বলছেন হুমায়ূন আহমেদ,আমাদের সাহিত্য-বাণিজ্যের সফল বণিক

সুমন সুপান্থ এর ছবি
লিখেছেন সুমন সুপান্থ (তারিখ: সোম, ২১/০৭/২০০৮ - ৪:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'' .... থু ! থু ! থু ! এদের নাম নেয়াটা কি ঠিক হলো আমার শোভন বসার ঘরে ? বরং মাইকেই বাজতে দাও । এইগুলো তো গৃহপালিত । ঘুণেধরা সমাজ ব্যবস্থা যতদিন থাকবে, এসব এলিটমেন্ট আর তাদের নিয়ে মাতামাতি,গুলিস্থান-নাগরমহল জমজমাট থাকবেই । কাম প্রশমণে লোক যেমন গণিকার কাছে যায়, এদের কাছে ও যাবে হয়তো একদিন । সেদিন-ই তাদের মেধা পূর্ণ সমাদর পাবে, মানতেই হয়.... ’’
হুমায়ূন , মিলন, সাবেররা বইমেলায় আর কতোদিন বগল বাজাবে ? – ছোটকাগজ দ্রষ্টব্য’র সঙ্গে এক সাক্ষাতকারকালে এই প্রশ্নের জবাবে কথাকার সৈয়দ রিয়াজুর রশীদ ( দ্রষ্টব্য বর্ষ ৩ সংখ্যা ৪ মার্চ ১৯৯৪, ঢাকা )

আবার উল্টো গল্প ও তো আছে । হলুদ পাঞ্জাবী পড়ে একদল লোক উন্মাদ হয়ে সারা বইমেলা ঘুরে বেড়ায় ! পাঠক নিজেরাই তখন লেখক-সৃষ্ট চরিত্র !! মিছিল বেরুয়- বাকের ভাই’র ফাঁসী দেয়া যাবে না ! সফল বলতে তো হয়ই, যে অর্থেই হোক । এই প্রশ্ন তাই আড্ডায়,তর্কে কি মাথায়, তো থেকেই যায় –আসলে-ই হুমায়ূন আহমেদ বা হুমায়ূন আহমেদের মতো লেখকেরা কী করছেন বাংলা সাহিত্যে ? সৈয়দ রিয়াজুর রশীদের মতো কেউ কেউ বলছেন, বাজাচ্ছেন ১২ টা ! হিমু/বাকেরভাই ভক্তরা বলছেন, বাজাচ্ছেন দরাবার-এ-কানাড়া !!!

নতুন সচল,শক্তিমান গল্পকার মনজরুল হক'র একটি গল্পে আরেক প্রিয় সচল নিঝুম মজুমদারের মন্তব্য ও তার জবাবে মনজুরুল ভাইয়ের প্রতিক্রিয়া...সঙ্গে আমি নিজে সহ আরো আরো সচলদের অংশগ্রহণেরও অনেক অনেকদিন আগ থেকেই মাথায় ঘুরছিলো প্রশ্নটা - আমদের সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদের ভুমিকাটা আসলেই কি ? কতোখানি ?

এইসব ভাবনা / প্রশ্নের ভেতর ডুবে যেতে যেতে, ভেসে উঠে খবর পাই,হুমায়ূন আজাদের উপন্যাসটি (পাক সার জমিন সার বাদ ) না কি এতোটাই কুত্ সিত,মৌলবাদীদের কেন, যে কেউ আঘাত পেতে পারে... শহীদ জননী জাহানারা ইমামের উপর কোন রাষ্ট্রদ্রোহ-মামলা হয় নি !... বাংলাদেশের মানুষেরা সবচেয়ে কম মূল্যে চাল খাচ্ছে বাংলাদেশে মৌলবাদের কোন বড় সমস্যা এখনো হয় নি !.... সারাবিশ্বেই মৌলবাদীরা আছে,... তো এটা নিয়ে এতো চিত্কার করে লাভ নেই !.... আমি জামতে ইসলামী'র রাজনীতি বন্ধের পক্ষে নই !আরও আরও অনেক কিছু.... বলেছেন আমাদের গ্রন্থ-বাণিজ্যের প্রধান ঘুঁটি,হুমায়ূন আহমেদ এক সাক্ষাত্ কারে

বাকী কিছু লেখা অপ্রয়োজনীয় । সচলদের প্রতি কেবল অনুরোধ, একবার এই দেশপ্রমিক,ম-হা-ন এবং দেশের তথাকথিত প্রধান লেখকের কথাগুলো পড়ে আসুন ।


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

বিডিনিউজ২৪ এ পড়লাম। মন্তব্য নিস্প্রয়োজন - এই আকালের বাজারে সবাই নিজের লাভ দেখে।


কী ব্লগার? ডরাইলা?

