ক্রাকোভ-এ দ্বিতীয় দিনটা চমৎকার কাটলো। ৫০০ ফুট মাটির নীচে বিস্ময়কর একটা স্থান দেখলাম। ক্রাকোভ শহরের সৌন্দর্যের সাথে আরেকটু পরিচিত হলাম। আর শহর ঘুরতে ঘুরতে এই দেশের মানুষের মন-মানসিকতা আর মূল্যবোধ সম্পর্কে ধ্যান-ধারণাও আরেকটু পরিস্কার হলো।
বেশ সকালেই উঠে যাই আজকে। রেডি হয়ে যখন হোটেলের রিসেপশনে গেলাম, আমাকে নাস্তার টিকেট ধরিয়ে দেওয়া হলো। সেটা নিয়ে পাশের কাফেতে গেলাম। টানা টেবিলে কয়েকটা ট্রের উপরে বুফে নাস্তার আয়োজন করা - যে আসছে, সেই একটা প্লেটে খাবার নিয়ে নিজের টেবিলে চলে যাচ্ছে। আমি গেলাম বুফে'র সামনে - সুবিধার ঠেকলো না বেশী। একেবারে বেসিক নাস্তা - শুকনা রুটি, মাখন আর জ্যাম, বেকনের স্লাইস, কিছু আপেল-কলা, আর থার্মোস ফ্লাস্কে চা-কফি। আমি দুই টুকরা রুটির মধ্যে একটু মাখন মাখিয়ে এক কাপ চা নিয়ে টেবিলে বসলাম।
কিন্তু চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে দেখি ঠান্ডা পানির চেয়েও ঠান্ডা। গুল্লি মারি এই পচা নাস্তার - বেরিয়ে পড়লাম শহর দেখতে। শহরের কেন্দ্রের দিকে হাঁটতে হাঁটতে দিনের প্ল্যান তৈরী করলাম - দিনের প্রথম ভাগে সিটি সেন্টার দেখবো, লাঞ্চ সেরে যাবো ভিয়েলিচ্কার বিখ্যাত লবন-খনি দেখতে, আর সন্ধ্যা/রাত মিলিয়ে শহরের আনাচে-কানাচে আরেকটু
গবেষণা করে দেখবো।
শীতের সকালে রিনেক স্কয়্যার
শীতের সকাল, তার উপর শনিবারের ছুটি। রাস্তা-ঘাটে হাতে-গোণা দুয়েকজন লোক। আমার প্রথম গন্তব্য ক্রাকোভ-এর শীর্ষস্থানীয় পর্যটক আকর্ষণ রিনেক গ্লুভ্নি (Rynek Glowny) অথবা সেন্ট্রাল স্কয়্যার। সে এক দেখার মত জিনিস বটে। হঠাৎ করে আমার সামনে রাস্তা শেষ হয়ে বিশাল এক স্কয়্যারে রূপান্তরিত হলো। ১০টা ঈদগাহ ময়দান যোগ দিলে যত বড় হতে পারে, রিনেক-কে ততো বড়ই মনে হলো। মধ্যযুগের সময়ে ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্কয়্যার ছিল এটা। স্কয়্যারের চতুর্দিকে সব আলিশান দালান-কোঠা, সেই আমলের স্থাপত্যকলায় তৈরী - ব্যারোক, গথিক বা ক্লাসিকাল। এই দালানগুলো সব এককালে উচ্চবর্গের প্রাসাদ বা বড়লোকদের বাড়িঘর ছিল। কিন্তু আজ আর তা নেই। দালানগুলোর বর্তমান বাসিন্দা হলো নামী-দামী রেস্তোরা, ব্যাংক আর বীমা কম্পানীর শাখা, গ্যেটে ইন্সটিটিউট-ব্রিটিশ কাউন্সিল জাতীয় প্রতিষ্ঠান। তার থেকেও বেশী দেখলাম দামী ব্র্যান্ডের দোকান। বেনেটন, গুচি, জারা - এইসব সহ আরো অনেক হাই-ক্লাস ব্র্যান্ডের দোকান চোখে পড়লো।
