কপালজোরেই বোধহয় এই যাত্রা বেঁচে গেলাম। গত বছর আমাদের টার্মিনেটর-রূপী বস আর তার সাগরেদ ইস্রায়েলি কমান্ডো-কে নিয়ে একটা লেখা দিয়েছিলাম। তারপর টেম্স নদীতে অনেক জল গড়িয়ে গেলো। এই কম্পানীতে লোক ছাটাই হলো দুই-তিন-চার রাউন্ড -- অবশেষে পঞ্চম রাউন্ডে এসে হুজুররা ক্ষান্ত দিলেন।
এখন এই অফিসের প্রতিটা ফ্লোরে সারি সারি টেবিল খালি পড়ে থাকে, মানুষ তো দূরের কথা, একটা পিপড়াও খুঁজে পাওয়া যাবে না। কয়েক মাস আগেও অফিসের প্রতিটা আনাচে-কানাচে ছিল ব্যস্ততা, মানুষ + কম্পিউটারের কোলাহল, প্রিন্টার-ফ্যাক্স-ফটোকপিয়ারের মিহি ইলেক্ট্রনিক কিচিরমিচির। আর এখন? শুধু টিউবলাইটের প্রাণহীন আলো, ছাই রং কার্পেট, শাদা ডেস্কের উপর নীরব কালো টেলিফোন।
*
গত অক্টোবর মাসে শেষ দফা ছাটাই জারী হলো। তার আগের চার দফায় অন্যান্য ডিপার্টমেন্টগুলোতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি সাধন হয়েছিল, কিন্তু আমাদের উপর তেমন আঁচড় পড়েনি। তাই যখন শুনলাম যে আরেক রাউন্ড ছাটাই আসছে, তখন মোটামুটি ধরেই নিলাম যে এইবার আর আমাদের মাফ নাই। স্বয়ং ঈশ্বরও এইবার টার্মিনেটরের লাল চাহনি থেকে আমাদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসবেন না।
যেই সোমবার দিন নতুন বেকারদের নাম ঘোষণা হবে, তার আগের শুক্রবার বিকালে আমি আমার সহকর্মী/বন্ধু ফুলজেন্স-এর সাথে হেঁটে হেঁটে রেল স্টেশনে যাচ্ছি। ফুলজেন্স-এর ইতিহাস বেশ চমকপ্রদ - রোয়ান্ডার ছেলে, মাতৃভাষা ফরাসী, ৯৪-এর হুটু-টুটসি গণহত্যার আগের বছর সে পড়াশোনা করতে চীন চলে যায়। সেখানেই কলেজ, ইউনির্ভাসিটি, অতপর চাকরি - চীনা ভাষা এখন অনর্গল বলতে পারে। আর সেখানেই এক পর্তুগীজ/ফরাসী মেয়ে সোনিয়াকে বিয়ে করে, তার কিছুদিন পর লন্ডন চলে এসে আমাদের অফিসে চাকরি ধরে।
তো আমি সেদিন ফুলজেন্স-কে বলি - বাপধন, এইবার তো আর মাফ নাই। এরপর যামু কই? সে বলে, আরে ধুর মিয়া তুমি এত্তো টেনশন করো কেন? দেখো না, এর আগে আরো চার রাউন্ড গেছে? আমাদের কিছু হইসে বলো? দেইখো এইবারও কিসু হবে না। আমরা পিচ্চি ডিপাটর্মেন্ট, বস-রা আমাদের ঘাটাবে না, আমাদের মাথা কেটে ওদের আর কয় পয়সা বাঁচবে? আর ওরা তো আমাদের কাজও বেশ পছন্দ করে।
আমি বললাম - আরে ব্যাটা এখনো ঘাটায় নাই বলেই তো চিন্তা আরো বেশী, বাকি ডিপার্টমেন্টগুলা যা মাইর খাওয়ার খেয়ে ফেলসে, এইবার আমাদের পালা। কিন্তু ফুলজেন্স একদম নিশ্চিত - নো ম্যান, তুমি এতো ডরাইয়ো না, দেইখো আমরা ঠিকই থাকবো।
স্টেশনে এসে গেছি। আমি বললাম - তোমার কথাই যেন ঠিক হয়। সি ইউ মান্ডে।
*
বলা বাহুল্য সোমবার দিন আর ফুলজেন্স-এর সাথে দেখা হয়নি। সেইদিন সকালে অফিসে ঢোকামাত্র ওর ডাক পরে দোতলার মিটিং রুমে। সেখান থেকে আর আমাদের ফ্লোরে ফিরে আসেনি।