সুমন সুপান্থ এর ছবি

প্রধান রা আরেকটু আগেবাগে নিজের লাভ দেখেন মনে হয়, দ্রোহী ভাই !!! ( হায়, পোড়া বাংলা !!! )

---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

দ্রোহী এর ছবি

প্রধানদের লাভের অংকটা অনেক বড়। আগেভাগেই তো দেখতে হবে।


কী ব্লগার? ডরাইলা?

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

সাধ করে কে তার আম-ছালা দুই-ই খোয়াতে চায়? আমরা অনেকেই মধ্যপন্থী। কখন কি বলে কোন বিপদে পড়ি সেই ভয়েই তটসথ থাকি। তা ছাড়া জঙ্গলে বাস করে হায়েনাকে খোঁচা দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সুমন সুপান্থ এর ছবি

সন্দেহ নেই একাত্তরে শহীদ পুলিশ কর্মকর্তা-পুত্র হুমায়ুন আহমেদ অনেক বুদ্ধিমান । তাই তিনি মনে করেন, জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কোনও মানে নেই !!!

---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

হাসান মোরশেদ এর ছবি

যে লোক সরকারী অনুদানের লোভে '৭১ এর নদীতে ইঞ্জিন নৌকা দেখায়(আহা বাংলার সব পালতোলা নৌকা আওয়ামী লীগের) , তার কাছে মাদারীর খেল ছাড়া আর কিছু দেখানোর নেই ।

-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

ভালো বলেছিস তো ! এটা তো খেয়াল করি নি !!
হুম, দেখেছি তো , কোন একটা ছবিতে - ৭১'এ ইঞ্জিনের নৌকা !!!
পেছনের কারণ জানা ছিলো না ।

---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

হযবরল এর ছবি

সাক্ষাৎকারটার জন্য ধন্যবাদ। সস্তা জনপ্রিয়তার উপর ভর করে, এবার তিনি জঘন্যতম অপকর্মটা করলেন। আমাদের দেশের জন্য হুমায়ুন অনেক বেশী বিপদজনক, জামায়াতের কামরুজ্জামানের চেয়ে বেশী বলে আমি মনে করি।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

হুমায়ুন অনেক বেশী বিপদজনক, জামায়াতের কামরুজ্জামানের চেয়ে বেশী বলে আমি মনে করি।

আমার আর কিছু বলার নেই !

---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

কতিপয় বেশ্যার হাত ধরে আমরা
জ্বালাই না সাহিত্যের দেশালই
আমরা তার চেয়েও বেশী কিছু
রোদ রেখে যেতে চাই মানুষ সমীপে।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

সেই আমাদের দুর্ভাগ্য
সেই আমাদের বেদনা
আমরা ভুল করে ডাকি বাঘ,
সে তো এক বাঘডাস !!!

---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

রাফি এর ছবি

একটাই আহবান-
হনুমান আহমেদের অপন্যাসকে না বলুন।
এ বিষয়ে আমিও একটি পোস্ট দিয়েছি, সময় পেলে পড়ে মন্তব্য করবেন।

-------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সুমন সুপান্থ এর ছবি

ধন্যবাদ রাফি , পড়েছি আপনার পোস্ট , মন্তব্য আর কি করি ! আপনি যেমন জানেন,জানি আমি ও - বণিকেরা এইকালে পায় কবির মর্যাদা !!!

---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

নিঘাত তিথি এর ছবি

সুমন ভাইয়া,
হয় কি জানো? এত থাকতে এই বেচারা হুমায়ূন আহমেদকেই টার্গেট করা হয়। কেন বলো তো? সে কখন কি করলো, কখন কি বললো- তার খবরই কেন রাখতে যাওয়া হয় যদি তাকে ফালতুই মনে কর?