আমি যেই সকালে গিয়ে পৌঁছেছি, স্কয়্যার তখন মোটামুটি খালি। ক্যামেরাটা বের করে আস্তে আস্তে ছবি তোলা শুরু করলাম। বন্ধুর থেকে ধার করা ক্যামেরা, খুব ভালো সার্ভিস দিয়েছে আজকে। সকালটা বেশ মেঘলা ছিল, এটা নিয়ে পরে দুঃখ হয়েছে।
রিনেক স্কয়্যারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ তিনটি। প্রথমটি কশ্চিঊ মারিয়াৎস্কি (Kosciol Mariacki) অর্থাৎ সেন্ট মেরীর গীর্জা। ক্রাকোভ শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত নিদর্শন এটাই। মারিয়াৎস্কি গীর্জা স্কয়্যারের এক কোণা দখল করে বসে আছে, পুরো স্কয়্যারের উপর এক প্রকারের আধিপত্য তার। গীর্জার চুড়ায় দুটো টাওয়ার - কথিত আছে যে মধ্যযুগে তাতার বাহিনী যখন ক্রাকোভ-এর উপর হামলা চালাতে উদ্যত, তখন এই টাওয়ার থেকে এক প্রহরী তাতারদের দেখে ফেলে। শিঙ্গা বাজিয়ে সে শহরবাসীদের সতর্ক করতে গিয়েছিল। ঠিক তখনই এক তাতার সেনার তীর তার গলা ভেদ করে চলে যায়। এই ঘটনার স্মরণে - সত্যি কি মিথ্যা কে জানে - এখনো প্রতি দিন, এক ঘন্টা অন্তর অন্তর গীর্জার টাওয়ার থেকে শিঙ্গা বাজানো হয়। বিগ বেনের ঘন্টার মতই সেই বিউগেলের সুর পোল্যান্ডের জাতীয় রেডিওতে দৈনিক বাজ়ে।
গীর্জার বাইরের দেয়ালে পোপ জন পলের একটা আবক্ষ মুর্তি আছে। তিনি এখনো এই এলাকার বিশিষ্ট সম্মানিত ব্যক্তি। আজ তার সাথে আরো দুইবার সাক্ষাত হয়েছিলো।
মারিয়াৎস্কির ভেতরে
সবচেয়ে তাক লাগলো গীর্জার ভেতরে গিয়ে। সকাল থেকেই দেখছি একের পর এক মানুষ গীর্জাতে ঢুকছে বেরুচ্ছে - প্রার্থনার উদ্দেশ্যেই হবে কারন "পর্যটকদের ঢোকা নিষেধ" এই জাতীয় একটা সাইন টাঙ্গানো দেখেছি সামনের দেয়ালে। প্রথমে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কি করা উচিত। পরে জিজ্ঞেস করে জানলাম যে ঢোকা জায়েজ আছে, তবে পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকতে হবে পাঁচ য্লোতি ফি দিয়ে, সাধারণ মানুষদের থেকে দূরে থাকতে হবে, এবং ছবি তোলা বা ভিডিও করা একদম নিষেধ!
