শ্রদ্ধেয় সুমন রহমান ভালো লেখক। তিনি যখন এই তল্লাটে ছিলেন, তার লেখা পছন্দ করতাম। উনি চলে যাওয়ায় ব্যথিত হয়েছিলাম। কিন্তু পত্রিকায় উনি যা লেখলেন, তাতে হাসান মোরশেদের কথাই ঠিক লাগলো - ভালোই দিয়া গেলেন ভাই। জায়গা মতন চিপায় পাইয়া পেপারের পাতায় সচলের গায়ে মুইতা গেলেন। সুযোগ বুইঝা চান্সের সদব্যবহার করছেন। ওয়েল ডান।
সুমন ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি - আমার আন্দাজ ওনার ডি-সচলাইজড হবার খেদ এখনো যায়নি। তার লেখার পদে পদে প্যাট্রনাইজিং সুর, সচলের প্রতি কেমন একটা শ্লেষ/করুনা/অবজ্ঞা হিংসা/ঘৃণার মিশ্রন। তার কিছু কথা উদ্ধৃত না করলেই না।
- বলেছেন - ব্লগ নাকি গুটিকয় শিক্ষানবিশের জন্যে লেখকের আত্মাভিমান তৈরির জায়গা।
নিজের পাল্লায় বাকি সবাইকে মেপে ফেলেছেন। সচলেরা তার ভাষায় 'খ্যাতনামা' লেখক হবার ধান্দায় আছেন, হয়তো এমনটা ভেবেছেন। যদি ভেবে থাকেন, সে ধারণা ভুল, সুমন ভাই। আপনারা খ্যাতনামারা আমাদের শিক্ষানবিশদের ভুল শুধরে দেবেন, তা গুরুবাক্য হিসাবে ধারন করবো, এক সময় আপনাদের স্পন্সরশিপে আমরা "শিক্ষানবিশ ব্লগার" পদ থেকে গ্র্যাজুয়েট করে "পরিপূর্ণ লেখক" হবো - এসব আইডিয়া কোথায় পেলেন জানি না, তবে ভেবে থাকলে ভুল ভেবেছেন।
একজন ব্লগারের সত্ত্বা হলো সে একজন ব্লগার। তার দাম নির্ধারণ করার জন্যে সে প্রিন্ট-এর আলিঙ্গনের প্রত্যাশায় বসে থাকে না। তার পাঠকের মন্তব্য, ইন্টার্যাকশান, বন্ধুত্ব - এগুলোই তার খাঁটি পাওনা। খ্যাতির পাগল কে, সেটা দেখার জন্যে ব্লগে আসা লাগে না। তাই বলি - স্বঘোষিত "লেখক"দের থেকে বাহবার কোন দরকার নেই। বরং যদি কোন আত্মাভিমান থেকে থাকে, সেটা লেখকের আত্মাভিমান নয়। সেটা ব্লগারের আত্মাভিমান। তফাত আছে। ভেবে দেখবেন।
- বলেছেন - ব্লগে যে বিক্ষোভ লতিয়ে উঠেছে, তাকে নীরবে ছাড় দেওয়ার মত অবকাশ কি আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় আছে? নিশ্চিতভাবেই নেই
আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে সীমিত জ্ঞানের একজন মানুষের পক্ষেই এরকম আজব মন্তব্য করা সম্ভব।
- বলেছেন উনি আরেক জায়গায় - ব্লগ নাকি নবীন লেখকদের জন্যে প্রজননক্ষেত্র।
প্রজননক্ষেত্র বুঝি! তার অলিখিত এসাম্পশান হলো এখনো পরিপক্ক লেখক হইনি। এখনো ব্যাঙ্গাচি আছি। তাদের আশীর্বাদে এক সময় ম্যাচিওর লেখক হতে পারবো, পত্রপত্রিকায় লেখা যাবে, হয়তো বইমেলায় বেরুবে বই। আজিজে আর গাছতলার আড্ডায় মিলবে দেখা। তার আগে পর্যন্ত ট্যাডপোলই থেকে যাবো।
সুমন ভাই, আপনার এই basic assumption একান্তই আপনার। তবে এটুকু বলি। অপরিপক্ক লেখক কিনা জানি না। কেয়ারও করি না। কেয়ার করি অন্য জিনিস - আমি পরিপক্ক ব্লগার কি না। সেই হিসাব আমার কাছে বেশী দামী। আপনাদের আকিকা, আপনাদের দেয়া ব্যাপটিজম যেহেতু চাইনি, সেটা নিজের কাছেই রেখে দেন না হয়।
- বলেছেন - তাদের যে ভুল তা স্রেফ শিক্ষানবিশির ভুল।
প্যাট্রনাইজিং-এর সংজ্ঞা এটাই। এই নিয়ে যা বলার অলরেডি বলেছি। গুরুজীর থেকে শিক্ষা নিতে অস্বীকার করলাম, আমি এই নাদান শিক্ষানবিশ। নাউ প্লিজ গো অ্যাওয়ে।
মন্তব্য
এ প্রশ্নটা আমারও।
প্রথম আলোর চেক-ব্যালেন্স নীতিই হবে।
একলব্য হয়ে আঙ্গুলটা গুরুদক্ষিনা দেয়ার দিন যে ফুরিয়েছে, দ্রোনাচার্যদের তা মেনে নিতে কষ্ট হয়-- এই আর কি ।
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ম ত প্র কা শ
সচল থাকুক সচলায়তন
সুমন রহমান
বাংলাদেশ থেকে ‘সচলায়তন’ নামক ব্লগটি দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের সর্বত্র যে ব্লগটি ইন্টারনেটে দেখা ও পড়া যাচ্ছে, সেটির দেখা বাংলাদেশ থেকে না পাওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক। কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটা ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন এ ব্লগটির মালয়েশিয়া-প্রবাসী কর্ণধার। এর অর্থ দাঁড়ায়, ব্লগটি হয়তো বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ রকম ঘটে থাকলে সেটি বাংলাদেশে এ ধরনের প্রথম ঘটনা এবং সংগত কারণেই এ সংবাদটি প্রথম আলোসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে ছাপা হয়েছে।
ইন্টারনেটে ব্লগ লেখালেখির ঘটনা পশ্চিমে প্রায় দশক-পুরোনো হলেও বাংলা ভাষায় মাত্র বছর কয়েকের। অন্যান্য দেশে বাঘা বাঘা পন্ডিত থেকে খ্যতনামাদের অনেকেই ব্লগে লেখেন, কিন্তু বাংলাদেশে ব্লগ নামক প্লাটফর্মটি গুটিকয় শিক্ষানবিশের জন্য লেখকের আত্মাভিমান তৈরির জায়গা হিসেবেই যেন এখনো রয়ে গেছে। অবশ্য কে প্রতিষ্ঠিত লেখক আর কে শিক্ষানবিশ, সেটি ব্লগের মাথাব্যথার কারণ নয়। ব্লগ মুক্তচিন্তা ও চিন্তার সরাসরি আদানপ্রদানের জায়গা। সেখানে লেখক-পাঠক, খ্যাতিমান-শিক্ষানবিশ মিলেই একটা চিন্তাকে টগবগ করে ফুটতে সাহায্য করেন। ফলে লেখকের সঙ্গে পাঠকের, বিষয়ের সঙ্গে বিষয়ীর, ঘটনার সঙ্গে ঘটকের ভেদ ঘুচে যাওয়ার কথা ব্লগের পরিমন্ডলে। ব্লগের মতো একটি উত্তর-আধুনিক মাধ্যমের এটিই বড় বৈশিষ্ট্য। কিন্তু আদৌ কি হয়েছে সেটি বাংলাদেশে?
বাংলাদেশে প্রথম যে ব্লগটি বড় স্কেলে দৃশ্যমান হয় সেটির নাম ‘সামহোয়ারইনব্লগ’। এটি আকারে বেশ বড়, প্রায় পনের হাজার সদস্য সেখানে নিবন্ধন করেছেন বলে জানা যায়। সামহোয়ারইনব্লগ আকারে বড় এবং উন্নুক্ত। যে কেউ এর সদস্য হয়ে লেখা শুরু করে দিতে পারেন। অপরদিকে সচলায়তন মূলত সামহোয়ারইনব্লগ ভাঙা একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী, আকারে অনেক ছোট এবং এখানে লেখক হিসেবে ঠাঁই পেতে হলে রীতিমতো বর্ষব্যাপী সাধনা করতে হয়। সদস্যদের নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সামহোয়ারইনব্লগ বেশ ঢিলেঢালা রীতি অনুসরণ করলেও সচলায়তন রীতিমতো কঠোর। এর পরিণামও হয়েছে দুই রকম: ঢিলেঢালা সামহোয়ারইন যেখানে ভার্চুয়াল ‘মুক্তিযোদ্ধা’ ও ভার্চুয়াল ‘রাজাকার’দের পারস্পরিক বিষোদগারের কুরুক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে, সেখানে কর্ণধারশাসিত সচলায়তন হয়ে উঠেছে সুশীল ‘মুক্তচিন্তা’র প্লাটফর্ম। সামহোয়ারইনব্লগ যখন চরম নৈরাজ্য, সচলায়তনে তখন পরম নিয়ন্ত্রণ। চরম আর পরমের এ দুই রকম নমুনা দেখে বুঝতে বাকি থাকে না যে ব্লগের মতো উত্তর-আধুনিক মাধ্যমের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো প্রস্তুতি আমাদের এখনো নেই।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রসঙ্গটি সংগত কারণেই সামনে এসে যায়: সম্প্রতি ঢাকায় স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে একজন মুক্তিযোদ্ধার লাঞ্ছনার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সচলায়তন - এ যে সহিংস বিক্ষোভ লতিয়ে উঠেছে, তাকে নীরবে ছাড় দেওয়ার মতো অবকাশ কি একটি আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় আছে? নিশ্চিতভাবেই নেই, আর নেই বলেই হয়তো বাংলাদেশের আন্তর্জালে সচলায়তন অদৃশ্য হয়ে গেছে। কিন্তু আরও কথা থেকে যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধার প্রকাশ্য লাঞ্ছনার ঘটনায় অদ্যাবধি রাষ্ট্রের যে নীরবতা, তা কি রাষ্ট্রের পক্ষে আত্মঅবমাননার শামিল নয়? দেশপ্রেমিক মানুষের অহংকার তবে কোন অরণ্যে গিয়ে শান্তি খুঁজবে?