সেইদিন চাকরি যায় আরো অনেকের - চীনা মেয়ে লিসি, ওর বয়ফ্রেন্ড তার কিছুদিন আগে মাত্র চাকরি খুঁইয়েছে। চলে যায় ক্রিস্টিয়ান - ইংলিশ মেয়ে, খুব চুপচাপ। ঘরে চারটা ছোট-ছোট বাচ্চা, আর অসুস্থ স্বামী (তার দৃষ্টিশক্তি লোপ পাচ্ছিলো)। পুরো সংসারের খরচ ক্রিস্টিয়ান-কে একাই টানতে হয়। চলে গেল জশুয়া - অস্ট্রেলিয়ার ছেলে, ভীষণ করিতকর্মা, কিন্তু একটু স্বাধীনচেতা, অন্য অফিসের বড়হুজুরদের সাথে বনিবনা হচ্ছিল না। আরো গেল রোমানিয়ান মেয়ে ডানিয়েলা - ওর অবশ্য তেমন চিন্তা নেই, দুইদিন পরে বাচ্চা হবে, আর ওর পাঞ্জাবী শিখ জামাই হলো এমটিভি ইউরোপ-এর বিরাট হোমরা-চোমরা।
এইরকম অনেকেই সেইদিন বিদায় নিলো। নীচ থেকে ডাক আসে। ডেস্ক থেকে উঠে ধীরপায়ে মিটিং রুমে চলে যায়। আর ফেরত আসে না। ১৫-২০ মিনিট পরে অফিসের সেক্রেটারি ওদের ডেস্কে গিয়ে ল্যাপটপ, ব্যাগ, কোট, কাগজপত্র সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে চলে যায়।
আমরা দেখি আর চোখাচুখি করি। কেউ কিছু বলি না। এরপর কার ডাক?
*
সেদিন দুপুরে লাঞ্চের এক ফাঁকে ফুলজেন্স-কে ফোন দেই। সে বলে - 'ম্যান ইউ ওয়ের রাইট! আমি কল্পনাই করি নাই যে এইভাবে শেষ হয়ে যাবে।' কি স্বান্তনা দিবো? ওর আর সোনিয়ার একটা ছোট বাচ্চাও আছে, আইজাক - পিচ্চি দারুণ মজার। ফুলজেন্স-এর পক্ষে বেশীদিন বেকার বসে থাকা সম্ভব না, কিন্তু এদিকে চাকরির বাজারও এর থেকে আর খারাপ হতে পারে না।
*
অক্টোবর পেরিয়ে আস্তে আস্তে নভেম্বর গেল, তারপর ডিসেম্বর। উত্তরের কনকনে শীত বাড়ে, হাড়গোড় জমে যায়। সাথে সাথে বাজারও একটু থিতু হতে আরম্ভ করলো। বুঝলাম যে গর্দান কাটার পালা হয়তো এইবারের মতো শেষ। নতুন বছরে এসে সেটা নিশ্চিত হওয়া গেলো কিছুটা - এক সকালে অফিসে এসে দেখি টামির্নেটরের ইমেইল। বন্ধুগণ, কঠিন একটি বছর পার করে এসেছি আমরা , সহকর্মীদের সবাইকে ধন্যবাদ। এখন নতুন বছরে আবার কম্পানীকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার পালা। আপনাদের যার যা আছে, সবকিছু নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।
মেইল পড়তে পড়তে আমি আমার দোস্ত ফুলজেন্স-এর কথা ভাবি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ও একটা ব্যাংকে টেলারের চাকরি নিয়েছে। সাময়িক চুক্তিতে।
মন্তব্য
অভিনন্দন বস! সাথে উয়েল্কাম্ব্যাকও জানাই। জানতাম আপ্নারে দরজা দেখানোর মতো বোকামী মামুরা করবেনা
বোকা আসলে কে, সেই বিষয়ে জুরি এখনো নিষ্পত্তি হয় নাই!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
মামুন ভাইয়ের দেখি দরজা নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মন্দার সাথে বসবাস যে না করেছে সে বুঝবেনা এর জ্বালাটা কোথায়।
শুভ কামনা রইলো।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। নাতিপুতিদের বলার মত গল্প অনেক জমলো...
