ঝিঁ ঝিঁ বিভ্রাট অথবা দীপালি সাহার শহরদর্শন

সুমন সুপান্থ এর ছবি
লিখেছেন সুমন সুপান্থ (তারিখ: সোম, ১৬/০৬/২০০৮ - ১০:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[…লিখতে বসা মাত্রই দেখি কথাগুলো হামলে পড়ে মূমূর্ষ করে তুললো ! তীব্র ভীষণ এক ইচ্ছাপাখির ডানা ঝাপ্টানি – যদি লেখা যায় আজ তেমন কিছু, যদি বলা যায় এ অন্তর্গত রক্তক্ষরণ থেকে পাওয়া কথাগুলো; সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের মতো, বলে দেয়াই যায় যদি -‘যাঁরা এই লেখাটাকে ভালোবাসলেন,তাঁরা আমাকেও একটু ভালোবাসুন |আমি আর আমার লেখা একই |’… ]

ঝিঁ ঝি আরও উড়েছে বৈ, এই প্রথম তা তো নয় ! কিন্ত তুমি এইবারই প্রথম তুমি উড্ডীন ঝিঁ ঝিঁদের শরীর দিয়ে সাজানো ফ্রেমে, ফাঁক ফোকর দিয়ে দেখে চললে একের পর এক দৃশ্য ! ক্রমপ্রশারিত দৃশ্যমালা |তোমার একটা তোরঙ্গ ছিলো,ছোট্ট – তাই তো ! কবে থেকে জমিয়ে রাখা বহু রঙের কাপড়ের ছিট, অর্ধেকতৈরি পুতুল – হাত নেই,অল্প ফোঁটা আলতা থেকে যাওয়া শিশি,চুলের ফিতা,রিবনের সঙ্গে লুকিয়ে তুলে রাখা লালরঙের একটা ঠোঁটকাঠি | তোমার ছোট পিসির ব্যাগ থেকে লুকিয়ে তুলে রেখেছিলে, না ? সেসব তো কবেকার কথা ! অন্ধকার এই লগ্ন উজিয়ে আরও এক দৃশ্য এলে তুমি খেই হারালে কি?

দিনটি ছিলো দোলের | ধূলোর রঙ লাল,নীল,বেগুনী| সন্তোষ দা' কে পছন্দ করতে তুমি | গোপনে গোপনে,লুকিয়ে | কিন্ত তোমকে পছন্দ করতো হিরেন | সেটা ও গোপনে | ভাঙা বোতলের ছড়ানো ছিটানো কাচের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছো এমন ভঙ্গিতে তুমি পৌছে গেলে সন্তোষ দা' র কাছাকাছি | তোমার ইচ্ছে ওর মুখে রঙ মাখাবে একবার | কিন্তু সন্তোষ দা বুঝলেই না ! সে ভাবতো তুমি নেহাত ই বালিকা, তার প্রেমিকা হিসেবে তো আরও | দেখো, সে পাত্তাই দিলে না তাই ! তারপর তুমি মন খারাপ করে বসে থাকলে খানিক | বুড়ো সূর্যের আলোয় ক্রমশ রক্তিম হয়ে উঠলো তোমার মুখ | ব্যথায় করুণ দেখালো | যেন জ্বর হয়েছে তোমার | গ্রীবা বাঁকিয়ে অন্যদিকে চেয়ে থেকে কি যেন ভাবলে অনেকক্ষণ | তোমার প্রিয় সন্তোষ দা' এই বেদনাঘাত দেখলো না | হিরেন দেখলো | দেখলো, শোকের মতো বিন্দু বিন্দু ধূলোরা তোমার মুখ ঢেকে দিচ্ছে | তোমার আর হিরেন, দু জনেরই কান্না পেলো |