অদ্ভুত এই দশা! উত্তর-আধুনিক ব্লগমাধ্যমে সচলায়তনকে দেখা গেছে কঠোর পরিচালনা, নিয়ন্ত্রিত প্রবেশাধিকার, নিষিদ্ধকরণ, ভাবাদর্শের প্রচারনা, নিজেদের চারপাশে সুস্পষ্ট সীমানা ইত্যাদি মেনে পরিচালিত হতে, যেগুলো আদতে আধুনিক জাতিরাষ্ট্রব্যবস্থায় দেখা যায়। আবার, তার স্বাধীনতার সৈনিকদের প্রকাশ্য লাঞ্ছনার ঘটনায় পদক্ষেপশুন্য থাকা খোদ বাংলাদেশের জন্য যেন এক উত্তর-আধুনিক ঔদাস্য, ষড়যন্ত্র যদি নাও হয়! অদ্ভুত এই নাট্যমঞ্চ! যার যে ভুমিকায় অভিনয় করার কথা নয়, সে সেই ভুমিকায় অভিনয় করে চলছে!
লোহার বাসর বানালে ছিদ্র সেখানে থাকেই, সচলায়তন - এর সহিংস বিক্ষোভ হয়তো সেই ছিদ্রপথ দিয়ে বেরিয়ে এসেছে। অন্য একটি ব্লগে এ নিয়ে আলাপ হচ্ছিল। ব্লগের কৌশল আসলে কী হবে? নিয়ন্ত্রণ, না নৈরাজ্য? একজন বললেন, নিয়ন্ত্রিত নৈরাজ্য। সুন্দর নির্দেশনা! কিন্তু কথা আসে, কতটুকু নিয়ন্ত্রণ আর কতটুকু নৈরাজ্য? নিয়ন্ত্রণের ভার কে নেবে, ব্লগাধিপতি, নাকি রাষ্ট্র? সেসব নিয়ে আরও বহু বহু ভাবনার জায়গা আছে। ব্লগারকে ভাবতে হবে, আবার রাষ্ট্রকেও।
স্বীকার করতেই হবে যে সামহোয়ারইনব্লগ ও সচলায়তন বাংলা ভাষায় ব্লগ লেখালেখির দ্বার খুলে দিয়েছে, নানা বিষয়ে চমৎকার সব লেখা হাজির করেছে, নবীন লেখকদের জন্য রীতিমতো প্রজননক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। অনেক প্রতিষ্ঠিত লেখকও সেসব জায়গায় এসে ভিড় করছেন দেখতে পাই। আবার, ব্লগ শুধু যে লেখালেখি ও চিন্তার আদানপ্রদানেই সীমিত আছে তা নয়, বরং নিজেদের একটা কমিউনিটিও বানিয়ে নিচ্ছে এবং একটা সংঘবদ্ধতার শক্তির জানানও দিচ্ছে। সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশিদের এহেন সংঘবদ্ধতা যেকোনো বিচারেই স্বাস্থ্যকর, জাতিরাষ্ট্রীয় বিবেচনায় তো বটেই। তাকে পিঠ দেখানো মোটেই সুলক্ষণ নয়।
ব্লগ একটি নতুন গণমাধ্যম এবং এটি পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের অধীন এমনটাও বলা যাচ্ছে না। এ কারণে সচলায়তন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে, এমনকি বাংলাদেশ থেকেও প্রক্সি সার্ভার দিয়ে এই ব্লগসাইট দেখা যাচ্ছে। ফলে নিয়ন্ত্রণের পুরোনো কৌশল এখানে খুব যে কার্যকর এমনও না। আবার, রাষ্ট্রীয় পরিমন্ডলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলতে যা বুঝায়, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও সেই একই জিনিস বুঝাবে? যিনি স্বাধীন মত প্রকাশ করছেন, তিনি অন্যের স্বাধীন মত প্রকাশে কতটুকু বিঘ্ন সৃষ্টি করছেন? অধিকার ও দায়িত্বের সীমা কোথায়? ব্লগ প্রশ্নে এসব বিষয়ের মীমাংসা খোদ পশ্চিমা বিশ্বেই ঠিকমতো হয়নি। অনেক রাষ্ট্রকে দেখা যায় ব্লগের এই দামাল চরিত্রটি কিছুমাত্রায় মেনে নিয়েছে, আবার লেখায় ‘আপত্তিকর’ বিষয় পেলে এর লেখক হিসেবে ব্লগারের শাস্তি হচ্ছে, এমনটাও দেখা যায় অনেক দেশে।
সচলায়তনকে কোনো বিপ্লবী গোষ্ঠী বা কঠোর গ্রুপ বলে মনে হয়নি কখনোই। রাষ্ট্রীয় বিধিনিষেধের প্রতি সার্বিকভাবে এরা শ্রদ্ধাশীল, এমনটাই লেগেছে। গোষ্ঠীগত অহম বা আভিজাত্যবোধ আছে ওদের, সে অন্য প্রসঙ্গ। ব্লগের পরিবেশ এর লেখকদের যে অবারিত স্বাধীনতা দিয়েছে, তাকে তারা আরও দায়িত্বশীল উপায়ে কাজে লাগাবেন, এমন প্রত্যাশা হয়তো ছিল অনেকের। কিন্তু আমি মনে করি, তাদের যে ভুল তা স্রেফ শিক্ষানবিশির ভুল, এর ফলে তাদের যদি সত্যি সত্যিই বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়ে থাকে, তবে তা লঘুপাপে গুরুদন্ড হয়ে গেছে। অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যেত।
আমরা বরং সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশি তরুণদের পরস্পরের সঙ্গে কথা বলার, একে অপরের মাঝে দেশকে খুঁজে ফেরার এই প্রয়াসটিকে চলতে দিলেই সুবুদ্ধির পরিচয় দেব। সচল থাকুক সচলায়তন।
সুমন রহমান: কবি, কথাসাহিত্যিক।
সচলায়তন প্রসঙ্গে প্রথম আলোয় প্রকাশিত শ্লেষ/করুনা/অবজ্ঞা হিংসা/ঘৃণা মিশ্রিত (সুবিনয়ের ব্যবহৃত শব্দাবলি) লেখাটি পড়ার পর যে-অনুভূতিগুলো হয়েছে আমার, সেগুলোই দুর্দান্তভাবে, স্বভাবসুলভ সুবিনয়ী (উভয়ার্থেই) ভঙ্গিতে প্রকাশ করেছেন আপনি।
মূল লেখাটির আরেকটি লক্ষ্যণীয় শব্দবন্ধ "সচলায়তনের সহিংস বিক্ষোভ"। রাজাকারেরা মুক্তিযোদ্ধাকে পেটালে তা অহিংস, আর ব্লগে আমরা লেখালেখি করে জোর গলায় তার প্রতিবাদ করলে তা সহিংস!
কী আর কমু!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সুবীনয় দা,
ঠিক যে কয়টা পয়েন্টে আমার আপত্তি সে কয়টা পয়েন্ট চমৎকার ভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ!!!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বরং প্রাগৈতিহাসিক/রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সে অবকাশ না থাকতে পারে, কিন্তু 'আধুনিক' গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সহিষ্ণুতা প্রদর্শনের অবকাশ নেই?!
সুমন রহমানকে, সত্যি বলতে, আমি চিনি না। তার লেখাও আগে পড়িনি। বেনিফিট অফ ডাঊট দিয়ে বরং তাকে ভালো লিখিয়ে হিসেবেই ধরে নিচ্ছি। প্রথম আলোয় তার লেখা পড়ে আমারও মনে হয়েছে তার কোন একটা ব্যক্তিগত ক্ষোভ রয়েছে সচলায়তনের প্রতি। সেটা ন্যায্য কি অন্যায্য যাইই হোক না কেন, সেই ক্ষোভ প্রকাশের স্থান এবং কাল এটা নয় এবং এখন নয় বলেই আমি মনে করি।
ওপরের উদ্ধৃতিতে একটি শব্দ বাদ পড়ে গিয়েছে। সুমন রহমান লিখেছেন "ব্লগে যে সহিংস ক্ষোভ লতিয়ে ..."!! এ কথার মানে কি? ব্লগের ভার্চূয়াল পৃথিবীতে 'সহিংস' ক্ষোভ সম্ভব তর্কের খাতিরে যদিও বা মেনেও নিই, সচলায়তনে সহিংস কি পেলেন তিনি? ঠিক এই শব্দটি তিনি আরেকবারও ব্যবহার করেছেন, বলেছেন - লোহার ঘরেও নাকি ছিদ্র থাকে, সচলায়তনে সেই ছিদ্রপথেই ঐ 'সহিংস ক্ষোভ' বেরিয়ে এসেছে!!
সচলায়তন কি বা কেন, নতুন করে আর কিছু বলার নেই। আমার মনে হয় নীড়পাতায় একবার চোখ বুলিয়ে নিলেই সেটা যে কারো কাছে পরিস্কার হয়। সেখানে এই এত, এত্ত সব ক্যাচাল, প্যাঁচাল বড্ড বেশী বেশী হয়ে যাচ্ছে না?
নাকি আমারই আসলে সহিষ্ণুতার অভাব ঘটছে আজকাল?
অমৃতং বালভাষিতং হিসেবেই কি ভেবে নেয়া উচিত এগুলো?
