১৯৮৯ সালের জুলাই মাস। কোন এক শুক্রবার বিকাল বেলা।
মহাখালী আর বনানী চেয়ারম্যানবাড়ির মাঝামাঝি বড় রাস্তার ধারে একটি বিল্ডিং-এর দোতলায় বসে আছি। হোমিওপ্যাথি ক্লিনিকের ওয়েটিং রুম। আম্মার পায়ের সমস্যা অনেকদিনের। এলোপ্যাথিক ডাক্তার দেখিয়ে কোন কাজ হয়নি। তাই বছর দুই-তিন ধরে তিনি মহাখালীর এই হোমিওপ্যাথ ডাক্তার-কে দেখাচ্ছেন। মোটামুটি ফলও পাচ্ছেন।
তার ছেলেদের মধ্য থেকে আর কাউকেই রাজী করাতে পারেন না তিনি। তাই প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর আম্মার সাথে মহাখালী যাওয়া পরে আমার। খুব যে যেতে চাই ডাক্তারের চেম্বারে তা ঠিক না। তবে খারাপও লাগে না। সাথে একটা বই নিয়ে যাই। তিন গোয়েন্দা। সেবা ওয়েস্টার্ন। অ্যাস্টারিক্স বা টিনটিন কমিক। আর নাইলে কোন ক্রিকেট বিষয়্ক বই, ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে। হাতে কিছু না কিছু একটা থাকেই।
তবে সব সময় বই পড়া হয় না। ক্লিনিকের ওয়েটিং রুম মানে এক পিকুলিয়ার জায়গা। এই ডাক্তারের বেশ নাম ডাক আছে। কোন শুক্রবারেই রোগীর সংখ্যা ১০০-র নীচে যায় না। দুই-তিন ঘন্টা পার হয়ে যায় লিস্ট ধরে আমাদের নাম আসতে আসতে। এর মধ্যে কত প্রকার মানুষ যে দেখা যায়, তার হিসাব নেই। আম্মা আবার মহিলাদের ওয়েটিং রুমে সহজেই গল্প জুড়ে দিতে পারেন। প্রত্যেক ভিজিটেই তার নতুন কোন না কোন বন্ধু তৈরী হয়।
যেই সন্ধ্যার কথা বলছি, সেদিন আমি কোন বই পড়ছি না। ওয়েটিং রুমের টেবিলের উপর পড়ে আছে কিছু দেশী বিদেশী পত্র-পত্রিকা, খবরের কাগজ। সেই বয়সে চোখের সামনে যা পেতাম, তাই পড়ে ফেলতাম। রেড কাউ দুধের টিনের লেবেলও মাফ পেতো না ।
জুলাই মাসের তাপ। বনবন মাথার উপর ফ্যান ঘুরছে। কম পাওয়ারের বালবের হলুদ আলোয় বসা সারি সারি রুগ্ন মানুষ।
একটা একটা করে পাতা উল্টাচ্ছি। এইবার হাতে উঠলো একটা সংবাদপত্র। নাম দেখি স্ট্রেইটস টাইমস। পাতা উল্টে বুঝলাম সিংগাপুরের দৈনিক। সুদূর সিংগাপুর থেকে মহাখালীর এই ওয়েটিং রুমে কার হাত ধরে এসেছে, জানা নেই।
হঠাৎ বিজ্ঞাপন পাতায় চোখ আটকে গেলো ছোট একটা বাক্সে। শাদা কালো শব্দমালার মধ্য থেকে একটা শব্দ লাফ দিয়ে বেরিয়ে এলো। Tiananmen।
*
বিশ বছর আগের সেই গ্রীষ্মের কথা আজ আর খুব বেশী মনে নেই। স্কুলে পড়তাম। দুপুরবেলা স্কুল বাস নামিয়ে দিতো নাবিস্কোর মোড়ে। ঠা-ঠা রোদ চারিদিকে। আমি সাথে সাথে বাসায় যেতাম না। বাস স্ট্যান্ডে প্রতিদিন ভোরবেলায় খবরের কাগজ আঠা দিয়ে সাঁটিয়ে দিয়ে যেতো পেপারওয়ালা। দুপুরে বাড়ি ফেরার আগে সেই কাগজ আমি দাঁড়িয়ে পড়ে নিতাম।
কি পড়তাম? টেনিস আর ক্রিকেট খেলা ফলো করার ব্যাপারে পাগল ছিলাম রীতিমত। বড় ভাই আর আমি পাল্লা দিয়ে। ও স্টেফি গ্রাফের ফ্যান, তো আমি নাভ্রাতিলোভার। ওর ভালো লাগে বরিস বেকার, আমার পছন্দ ম্যাকেনরো। ক্রিকেটে দুইজনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্যান, কিন্তু ফুটবলের বেলায় আবার ব্যাস-কম। একজনের প্রিয় ব্রাজিল, আরেকজনের আর্জেন্টিনা। একদিকে লিভারপুল, আরেকদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে দুজনেরই আবার কমন পড়ে আবাহনী ক্রীড়া চক্র!
