• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

ভিনসেন্ট

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি
লিখেছেন সুবিনয় মুস্তফী (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৪/২০১০ - ৩:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তার নাম শুধু শুনে এসেছি স্কুল জীবন থেকে। তাকে উৎসর্গ করে লেখা অপূর্ব একটা গানের ভক্ত হয়েছি কলেজ জীবনে। কিন্তু ভিন্সেন্ট ভ্যান গখের আঁকা ছবি কখনো স্বচক্ষে দেখার সুযোগ বা কপাল হয়নি।

হয়তো সেই শূন্যতা ঘোচাতেই লন্ডনের রয়াল একাডেমী আয়োজন করেছিল ভ্যান গখের বড় আকারের চিত্র প্রদর্শনীর - গত চল্লিশ বছরে এই শহরে প্রথমবারের মত। জানুয়ারী থেকে চলছে, সামনের সপ্তাহে শেষ। তাই ছুটির দিনে সকালবেলা চলে গেলাম পিকাডিলিতে। খেয়াল ছিল না যে আরো শত শত লোকও ভিন্সেন্ট-কে দেখতে চলে আসবে - মিউজিয়ামের বাইরে লাইন দেখলাম পাক্কা দেড় ঘন্টা লম্বা। দাঁড়ালাম ততক্ষন। বাইরে যেমন ভীড় ছিল, গ্যালারির ভেতরে দেখি তার চেয়ে দ্বিগুণ! গ্যালারির সাতটা বড় বড় প্রদর্শনী রুম, প্রতিটা উপচে পড়ছে মানুষে - সব বয়সের আর সব সাইজের মানুষ, সব দেশের আর সব রঙ্গের মানুষ।

অথচ তিনি যখন বেঁচে ছিলেন, একটার বেশী পেইন্টিং তিনি বিক্রি করতে পারেননি।

*

যা দেখেছি, তার সবই যে ভালো লেগেছে, তা বলবো না। অনেক ছবি মনে তেমন রেখাপাত করেনি। ভিন্সেন্ট আঁকাআঁকি শুরু করেন বেশ দেরীতে - তার বয়স যখন ২৮। প্রথমদিকের কাজ দেখে আন্দাজ করা যায় বেশ অপরিপক্ক - কিছু পেন্সিল স্কেচ, কয়লার কাজ, ছোট মাপের তৈলচিত্র। নতুন শিল্পী তার কাজ শিখছেন, বারবার অনুশীলন করছেন - কি করে পার্স্পেক্টিভ ঠিক করা যায়, কি করে মানব-শরীর আঁকা যায়। অল্প ক'বছরের শিল্পীজীবনে তাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অকুন্ঠ সমর্থন দিয়ে গেছেন তার ছোট ভাই থিওডোর বা থিও। সেই থিওকে লেখা ভিন্সেন্টের ডজন ডজন চিঠিও প্রদর্শিত হয়েছে দেখলাম - চিত্রগুলোর পাশাপাশি।

থিও, আমি কৃষকের ছবি আকাঁর চেষ্টা করছি, আজীবন কঠোর পরিশ্রমে ন্যূব্জ দেখাতে চাই, কিন্তু একদমই হচ্ছে না। ৫০বার স্কেচ করেছি অলরেডি, দরকার হলে ১০০বার করবো, কিন্তু যেভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাই, ঠিক সেভাবে না হওয়া পর্যন্ত থামবোনা পণ করেছি। আবার যখন আস্তে আস্তে তার হাত পাকছে, তিনি লিখছেন - দেখ থিও, এই বাগানটাকে আজ এমনভাবে এঁকেছি, এখানে সবুজ দিয়েছি, এখানে নীল, এখানে কমলা। মনে হয় বেশ ভালোই হয়েছে।

যা বললাম, মাত্র দশ বছরের শিল্পীজীবন। ৩৮ বছর বয়সে নিজেকে গুলি করে মেরে ফেলেন। অথচ সেই দশ বছরে কি রকেটের মত উত্তরণ। কোন আর্ট কলেজে যাননি, কোন আনুষ্ঠানিক ক্লাস নেননি, তেমন কোন শিক্ষকও ছিল না। সব শিখেছেন নিজে নিজে - দিনের পর দিন অনুশীলন করে, চিত্রকলার উপর বই পড়ে, তার প্রিয় শিল্পীদের কাজ দেখে দেখে। বইয়ের পোকা ছিলেন, প্রচুর গল্প-উপন্যাস পড়তেন। তার সংগ্রহ থেকে বিভিন্ন বই - ডিকেন্স, এমিল জোলা, মোঁপাসা - রাখা ছিল কাঁচের নীচে। চার চারটে ভাষায় কথা বলতে আর পড়তে পারতেন - ডাচ, ফরাসী, ইংরেজী আর জার্মান। থিও-কে চিঠি লিখেছেন একাধারে ডাচ আর ফরাসী ভাষায়। থিও, এইটা ট্রাই করলাম আজকে - দেয়ালে স্পটলাইটের নীচে ফরাসীতে লেখা চিঠিটা সাঁটা আছে ছোট স্কেচ সহ - আর দু'পা এগোতেই অরিজিনাল ছবিটাও ঝুলিয়ে রাখা! দারুন ব্যাপার।

