সময়ের চাকা ঘুরে, কিন্তু কিছুই বদলায় না।
প্রায় দুই বছর আগে ঢাকা শহরের অভিজাত ধানমন্ডি এলাকার একটি দৃশ্য। ছয়তালা উঁচু বারান্দা থেকে দুটি মেয়ে পড়ে যাচ্ছে ধরণীর দিকে। পাখির মত পলকা শরীর, কিন্তু মেয়ে দুটোর কোন ডানা নেই। তাই তারা উড়তে পারছেনা, উড়ে চলে যেতে পারছেনা বন্দি-জীবন, বান্দি-জীবন ছেড়ে।
মেয়ে দুটোর নাম ছিল মাধবী আর মনি। মনি তৎক্ষনাৎ মারা যায়। মাধবীর বয়স মনির থেকে কম। তার পায়ের হাড়-গোড়গুলো চুরমার হয়ে যায়। কিন্তু নেহায়েত কপালগুণে সে বাঁচে। মেয়ে দুটোকে ধাক্কা দিয়েছিল বাড়ির কর্ত্রী কল্পনা মজুমদার। ঈস্টার্ন ব্যাংকের বড় কর্মকর্তার স্ত্রী। খোলস আগা-গোড়াই ভদ্রলোক শ্রেণীর - ধানমন্ডির বাসা, বাচ্চারা ভালো স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করে। বড়টা বুয়েট, ছোটটা ইংলিশ মিডিয়াম।
কিন্তু খোলসের নীচে পশুর মূর্তি।
২০০৬ সালের অক্টোবরে সেই গল্পের উপর প্রচ্ছদ ফীচার লিখেছিলেন ডেইলি স্টার-এর শুক্রবার ম্যাগাজিনের সেরা রিপোর্টার হানা আহমেদ। ঐ পত্রিকায় রিপোর্ট লিখেন অনেকেই, কিন্তু হানার মতো তীক্ষ্ণ চোখ, লেখনী শক্তি আর প্রখর নীতিবোধ বোধ করি আর কারো নেই। বিভিন্ন অবিচার অনাচার নিয়ে অবিরাম লিখেই যান তিনি। তার সেদিনের রিপোর্টে আরো অনেক দাসীর কিচ্ছা ছিল - মোস্তাকিনা যাকে জোর করে পেশাব খাওয়ানো হয়েছিল। রাজশাহীর শিরীন যাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। মোহাম্মদপুরের ফেন্সী যাকে মেরে ধরে বুড়িগঙায় ফেলে আসা হয়েছিল।
*
(হানার সাথে তখন কোন পরিচয় নেই। মাধবীর উপর ওর প্রচ্ছদ রিপোর্ট পড়ে আমি তখন যেই ব্লগে বেশী লেখালেখি করতাম, মেজাজ খিঁচড়ে সেখানে একটা লেখা দিয়েছিলাম। সেই লেখাটি চোখে পড়ে এক ঢাকা-প্রবাসী পাঠকের। এন্ড্রু মরিস প্রায় এক যুগ ধরে ঢাকায় থাকে। আমাদের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের টিচার ট্রেনিং প্রোগ্রাম তৈরীতে সে নিয়োজিত। বাংলা বলে, বলতে গেলে বাংলা চলেও।
কোন এক তাড়নায়, যেই তাড়না আমাদের ভদ্রলোক শ্রেনী কখনোই অনুভব করে না (হয়তোবা 'নীচু-বর্ণের' গরীবের ব্যাপারে আমরা অন্তর থেকে এত উদাসীন, যে সাউথ আফ্রিকার বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ সমাজের মতই হয়ে গেছি এখন) - সেই তাড়না এই এন্ড্রুকে তাড়িত করে। সে ব্লগের মাধ্যমে হানার সাথে যোগাযোগ করে, হাসপাতালে মাধবীকে খুঁজে পায়। সস্ত্রীক হাসপাতাল ভিজিট করে দিনের পর দিন, চিকিৎসার খরচ যোগাড় করে। মাধবী তার গ্রামের বাড়ি রংপুরে ফেরত যাওয়ার পরেও এন্ড্রু মাধবীর সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে। রংপুর যাত্রার সেই গল্প লিপিবদ্ধ আছে এন্ড্রু-র ব্যক্তিগত ব্লগে। (মিটিং মাধবী ও অন্যান্য।)
টিচার ট্রেনিং-এর পাশাপাশি গান-বাজনা করে এন্ড্রু - এককালে স্যাক্সোফোন বাজাতো। বিদেশীদের জন্যে বিভিন্ন ক্লাবে সে আবার স্যাক্স বাজানো শুরু করে। যা টাকা ওঠে, দান করে নির্যাতিত নারী-শিশুদের প্রতিষ্ঠান BNWLA-র কাছে, ওদের তদারকীতে হোস্টেল নির্মাণ কর্মসূচীতে। যদ্দূর জানি শুধু গান করে এই বুড়োছেলে আজ পর্যন্ত হোস্টেলের জন্যে প্রায় ১৩-১৪ লাখ টাকা উঠিয়েছে। হোস্টেলের কিছু ছবি আছে এখানে।