আমার খুব ছোট্ট একটা কথা মনে পড়ে, ছোটবেলায় লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিকে নিয়ে পাঠ্যবইয়ে একটা কথা পড়েছিলাম, একজন লিওনার্দো যদি আর কোন শিল্পকর্ম না করে কেবল "মোনালিসা"ই এঁকে যতো তাহলেও তাঁকে এত মর্যাদাই দেয়া হত। তখন থেকেই এই কথাটা মনের মধ্যে খুব গেঁথে গিয়েছে। একজনের একটা মাত্র ভালো কাজের জন্য তাকে সারা জীবন স্বীকৃতি দিতে শিখেছি।

সুমন ভাইয়া, এখনকার হুমায়ূন আহমেদ পচে গিয়েছে। তার কোন একটা উপন্যাস, নাটক, সাক্ষাৎকার আর স্পর্শ করে না। স্রেফ ফালতু মনে হয়। তাকে নিয়ে তো কথা বলতে চাই না। কিন্তু এই মানুষটাকেই কেন এক সময় দেবতা মনে হতো? বল? কেবল ভাঁড়ামো করে, তুচ্ছু-ফালতু লেখা লিখে কেউ তা অর্জন করতে পারে না। সেরকম সস্তা, ভাঁড়, বা অন্য ধারার যৌন সুরসুরি দেয়া লেখক অসংখ্য আছে- তারা কেউ হুমায়ূন আহমেদ হয় নি। তাদের মানুষ দেবতা মনে করে নি। তার লেখার সাবলীলতা, গল্প বলার অন্য রকম ধরন (যেই ধরন পরবর্তীতে অনেকেই নকল করেছে)- তার সম্পূর্ণ নিজস্ব ধরন তাকে তখন সবার থেকে আলাদা করেছিলো। একজন হুমায়ূন আহমেদ "নন্দিত নরকে" লিখেছেন, "শংখনীল কারাগার" লিখেছেন, "কৃষ্ণপক্ষ", "মেঘ বলেছে যাবো যাবো", "পেন্সিলে আঁকা পরী" (-তোমার প্রিয় নয়?), "জনম জনম", "পারুল ও তিনটি কুকুর" লিখেছেন- এবং আশির দশকে (পরে পড়েছি) এবং নব্বইয়ের দশকে এরকম আরো অসংখ্য গল্প এবং উপন্যাস লিখেছেন যেগুলো বাংলা সাহিত্যের সম্পদ। তার মিসির আলী সিরিজের প্রায় প্রতিটি উপন্যাস ইউনিক, অসম্ভব বুদ্ধিদীপ্ত। "হিমু" নিয়ে এখন নানান বিতর্ক আছে, কিন্তু এরকম সম্পূর্ণ অভূতপূর্ব ইচ্ছাপূরনের একটি চরিত্র কেন মানুষের মনে দাগ কাটবে না? কে প্রভাবিত হয় নি কখনও "হিমু" পড়ে? "অয়োময়"-এর মত চমৎকার নাটক পেয়েছি আমরা তার কাছ থেকে। হুমায়ূন আহমেদের পড়া কিছু গল্প, না বলা ভালো অনেকগুলো ছোটগল্প বা গল্প এখনও পড়ে তার দক্ষতায় বিস্মিত হই (খুঁজে পেলে গল্পগুলো সচলে স্মরণ করিয়ে দিবো ভাবছি)। সেই হুমায়ূন আহমেদকে এখনও শ্রদ্ধা করি। এখনকার হুমায়ূন আহমেদের সাথে তাকে তুলনা করে ছোট করতে চাই না।

ভালো লেখক মানেই কমলকুমার মজুমদার, আর হুমায়ূন আহমেদ মানেই আ ছি ছি ছি- এত সরলীকরন করার মত হাস্যকর বোকামী আমরা না করি। তাহলে সবাই নাহয় একই ব্যকরন মেনে গৎ বেঁধে রোবটের মত একই রকম লেখা শুরু করি।

আমরা কেন যেন কাউকে কেউ খুব ভালোবাসছে দেখছে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ি- জাতিগত সমস্যাই কি না জানি না। একজন লেখক লেখাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে- বেচারার বই দেদারসে বিক্রি হচ্ছে, সুতরাং তাকে সাহিত্য ব্যবসায়ী নাম দিতেই হবে। ব্যবসাতে কি সমস্যা? ব্যবসা করলেই সে খারাপ? ব্যবসা শব্দটা কি খারাপ? ব্যবসা পেশাটা কি খারাপ?