*

সবচেয়ে বেশী চোখ ধাঁধিয়েছে শেষদিকের কাজগুলো। ছবি-টবি তেমন বুঝিনা, কিন্তু এতটুকু সহজেই বোঝা যায় যে ২৮ বছরের কাঁচা হাতের ভিন্সেন্ট আর ৩৮ বছরের ভিন্সেন্টের কাজের ব্যবধান একেবারে থার্ড ডিভিশন বনাম ফার্স্ট ডিভিশনের মতোই। তদ্দিনে তিনি এতোটাই পারঙ্গম হয়ে উঠেছেন যে এমন কোন আঁকার স্টাইল নেই যা তার আয়ত্তের বাইরে। এমন কোন মুড নেই যা তিনি ফুটিয়ে তুলতে পারেন না, এমন কোন নিঃসর্গ নেই যা তিনি ক্যানভাসে বন্দী করতে পারেন না। হল্যান্ড ছেড়ে ফ্রান্স চলে গেছেন - ফ্রান্সের এক মাথা থেকে আরেক মাথা ক্যারমের গুটির মত ধাক্কা খেয়ে যাচ্ছেন। আর যত বড় মাপের শিল্পী হচ্ছেন, তত মানসিক ব্যাধি তাকে তাড়া করছে।

শেষের দিকের ছবিগুলোর সামনে এসে মন্ত্রমুগ্ধের মত দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই কি গমের ক্ষেত, এই কি পপলার গাছ? এটা কিভাবে গ্রীষ্মের আকাশ হয় - অথচ হ্যাঁ এটাই তো গ্রীষ্মের প্রকৃত আকাশ। গ্যালারির ভেতরে অগুণতি মানুষ ধাক্কাচ্ছে, সবাই তো দাঁড়িয়ে দেখতে চায় কিছুক্ষণ। কিছু কিছু ছবির কাছে তাই বারবার ফিরে যেতে হয়েছে - আরেকবার দেখে নেই সাইপ্রেসগুলো, বা সাঁ-রেমি'র হাসপাতালটা

*

একটা কথা যেটা বারবারই মনে হয়েছে - ম্যাগাজিন বা বইয়ের পাতায় তেলচিত্রের প্রিন্ট দেখে তেমন কিছু বোঝা যায়না। যেই ছবি হয়তো আগে অনেকবার দেখেছি বলে মনে হয়, সেটা সামনাসামনি এসে নতুন এক রূপ, প্রায় অগ্নিমূর্তি নিচ্ছে। ভিন্সেন্টের হাতে রঙ্গের আস্তর মাঝে মাঝে আধা-ইন্চি পুরু, পিগমেন্ট একেবারে ক্যানভাস থেকে লাভার মত ফুঁসে বেরুচ্ছে। জানলাম যে টুথপেস্ট-এর মত ঢেলে দেয়া এই রং করার কায়দাকে ইম্পাস্টো বলে। তার ল্যান্ডস্কেপগুলোর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সাধারণত ক্যানভাসে আঁকা ছবি আমরা দ্বিমাত্রিক বলেই জানি - চ্যাপ্টা, সমান্তরাল। অথচ ভিন্সেন্টের ক্যানভাসের উপর রঙ্গের পুরু প্রলেপের কারনে ছবি প্রায়ই একটা ত্রিমাত্রিক রূপ লাভ করে। গোলাপ ফুলের একটা স্থিরচিত্রে চোখ আটকে যায় - মনে হয় রং নয়, হয়তো আসল পাপড়ি!