এই লেখা অনলাইনে আসামাত্রই নজরে এসেছে । গতরাতে এমন এক উপসম্পাদকীয় একই পত্রিকায় ছাপা হইছে , তাই আজকের এই পোস্ট নিজে না দিয়ে অপেক্ষা করছিলাম অন্যকেউ দিক।
ধন্যবাদ সুবিনয় আপনাকে।
নিজেদের অনেক বড় লেখক ভাবেন এমন লেখকের সংখ্যা আমাদের মিডিয়া জগতে অনেক আছে। কিন্তু আমি নাম ধরে ধরে বলতে পারবো এমন ব্ণগার আছেন যাদের লেখার মান আর গবেষণার ধারেকাছেও অনেক পত্রিকার লেখক যেতে পারবেনা।
লেখকহিসাবে নিজেদের তৈরী করবার জন্য ব্লগের সুচনা হয়নাই। বরং লেখক তার কথা গুলো নিজের ভাষায় প্রকাশ করে পাঠকের কাছা কাছি থাকবার জন্য এই ব্লগ। যেখানে কোন এডিটর তার কলমের খোঁচায় কিংবা বিজ্ঞাপন বিভাগের তোষামোদীর কারণে কোন লেখা আটকে দেবেনা। এই ক্ষেত্রে ব্লগ স্বাধীন। পাঠক তার প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারছেন খুব সহজেই। যুক্তি তর্কের একটা শক্তিশালী প্লাটফর্ম না বলে ব্লগকে গুটিকয় শিক্ষানবিশের জন্যে লেখকের আত্মাভিমান তৈরির জায়গা বলা নিতান্তই অদূরদর্শীতা !
তীব্র প্রতিবাদ !
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ধন্যবাদ থার্ড আই। সহিংস অহিংস-র ক্যাচালে যাওয়ার জন্যে আসলে এই লেখাটা লেখিনি। পলিটিকাল আলাপে যাওয়ারও কোন ইচ্ছা নেই। আমার লেখার মূল কারন স্রেফ রহমান সাহেবদেরকে একটু বোঝানো যে খ্যাতির জন্যে ব্লগিং করি না, নাম কামানোর আশায়ও দিন গুনি না। এবং তার মত স্বঘোষিত লেখকদের তারিফ বা ভ্রুকুটিরও তোয়াক্কা করি না। ভালো লাগলে পড়বেন, আর ভালো না লাগলে ক্লিক মেরে অন্য সাইটে চলে যাবেন। ইটস দ্যাট সিম্পেল।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ব্লগারদের খ্যাতি আর লেখক সত্তা নিয়ে যদি কারো কোন সন্দেহ থাকে আশা করি নিয়মিত ব্লগাবেন আর কমন্টাইবেন, তাহলেই বুঝাযাবে ব্লগারদের দৌড় কতটুকু। বড় লেখকদের অনেকেই আমি দেখেছি যারা ব্লগিং করেন, খালি টুক করে একটা লেখা দিয়ে ঝুপ মেরে বসে থেকে দেথেন কে কিভাবে ওনাকে তেলাইলো , উদার মন নিয়ে কমেন্ট করতে চাননা অনেকেই... যদি কেউ দেখে ফেলে !!
এই বিষয়ে সময় পাইলে একদিন ছোঁলাব। আজ একটু বিজি। ভোর চারটা। আরো দুইটা রিপোর্ট লেখা বাকী।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
থার্ডু ভাই, মজা পাইলাম কমেন্টে আপনার ছোলানীর অপেক্ষায়।
= = = = = = = = = = =
ঊষার দুয়ারে হানি আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা ঘুচাব তিমির রাত
বাধার বিন্ধ্যাচল।
হ ছোলাইতে গিয়া একটা বাড়তি চন্দ্রবিন্দুও দিয়া ফালাইছি। হি হি হি।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
হা হা, এটা একটা ভালো কথা বলেছেন।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
সচলায়তনের ভুলটা কী, সেটা কেউ বলছে না। আমি জানতে আগ্রহী।
লেখক বেড়ে ওঠেন পাঠককে ঘিরে। বড় লেখকের ল্যাংবোটবৃত্তি করে কোন লেখক বাড়েন কি না জানি না। লেখকদেরও যে অ্যাপ্রেন্সিসশিপ নিয়ে চলতে হবে, এই ধারণটা ভালো লাগেনি বলে একটা প্রতিক্রিয়া পোস্ট দিয়েছিলাম, তবে তা সরিয়ে নিয়েছি, কারণ তার বক্তব্যে আমিও অহেতুক শ্লেষের চর্চাই করেছিলাম, অহৈতুকী শ্লেষের জবাব দিতে গিয়ে যা শেষ পর্যন্ত স্ববিরোধিতা হয়ে যায়।
আমি সুমন রহমানের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি। তিনি যেন শুধু বড় লেখক নন, মানুষ হিসেবেও একজন বড় মাপের মানুষ হয়ে ওঠেন একদিন। তাঁর আলোচ্য লেখার ছত্রে ছত্রে প্রকাশিত এইসব তুচ্ছতা যেন তিনি একদিন অতিক্রম করে উঠতে পারেন। লোকে যেন লাইন ধরে তাঁর শিক্ষানবিশি করতে যায়।
হাঁটুপানির জলদস্যু
তাঁর আলোচ্য লেখার ছত্রে ছত্রে প্রকাশিত এইসব তুচ্ছতা যেন তিনি একদিন অতিক্রম করে উঠতে পারেন। লোকে যেন লাইন ধরে তাঁর শিক্ষানবিশি করতে যায়।
হাহাহাহাহাহা
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমি একজন অতিসাধারন পাঠক, ব্লগে ব্লগে ঘুরে বেড়াই। লিখতে পারিনা কারন পড়তে পড়তেই সময় চলে যায়। সুমন রহমানের সচলায়তনে অভিনীত নাটকটি ব্লগের আর্কাইভ থেকে আমি পুরোই পড়েছি। "এসো আমার ব্লগে এসো" শিরোনামের লিঙ্ক ধরে তার প্রায় সবলেখা, মন্তব্য সবই পড়েছি চেটেপুটে। প্রথমে বেশ লাগলো ... আমি দর্শনের ভক্ত, যুক্তি ভালো লাগে, তার সব লেখা এবং বিশেষ করে মন্তব্যে মনে হলো তিনি বেশ চমত্কার যুক্তিদিয়ে কথা বলেন। সচলায়তনের নিয়ম নীতি .. কি কেমন হওয়া উচিত সে নিয়ে সুন্দর সব কথা বলেছেন .. মানে বলা শুরু করেছেন .. কিন্তু আরও অনেকের মত কোথায় থামতে হবে বুঝতে পারেননি। যে কারনে তার প্রথম কথাগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগলেও পরে একসময় পড়তে পড়তে মনে হলো ... "হুদা কথা বলে" (আড্ডাবাজ ভাইয়ের পেটেন্ট ডায়লগ ব্যবহার করলাম)। এবং আমার আজকে প্রথম আলোতে তার লেখাটি পড়ে মনে হলো সেই কতমাস আগের হুদা কথাই তিনি এখনও বলে যাচ্ছেন। ব্লগ এমন হওয়া উচিত ... নিয়ম এমন থাকা উচিত .. এই করলে সাহিত্য হবে .. নৈরাজ্য না নিয়ন্ত্রন কোনটিকে প্রাধান্য দেয়া উচিত ... এইসব কথা গত বছরও সচলায়তনে তার কাছে শুনেছি, প্রথমবার শুনে বেশ বুদ্ধিদীপ্ত মনে হয়েছে, বারবার শুনে ঘ্যানর ঘ্যানর মনে হয় এখন .. হুদা কথা মনে হয়। একবছর ধরে যদি ব্লগের নিয়মকানুন নিয়েই পড়ে থাকতে হয় তবে ব্লগে লিখবেন কখন?? অবশ্য তিনি যেহেতু পরিপূর্ণ সাহিত্যিক তাই হয়তো ব্লগের স্কুলে সাহিত্য করার দরকার মনে হয়না।
সার্বিক অর্থে সুমন রহমানের লেখা আমার ভালো লাগেনি। লেখায় তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষোভ যেমন প্রকাশ পেয়েছে, তেমনি কিছু অভিযোগও এসেছে যেগুলো নিয়ে সচলায়তনেরও ভাবা উচিত। হিমু বলেছেন,
সচলায়তনের ভুলটা কী, সেটা কেউ বলছে না। আমি জানতে আগ্রহী।
এগুলো অবশ্যই বলা যাবে। তবে এই অভিযোগগুলো নিয়ে বাহাস করার সময় এটা না। সমালোচনা সহ্য করার ব্যাপারে সচলায়তন কতোটুকু উদার আমি জানি না; কিন্তু যেহেতু সবকিছুরই সবল-দুর্বল দিক থাকে, সেই সূত্রে সচলায়তনেরও দুর্বল দিক আছে এবং সচলায়তন স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করার পরই সেগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে, এখন নয়।
তবে সচলায়তন নিয়ে সুমন রহমানের কথাগুলো আমি উড়িয়ে দিতে চাইছি না। মনের কোণে জমা থাকুক, একসময় নড়াচড়া করা যাবে। আপাতত চিন্তা- মুক্ত সচলায়তন
অনিশ্চিত
শ্রদ্ধেয় সুমন রহমান ভালো লেখক। তিনি যখন এই তল্লাটে ছিলেন, তার লেখা পছন্দ করতাম। উনি চলে যাওয়ায় ব্যথিত হয়েছিলাম। এই কথাটা দিয়ে শুরু করে তারপরের লাইনগুলো সুবিনয়ের কথার পুরো রিপিটেশন করতে হয়। সুমন রহমানের বক্তব্যে আরো কিছু ব্যাপার খারাপ লেগেছে। যেমন,
দুঃখজনক।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
সুমন রহমানের লেখা পড়ে একটা কথাই মনে হলো, সুলেখকেরা সবসময়ে সৎ লেখক হয় না।
নিজের মনের সমস্ত ক্ষোভ তিনি উগড়ে দিয়েছেন, কিন্তু তার জন্যে সময় বেছে নিয়েছেন নিদারুণ নিষ্ঠুরতায়।
সত্যিই, সুলেখকের সাথে সাথে নামের প্রতি সুবিচার করে তিনি সু-মনের অধিকারী হয়ে উঠুন এই কামনাই করি।
মুস্তফীকে অনেক ধন্যবাদ, মনের প্রায় সমস্ত কথা বলে ফেলে এই পোস্ট দেবার জন্য।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
সুমন রহমানের সঙ্গে আমার চাক্ষুষ দেখা কখনো হয়নি, ফোনালাপও না। ভার্চুয়াল পরিচয় কয়েক বছর আগে 'কবিসভা' ফোরামে। শুরুতেই তাঁর সঙ্গে একটা মৃদু বাদানুবাদ হয়েছিলো বলে মনে পড়ে। সেই প্রথম সুমন রহমান নামটি জানলাম। এরপরে 'কবিসভা'-য় তাঁকে অসংখ্যবার একাধিক জনের সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হতে দেখেছি। যে কোনো তর্ককে ব্যক্তিগত কলহের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার এক আশ্চর্য প্রতিভা তাঁর আছে। মনে পড়ে, সুমনের এককালের একজন মেন্টরও তাঁর বিষাক্ত ছোবল থেকে রেহাই পাননি।
স্বীকার করে নিই, সুমনের কিছু লেখা আমার ভালো লেগেছিলো। আমি ব্যক্তিগতভাবে ইমেল করে তাঁকে তা জানিয়েছিলাম সেই সময়। সচলায়তনে তিনি এলেন, বেশ কিছু ভালো লেখাও লিখলেন। কিন্তু স্বভাব তাঁকে ছাড়েনি। এখানেও অতি অল্প সময়ের মধ্যে একাধিকবার বিবাদে জড়ালেন, অপ্রয়োজনীয়ভাবে। তাঁর প্রস্থান করার যুক্তিটাও খুব জোরালো বলে মনে হয়নি।
প্রথম আলো-তে তাঁর আজকের লেখাটা পড়ে মনে হলো, সচলায়তন বিষয়ে তাঁর পুরনো ক্ষতের উপশম এখনো হয়নি। লেখাটির ছত্রে ছত্রে তার নমুনা ছড়ানো।
কী আর বলি!