ভূপেন হাজারীর কথা মনে পড়ছে। সারা জীবন মানবতাবাদী গান গেয়ে গেয়ে শেষকালে মৌলবাদী সংগঠন বিজেপি সদস্য হলেন! খবরটা শুনে বিরাট বড় ধাক্কা খেলাম। ভূপেন? এও কি সম্ভব? কিন্তু তার সেই পুরনো গানগুলোর মূল্য কিন্তু এতটুকু কমলো না। সেই দিনগুলোতে যে ভূপেন হাজারিকা অজস্র মানবতার গান লিখে মানুষকে জাগিয়ে তুলেছিলেন তার প্রতি শ্রদ্ধা কিন্তু কমলো না- কারন সেইটুকু তো তার অবদান, অমূল্য অবদান। এখনও "বিস্তীর্ণ দুপারের অসংখ্য মানুষের হাহাকার শুনে/ ও গংগা তুমি গংগা বইছো কেন" শুনে গা শিউরে উঠে চোখ জ্বালা করে।

সুপান্থ ভাইয়াকে আরেকটা কথা বলি, সাক্ষাৎকারের যে লিংকটি দিলে, কেন তার শুধুমাত্র কিছু উল্লেখ করলে তোমার পোস্টে? এটা তো "সর্ট অফ টেম্পারিং"! বাকি অংশের কিছু কথা যেমন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই সরকারের করা উচিৎ এটা তিনি বলেছেন এটা উল্লেখ করা তোমার পোস্টের সাথে যায় না বলে, নাকি? লিখলে পুরাটা লিখো নাইলে শুধু লিংক দাও। এরকম টেম্পারিং করো না।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

সুমন সুপান্থ এর ছবি

তিথি,
হুমায়ুন আহমেদ কি বলেছেন অই সাক্ষাত্কারে, সারা বাংলাদেশের মানুষ যেমন,অনেক সচলেরও পড়া হয়ে গেছে এর মধ্যে ! যে আক্রমণাত্মক হয়ে মন্তব্য ও আরেকটা পোস্ট দিলে তিথি, সেই তুলানায় ,আমি কিন্তু আমার পোস্টে কিছুই বলি নি ! খেয়াল করে পড়লে দেখবে, হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে আমার দ্বিধা,সংশয় আর দুই তরফের কথাই বলছিলাম !
লেখক হিসেবে হুমায়ূন কেমন , সেই আলোচনা এখানে করতে চাচ্ছি না ! প্রয়োজন ও নেই । কিন্তু কে, কবে, কি মহাকাজ করে বসে আছে, সে হিসেব করে তার কোনও অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না ; এ কেমনতরো কথা !? তাহলে বেচারা আল মাহমুদের উপর দিয়ে এতো ঝড়ই বা বইবে কেন ? আল মাহমুদ তো অন্তত, বাংলা কবিতার বাঁক ফিরিয়ে দেয়া সোনালী কাবিন উপহার দিয়েছেন ! নন্দিত নরক কি শংখনীল কারাগার কি সোনালী কাবিন 'র চেয়ে উত্ কৃষ্ট কিছু ? যে কোন ও বিচারেই ? তো ,সোনালী কাবিন লিখেছেন বলেই আল মাহমুদের বর্তমান ভূমিকা, জামাত-রাজাকার তোষণ নিয়ে কিছু বলা যাবে না !! রাজকবি হবার অপরাধে, রাজতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার জন্য তো এজরা পাউন্ড'র মতো কবি কে ও ধিক্কার পেতে হয়েছিলো !!

আর কমলকুমার মজুমদারের মতো লেখকের সঙ্গে হু:আ: র তুলনা করার ধৃষ্টতা আমার নেই অন্তত ! ভদ্রতা করে সৈয়দ রিয়াজুর রশীদের মতো আর কিছু নাই বা বললাম ।