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
এই মন্দা যে কবে যাবে? পাশ করে দেড় বছর বসে আছি, চাকরি নেই। কেউ ইমেইলের রিপ্লাই পর্যন্ত দেয়না। নিজের উপর বিশ্বাসে চিড় ধরা শুরু হয়েছে, তাও ভালো কেউ নির্ভর করে নেই আমার উপর। ফুলজেন্স আর ক্রিস্টিয়ানের মতো অবস্থা হলে কি যে হতো......
********************************************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
নন-আমেরিকান বা নন-কানাডিয়ানদের জন্য একটু সমস্যাই। চাকরীর বাজার ভালো ঠিকই। কিন্তু প্রাধান্য দিচ্ছে সিটিজেনদের আগে। এ বছরের মাঝামাঝি বা শেষ নাগাদ আরেকটু ভালো হবে আশা করছি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
চাকরীর বাজার ভাল মনে হয় না। হয়ত বটমে, কে জানে ! তবে মনে হয় যাদের এক্সপেরিয়েন্স ১০-২০ বছর তাদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। আর সদ্য পাশ করা যারা সিটিজেন/ রেসিডেন্ট না।
@ মুর্শেদ বাডি, তুমি মনে হয় আমাকে ৫৫৪ তম সান্তনা আর আশার বানী দিয়েছো এই ব্যাপারে। তুমি, মুনমুন এবং অনেককে কখনো ধন্যবাদ দেয়া হয়নি আমার ঘ্যান ঘ্যান শোনার জন্য।
আমি হতাশ হয়ে কি কি করছি বলি---- হাসতে হাসতে মারা যাবা। নামের মাঝে একটা a বাড়তি যোগ করলে চাকরি পাবো না কি তাই নিয়ে আজ সারা সকাল পড়লাম। চিন্তা করছি রোমান গডেস ফরচুনার একটা মিনিয়েচার মুর্তি কিনবো না কি!!!! অলৌকিক ঘটনা ঘটার সম্ভাবনার হার হিসেব করতে তেলেগু বালায়া নামে হিরোর কাজ কর্মের বাস্তবতা নিয়ে গবেষণা করছি ( সূত্রঃ ইউটিউব) ।
****************************************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
১। cummins.com এ চোখ রাইখো। কিছু চোখে পড়লে আমারে এক কপি সিভি ইমেইল কইরো।
২। ইন্টেলে কিছু পরিচিত বড় ভাই আছে। ইন্টেলে প্রচুর কেমি ইঞ্জিনিয়ারিং জব আছে। (মাইক্রোপ্রসেসর ফ্যাব, ফ্ল্যাশ মেমোরী ম্যানুফ্যাকচারীং)। ওখানেও দেইখো।
৩। প্রোগ্রামিং বা সফটওয়্যার টেস্টিং করবা?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আবারো ধন্যবাদ। ইন্টেলের আইডিয়াটা ভালো দিছো, আসলেই ঐখানে অনেক কেমি-ইঞ্জিনিয়ারিং জব আছে দেখতেছি-- একটা একাউন্ট খুলে ফেললাম। আমি তো তেমন কাউকে চিনিনা, তোমাকে আজকালের মাঝে আমার সিভি ইমেইল করবো । cumins.com একাউন্ট খুলে রাখলাম।
৩। আমার প্রোগ্রামিং দক্ষতা তেমন নেই, পারবো কি?