কলহপ্রিয় সুমন রহমান যেন সু-মনের অধিকারী হয়ে ওঠেন একদিন, তাঁর সম্পর্কে আপাতত এর বাইরে কিছু
চাওয়ার নেই।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমি কাইল রাইত থাইকা হাসতেই আছি। অট্টহাসি।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হাইসেন না।
আপনারা যে যাই বলেন, আমি ওনার লেখার ভক্ত।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
সৌরভ, আমি কি কইছি যে তার লেখার ভক্ত আমি নই? তবে তার কলহপ্রিয়তার ভক্ত হওয়া উঠে নাই আমার। তোমার?
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
নো কমেন্ট। উনি জিনিয়াস মানুষ। যা কইবেন, তাই সই।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
সচলায়তনের এই দুর্যোগে অনেক কিছুই শেখার সুযোগ পেলাম। ছোট্ট একটা দেয়ালের ব্যবধান থাকা সত্বেও বাঙ্গালী কেন নরক থেকে স্বর্গে যেতে পারে না, তার প্রমাণও আবার পেলাম।আশে পাশে কত যে টেকি গজিয়ে উঠলো, কত বিশ্লেষণ হলো, কিন্তু একটু চাপাচাপি করে প্রশ্ন করতেই সব টেকি চুপ।
সচলায়তনের সম্ভাব্য নিষিদ্ধকরণের আশংকা যখন করা হচ্ছে তখন ভিন্ন প্ল্যাটফর্মের এমন অনেক ব্লগারই প্রতিবাদের সুর তুলেছেন, যাদের সাথে নানা কারণের সচলায়তনের সম্পর্ক মধুর নয়। আশাবাদী হয়েছিলাম - ভেবেছিলাম মতপ্রকাশের অধিকারের ইস্যুতে অন্তত সবাই ভেদাভেদ ভুলে এক ছাতার তলে আসতে পেরেছে। অল্প কিছু আসলেই পেরেছেন , তবে অনেকের মনেই অন্য চিন্তা। সাহায্য করতে এসে, আগে দু ঘা লাথি কশিয়ে নিচ্ছেন।
সুমন রহমানের লেখা আমি আগেই পড়েছি। তাঁর লেখার প্রতিভার প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে তিনি সাহায্য করতে যেয়ে তাঁর বিবাদপূর্ণ মানসিকতাকে যেভাবে আবার তুলে ধরলেন, সেভাবে না ধরলেও মনে হয় পারতেন।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এরম আরও ২-১ খান পিস যোগাড় করা যায় না ?? অ্যাট দা এন্ড অফ দা ডে,নো পাবলিসিটি ইস ব্যাড পাবলিসিটি
_______________________________________________
দুনিয়াজুড়া পচুর গিয়ানজাম
সুমন রহমান যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন, আমরা মনে হয় সেই ধরনের ভাষা ব্যবহার না করলেও পারি।
তাঁর ক্ষোভ আছে বুঝতে পারছি- কিন্তু সেই ক্ষোভ তিনি প্রকাশ করলেন এমনভাবে! এমন সময়ে!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কবিগুরু এদেরকেই বলেছিলেন -
রেখেছো লেখক করে, ব্লগার করোনি।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ভাষার ব্যবহার বা ক্ষোভ নিয়ে অনেক কথাই উঠবে, সেগুলো নিয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতা আমার নেই।
কিন্তু, আমিও অন্তত এই কথাটাই বলতে চেয়েছিলাম।
শ্রদ্ধেয় লেখক সুমন রহমান এতোদিনেও ব্লগিং ব্যাপারটাই বুঝে উঠতে পারেন নি। পুরো লেখাটা পড়ে আমার মনে হয়েছে, উনি ভেবেছেন, বই বের করা লেখক যখন ওয়েবে লেখা ছাপান, তখন তাকে ব্লগিং বলে।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
কবিগুরু এদেরকেই বলেছিলেন -
রেখেছো লেখক করে, ব্লগার করোনি।
-- দ্বিমত করলাম না। কী হবে দ্বিমত করে?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ইদানীং মধ্যপন্থী লেখকদের দৌরাত্ন বাড়ছে। সুমন রহমানের লেখাটা দুইবার পড়লাম; প্রথমে মনে হয়েছিল তিনি নিতান্তই কোন ক্ষোভ থেকে শিক্ষানবীশ ব্লগার, সহিংস বিক্ষোভ শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন। কিন্তু আরেকবার পড়ে মনে হল লেখাটার উদ্দেশ্য ধরি মাছ না ছুঁই পানি টাইপের।
তিনি একদিকে সচলায়তনের পক্ষে বলেছেন, অন্যদিকে কিছু কিছু বিশেষনের মাধ্যমে সরকারের সিদ্ধান্তের justification করার চেষ্টা করেছেন।
সামগ্রিকভাবে তার বক্তব্য আমার কাছে গ্রহনযোগ্য নয়। কারন একবালতি দুধে একফোটা চোনা পড়লেও তা নষ্ট দুধ, খাওয়ার উপযোগী নয় কখনই।
----------------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
সরকার বা কর্তৃপক্ষ যখন কোনো কিছুকে দেখে, তখন দেখে সংরক্ষণবাদী অবস্থান থেকে। আর অধিকারবাদী সমাজের মানুষ বা গোষ্ঠী দেখতে চাইবে অধিকারের পক্ষ থেকে। সেক্ষেত্রে সচলের সমস্যা না সরকারের সমস্যা তার মধ্যে বেনেফিট অব ডাউট ও সংহতি নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের পাওনা নয় (সরকার বিটিআরসি ইত্যাদি), পাওনা ছিল আমাদের মানে সচলের। সুমন তা করলেন না বলে দুঃখ পেলাম। আমার আপত্তি এপ্রোচের এই ধরনটাতে। কিন্তু আবারো বলি, এছাড়া বর্তমান বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্লগ নিয়ে তাঁর এনালাইসিস গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি ব্লগ-বাস্তবতা নিয়ে কিছু বিশ্লেষণ করেছেন যেটা চিন্তার দাবি রাখে। কিন্তু সচলকে শ্লেষ করার কারণে সেদিকে দৃষ্টি যায় না সাধারণভাবে। মনে হয় যে, ড়্যাব যেভাবে ক্রসফায়ার করছে ওটা ঠিক নয়, কিন্তু যে মরেছে সে যদি সন্ত্রাসী হয়!
আমাদের নীতি হচ্ছে অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানো। আবার আত্মপক্ষ সমর্থনও আমাদের নীতি। এখন এ দুইয়ের সংঘাত হলে, কেউ এদেকে যাবেন, কেউ যাবেন ওদিকে। এখানেও মনে হয় তাই হয়েছে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হয়তো অনেকের মতের বিরুদ্ধে যাবে আমার মন্তব্য। আমি সুমন ভাইয়ের লেখার ভক্ত পাঠক। ওনার লেখা পড়ার অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁকে আমি একজন ভাল মানুষ বলে জানি এবং তাঁর শুভবুদ্ধির উপর ভরসা রাখি।
আমার কাছে মনে হয়েছে যে তিনি কোন পূর্বঅনুভূতি ভুল সময়ে, ভুল জায়গায় প্রকাশ করে ফেলেছেন। বিতর্কে তিনি পক্ষে, নাকি বিপক্ষে অবস্থান নিলেন, তা আমার কাছে বিবেচ্য নয়। আমার মনে হয়েছে তাঁর লেখায় বিতর্কের 'প্রেমিস'টাই বদলে গেছে।
"শিক্ষানবিশ" মন্তব্যটিকেও আমি তেমন কিছু বলবো না। "রাইটার্স ফোরাম"এর সদস্য হয়ে কার না ইচ্ছা হয় লেখক হওয়ার, একটা বই ছাপাবার?
এরপরও তাঁকে আমি অভিনন্দন জানাই, মূলধারার গণমাধ্যমে সচলায়তনের ব্যানড হবার ঘটনা তুলে ধরবার জন্য। তাঁর মতের সাথে আমার মত মিলতেই হবে, এমনটা নয়। তবে আমি আশা করি তিনি পরবর্তীতে আরেকটু কম পরিমাণে মধ্যপন্থী হবেন। পাঠকের ডাক তাঁর মাপের লেখকের কান এড়ায় না।
কেউ আমার কথায় হতাশ বা দুঃখিত হবেন না, আশা করি। গত কিছুদিনের ঘটনাবলির কারণে সচলায়তন এখন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত। নতুন এই বাস্তবতাকে সম্মান দেখিয়েই আমাদের কিছু আচরণগত পরিমার্জন করতে হতে পারে।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
"রাইটার্স ফোরাম"এর সদস্য হয়ে কার না ইচ্ছা হয় লেখক হওয়ার, একটা বই ছাপাবার?