আর তিথি , হুমায়ুন আহমেদের খবর রাখার মতো সময় ইচ্ছা কোনটাই ধরে রাখার মতো বয়স,মানসিকতা কি পাঠরুচি আজ আর নেই
(অস্বীকার করি না, অন্য অনেকের মতো আমি ও হুমায়ুন পড়েছি এক সময়, ভালো ও লেগেছে - পরে, দামি সিগারেট খাবে বলে, লুকিয়ে লুকিয়ে সস্তা বিড়ি ও তো খায় লোকে ) । কিন্তু বাংলাদেশ,রাজাকার, রাজাকার বিরোধী আন্দোলন, জলপাই শাসনের স্তুতি শুনলে,শোনে প্রতিবাদ স্বরূপ কিছু বললে, সেটা অই ফালতু ( তোর ভাষায় ) লেখককে টার্গেট করা হয় বলে বুঝি নি তো ! জানি, হুমায়ূন নিয়ে পড়ে থাকা,তাঁর লেখা নিয়ে আলোচনা করা, বির্তক তৈরি করা- সময় আর মেধা নষ্ট বৈ কিছু নয় । অতোটা বোকা থাকার দিন আমার কেটেছে তিথি ( তোমাদের দোয়ায় ) ।

না । লিংকের ব্যাপারটা সর্ট অব টেম্পারিং হতে যাবে কেন ? হুমায়ূন যা বলেছেন, সেটা শোনে দেশসুদ্ধ মানুষই তো প্রতিবাদমূখর ( কিছু অন্ধ হুমায়ূনভক্ত ছাড়া ) , আমি আবার বেছে বেছে ভালো ভালো (!!!) কথাগুলো তুলে আনবো কেন ? কি দায় ? বরং যে অশ্লীল কথাগুলো ( হুমায়ূন আজাদ কুত্সিত ভাবে 'পাক সার জমিন সার বাদ' লিখেছেন, তো তাঁকে কুঁপিয়ে মারাই যায় , ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলনকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে, ২ বছর জরুরী আইন বলবত্ থাকলেও আমার কোনও আপত্তি নেই ) জানানোই জরুরী মনে হয়েছে । তাঁর তথাকথিত ভালো ভালো কথা নয় ।

ভালো থাক্ তিথি ।

---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

সবজান্তা এর ছবি

হুমায়ূন আহমেদ সংক্রান্ত নিঘাত তিথির লেখাটি পড়ে আমারও সবার আগে আল মাহমুদের কথাই মনে পড়েছিল।

আল মাহমুদকেও কি তাহলে আমরা নির্দোষের কাতারে ফেলবো ?


অলমিতি বিস্তারেণ

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

ei shomosto lokgulo ke amra banachchi------- eker por ek apakarmoke amrai dekheo baktigata baper bolay chere dichchi-------- aro ki chara uchit-------- amader majhe kathashailite jara paka tara ekbar antoto ei chor lekhok(kathito) ke kichu bolun--------
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

সুমন সুপান্থ এর ছবি

আসলেই আরও কি কি ছাড়া উচিত্ এই মহান বেস্টসেলার লেখকদের সম্মানের কথা ভেবে !!!!?

---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

তীরন্দাজ এর ছবি

সাক্ষাতকারটি পড়লাম। রীতিমতো ধাক্কা খেলাম একটা। হুমায়ুন আহমেদের মতো স্পষ্টবাদী, প্রগতিশীল মানুষের কাছে এ ধরনের গড্ডালিকা প্রবাহ মার্কা কথাবার্তা একেবারেই আশা করিনি। জামাতীদের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রতিহত করার পক্ষে আমিও নই। যেহেতু আমরাই তাদেরকে জায়গা করে দিয়েছি, তাদেরকে প্রতিহত করার দ্বায়িত্বও আমাদের। নিষিদ্ধকরণের মাধ্যমে তাদেরকে প্রতিহত করলে সে দ্বায়িত্বকে যথাযথভাবে পালন করা হয় বলে আমি মনে করি না। আগে নিজেদের করা পাপ স্খলন করে নিতে হয়। তা না করলে যে কোন পদক্ষেপই আপাত: সাফল্য আনলেও তা সুদূরপ্রসারী হয় না। নিষিদ্ধকরণের মাধ্যমে তাদেরকে প্রতিহত করাটা আমার দৃষ্টিতে নিজেদেরই পরাজয়। তাদেরকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত ও নিশ্চিহ্ন করার ক্ষমতা আমাদের থাকা উচিত।