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
আপনার রেজিউমেটা একটু পাঠায়ে দিয়েন। ই-মেইল পাবেন প্রোফাইলে। ইন্টেল কলেজ গ্র্যাড হায়ার করেছে কয়েকদিন আগেও। তবে ইন জেনারেল অবস্থা নড়বড়ে। হেড হান্টার কোম্পানীগুলোতে চেষ্টা করেছেন? ওদের মাধ্যমে কিন্তু লোকজন কিছু চাকরি পাচ্ছে।
গুডলাক। হতাশ হবেন না।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ। আজকালের মাঝে ঘষামাজা করে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
যা জানি আমেরিকা-ইউকে'র অর্থনীতি নিয়ে, মিছে আশ্বাস দিবো না। অন্যান্য অপশন নিয়ে চিন্তা করছেন? আপনে এখনো চাইলে সেখান থেকে সরে যেতে পারেন।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আমার মাস্টার্স থিসিস ক্ষেত্র ছিলো অটোমোবাইল প্লাস্টিক রিসাইকেলিং, তাই ভেবেছিলাম ডেট্রয়েট আর উইন্ডসরের আশেপাশে থাকাই শ্রেয় হবে, এখন মনে হচ্ছে সরে যাওয়ার চিন্তা করা উচিত।
********************************************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
এইখানে একটা টোকা দিয়া রাখতে পারেন।
অনেক ধন্যবাদ।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
চাকরী সামলে রাখার শুভেচ্ছা।
আমাদের সি.ই.ও. ধারণা দিয়েছিল যে আমরা সেইফ কোম্পানী। আমাদের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য এমন একটি অবিচ্ছেদ্য টুল যে এটার বিক্রী বন্ধ হবে না। কিয়ের কি? দুই দুইবার ছাটাই হল। পৃথিবী জুড়ে ১৪০০ লোকের মধ্যে প্রায় ২০০ ছাটাই হল দুই দফায়। প্রথম ছাটাই ছোট ছিল। দ্বিতীয় ছাটাইয়ের সময় কান্নাকাটি অবস্থা হয়েছিল। আমি সেদিন ছুটিতে ছিলাম বলে টের পাইনি। উপরন্তু বোনাস, স্যালারী বৃদ্ধি সব বন্ধ ছিল। এই বছরে এসে শুনলাম, এ বছরেও বোনাস বন্ধ থাকবে। কিন্তু কিছুদিন আগে কনফার্ম করল যে অল্প কিছু বোনাস দিতে পারবে।
আমার স্ত্রীর চাকুরী একটা গাড়ির কোম্পানীতে। ওদের ছাটাই হয়েছে তিনবার। ওর কোম্পানীর আকার আমাদের প্রায় দশ গুন। ছাটাই ও হয়েছে সেরকম।
কিন্তু অবস্থা আসলেই ভালো হচ্ছে। তবে চিন্তা হচ্ছে যে পরিমান টাকা ঢেলেছে ওবামা সেই ডেফিসিটটা কিভাবে সামলাবে সেটা নিয়ে। আরো বড় ধাক্কা যে আসবে না সেটা কে বলবে?