আসলেই করে না, ইশতি। একদিন বই ছাপাবো, সাকুল্যে ত্রিশ কপি বিক্রি হবে সেই বই - এমন হাস্যকর আত্মপ্রসাদের ভবিষ্যত লালসায় তো ব্লগিং করি না। এই বিষয়ে নীচে ধূ.গোই ঠিক বলেছেন।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
কথাটা "লেখক"দের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করার চেষ্টা থেকে বলা। যাঁরা লেখক ছিলেন, বা হতে চান, বা লেখন হিসেবে যাঁদের পরিচিতি আছে, তাঁরা হয়তো সচলায়তন'কে হাত মকশ করার জায়গা হিসেবে দেখে থাকতে পারেন। সুমন রহমান নিজে একজন লেখক/কবি। আমি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখার চেষ্টা করেছি কথাটা। এজন্যই সচল'দের শিক্ষানবিশ লেখক বলার ব্যাপারে আমার আপত্তি নেই। হয়তো তিনি অনেক বেশি সরলীকরণ করেছেন এখানে, তবে মূল সমস্যার তুলনায় তা ক্ষমার্হ।
সুমন ভাই লিখেছেন যে সচলায়তনের "ভুল"টুকু ছিল শিক্ষানবিশের ভুল। এই কথাটা আমি মানতে পারিনি। এবং এই জায়গায়ই আমার মনে হয়েছে যে তিনি বিতর্কের 'প্রেমিস'টা সরিয়ে দিচ্ছেন। সচলায়তন'কে কোন কথা/পোস্টের ভিত্তিতে ব্যান করা হয়েছে, এর পেছনে উদ্দেশ্য কী, ইত্যাদির পরিবর্তে সচলায়তন দু'পায়ে দাঁড়ানে পারে কিনা, সেই দিকে সরে গেছে কথোপকথন।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
আপত্তিটা বোধহয় অন্য জায়গা থেকে উঠেছে। সামগ্রিকভাবে বাংলা ব্লগকে শিক্ষানবিশের জন্যে "লেখকের আত্মাভিমান" চর্চার জায়গা বলা হচ্ছে। বক্তব্যটা আপত্তিকর। আমি এখনো পর্যন্ত সচলায়তনে কাউকে এই লেখকের আত্মাভিমান নিয়ে চলতে দেখিনি। আর শিক্ষানবিশ কথাটার পেছনে শিক্ষাগুরুর কথাটা উহ্য থাকে। এখানে কে কার শিক্ষানবিশি করছে, ইশতি? আর সুবিনয়ের আপত্তিটাই বোধহয় ঐখানে, সুমন রহমান নিজে লেখক/কবি, কাজেই তাঁর চোখে বাংলা ব্লগের সবাই হচ্ছে "শিক্ষানবিশ"।
তিনি একাধিকবারই নানা প্রশ্ন করে বেশ চতুর কিছু উত্তরও গুঁজে দিয়েছেন। সেগুলির উদাহরণ এই পোস্টের মন্তব্যে এসেছে।
আমি লেখক হিসেবে তাঁকে শ্রদ্ধা করতাম, কিন্তু তাঁর আচরণে আমি আহত। তিনি অন্তত একজন পাঠক হারালেন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
শিক্ষানবিস শব্দটির মধ্যে শিক্ষাগুরু শব্দটি উহ্য আছে। সচলায়তনের ব্লগাররা যদি শিক্ষানবিস হয়ে থাকেন তাহলে অতিস্বত্তর শিক্ষাগুরু যোগাড় করে সবাইকে আগামী বইমেলার জন্য উপযুক্ত করে তুলতে হবে।
আমিও "বালছাল" নামে একটা বই বের করবো। তারপর প্রথম আলোতে কলাম লিখে নামের শেষে কবি/সাহিত্যিক যোগ করতে পারবো।
অতএব, সচলায়তন কতৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ আর কারও জন্য না হলেও আমার জন্য অবিলম্বে একজন শিক্ষাগুরুর ব্যবস্থা করা হোক।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
বুঝতে পারলাম। আমিও কোন ব্যক্তিবিশেষকে শিক্ষাগুরু হিসেবে দেখতে নারাজ। আপনাদের আপত্তির সাথে সামিল আমি এখানে। তবে, লিখবার পর পাঠকের ফিডব্যাকটা একজন মানুষকে ভাল লেখক/ব্লগার করে, তার চিন্তায় সংশোধন এনে দেয়। সেই অর্থে সচলায়তনের প্রত্যেক পাঠকই আমার শিক্ষাগুরু। এভাবে দেখতে আমার কোন আপত্তিও নেই।
সুমন রহমান নিজেকে ম্যাচিউর লেখক ও অন্যদের শিক্ষানবিশ বলেছেন। ব্যাপারটা আমার কাছেও খারাপ লেগেছে, তবে এখন তা নিয়ে ভেবে কী লাভ, বলুন? লাখ খানেক মানুষ সেই মতটাই জেনেছেন। আমি চাইছি না মূল সমস্যা থেকে চোখ সরে যাক। এখন যে বিভেদ বা বিরোধ সামনে আনবার সময় নয়, সেটি সুমন ভাই ভুলে গেলেও আমি ভুলতে চাচ্ছি না। সচলায়তনকে আনব্যান করার পরও এসব নিয়ে ভাবা যাবে।
সুমন রহমান লেখক হিসেবে একটি পরিচিত নাম। সচলায়তন যে ব্যান হয়েছে, এবং একে আনব্যান করা উচিত, সেই কথা তিনি একটি প্রচারমাধ্যমে বলেছেন। সে-জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দেওয়ার পক্ষে আমি। তিনি তাঁর লেখায় সচলায়তনের ব্যাপারে পুরনো ক্ষোভ ঝেড়েছেন। এই ভুলটি শিশুসুলভ ছিল। আমি শুধু আশা করতে পারি তিনি পরবর্তীতেও একই কাজ করবেন না, এবং সেই আশাটুকু আমি করছি।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
ইশতি:
সুমন রহমান লেখক হিসাবে একটি পরিচিত নাম। তিনি সচলায়তনের ব্যানের বিষয়টি নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে ব্যক্তিগত ক্ষোভ ঝেড়েছেন। এই ভুলটি শিশুসুলভ??? "শিক্ষাগুরুরা" "শিক্ষানবিসসুলভ" আচরণ করলে আমরা শিক্ষানবিসরা কার কাছ থেকে দীক্ষা নেবো?
কী ব্লগার? ডরাইলা?
সমস্যা হলো, ব্লগিংটা একটু রিস্কি, বিশেষ করে কবিসভায় বক্তিমা দিয়ে লেখক হিসেবে আত্মতৃপ্তি প্রাপ্ত তেল খেতে অভ্যস্ত পাবলিকদের। ব্লগে এসে কেউ তেল দিতে চায় না, কথার বিচার হয় কথার মান দিয়ে, কে বললো, সেটা গৌণ বিষয়। ব্লগিং জিনিসটা সো কলড লেখকদের জন্য তাই হুমকিস্বরূপ।
সুমন ভাইয়ের লেখা ভালো লাগতো। কিন্তু এই লেখাটা তিনি ভুল সময়ে খিঁচুড়িবাণী দিয়েছেন। ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার ওপরে উঠতে পারেন নি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সকালের পত্রিকায় লেখাটি পড়েই এটার শ্লেষাত্নক ভাবটা ধরতে পেরেছি।
শিরোনামের সচল থাকুক কথাটার ওজন কতটুকু সেটা বুঝে উঠতে পারছি না। কারণ সচলায়তনতো বন্ধ হয়ে যায়নি। আপাতত প্রক্সি থেকে ঢুকছি, লিখছি .... অচল হলাম কীভাবে। এমনকি বিটিএসএল না বিটিটিবি ... ওটার সার্ভার ব্যবহার করেই ঢুকতে পারি (তবে লিখতে পারি না) ব্লক করা পোর্টগুলোকে এড়ানোর বুদ্ধি তো এর আগেই একজন দিয়েছেন।
পুরা লেখাটার একটাই ধনাত্নক দিক দেখলাম .... সেটা হল সচলায়তনের নাম আরও অনেক বেশি লোকের মনে চেখে দেখার কৌতুহল জাগিয়ে তুলবে ।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
- ভুল সময়ে ভুল সিদ্ধান্ত বলে যারা সুমন রহমানের লেখাটিকে বলছি আমরা তাদের কাছেও কি এমনটাই মনে হয় যে এখানে মানে সচলায়তনে যারা আবঝাব-আবোলতাবোল ল্যাখে তারা প্রথম সারির সংবাদপত্রে লেখা বা একুশে বইমেলায় একটা বই বের করার পাঁয়তারায় সারাক্ষণ লগ ইন করে থাকে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমিন সুম্মা আমিন!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ধূগো বস, বই বাইর কর্লে কি কেউ শ্যালিকা দিবো?
ল্যাখতে পারি আর নাই পারি, তাইলে আমি বই বাইর করুম।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
- আমি দিমু না, সুবিনয় মুন্সী সু(ন্দর) মনের একটা শ্যালিকা দিলেও দিতে পারে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার শালি আছে। তাও আমি বই বাইর করুম। বইয়ের নামও ঠিক করে ফেলেছি: বাল ছাল।
কী ব্লগার? ডরাইলা?
পুংগির ভাই তুমিও!!!
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সকালে প্রথম আলোতে সুমন রহমানের লেখা পড়ে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিলো, এখানে তার সবই প্রায় লেখা হয়ে গেছে।
তবে সামান্য যোগ করে বলতে চাই:
১. সামহোরিন থেকে একটি গ্রুপ বেরিয়ে এসে সচলায়তন খুলেছেন, এই তথ্য কতটুকু গ্রহণযোগ্য?