ভিন্সেন্টের তুলির এই মোচড়গুলো কম-বেশী সবাই দেখেছি - ইম্পাস্টোর মোটা আঁচড়ে আঁকা নীল আকাশ বা গমক্ষেত - বইয়ের পাতা থেকে কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যায়। কিন্তু রঙগুলো - সেই গাঢ় নীল সবুজ কমলাগুলো যে এই ১৩০ বছর পরেও কি রকম জীবন্ত, জ্বলন্ত, ঝকঝকে - সেটা ছবি থেকে ফুটখানেক দূরে দাঁড়িয়েই প্রকৃত বোঝা সম্ভব। অনেক খুঁজলাম কিন্তু জলপাই গাছগুলোর এর থেকে ভালো ছবি পেলাম না। অথচ আসলটার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল কেউ যেন আমার কলিজাটাকে খামচে ধরেছে - এই ছবিটা আমি এখন আমার ড্রয়িং রুমে নিয়ে যেতে চাই, ঘন্টার পর ঘন্টা স্থির দাঁড়িয়ে আজ থেকে কাল একে আমি দেখতে চাই।

*

বলা হয় জীবনের শেষে এসে ভিন্সেন্ট ঝড়ের বেগে কাজ করেছিলেন - শেষ তিন মাসে ডজন ডজন ক্যানভাস সমাপ্ত করেন তিনি। ততদিনে মানসিক ব্যাধির সাথে যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন নিশ্চিতভাবেই, মানসিক হাসপাতালে আসা-যাওয়া করেছেন কয়েকবার। থিও-র কাছে লেখা চিঠিতে আছে মৃত্যুচিন্তা। বুঝে গেছিলেন যে এই শিল্পীসত্ত্বা তাকে অমরত্ব দিক বা না দিক, তাকে আর বাঁচতে দিবে না।

চার ঘন্টা শেষে প্রদর্শনী থেকে বেরিয়ে এসে আবার একুশ শতকে পা দিলাম। মনে গভীর দাগ কেটেছে বলার অপেক্ষা রাখে না। ইচ্ছা হয় ছুটে যাই সেই প্রোভেন্সে কোন এক গ্রীষ্মে... আর্ল-এর হলুদ বাড়িটাতে, যেখানে তিনি ছিলেন কিছুদিন, আরেক খ্যাপাটে শিল্পী পল গঁগা এসে থেকেছিলেন তার সাথে দুই মাস, পরে দুজনে বিরাট কাইজ্জা করে আলাদা হয়ে যান... অথবা সাঁ-রেমিতে... পাগলা গারদের জানালা দিয়ে যেই পাহাড় আর প্রকৃতির দৃশ্য তিনি দেখেছিলেন... সেই সাইপ্রেস গাছের ডাল-পালা... সেই ঘূর্ণায়মান সুগভীর নীল আকাশ যা আজও তার অগুণতি ভক্তদের সম্মোহিত করে রেখেছে...

শেষ কথাটা থাকুক ডন ম্যাক্লীনের কাছেই।

*

- ভিন্সেন্ট ভ্যান গখের আঁকা ছবির সম্পূর্ণ গ্যালারি - তার লেখা ৯০০টি চিঠির অনলাইন সংকলন - তর্জমা সহ


মন্তব্য

সুজন চৌধুরী এর ছবি

আহারে ভ্যান গগ!
এখনো ওর কোন কাজ জ্যান্তো দেখি নাই।
তবে অনেক রি-প্রোডাকশন দেখছি... ২টা সিনেমা দেখছি ১টা উপন্যাস পড়ছি, অনেকের কাছে গল্প শুনছি ... এখনও দেখাটা বাকী।
দারুণ পোস্ট আর ঐ লিংকগুলো। ধন্যবাদ অনেক।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

নীচে মূলোদা যেটা কইলেন - ভ্যান গখ মিউজিয়াম আপনের থেকে মাত্র চার ঘন্টা দূরে - আমিও নেক্সট টাইম দুর্দান্তর বাড়ি গেলে আর মিস নাই!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

মারসে - আমি তো জানতাম দুই চৌধুরী-ই জার্মানে থাকে!!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

মূলত পাঠক এর ছবি

ভ্যান গখের ছবি দেখে মাথা খারাপ যার হয় না তার মাথা খারাপ! আপনার লেখা পড়ে মুগ্ধতার জগতে আরেকবার ঘুরে এলাম।

যদ্দুর জানি আপনি তো বিলেতে থাকেন, যদি না গিয়ে থাকেন তো সুযোগ করে একবার অ্যামস্টারডামটা ঘুরে আসুন না। শুধু ওঁর নামেই একখানা গোটা মিউজিয়াম, চারতলা বোধ হয়, ছবি দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

অচিরেই ঘুরে আসার খায়েশ আছে - ঐ মিউজিয়াম থেকে অনেকগুলো পেইন্টিং এই এক্সিবিশনের জন্য সাময়িক ধার দেয়া হয়েছে। আরো অনেক ছবি ধার এসেছে নিউ ইয়র্কের মোমা আর মেট থেকে যদিও স্টারি নাইট - যেটা মোমা-তে আছে - সেটা লন্ডনে আসেনি।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

