নিহত ঘুঙুরের ধ্বনি

কবে যে কেটে গেছে কালিদাসের কাল।
রয়ে গেছে কিছু পুরনো কিছু মুগ্ধতা, সে-ই প্রিয় সুমন সুপান্থ। সেই সব লেখা। ঘোর লাগানো লাইন।
আজ পড়ি -

নিয়মিত চাই। ব্যস্ত থাকলে পুরনো যা হাতে-স্মৃতিতে আছে, ওসব।

সেই কবে পাঠক ফোরামে পাগলের মতো খুজতাম কারও কারও লেখা ! মনে আছে এই গল্পের শেলীর মতই আমি ও তখন স্ুকল যাোয়া বালিকা ! কতো রাত এমন কিচু লেখা পড়ে ামি ও কেদেচি একা । তার েকটার নাম বিতিলতা : এই শরতে । লেখক : সুমন সুপানত । আজ বিদেশে এসে সেই লেখকের লেখা পড়ে আবারও জল চলোচলো হলো চোখ !

লিপি

গত পরশু দিন অফিস থেকে ফিরতে বেশ দেরী হয়ে যায়। মহসিন হলের মাঠ দিয়ে হলে ফিরতে ফিরতে দেখি ধবল জোসনায় ছেয়ে গেছে চারপাশ। কী অসম্ভব সুন্দর জোসনা। কতদিন যে এমন জোসনামাখা রাত দেখিনি। জোসনায় হাঁটতে হাঁটতে কত কথা যে মনে পড়ে গেল। কতদিন যে জোসনা রাতে নাইট শো সিনেমা কিংবা যাত্রা দেখে বাড়ি ফিরেছি। অথবা জোসনার প্রেমে পড়ে অহেতুক ঘুরে বেড়িয়েছে মাঠ পেরিয়ে তেপান্তর।

সুপান্থদার লেখা পড়ে কর্পোরেট অফিসেও ফিরে এলো সে স্মৃতি। ধন্যবাদ সুপান্থদা। ভালো থাকুন আর লিখুন সবসময়।

পান্থ রহমান রেজা

অসাধারণ! এই মাত্রার মুগ্ধতা নিয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু আর বলতে পারছি না, ভাষায় কুলোল না। আরো নিয়মিত লেখার দাবী জানাই। আর... সুমন ভাই, ভাল থাকুন। অনেক অনেক ভাল।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

কবিতাটির চিত্রকল্পে ডুবে গেলাম প্রিয় কবি ।
বুকে লাগলো খুব ।

অনেক অনেক অনেক ভাল লাগলো। তবে কিঞ্চিৎ কবিতা বলে মনে হচ্ছিল। আমার মনে হয় কবিতা হিসেবেও ব্যবহার করে দেখতে পারেন। বেশ ভাল হয়েছে।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

যাউক , ইন্টারনেটরে ধন্যবাদ দিতেই হয় । আইজকাল সুপান্থ সাহেবও দেখি কিছু লিখছেন দয়াকরে ।

বহুকাল আগে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা একটি উপন্যাস পড়েছিলাম, নামটি খুব সম্ভবতঃ ছিল "উত্তরপুরুষ"। কবির সে কি বর্ণনা।
এই লেখাটি পড়েও তেমনি একটি বোধ হোল। একমাত্র কবিরাই পারেন আমাদের এমনিভাবে কাঁদাতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

সীমায়িত কিন্তু সীমিত নয় এমন পরিসরে বর্ণনার এমন
ব্যাপ্তি -

আপনার এই নিমগ্নতা যেন দীর্ঘস্থায়ী হয় এইইই প্রার্থনা.........

১৯৯৮!
xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

- প্রথমে লেখাটা, তারপর শিমুলের মন্তব্য যখন লিপি'র মন্তব্য দিয়ে অনুসরিত হলো, অবশেষে সুপান্থদা'র উত্তর হয়ে নিজেকে খুঁজে পেলাম এক আধারে টলমল অবস্থায়। নাহ, ঠিক কষ্ট না। আবার স্বচ্ছ আনন্দও না। আধারটা উপচে পড়ছে কেমন এক বিষাদ স্মৃতিতে। সেই দিন, সেই ক্ষণ, সেই বারতা। তক্কে তক্কে থাকে সব, সুযোগ পেলেই হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে আসে।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

তাই বলি , তক্কে তক্কে থাকে সব কিছু । গোপন গহন কূন্ডলী , হাড় ও মজ্জার ভেতর জন্ম ও জীবনের দায় নিয়ে উড়ে যায় আমাদের গৃহপাখি , মহাকালের উঠোনে ......

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

আমি আর মুগ্ধ হতে পারি না আজকাল, শুধু মনে হয় কোথায় কী যেন হারিয়ে ফেলেছি......আজ মনে হলো কিছু একটা ফেরত পেয়েছি

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

শ্রদ্বেয় সুমন সুপান্থ
সচলায়তনে লেখাগুলোতে নিরীক্ষা একেবারেই উপেক্ষিত , এটা বলা যায় । প্রথাগত লেখারই রমরমা । আপনার লেখা ব্যতিক্রম । অন্তত : চেষ্টাটা আপনার ছিলো । যতোদুর জানি , সাহিত্যের এই ফর্মকে মেটাফিকশন বলে । গল্প-কবিতা-উন্মুক্তগদ্য , সব নিয়ে সাজানো একটা লেখা । তবে সেটা উত্রারাতে হলে কব্জির জোর চাই ।
আপনার গদ্যভঙি আপনার পক্ষে আছে । এখন সমজে চললেই হয় ।

অরিত্র আন্দালিব , স্যুইডেন

এতো অল্প কথা, অথচ তার ব্যাপ্তি কি বিশাল !
মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

ভাই না লেখক বলে ধন্যবাদ দেব? সেই কবে বন্ধুসভাতে দ্যাখা যেত, তারপর.... জীবন দাঁড়ালো জীবিকার দুয়ারে/ হায় জীবন কে খুঁজে কেইবা পায় কাহারে...............। কী লিখলে মুগ্ধতা জানানো হবে?।
শরীরটা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ভাইজান?একটু কম খান

অপূর্ব সোহাগ
লেখকের পাশের রুম থেকে

মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। ভাষার কারুকাজ এইরকম অনেকদিন পাই নি।

মুগ্ধতা, অপার...