লন্ডনে শীত চলে এলো। সেই নির্দয়, হাঁড়-কাপানো, রক্ত-জমানো শীত, এই দেশে কয়েক বছর থাকার পরেও এতে অভ্যস্ত হতে পারলাম না। আর কখনো যে পারবো, সেই আশাও করি না। আমার এক বন্ধু বলে 'Where's global warming when you need it?' বিলেতে শীত এলে পরে ওর কথার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করি। গ্লোবাল ওয়ার্মিং-টা আসলে এই দেশেই বেশী দরকার।
বিশেষ করে এই বছরটা কি কারনে যেন গ্রীষ্ম একদমই মরিচিকার মতো ছিল, আসি আসি করেও আর এলো না, দুয়েকবার চেহারা দেখালো ঠিকই, কিন্তু ঠিকমতো ধরা দিল না। মে থেকে সেপ্টেম্বর এই পুরো সময়ে সব মিলিয়ে হয়তো ১৫-২০ দিনের মতো সত্যিকারের চামড়া-পোড়ানো, রক্ত-গরম করা রৌদ্র পেয়েছি। বাকি সময়টা গেছে স্যাতঁসেতে, পিচ্ছিল - ছাই রঙ্গা আকাশ, ছাই রঙ্গা মেঘ, ছাই রঙ্গা মাটি, ছাই রঙ্গা ঘর বাড়ি মানুষ। রোদের বদলে বৃষ্টি পড়েছে - যদিও এই দেশের বৃষ্টিকে সত্যিকারের বৃষ্টি বলতে দ্বিধা হয়। শিশুর পেচ্ছাপের মতো পিত-পিত করে এক ফোঁটা, দু ফোঁটা পড়ে - একটু থামে - আবার দু ফোঁটা, তিন ফোঁটা। ঝমঝম বৃষ্টি কখনো দেখিনি এখানে - বালতি বালতি পানি আকাশ থেকে পড়ছে, যেন কেউ ভুল করে আকাশের হ্যাচ্টা খুলে দিয়েছে, একের পর এক পানির দেয়াল নেমে আসছে। এমনটা কখনো হয় না এখানে। সত্যিকারের বৃষ্টি দেখতে হলে অন্যত্র যেতে হবে, প্রিয় ট্রপিক্স-এ।
তবুও শীত উপেক্ষা করে প্রতিদিন দুপুরবেলায় অভ্যাসবসত অফিসের বাইরে একটু পা চালিয়ে আসি। চাকরিটা গত কয়েকদিন ধরে বেশ ভালই একঘেঁয়ে লাগছে। ওই একই এক্সেল, একই ওয়ার্ড, একই বালের পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইড। একই চেয়ার, টেবিল, আর্টিফিশিয়াল অফিসের আলো। একই মিটিং, একই মানুষ। সবই পুরাতন হয়ে গেছে। আবার যে অল্প কিছু প্রিয় মানুষ ছিল আমার অফিসে, তাদের অনেকেই গত কয়েক মাসে চাকরি ছেড়ে চলে গেছে, নতুন চাকরি পেয়েছে অন্য কোথাও, কেউ কেউ হয়েছে দেশান্তরী। সব মিলিয়ে একটা একঘেঁয়েমি চলে এসেছে, যদিও এই চাকরিটার বয়স মাত্র দু'বছর। এটা সুলক্ষণ নয়। এখন আমার অন্যদিকে চোখ যাচ্ছে, অসুখী স্বামী যেমন পরনারীর দিকে আড়চোখে তাকায়, আমিও তেমন এদিক ওদিক লুকিয়ে খোঁজ নিচ্ছি, চাকরির বাজার কেমন। একটা ইন্টারভিউ-ও দিয়ে এসেছি এর মধ্যে চুপিসারে, এখনো কিছু বলেনি ওরা, দেখি কি হয়। আর এই শিকেটা না ছিড়লেও অন্য প্ল্যান মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে জোরে-সোরে। কিছু না কিছু একটা বের হয়ে যাবেই।
একঘেঁয়েমি ব্যাধিটা চিরকালের। একটা কিছু পেলে সেটা নিয়ে কিছুদিন তান্না করতে হেভি মজা লাগে - তা চাকরি হোক বা পড়াশোনা, ব্যক্তিগত কোন প্রজেক্ট বা নতুন কোন মিউজিক। নতুন জিনিসটা নিয়ে মাতি, নানান দিক থেকে সেটার কলকব্জা নাড়ি, গবেষণা করি, বারবার সেটার কাছে ফিরে যাই। কিন্তু এই মোহ ক্ষণস্থায়ী। অল্প সময়ের মধ্যেই নতুনত্বের রোমাঞ্চ পানসে হয়ে যায়, উত্তেজনা স্তিমিত হয়ে আসে - তার স্থলে আসে নিঃস্বাদ, অতঃপর বিস্বাদ। বুঝি