সেই বছর উইম্বেলডন শিরোপা জেতার প্রাণান্ত চেষ্টা করেছিলেন চেক টেনিস তারকা ইভান লেন্ডল। আর বাকি সব গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন আশির দশকের এই দশাসই খেলোয়াড়, কিন্তু উইম্বেলডনের গ্রাস কোর্ট তার নাগালের বাইরে। এককালে স্বয়ং ম্যাকেনরো-কে বশ করেছিলেন লেন্ডল। কিন্তু উইম্বেলডনে সেই আমলে দুইজন খেলোয়াড় আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন - জার্মানীর বরিস বেকার আর সুইডেনের স্টেফান এডবার্গ। এদের সাথে পাল্লা দিতে পারেননি লেন্ডল। ১৯৮৯-এর টুর্নামেন্টে তিনি সেমিফাইনালেই আউট হয়ে যান। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে একটিমাত্র উইম্বেলডন খেতাবের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন, ঠিক যেমন আজকে একইভাবে একটি ফরাসী ক্লে কোর্ট শিরোপার জন্য মরিয়া হয়েছেন রজার ফেডারার। তবে বিধি বাম। লেন্ডল আর কোনদিন তার মনজিলের কাছাকাছি পৌঁছুতে পারেননি।
তো টেনিসের এই নাটক ভীষণ আগ্রহ নিয়ে ফলো করছি খেলার পাতায়। কিন্তু প্রথম পাতার প্রমাণ সাইজের হেডলাইনগুলো চুম্বকের মতোই নজর টানে। চীনের রাজধানী বেইজিং - সেখানে তিয়ানানমেন স্কোয়ার নামে এক জায়গায় ছাত্ররা নাকি বিক্ষোভ করছে। স্কোয়ারে তারা ঘাঁটি গেড়েছে। হাজার হাজার ছাত্র, দৈনিক মিছিল মিটিং-এ তারা আকাশ-বাতাস কাঁপাচ্ছে। কম্যুনিস্ট সরকার-কে না হটিয়ে তারা ফিরে যাবে না। ওদিকে সরকারও পিছ-পা হতে নারাজ। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি নাটকীয়।
বাম আর ডান কি জিনিস, কমিউনিস্ট আর ক্যাপিটালিস্ট-ই বা কাকে বলে - সেসব ঠাহর করার বয়স তখন হয়নি। এতোটুকুই বুঝতে পারি যে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে, সবাই বলছে অন্তিম সংঘাত সন্নিকটে। জুনের প্রথম সপ্তাহে যখন ইভান লেন্ডল স্বপ্নভঙ্গের সাথে পরিচিত হচ্ছেন খেলার মাঠে, পৃথিবীর অপর প্রান্তে চীনা ছাত্ররাও চিনে নিলো আরেক রকমের স্বপ্নভঙ্গ। রাতের আঁধারে ছাত্রদের উপর চড়াও হলো ট্যাংক বহর। কারো হিসাবে শত শত, আর কারো হিসাবে হাজার হাজার ছাত্র মারা গেলো সেনাবাহিনীর গুলি খেয়ে অথবা ট্যাংক-ট্রেডের তলায় পিষ্ট হয়ে। বিশ্বব্যাপী প্রবল নিন্দার ঢেউ উপেক্ষা করে দেং শিয়াওপিং-এর অধীনে চীনা সরকার ছাত্র আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করলো।
আর উইম্বেলডনে সেবারের শিরোপা তুলে নেন বরিস বেকার, ফাইনালে এডবার্গ-কে পরাস্ত করে।
*
Tiananmen। জুলাই মাসের গরমে ওয়েটিং রুমের সেই পত্রিকার পাতায় এই নামটি আমাকে আবার টেনে ধরলো। একটি মাত্র প্যারাগ্রাফ। লেখাটি লিখেছেন পলাতক ছাত্রনেতা উয়ার কাইশি (Wuer Kaixi)। আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা ছিলেন তিনি, কিভাবে যেন সেনাবাহিনীর গ্রাস এড়িয়ে বেইজিং ছেড়ে পালিয়েছেন। কোথায় আছেন, কেউ জানে না, কিন্তু পূর্ব এশিয়ার বড় বড় পত্রিকাগুলো তার একটি বিবৃতি ছাপিয়েছে। সেই বিবৃতিতে তিনি তার ঘৃ্ণা আর আক্রোশ ব্যক্ত করেছেন স্বৈরাচারী সরকারের প্রতি, তাদের গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। আর অঙ্গীকার করেছেন গণচীনে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবার।