পুতুল এর ছবি

ভ্যান গগের ছবির একটা বই আছে আমার কাছে। কিন্তু সেখানে ভ্যান গগকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। লেখাটা চমৎকার। আশা করি মরার আগে একবার ভ্যান গগের ছবির সামনে দাঁড়ানোর সুযোগ হবে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

মিউনিখ, ফ্রাংকফুর্ট, জুরিখ, বার্ন-এর সংগ্রহশালা থেকে প্রচুর পেইন্টিং দেখলাম। হাতের কাছে কিছু পাবেন নিশ্চয়ই।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

মূলত পাঠক এর ছবি

আরেক পাগল হলো পল গঁগ্যা। অন্য জাতের পাগল যদিও। তার ছবিতে এমন আদিম রঙ, মাথায় বাড়ি মারে যেন!

ভ্যান গখের হলুদ রঙের ব্যবহার নিয়ে একবার একটা লেখা লিখেছিলাম অনেক কাল আগে, অন্য এক জায়গার জন্য। সেটা নানা কারণে হয় নি শেষ। তারপর একবার সচলের জন্য লিখতে বসলাম। প্রায় গুটিয়ে এনেছি, এমন সময় পাতা গেলো উড়ে। তখন ভাবলাম সব জিনিসে যে সবার নাক গলানো উচিত নয় এইটা বোধ হয় তারই ইঙ্গিত। কাজেই শিকের জিনিস ফের শিকেয় তুলে দিলাম। :)

যাক এখন আর দুঃখ নেই এই লেখা পড়তে পেরে।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

দাদা, ফাঁকি না দিয়ে লেখাটা আবার দিয়ে দেও! :-D পড়তে চাই।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

অমিত এর ছবি

এই লোকটার মধ্যে কি জানি একটা ব্যাপার আছে। ছবি তেমন বুঝি না, কিন্তু ক্যাফে টেরেস অ্যাট নাইট দেখে মনে হয় ঠিক এই জায়গাটাতেই বাকি জীবনটা কাটানো যাবে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ল্যান্ডস্কেপগুলো দেখে আর্ল-এ যাওয়ার নিয়ত করসি। কোন এক গনগনে সামারে - অলস একটা সপ্তাহের জন্য।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

নাশতারান এর ছবি

অসম্ভব সুন্দর একটা লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, দাদা।

ভ্যান গখের কাজ খুব কাছে থেকে দেখার তীব্র বাসনা রইলো। কখনো সুযোগ হবে কীনা জানি না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম সুবিনয়দা, অসংখ্য ধন্যবাদ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

হিংসালাম!

আমার অদ্ভূত নায়ক ভ্যান গগ, আর অনেক প্রিয় তাকে নিয়ে ম্যাক্লিনের গানটি।

খুব ভালো লাগলো লেখা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখাটা পড়ে অনেক অনেক কিছু জানলাম।

মিতু
রিফাত জাহান মিতু

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

বুনো, সাইফ, মিতু, ধ্রুব-কে ধন্যবাদ।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

বর্ষা এর ছবি

---ভ্যান গগের চিঠিগুলোর লিংক দেবার জন্য ধন্যবাদ। বিশেষত, খসড়া স্কেচ সহ চিঠিটা দেখে ভালো লাগল।

ডেট্রয়েট আর্ট মিউজিয়ামে ওর একটা সেলফ পোর্ট্রেট দেখেছিলাম-- চোখের দৃষ্টিটা কেমন যেনো!!! কিন্তু তুলির আঁচড়ে ঐ দৃষ্টি ফুটিয়ে তোলা সহজ নয়!!!!

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

চিঠির আর্কাইভ-টা ঘেঁটে দেখতে পারেন। খুবই ইন্টারেস্টিং। বলা হয় যে আর কোন শিল্পী তার সৃজনশীল প্রক্রিয়া নিয়ে এতো বিস্তারিত বা এতো পরিষ্কার ভাষায় লিখে যান নি।

আত্ম-প্রতিকৃতি সব মিলিয়ে ২৪টা - এতগুলো নিজের ছবি কারণ মডেল-কে পারিশ্রমিক দেয়ার মত কোন টাকা ছিল না!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

স্পর্শ এর ছবি

ভ্যানগখ যে এত দেরীতে আঁকতে শুরু করেছিলেন জানতাম না।

সুন্দর লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এই সকাল বেলায় প্রাণটা জুড়িয়ে দিলেন।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তারাপ কোয়াস [অতিথি] এর ছবি

আপনার লেখা সবসময়ই উপভোগ্য তবে অর্থনীতি সিরিজের পরবর্তী লেখাগুলোর জন্য অসীম আগ্রহে অপেক্ষা করছি!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

লেখাটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সামনে দাঁড়িয়ে ভিনসেণ্টের কাজগুলো এ জীবনে দ্যাখা হবে কীনা কে জানে! :(
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

স্পর্শ, তারাপ, পরিবর্তনকে ধন্যবাদ। তারাপ - আসলে অর্থনীতি আর তার মালিকদের নিয়ে বেশ বীতশ্রদ্ধ আছি কয়েকদিন - শালারা সব হারামখোর নাইলে গর্দভ (নাইলে দুইটাই) - আর এদিকে বসে বসে বাঁশ খায় বাকি সারা দুনিয়ার আম পাবলিক।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

রাবাব [অতিথি] এর ছবি

অনেকদিন পর আপনার লেখা দেখে ভালো লাগলো। লেখালেখি কমিয়ে দিয়েছেন নাকি? লন্ডনে এত রকমের মিউজিয়াম থাকার পরেও গঁখ-র ছবি দেখাতে এতদিন লাগবার কারণ? আমি ধারনা করেছিলাম লন্ডন অন্তত এসব ব্যাপারে এগিয়ে আছে।

সামনে আরো নতুন লেখা আশা করছি।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

লন্ডন এগিয়ে আছে ঠিকই - শুধু আমিই পিছিয়ে আছি! আসলে এই শহরে এত কিছু করার/দেখার আছে, যে সপ্তাহে ১০ দিন দরকার, আর নাইলে ডবল আয়ু। আমার বেশির ভাগ ফ্রি সময় কাটে নাটকপাড়ায়। তবে ন্যাশনাল গ্যালারি, টেইট গ্যালারি - এগুলো সময় নিয়ে ভালো করে দেখা ফরজ কাজের মধ্যে পড়ে গেছে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

মামুন হক এর ছবি

একেবারে যারে বলে মাথায় বাড়ি পোস্ট, শিরোণাম দেখেই ম্যাকলীনের গানটার কথা মনে পড়ল, আর দেখি সেটাও জুড়ে দিয়েছেন। দেখি একবার আপনাদের ওদিকে এসে ভ্যান গগের যাদুঘরে ঘুরে যেতেই হবে।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ক্যাম্পার ভ্যান - না কি কন?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ফারুক হাসান এর ছবি

ব্রাজিলের জার্সি হলুদ বলে হলুদ রংটা আমার কাছে সবসময়ই কটকটে :p
কষ্টের রং নাকি নীল।

কিন্তু ভ্যান গগের ছবি দেখে আমার মনে হয় কতটা অপার্থিব সৌন্দর্যই না লুকিয়ে থাকতে পারে এই দুটি রংয়ে! ভ্যান গগের ছবির সাথে তুলনা হয় না কোনো কিছুরই। এত তীব্রভাবে টানে তার রংয়ের ব্যবহার, এক্সপ্রেশন আর ছবির বিষয়গুলি যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

ডন ম্যাক্লিনের গানটা ভ্যান গগের ছবির মতই ছুরি বসিয়ে দিয়ে যায় মনের ভেতর। আমিও সেই কলেজ থেকে এই গানের ভক্ত। অসাধারণ ম্যালানকলিক একটা গান। আমার লিস্টের সেরা দশে ছিল, আছে, থাকবে।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ভিনসেন্ট-ও ঠিক এই কথাটাই বলেছিল - একটা চিঠি ছিল শোতে, আরেক শিল্পী এমিল বার্নার্ড-কে লেখা, দক্ষিণ ফ্রান্সের গরমের সময়ে - There is no blue without yellow and without orange, and if you put in blue, then you must put in yellow, and orange too, mustn't you?

আপনার কথাটা একদম মোক্ষম সত্য।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

বাউলিয়ানা এর ছবি

এই ভদ্রলোক সম্বন্ধে তেমন কিছু জানতাম না। অনেক ধন্যবাদ পোস্ট আর লিঙ্ক গুলোর জন্য।

গানটার জন্য (Y)

কনফুসিয়াস এর ছবি

লেখাটা খুব ভাল লাগলো। ভ্যান গগকে নিয়ে এরকম আগে কখনো পড়িনি।
অনেক ধন্যবাদ মুস্তফী। আপনাকে আরও নিয়মিত চাই।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

অনেক কিছু জানলাম, দেখলাম। ধন্যবাদ!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

বাউল, কনফু ভাই, পান্থ - আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

শরতশিশির এর ছবি

আমার এক ডাচ ফ্রেন্ডকে বছর দুই আগে জিজ্ঞেস করেছিলাম সঠিক প্রোনান্সিয়েশান কি নামের - ও যা বলেছিল, তার কাছাকাছি উচ্চারণ দাঁড়ায় এইঃ