তাহলে ধাক্কা খেলাম কেন? হুমায়ুন আহমেদকে পছন্দ করতাম, এমনকি হিমুকেও। আমাদের সমাজ একটা ব্যাধিগ্রস্থ রোগীর মতো। আমরা সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকি, যদিনা সংক্রামিত হই। অথচ নিজেও ভেতরেও রোগ। আমরা সারাক্ষণ মুখোশ পরে আছি। সেকারণে একজনকে খারাপ, মিথ্যেবাদী, সুবিধাবাদী ও শঠ জেনেও তাকে সকাল সন্ধ্যা সালাম দিতে দ্বিধা বোধ করি না। নিজের ভেতরেও শঠতা আছে জেনে সালাম নিতেও অন্যথা করি না। হিমু নামে চরিত্রটি সাজিয়ে হুমায়ুন আহমেদ চেষ্টা করেছেন আমাদেরকে সচেতন করার, আমাদের শিড়দাড়া সোজা করার। সবাইকেই হিমু হতে হবে, এমন দাবী তার ছিল না, থাকার কথাও না। সেটা সম্ভবও নয়, কোন সমাজেই নয়। কারণ হিমু ছিল একটি প্রতিবাদী চরিত্র, সামাজ ইতিগতভাবে পাল্টালে সে চরিত্রও আর অপরিহার্য় থাকে না। তা স্বভাবতই মূল্যহীন আর অস্পষ্ট হয়ে পড়ে।

কিন্তু যে শঠতার বিরুদ্ধে হুমায়ুন হিমুকে বানালেন, এই সাক্ষাতকারে তার নিজের ভেতরেই সেই শঠতা ও সুবিধাবাদী চরিত্র নিদারুণভাবে প্রকট হয়ে উঠলো। হিমুকে বোঝার জন্যে হুমায়ুন আহমেদের উপর এই বিশ্বাসটুকুর যথেষ্ট দরকার ছিল। সেটা হারাতে বাধ্য হলাম।

তার ইদানীং কালের লেখা যে বস্তাপঁচা হচ্ছে বা হয়েছে, তার এই সাক্ষাতকার পড়ার পর তাতে অবাক হবার আর কোন কারণ দেখি না।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

সুমন সুপান্থ এর ছবি

ঠিক ।
বাজারি লেখকদের কোন কথায়ই কান দিতে নেই ! বাজারনির্ভর কথাবার্তাই তো বলেন তাঁরা !
---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

টাকা মাটি মাটি টাকা
আর্মি খেপলে পকেট ফাঁকা

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুমন সুপান্থ এর ছবি

টাকা মাটি মাটি টাকা
আর্মি খেপলে পকেট ফাঁকা

এরপর আর কোন মন্তব্য নেই !!!
---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সাক্ষাতকারটি পড়লাম... খুব বেশি প্রতিক্রিয়া হলো না... লোকটার প্রতি করুণা হলো কিছুটা।
হুমায়ুন আহমেদের তুলনা কেবল তিনি নিজেই। শুধু শুধু অন্যকে এখানে টেনে আনার দরকার কি? তিনি সহি সালামতে থাকুন... লেখালেখি বা সিনেমা বানানোর অপচেষ্টা বাদ দিয়ে সুখে সঙসার যাপন করুন এই কামনা করি। আর কামনা করি এইসব বলে লোক হাসানোর দরকার কি রে ভাই?
এরকম বেশিদিন চললে যারা এখন অন্তত অতীতে পড়া কিছু বইয়ের মুগ্ধতায় এখনো তাকে মাথায় তুলে রাখেন তাদেরো একসময় মোহভঙ্গ হয়ে যাবে বোধকরি...

আসলে কিছু বলার নেই... এই বিষয়টা নিয়ে নীড়পাতা ভর্তি করে ফেলার কোনো কারন দেখি না...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন সুপান্থ এর ছবি

এই বিষয়টা নিয়ে নীড়পাতা ভর্তি করে ফেলার কোনো কারন দেখি না...
সহমত ।

---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

নিঝুম এর ছবি

সাব্বির সাহেবের নেয়া সাক্ষাত্‌কারে অনেক পানি মেশানো হয়েছে বলেই আমার ব্যাক্তিগত ধারনা । হুমায়ুন আহমেদ এই ধরনের কথা বলবেন ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারিনা । অনেক সাংবাদিক রা তো তার পেছনে আঠার মত লেগে আছেন । যাই হোক,
এই মহা লেখক যদি এই ধরনের কথা বলে থাকেন , তাহলে ব্যাপারটা হবে ভয়ানক কষ্টের , ভয়ানক । আশা করি এই ব্যাপারে তিনি তাঁর ব্যাখা দিবেন ।