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ডেফিসিট-এর থেকে বেশী চিন্তা হওয়া উচিত বেকারত্ব সমস্যা নিয়ে। শর্ট-টার্মে বেকারদের কাজ দেয়াটা ফরজ। আর মিডিয়াম-টার্ম /লং-টার্মে ডেফিসিট নিয়ে চিন্তা করা উচিত। এই বিষয়ে ক্রুগম্যান খুব ভালো বিশ্লেষণ দেন ওনার ব্লগ আর কলামে। পড়ে দেখতে পারো।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ভালো লাগলো খবরটা শুনে। মন্দা তেমন টের পাইনি যেহেতু পড়াশুনার মধ্যে আছি। মুর্শেদের কথাই ঠিক, চাকরি-টাকরি আমেরিকার দিকে তাও যা কিছু আছে কিন্তু সিটিজেন (আমেরিকা/কানাডার) না হলে কোন লাভ নেই। একটা একাডেমিক পজিশনে তিনশ সাড়ে তিনশ দরখাস্ত পড়ে। চেনাজানা না হলে সিভিও খোলেনা। এমনটাই শুনলাম।
দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম পিপিদা
দুশ্চিন্তায় একেবারে বনবাসে গেলেন দেখছি
(প্রোফাইল পিক-এর কথা বললাম)
পিপিদা, একাডেমিক লাইন নিয়ে আমার ধারণা একটু কম। তবে এই মুহুর্তে মোটের উপর সব লাইনই খারাপ মনে হয়। ধৈর্য ধরে লেগে থাকেন, আর গত্যন্তর কি? গুড লাক।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
এ পর্যন্ত টিকে যাওয়ার জন্য অভিনন্দন!
থ্যাংকু স্নিগ্ধাপা
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
জেনে খুশি হলাম। টিকে থাকায় অভিনন্দন। আর অনেকদিন পর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
এবার আমার অর্থনীতির বিষয়ে লেখা দিন। বাংলাদেশের মত সমস্যাকুল দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এবং মাথা পিছু আয় বাড়ানোর জন্য করণীয় কি কি হতে পারে এ নিয়ে একটি সিরিজ লেখা চাই। না করবেন না যেন। ভাল থাকুন।
হাহা স্বাধীন ভাই আপনে তো বড়ই নাছোড়বান্দা! এই গুরুদায়িত্ব আমারে দিয়ে হবে কিনা ঢের সন্দেহ। নানান পলিসি বিষয়ে তো ব্লগে প্রায়ই আলোচনা হয়, সেগুলোকে একত্র করলেও দেখবেন অনেকগুলো ভালো আইডিয়া/সমাধান চলে এসেছে। কিন্তু যেই নেতারা আর সব ফেলে এয়ারপোর্টের নাম ঠিক করতে ব্যতিব্যস্ত হয়েছে, তাদের থেকে আসলে তেমন কিছু আশা করার নেই।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
গত বসন্তে বেলজিয়াম, হল্যান্ড এর অনেক বাংলাদেশী রাজনৈতিক রেফুজি হঠাত করে পাইকারি হারে হাতে 'কাগজ' পায়। তারপর আর ঠেকায় কে, সোজা ক্রেডিট কার্ড আর ব্যাঙ্ক ঋনের ম্যাক্স-আউট কইরা পকেটে ক্যাশ নিয়া একেবারে লন্ডন গিয়া উঠসে। আজকে শুনি এই ভাই গেসেগা। কালকে ঐ ভাই এর ফোন পাই লন্ডন থেইকা, বস একটা তান্দুরী টেক-এওয়েতে পার্টনার হইলাম। খুব ভালো লাগতেসিলো তাদের সফলতা।
এখন লোকমুখে তাদের খারাপ অবস্থার কথা শুনি। একজনের টেক-এওয়ে বইসা গেসে। আরেকজন মুদির দোকান বন্ধ কইরা দিতে হইসে ছয়মাসের মাথায়। আগে নাকি ব্রিকলেনের রেস্টুরেন্টে টেবিল থেইকা জুঠা সরানোর কাজ করলেও টিপ্স সহ ঘন্টায় ৭-৮ পাউন্ড থাকতো, এখন সেই কাজও নাই। কর্তৃপক্ষ অনেক কড়া হইয়া গেছে।
