বাংলাদেশী লেখিকা তাহমিমা আনামের নাম অনেকেই শুনে থাকবেন। লন্ডন নিবাসী এই নবীন সাহিত্যিকের প্রথম উপন্যাস - আ গোল্ডেন এইজ্ (A Golden Age) - সম্প্রতি বিলেতে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের বিষয়বস্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, এবং যুদ্ধের মাঝে ঢাকার একটি সাধারণ পরিবারের দৈনন্দিন জীবনের গল্প। মুক্তিযুদ্ধের প্রতিকৃতি হিসেবে উপন্যাসটি এখানের সাহিত্যমহলে নন্দিত হয়।
গতকাল গার্ডিয়ান দৈনিক পত্রিকা তাদের বাৎসরিক সাহিত্য পুরস্কারের জন্যে মনোনয়ন ঘোষণা করেছে। মনোনয়ন এর একটি ক্যাটেগরি বছরের সেরা প্রথম বই - Guardian First Book Award। আনন্দের বিষয় এই যে তাহমিমার বইটি মনোনয়ন তালিকায় স্থান পেয়েছে। আশা করছি অদূরেই পুরস্কার জিতে তিনি বাংলাদেশের নাম আরো উজ্জ্বল করবেন।
উপন্যাসটির বাংলা তর্জমার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। অনুবাদ করেছেন লিসা গাজী, এবং বাংলা সংস্করণটি বেরুবে আসন্ন বইমেলায়।
তাহমিমা আনাম এবং তার বিভিন্ন রচনা নিয়ে কিছু লিংক --
- বিলেতের নিউ স্টেট্স্ম্যান পত্রিকার জন্যে তাহমিমার কিছু লেখা
- যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসের জন্যে লেখা
মন্তব্য
গতকালই গার্ডিয়ানে পড়ছিলাম ইরাক থেকে বাংলাদেশ নিয়ে। ধন্যবাদ আনন্দের খবরটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য।
অন্ধকারের উতস হতে উতসারিত আলো
নিঃসন্দেহে সুখবর।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
দামী লেখকের নামি খবর
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সম্পাদক মাহফুজ আনাম তাঁর বাবা।
বইটা সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
সুবিনয় মুস্তফীকে ধন্যবাদ ও তাহমিমা আনামকে শুভেচ্ছা।
ভালবাসি, ভালবাসি, ভালবাসি তোমায়!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
তিনি এই পুরস্কার পেলে নিশ্চয়ই আমরা সবাই সুখী হব। শুধু একটা ব্যাপারে আমি কিছু অস্বস্তি বোধ করছি। তিনি তো পি, এইচ, ডি ও করেছেন মুক্তি যুদ্ধের ওপরে, অথচ এ উপন্যাসে বহু ঘটনা সময় বিন্যাসে ওলট-পালট হয়ে গেছে। অনেক সমালোচকের ধারণা, তা প্রয়োজন ছিল না। আমি বইটি পড়ি নি। যাঁরা পড়বেন, অনুগ্রহ করে এ বিষয়ে মতামত জানালে ভাল হয়।
ধন্যবাদ
ভালো লাগলো...খবরটা পত্রিকায় পড়েছিলাম।
লেখিকার হোমপেইজটাও দারূন!
------------------------------------------
মুনাফাখোর নিপাত যাক
বাংলা কম্পিউটিং মুক্তি পাক
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
হাসান ভাইর মত কেউ কি একটু সমালোচনা লিখবেন। বইটি পড়তে সুবিধা হবে।
কারন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখিকার সত্যিকার অনুভূতি কি বুঝতে সহায়তা করবে হাসান ভাইর এই সমালোচনা।
- রেনেসা
http://www.sachalayatan.com/arifjebtik/221 এইখানে কিছু আলোচনা ছিলো " এ গোল্ডেন এজ" বইটা নিয়ে। পড়ে দেখতে পারেন।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
পড়লাম কিন্তু খুব আনন্দিত হইলাম না কোন এক অজানা কারনে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বিলেতবাসী ফয়সালের ব্লগ 'সিরিয়াস গোলমালে' বইটির কথা প্রথম শুনি গত মার্চে। ফয়সাল একটি চমৎকার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন লেখিকার। লেখিকার এই কথাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ:
"With the different kinds of political appropriation of the war back home, I felt it was important to write a story about the lives of ordinary people during ‘71–how they survived, how their relationships with one another were transformed by this event. I think it’s important to tell the story from that point of view, so that the younger generation of Bangladeshis don’t just relate to the story of ‘71 as a political issue, but rather a part of our history that we can all lay claim to."