আমি ঢুকলাম। এবং একদম স্তব্ধ হয়ে গেলাম। আসলে মধ্যযুগে নির্মিত ইউরোপীয় গীর্জাগুলোর ভেতরে যে কি পরিমান কারুকাজ করা আছে, তা না দেখলে ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। ছবিই ভরসা। কল্পনা করুন গীর্জার ভেতরে ফ্লোর থেকে সিলিং পর্যন্ত উচ্চতা প্রায় ৬০-৭০ ফুট। লম্বায় একশো ফুটের বেশী। এই বিশাল স্পেসের ভেতরে রয়েছে পাথরে খোদাই করা যীশু মেরী আর খ্রীস্ট ধর্মের বিভিন্ন সেইন্টদের প্রতিকৃতি, রঙ্গীন কাঁচের জানালা (stained glass windows), রয়েছে গোল্ড লীফের আবরণ, কাঠের কারুকাজ, প্রতিটা দেয়ালের উজ্জ্বল রং-এর প্রলেপ, রয়েছে কালো মর্মর পাথরের ফলক, আরো অনেক অনেক কিছু। গত বছর লন্ডনের বিখ্যাত সেইন্ট পলের গীর্জার ভেতরে প্রবেশ করে আমি প্রথম টের পেয়েছিলাম যে মধ্যযুগের গীর্জাগুলো আসলে কি জিনিস। ইসলাম ধর্মে প্রার্থনার স্থানকে সহজ-সরল রাখাটাই রীতি। কিন্তু এই গীর্জাগুলোর নির্মানের পেছনে ভিন্ন দর্শন কাজ করেছে। অনেক কারনের একটা কারন ছিল (যতদূর জানি) তখনকার অফিশিয়াল চার্চ, মানে রোমান ক্যাথলিক চার্চের ধারনা যে সাধারণ মানুষ (যারা মধ্যযুগে বেশীর ভাগই অর্ধশিক্ষিত বা অশিক্ষিত, এবং ঘোরতর কুসংস্কারাচ্ছন্ন ছিল) - ক্যাথলিক কর্তৃপক্ষদের ধারনা ছিল যে গীর্জার জৌলুস দিয়ে এই বিশ্বাসী জনতার কাছে ঈশ্বরের মহিমা (এবং সাথে সাথে রোমান ক্যাথলিক চার্চের ক্ষমতা) সম্পর্কে একটা সিরিয়াস আন্দাজ দিতে হবে। "To overwhelm the faithful with the glory of God and the might of the Church."
যাই হোক, ফলাফলটা দেখার মতো। মারিয়াৎস্কি গীর্জার ভেতরে প্রবেশ করে অভিভূত হয়ে গেলাম। একেবারে সামনে যেই বেদী (altar), যার সামনে দাঁড়িয়ে যাজক নানান ধর্মীয় আচার সম্পন্ন করেন, সেই বেদীর পেছনে বিশাল এক polyptych - প্রায় ১০-১২ ফুট উঁচু, অনেকগুলো বর্ণাঢ্য প্যানেলের সমন্বয়, তাতে হাজারো রকমের ডিজাইন ও কারুকাজ। মারিয়াৎস্কির বেদীর এই কাঠের polyptych তৈরী করেন জার্মান শিল্পী ভাইট স্টোস (Veit Stoss) আজ থেকে ৫০০ বছর আগে। বলা হয় যে সমগ্র পোল্যান্ডের সংস্কৃতিতে মারিয়াৎস্কির বেদীর মত গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন আর দ্বিতীয়টি নেই।
ক্যাথলিক ধর্মের আপীল আজও অটুট
তবে সেটাও আমাকে সবচেয়ে অবাক করতে পারেনি। সবচেয়ে বেশী যেটা অবাক করেছে, এবং আজকে দিন যত পেরিয়েছে, যেই জিনিসটা আমার কাছে ক্রমাগত প্রতীয়্মান হয়েছে, তা হলো পোলিশ জনগোষ্ঠীর ধর্মভীরুতা। আজকে শনিবার ছিল, তাই আজকে চার্চে যাবার রেগুলার দিন না। কিন্তু দেখলাম আবাল বৃদ্ধ বণিতার এক অবিরত প্রবাহ - গীর্জায় ঢুকছে, হাঁটু গেড়ে কিছুক্ষণ প্রার্থনা করছে, কয়েক মিনিট দোয়া-দরুদ পড়ে বুকে ক্রুশের চিহ্ন এঁকে আবার বেরিয়ে যাচ্ছে