যে এই প্রক্রিয়াটা হয়তো জীবনপথে চলার জন্যে মঙ্গলজনক নয়। চিরকাল নতুনের থ্রিল খুঁজে তো আর জীবন যাবে না। সাত বছর আগে যেদিন দেশ ছেড়েছিলাম, আমার তখনকার চাকরিতেও এরকম প্রচন্ড একঘেঁয়েমি ধরে গিয়েছিল। চট্টগ্রামে পোস্টিং ছিল, ক্লায়েন্টের খোঁজে দৌঁড়াতাম আগ্রাবাদ-জুবিলী রোড থেকে শুরু করে আসাদগঞ্জ-খাতুনগঞ্জ পর্যন্ত। বিকেলে ফিরতাম খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তের কড়া গন্ধ গায়ে মাখিয়ে।
ব্যাংকের চাকরি, তাই পোছ্পাছ মোটামুটি খারাপ ছিল না। কিন্তু তবুও একটানা দুই বছর টাই-পরা ব্যাংকের কেরানির ভূমিকায় অভিনয় করার পরে নাটকে কোথাও একটা ছন্দপতন ঘটে গিয়েছিল। ফ্লাইটের ঠিক আগের দিনও মা আমার হাত ধরে বলেছিলেন - বাজান তোর কি আসলেই বাইরে যাওনের খুব বেশী দরকার? এহানে তো ভালোই আসোস। ভালো চাকরি করোস, তোর আর সব বন্ধুগো মতন তুইও পার্টটাইমে একটা এম.বি.এ কইরা ফেল না - মাতু, বিটপী অরা যদি করতে পারে তুই কেন করবি না? কি দরকার বিদেশে যাওয়ার? আম্গো লেগা নিজের দেশই ভালো - বিদেশ তো বিদেশ, ঐডা আমগো দেশ না।
কথা বলছেন, আর আমার দুই হাত তখন মায়ের মুঠিতে জড়ো করা। তার দিকে তাকিয়ে কি বলবো তেমন ভেবে পাই না। জীবনানন্দের কবিতা পড়া শুরু করি তারও কয়েক বছর পরে - না হলে হয়তো মাকে বসিয়ে প্রিয় কবির প্রিয় কবিতাটা পড়ে শোনাতাম। বলতাম অন্তর্গত রক্ত আর বিপণ্ণ বিস্ময়ের কথা। অন্তরের যে খিদা, শুধু স্বচ্ছলতা দিয়ে সেই খিদা কবে মিটেছিলো? তাই অল্প কথায় মাকে মনে করিয়ে দিয়েছিলাম সত্তরের দশকে তার আর বাবার বিদেশে থেকে আসার অভিজ্ঞতার কথা - তাও আমেরিকা ইউরোপ নয়, খোদ আফ্রিকা মহাদেশে। পিতার সেই দুরারোগ্য ওয়ান্ডার-লাস্ট সন্তানের মধ্যে কিছুটা হলেও সংক্রমিত।
*
তাই ডেস্ক ছেড়ে একটু হাঁটতে গিয়েছিলাম দুপুরে। হঠাৎই লক্ষ্য করি অক্সফোর্ড সার্কাসের মোড়ে জটলা বেঁধেছে। এই মোড়ে জটলা বাঁধা তেমন কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা নয় - লন্ডনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে অক্সফোর্ড সার্কাসে প্রতি মুহুর্তেই হাজারো লোকের ব্যস্ত সমাগম। (যদিও এই নিয়ে মতানৈক্যের অবকাশ আছে - কেউ কেউ বলেন যে পিকাডিলি সার্কাস বা ট্রাফাল্গার স্কোয়্যারই শহরের আসল প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু আমি ও দুটোকে টুরিস্ট-ট্র্যাপ হিসেবেই বেশী দেখি।) এখানে আশেপাশেই কোথাও হরে-কৃষ্ণদের একটা ঘাঁটি আছে। প্রায়দিনই দুপুর বা বিকালে তাদের দেখা যায় রাস্তায় - গেরুয়া পরিহিত ক্ষীণকায় কিছু শ্বেতাংগ, সাথে দুয়েকজন ভারতীয় মিলে রাজপথ দিয়ে ধীর পায়ে হেঁটে যাচ্ছে, হাতে তাদের টুংটাং করার ছোট্ট বাদ্যযন্ত্র, কোরাসে কীর্তন গাইতে গাইতে তারা চলতে থাকে - হরে কৃষ্ণ হরে রাম, হরে কৃষ্ণ হরে রাম। পুলকিত টুরিস্ট ঝট-পট ডিজিটালে ছবি তোলে, কিন্তু ব্যস্ত লন্ডনার ভ্রুক্ষেপ করেনা, দ্রুত পাশ কাটিয়ে এগোয়।
