অনেকদিন পর লিখতে বসছি। শেষ কবে কি লিখেছি, মনে পড়ছে না। পাতা উল্টিয়েও দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে না। তবে সুকান্তের রানারের মত ছুটেই চলেছি নিরন্তর। এই অর্থহীন ছোটাছুটির শেষ শুধু একভাবেই হতে পারে... জুবায়ের ভাই সেটা মনে করিয়ে দেন প্রতিদিন, অন্তত একবার হলেও।
*
ব্লগে যাতায়াত অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে গতকাল চোখে পড়লো অনিকেত ভাইয়ের "ভালোবাসা তারপর" শিরোনামের একটি লেখা। চোখে পড়ার একটি কারন এটা অর্ণবের হোক কলরব এলবামের একটি গানের নাম, আর নানা কারনে এই এলবামটি র সাথে আমার সখ্যতা প্রায় দেড় বছর পুরোনো এবং সুগভীর।
মাঝে মাঝে বিশেষ কোন সময়ে, হয়তো জীবনের কোন ক্রান্তিকালে, কিছু গান বা আস্ত এলবাম মাথাটাকে একদম জাপটে ধরে - ছাড়াতে চাইলেও সেই মিউজিক মস্তক শরীর থেকে ছোটানো সম্ভব হয় না। এমনটা হয়েছিল ৮ বছর আগে যখন ফ্লয়েডের ডার্ক সাইড অফ দ্য মুন আর ভ্যান মরিসনের মুন্ডান্স প্রথম শুনেছিলাম। অথবা ২০০৩ সালের শুরুতে কোল্ডপ্লে-র প্যারাশুট্স, বা গত বছর জন মায়ার-এর কন্টিনুয়াম। দিনের পর দিন কেটে যায়, একই এলবাম রিপিটে শুনে শুনে, সেই একই ড়জন গান যতক্ষণ না শরীরের প্রতিটি রোমকূপে দিয়ে প্রবেশ করছে। প্রতিটি কর্ড মগজ়ে গেঁথে যায়, প্রতিটি শব্দ অর্থবহ মনে হয়। (যদিও এখন কোল্ডপ্লে-র প্যানপ্যানানি অন্তত আর ভালো লাগে না - তবুও ২০০৩ সাল একটা কঠিন বছরই ছিল!)
হোক কলরবটাও এমনই প্রিয় একটা এলবাম। বহু শোনায় মুখচেনা পড়শী বা প্রিয় বন্ধুর মতই। তাই যখন এই বছরের মাঝামাঝি লন্ডনবাসী বন্ধুরা প্রস্তাব জানালো যে দৃষ্টিপাতের ব্যানারে অর্ণবের একটি কনসার্ট ট্যুর অর্গানাইজ করা হোক, আমিও একদম শুরু থেকেই তাতে জড়িয়ে পড়লাম।
প্রথম মিটিং হয়েছিল জুলাইয়ের মাঝামাঝি। লন্ডনের সেইন্ট পল্স স্টেশনের পাশে একটি কফিশপে সাত-আটজন জড়ো হয়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়। ২০০৬ সালে অর্ণব এই শহরে এসেছিল দুইবার, তার ব্যান্ড বাংলা-কে সাথে নিয়ে। আমি তখনও লন্ডনে মোটামুটি নতুন। প্রথমটিতে যেতে পারিনি, যদিও পরে শুনেছি সেই শো একেবারে কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। দ্বিতীয় শো'টা আয়োজন করে এখানকার নামী বিশ্ববিদ্যালয় কিংস কলেজের বাংলাদেশী সোসাইটি। সেবারই অর্ণবকে প্রথম লাইভ দেখা যদিও সেদিন আনুশে ছিলেন মোটামুটি শো-এর মধ্যমনি।
আর সেবারই প্রথম চিন্তা করা হয় অর্ণবকে আবার নিয়ে আসলে কেমন হয়, শুধু এক দেশ, এক শহর নয়, মোটামুটি বিশ্ব সফর। আর সেই চিন্তা বাস্তবায়ন করতে গিয়েই জুলাই মাসের মাঝামাঝি বসে সেইন্ট পলসে মিটিং।
চলবে (হয়তো!)
মন্তব্য
আচ্ছা অর্ণবের কনসার্ট দৃষ্টিপাত থেকে করা হয়েছে নাকি? সেদিন নাকি ওয়াশিংটন ডিসিতে কনসার্টটা হল। এখন আপনারা কোথায়? ইউএসএতে নাকি?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
দৃষ্টিপাতের আসিফ গেছে লন্ডন থেকে ডিসিতে। ও নিউ ইয়র্কের অনুষ্ঠানেও থাকবে। পাঁচটা শো মোট -- ডিসি আর অস্টিন হয়ে গেছে, এখনও বাকি নিউ ইয়র্ক, টরোন্টো আর লন্ডন। দিন তারিখ সব লিংকের ভেতর।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আচ্ছা,
অস্টিনের শোটা উইকডে তে হল কেন??
ভীষন ইচ্ছা থাকা সত্তেও যেতে পারলাম না।
----------------------------------------------------------------
এমন শহরে আমি ঘুরি , নাকি শহরটাই ভবঘুরে?
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
উপায় ছিল না, অস্টিনের শোটা শেষ মুহুর্তে ঘোষনা করা হয় শিকাগোর পরিবর্তে - আর উপযুক্ত ভেন্যু পাওয়াও ঘাপলার ব্যাপার, আমাদের লন্ডন শোটা যেমন হচ্ছে সামনের বৃহস্পতিবার।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
চলবে-র পর হয়তো কেনো??
--
রানারের মতো ছুটন্ত জীবন এখন আমারো। আমিও সচলে আগের মতো নিয়মিত নই। তবু যখনই ঢুঁ দেই, মনে মনে আপনার কোনো তরতাজা লেখা খুঁজি। স্যার, কবে আবার নিয়মিত লিখবেন?...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
দোওওওঔঊঊঊড়ড়ড়ড়ড়!
অর্ণবরে মাঝে মাঝে ভালা পাই...মাঝে মাঝে ভালা পাই না এক্কেরে।
-------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
নতুন মন্তব্য করুন