakia 96 9,699 14,107
Uruguay 96 8,623 14,107
Portugal 95 14,701 13,589
Slovenia 95 14,293 13,588
Israel 94 17,301 13,069
Romania 94 5,648 13,069
Bulgaria 93 4,809 12,550
Ireland 93 21,482 12,550
Greece 92 13,943 12,031
Malaysia 92 8,137 12,031
Thailand 91 5,456 11,512
Croatia 90 6,749 10,993
Peru 90 4,282 10,993
Turkey 90 6,422 10,993
Colombia 89 6,006 10,474
Indonesia 89 2,651 10,474
Suri name 89 5,161 10,474
Brazil 87 6,625 9,436
Iraq 87 3,197 9,436
Mexico 87 7,704 9,436
Samoa (Western) 87 3,832 9,436
Tonga 87 3,000 9,436
Lebanon 86 4,326 8,917
Philippines 86 3,555 8,917
Cuba 85 3,967 8,398
Morocco 85 3,305 8,398
Fiji 84 4,231 7,879
Iran 84 5,121 7,879
Marshall Islands 84 3,000 7,879
Puerto Rico 84 8,000 7,879
Egypt 83 3,041 7,360
India 81 2,077 6,322
Ecuador 80 3,003 5,803
Guatemala 79 3,505 5,284
Barbados 78 12,001 4,765
Nepal 78 1,157 4,765
Qatar 78 20,987 4,765
Zambia 77 719 4,246
Congo (Brazz) 73 995 2,170
Uganda 73 1,074 2,170
Jamaica 72 3,389 1,651
Kenya 72 980 1,651
South Africa 72 8,488 1,651
Sudan 72 1,394 1,651
Tanzania 72 480 1,651
Ghana 71 1,735 1,132
Nigeria 67 795 -944
Guinea 66 1,782 -1,463
Zimbabwe 66 2,669 -1,463
Congo (Zaire) 65 822 -1,982
Sierra Leone 64 458 -2,501
Ethiopia 63 574 -3,020
Equatorial Guinea59 1,817 -5,096

বাংলাদেশের নাম না থাকেও ইন্টারপোলেট করে ভারত ও মালায়সিয়ার মাঝামাঝি ধরা যেতে পারে।
দেখা যাচ্ছে চীনারাই সবচেয়ে এগিয়ে , শুধু পরিশ্রমে নয় , বুদ্ধিতেও।
এটাও অবশ্য অনেকে বলেন যে, যদি আফ্রিকানরা আই,কিউ টেস্ট ডিজাইন করত, তাহলে তারাই এ পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকত।

ইহুদীদের গোষ্ঠীসহায়ক কর্মকান্ড ও হলকস্ট সমবেদনা ব্যবহার করে সুবিধা আদায় সম্পর্কে কিছুদিন আগে ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবী কালো ছাত্র ( হ্যাঁ, কালোছাত্ররাও মেধাবী হয়, আইন্সেক ও ওয়াটসন তাদেরকে বংশগতভাবে বোকা বললেও। কন্ডলীতসা রাইসও মেধাবী নিঃসন্দেহে। এরা এগিয়ে আসছে, এখন সুযোগ পাচ্ছে বলে ) ফিলিপ কুরিয়ানের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ছাত্র পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাটি ইহুদীদের চাপে "মুক্তবক্তব্যের দেশ" আমেরিকাতেই ওয়েব ত্থেকে প্রত্যাহার করে নিতে হয়। তবে এখনো এর কপি অন্যত্র পাওয়া যায়। চিন্তার খোরাক আছে।

হিমু এর ছবি

প্রায় বছর দশেক আগে ঢাকায় আই কিউ এর ওপর একটা জরিপ হয়েছিলো বলে শুনেছিলাম, গবেষণার বিষয় ছিলো ঢাকায় ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির ওপর কোন প্রভাব ফেলে কি না। সেই জরিপ থেকে দেখা গিয়েছিলো, গড় আই কিউ নাকি দশ বছর সময়ের মধ্যে প্রায় এগারো পয়েন্ট কমে গেছে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

কোনো কৃতি মানুষের ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখ, বিশেষ করে যখন কৃতিত্বটি ধর্মপরিচয়ের সঙ্গে কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট নয়, আমার কাছে খুব অপ্রাসঙ্গিক ও অপ্রয়োজনীয় লাগে।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

সুধীর এর ছবি

ওপরে কেউ "ধর্ম" শব্দটা উচ্চারণ করেন নি। বিতর্কটা ছিল কোন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠি জেনেটিক কারণে বুদ্ধিতে এগিয়ে যেতে পারে কি না। এটা একটি সম্পুর্ণ বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা হতে পারে। এবং এমন আলোচনাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অনেক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আফ্রিকান-আমেরিকানদের গড় বুদ্ধি শাদাদের চেয়ে কম বলে দাবী করেছেন ("দি বেল কার্ভ" জাতীয় গ্রন্থে)। অনেকে ইহুদীদের একটি গোষ্ঠীর মধ্যে বুদ্ধি বেশি বলে দাবী করেছেন জেনেটিক কারণে।

এই উপমহাদেশে অন্তত দু আড়াই হাজার বছর অবৈজ্ঞানিকভাবেই দাবী করা হয়েছে যে আর্যদের বুদ্ধি আদি ভারতবাসীদের চেয়ে বেশি, যার ফলে বর্ণ প্রথার সৃষ্টি হয়, এমন কি এখনো ভারতে দেখবেন সর্বক্ষেত্রে ব্রাহ্মনদের দাপট।

কিন্তু দিন বদলের পালা শুরু হয়েছে। সু্যোগ পেলে সব জাতি ও গোষ্ঠির লোকই এগিয়ে যেতে পারে। গড় আই, কিউ কাদের কি, সেটা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক; ব্যক্তিগত চেষ্টা এবং মেধাই সাফল্যের নির্ণায়ক হওয়া উচিত, এবং সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে শুধু জনসংখ্যার ভিত্তিতেই আগামী বছরগুলোতে ভারতের অ-ব্রাহ্মন সম্প্রদায়গুলো সর্ব ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাবে, যদি সহায়ক পরিবেশ পায়। চীনে কোন বর্ণবাদ নেই বলেই জানি; তারা জ্ঞান-বিজ্ঞান ব্যবসা-বাণিজ্যে বিশ্বের এক নম্বর জাতি হতে কোন বাধা নেই।

জিনিয়াস জাতি বলে কিছু নেই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।