শিক্ষক ও লেখক আসাদুল্লাহ খান একটি চমৎকার (ভীতিকর?!) লেখা দিয়েছেন শনিবারের ডেইলি স্টার পত্রিকায়। ব্যাপক বেকারত্বের কারনে আমাদের যুবসমাজের একটি বড় অংশ - বিশেষ করে নিম্ন আয়ের বা নিম্ন শিক্ষার যুবকরা - পরিত্রাণের উপায় হিসেবে বিদেশকে বেছে নিচ্ছেন। আসাদুল্লাহ খানের সুদীর্ঘ রচনায় অনেক কিছুই উঠে এসেছে, যা আমাদের ভাবিয়ে তুলতে বাধ্য। (যেমন প্রতি বছর ১৫ লক্ষ যুবক লেবার ফোর্সে নতুন প্রবেশ করছে, কিন্তু মাত্র ৫ লক্ষ যুবকের কাজের সংকুলান হচ্ছে। বাকি ১০ লক্ষ বেকারত্বের তালিকা ভারী করছে।) তার এইসব পর্যবেক্ষণ নিয়ে আরো লেখার ইচ্ছা আছে, তবে প্রথমে একটা প্রামাণ্য আর আরো কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরতে চাই।
কয়েক বছর আগে শুনেছিলাম কিভাবে স্পেন-গামী কিছু দেশীয় তরুণ ভূমধ্য সাগরে একটি ডিঙ্গি নৌকায় আটকে পড়েছিল, কিভাবে তারা মারা গিয়েছিল, আর বেঁচে থাকার লক্ষ্যে নরমাংস ভোজনে বাধ্য হয়েছিল। মৃদুল চৌধুরীর অসাধারণ প্রামাণ্যচিত্র দেশান্তরী-তে সেই করুন কাহিনীর বর্ণনা রয়েছে। একেবারে শেষে এসে মৃদুল স্পেন-ফেরত সেই তরুণদের একজনকে জিজ্ঞেস করেন তার ভবিষ্যত চিন্তা সম্পর্কে। বিদেশ নামের সোনার হরিণ ধাওয়া করতে গিয়ে যেই ছেলেটি মৃত্যুর কাছাকাছি চলে এসেছিল, সে বলে ওঠে অবলীলায় যে সুযোগ পেলে সে আবারো বিদেশ যেতে আগ্রহী!!! এই কি তাহলে প্রকৃত অবস্থা??
অফিশিয়াল পরিসংখ্যান দেখলে ব্যাপারটি আরো পরিষ্কার হয়। বিদেশে পলায়নরত মানুষের ঢল দিনে দিনে বাড়ছে বই কমছে না। কিভাবে বাড়ছে দেখা যাক -
* ২০০৪-০৫ সালে ২৫০,০০০ লোক অভিবাসী, দেশত্যাগী হয়েছিল
* ২০০৫-০৬ সালে ২৯১,০০০ লোক
* ২০০৬-০৭ সালে ৪২১,০০০ লোক (কেবল প্রথম দশ মাসের হিসাব)
গত সপ্তাহে Independent সংবাদপত্রের একটি রিপোর্টে এসেছে যে গত বছর আট লক্ষাধিক বাংলাদেশী দেশত্যাগ করেছে কাজের খোঁজে। এমন একটি সংখ্যা আমাদের বিস্মিত না করে পারে না। ৮৩২,৬০০ - মানে আগের বছরের প্রায় দ্বিগুণ। আর এতো গেলো কেবল অফিশিয়াল হিসাব। আনঅফিশিয়ালি আরো কয়জন গিয়েছে সে হিসাব কে রাখে?