দুই বছর আগের সেই সকালে ব্লগ লেখার আগে এদের কাউকেই জানতাম না, চিনতাম না। কিন্তু পরবর্তীতে ধীরে ধীরে হানা আর এন্ড্রুর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। বিশেষ করে এন্ড্রুর সাথে, শুনেছি গত ১২ মাসে ওর বিভিন্ন ব্যক্তিগত আর পারিবারিক দুর্যোগের মাঝেও হোস্টেল তহবিলের জন্যে ফান্ড-রেইজিং ও অব্যাহত রেখেছে।
অর্ণবের ভক্তরাও হয়তো এন্ড্রু-কে চিনতে পারবেন। বছরখানেক ধরে দুজনে এক সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বাজাচ্ছেন। মাঝখানে শুনেছিলাম 'অর্ণব আর এন্ড্রু' নামের কনসার্ট হয়েছিল আলাদা করে। জীবনে দেখা অমায়িক আর দরদী মানুষ বলতে যদি কিছু থেকে থাকে, তাহলে তা হবে এন্ড্রু নামের এই আপন কক্ষচ্যুত আধা-বাঙ্গাল মানুষটা।)
*
কিন্তু মাধবী আর এন্ড্রু তো একটা কেস মাত্র।
আগের কথায় ফিরে আসি। আজ দুই বছর পরে আবার ছুটির দিন। আবার সকালবেলা হানার লেখা। আবার ডেইলি স্টারের শুক্রবারের পত্রিকায়। আবার সেই ঘরের কাজের লোকের উপর অত্যাচার,যার কোন শেষ নেই, শেষ নেই, শেষ নেই। মনে হয় এক অনন্ত লুপের ভেতর বসবাস করে এসব খবর।
এবারের ভদ্রমহিলার নাম ওয়াহিদা আক্তার। গরম খুন্তি ব্যবহারে পারঙ্গম। আর অত্যাচারিতের নাম রত্না।
ওয়াহিদার স্বামীর নাম রফিকুল আলম - সিলেটের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। বুঝেন অবস্থা - সিরিয়াস হোমড়া চোমড়া। নিঃসন্দেহে ভদ্রলোক শ্রেণীর আরেক জ্বলজ্বলে উদাহরণ। রফিকুল আলম তার বৌকে যখন জিজ্ঞেস করেছিলেন রত্না-কে মারধোরের ব্যাপারে, ওয়াহিদা তার এই স্ত্রৈণ স্বামীকে শাসান-
বান্দির জন্যে এত দরদ কেন, ওরে কি তুমি বিয়া করবা?
রফিকুল আলম সেদিন থেকে চুপ করে যান। না - বলা উচিত ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল আলম চুপ করে যান। আর গল্পের পাঠকও চুপ করে যান, যদিও পাঠকের বোবা হয়ে যাবার কারন ভিন্ন।
আইনের শাসন রক্ষার দায়িত্ব যেই ম্যাজিস্ট্রেটের, আইনের প্রয়োগ করে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার প্রতিরোধের জন্যে সরকার দায়িত্ব দিয়েছে যেই মানুষকে - সেই নির্বোধ নিরামিষ মেরুদন্ডহীন উদ্ভিদের নাম ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল আলম। ঘরের ভৃত্যের প্রতি পাষন্ড স্ত্রীর অত্যাচার যে ঠেকাতে ব্যর্থ, সে কি করে এই ম্যাজিস্ট্রেট না কি - তার কাজ সম্পাদনা করবে?
খবরটা পড়ে তাই মনে হলো, বিধাতা বোধ হয় খুব বেশী রকম ironic মুডে আছেন।
*
এভাবেই চলছে, এভাবেই চলবে। হানার নতুন রিপোর্টে আরো পড়লাম প্রথম আলোর জুনের ১১ তারিখ সংখ্যায় নারীমঞ্চ পাতায় সুফিয়া আলী নামে কোন এক মহিয়সীর লেখার কথা। মধ্যবিত্তদের বান্দি-মারার সাফাই গেয়েছেন এই মহিয়সী। আমি সুফিয়া আলীর লেখাটি নিজে পড়িনি, উদ্ধৃতির অনুবাদ পড়েছি কেবল, তাই আর সরাসরি মন্তব্যে যাবো না। উদ্ধৃতি -
Members of shushil samaj have even ‘objected’ to highlighting these cases in the media. In an astounding article that appeared in the women’s page of Prothom Alo (Nari Moncho, June 11, 2008), Sufia Ali wrote, “These people [domestic servants] have a class-resentment towards the rich. They derive great pleasure by getting us into various problems”. Such talk is rampant at social gatherings but if they start appearing in the ‘feminist’ pages of national dailies, that indicates our denial of this problem is widening.