আর ও একবার তুমি শশাংক বুড়োর যাদু দেখতে গেলে, চড়ক পুজায় | ধড় আর মুন্ডু আলাদা হয়ে পড়ে আছে | জিহবায় বড়শি গেঁথে শূন্যে ঘুরে চলছে আরেকজন ! দেখে তুমি এমন ভয় পেলে, সে দিনও জ্বর এলো ! অজানা এক ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বাড়ি ফেরার অর্ধেক পথে পৌছাতে পেরেছো কি,পারো নি আকস্মাত টের পেলে, তোমার উরুমূল থেকে আগুনের একদলা স্রোতের মতো পা বেয়ে নিচে নামছে ! বাড়ি ফিরে এলে তোমার মা একটা ন্যাকড়া গুঁজে দিলেন উত্ স মূলে | তার কাছেই জানলে, তুমি আর ছোট নেই ! প্রথম ঋতুবতী হবার যূগপথ আনন্দ ও বিস্ময়ে তুমি ক দিন বেঘোর পড়ে রইলে | কেউ জানলো না | হিরেন জানলো | অথচ তার জানবার কথা ছিলো না |

চিবুকের শেষ প্রান্তে একটা কাশঁডাটা ছুঁয়ে দেবার মতো আলতো করে শিশিরেরা নামছিলো, শব্দহীন | এই শহরের অলিগলি-পাকস্থলি, বাড়িঘর, দালানকোটা আর গাছেদের শাখা-পাতা-কান্ডরা তো বটেই, মানুষজনেরা ও এই নৈঃশব্দ শুষে নিয়ে বৃষ্টির রেণুর মতো কূহকদানা ছেড়ে দিচ্ছিলো হাওয়ায় ! তোমার রহস্য লাগলো, শংকাময় | এতো এতো অচেনা মনে হলো সব | এমন কি এই কুয়াশা ও বুঝি উড়ে এসেছে বহুদুরের কোনও দেশ থেকে ! এর রঙ আলাদা | এর গন্ধ আততায়ীর নিঃশ্বাসের মতো গোপন আর আতংকে মোড়া ! তোমার খুব ভয় লাগতে শুরু করলো | রিক্সার হুডটা কে তুমি এতো জোরে আকড়ে থাকলে, যেন এর সামান্য আবরন তোমাকে বাঁচিয়ে দেবে সমুহ বিপদ থেকে ! প্রায়-বৃ্দ্ধ রিক্সাচালক অবশ্য বারবার অভয় দিচ্ছিলো তোমাকে, হাইঞ্জ্যার আগেই ফিরি আওয়া যাইবো বেটি | তুমি ফিরে এলে | তবু তুমি জানলে না, তুমি ফিরেছো বলে !

আর কোনও বিকল্প ছিলো না তোমার | তোমার মা শয্যায়, এই স্বর্গে গেলেন বলে | তবু হাসপাতালে তো নিতেই হতো | তোমার বাবা দেখেন না চোখে | মিডলইস্টে থাকা তোমার ভাইকে জানাতেই হতো খবরটা | বিপদে তো মানুষ ভয়কে জয় করে নেয়, তুমি গেলে হেরে ! প্রতিদিনের চেনা শহরটা কে তোমার ভয় লাগলো অনেক বেশি | অথচ এমন হবার কথা নয় | নিত্যদিন না হোক, তুমি তো আসোই এখানে, হলোই বা তা শহরের অন্যপ্রান্ত – বলতে কি বাহিরবাড়ি, তবু এই শহরের একটা অংশেই তো তোমার কলেজ | আসো না সেখানে প্রতিদিন ? ঝিঁ ঝিঁ পোকাদের একটি এবার তাই সম্পৃক্তদৃশ্য তুলে আনলো মুখে করে - পাঁচ গ্রামে আর কেউ পারলো না,তুমি করে ফেললে অভাবনীয় এক রেজাল্ট ! লোকেরা তোমার প্রশংসা করে চললো সমানে ! এ গ্রাম ও গ্রাম সবাই জানলো তোমার কৃতিত্ব | হারামজাদা, সাহা বাড়ির পুরি মেট্রিক পাশ করি লাই লো, আর তুই পারলে না বলে কেউ কেউ ক্ষোভ ঢাললো নিজেদের সন্তানদের উপর, দৌড়িয়ে বাড়ি ছাড়া করলো ! শুনে তোমার খুশি খশি লাগলো ভীষণ | তুমি চাইলে সন্তোষ দা এবার বুঝুক তোমাকে, বুঝুক তুমি বড়ো হয়েছো এবার সত্যি | এবার ও সে বললো না কিছু ! হিরেন বললে |শুনে তুমি বললে, তুমি এসবের কিতা বুঝো ? নিজে তো আর পড়াশোনা করলায়-ই না ! হিরেন কষ্ট পেলো | তুমি পেলে না |