অবধারিতভাবে প্রশ্ন ওঠে যে বেকারত্ব সমস্যা, আমাদের যুবসমাজের হতাশা তাহলে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে? যেই বাংলাদেশ-কে নিয়ে বিদেশী ব্যাংকরা এতো গরম গরম রিপোর্ট লিখেছিল, তার প্রকৃত রূপ কি? ইংরেজীতে একটি কথা আছে, voting with your feet। মানে একটি অঞ্চলের ভবিষ্যত নিয়ে তার মানুষ কতখানি আশাবাদী তা বোঝা যায় তাদের কথা থেকে নয়, তাদের গালভরা বুলি থেকে নয়, বরং তাদের আসল ব্যবহার থেকে। তারা কি নিজ দেশেই আশার আলো দেখছে, কাজ-কর্ম আয়-উপার্জন আর পরিবার-পরিজনের কথা ভাবছে? নাকি বাধ্য হয়ে পা চালিয়ে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে চাকরি আর টাকার খোঁজে?
ঢাকার নানান আদম-বেপারীর অফিসের সামনে জনমানুষের ঢল যারা দেখেছেন, তাদের এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে কোন সন্দেহ থাকবে না।
এদিকে আমাদের শহুরে সমাজ তাদের আরাম-আয়েশ নিয়ে ব্যস্ত। গুলশান বনানীতে অফিস, উত্তরায় ফ্ল্যাট। মোবাইলে মিনিট, টিভিতে টক শো, আর কফি ওয়ার্ল্ডের ২০০ টাকার স্যান্ডউইচ। মাঝে মাঝে কজমো-তে গিয়ে "সংস্কৃতির ঢাক তেরে কেটে থাক থাক"। এদের কিছুই স্পর্শ করে না। এসি দেওয়া গাড়ির জানালার ওপাশের হতাশাগ্রস্ত, জর্জরিত, মূল্যস্ফীতিতে কাবু সাধারণ মানুষের ঢল তাদের ছুঁতে পারে না।
ফেব্রুয়ারী মাস আমাদের গর্বের মাস। বাংলা ভাষা ও বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ে ৫৬ বছর আগে প্রাণ দিয়েছিল কিছু তরুণ দেশপ্রেমী। এই মাসে তাই দেশ-দেশ করে আকাশ বাতাস ফাটিয়ে ফেলি আমরা, সংস্কৃতিমনা শহুরে মধ্যবিত্ত। করি বইমেলা, গায়ে চাপাই দামী পাঞ্জাবী বা লাল পাড়ের শাড়ি।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, সালাম বরকত কি এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিল? রফিক জব্বার কি এমন দেশ চেয়েছিল? কি করলে অন্তত আমাদের যুবসমাজ বাংলাদেশকে আবার ভোট অফ কনফিডেন্স দেবে? কি করলে আমাদের মানুষদের আমাদের দেশের গন্ডিতেই ধরে রাখা যাবে? কি করলে তাদের কর্মসংস্থান আয়-উপার্জন তথা অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত হবে?
দেশান্তরী-র প্রিভিউ
মন্তব্য
আসলেই আর কত??
কিন্তু কি ই বা করতে পারি?
২ অথবা ৩ দিন আগে আনিসুল হক প্রথম আলো তে লিখেছিলেন যে কিভাবে আমাদের গোটা অর্থনীতি প্রবাসীদের আয়ের উপর নির্ভর করে।
বরং আরো সহজ করে বললে প্রবাসী শ্রমিকদের আয়ই টিকিয়ে রেখেছে রুগন অর্থনীতি।
একটা ঘটনা বলি
৯০ সালের কথা।
আমার মামতো ভাই। নাম মনি।ইন্টার পাশ করে আর পড়বে না। কাচা টাকার নেশায় যাবে কোরিয়া। নিজে গেলো তো গেলোই সাথে নিয়ে গেলো আরো কয়েকটা পোলাপান। কেউ জমির সবটা কেউবা বাড়িটা বন্ধক রেখে টাকার যোগাড় হলো।
২০,০০০-২৫,০০০ করে বেতন পেতো।আমি বলবো কপাল ভালো।পুরা পরিবারের চেহারা পাল্টে গেলো।
মনির বড় ভাই পড়ত মেডিকেলে। পাশ করে বিসিএস এ টিকে গেলো।বেতন নব মিলিয়ে ৬৮০০টাকা।
এখন আপনিই বলুন ইন্টারে পড়া একটা ছেলে বাবকে বললে বাবা কেনো তার জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশ পাঠাবে না?