সেই বিবৃ্তির শেষ লাইনটি আজো আমার চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে - জীবনে ভোলার মতো নয় লেখকের সেই দুঃসাহস আর দৃঢ়তা।
'কালো সূর্য, আমি তোমাকে গুলি করে নামিয়ে দিতে চাই।' Black Sun, I'm going to shoot you down।
*
বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে তোলা যে গুটি কয়েকটি নিউজ-ফটো বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেছে, তাদের মধ্যে চার্লি কোল, স্টুয়ার্ট ফ্র্যাংকলিন, জেফ উইডেনার প্রমুখের তোলা এই ছবিটি অন্যতম। জুনের ৫ তারিখ - তিয়ানানমেন স্কোয়ারে সারি সারি ট্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক নাম না জানা ছাত্র। সে যে কিভাবে তার ক্ষুদ্র শরীর দিয়ে ট্যাংক-গুলোকে প্রতিহত করছে, তার প্রমাণ মেলে নীচের এই ভিডিওতে।
কি তার সাহস - যেন এক জীবন্ত প্রতীক। মানুষ বনাম যন্ত্র। ব্যক্তি বনাম রাষ্ট্র। মুক্ত কন্ঠ বনাম নিপীড়ন।
অবাক ব্যাপার হলো যে এই দুঃসাহসী ছেলেটার প্রকৃ্ত পরিচয় নিশ্চিত করে কখনোই জানা যায়নি। কেউ কেউ বলেন তাকে মিলিটারি ধরে নিয়ে যায় এবং পরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কেউ বলেন সে পালিয়ে তাইওয়ান চলে গিয়েছিল। ১৯৯০ সালে স্বয়ং কমিউনিস্ট পার্টি প্রধাণ জিয়াং জেমিন বলেন - "I think never killed."
*
দুই দশক গত হয়েছে। নাবিস্কো আর নাখালপাড়া ছেড়ে দিক-বিদিক ঘুরে এসেছি লন্ডনে। উইম্বেলডন থেকে খুব বেশী দূরে নয়। গত জুনে টুর্নামেন্টের সময় সেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।
আর কাজের ক্ষেত্রেও চীনের কথা আজকাল বারবার ঘুরে ফিরে আসছে। দেং শিয়াওপিং মারা গেছেন এক যুগ আগে, কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টি এখনো ক্ষমতাসীন। তিয়ানানমেনের পরে গত বিশ বছরে চীনের অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে, চীন এক বৃহৎ অর্থনৈতিক পরাশক্তির ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছে। তিয়ানানমেন আকারের আন্দোলনও আর দেখা যায়নি।
কিন্তু ঘরপোড়া গরু যেমন মেঘ দেখে ভয় পায়, চীনা সরকারও তেমনি ভয় পায় নতুন কোন আন্দোলনের আভাসকে। ক্রেডিট ক্রাঞ্চ-এর ফলশ্রুতিতে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে দুই কোটি শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে। এদের কাজের যোগান নিয়ে সরকার যেমন চিন্তিত, ঠিক তেমন চিন্তিত প্রতি বছর পাশ করে বেরুনো ষাট লক্ষ তরুনের ভবিষ্যত নিয়ে। তিয়ানানমেনের ২০ বছর পূর্তি আসছে আর কিছুদিন পরেই। সেই বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে যাতে কোন নতুন অসন্তোষ দানা বেঁধে না উঠে, সেদিকে সরকার রাখছে কড়া নজর।
*
আর ২১ বছরের সেই পলাতক ছাত্র যে কিনা কালো সূর্যকে হুমকি দিয়েছিলো? উয়ার কাইশি পরে তাইওয়ানে স্থায়ী বসবাস গড়েন এবং বর্তমানে রাজনীতি বিষয়ক টিভি সাংবাদিক হিসাবে কাজ করছেন।
(পরিশেষ - The Tank Man শিরোনামে পিবিএস-এর একটি পূর্ণ-দৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চিত্র।)