টেলিফোনে লাইন পাওয়াই গেলো না প্রথমে | যখন পেলে, তোমার দাদা কে পেলে না | কাজ থেকে ফিরতে না কি আরও ঘন্টা দুয়েকের মামলা ! রাত আর ভয় একই সঙ্গে বাড়লেও তোমার বসে থাকা ছাড়া উপায় ছিলো না | তুমি বসে রইলে | ফোন শেষে বাড়ি ফিরতে গেলে জোর করে তোমাকে ঝিঁ ঝিঁ দেখালো ওরা ! চোখ বন্ধ করে এতো ঝিঁ ঝিঁর হামলে পড়া এর আগে কোনওদিন দেখো নি তুমি | সহসা বুটের শব্দের ভয়ংকর ধ্বনি ও প্রতিধ্বনি তুলে পরিত্যক্ত ট্রেন-বগীর শীর্ণ দরজা দিয়ে ছুঁড়ে দিলে তোমাকে, বাঁধাদানের আপ্রাণ চেষ্টা আর বাবা গো বলে সমস্থ চরাচর বিকীর্ণ করা তোমার চিতকার অসহায় আছড়ে পড়লো শুন্যে ! তখন সিন্দুরাভ রক্ত সিঁথি থেকে গড়িয়ে পড়ে ললাটের রেখাগুলি মুছে দিচ্ছিলো ! নিপিষ্ট ঠোঁট দু টি আর তোমার নিন্মাঞ্চল চিতা থেকে নিক্ষিপ্ত কাঠের মতো জ্বলে লাল ছাই হয়ে পড়ে রইলো | কপালের রক্তে ভিজে সপসপ করলো ভ্রু ! টের পেলে বুহুবছর আগে বেরিয়ে আসা আগুনের দলাটা কে শক্ত বানিয়ে ওরা আবার ঢুকিয়ে দিচ্ছে তোমার শরীরের গহিনে ! আর আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলে তোমার সমস্থ শক্তি লোপ পেলে ও চোখ দু টি জেগে উঠছে ক্রমশ | নিবদ্ধ চক্ষুদুটি অন্ধকারে স্থিরচিত্র হীরকের মতো জ্বলে জ্বলে তোমাকে অই ঝিঁ ঝিঁ দেখাতে লাগলো তারপর !

মাথার উপর বনবন করে ঘুরতে থাকা ফ্যানের নিচে বসে দামী সিগারেটটা আয়েশ করে টানতে টানতে বড় সাহেব নিজের রুমে ডাকলেন ওদের
- কাল নাইট ডিউটিতে আপনারা ছিলেন ?
- জ্বী , স্যার
- এই লাশ আপনারা পেয়েছেন ?
- জ্বী , স্যার
- গুড গুড | প্রপারলি ডিউটি করবেন | মনে রাখবেন আমরাই জনগনের বন্ধু, তাদের বিপদে আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে |
- জ্বী , স্যার
তুমি জানলে না কি ভীষণ গর্বিত আর তৃপ্তি্ময় ভঙ্গিতে এরা গতরাতের ঘটনাটা কে নিজেদের মতো করে ভেবে পূনঃপুলক খুঁজছিলো !

তুমি দীপালি রানী সাহা | আমার নাম হিরেন কান্তি সাহা | তুতো ভাই-বোনদের মধ্যে প্রেম-বিয়ে হয় না | শাস্ত্র নিষিদ্ধি | অথচ দেখো, শাস্ত্রবহির্ভুত নিয়মে তোমার চোখে ঝিঁ ঝিঁ দল ছেড়ে দিলো ওরা ! আর তুমি জানলেও না এই নিয়ে পরে গল্প হবে !


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

লিখাটায় "।" চিহ্নটা চোখে অস্বস্িত লগছে। একটু বদলে দিতে অনুরোধ করছি

মামুন

সুমন সুপান্থ এর ছবি

মামুন,
আপনার নিবিড় মনযোগের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন । এই লেখাটা কম্পোজ করা হয়েছিলো আরেকটা ফরম্যাট এ । সেখান থেকে কপি করে আনতে যেয়ে দাড়িগুলো অমন হয়ে গেছে । আর কম্পিয়্যুটারে লেখার ক্ষেত্রে আমি এখনো খুবই সনাতন ! কম্পোজ করার ক্ষমতা নিতান্তই সীমিত ।
ভালো থাকুন ।
---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কবিতার মত সুন্দর। খুব ভাল লাগল। অসাধারণ!