অবস্থা যে এইদিকে অনেক ভাল আছে তা না। এমনিতেই এইখানে বাংলাদেশীর রুটিরুজি অনেকাংশেই পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। এই আকালের সময়ে পর্যটনও বিশেষ নাই। যাদের রেস্টুরেন্ট, সুভিনিরের ব্যাবসা, তাদের অনেকেরই মাথায় হাত।
চারিদেকে খালি খারাপ খবর। অনেকদিন ভালো কোনো খবর পাই না। শীতের শুরুতে হঠাত লন্ডন ফ্রাঙ্কফুর্ট এর পোলাপান 'গ্রীন শুট' এর খোয়াব দেখসিলো। এখন আর গ্রীনশুটের এর কথা আর শুনিনা। পুরা আরোগ্যে আশা মনে হয় লোকে ছাইড়াই দিসে।
খেলা এখন সব এশিয়া প্যাসিফিকে। মেরিকা-ইউরোপের আয়ু মোটামুটি শেষের দিকে। এদের সমস্যা এত গভীর যে এইভাবে ধুঁকে ধুঁকে সামনের দশ বছর সহজেই চলে যেতে পারে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
গত বারো বছর চাকরি করছি মার্কিন দেশে, লে-অফ কম দেখি নি। কিন্তু গত ২/৩ বছরে ছাঁটাইয়ের যে সর্বগ্রাসী রূপ দেখেছি, সেটা আগে কোনদিন দেখিনি। কাজে অনেক বন্ধুকেই বিদায় দিতে হয়েছে, কারো ঘরে অসুস্থ বাচ্চা, কারো প্রসূতি স্ত্রী, এই লোকগুলো কাজ হারালে কিভাবে চলবে সেটাই ঈশ্বরই জানেন।
সিচুয়েশন এখন একটু বেটার, অন্তত আমেরিকাতেই। বিরাট ছাটাই হচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু হায়ারিং এর কিউতে প্রচুর লোক, আপনি যেই এক্সপেরিয়েন্সই চাবেন সেটাই পাবেন, মোটামুটি সুলভ মূল্যে। এই মার্কেটে বিদেশি নাগরিকদের চাকরি পাওয়া একটু দুরূহই বটে। তবে হায়ারিং এর ট্রেন্ডটা চালু থাকলে এটা বদলাতে বাধ্য।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দেখা যাক কি হয়। ইদানীংকালে পশ্চিমের ভয়ানক বেকারত্ব সমস্যা নিয়ে অসাধারণ কিছু কাজ হয়েছে। টাইম পেলে সেগুলো নিয়ে লেখতে চাই।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
১. অনেকে বলেন বাংলাদেশে বিশ্বমন্দার প্রভাব তেমনভাবে পড়ে নি- এটা হয়তো সত্য। কিন্তু আমরা যারা বেসরকারি খাতে কাজ করি, তারা মাঝেমধ্যেই টের পাই নানা ধরনের লুক্কায়িত মন্দার ধাক্কাগুলো। বিশেষ করে উঠতি তরুণরা এখন তেমনভাবে চাকরি পাচ্ছে না। পাবে কোত্থেকে- কেউ ডাকলে তো! স্বাভাবিক নিয়োগপ্রক্রিয়া এখন প্রায় বন্ধ। যা হচ্ছে, সেগুলো ইমারজেন্সি।
২. ফুলজেন্সের জন্য খারাপ লাগছে।
৩. টিকে থাকার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। অবশ্য যোগ্যতমেরাই টিকে থাকে বলে আমি বিশ্বাস করি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
সবই লীলাখেলা। যোগ্যতার থেকে কপাল বেশী গুরুত্বপূর্ণ মনে হলো আমার কাছে। যেমন আমার টিমের নেতা টনি দোতলার বসদের খুব প্রিয়পাত্র। তাই আমার টিম থেকে কেটেছে সবচেয়ে কম। অন্যান্য টিম থেকে কেটেছে আরো বেশী, কারণ তাদের প্রোফাইল অত ভালো না। যদিও যে কোন সাধারণ বিচারে যাদের কাজ চলে গেছে, তারা সবাই আমার থেকে বেশী কর্মঠ আর সিন্সিয়ার ছিল। (আর কর্মঠ হবে নাই বা কেন? ওদের তো আর বাংলা ব্লগ নেই )
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