--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

সবজান্তা এর ছবি

আমার তা মনে হয় না। সমকালের পর্যায়ের জাতীয় দৈনিক হুমায়ূন আহমেদের মত পপুলার লেখককে নিয়ে এমনটা করার সাহস পাওয়ার কথা না।

বরং কথা বার্তায় আমার সন্দেহ হচ্ছে, জনাব আহমেদ হয় ইউনুসীয় কায়দায় সুশীল হওয়ার পায়তারা করছেন অথবা নাটকের সামনের অঙ্কে কুশীলব পরিবর্তন হলে (পড়ুন, উপদেষ্টা মন্ডলীতে পরিবর্তন আসলে ), নিজেই মঞ্চে নামার পায়তারা করছেন।

জয়তু সুশীল সমাজ।


অলমিতি বিস্তারেণ

নিঝুম এর ছবি

সাক্ষাতকারটি সত্যি হয়ে থাকলে একটি কথাই বলতে হবে, তিনি তাঁর জীবনে দ্বিতীয় ভুল টি এবং সবচাইতে বড় ভুলটি করলেন ।
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

মনজুরাউল এর ছবি

ফাটাফাটি সুমন। তিথি,তীরন্দাজের লেখা দুটো অনেক বড়। ও বিষয়ে মন-ব্য করতে চাইছি না।অস্বীকার করার উপায় নেই যে আসলেই হু.আ. শক্তিমান লেখক।একটা সমাজের দুই দুটা প্রজন্মকে যে লোক নাড়া দিতে পারে সে নিশ্চই শক্তিমান।প্রশ্ন হলো কোন সে সমাজ? একটা তুলনামূলক গল্প বলি:-

ইয়োরোপের এক বিখ্যাত সাহিত্যিক সান-াক্রুজ বিমান বন্দরে নেমে দেখলেন হাজার হাজার লোক তাঁকে বরণ করার জন্য অপেক্ষা করছে! তিনি অভিভূত হলেন।তাকে নিতে আসা ভারতীয় সাহিত্যিক বলেলন-মাফ করবেন,ওরা রাজকাপুরকে রিসিভ করতে এসেছে।

গণনাট্যের উৎপল দত্ত নক্সালবাড়ি আন্দোলোনের সময় ট্রেনে শিলিগুড়ি যাচ্ছিলেন। পথে ট্রেন থামতেই জনতা তাকে ছেঁকে ধরল। তিনি ভাষণ দিলেন:‘বাড়ি হলো দুইটি, এক নক্সালবাড়ি- দুই বেশ্যাবাড়ি। ভেবে দেখ তোমরা কোন বাড়ি যাবে? সেই উৎপল দত্ত দশবছরের মাথায় বোম্বেতে গিয়ে চরম কমার্সিয়াল হলেন, অথচ সারা বাঙলা তাকে মাথায় করে নাঁচল। অথচ ‘ভারতের দসে-ায়েভস্কি’ সরোজ দত্ত কে কেউ মনে রাখল না।

হুমায়ূন সেই ‘শ্যালো-পাঠকশ্রেণীর’ ‘সিদ্ধার্থ’ যারা গার্মেন্ট নারী শ্রমিক মিছিল করলে বলে-‘িফডা মাগিগোরে’।দেশি ব্যাটসম্যানকে আম্পায়ার আউট দিলে বলে-‘ফিডা অশোকারে’। এরশাদ লুচ্চামি করলে বলে- ‘কোপা সামসু’।
অবাস-ব স্বর্গপুরির স্বপ্নালোকে যারা অশ্বা,মেনকা,রম্ভাদের কেলিনৃত্য দেখে উরু চুলকোয়...।

পন্ডিত আহম্মদ শরীফ ‘নন্দিত নরকে’ পড়ে বলেছিলেন-‘ছেলেটা থামতে জানে’।ব্যাস, এটুকুই।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

স্নিগ্ধা এর ছবি

হুমায়ূন সেই ‘শ্যালো-পাঠকশ্রেণীর’ ‘সিদ্ধার্থ’ যারা গার্মেন্ট নারী শ্রমিক মিছিল করলে বলে-‘িফডা মাগিগোরে’।দেশি ব্যাটসম্যানকে আম্পায়ার আউট দিলে বলে-‘ফিডা অশোকারে’। এরশাদ লুচ্চামি করলে বলে- ‘কোপা সামসু’।
অবাস-ব স্বর্গপুরির স্বপ্নালোকে যারা অশ্বা,মেনকা,রম্ভাদের কেলিনৃত্য দেখে উরু চুলকোয়...।