ভেবেছিলাম হরে-কৃষ্ণদের দেখেই বোধ হয় জ়টলা বেঁধেছে। কিন্তু হঠাৎ শত কন্ঠে চিৎকার শুনে আমার ভূল ভাঙ্গে - 'ফ্রি বার্মা! ফ্রি! ফ্রি!' একটা প্রতিবাদ মিছিল হচ্ছিল। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে শতাধিক মানুষ মিছিলে শামিল হয়েছেন - নারী ও পুরুষ, বর্মী আর ভিনদেশী। প্রতিবাদী ব্যানার কারো হাতে, সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্লাকার্ড উঁচিয়ে ধরে আছেন কেউ, কারো মাথায় বাঁধা লাল পট্টি। আর সকলের কন্ঠে একটাই শ্লোগান - 'ফ্রি বার্মা! ফ্রি! ফ্রি!'
রাজনৈতিক মিছিল - সচরাচর এখানে দেখা যায় না। মিছিলকারীদের দেখে, তাদের জোরদার শ্লোগান শুনে, স্থান-কাল ভুলে গিয়ে ক্ষণিকের জন্যে হলেও টাই-পরা কেরানী ফিরে যায় কৈশোরে - ৯০-এর ডিসেম্বরে, ঢাকার নাবিস্কোর মোড়ে। পুড়ছে টায়ার, তাড়াচ্ছে পুলিশ, দৌড়াচ্ছি আমরা পাড়ার কিছু পোলাপান। স্কুলে পড়ি মাত্র তখন, গণতন্ত্র বা আন্দোলন, তার কিইবা বুঝি আর। কিন্তু ঠোলার তাড়া খেয়ে নাখালপাড়ার অলি-গলি দিয়ে উন্মাতাল দৌড়ানোর যে উদ্দাম আনন্দ - বড় হয়ে আর কোনদিন কি পেয়েছিলাম তা? ধাঁধার মতো অলি-গলি, পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালাতে আমাদের এক মিনিটও লাগেনি।
আবার ফ্ল্যাশব্যাক - এবারে চলে যাই নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি - যখন চারটে বছর কেটে গিয়েছিল শাহবাগ, টিএসসি, ব্রিটিশ কাউন্সিল আর নীলক্ষেতের গন্ডীতে। আইবিএ'র বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখতাম, ঠা-ঠা রোদে মিছিল এগোচ্ছে কলাভবন পেরিয়ে মধুর ক্যান্টিনের দিকে - স্লোগানে প্রকম্পিত আকাশ-বাতাস - আজ দল তো কাল লীগ তো পরশু ফ্রন্টের মিছিল। (ঢাবি ক্যাম্পাসের সাথে আইবিএ'র যে একটা কৃত্রিম দুরত্ব তৈরী হয়ে ছিল, আজো সেই ব্যবধান আছে কি না জানি না। আজ মনে হয় সেই বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তার মজা দেখাটা আমাদের নিরাপদ দুরত্বেরই কি একটা প্রতীক ছিল না?)
একবার ভালোই গ্যাঞ্জাম লেগেছে, দেশ জুড়ে হরতাল-আন্দোলন চলছে অনবরত, ঢাবি ক্যাম্পাসেও উত্তেজনা-উৎকন্ঠা। একদিন কেন জানি হৈচৈ একটু বেশীই হচ্ছে, অবস্থা বুঝতে বারান্দায় গেছি আমরা উপর নীচের ব্যাচের কয়েকজন। সহসাই মধুর বাইরে রাস্তায় দাঁড়ানো পুলিশ মামা আমাদের দিকে ঘুরে তাক করে ফায়ার করলো টিয়ার গ্যাসের বন্দুক। বিকট শব্দে বারান্দার সিলিং-এ বাড়ি খেয়ে গ্যাসের শেল এসে পড়ে আমাদের পিছনে। ধোঁয়া বেরুবে কি, তার আগেই পড়িমরি করে দৌড়, দড়াম করে ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ, খাতা ছিড়ে তাড়াতাড়ি কাগজ পোড়ানো। গ্যাসের সেই ঝাঁঝালো স্বাদ। আধ ঘন্টা পর, বারান্দার মেঝেতে শেলটি তখনও পড়ে আছে, ছুঁয়ে দেখি শেলের লোহা তাতানো গরম।
পরদিন সকালে পত্রিকার হেডলাইন - একই দিন দুপুরে একই কায়দায় ছোড়া টিয়ার গ্যাসের শেল ঢাবি লাইব্রেরীর সামনে দাঁড়ানো এক ছাত্রের গলা ভেদ করে চলে গেছে - ছাত্রটি মারা গেছে। চকিত শিহরণ - আর দুই ইঞ্চি নীচে তাক করলে আমাদের কি কিছু হতো?