২. সুমন রহমানের ভাষ্যমতে, সচলায়তনের সদস্য হতে প্রায় বর্ষকাল অপেক্ষা করতে হয়, সাংবাদিক হয়ে এই তথ্য উনি কোথায় পেলেন?...আমার নিজের ক্ষেত্রে সচল হতে প্রায় দেড় সপ্তাহ সময় লেগেছে। আর এখনকার মতো তখন অতিথিদের লেখার ক্ষমতা ছিলো না। তবে তারা মডারেশনের পর শুধু মন্তব্য করতে পারতেন।...
৩. উদ্ধৃতি-সুবিনয় মুস্তফী
'সুমন রহমান বলেছেন - ব্লগ নাকি নবীন লেখকদের জন্যে প্রজননক্ষেত্র।
প্রজননক্ষেত্র বুঝি! তার অলিখিত এসাম্পশান হলো এখনো পরিপক্ক লেখক হইনি। এখনো ব্যাঙ্গাচি আছি। তাদের আশীর্বাদে এক সময় ম্যাচিওর লেখক হতে পারবো, পত্রপত্রিকায় লেখা যাবে, হয়তো বইমেলায় বেরুবে বই। আজিজে আর গাছতলার আড্ডায় মিলবে দেখা। তার আগে পর্যন্ত ট্যাডপোলই থেকে যাবো।' ...
সুমন রহমানের উদ্দেশ্য হয়তো সচলায়তন ব্লক/ব্যান করার (যদি হয়ে থাকে) হীন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে। কিন্তু তার লেখার উপস্থাপনার ধরণ এ রকমই ঘৃন্য ও বিদ্বেষপূর্ণ!
সব মিলিয়ে আমি বিস্মিত, ক্ষুব্ধ ও দারুনভাবে মর্মাহত।।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
এগজ্যাক্টলি এ কথাটাই আমার মনে হয়েছিল। এক বছরের মত সময় লেখক কোথায় পেলেন ? আমি নিজে সামহোয়ারে তেমন বলার মতো কিছুই লেখি নি ( তেমন বলছি, কারণ লেখেছি ৫-৭ টার মত ব্লগ ) , অধিকাংশ সময় পড়েছি এমনকি মন্তব্যও করিনি। সচলের কোন উদ্যোক্তাকেই ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম না। কোনরকম ব্যক্তিপরিচয় ছাড়াই সচলায়তন আমাকে এক মাসের মধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে। এ ধরণের কথাবার্তা দিয়েই শুধু বিভ্রান্তি ছড়ানো যায়, সত্যটা আর বলা হয় না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সচলায়তন-এ যেদিন থেকে বাংলাদেশ হতে দ্যাখা যাচ্ছে না সেদিন থেকে এর পক্ষে বিপক্ষে নানা কথা নানা জনে বলছেন। আলোচনা তাকে নিয়েই হয়, যিনি মধ্যবিন্দুতে অবস্থান করেন। সচলায়তন সেদিক থেকে একেবারে প্রথম থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে আছে। আর সচলায়তন যে অনেকটাই ক্ষমতাধর তাতো প্রমাণিত হয়েই গেলো এই ব্যান-এর মধ্য দিয়ে। আয়তনে ছোট হলেও একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিচালকগণ কিংবা একটি রাজনৈতিক পক্ষ যারা নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে আল্লাহ্র পরেই নিজেদেরকে ভেবে বগল বাজায় তারাও সচলায়তনকে মনে করছে তাদের প্রতিপক্ষ। ক্ষমতার দৌঁড়ে কিন্তু সচলায়তন এবং সচলগণ এই রগ-কাটা, ডোরাকাটা শক্তি বলয়ের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে – এটা কি এখন ধ্রুব সত্য নয়?
সচলায়তন এতোটা শক্তিশালী, বিখ্যাত হয়েছে এর সচলদের কারণেই। সচলায়তন এবং সচলগণ তো আলাদা কোনও সত্ত্বা নয়, এক দেহে লীন এবং একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফলে সচলায়তন নিয়ে পক্ষে বা বিপক্ষে যাই-ই বলা হোক না কেন, তাপ বা পরিতাপ দু’টোই সচলায়তন এবং সচল উভয়ের গায়েই লাগবে। এবং এটাই স্বাভাবিক। লক্ষ্য করছি সচলায়তন নিয়ে এক ধরনের ব্লগাটিকস্ (পলিটিক্স-এর ব্লগীয় সংস্করণ) শুরু হয়েছে। তা আবার নিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী পত্রিকার উপসম্পাদকীয় কলাম পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছে। বলা বাহুল্য, এখানেই থামবে না বিষয়টি। আরও হবে, এখন শিক্ষানবিশ বলা হয়েছে, পরে বলা হবে লেখা-জোকায় ইন্টারমিডিয়েট, মাত্র কলেজের দুয়ারে পা রেখেছে; কিন্তু শেষ পর্যন্ত সার্টিফিকেট তাদের দিতেই হবে যে, আসলে সচলায়তনেও লেখক আছেন। তবে সুখবর হলো, সেই সার্টিফিকেট সচলদের কেউ পেলেন না কি পেলেন না তার তোয়াক্কা সচলায়তন করবে না। আর এই বাস্তবতা না বোঝার অজ্ঞতাকে সচলদের ক্ষমা করা উচিত নিজগুণে।
আশাকরি, সব সচলদের ক্ষমার মতো মহৎ গুণটি আছে। তবে হ্যাঁ, শত্রু-মিত্র চেনার মোক্ষম এই সময় সচলায়তন ও সচলদের আর কখনও হবে কি না সন্দেহ।
এই পোস্টের সেরা মন্তব্য।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
(বিপ্লব)
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
মাসুদা, কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। সত্যি বলতে নিজেকে শক্তিশালী বা বিখ্যাত কিছুর অংশ হিসাবে ভাবতে চাইনা। সচলে আসি ভালো লেখার খোঁজে। চাই ফারুক ওয়াসিফের লেখা পড়ে ভাবতে, মুহাম্মদ জুবায়েরের লেখা পড়ে জানতে, হিমুর লেখা পড়ে হাসতে। মাঝে মাঝে চাই আমার নিজের প্রিয় বিষয়গুলো নিয়ে লেখতে, পাঠককে দুই মিনিটের জন্য হলেও সেটা নিয়ে একটু ভাবাতে। আরো আসি বন্ধুদের নতুন লেখাগুলো পড়ে দেখতে - কেমন লেখা দিলো।
এর বাইরে তেমন চাওয়া ছিল না। কিন্তু এখন এই নতুন খ্যাতির মাইক্রোস্কোপের তলায় পড়ে অস্বস্তি বোধ করি, ভাবি এত অযাচিত অনাকাংখিত অ্যাটেনশান আমাদের উপর থেকে তাড়াতাড়ি চলে যাক। একটা সুপাঠ্য, উৎকৃষ্ট সাইট চাই; শক্তি বা খ্যাতি নয়।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আমার কথাটুকু বলে দিলেন।
রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!
দুষ্ট লেখকের চেয়ে শূণ্য ব্লগ ভালো...
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
পড়ছি
শুনছি
আর
একটু একটু করে অনেক কিছুই বুঝছি।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
সুমন রহমান প্রতিষ্ঠিত এবং সুলেখক। সচলায়তনের প্রতি পুরনো ক্ষোভ মেটানোর একটা মোক্ষম সুযোগ পেয়েছেন আর সেটার সদ্ব্যবহার করেছেন। সবচেয়ে বেশি শঙ্কিত হয়েছি নিচের লাইনগুলো পড়ে-
“ব্লগ একটি নতুন গণমাধ্যম এবং এটি পুরোপুরি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের অধীন এমনটাও বলা যাচ্ছে না। এ কারণে সচলায়তন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে, এমনকি বাংলাদেশ থেকেও প্রক্সি সার্ভার দিয়ে এই ব্লগসাইট দেখা যাচ্ছে। ফলে নিয়ন্ত্রণের পুরোনো কৌশল এখানে খুব যে কার্যকর এমনও না।“
খুব সম্ভবত: তিনি চান এমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হোক যাতে বাংলাদেশ থেকে একেবারে একেক্স করা না যায়। যদিও সবশেষে বলেছেন, সচল থাকুক সচলায়তন (আসলেই কি?)।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
সচলায়তন ki blog?? সচলায়তনে jara likhen tara ki bloger?? karon ntunder ke kortipokhho nicher point mone koriea dichhen:
৪. সচলায়তনের নীতিমালা পড়ে দেখুন, এটি ফোরাম বা ব্লগ নয়। অযথা খোচাঁখুঁচি বা তামাশা থেকে বিরত থাকুন, সচলের অংশ হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। সচলে আপনার লেখালেখি শুভ হোক, প্রয়োজনে ইমেল করুন এই ঠিকানায়
shishir
সচলায়তন বিচ্ছিন্ন ব্লগ বা ফোরাম নয়, কমিউনিটি। সেটিই বোধহয় বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
সচলায়তনে যাঁরা লেখেন, তাঁরা নিজেদের অনলাইন লেখক সমাবেশের অংশ বলছেন। কেউ ব্লগিং করছেন, কেউ সাহিত্য করছেন, কোন বাঁধাধরা নিয়ম তো নেই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আপনি একবার বলছেন,
"সচলায়তন বিচ্ছিন্ন ব্লগ বা ফোরাম নয়, কমিউনিটি";
আবার বলছেন,
"কেউ ব্লগিং করছেন...."