মন্তব্য
বরাবরের মতোই সুবিনয় ভাইয়ের ঝরঝরা লেখা। চীনের পরিস্থিতিতে নজর রাখার আগ্রহ হচ্ছে। আর এ সাহসী ছাত্রটির কথা জানতাম না কোনোদিন।
ধন্যবাদ।
আসলেই, গণচীন আর ভারত, এই দুটি দেশের উন্নয়ন যাত্রার মতো ইন্টারেস্টিং আর কিছু আছে কি না আমি জানি না। দুনিয়ার ঠিক তিন ভাগের এক ভাগ মানুষের ভূত-ভবিষ্যতের প্রশ্ন জড়িয়ে আছে এতে। তিয়ানানমেন ছিল সেই যাত্রারই একটি অসাধারণ অধ্যা্য়।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
প্রথম যখন ভিডিওটি দেখেছিলাম একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। কী দুঃসাহস! একা একটি শীর্ণকায় লোক, হাতে পলিব্যাগ ধরা, কে জানে কী আছে তাতে, কোন অসীম সাহসে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনীর বিভত্স সব ট্যাংকের সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে গেল! শুধু তাই না, ট্যাংকগুলো ঘুরে এগিয়ে যেতে চাইলে সে বারবার সরে গিয়ে ট্যাংকের সামনে দাঁড়ায়!
কী এক অসাধারণ প্রতীক হয়ে ওঠে লোকটি তখন আমার চেতনায়। আমার চোখ দিয়ে অজান্তেই পানি গড়িয়ে পড়ে কেন যেন।
নতুন শতাব্দীর শুরুতে টাইম পত্রিকা গত শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০০ জন মানুষদের একটি তালিকা তৈরী করে। বেইজিং-এর অচেনা বিদ্রোহী ছিলেন সেই তালিকায়।
আর নিউজ-ফটোগ্রাফি পত্রিকা 'লাইফ' বানিয়েছিল আরেকটি লিস্ট - 100 Photographs that Changed the World। এই ফটোটি তাতে অন্তর্ভুক্ত হয়।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
সটান হয়ে বসে ছিলাম। শরীর ও মন উভয়ই নাড়া দিল। আমিও তখন স্কুলে পড়তাম।
জয় হোক তিয়ানানমেনের।
অর্থনীতির ভাল কোন খবর নাই? অবস্থা যা তাতে সামনে শুধু অন্ধকার দেখি। ওবামা বলেছেন তার আর্থিক পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা অনুমোদন না হলে আরও পঞ্চাশ লাখ লোক চাকরি হারাবে। পরিকল্পনা অনুমোদন হলে আসলে কী হবে?
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
সবই ডাউন, দাদা। ওবামা'র প্ল্যান নিয়ে এখনো ভালোমত পড়াশুনা করতে পারি নাই। তবে ব্যাংকার বদমাশদের কন্ট্রোলে আনা খুব বেশী দরকার। ঐ কাজ যদি কিছুটাও করতে পারে, সেইটাও বিরাট ব্যাপার। গত তিরিশ বছর ধরে এদের কেউ ধরার সাহস পায় নাই। এইবার টাইম হইছে, আশা করতেছি।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
পুনশ্চঃ মার্কসের 'ক্যাপিটাল' বইটির প্রচ্ছদ মনে পড়ল। ওখানে পুঁজিপতি দানব, এখানে রাষ্ট্র স্বয়ং।
কতো জায়গায় কতোভাবে ব্যবহৃত হয়েছে শিহরণ-জাগানো ছোট্ট এই ভিডিওটি! সিনেমার দৃশ্য মনে হয় রীতিমতো!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
বারবার লোম খাড়া হয়ে যায় এই একটি দৃশ্য দেখে। মানুষের অসাধ্য কিছু নেই, মানুষের উপর কিছু নেই।