আজ পর্যন্ত ভৃত্য নির্যাতন বা হত্যার অপরাধে স্বাধীন বাংলাদেশের কোন নাগরিককে কোন শাস্তি দেয়া হয়নি।
*
এই চরম বর্ণবাদী মনোভাবের অবসান কবে হবে, সেটা ভেবে গোলক-ধাঁধার মতো লাগে। আমরা আমাদের সংস্কৃতি-ঐতিহ্য নিয়ে উঠতে বসতে গর্ব করি। কিন্তু এত মহৎ সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী হিসেবে, সেই মহত্ত্বের ছিঁটেফোটা কেন আমাদের জীবনে প্রতিফলিত হয় না? কবিতা-সভা আর ছায়ানট শেষে বাড়ি ফিরে একটা ছোট অসহায় বাচ্চার শরীরে গরম খুনতি ঢোকাতে আমরা কিভাবে এত সিদ্ধহস্ত? (এই শব্দটি লিখে গা গুলিয়ে উঠলো, কারন অনেক দাসীর হাত দৈনিকই সিদ্ধ হচ্ছে)। আমাদের এহেন মানসিকতার উৎস কোথায়? আর এর নিরসনই বা কিভাবে সম্ভব? আদৌ কি সম্ভব?
মন্তব্য
ঠিক ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না বলার মত।
আপনি লেখার শুরুতে যে "ভদ্র" মহিলার উদাহরণ দিলেন এবং জানালেন যে তার ছেলে বুয়েটে পড়ে, ঘটনাচক্রে সেই "বুয়েটী" ছেলে আমারই সহপাঠী। একই বিষয়ে, একই সেকশনে পড়ি আমরা। জানি না, বাবা-মা র মানসিকতার সাথে ছেলে মেয়ের মানসিকতাকে মেলানো উচিত কিনা, তবুও বলি এই মানসিক বিকৃতি যে খানিকটা বংশানুক্রমিক হয়েছে, অন্তত এই ক্ষেত্রে, সেটা আমি হলফ করতে পারি। আর বাকিটা সেই ছেলেকে যারা চেনে তারাই ভালো বলতে পারবে।
এদের কি আদৌ কোন শাস্তি হয় ? জানি না। আমার জানা মতে আমার সেই সহপাঠীর মা বাইরেই আছেন বহাল তবিয়তেই। তবে আর কী ভাবে এসব বন্ধ হবে বলুন ?
আর ম্যাজিস্ট্রেটের যে উদাহরণ দিলেন সেটা খানিকটা প্রথম উদাহরণেও খাটে। ঘটনাচক্রে আমি সেই ব্যাংকার স্বামীকেও চিনি, এবং যতটুকু চিনি তাতে তাঁকে ভদ্রলোক বলেই জানতাম।
আমরা বারোমাস চিৎকার করি নারী নির্যাতন বন্ধ কিংবা মাদকের কিংবা দুর্নীতির বিরুদ্ধে। কিন্তু যদি ২টা কনসার্ট করলেই এসব দূর হয়ে যেত তাহলে পৃথিবীর তাবৎ বড় সমস্যাই দূর হয়ে যেত। আমাদের প্রকৃত শিক্ষার অভাবই আমাদের বড় শত্রু, কনসার্ট আর সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করে কিছু হবে না।
আমার খুব কাছের একজন মানুষ কাজের মেয়ে না বলে, বলে থাকেন Domestic help. যেদিন তার মুখে এই শব্দটা শুনেছি, সেদিন খুব লজ্জা পেয়েছিলাম।
আমাদের সবার আগে যেটা শিখতে হবে সেটা হচ্ছে সবাই কে মানুষ হিসেবে যোগ্য সম্মান দেওয়া।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আশা করি আপনার ক্লাস মেটের হয়তো নিজেকে শুধরানোর সময় আছে। তবে ঐ মহিলার ছবি দেখলাম; সী লুক্স কম্পলিটলী ডেভিল!