ব্যাপারটা কি দাড়াল তাহলে সচলায়তন ব্লগ হলেও হতে পারে আবার নাও হতে পারে!! আপনিত আমাকে কনফিউশনে ফেলে দিলেন, কারণ সচলায়তন কতৃপক্ষ খুব পরিস্কার করেই বলেছেন
"সচলায়তন কোন ব্লগ বা ফোরাম না"।
আসলে আমার প্রশ্নটা ছিল লেখকের প্রতি, আপনার সাথে ঠিক এই বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।
ধন্যবাদ
আপনার একটা জিজ্ঞাসা আছে, তার উত্তর আমি দিয়েছি। যদি জিজ্ঞাসার উত্তর পাওয়াই আপনার লক্ষ্য হয়, তাহলে আমার উত্তরে আপনার নাখোশ হওয়ার কিছু দেখি না।
বিচ্ছিন্ন ব্লগ বলতে বোঝানো হয়েছে ব্লগস্পট, ওয়ার্ডপ্রেস বা লাইভ জার্নালে দ্বীপের মতো এক একটি ব্লগকে। সচলায়তন তা নয়। এটি একটি লেখক সমাবেশ, দেখতেই পাচ্ছেন অনেকের লেখা এখানে একই সাথে স্থান পাচ্ছে। এ ব্যাপারটির প্রতিই লক্ষ্য রাখতে সম্ভবত অনুরোধ করা হয়েছে।
আপনি যেহেতু আমার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে আর আগ্রহী নন, আমিও যেচে আর কিছু জানাচ্ছি না। আপনার কনফিউশন যদি আপনি লালনে উৎসাহী হন, সেটা আপনার ব্যাপার।
ভালো থাকুন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আবু হাসান শাহরিয়ারের কবিতার দুটি লাইন মনে পড়ছে-
আমি বুঝি কম, বেশি বোঝে যারা
তাদেরই লাগে মিডিয়া পাহারা।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
আমি ফালতু ব্লগার একটা ফালতু কমেন্ট করিঃ-
সুমন রহমান জ্ঞানী মানুষ। সচলায়তনে এত ব্লগার থাকতে হুদাহুদি "শিক্ষানবিস" রে আক্রমন করলেন কেন বুঝলাম না! বেচারা চমৎকার সব বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে ক্রমাগত পোস্ট দিচ্ছিল।
বাংলাদেশ এখন বড় মাপের কবি, সাহিত্যিকদের লাভ তুলে নেবার [দালালির মাধ্যমে] জায়গায় পরিণত হয়েছে। সুমন রহমান অনেক বড় কবি/সাহিত্যিক; তিনিও লাভ তুলে নিবেন এ আর এমন কী!
কী ব্লগার? ডরাইলা?
শিক্ষানবিশ ছেলেটার জন্য আমার খুবি কষ্ট হচ্ছে এখন। দ্রোহী না বল্লেতো আমি বুঝতেই পারতাম না এই বাচ্চা ছেলেটাকে টার্গেট করেছেন তিনি। অথচ কাল শেষরাত (৪টা) থেকে আমি পড়ছি আর হাসছি মানে হাসতেই আছি... আহারে শিক্ষানবিশ।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হ...............
কী ব্লগার? ডরাইলা?
সুমন রহমান লোক তো সুবিধার না!?
বোধহয় ভাবছিলেন, আমি আর আসমু না। কিন্তু, দেইখাই আইসা পড়ছি। অ্যাটেন্ডেন্স তো দেখি খুব জরুরী।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
হা হা হা........................অয়েলক্যাম্বাক
কী ব্লগার? ডরাইলা?
প্রথম আলোতে লেখাটা পড়লাম অনেক আগ্রহ নিয়ে
কিন্তু পড়ে দেখি আগাগোড়া একটা একটা বাচ্চা বাচ্চা লেখা
ধ্যাৎতেরি....
এখনো অবধি অবশ্যমান্য রীতি অনুযায়ী সচলায়তনে অ্যাকসেস পেতে হলে অতিথি হিসেবে নবিশি করেই পেতে হয়। যত গুরুস্থানীয় লেখকই একজন হোন না কেন, তাঁকে এই পন্থাই অবলম্বন করতে হয়। (শুনেছি শুরুতে নবিশি করতে হয় নি, কিন্তু প্রথম দফায় যাঁরা বিনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন নি, তাঁদের সবারই প্রায় এই প্রক্রিয়ায় সচল হতে হয়েছে। কারোর এক সপ্তাহ, কারোর দু' সপ্তাহ, অধিকাংশের এক দু'মাস বা তারও বেশি লেগেছে। খারাপ ছাত্র বলে আমার নবিশি করতে হয়েছিল দেড়/দু'মাস।) এই বিবেচনায় খানিক নবিশি ব্যাপার সচলায়তনে আছেই, আমি মানি। কিন্তু এখানকার সবাই চিরকাল নবিশ লেখক থেকে যান, তা তো নয়। এখানেই সুমন রহমানের মূল্যায়নটা সচলায়তনের প্রকৃত অবস্থাকে তুলে ধরে না।
সুমন রহমান নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, সচলায়তনে এমন অনেক গুণি লেখক/ব্লগার আছেন, যাঁদের চিন্তার বিশাল বিস্তৃতি ও গভীরতাপূর্ণ লেখায় সবসময় মন্তব্যের সাহস পর্যন্ত করে ওঠা যায় না। তো, অনেকানেক চিরনবিশের পাশে থাকা তথ্যাস্ত্রসজ্জিত ও সৃজনসক্ষম এরকম বড়ো মাপের লেখক/ব্লগারগণ নবিশি করাকে সম্মানজনক অভিধা হিসেবে দেখবেন কেন? সুমন রহমানের লেখাটির ভালো দিক যদি কিছু থাকেই (আমার দৃষ্টিতে আছে)তা ওরকম ক্ষোভমিশ্রিত হেয়কর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়াবাষ্পের নিচে চাপা পড়ে গেছে। তাই অবশ্য হবার কথা।
এ পোস্টে করা মন্তব্যগুলোতে চোখ বুলিয়ে একটা বিষয় খুব করে নজরে পড়ল, তা হলো অধিকাংশ ব্লগারই সুমন রহমানকে ভালো লেখক (নিদেনপক্ষে তাঁর লেখা ভালো লাগে) বলে জানেন বা মানেন। কিন্তু সুবিনয় মুস্তফীর পোস্টেই সুমন রহমানের প্রতি আক্রমণ সূচিত হয়ে যাওয়ায় ক্রমশ আক্রমণের তীব্রতা এমন পর্যায়ে নেমে গেছে যে, সেটা তাঁর (সুমন রহমানের) লেখকসত্তাকেই তুচ্ছ করে দিতে চেয়েছে। কিন্তু বর্তমান মূলধারার বাংলা লেখালেখির যে খোঁজটুকু আমি রাখি, তাতে তাঁকে অতটা তুচ্ছ করে দেখবার আর জো নেই বলেই মনে করি। তাঁর এই অর্জন, যতদূর জানি, মোটমাট ২২/২৩ বছরের। মতে মিলল না বলে একজন ভূতপূর্ব সচলকে উপুড় করে ফেলে সবাই মিলে যথেচ্ছা মারতে থাকলে প্রত্যেকেরই তো শঙ্কিত হয়ে ওঠার কারণ ঘটে। বলা তো যায় না, কোনো কারণে একদিন অন্য কেউও তো আমরা অচল হয়ে যেতে পারি!
সচলায়তনের সাম্প্রতিক দুর্যোগকালে সবচেয়ে বেশি যে ইস্যুটা আলোচিত হয়েছে সেটা 'মতপ্রকাশের স্বাধীনতা'। সুমন রহমান প্রথম আলোতে যে লেখাটি লিখেছেন সেটিরও মূল বিষয় সেটাই, উপসম্পাদকীয় কলামের এই লেখাটির উপশিরোনামও 'মতপ্রকাশ'। সুতরাং একজন ভূতপূর্ব সচলের সচলায়তনসংক্রান্ত অভিজ্ঞতাসম্বলিত 'মতপ্রকাশের স্বাধীনতা'র প্রতিও হয়ত আমরা শ্রদ্ধা রাখতে পারি, ভিন্নমতের যৌক্তিক ও শোভন প্রকাশের অধিকারসহ।
সচলের দুর্যোগ পরিস্থিতির শিগগির অবসান হোক। স্বাভাবিক রঙ ফিরে পাক প্রিয় এই কমিউনিটি।
...............................................................
জেতা মৎস্য গিলে বকে মনুষ্য খায় বাঘ-ভালুকে
রহস্য বোঝে না লোকে কেবল বলে জয়।
(দীন দ্বিজদাস)
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
আপনার মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ণই একমত।
আমিও যৌক্তিক আর শোভন মতপ্রকাশই আশা করেছিলাম হয়তো তাঁর কাছে। পরিবর্তে যা পেলাম তা হচ্ছে সচলায়তনের অব্যাখ্যাত কোন এক "ভুল" (ধারণা করছি সেটি যুদ্ধাপরাধী এবং মুক্তিযোদ্ধা নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে উচ্চকিত প্রতিবাদ, নিশ্চিত নই, লেখক ও কবি সুমন রহমান পরিষ্কার করেননি, সাসপেন্স রেখে দিয়েছেন পাঠকদের জন্যে) সম্পর্কে বাণী এবং এই ভুলের জন্যে ব্লগারদের শাস্তি দেয়া যেতে পারে, এমন একটি তির্যক ইঙ্গিত।
একজন লেখকের দীর্ঘদিনের অনুশীলনের প্রাপ্তি যদি তাঁর এককালের সহব্লগারদের অবজ্ঞা আর বিদ্রুপ করতেই শেখায়, তাহলে ২২/২৩ বছরের সাধনায় কিছু ত্রুটি ছিলো, বলতেই হবে। তাঁর এই সুদীর্ঘ সাধনার প্রতি অবিচার করা যেমন অনুচিত, তেমনি অনুচিত তাঁর তির্যক মন্তব্যকে সাধনার অজুহাত দেখিয়ে পাশ কাটিয়ে যাওয়া।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হুমম।
প্রতিষ্ঠিত লেখক, গুণী লেখক - এইসব নিয়ে কথা উঠলো মন্তব্যে। এই বিষয়ে আমার চিন্তা খুব সহজ। সম্মান বা শ্রদ্ধা অর্জন করতে হয়। এমনি এমনি দেওয়া যায় না। হোক তিনি ভালো লেখক। হোক কালজয়ী লেখক, তাতেও অসুবিধা নাই। কিন্তু মানুষ হিসাবে কি রকম, সেটা বিবেচনা করার বয়স অন্তত আমাদের হয়েছে। গত বছর সচল নিয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন। জুবায়ের ভাইয়ের থেকে জানা গেল তিনি কবিসভাতেও নানান খেলা খেলেছেন।
তা তিনি খেলতেই পারেন। প্রথম আলোতেও তিনি লিখতে পারেন ইচ্ছা মতোন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা তো আছেই। কিন্তু বন্ধু-সুলভ চেহারার আড়ালে আবডালে ঘোলা জলে মাছ শিকার করবেন, আর সচলদের চামে চামে হেয় প্রতিপন্ন করবেন, তা তো সম্ভব না।
হাসান মোরশেদের সাথে গলা মিলিয়ে আবারো বলি -
আমরা একলব্য না। কোন আঙ্গুল কাটাকাটিতে পাবেন না, কোন তেলানোতে পাবেন না, কোন চামচামিতে পাবেন না, যেহেতু অনেকেই বিদেশে থাকি, কোন মুখচেনা আড্ডায়ও দেখবেন না। আজিজে শিন্নি দিতে যাবো না, বইমেলায় হিজরত করতে যাবো না। মুখচেনা লেখকদের পীর সুফি দরবেশ হিসাবে মানতে পারবো না। কারো সাগরেদ মুরিদ হতে পারবো না। বই ছাপাছাপির ছাইপাশে যেতে পারবো না, ত্রিশ কপি বিক্রি নিয়ে খুশীতে গদগদ হতে পারবো না। যা বলার ব্লগেই বলবো, এবং যেই সততার মানদন্ড নিজের থেকে আশা করি, সচলদের থেকে আশা করি, সেটা অন্য সকলের থেকেও আশা করবো।
লেখকেরা নানান ব্লগে এসে ভাবেন এখানেও তারা যথোপযুক্ত সম্মানের দাবীদার। কিন্তু সেই সম্মানটুকু তারা অর্জন করলেই আমরা কেবল তা দিতে পারি। নতুবা নয়।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
কিছু মানুষ থাকেন, সচলায়তনেও যেমন আছেন, খানিকটা তর্কবিতর্কপ্রিয়। এটাকে তো বরাবর আমার কাছে সুস্থ ব্যাপারই মনে হয়। এর মধ্যে নেতিবাচক অর্থে রাজনীতি খুঁজতে যাওয়া কেন? জ্ঞানকাণ্ডের কিছু ধারা তো বিতর্করূপেই বাহিত। তো, রাজনীতিদুষ্ট বলে আমরা সেসব খারিজ করি না তো!
