ফিরে এসে

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
লিখেছেন সুবিনয় মুস্তফী (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৪/২০০৮ - ৭:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoফিরে এসেই শত ব্যস্ততার মাঝে আটকে গেছি। কাজের চাপ বেশ। আমার আগের বস চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিন মাসের জন্যে দুনিয়া ঘুরতে চলে গেছে। বর্তমানে বস-বিহীন জীবনযাপন করছি। কিন্তু তাতে কাজের কমতি নেই।

ওদিকে বাজার - তার কথা আর না বলি। আজকে এই নয়া মন্দার প্রথম বড় খড়গ পড়লো লন্ডনের ব্যাংকিং সেক্টরে। হেডলাইনই সব বলে দেয় - সিটিতে রক্তাক্ত দিন। ১,৩০০ লোক ছাটাই হয়েছে, কালকে খুব সম্ভবত আরো ১,০০০ মাথা কাটা যাবে। এখানেই শেষ না। কারো কারো হিসাব মতে এই যাত্রায় লন্ডনে ৪০,০০০ চাকরি চলে যেতে পারে। নিজেরটা যাতে ৪০,০০১ না হয়, সেই চেষ্টায় সদা সচেষ্ট!

*

এতো কিছুর মধ্যে ওয়াইল্ড ওয়েস্ট সফরের প্রতি কোন সুবিচার করতে পারলাম না। ব্লগে দুটো কথার বেশী লেখা হয়নি। তবে লেখাটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল। সুযোগ পেলে একদম গহীন রাতে নিজের ব্লগে দুই প্যারা লিখে রেখে দিতাম - তাও যদি হোটেল/মোটেলে ওয়্যারলেস ইন্টারনেট মিলতো। ১০ দিনে ৩,৩০০ মাইল কভার করা মানে দিনের একটা বড় অংশ হাইওয়েতে কাটিয়েছিলাম। আর বাকি সময় দৃশ্য দর্শনে।

একটু আগে রাত জেগে রাসেল আর আমার তোলা সব ছবিগুলো ঘাটছিলাম। কয়েক গিগা পার হয়ে গেছে! তার থেকে কিছু ছবি তুলে দিলাম ফ্লিকারে। আমাদের সফরের প্রথম দিন কেবল। ধীরে ধীরে সময় করে আরো এলবাম বানানোর ইচ্ছা আছে... কি একটা অদ্ভূত যাদুকরী সময়ই না কেটেছিলো... এখন নিজেরই বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।

*

উল্লেখ্য - এই ছবিগুলোর আগের দিন মুহাম্মদ জুবায়ের ভাইয়ের বাড়িতে সকালের নাস্তার দাওয়াত খেয়েছিলাম। ভাই আর ভাবি দুজনই অতি চমৎকার মানুষ - অতিথিপরায়ণ, আড্ডাবাজ! নাস্তাও হয়েছিল দারুণ সুস্বাদু। জুবায়ের ভাইয়ের কল্যানে সেদিন সকালে ইশতি রউফের সাথেও ফোনে আলাপের সুযোগ হয়েছিলো। পরেরবার দেখা হবে আশা করছি...


মন্তব্য

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

মাত্র ‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍গতকালই ব্লগে ঘুরতে ঘুরতে ভাবছিলাম, আপনার লেখা দেখছি না কেন ইদানীং?

ছবিগুলো দেখে মনে পড়লো মান্না দে-র একটি গানের লাইন "দিকে দিকে শুধু নাই..."। এতো সবুজের আকাল ওখানে?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিজেকে জয় করার অর্থ বিজয় না পরাজয়? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

নাস্তাও হয়েছিল দারুণ সুস্বাদু।

এই বালক অসত্য ভাষণে পটু। সে কিছুই খায়নি। সেদিন সকালে তার জন্যে না খেয়ে বসে ছিলাম, অথচ এসে জানালো ভরপেট খেয়ে এসেছে। বোধহয় ভয় ছিলো মনে, যদি খেতে না দিই! চোখ টিপি

তবে মানুষ তো আর সর্বক্ষণ মিথ্যা বলতে পারে না। যেমন আগের বাক্যেই বলেছে, আমরা মানুষ ভালো। এইটুকু সত্য বলে মানতে আপত্তি করা যায় কি? চোখ টিপি

মজার কথা, ঐ দিনই আমারও ইশতিয়াক রউফের সঙ্গে প্রথম কথা হয়, যদিও ফোন নাম্বার চালাচালি আগেই হয়েছিলো।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

তীরন্দাজ এর ছবি

বড়ই অস্থির সময়! আমাদের এখানেও...(জার্মানীতে)। ব্যাংক বসদের চাকুরী যাচ্ছে..সেই সাথে আরো অনেকেরই।

**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অনেকদিন পরে আপনার লেখা পেলাম ।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হুমম। মেলাদিন পর লিখলেন।...

১০ দিনে ৩,৩০০ মাইল কভার করা মানে দিনের একটা বড় অংশ হাইওয়েতে কাটিয়েছিলাম। আর বাকি সময় দৃশ্য দর্শনে।

ওরে বাব্বা! বলেন কী!

ছবিগুলো দেখলাম। কেমন যেনো প্রাণহীন, জনমানুষ শুন্য, কঠিন প্রকৃতি, কুহকময় পাহাড়-অরণ্য। ...

ব্যাস্ততা কমলে বাছাই করা ছবিসহ বিস্তারিত ভ্রমন বৃত্তান্ত লিখবেন নিশ্চয়ই?


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ওই মিয়া আমারে ফোন দিলেন না একটা! শত ঝামেলা হইলেও এট্টু কথা তো বলা যাইত।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

তুমি ফিনিক্সে আছো না অন্য কোথাও চলে গেছো, সেটাই শিওর হইতে পারতেছিলাম না। তবে কল না দেওয়াটা অন্যায় হইছে, মানলাম!

অবশ্য যাওয়া আসার উপরেই আছি, তাই আজ নেহি তো কাল...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।