এ ধারাকে কিভাবে একদিনে বদলাবেন?
দেশে কাজকর্মের সুযোগ না থাকলে উপার্জনেচ্ছু মানুষ বিদেশমুখী হবে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। পৃথিবীর সব দেশেই হয়। কিন্তু আমাদের মতো এই ভয়াবহ অবস্থা আর কোথাও আছে কি না সন্দেহ। বছরে কয়েক লক্ষ মেক্সিকান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র-নদী পার হয়ে, সীমান্ত ডিঙিয়ে আমেরিকা আসে। তারা জানে, একবার পৌঁছতে পারলে ব্যবস্থা একটা হবেই। অথচ আমাদের দেশের যুবকরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে জেনেশুনে অন্ধকারে ঝাঁপ দিয়ে পড়ছে, যে গল্প তাদের বলে বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারা নিজেরাও হয়তো তা শতভাগ বিশ্বাস করে না। তবু যায়, যদি সত্যি হয়, এই আশা নিয়ে। হয়ে গেলে পরিবারের অন্নসংস্থান হয়, বোনের বিয়েটা দেওয়া যায়।
গত তিন-চার দশক ধরে সরকারের চোখের সামনে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর প্রতারিত হচ্ছে, কোনো প্রতিকার কখনো হয়নি। কোনো আদম-ব্যাপারীর বড়ো কোনো শাস্তির ঘটনা আমার অন্তত জানা নেই।
দেশে কর্মসংস্থান যে হয় না, তার কারণও আপনার লেখায়ই পড়েছি। সব টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে অনুৎপাদনশীল খাতে। টাকা হাতে আছে এমন মানুষদের উৎপাদনমুখী শিল্পে বিনিয়োগে উৎসাহী করা খুব কি কঠিন কাজ? বিনিয়োগকারী কি কি সুবিধা চান, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা পাল্টানো যায়। আমরা বিদেশী বিনিয়োগের জন্যে কাপড় খুলে রাস্তায় দাঁড়াতে পারি, দেশীয়দের জন্যে নয় কেন?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
বিনিয়োগকারী কি কি সুবিধা চান, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা পাল্টানো যায়।
দেশের আমলা শ্রেণীর সবারই তো বড় বড় ডিগ্রি আছে এই সব বিষয়ে। রিফর্ম-এ কতগুলো পদক্ষেপ থাকবে, সেটা তারা জানবেন, কিন্তু রিফর্মের সর্বপ্রথম পদক্ষেপটা কি সেটা আমি বলতে পারি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অন্তত একটা টোকেন প্রচেষ্টা লাগবে আর সমাজ ও রাজনীতির সবচেয়ে উঁচু স্তরে যে ঢালাও দুর্নীতি, সেটা প্রতিরোধ করতে হবে যে কোন মূল্যে। তাদের থেকে মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত নিয়ম ভাঙা শিখেছে।
চীনারা তাদের দূর্নীতিবাজদের গুলি করে মারে - হোক না সে বেইজিং বা শাংহাইয়ের পার্টি সেক্রেটারি। মাছ পচে মাথা থেকে, আমাদের সমাজের সেই দশা।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আসলেই দেশী বিনিয়োগের ব্যাপারটা সবসময়ই উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। আমরা বিদেশী বিনিয়োগকে আকর্ষন করার যত চেষ্টা যত সভা সেমিনার করছি দেশী বিনিয়োগ নিয়ে ততটা ভাবছি না। অথচ বহু বাঙালী নানা দেশে সাফল্যের সাথে ব্যবসা করছে।