ভীনসান্ট ফান খঁ'খ (স্ট্রং 'ও' ভিতরে)

আপনার এই আলোচনা দেখে মনে হলো আসলেই গুগেনহাইম, দ্য মেট আর মডার্ণ আর্ট (মোমা) আবার এই গ্রীষ্মের মধ্যেই চক্কর মারতে হবে।

ভাল লাগলো আপনার গবেষণা করে লেখা, আমার আর্টস এর উপর অনেক আগ্রহ আছে। :)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

আমি আসলে ল্যান্ডস্কেপ পেইন্টিং বেশী খাই। ২০০৬ সালে এই একই যাদুঘরে সপ্তদশ শতকের ডাচ শিল্পী ভ্যান রাইসডেল - যাকে মোটামুটি এক বাক্যে সর্বকালের সেরা ল্যান্ডস্কেপ শিল্পীদের মাঝে গণ্য করা হয় - তার একক প্রদর্শনী দেখতে গিয়েছিলাম। সেই ব্যাটার জিনিয়াস-তুলির বর্ণনা দেয়া আমার সাধ্যের বাইরে!!!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

দুর্দান্ত এর ছবি

উহু! ভ্যান গখ না, 'ফন্খখ্‌'
---
ইম্প্রেশনালিস্ট আর আধুনিকবাদীদের যোগসূত্রকার এই এক-মানুষ-প্রতিষ্ঠানটি আদতে মাত্র ৪ বছর আনন্দে কাজ করেছে। প্যারিসে পৌছানোর আগের তার কাজগুলো দেখলে বোঝা যাবে কতটা বিষন্নতায় ভুগতো সে। তার জন্মভূমি তাকে (জীবদ্দশায়) তেমন কিছু দেয়নি; তার ছবিগুলোর যা কিছু আমাদের ভাল লাগে (বিষয়বস্তু, তুলিক্ষেপ, উজ্জ্বল রং) এগুলোর কোনটাই মনে হয় হল্যান্ড এর মাটিতে থাকলে তার হাত গলে বেরুতে পারতো না। ফ্রান্স এ না গেলে ফন্‌খখ্‌কে আমরা কেউ চিনতাম না।
কথিত আছে, তার কানটি কাটা হয়েছিল যখন তার ভালবাসার মানুষটি তাকে প্রত্যাখ্যান করে। সেই প্রেমের মানুষটি যখন তাহিতিরদ্বীপবাসিনীদের রূপে বিভোর, তখন একাকীত্বে উন্মাদ ফন্‌খখ্‌ প্রতিদিনে একটি হারে এঁকে যাচ্ছেন মরো মরো জলপাই গাছ, আগুনে ঝলসানো আকাশ আর ফ্রান্স এর আকাশের তারায় তারায় রটিয়ে চলেছেন তার ভালবাসার কথা। শুধু কায়িক পরিশ্রমের বিচারে এটি অসাধ্য,আর যে মানের কাজগুলো ফন্‌খখ্‌ এর হাত গলে বেরিয়েছিল, সেগুলোকে এই হারে একের পর এক বের করে দেয়াটো রীতিমত অলৌকিক।
---
যদিও একটু ক্লীশে, কিন্তু খখের সূর্যমুখি সিরিজটি আমি নিতান্তই ভালু পাই।
---
আমস্তার্দামে ফন্খখ্‌ এর স্থায়ী প্রদর্শনী ছাড়াও ক্রলার মুলার যাদুঘরে আলুখোর বা আর্ল এর কাফে'র বারান্দা র মত অসাধারন কিছু কাজ আছে।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ভ্যান গখ গগাঁ-কে বস মানতো বলে জানলাম। গগাঁ তখন ব্রিটানিতে - ভ্যান গখ অনেক বলে-কয়ে ওরে আর্ল-এর ইয়েলো হাউজে আনাইসিলো - কিন্তু দুই মাসের ভেতরেই ওদের মধ্যে ফাটাফাটি চরম আকার ধারণ করে। প্রেম যদি থাকে সেটা খুব সম্ভবত প্লেটোনিক ছিল, রোমান্টিক না। ভ্যান গখ স্ট্রেইট ছিলো বলেই জানি, এক এক্স-পতিতার সাথে লিভ টুগেদার করে পরিবারের অনেক বিরাগভাজনও হইসিলো।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

দুর্দান্ত এর ছবি

আর্লে এ ভিন্সেন্ট এর যে মানসিক অবস্থা, এবং তখন সে যে পর্যায়ে এবসিন্থ আসক্ত, সে অবস্থায় প্লেটনিক-রোমান্টিক বা বিষম-সমকামনা ইত্যাদির গন্ডিগুলো আর জায়গামত থাকে নাকি?