আরো বেশী মনে পড়ে ঢাবির সুমসাম বিকেলগুলো। শান্তি বিরাজ করতো তখন ক্যাম্পাসে, রিকশার টিংটিংও তেমন শোনা যেতো না - শুধু গুটিকয় ছাত্র, শিক্ষক, ঝালমুড়ি-ওয়ালা। একাকী কাকের কা-কা ভেসে আসতো কানে। ৮০ বছরের ইতিহাসে এরকম কত হাজার বিকেল পেরিয়েছে ক্যাম্পাসে? অগুণতি বিকেল পার করে দিতাম বৃটিশ কাউন্সিলের এ-সি লাইব্রেরীতে বসে, কত বিকেল পড়েছিলাম নীলক্ষেতের পুরানো গল্পের বইয়ের দোকানে। বেশী বই কেনার মুরোদ ছিল না সেই সময়ে, দোকানদার চেঁচাতো মাঝে মাঝে বই দেখতে চাইলে। মন খারাপ হতো ক্ষনিকের জন্যে, কিন্তু আমিও এত সহজ়ে ছেড়ে দিতে রাজী না। কিছু একটা কিনে তবেই বাড়ি ফিরবো। তাই বাস আর টেম্পো ভাড়ার শেষ ৫-৭ টাকাটাও তুলে দিয়ে আসতাম দোকানদারের পাষাণ হাতে, কিনে নিতাম একটা টাইম বা নিউজউইক বা রিডার্স ডাইজেস্ট। নীলক্ষেত থেকে নাখালপাড়া - মোটামুটি ঘন্টাখানেকের হাঁটা পথ, অনেকদিন হেঁটেই বাড়ি ফিরতাম। পত্রিকার রঙ্গীন পাতায় বুঁদ আমি, হাঁটতে হাঁটতেই পড়ার অভ্যাস রপ্ত, বাসায় পৌঁছতে পৌঁছতে পত্রিকার ভালো ভালো আর্টিকেলগুলো পড়া হয়ে যেতো। সন্ধ্যাবেলা শেল্ফে সাজিয়ে রাখতাম যত্ন করে।
*
আবার বাস্তবতায় ফিরে আসি। কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। বার্মার মিছিল। সংবাদপত্রের ফটোগ্রাফার দৌড়াচ্ছে মিছিলের আগে আগে, তার পাশে দৌড়ায় টিভির ক্যামেরাম্যান। আমি পা চালিয়ে অফিসে ফিরি।
জুলাইতে যখন দেশে গেলাম, তখন নব্বইয়ের দশকে কেনা আমার যত বই আর পত্রিকা, তাদের সাথে আবার দেখা হলো। ১০ বছরে একটু একটু করে ছয় শতাধিক বই আর হাজারো পত্রিকা সংগ্রহ করেছিলাম। এখনো তারা সেই কাঁচ-দেওয়া কাঠের শেলফে বসে আছে, গায়ে তাদের ধুলো জমেছে। বড় ভাই ছাড়া তাদের দেখ-ভাল করার কেউ নেই। তবুও বন্ধুর মুখ যেমন চিনতে কষ্ট হয় না, বইয়ের মলাট তেমন ভুলি না কোন দিন। এবার গিয়ে তাদের দেখে মুখে হাসি ফুটলো। তারাও তো আমার বন্ধুই ছিলো। আসার সময়ে এবার নিয়ে এসেছি কয়েকজনকে সঙ্গে করে।
আর স্মৃতির টানে ফিরে গিয়েছিলাম ঢাবি-তে, নীলক্ষেতে। চিরচেনা সেই প্রিয় ক্যাম্পাসে। নীলক্ষেতে যেই বইওয়ালারা আমাকে এক সময় ধাওয়া করতো, তাদের অনেকেই এখন আর নেই সেখানে, আবার কেউ কেউ আছেন এখনো। দেখা করতে গেলাম যখন, তাদেরই একজন, জাহাঙ্গীর ভাই, আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন, বসিয়ে চা খাওয়ালেন। কারেন্ট ছিল না, তাই নীলক্ষেতের গলির সেই ভুতুড়ে অন্ধকারে বসেই পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করলাম। আর জাহাঙ্গীর ভাই বইয়ের প্রতি নতুন প্রজন্মের ঔদাসীন্য নিয়ে হা-হুতাশ করলেন কিছুক্ষণ।
জাহাংগীর ভাইকে কি বলা উচিত ছিলো - আরে মিয়া বইয়ের দামটা একটু কমান?