তাহলে কি বলব পুজির অভাব নাকি কেউ বাংলাদেশে বিনিয়োগের ঝুকিই নিতেই চায় না।
আমরা কেন একটা জিনিস বুঝিনা যে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
আর হালের বহুজাতিক কোম্পানির মাঝে বিস্তর ফারাক নাই।
তাহলে কি বিদেশী বিনিয়োগ দেশীস্বার্থবিরোধী? সুবিনয় মুস্তফী ভাই ভালো বলতে পারবেন।
সাধারন নাগরিক হিসাবে এটুকু দায়ভার নিতে রাজি যে "আমার দেশকে কোনো বিদেশী এসে গড়ে দিয়ে যাবে না, আমারা দেশ আমাকেই গড়তে হবে"।
আর যদি কোন বহুজাতিক উইন-উইন(win-win) সমাধান নিয়ে আসে আমি বলব স্বাগতম।
ratuliut@gmail.com
এদিকে আমাদের শহুরে সমাজ তাদের আরাম-আয়েশ নিয়ে ব্যস্ত। গুলশান বনানীতে অফিস, উত্তরায় ফ্ল্যাট। মোবাইলে মিনিট, টিভিতে টক শো, আর কফি ওয়ার্ল্ডের ২০০ টাকার স্যান্ডউইচ। মাঝে মাঝে কজমো-তে গিয়ে "সংস্কৃতির ঢাক তেরে কেটে থাক থাক"। এদের কিছুই স্পর্শ করে না। এসি দেওয়া গাড়ির জানালার ওপাশের হতাশাগ্রস্ত, জর্জরিত, মূল্যস্ফীতিতে কাবু সাধারণ মানুষের ঢল তাদের ছুঁতে পারে না।
না, এদের এগুলো স্পর্শ করবে না। শুধু বস্ত্রশিল্পের কথাই ধরুন; কর্মসংস্থানের বিশাল উৎস। সেখানে কি শ্রমের মূল্যটা যথাযথ দেয়া হচ্ছে? কার জানি এক মাসের সিগারেটের বাজেট তার কারখানার তিন জন শ্রমিকের পুরো মাসের বেতন। মফস্বল থেকে দারিদ্র্যের বিশীর্ণ মানুষ যখন শহরে এসে ন্যূনতম উপার্জনে ব্যর্থ হয় তখন বিদেশমুখীতা প্রবল হয়ে ওঠে। বছরের পর বছরের হাঁড়ভাঙা খাটুনির পরে হয়তো পাওয়ার খাতায় যোগ হয় - 'বোনটার বিয়ে, ভাইটার কলেজ'। আরও ইন্টারেস্টিংলি - সামাজিক উন্নয়ন (!) হিসাবে মসজিদে মাইক-ফ্যান-টিউব লাইটে এদেরই দান-খয়রাত বেশি। দেশে বিনিয়োগ হলেও আমাদের বিদেশমুখী এ গোষ্ঠী তথাকথিত 'নিঁচু মানের কাজ' স্বদেশে করবে কিনা সেটা প্রশ্ন থেকে যাবে। পেশাগত মর্যাদার সামাজিক অবস্থান নিয়ে আমরা এখনও খুব বেশী সচেতন, এবং তা একটু বেশি মাত্রাতেই।
সুবিনয় মুস্তাফি ভাই বরাবরের মত আরেকটা ভালো লেখা শুরু করতে যাচ্ছেন ।
জুবায়ের ভাই এর মন্তব্যের সাথে সহমত
প্রবাসি দের টাকার উপর চলা আরেক দেশ হলো ফিলিপাইন
আজকের দক্ষিন কোরিয়ার প্রায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক এককালের প্রবাসি ছিলেন তারা বাইরে থেকে দেখে শিখে নিজের দেশে গিয়ে সেই শিল্প বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন ।
দেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে বড় বড় বুলি দেখি পত্রিকাতে বাংলাদেশের যেই রাজনৈতিক কালচার মানে কথায় কথায় হরতাল গাড়ি ভাংচুর দোকান ভাংচুর সভা সমিতির নামে চান্দা বাজি আর সরকারি অফিস আদালতের ঘুষ এর কথা বাদ দিলাম কিন্তু এর বাইরেও আজাইরা কিছু পারমিশন নিতে হয় এবং বলা কওয়া ছাড়া নিয়ম বদল হয় ।
এই কালচার পুরা বাদ দিতে না পারলে বিদেশিরা এক আনাও বিনিয়োগ করবে না ।
আর ভারতীয়রা এই কালচারের সাথে পরিচিত দেখেই বাংলাদেশে টাকা খাটাতে আগ্রহি হয় ।