রেজওয়ান এর ছবি

গগাঁ আর গগের এই সম্পর্ক নিয়ে একটি অনবদ্য ছবিও দেখেছিলাম। কিন্তু নামটা মনে করতে পারছি না।

পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ। দারুণ আলোচনায় অনেক কিছু জানা হল।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আমস্তার্দামে ফন্খখ্‌ এর স্থায়ী প্রদর্শনী ছাড়াও ক্রলার মুলার যাদুঘরে আলুখোর...
এটুকু শুনে বলতে চেয়েছিলাম, উঁহু, ক্রলার মুলার হবে কেনো, আমি তো আলুখোর দেখে এসেছি ফন্খখ্‌ মিউজিয়ামেই। পরে একটু খোঁজ খবর নিয়ে জানলাম, আলুখোরের আরেকটা ভার্সন আছে ক্রলার মুলার-এ। কিন্তু আপনি যে ছবির লিঙ্কটা দিয়েছেন, সেটা কিন্তু আছে ফন্খখ্‌ মিউজিয়ামে - এটাই বোধহয় বেশি পরিচিত দ্য পট্যাটো ঈটারস নামে। ক্রলার-মুলারের ছবিটা একটু আলাদা।

দুটো ছবিতেই খেটে খাওয়া দরিদ্র কৃষক পরিবারের সেদ্ধ আলু দিয়ে রাতের খাবার খাওয়ার কঠিন জীবনযাপনের একটা স্ন্যাপশট। ভয়ংকর বাস্তবতার এই ছবিটা সামনাসামনি দেখলে অনেক আয়েশে শহুরে জীবনে বড় হওয়া পেটের ভেতরটা বড় রকমের মোচড় দিয়ে ওঠে।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

প্রদর্শনীর ক্যাটালগে একটা প্রবন্ধ পড়ছিলাম। লেখক বললেন যে ভিন্সেন্ট-এর জনপ্রিয়তার আরেকটা কারন - তিনি কখনো উপরতলার লোকদের পা চাটেননি। আগাগোড়াই প্রান্তিক জীবনযাপন করেছেন, সারাজীবনে কোন 'এলিট' লোকদের ছবি বা এলিট সমাজের ছবি আঁকেননি। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তার আঁকার বিষয়বস্তু ছিল প্রকৃতি অথবা প্রাকৃতজন।

কথাগুলো বেশ ভালো লেগেছে। ভ্যান গখ-এর এই ব্যাপারটা কখনো ভেবে দেখিনি।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

দুর্দান্ত এর ছবি

দুটো ছবিতেই খেটে খাওয়া দরিদ্র কৃষক পরিবারের সেদ্ধ আলু দিয়ে রাতের খাবার খাওয়ার কঠিন জীবনযাপনের একটা স্ন্যাপশট। ভয়ংকর বাস্তবতার এই ছবিটা সামনাসামনি দেখলে অনেক আয়েশে শহুরে জীবনে বড় হওয়া পেটের ভেতরটা বড় রকমের মোচড় দিয়ে ওঠে।

আসলেই তাই। বড়ই কষ্টের। তবে ছবিটি আরেকটু ঘোলা হয় যখন জানা যায় যে এই নয়নেনের তাঁতীদের এই ছবিগুলো আঁকার সময় ভিন্সেন্ট তার স্বচ্ছল আর্ট ডিলার বাবার হোটেলে থাকছে, পাদ্রীগিরির টেরনিং নিচ্ছে, প্যারিসের বাজারে তার ছবি বিক্রির করতে আর্ট ডিলার ছোটভাই তেও কে একের পর এক চিঠি লিখে যাচ্ছে (মানে এসময়ে সে যথেষ্টই আত্মপ্রচার চাইতো), পাশের বাড়ীর মেয়েটির সাথে চুটিয়ে প্রেম করছে, কিন্তু বংশে না মেলায় তাকে বিয়ে করছে না। বারিধারার ফ্ল্যাটে থেকে মাঝে মধ্যে কাছের বস্তিতে গিয়ে গরীব মানুষের দৈনন্দিন কষ্টের ফটো তোলার মত এই শিক্ষানবিশ পাদ্রীটি আলুখোর তাঁতীদের ঘরে ঢুকছে, তাদের হেদায়েত করতে করতে তাদের দুর্দশার ছবি আঁকছে, আবার একই সময়ে সে এই তাঁতীর মেয়েকেই অন্তঃসত্বা করে নিজের বাপের হার্ট-এটাকের কারন হচ্ছে।
নয়নেনে তাঁতীদের মাঝে যে কষ্ট সে দেখছে, সে যে সেসব কষ্টের একাধারে বয়ানগার ও বেনেফেসিয়ারি, তাতে তার নড়বড়ে মানসিক ভারসাম্য আরো নড়ে উঠছিল। ছবিগুলোতে তাই তার মনের ভেতরের বড়লোকের বিগড়ে যাওয়া ছেলেটির সাথে গরীবের কষ্টে আকুল হওয়া মানুষটির মধ্যে জোড় কুস্তিটাও কি কিছুটা দেখা যায়?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