আমাদের চারপাশে এইসব বিষ, বাষ্প হয়ে উড়ে হারিয়ে যায়। আমরা রফিকুল আলমের মতো হাত-পা টুন্ডা করে দেখি আর দেখি।এই যেমন আজ সকালে শতাব্দীতে করে আসছিলাম।জিগাতলা থেকে এক মহিলা উঠার সময় কন্ডাকটর/হেলপার মহিলার গায়ে হাত চালিয়ে দিলো।মহিলা প্রতিবাদ করাতে ড্রাইভার-হেলপার মহিলার সাথে খ্যাক খ্যাক করে উঠলো,খারাপ ব্যবহার করলো। আমি জিজ্ঞেস করাতে আমারেও ধমক দিয়া কয়-ওই মিয়া আপ্নে দেখলেন কেমনে?বাসের কেউ কোন কথা বললো না।আমি নিরবে শাহবাগে নেমে গেলাম।বাসের নাম্বারটা টুকে নিয়ে কাউন্টার থেকে অনেক তেলাতেলি করে শতাব্দীর অফিসের ফোন নাম্বার জোগাড় করলাম। কতৃপক্ষকে জানালাম সবকিছু।ওরা আমাকে কথা দিয়েছে-কালকের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন করার।
গণ মাধ্যমে তুমুল প্রচারনা প্রয়োজন।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
যদি ভুল না বুঝে থাকি, তাহলে আমি আপনাকে এতটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে, কিছুই হবে না।কিচ্ছু হবে না।
বাংলাদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ ( কিংবা আরো বেশি) পরিবহন মালিকরা অত্যন্ত অশিক্ষিত, বেয়াদব এবং মাস্তান। এ কথাটা নিজের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা আর কিছুটা মানুষের শোনা কথা থেকে বলা। খুব সম্প্রতি, ভাড়া বেশি নেওয়া নিয়ে যে অরাজকতা হচ্ছে তা থেকেও খুব সহজেই বোঝা যায় এ সব বাস কোম্পানিরা ২ পয়সার দামও দেয় না সরকারকে কিংবা আইন কে।
শুনতে অত্যন্ত দুঃখজনক শোনালেও বাস্তবতা এটাই যে, এক মাত্র আসল শিক্ষা হত যদি তৎক্ষণাৎ উপস্থিত জনতা দু-চার ঘা দিয়ে দিতো। যেহেতু সেটা হয়নি ( বোধ করি এর একটা কারণ, এগুলি মূলত সুশীলদের বাস, এরা এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায় না) , তাই ধরে নিন, আর কিছুই হবে না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সহমত । একবার এক অ-সুশীলদের বাসে করে যাচ্ছিলাম আজিমপুর থেকে ধানমন্ডি । আজিমপুর নিলক্ষেতের কাছাকাছি ইডেন কলেজের গেট থেকে একটু সামনে কিছু যাত্রী উঠল । মহিলা ছিলেন একজন, হয়তো ইডেনের ছাত্রী বা শিক্ষিকা কিছু হবেন তিনি । কন্ডাক্টর বেশি ভাড়া চাইলে তিনি হাল্কা প্রতিবাদ করেন । হাল্কা মানে একেবারেই হাল্কা, " এত ভাড়া নিচ্ছ কেন ? " ধরনের নির্দোষ একটা লাইন । তার জবাবে কন্ডাক্টর যা শুরু করল তা ঠিক লেখার মত না । কন্ডাক্টরের কথার ভঙ্গী থেকে শুরু করে সবই বেশ বাজে । কথা গুলো আমার কানে আসার পর আমি ঘটনাস্থলের দিকে ঘুরে তাকিয়েছি মাত্র - এমন সময় পাশের সীটে বসা এক প্রৌঢ় বয়সী লোক ধাঁই করে উঠে দাঁড়িয়ে কন্ডাক্টরকে একটা চড় লাগিয়ে দিলেন । কন্ডাকটার কিছু না বলে হাঁ করে তাকিয়ে রইল তার দিকে । বাসের অন্য লোকেরাও যেন সবাই সম্মোহিত । তারপর মহিলার দিকে তাকিয়ে বললেন, " তুমি ভাড়া দিবা না, ঠিক আছে ? এইখানে বস । " বলে নিজে একটু আগে যেখানে বসে ছিলেন সেই সীটের দিকে নির্দেশ করলেন ।
এতক্ষন সবাই হাঁ করে দেখছিল । এবার সবাই যেন সম্বিত ফিরে পেল । প্রসং শার খৈ ফুটতে লাগল আশে পাশের লোকজনের মুখে । ঐ লোক এবার বেশ কড়া গলায় বললেন, " থাক এইসব আর কওয়া লাগত না, কেউ তো হারামজাদা টারে কিছু কইলেন না, আমারে কেন আবার কইতেছেন ?"