দেশান্তরী ঠেকাতে হলে
দেশে প্রচুর কর্মসংস্থান করতে হবে এবং
করা সম্ভব
সেই রকম স্কোপ ও আছে বাংলাদেশে
সেই রকম মেধাবি ছেলে ও আছে দেশে
কিন্তু
সবার আগে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের অঙ্গ সঙ্গগঠনের মাধ্যমে যে চান্দাবাজি করে সেটা বন্ধ করতে হবে
সরকারকে দেশীয় ইনভেস্টরদের বা প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারিদের নিরাপত্তা দিতে হবে ।
যেকোনো দেশের বানিজ্যের জন্য পথ ঘাট একটা জরুরি বিষয় যেমন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এর দুরত্ব রাফলি ২০০কিলোমিটার এইটুকু পথ অতিক্রম করতে একটা বাসের বা ট্রাকের সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা তার মানে কি দাড়াচ্ছে ?
আমাদের অর্থনিতী ও ওই রকম ঘন্টায় ১৮ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে চলতেছে।
যাই হউক সুবিনয় মুস্তাফি ভাই এর বাকি অংশের অপেক্ষায় রইলাম
আপনের প্রতিটা কথা সত্যি। সরকার যদি কেবল এই দুইটা জিনিসে মনোযোগ দিতো - দুর্নীতি দমন আর অবকাঠামো উন্নয়ন - তাইলেও অর্থনীতির স্পীড ৫০-এ উঠে যেতো। কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বলতার কারনে শিক্ষা-স্বাস্থ্য জাতীয় 'soft' উন্নয়ন পদক্ষেপগুলা নিচ্ছে ব্র্যাক, গ্রামীন, এনজিও। কিন্তু দুর্নীতি দমন বা infrastructure improvement, এই সব 'শক্ত' পদক্ষেপগুলার জন্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কোন বিকল্প নাই। এই সততা আর যোগ্যতা কবে আসবে শাসন ব্যবস্থায়?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
বিদেশে কাজ করতে আসা দেশের জন্য খারাপ তা মনে হয়না। আদম ব্যাপারীর খপ্পরে পড়ে যেন না আসতে হয় যে চেষ্টাই করা দরকার। দেশের বেকারদের কর্মসংস্থান দেশে হবে এমন আশাবাদি হওয়ার কোন কারণ দেখছিনা।
...............................
আমার লেখাগুলো আসে স্বপ্নের মাঝে; স্বপ্ন শেষে সেগুলো হারিয়ে যায়।
প্রকৃতি ভাই,
তাই যদি হয়, তাহলে আমরা শহুরে মধ্যবিত্তরা কি নিয়ে এতো গর্ব করি? বাংলাদেশে কি শুধু আমাদের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির বিবিএ পাশ ছেলেমেয়েদেরই জায়গা হবে? গ্রামের আর মফস্বলের ছেলেদের কি মধ্যপ্রাচ্য-মালয়েশিয়াই একমাত্র গন্তব্য? এই ব্যবস্থা নিয়েই কি তাদের সবসময় শান্ত থাকতে হবে? তারা কি সব সময় শান্ত থাকবে?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
হুমম।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
সুবিনয় মুস্তাফী ভাই
দেশান্তরী নিয়ে লেখাটা শুরু করছেন
দেশান্তরী ডকুমেন্টারিটাও আমি দেখেছি
আমার প্রশ্ন বাংলাদেশের গ্রামের ছেলে যদি অবৈধ ভাবে কোরিয়া যেয়ে বা স্পেনে যেয়ে লাখ লাখ টাকা পাঠাতে পারে
বাংলাদেশ সরকার কেনো তাদের বৈধ ভাবে যেতে সহায়তা করে না ।
বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন গুলি কি করতেছে?