যে যার কাজে। সব বয়সের মানুষকে দেখলাম আজকে গীর্জায় - একেবারে বাচ্চা ছেলে থেকে শুরু করে যুবক-যুবতী, আর বুড়ো-বুড়ির দল তো আছেই। অবাক হয়েছি কারন আমার ধারনা ছিল যে ৫০ বছরের কমিউনিস্ট শাসনের শেষে এইসব ধর্ম-টর্ম বোধ হয় মানুষের অন্তর থেকে লোপাট করে দেওয়া হয়েছিলো। বাস্তবে তার ধারে কাছেও নয়, বরং উল্টাটাই সত্যি মনে হলো। যদ্দুর দেখলাম আজকে, অন্তত ক্রাকোভ শহরে ক্যাথলিক ধর্ম এখনও মানুষের অন্তরে স্বীয় মর্যাদায় অটুট আছে। বেশ ইম্প্রেস্ড হয়েছি আসলে। আমাদের দেশেও এতো ধর্মভীরু হয় কি না লোকজন (অন্তত বাহ্যিক দিক থেকে), সন্দেহ আছে।
স্কয়্যারের আর বাকি দুটো গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন - এগুলো সুন্দর লেগেছে তবে মনে এতখানি দাগ কাটতে পারেনি। একটা হলো সুকিয়েনিৎসে (Sukiennice) - রিনেক স্কয়্যারের ঠিক মধ্যেখানে অবস্থিত একটা ক্রীম রংয়ের লম্বা, টানা দোতলা দালান। এর ভেতরে অনেক হ্যান্ডিক্রাফটসের স্টল - এখান থেকে কাল-পরশু বাসার জন্যে কিছু একটা কিনে নিয়ে যেতে হবে। তার সামনে আডাম মিৎস্কিয়েভিচ (Adam Mickiewicz)-এর বিশাল মূর্তি। ইনি পোল্যান্ডের সবচেয়ে বিখ্যাত লেখক - জার্মানদের যেমন গ্যেটে, ইংরেজদের যেমন শেকস্পীয়ার, পোলিশদের তেমন মিৎস্কিয়েভিচ। পোল্যান্ডের জাতীয় এপিক কবিতা 'পান তাদেউশ' (Pan Tadeusz) তারই সৃষ্টি। তাই দেশের সবচেয়ে বড় স্কয়্যারে তার বিশাল মুর্তি থাকবে না তো কারটা থাকবে!
আরো অনেক কিছুই ছিল দেখার মতো - যেমন সুকিয়েনিৎসের নীচের তলায় রয়েছে কাফে নোভোরোলস্কি। কমিউনিস্ট বিপ্লবের আগে লেনিন অনেক বছর পরবাসে কাটিয়েছিলেন - ক্রাকোভ-এও বসবাস করেছিলেন এক সময়। কাফে নোভোরোলস্কি ছিল তার প্রিয় কাফে। গ্যেটে-ও এই শহরে থেকেছেন একদা - তার স্মরণে একটা ফলক টাঙ্গানো আছে স্কয়্যারের এক কোনায়।
পিয়েরোগি আর ব্যাটারি
তো সারা সকাল এই রিনেক-এর আনাচে-কানাচে ঘুরে দেখার পরে লাগলো ক্ষিদা। একটা ট্র্যাডিশনাল পোলিশ রেস্তোরায় ঢুকে পড়লাম। ভাবলাম এদের বিখ্যাত স্থানীয় ডিশ পিয়েরোগি (Pierogi)-টা খেয়ে দেখি। পাতলা রুটির মধ্যে মাংস বা আলুর ফিলিং দিয়ে তৈরী এই পিয়েরোগি বা dumpling। খেতে মজাই, তবে যেটা কমন সমস্যা - এই দেশে মাংস বলতে আগে বোঝায় শুকরের মাংস, তারপরে ল্যাম্ব বা বীফ। আমি শেষমেষ আলু ভরা পিয়েরোগিটা খেলাম। একটু ভিন্নধর্মী স্বাদ কিন্তু melted পনির দিয়ে মাখিয়ে খেতে বেশ স্বাদু লাগলো।