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আপনার শেষ মন্তব্যের সাথে ১০০% একমত। গণমাধ্যমে প্রচারণা ক্যাম্পেইন ছাড়া অগত্যা নেই। আমাদের মত রক্ষণশীল দেশের প্রচারমাধ্যমে কন্ডম-পিল নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে এককালে। ক্যাম্পেইন করে সাধারণ মানুষের মন-মানসিকতা বদলানো হয়েছে, এগুলোর ব্যবহার বেড়েছে।
খোদার ৩০টা দিন আগডুম বাগডুম প্যাকেজ নাটক হয়। ফারুকীর মত নির্মাতারা কি পারে শুধু একটা স্পট তৈরী করতে - ২ মিনিট হোক বা ১০ মিনিট - যা প্রতিদিন নানা চ্যানেলে প্রচারিত হবে? স্টার-রা থাকবে, ভৃত্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলবে? বিচার বা জেলের ভয় যে দেশে নেই, সেখানে মনোভাব পরিবর্তনই শেষ উপায়।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
দেশে এতো এনজিও আছে ওরা এতো উন্নয়নমূলক কাম করে এসব বন্ধের একটা ৫ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা নিতে পারে না? যে কোন একটা বড় কোম্পানীকে মোটিভেইট করলেই তো ক্যাম্পেইনের টাকা উঠে আসে! প্রথম আলো আর যাই করুক ওদের এসিড বিরোধী ক্যাম্পেইনটা কিন্তু বেশ ইফেক্টিভ!
এই পোস্টের জন্য শেষ মন্তব্যটাই আসলে আমার একমাত্র বক্তব্য।মানুষের নির্বিকারিত্ব বুঝাতে বাসের ঘটনাটা তুলে ধরলাম।কারণ ঐ বাসে সুশীল-কুশীল,তরুন-মাঝবয়সী অনেকেই ছিলেন।আসলে আমাদের মেরুদন্ড বেঁকে গেছে।প্রতিবাদ করলে এখন কাপড়ের ইস্ত্রি নষ্ট হয়ে যায়।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
আমার মত একটু চরম_বরাবরের মতোই। গার্হস্থ্য পরিসরে আমাদের মধ্যবিত্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যে ছোটোখাটো ফ্যাসিস্ট-বর্ণবাদী বাস করে সেই কিন্তু আবার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ক্রসফায়ার-সেনাশাসন ইত্যাদির সমর্থক হয়। যে মধ্যশ্রেণী দুর্নীতির বরাতে দ্রুত বিত্ত অর্জন করে, তারাই আবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখে ফেনা তুলে সেই ফেনায় বিলাসি নৌকা ভাসায়।
আবার যে নারীরা পুরুষের অধীনস্থ থেকে, তার দ্বারা অবদমিত থাকে সেই আবার তার রাগ-ঘৃণা ঘুরিয়ে দেয় তার অধস্তন অর্থাত 'কাজের লোকের' প্রতি। এক নিপীড়িত অধিকতর নিপীড়িতকে পীড়ন করে নিজের আমিত্ববোধের চরিতার্থতা ঘটায়।
বলপ্রয়োগই যেদেশে পরিচালনার (পরিবার ও রাষ্ট্র) ভিত্তি, সেই ভিত্তি না পাল্টিয়ে মানুষে মানুষে নতুন সম্পর্ক কীভাবে সম্ভব?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আমার এক গুরু ছিলেন। লিয়াকত সাঁই। পাগলা দিনে তার কাছে গিয়েছিলাম সুফি হওয়ার জন্য
তার মুখের সবচে বড়ো গালি ছিল- হারামজাদা ভদ্দর লোকের বাচ্চা ভদ্দর লোক
আর যেদিন তিনি আমাকে বললনে বাজান তুই সুফি হতে পারবি না চলে যা
সেইদিন তার শেষ কথা ছিল
নরকের কীট হইস বাজান আপত্তি নাই
কিন্তু ভদ্দর লোক হবি না যেন বাজান
তার কথার কোনো মানেই বুঝিনি অনেক দিন....
০২
লিয়াকত সাঁই-ই একবার বলেছিলেন
মানুষকে চিনবি তার সবচেয়ে খারাপ সময়ে কিংবা সবচে বিপদে কিংবা সবচে রাগের সময়ে সে কী করে সেই আচরণ দিয়ে
এবং তার তুলনায় নিতান্ত নগণ্য এবং দুর্বল মানুষের সাথে সে কী আচরণ করে তা দিয়ে
কারণ ওই আচরণগুলোই একটা মানুষের মূল আচরণ
০৩
লিয়াকত সাঁইর কথাগুলো তখনও বুঝিনি এখনও হয়তো বুঝি না
কিন্তু তারপর থেকে আমি বোধহয় গালি ছাড়া ভদ্রলোক শব্দটা কোথাও ব্যবহার করিনি
আর আমার সম্পর্কে কেউ ব্যবহার করলে বহুদিন থেকে ভেতরে খোঁচায়- কী করলাম আমি?
গালিটা কেন দিলো আমাকে?
পোস্ট পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল!