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অথচ এই মধ্যপ্রাচ্যে ঝারুদার হিসেবে যেতে একটা গ্রামের যুবকের জমি বিক্রি করে বা বন্ধক রেখে যেতে হয় ।
কেনো?
বাংলাদেশ সরকার পাড়ে না এই নিন্ম আয়ের লোকদের বিনা খরচে বিদেশে পাঠাতে ?
সৌদী আরব বা কুয়েত এর প্রায় কম্পানিই কিন্তু টিকেট দিয়ে, দেশের এজেন্ট দের ফি দিয়ে, সরকারি ফি দিয়ে তারপর আমাদের দেশ থেকে শ্রমিক নেয়।
এত কিছুর পরও গ্রামের আবুল ফজলু দের জমি বন্ধক দিতে হয় ।
সরকার ও মহামান্যমান আমলা শ্রেনীর একটু চেষ্টাতেই কিন্তু এই প্যাচ খোলা সম্ভব ।
আরও দুঃখজনক ব্যাপার কি জানেন
বাংলাদেশের সরকারী লোকজন ঘুষ খাওয়ার ব্যাপার এ হেভী নেগোশিয়েট করতে পারেন কিন্তু দেশের বেলায় উনাদের এই নেগোশিয়েশন পাওয়ার কই যায় আল্লায় জানে ।
কেনো বললাম কথাটা
প্রায় সবগুলি আরব দেশেই দেশ ভিত্তিক বেতন নির্ধারন করা আছে
যেমন ইন্ডিয়ান ম্যাকানিক এর বেতন ১০০০ - ১৫০০ রিয়াল এর নিচে হবে না
পাকিস্তানি দের ও ১২০০ থেকে ১৬০০ রিয়ালের মধ্যে হতে হবে
আমেরিকান বা কানাডিয়ান ম্যাকানিক এর বেতন হবে ইউ ,এস ডলারে মিনিমাম ২০০০$ থেকে ২২০০ডলার
একই কাজে একই পজিশনে
বাংলাদেশি একটা ম্যাকানিকের বেতন ৮০০ রিয়াল থেকে ১২০০ রিয়াল বেতন ধরা হয়
এমনই ভাবে বাংলাদেশি ক্লিনারদের বেতন বাংলাদেশ সরকার থেকে বলা আছে ৩৫০ রিয়াল বেতনে দেশ থেকে ক্লিনার নিতে পারবে।
বাংলাদেশী ডাক্তার দেরও একই হাল
অনেকসময় দেখা যায় বাংলাদেশি ডাক্তার থেকে তার ফিলিপিনো বা ব্রিটিশ নার্স বেশি বেতন পায় ।
এর কারন শুধু মাত্র বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপক (অজ্ঞতা কিনা জানিনা ) অবহেলা
বাংলাদেশ হাইকমিশন এর বাঘা বাঘা অফিসাররা !!!!!
যেই দেশেই থাকেন উনাদের আত্মীয়ের মনে হয় অভাব হয় না তাই
দাওয়াত খেতে খেতে আর পাসপোর্ট রিনিউ করার সিগনেচার করতে করতে উনাদের বাকি কাজ করার টাইম নাই ।
নতুন মন্তব্য করুন