সুমন সুপান্থ এর ছবি

বিনীত কৃতজ্ঞতা ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

জি.এম.তানিম এর ছবি

কিছু বলতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু কিছু বলার ভাষা নেই... মন খারাপ
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

যা বললেন, সেটাই অনেক ভাষাময়,কবি তামিম !

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ধুসর গোধূলি (এনটয়েশ্ট) এর ছবি

ইয়াসমীন কিংবা সীমা, কার কথা বলা যায়!

সুমন সুপান্থ এর ছবি

ধু : গো : ভাই
অফলাইনে কেন জনাব ! চেয়ারম্যানের সঙ্গে ' রাতের কাজে ' ছিলেন বুঝি ?
ফিরতি ভালোবাসা ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- চেয়ারম্যানের পদ এখন খালি তো! মেম্বার সাবের লগে গোডাউনে গেছিলাম। কিন্তু তিনি কি জানি কী নাইড়া দেওয়ার কথা কইয়া সেইযে গেলো আর আইলো না! তাই আমি মনের দুঃখে গেছি ফুলের জলসায় নীরব হইয়া। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুমন সুপান্থ এর ছবি

ও কাহিনী এই !
তা জলসা কি ভ্রাতা শুধু ফুলেরই ?

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দিলেনতো এট্টা টেকনিক্যাল পরোশনো করে। এখন ভরা মজলিশে কেমনে কই যে জলসায় সুরার লগে সাকীও ছেলে! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার লেখা পড়ার একটা সমস্যা থাকে আমার মতো পাঠকের। একবার পড়ি শব্দ বাক্য ছন্দর মুগ্ধতায় হারিয়ে... শেষ হয়ে গেলে খেয়াল হয় হায় হায়... শুধু তো শব্দসুন্দরই পড়লাম... গল্পটা যেন কি বলা হলো?
তখন আবার পড়তে হয়...
এখন এত সময় নাই... গল্প পরে... কাব্যের মুগ্ধতা প্রকাশ করছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন সুপান্থ এর ছবি

কি আর করা নজরুল ভাই ! লিখতে তো পারি না কিছু ! কি লিখতে কি সব লিখি ! তবু যে আপনারা পড়েন, সেটাকেই অনেক মনে হয় ! যদ্দুর জানি , আপনি শাহাদুজ্জামান ' এর বন্ধু । আমার অসম্ভব প্রিয় লেখক একজন । তাঁর ' কয়েকটি বিহ্বল গল্প ' পড়ে , ' পশ্চিমের মেঘে সোনার সিংহ ' পড়ে পড়ে ভেবেছি এমন করে যদি লেখা যেতো ! সে কি আর হয় !
ভালো থাকুন ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

কবির লেখা গল্প। কাব্যময়তা না থেকে পারে?
ধন্যবাদ সুমন সুপান্থ। আমি আবার জন্মালেও এমন কাব্যময় লেখা লিখতে পারবো না।
আচ্ছা গদ্য+কাব্য=? অথবা কাব্য+গদ্য=?
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সুমন সুপান্থ এর ছবি

এমন করে বললে লজ্জ্বা না জাগলেও লজ্জ্বা পাওয়া উচিত্ । আমার তাই হচ্ছে কবিবন্ধু ।
আপনার সওয়ালের জবাব তো জানি না ! লিখি,লিখেই যাই ।
আপনার আরো কবিতা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ।

---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

তারেক এর ছবি

নীরবতায় বোধকরি সবচেয়ে ভালো প্রতিক্রিয়া হোত। তবু জানিয়ে যাই, পড়লাম। এবং কষ্ট পেলাম।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

সুমন সুপান্থ এর ছবি

আমার ও নিরবতা
---------------------------------------------------------
নীল সার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি !
অথচ সমুদ্রে-ই ছিলাম আমি

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

মামুন করম এর ছবি

বাল্য কাল থেকেই আপনার গুণ্মুগ্ধ পাঠক|আজ আবারো মুগ্ধ হলাম.

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।