আমাদের মাঝে কিছু মানুষ বরাবরই খারাপ, এরা থাকবেই। বাকি যারা সভ্য-সুশীল আছি, তারা বোবা হয়ে গেছি। এত অন্যায়-অবিচার এখন সবদিকে, গা-সওয়া, মন-সওয়া সবই হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে বিবেকটা একটু উঁকি-ঝুঁকি মারে - এই যা!
প্রিন্ট মিডিয়াতে এই ঘটনাগুলো মাঝে মাঝেই দেখা যায়। সে তুলনায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে এসব কমই আসছে। আমার মতে, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া প্রিন্ট মিডিয়ার চেয়ে এই ক্ষেত্রে আরো শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে। এই যে কল্পনা মজুমদার, ওয়াহিদা আর তার মেরুদন্ডহীন স্বামী রফিকুল ইসলাম - এদেরকে যদি ক্যামেরার সামনে হাজির করা হয়, এদের ভদ্রতার মুখোশ উন্মোচন করে দেয়া হয়, তাহলে এইসব মুখোশধারীরা অন্তত 'সম্মান' এর ভয়ে হলেও এইসব কাজ থেকে বিরত থাকবে আশা করা যায়। আর ন্যায়-বিচার এর কথা তো বলাই বাহুল্য।
~ ফেরারী ফেরদৌস
একদিন দাসপ্রথা ও ভদ্রলোকদের বিবেকের কাছে স্বস্তিকর ছিলো যেমন আজকের কামলা রাখা ।
পৃথিবীর তাবৎ ধর্মের উপর আমার বিতৃষ্ণা এসেছে যখন জেনেছি এই দাসপ্রথাকে কোন ধর্মই নিষিদ্ধ করেনি ।
অনেকদিন পর হয়তো আজকের এইদিন ও এইভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে, ক্ষমা পাবেনা ।
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমাদের দেশের ধনিক বনিকের যে অমানুষিক চরিত্র, তার পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজলে খুব কমই পাওয়া যাবে। মানুষের প্রতি মানুষের যে অবজ্ঞা, তার জলন্ত উদাহরণ আমাদের সমাজ। এখানে বিবেক বলতে কিসসু নেই। আমার ঘৃণা হয়। আমরা ধর্ম নিয়ে কথা বলি, শালীনতা নিয়ে মুখে তুবড়ী ছোটাই, মানবতার সামান্যটুকুও আমরা জানিনা, আমাদের বোধেও নেই।
আপনার বিবেক স্পর্শী লেখাটির জন্যে ধন্যবাদ।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
এই লেখাটা পুরোটা পড়তে পারলাম না। এই জাতীয় লেখা বা আলোচনা আমি সহ্য করতে পারি না। তবে একটা কথা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি....
man can't be evil
আর যারা এ জাতীয় কাজ করে এরা আসলে মানুষ নয়। জানোয়ার।
রাফি
লেখাটা পড়ে অনেকক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে থাকলাম। এসব ঘটনা যে আমাদের জানা নেই, কাগজে পড়ি না নিয়মিত - তা-ও নয়। বর্জ্য ও আবর্জনা সচরাচর চোখের আড়ালে থাকে বলে আমরা সেগুলির অস্তিত্ব সবসময় মনে রাখি না। কিন্তু আমার সদর দরজার সামনে একটা ডাস্টবিন উল্টে থাকলে বিবমিষা আমাকে আক্রান্ত করে।
সুবিনয় মুস্তফীর এই লেখাটা ঠিক সেই কাজটাই করেছে। কয়েকটি প্রাসঙ্গিক মন্তব্যের সঙ্গে এই মর্মে একমত যে, গণমাধ্যমগুলিতে এই ডাস্টবিন ওল্টানোর কাজটাই জোরেশোরে করা দরকার।
এই প্রসঙ্গে মনে পড়লো, পুরনো একটা লেখায় কোথাও আমি একটা প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিলাম। হত্যাকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধতা দেওয়ার জন্যে আইন তৈরি হয়েছিলো একদা, সেই কার্যক্রম আমাদের সামাজিক মনস্তত্ত্বের ওপর একটা প্রভাব নিশ্চয়ই ফেলেছিলো। টাকাওয়ালা ক্ষমতাবান মানুষদের মধ্যে নিশ্চয়ই এরকম বিশ্বাস জন্মেছিলো যে, অন্যায়-অপরাধ করেও পার পাওয়ার ব্যবস্থা একটা আছে। সমাজে দাপটওয়ালাদের মধ্যে এখনো এই মনোভাবই ক্রিয়াশীল, সে বিষয়ে বোধহয় কোনো সন্দেহ পোষণ করা চলে না।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমাদের লেখালেখিতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে - এমন দুরাশা না করাই শ্রেয়। তবে গণমাধ্যমে, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়, ব্যাপক ক্যাম্পেইন সচেতনতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। কয়েকটি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও সিগন্যাল হতে পারে এই স্যাডিস্টদের জন্য।