অভিনন্দন। সেইসাথে লেখাটাও যে ভীষণ সুখপাঠ্য হয়েছে, সেটুকু জানাই শুধু।
অনেক ধন্যবাদ প্রহরী ভাই।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
দেইখেন।
মাইকেল মুরেরই শেষ কথা। ঐ গাধাগুলা যদি একটু মনোযোগ দিয়ে শুনতো।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ফুলজেন্সের জন্য সমবেদনা রইলো। আর আপনার জন্য শুভকামনা...সিঁড়িটা অন্তত পিচ্ছিল নেই এখন।
বাংলাদেশে ধাক্কা পড়েনি হয়তো। তবে আমার কোম্পানি'র টেক ওভারের দরুন অনেককেই চলে যেতে দেখেছি/দেখছি। পুরো বছরটাই এভাবে যাবে। কে জানে, কবে আমার ওপর খড়গ পড়বে...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সময় করে দেশের বেসরকারী চাকরির বাজার নিয়ে কিছু দিও। এইখানে বসে ভালো টের পাওয়া যায় না ভিতরের কাহিনী।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
চেষ্টা থাকবে, দৌড়ানি কমলে...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
-নাহ আমার ফাইনাল ইয়ারের টার্ম ফাইনাল শুরু হতে যাচ্ছে ওটা দেওয়া মনে হচ্ছে অনেক সোজা!!
-দুনিয়া বড়ই কঠিন জায়গা
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
সাবাশ গুরু, এখন পর্যন্ত টিকে আছেন বলে অভিনন্দন, আর আশাকরি এভাবেই আপনে আমাদের আপডেট করে যেতে থাকবেন আবারো নিকট ভবিষ্যতে যে আপনে টিকে আছেন। শুভকামনা রইল সুন্দর ভবিষ্যতের আর দোয়া রইল ফুলজেন্স সহ অন্যান্যদের জন্যেও, যেন তাদের আকাশেও মেঘ কেটে গিয়ে সূর্য্য এসে হাসিমুখ দেখায় খুব শীঘ্রই।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
থ্যাংকু। আপ্নের কি অবস্থা লেটেস্ট?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ইনশাআল্লাহ ভালো থাকবেন সবসময়। আমাদের দেশের ব্রাইট ছেলেরা বাইরের মাটিতে হামাগুড়ি খাচ্ছে ভাবলেই কেমন কষ্ট হয়। এটা ঠিক আমাদের দেশটা পচিয়ে ফেলছে নীতিনির্ধারকরা, কিন্তু এখনও কিছু করে খাওয়া যায়।
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
এখানে হামাগুড়ি আর ওখানে কিছু করে খাওয়া - এই দুইয়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েই যত অনাসৃষ্টি।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ওয়েল্কাম্ব্যাক !
আপনারে সত্যি সত্যি ব্যাপক মিস্কর্তেছিলাম। বহুদিন পর লেখা দেখে খুবই ভালো লাগলো।
মন্দার ভালো মন্দ অনেক কিছু নিয়াই তর্ক হইতে পারে। কিন্তু আমি একটা ভালো দিক কইতে পারি- মন্দার কারণেই আপনি অর্থনীতির উপর চমৎকার কিছু লেখা লিখসিলেন স্পেশালি ডট কম বাবল, রিয়াল এস্টেট ধ্বস এইসব নিয়া... ওই লেখাগুলা অসাধারণ রকমের দারুণ ছিলো।
অল্পকিছুদিন হইলো চাকরিতে ঢুকলাম। সেই অর্থে মন্দার প্রভাব কিছু প্রত্যক্ষ করছি নাকি নিশ্চিত না। তবে দেশের টেলিকম সেক্টর একটু নইড়া চইড়া বসছে। অন্তত ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের লোকদের জন্য খবর মন্দ না। বাকিটা মালিক ভরসা ...