তাহমিমা দৃষ্টিপাত ল্নডনের একজন সদস্য এবং এবছর ২৬শে মর্চ তাদের এক অনুষ্ঠানে তার বই থেকে পাঠের আয়োজন করা হয়।
বইটি সম্প্রতি আমার হাতে এসেছে। তবে আফসোস হয়ত পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওটি পড়া হবে না। পরে এ নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
রেজওয়ানের কথাটি জোর দিয়ে বলতে চাই বইটিতে সাধারন মানুষের গল্প বলার চেষ্টা হয়েছে। ছোটখাটো তথ্য গত ত্রুটি থাকতেই পারে কিন্ত ওটাকে বড় করে দেখলে ঠকব আমরাই। আগামি জানুয়ারিতে বইটি আমেরিকাতে প্রকাশিত হবে হারপার কলিন্স এর মাধ্যমে। একাত্তরের কথা ছড়িয়ে পড়ছে । এতে উৎফুল্ল না হওয়ার কারন দেখি না।
বইটি পড়া হয় নি। তাই বেশি কিছু বলা ঠিক না। কিন্তু যদি হাসান মোরশেদ ভাইয়ের কথা অনুযায়ী সত্যিই যুদ্ধাপরাধীদের কথা বলা না হয়ে থাকে তাহলে সেটাকে "ছোটখাট তথ্যগত ত্রুটি" বলা যায় কি?!! তাহলে আর মুজাহিদের কথার দোষ কি? যুদ্ধাপরাধী তখন হয়তো ছিলোই না, তাই বইতে স্থান পায় নি তাদের কথা।
ইতিহাস সংক্ষেপিত, খন্ডিত করে, যুদ্ধাপরাধীদের আড়াল করে সেই একাত্তরকে ছড়িয়ে দিলে তাতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ লাভবান হওয়ার কিছু দেখি না।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
এক বছর অধিক কাল পর এই পোষ্ট এমনি এমনি ঘুরতে এসে রেজওয়ান ভাইয়ের মন্তব্যে লেখিকার বক্তব্য এবং তাকে ডিফেন্ড করে দেয়া আসিফের মন্তব্যে টাশকি খেলাম ।
মুক্তিযুদ্ধ্বের সময়ের সাধারন মানুষের গল্পে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের কথা থাকবেনা? ঘাতক-দালালদের উপস্থিতি কেবলই রাজৈতিক ছিলো? মুক্তিযুদ্ধের পরে জন্ম নিয়ে ও তো জানি আমি সেই দুঃসহ সময়ে প্রতিটি মানুষের জীবন যাপনে এই ঘাতক দালালদের আতংক ছিলো? তাহলে এদের বাদ দিয়ে সেই সময়ের গল্প হয় কেমনে?
নাকি আমার জানাই ভুল?
মুক্তিযুদ্ধের গল্প থেকে পাকিস্তান আর্মির সহযোগীদের বাদ রাখা যদি ছোটখাটো ত্রুটি হয়, আমি সেটাকে বড় করে দেখে ঠকতে রাজী ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
বাহ ! রাবন বাদ দিয়ে রামায়নের গপ্পো !ড়্যাব কে বাদ দিয়ে ক্রসফায়ারের গপ্পো !
বেশ, বেশ !!
--------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নতুন মন্তব্য করুন