আগারগাঁও কলোনীতে কেন আর নয়নতারা ফুল ফোটে না , আর
মেরি জয়েস নামের খ্রীস্টান বালিকা-ই বা যখন তার ডান হাতটা চানমিঞার কান্দের উপর রাখে , তখন আমরা কোন ও তরমুজ ওয়ালার সন্ধানে যাই কি না যাই এই সব ধর্ত্যবের ভেতর না নিয়ে ; এই হাওয়া-বাতাস আর একাকী ঘরের নির্জনতার ভেতর খবর আসে ,এই রাতে ও পূর্ণিমাই ছিলো ! সুহাসীনি গ্রামের মানুষেরা এইটুক জেনে কিংবা না জেনে কবর খুড়তে গেছে , তখন একদল গোরখোদক কেন গান গাইতে গাইতে এমনতরো বিষন্নতা ছড়িয়ে দিলো ,এইসব জানবার ও আগে ছোটকাগজ লোক সম্পাদক অনিকেত শামীম টেলিফোনের ও প্রান্তে হিম ঝরিয়ে দেন , শহীদুল জহীর তো মারা গেছে !
কেন যে আজ এতো ফোন করা হলো দেশে ! প্রথমেই তাঁর নাম্বারটা ই । বলা তো যায় না , পরে না ঘুমিয়ে যান ! বলতে হবে তো এই সংখ্যা স্রোতচিহ্ন য়ে অন্তত একটা লেখা যেতেই হবে ! গত সংখ্যায় দেবেন দেবেন করে ও আর ছাপানো গেলো না ! 'আমি তো লিখি কম । ছাপাই আর ও কম । তবু দেবো , এইবার দেবোই । ' এ তো গেলো দু'বছর ধরেই শুনে এসেছি ! বোনাস আরো যা শুনেছি এতোদিন , একদিন এই গল্প ও আলো ছড়াবে । কেননা এই গল্পের নায়ক মিথ্ হয়েছিলেন সেই তরুণের কাছে, যে ভেবেছে, গল্প লিখতে এসে এ কোন্ বৃক্ষ এমন ডাল-পালা ছড়িয়ে আছে , মাথার উপর ,বলতে কী পুরো সুহাসীনি'র উপর ! তাকে ছাড়িয়ে পৌছা কি যাবে কোথাও , না-কি গেছে কেউ !
রিং হয়েই যায় । কেউ ধরে না । ভাবি , তবে কি ঘুমিয়ে গেলেন ? না কি টিভি ? ওই একটাই তো শখ । আর যা কিছু , জীবনেরই অংশ হয়েছিলো তা । বিযুক্ত ছিলেন প্রায় সব কিছু থেকেই। না কোলাহল,না সেমিনার, পদকের কথা ভাবেননি বলে পদক ও বুঝি ভাবেনি তার কথা !
গল্পকার মামুন হুসাইনের সঙে কথা হয়, কবি মোস্তাক আহমাদ দীনের সঙে । আবার তার টেলিফোনে রিং করি । ওপ্রান্ত সাড়াহীন ! কি ভেবে যেনো শামীম ভাই কে ফোন করি । আর শুনতে পাই , যে বলো গেলো আমাদের কুটির শিল্পের ইতিহাস , দক্ষিন মৈসুন্দিতে তার নামে এক মনুমেন্ট হবে । লোকে তখন বলবে এই যে লেখক , সে কোনওদিন পদক নিতে আসেনি ! আমরা অন্তত দ্যাখিনি । কোনও কোলাহলে , হুল্লোড়ে তাকে পাওয়া যায়নি কোনওদিন । মহানগরীর কোন ও তরুণ তাকে চিনতো না বলেই বাংলা একাডেমীতে তার লাশ রাখা হলেও জনা কয়েক বন্ধু ছাড়া কাউকে দ্যাখা যায়নি ওখানে ! কোন ও বইমেলায়-ই তার বই বেস্ট সেলিং লিস্টে ছিলো না । তার রুচি ও ছিলো না ওইসবে ! বলেই , আজীবন অকৃতদার মানুষটি মাটি কেটে কেটে এমন এক রাস্তা বানিয়ে রেখে গেছে , বেস্ট সেলাররা হাটতে গেলে হোচটই বেশী খাবেন । হাটবে তবে কে ?
-অই তরুণ, প্রান্তে পৌছে যে জানতে চাইবে , কোথায় পাবো তারে ?
মন্তব্য
- সব জায়গাতেই ব্যাথাতুর অনুভূতি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ্যাঁ আগারগাঁ কলোনীতে আর নয়নতারা ফুটবে না যে!
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
কাল শুনে অনেক্ষণ ঝিম মেরে ছিলাম
বারবার মনে হচ্ছিল তার কাঠুরে ও দাঁড় কাকের কথা
মানুষ থেকে কাকেরাও বেশি মানবিক...
শুক্রবার রাতের ঝড়ে বিদ্যুৎহীন হয়েছেলাম। সেটাই ভালো ছিল। আজ কেন যে অফিসে এসে নেটে বসলাম। এই খবরটা জানার জন্য। ধুর...
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
তাঁর কোন্ গল্পটার কাথাই বাদ দেয়া যায় বলেন , লিলেন ভাই !
ডলু নদীর হাওয়া, মনোজগতের কাঁটা , আমাদের কুটির শিল্পের ইতিহাস , কোনটা রেখে কোনটার কথা বলি !
আমার তো মনে হয় ( দ্বায়িত্ব নিয়েই বলছি ) আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কী , ষাটের অই ষষ্ঠ পান্ডবের পর আমাদের কথা-সাহিত্যের সব চে' উজ্বল বাতিঘরের নামই শহীদুল জহীর !
হ্যাঁ, তাই ই ফারুখ ভাই । নয়নতারা ফুল আর ফুটবেই না । না , আগারগাঁ কলোনী তে , না সুহাসীনি তে !!!
---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
আমিও শোকাহত। তবে অনেকের মতো এত বেশি শোকাহত নই যে শহীদুল জহিরের নামের বানান ভুল লিখব।
বানানের ব্যাপারে আমাদের আরও সচেতন হওয়া দরকার।
দুৎখিত। আমিও অহরহ বানান ভুল করি। কিন্তু লেখকের নামের বানান ভুল লেখা, তাও শহীদুল জহিরের মতো লেখকের, মেনে নেয়া যায় না। উচিতও নয়।
নতুন মন্তব্য করুন