লেখা থামায়েন না... চলতে থাকুক।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
চাকরির অভিনন্দন। কোনটায় জয়েন করলেন?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
দারুন সব ব্যাপার জানতে পারলাম। ভাল লেগেছে।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
যেমনটা গৌতম বলেছে, বাংলাদেশে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি বিশ্বমন্দার। কিন্তু দেশে কোম্পানিগুলি একটা ‘কনসলিডেশন ফেজের’ মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এই মুহূর্তে, এর প্রভাব চাকুরীক্ষেত্রে তো থাকবেই...।
চীন-ভারত যেমনে দৌড়াইতেসে, বাংলাদেশের গায়ে তেমন আঁচড় লাগবে না মনে হয়। তবে সুষম উন্নয়ন আর আয়ের বন্টন - এই জাতীয় জিনিসগুলার প্রতি একটু নজর দেয়ার দরকার ছিল।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আপনি ভাল থাকুন এই কামনা করি।
আররে, গ্রেট বস্!
এইবার তাহলে 'গাড়ি চলে না' সিরিজ আবার চালু করেন।
অর্থনীতি নিয়ে আপ্নের লেখা মিস করি। বেশি বেশি লিখুন।
আপনাকে শেষবার দেখেছি তাও অনেকদিন হয়ে গেছে বোধয় !
আনন্দ ও আশঙ্কা, দুটোসহই অভিনন্দন। ভালো থাকবেন নিশ্চয়ই ! কেননা এর কোন বিকল্প নেই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
টিকে থাকার জন্য অভিনন্দন রইল। আপনার লেখা আর সবার মন্তব্য পড়ে নিজের বেকারত্বের হাহুতাশ একটু থিতিয়ে এলো বোধহয়। আর যাই হোক ফুলজেন্স, লিসি, ক্রিস্টিয়ানদের চেয়ে ভালো আছি এখনো।
ভালো থাকবেন।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
টিঁকে যাওয়ার জন্য অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা৷
সত্যিই গত বছরটা বেশ খারাপ গেল৷ ভারতে আই টি, ব্যাঙ্কিং এইগুলোতে প্রচুর ছাঁটাই হয়েছে৷ এখন আবার আস্তে আস্তে ঠিক হচ্ছে৷
এই ডাক আসা, উঠে যাওয়া, আর ফেরত না আসা -- এই জিনিষ আমি ২০০১ এ দেখেছি৷ আমি তখন কলকাতায় একটা কলকাতা বেসড কোম্পানিতে৷ রোজ খবর আসছে আজ এই কোম্পানিতে এতগুলো উইকেট পড়েছে, তো কাল তমুক কোম্পানিতে৷ সে কি আতঙ্ক চারিদিকে! আমাদের কোম্পানিতেও ডিসেম্বরের শেষদিনে হল৷তবে ডেস্কে ফেরত এসেছিলাম, ড্রয়ার খালি করার জন্য৷ সেই অনুভুতি মনে পড়লে আজও সেবারে একেবারে ভাবতেই পারি নি৷ তখন বয়সও অনেক কম, অভিজ্ঞতাও কম৷ ভেবেইছিলাম যে আমাদের কিচ্ছু হবে না৷ আপনার লেখাটা পড়ে আবার মনে পড়ে গেল সেই দিনগুলো৷
আগে কোনওদিন বলা হয় নি, আপনার লেখাগুলো খুব মন দিয়ে পড়ি৷ বেশ সহজ করে অনেক কিছু বোঝানো থাকে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ফুলজেন্স, লিসি, ক্রিস্টিয়ানদের জন্য সমবেদনা রইলো। আর আপনার জন্য শুভকামনা...
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কালকে বিবিসে তে ইন্সাইড জব ডকুছবিটা দেখলাম। না দেখলে দেখিস, জব্বর বানাইসে।
***
তরে আর তর লেখা মিস করি।
নতুন মন্তব্য করুন