মন্তব্য
ভালো লাগলো পড়ে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ভালো লাগলো! পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল।
বার্মার মানুষ মুক্তিপাক সামরিক জান্তার থেকে। প্রায় বিশ বছর আগে সামরিক জান্তা তিন হাজার এর মত মানুষ মেরেছিল বার্মার আন্দোলন থামাতে। এবার কি হয় কে জানে।
ভালো লাগলো পড়ে।
শৈশবে আমি নব্বই দেখেছিলাম। এখনো মনে পড়ে সব।
মিয়ানমারে আক্ষরিক অর্থেই মগের মুল্লুক চলছে। কাল জাপানি ফটোগ্রাফার বেচারি চিত হয়ে উল্টো হয়ে পড়ে থাকলো।
যতটা ভাবলাম ততটা টনক নড়লো না বুশ ও তাঁর চেলাদের।
সবাই উঠতি সিংহ চীনকে সমঝে কথা বল্লো, মিনমিন স্বরে।
এগুলো সব একসাথে নরকে যায় না কেনো? - তাই বসে ভাবি।
'ফ্রি বাংলা! ফ্রি!ফ্রি' শ্লোগান উঠুক
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ভালো লাগল।
..................................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
বেশ লাগল লেখাটা পড়ে। চমৎকার ফ্লাশব্যাক বর্ণনা। মনে হচ্ছিল সিনেমা দেখছি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মাহবুব,
পুরা কলাম জুড়ে ছবি পেস্ট করার কায়দাটা কি? আপনের ভ্রমণ পোস্টে যেমন দেখছিলাম।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
যথা নিয়মে ছবি সংযুক্ত করার পর যে কোড যুক্ত হয় সেখানে height ও Width বদলে 300,300 করে দিন । আমি এরকম করি । চাইলে এলাইনমেন্ট ও বদলে দিতে পারেন ।
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
খুব, খুব ভালো লাগল পড়ে।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
সামরিক জান্তার হাতে জাপানী সাংবাদিক কেঞ্জি নাগাই খুন হওয়ার দৃশ্য ইউটিউবে এসেছে। ক্লিপটি জাপানী ভাষায়। সাইটে kenji nagai খুঁজলে অন্যান্য ভিডিও পেতে পারেন।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ধন্যবাদ মুস্তফী দা।
ভিডিওটি যারা দেখছেন, আমার সামান্য জাপানি জ্ঞানে তাদের জন্যে অংশবিশেষের বাংলা সহায়তা।
গোলাগুলির চুম্বক অংশে সংবাদ পাঠক বলছেন..
স্থান ইয়াঙ্গুন শহরের কেন্দ্রস্থল। ট্রাক থেকে দলে দলে নেমে আসছে সেনাদল। ক্যামেরা বামে সরাতেই যে দৃশ্যটি আমাদের দেখতে হয়, তাতে পরিষ্কারভাবেই স্পষ্ট নীল পোশাকের ক্যামেরাম্যান নাগাই কেনজিকে খুব অল্প দূরত্ব থেকে গুলি করা হচ্ছে। তিনি সাথে সাথেই মাটিতে পড়ে যান। তার হাতদুটো ওঠানামা করে সাহায্য প্রার্থনার ভঙ্গিতে।
ভিডিওর পরবর্তী অংশে এই ফটোগ্রাফার টিভি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকালীন কিছু ফুটেজ এবং নিজস্ব সংবাদ সংস্থার প্রধান ও সরকারের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারির প্রতিক্রিয়া প্রচার করা হয়।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
ফ্রি বার্মা, ফ্রি! ফ্রি! ডাউন আর্মি, ক্রাশ! ক্রাশ!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নতুন মন্তব্য করুন