- আপনার লেখা পড়লেই কেমন একটা অনুভূতি হয়, জানানো হয়না যদিও।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূ গো, অনেক ধন্যবাদ!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ব্যাপারটি অসাধারণ, তবে অসম্ভব নয়। এই নাম না জানা তরুনটি আসলে আমার অনোপ্রেরণাদের একজন। সে কারণে হয়তো ২০০৫ সালে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) গঠনের পর এই তরুনটি জায়গা করে নিয়েছে আমাদের থীম সঙের মধ্যে। কাজী নজরুলের "কারার ঐ লৌহ কপাট" গানের ভিডিওতে এই ভিডিওটি আমরা ব্যবহা করেছি। এই তরুন আমাদের মনে করিয়ে দেয় - ইতিহাসে স্বাধীনতার জন্য সব প্রজন্মকে রুখে দাড়াতে হয়েছে।
এখন আমাদের পালা।
সুবিনয়কে ধন্যবাদ বিষয়টি তুলে আনার জন্য।
মুনির হাসান
সেই ছবিটা তোলার নেপথ্য কাহিনী বর্ণনা করেছেন ফটোগ্রাফার চার্লি কোল। দারুন এক গল্প।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
বাম,ডান,আর অর্থনীতি না বোঝা আমি তারপরও আপনার পোস্টে এসে একবার হলেও স্ক্রল করে যাই । কেবল মাত্র এইরকম তীব্র আর সোজাসাপ্টা কথা পড়বার লোভে । আজকে আর মন্তব্য না করে পারা গেলো না ।
চমতকার লাগলো ।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
আপনার এই অসাধারণ লেখাটি এখনই পছন্দের লেখার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে রাখছি! অনেক ধন্যবাদ। বেশ খানিকক্ষণ চুপচাপ বসে ভাবব মানুষকে নিয়ে, তার দুর্জয় সাহসকে নিয়ে।
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
অনেক ধন্যবাদ। ভাবনা শেষে একটা লেখা দেন!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
চমৎকার একটা লেখা। গোছানো এবং তথ্যবহুল।
ধন্যবাদ।
পোস্টে পাঁচ তারা। সুবিনয় অনেকদিন পর তার স্বরূপে!
কমিউনিস্ট গনহত্যার এরকম কত যে ক্ষতিয়ান আছে, তার বর্ণনা দিতে গেলে মহাভারত ছাড়িয়ে যাবে। আমি আমার একটা প্রবন্ধে কিছু উল্লেখ করতে গেছিলাম, ব্লগের লাল বাহিনী এমন পিছে লাইগ্যা গেল যে এগুলা নিয়া লিখনই ছাইড়া দিছি। 'পুঁজিবাদের দালাল', 'ভং ধরা মানবতাবাদী', 'জাকির নায়েক' কত উপমা যে জুইটা গেল নিমেষের মইধ্যেই। আপনে এখনো তড়তাজা আছেন দেইখ্যা ভাল লাগলো।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
কথা সইত্য দাদা, তবে অধুনা বিশ্বে পুঁজিবাদের সবচেয়ে বড় দালাল যে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, এইটা মনে হয় মার্ক্স-ও স্বীকার করবো! আরো কিছু লাল লেখা লেখেন।
(যদিও টু বি ফেয়ার, এইটা একটা ছোটকালের একটা স্মৃতি + ২০তম বার্ষিকী নিয়েই লেখা। হার্ড-লাইন মুক্তবাজারীরাও যে দুনিয়াটারে বাঁশ মাইরা লাল কইরা ফালাইছে, এইটা তো এখন চোখের সামনেই! আফসোস, আমরা সবাই কেন চিলি হইতে পারলাম না।)
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
দেখতে কি সাধারণ কিন্তু কি অসাধারণ সাহস বুকে!
আর ১০০ হাত দূরে ট্রাক দেখলেও কিনা এই আমি আঁতকায়ে উঠি।
------------------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
এই লোকটার প্রতি আমার সেরকম সম্মান, সেরকম ফ্যাসিনেশন। এর পরিচয় কি কেউ জানতে পেরেছে? অবশ্য না জানা থাকলেই মিস্টিকটা বজায় থাকে। কি সাহস, কি আইডিয়ালিজম, কি একটা সিনারিও!
বিডিআর বিদ্রোহের সময় বিডিআর গেটের বাইরে, আর্মি ট্যাংকের সামনে কিছু তরুনও এ কাজ শুরু করেছিলেন। তারপর এদের সাথে শয়ে শয়ে মানুষ যোগ দেন।
নতুন মন্তব্য করুন