হাসান মোরশেদের উদ্ধৃত লেখাটা আমি আগে পড়ি নি। এখন পড়ে মনে হচ্ছে কথাগুলোর শতভাগ ঠিকঠাক হাসান মোরশেদের সঙ্গে যায় না, যায় না অন্য অনেক ব্লগারের সঙ্গেও। যদিও এটা ঠিক যে, অবস্থানগত কারণেই এরকম করে বলবার একটা সুবিধা তাঁর ছিল। কারণ তিনি চাইলেও তাঁর পক্ষে নিয়মিত মুখ চেনা আড্ডায় বসা বা আজিজে শিন্নি দিতে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে কিনা আক্ষরিক অর্থেই তো এবার বইমেলায় হিজরত করে গেলেন তিনি এবং আরো অনেক নামজাদা প্রবাসী ব্লগার। বই ছাপাছাপির 'ছাইপাশে'ও তাঁর কোনো অনাগ্রহ আদতে নেই বলে জানি। তাঁর তীব্র আগ্রহ ছিল এবার 'শমন,শেকল' উপন্যাসটি বেরোবে, প্রশাসন র্যাবায়িত হয়ে যাওয়ায় প্রকাশক ভয় পান বলে তা হয় নি। আশা করি আগামী মেলায় তা হবে। তাছাড়া প্রকাশায়তনের কথাও এখানে উল্লিখিত থাকল।
তর্কের জন্য তর্ক করব না। বলতে চাই যে, বই প্রকাশের বিরুদ্ধে বলার ঝুঁকিতে আপনারা কেন যাচ্ছেন অযথা? বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের সিংহভাগই তো এখনো ব্লগ নয়, বইই পড়েন। তাঁদের সঙ্গে আপনাদের চিন্তা শেয়ার করায় অনাপত্তি থাকাই তো সঠিক হতে পারত ও পারে।
................................................................
জেতা মৎস্য গিলে বকে মনুষ্য খায় বাঘ-ভালুকে
রহস্য বোঝে না লোকে কেবল বলে জয়।
(দীন দ্বিজদাস)
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
সুপ্রিয় মুজিব ভাই,
এই দীর্ঘ আলোচিত পোষ্টে মন্তব্য করার ইচ্ছে ছিলোনা কিন্তু এই অভাজনের নাম উচ্চারন হেতু মন্তব্য করতে হচ্ছেঃ-
না বই প্রকাশ কিংবা প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতি আমার ব্যক্তিগত কোন বিতৃষ্ণা নেই আবার মুলধারার কোন কাগজে নিজের লেখা ছাপানোর তীব্র কোন আগ্রহ ও নেই । কেউ যদি বলে বসেন- 'যা ব্যাটা তোর লেখা মুলধারার কাগজ ছাপালে তো!' তাহলে আমি সবিনয়ে জানাবো- প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকীর একেবারে শুরুর দিকে '৯৯ সালে এই অভাজনের একটি গল্প প্রকাশিত হয়েছিল । সম্পাদক ছিলেন সাজ্জাদ শরীফ, তার সাথে আমার কোন যোগাযোগ ছিলোনা । এর পর পর প্রথম বারের মতো দেশের বাইরে চলে আসায় কারো সাথে যোগাযোগ তৈরী করার কোন সুযোগ ও ছিলোনা আমার । এ ছাড়া নিজেও সম্পাদনা করেছি ছোটগল্পের কাগজ । বই প্রকাশের ইচ্ছে ছিল ,এখনো আছে । সেটা আমি ব্লগিং না করলে ও থাকতো ।
এখন প্রশ্ন হলো- ব্লগে লিখা কিংবা সুনির্দিষ্ট ভাবে সচলায়তনে লেখা যে একটা শিক্ষানবীশি ব্যাপার সেটা উল্লেখ করে সুমন রহমান কি বলতে চাইলেন যে পত্রিকায় লেখাটা বেশ পরিপূর্নতার উদাহরন? যুক্তিতে গেলে আমি তো বলবো বরং পত্রিকায় লেখাটাই হচ্ছে শিক্ষানবীশি । আমি লেখা পাঠাবো,সাহিত্য সম্পাদক সেই লেখা মুল্যায়ন করবেন, লেখা তার মনমত হলে তবেই ছাপাবেন ।
আপনি মুজিব মেহেদী তো ব্লগ এবং পত্রিকা(ছোট কাগজ/মুলধারার) দুই ধারাতেই লিখলেন । আপনিই বলুন তো ব্লগে কি আপনার লেখা প্রকাশের জন্য কোন এডমিন/মডারেটরের ছাড়পত্র নিতে হয়?
তাহলে শিক্ষানবীশির প্রশ্ন আসলো কেনো?
সচলায়তন কখনোই অস্বীকার করেনি বরং স্পষ্টভাবেই ঘোষনা করে আমরা সচল গ্রহন করি একটি বিশেষ বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে । এই বাছাই কিন্তু আপনি কতোটা ভালো লেখক সেটা পরীক্ষার জন্য নয় । কে পরীক্ষা করবে এটা? এখানে তো সাহিত্য সম্পাদক বলে কেউ নেই ।
অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারনে সচলায়তন সতর্ক থাকে যেনো অহেতুক কলহপ্রিয় কেউ সচল হবার সুযোগ না পান, নিরুপদ্রব লেখালেখির চেয়ে খোচাখুঁচিতে যারা বিনোদন লাভ করেন সচলের দ্বার তাদের জন্য উন্মুক্ত নয় ।
সচল হতে আগ্রহী একজনকে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয় এই আত্নীকরনের জন্য ।
যা হোক, কেনো এতো কিছু লিখছি অহেতুক ।
এর সবকিছু তো আপনি ভালোই জানেন ।
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
যেহেতু আমার ধারণা ছিলো এই সুমন রহমান ফেসবুকে আমার লিস্টের সুমন রহমান। এখন দেখছি ভিন্ন লোক। আমার দোস্ত না। তাই সম্পাদনা করে আমার অপচয়কৃত শব্দগুলো সরিয়ে নিলাম। (অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য আমি দুঃখিত।)
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
মোক্ষম!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
কি তামশা। এ তো দেখি মহাভারত!উপর থেইকা নিচ পড়তে আমার পুরা কাপ কফি শেষ...যাউগগা।
সচলের সেরা ব্লগাররা বিনয়ী, তাঁরা প্রচারবিমুখ। কিন্তু আমরা যারা মুলত পাঠক তারা ঠিকই জানি কত অগনিত বার তাঁরা আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন। বাংলায় কাগজে ছাপানো বই আজকাল আর পড়া হয়ে ওঠে কৈ? যা পড়ি তা তো এই পোড়া স্ক্রিনেই। কিভাবে কার হাত ঘুরে লেখাটা স্ক্রিনে এল, তা ভাবার সময় আছে নাকি সবার। সুবিনয় বলেছে "ভালো লাগলে পড়বেন, আর ভালো না লাগলে ক্লিক মেরে অন্য সাইটে চলে যাবেন। ইটস দ্যাট সিম্পেল।" একদম হক কথা।
বিবাগী সুমন রহমানের সমলোচনার থেকে শিখবার কিছু নেই এটা ইতমধ্যে যথেষ্টই স্পষ্ট। কিন্তু এই ঘটনার থেকে আমাদের এই কমিউনিটির কি কিছু শেখার আছে? সচল নামের কাঁঠালটা কিন্তু পেকেই চলেছে, আজকে এক মাছি ভন ভন করলো, কালকে দেখবেন কাক ঠোকরাচ্ছে পরশু দেখা যাবে শেয়াল ঘুর ঘুর করছে...আমার তো মনে হয় সচলের পশুপাতাস্ত্র হল দুটো - সচল করবার সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি আর আমাদের সুপ্রিয় লেখকেরা - এ দুই দল যদি 'business as usual' চালিয়ে যান, তাহলে শেয়ালের লম্ফঝম্ফই সার হবে - তার কপালে এই কাঁঠাল নেই।
নতুন মন্তব্য করুন