দুর্দান্ত লিখেছেন:
উহু! ভ্যান গখ না, 'ফন্খখ্‌'।
চিন্তা কর্তেছি এযাত্রা ডাচ ভাষাটা শিখেই ফেলবো! জনসন্মুখে গলা খাঁকারি দিয়ে পরিষ্কার করে নেয়া যাবে, কেউ সেন্টু খাবে না। :D
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শেখ নজরুল এর ছবি

চমতকার লিখেছেন।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ভ্যান গগেরে ডিটেইলস আগে তেমন পড়ি নাই। আপনার লিঙ্ক দুইটার জন্যে ধন্যবাদ বস..."ব্যক্তি ভিনসেন্ট" রে জানবার সুযোগ হয়তো চিঠিগুলোতে নজর বুলিয়ে হবে...

পোস্টটা নগদে প্রিয়তে নিলাম।

_________________________________________

সেরিওজা

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ - আপনার আর্ট-প্রীতি আছে জানি।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

নিউইর্য়কের মেট্রোপলিটান মিউজিয়াম অভ আর্ট অনেক গুলো ভ্যান গগের ছবি ছিলো। মনে হয় আসলই। তাছাড়া গুগেনহাইম মিউজিয়ামে বোধহয় একটা/দুইটা পিস ছিল। মেটমিউজিয়ামে দুবার আর গুগেনহাইমে একবার গেলেও আসলে এপ্রিশিয়েট করবার মত সময় বা সুযোগ কোনটাই ছিল না। প্রথম বার গিয়ে তো খ্যাতের পর সবগুলো ভ্যান গগের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছি।

আপনার রিভিউ তাই চমৎকার লাগল!

একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে মিউজিয়াম ভিজিটের সময় তাদের দেয়া রেডিও শোনা। তাহলে অনেক মজার তথ্য জানা যায়।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

ওদের দেয়া অডিও গাইডের বিষয়ে একমত। বহুতই তথ্যবহুল। আর সব সময় তো ছবির পাশে পিচ্চি পিচ্চি লেবেল পড়তে ভালোও লাগেনা।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

স্বপ্নাহত এর ছবি

খুবই চমৎকার লাগলো লেখাটা। সত্যিকার অর্থে ভ্যান গগ কে নিয়ে কিছুই জানতাম না। জানা হলো অনেক কিছু।

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ভ্যান গগ সম্পর্কে জানা ছিলো খুব অল্প।
ভালো লাগলো।

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

niharika এর ছবি

ছবিগুলো ছুঁয়ে দেখতে ইছ্‌ছে করে....নীরব কবিতা

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

পোস্টখান নগদে প্রিয়তে গেলো মুস্তফীদা... উনার ছবি পিসিতে আছে অনেকগুলোই... পর্দায় রাখি প্রায়শই...বেশী কিছু জানা হয়নি আগে...তাই পড়তে খুব ভাল্লাগলো! :)

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তাসনীম এর ছবি

(Y)

সুপার্ব, প্রিয়তে রাখলাম...

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

যুধিষ্ঠির এর ছবি

লেখাটা চমৎকার লাগলো। ধন্যবাদ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ লাগলো লেখাটা। নতুন অনেক কিছু জানা হলো। গানটাও দারুণ লাগে আমার কাছে। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, সুবিনয়'দা।

সবজান্তা এর ছবি

(Y)

ভিনসেন্ট সাহেবের ছবিগুলির দর্শন নিয়ে একটা বেশ জ্ঞানগর্ভ পিডিএফের কিছু অংশ একবার পড়সিলাম। আপনার লেখাটা পড়েও সেই লেখাটার মতোই ভালো লাগলো।

আপনারে আরো নিয়মিত দেখার আশা করতেছি।


অলমিতি বিস্তারেণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বেশি বেশি লিখুন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি আর্ট একেবারে বুঝি না। কিন্তু দেখতে যেটা ভালো লাগে, সেটার দিকে তাকায়ে থাকি। ভিনসেন্ট মিয়া সেই লোক, যার ছবির দিকে তাকায়া থাকতে বাধ্য হই।
আপনাকে ব্যাপক ঈর্ষা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।