বিবেককে তীরবিদ্ধ করে দেয়ার মতো লেখাটির জন্য সুবিনয় মুস্তফীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রকাশ করছি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
লেখাটা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। আরো কয়েকটা দিক আছে এই "বঙ্গদেশীয় দাসপ্রথার"। সেক্স এবিউজ, ভার্বাল এবিউজ ছাড়াও পুরো একটা শ্রেণীকে দমিয়ে রাখার জন্য শিক্ষা বা জীবনের মানোন্নয়নকারী ব্যবস্তার সুযোগ না করে দেয়া ইত্যাদি।
এগুলোর বিরুদ্ধে একটা অনলাইন অ্যাওয়ারনেস গড়ে তোলা যায় না?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এর চেয়ে বড় সত্য আর কি হতে পারে? তবে ঐসব শ্বেতাঙ্গদের হাত থেকে অনেক ঘষে মেঝে রক্তের দাগ তোলা হয়েছে বা হচ্ছে, এবং দামী পারফিউমও নিয়মিত লাগানো হয় সুগন্ধ ছড়ানোর জন্য! তবে আমরা এখনো সেই ভুল পথেই হাটঁছি তলে তলে। ভাই আমরা সেই তো মধ্যবিত্ত যারা কাজের লোককে (সে বাচ্ছা হোক আর বড়) মাটিতে নিরাপদ দূরুত্বে বসিয়ে শিশুর মতো করে হাসতে থাকি; একবার খেয়ালও করিনা এই রকম আচরন যে মানুষ করে তার এতো খুশিতে আত্বহারা হওয়া উচিত কিনা! কাজের লোক নামটাও একটা সুশীল তক্মা লাগানো হারামী নাম; যা দিয়ে আমরা আমাদের সামন্তীয় মানসিকতার নিয়ত চাষ করে চলি। মানুষ বা ব্যক্তির প্রতি সম্মান দেখানো কোন মহত্বের মধ্যে পড়ে না; এটা প্রতিটা ব্যক্তির মিনিমাম অধিকার।
(বিঃদ্রঃ ধুর ভাই লেখাটা পইড়াই মেজাজ'টা খারাপ হইয়া গেল। এভাবে নিজের ছবি আয়নায় দেখতে নেই!)
কল্পনা মজুমদারকে কি বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিলো?
হাঁটুপানির জলদস্যু
বিষয়টা সেনসিটিভ হওয়ার কারণে কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারিনি। তবে পুলিশ একবার ধরে নিয়ে গিয়েছিল এটুকু জানি, এবং যতদূর জানি তিনি ( গৃহকত্রী ) বর্তমানে বাইরেই আছেন। সেটা জামিনের কল্যানে নাকি টাকা-ভয়-ভীতি দেখিয়েই আউট-অফ-কোর্ট-সেটেলমেন্ট এর মাধ্যমে তা জানি না।
মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার বাসার উপরতলা থেকে একবার এক মেয়ে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করলো। মেয়েটার উপর তারা কোন অত্যাচার করতো সেটা জানি না, তবে কয়েকদিন পর শুনলাম সেই মেয়ের মা কোন মামলাই করেনি, বরং থানায় এই মর্মে বক্তব্য দিয়েছে যে, তারা মেয়ের উপর জ্বীনের আছর ছিলো, তাই সে ঝাপ দিয়েছে।
এর পর কি আর কিছু বলার থাকে ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান দান করে, হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু চরিত্র বদলে দেয় না। বলা বাহুল্য যারা ধর্ম ধারায় শিক্ষিত তাদের বেলাতেও এটা প্রযোজ্য।
অসহায়ের ওপর উৎপীড়ন করার সুযোগ পেলে ছাড়ে না, এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন।
আমি গেল কয়েকদিনের অবসরে বিদিশার "শত্রুর সঙ্গে বসবাস" পড়ে শেষ করলাম। রিমান্ডে তার ওপর যে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে তার বিবরণ পড়ে ভাবছিলাম একজন ভদ্র পরিবারের নারীকে (ভি,আই,পি আর বললাম না) যদি কতিপয় আইনপ্রয়োগকারী এভাবে নিগৃহীত করতে পারে (সংবেদনশীল জায়গাতে লাথি মারা, নখ উপড়ে ফেলা), তাহলে এ সমাজে একজন গৃহ সহায়িকার অধিকার কতটুকু ?