মেজাজটা খারাপ হলো রেস্তোরা থেকে বেরিয়ে। দেখি ঝকঝকে রোদ চলে এসেছে। সারা সকাল আমি মলিন আকাশের নীচে সূর্যের চিহ্ন নেই, এমন আলোতে ছবি তুলেছিলাম। এখন আমার ছবি তোলা শেষ দেখে সূয্যি মামা বেরিয়েছেন। সূর্যের আলোয় রিনেক স্কয়্যার এক কথায় মোহনীয়, অপূর্ব। সেই মোলায়েম ক্রীম রং-এর প্রাসাদোপম দালানগুলোর উপর যখন হলদে আলো এসে পড়ে, এমনটা মনে হতেই পারে যে এটা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর স্কয়্যার। মারিয়াৎস্কি গীর্জার টাওয়ার নীল আকাশ ভেদ করে সটান দাঁড়িয়ে আছে, আর মরহুম মিৎস্কিয়েভিচ সবার ওপরে খবরদারি করছেন, তার দেশ লাইন মতন চলছে কিনা সেটাই যেন তদারকি করছেন তিনি রিনেক স্কয়্যার থেকে।
আর একটা জিনিস বলেই আজকে শেষ করবো। রাত ১টা বাজে, একটু হাই পাচ্ছে, তাই ভিয়েলিচকার অবিস্মরণীয় লবন-খনির গল্পটা জমা থাকলো। কালকে আবার এই ট্রিপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যা বলতে যাচ্ছিলাম তা হলো, এসব দেশে আসলে ভূলেও কখনো যে কোন রাস্তার দোকান থেকে ক্যামেরার জন্যে ব্যাটারি কিনবেন না। ভালো নামী-দামী টাইপ দোকান দেখে সেখানে ঢুকে ব্যাটারি কিনবেন। আমি আজকে দুই দুই জোড়া Duracell কিনে হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেছি। এক জোড়াও ২ ঘন্টার বেশী টেকেনি। চোরের দল সব। পরে এম্পিক নামের ডিপার্টমেন্ট স্টোরে গিয়ে ডিজ়িক্যামের জন্যে স্পেশাল শক্তিশালী দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি কিনেছি, সেটা এখন পর্যন্ত চলছে পুরোদমে। কিন্তু শুরুতে ঐ ভূলগুলো না করলেও পারতাম।
*
পিয়েরোগি খেতে খেতে দেশে একটা ফোন দিলাম। বাসায় এতক্ষণ জানাইনি যেহেতু। আম্মা ধরলো। তাকে বললাম, আম্মা বলতো আমি এখন কই? উনি বলেন, কই, আমি তো জানি না। আমি বললাম, আম্মা আমি পোল্যান্ডে! ওনার জবাব - ইশ আমি ভাবছিলাম তুই বুঝি বলবি তুই ঢাকায়। তা পোল্যান্ডে কি করোস?
নটে গাছটি মুড়োলো।
মন্তব্য
হায় রে! পোলার কি সেদিকে মন আছে? মায়েরে বোকা বানাইতে গিয়া নিজে ধরা!
মশকরা থাক। পূর্ব ইউরোপ অঞ্চলের জন্যে আমারও এক ধরনের আলাদা আগ্রহ। কোনোকালে যাওয়া হবে কি না জানি না, আপাতত আরেক বাঙালের চোখ দিয়েই দেখে রাখি। আর সে বাঙালের কলম যদি এমন চমৎকার হয়, মনে হয় না গেলেও খুব ক্ষতি হবে না।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
পড়ছি। ভালো লাগছে ভ্রমণকথন।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
লবন খনির গল্প -- জলদি জলদি চাই। ...এই পর্বের শেষাংশটা বেশ লিখেছেন। আহা রে মা - জননী!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আসলেই, হালাল-বাজিটা পুর্ব ইয়ুরোপ ভ্রমনকারি দের জন্য একটা লিমিটিং ফ্যক্টর; সত্যি বলতে এই বিষয়টা পশ্চিম ইউরোপের বড় শহরের বাইরে গেলেও অল্পবিস্তুর অনুভব করা যায়।
এইবার ভালো সলিউশন পাইলাম। আরবদের কাবাবের দোকানে গিয়া চিকেন শর্মা অর্ডার দিলে সেফ! এইবার যে কতগুলা 'কুর্চাক' কাবাব খাইলাম...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
নতুন মন্তব্য করুন