আমার বাড়িতে এমন একজন একবার গৃহিনীর ব্যাগ থেকে পাঁচ শ টাকার নোট চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল (যখন এই টাকার দাম অনেক ছিল)। তিনি তাকে দুটো চড় মেরে সারা রাত না খাইয়ে রেখে সকালে ছাড়লেন। আমি বললামঃ আইন অনুযায়ী তুমি তো শরীরে আঘাত করতে পারো না, আর কাস্টডিতে থাকলেও তুমি তাকে খাবার দিতে বাধ্য। অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে তিনি বললেনঃ আমি তো তাকে পুলিশে দেব না, তাহলে তার জীবন ঝরঝরে হয়ে যাবে। এটুকু শাস্তি তার প্রাপ্য। কথাটায় যুক্তি আছে মানলেও আমার ভালো লাগল না।
এক সময় দেখলাম আমার ঘরের মোবাইল একটার পরে একটা অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। এক দিন একটা হারাবার সঙ্গে সঙ্গে অন্য ফোন দিয়ে কল করে দেখলাম সেটা কোথায়, সিম ফেলে দেবার টেকনিক সে জানত না। বললামঃ তোমার দরকার থাকলে আমার কাছে চাইলেই পারতে, আমার নম্বর খোয়া গেলে অনেক অসুবিধা হয়, আর এতগুলো নিলে কেন? একটু চুপ থেকে বললঃ আপনার ফোন গুলা সব ভাঙ্গা (এটা আংশিক সত্যি), আপনি কেমনে টিপাটিপি কইরা চালান। আমারে একটা নতুন কিন্যা দেন, আর নিমু না। আমি তাকে সিটিসেলের সস্তা কিন্তু নতুন প্যাকেজ কিনে দিলাম। দুদিন বাদে দেখি এটাও চালান হয়ে গেছে দেশে। কথা বলে বুঝলাম অর স্বামী আসলে তাকে দিয়ে এই ব্যবসাটা করাচ্ছে। আমি সাবধান হয়ে গেলাম, মেয়েটাও সুবিধা না দেখে চলে গেল।
আমাদের দেশের মেয়েরা সত্যি খুব অসহায় - যেমন বিদিশা, তেমনি আমাদের বাড়িতে যে রানু থাকত।
ফারুক ওয়াসিফের সাথে সম্পূর্ণ একমত।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বান্দির জন্যে এত দরদ কেন, ওরে কি তুমি বিয়া করবা?
বিয়া করার দরকার কি? সাচ্চা মুসলমানতো বান্দীরে এমনিতেই বউয়ের দরজা দিতে পারেন। ব্যাটা ম্যাজিস্ট্রেট হয়েছে কিন্তু ধর্ম শিখে নাই বলে বউ কন্ট্রোলে নেই।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
প্রকৃত শিক্ষা আসে পরিবার ও সমাজ থেকে। আমাদের সমাজে চাকর মনিব ব্যাপারটি ওতপ্রোতভাবে গাঁথা। এমনকি গরীবের মনেও স্বপ্ন কোনদিন বড়লোক হয়ে দাস-দাসীদের সাথে একই রকম ব্যবহার করবে। এটি একরকম সমাজ কর্তৃক লালিত একটি প্রাকটিস (কিছু লোক এর ব্যাতিক্রম) তাই সুফিয়া আলীর ওই বক্তৃতা।
মানুষের বিহেভিয়র চেন্জ করা খুবই কষ্টসাধ্য। শুধু সেমিনার কেন নাটক, সিনেমা, সাহিত্য এগুলো সব কিছু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে পরিবর্তন আনার জন্যে। আইনের মাধ্যমে এর পরিবর্তন আনা কষ্টসাধ্য, ওয়াহিদা রহমানদের জন্যে দরকার কঠিন সামাজিক তিরস্কার।
দারিদ্রতার সীমা অতিক্রম করা মানুষগুলো এখন রুখে দাড়াচ্ছে। আগামীতে নীপিড়করা সহজে পার পাবে না আশা করি।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
যে প্রতিশ্ঠান টি এই মেয়েটির হয়ে লড়তে চাইছে তাদের কাছে শুন্লাম বেচারি মেয়েটি আর লড়তে চাইছে না। হয় ভয়, নয় টাকা, অথবা দুই-ই বাবওহার করে মেয়েটির বোন কে দিয়ে বলানো হছ্চ্চে সে আর লড়বে না। যে ডাক্তার-এর কাছে নিয়ে যাঅয়া হয়েছিল সেও সব্ কিছু তে ষড়যত্র-র বাস পাচ্চ-এ। তার-ই বা দোষ কি, সে-ও যে "ভদ্রলোক"!
হানা আহমেদ - মন্তব্য
http://www.drishtipat.org/blog/2008/06/29/scalding-wake-up-call/#comment-153936
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
খুব খারাপ হয়ে গেল মনটা। পরিস্থিতি মানুষকে বাধ্য করে অনুগত হতে।
নতুন মন্তব্য করুন