আমি 'একটা সময়' প্রচুর হুমায়ুন আহমেদ পড়েছি, এবং 'একটা সময়' পছন্দও করেছি। অর্থাৎ, আমি আপনার (ব্যক্তিগতই বটে) মত অনুযায়ী 'শ্যালো-পাঠকশ্রেনী'র অন্তর্গত। এবং আরো কিছু, যা যা তারা করে বলে আপনি মনে করেন।

আসলেই, প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখি আমরা!! এই যে, আজকে আমার নিজের সম্বন্ধে এতোখানি উপলব্ধি হলো, সেজন্য বোধহয় আপনাকে ধন্যবাদই দেয়া উচিত!!

কনফুসিয়াস এর ছবি

স্নিগ্ধার উপলদ্ধির সাথে একাত্ম বোধ করলাম।
দুটি পোস্টে মনজুরাউলের মন্তব্য পড়ে আমার মনে হচ্ছে, তিনি একেবারেই "থামতে" জানেন না।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

নিঝুম এর ছবি

কনফু ভাই, কেন বলতে গেলেন এই কথা ? আপনাকে তো এখন শোভন -অশোভন আর বানান শিক্ষার পাঠ নিতে হবে ভাই । এরা তো সব ব্লগিং সাইটকেই সামহোয়্যার ইন মনে করে বসে আছে...
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

হিমু এর ছবি

নিঝুম, আপনি হয়তো ভুলে গেছেন বা আপনার খেয়াল নেই। মনে করিয়ে দিই।

সচলায়তনের সদস্যদের জোরালোভাবে অনুরোধ করা হয়, অন্য ব্লগিং সাইট সম্পর্কে কোন ধরনের কটুক্তির দিকে না যেতে। ভাই, তাদের ব্যাপারগুলির সাথে একমত নই বলেই তো আমরা এখানে লিখি, নাকি? ওখানে যেহেতু আমরা লিখি না, অযথা কেন ঝাল ঝেড়ে বাক্যব্যয় করবো, বলুন?


হাঁটুপানির জলদস্যু

নিঝুম এর ছবি

স্নিগ্ধা আপু, যারা এই ধরনের মন্তব্য করেন, অবশ্যই ধরে নেই , তারাও এক সময় হুমায়ুন আহমেদ এর বই পড়েছেন ( তা না হলে সমালোচনা করেন কি করে ?) সেক্ষেত্রে মন্তব্যকারীও শ্যালো-পাঠকশ্রেণীর’ । যুক্তি তো তাই বলে ...এখন অবশ্য অনেকেই রূপ পালটে তথাকথিত এলিট হয়ে গেছেন । তারা আর এখন মাগিগোরে ফিডা, ফিডা অশোকারে, কোপা শামসু, এইগুলা বলেন না । তারা এখন সুশীল । তাঁরা বলেন জ্ঞানের কথা, মারফতি কথা, নতুন নতুন তথ্য ,গল্প... আরো কত কি ...যাদের গল্প না পড়লে আমরা নাদান হয়ে যাই, "যাদের কথা না পড়লে" আমরা কিছুই জানিনা ...

এইসব সুশীল রা হলো সমাজের কীট আর পতংগ । এদের সবার আগে চিহ্নিত করা প্রয়োজন । তারপর সমূলে উচ্ছেদ...

--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

জিফরান খালেদ এর ছবি

আপনারা সবাই এতো সিরিয়াসলি নিচ্ছেন কেন এসব? উড়িয়ে দিন।

কিইবা আসে যায়?

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম অক্ষরমালার বেশিরভাগি তো পড়া হয় নাই। হবে না। তো?

বাদ দেন এইসব... ভাল্লাগলে লাগসে, না লাগলে নাই...

লিখালিখি শেষ পর্যন্ত একটা নার্সিসিস্টিক টুল।

আমরা সবাই সেই ইগোম্যানিয়ায় আক্রান্ত... আমি আপনি ও তারা...

বাদ দেন...

শরীফ হাসান এর ছবি

হুমায়ূন বিষয়ে মঞ্জুরাউল ঠিক কি বেঠিক সেটা আমার আলোচ্য বিষয় নয়।
১। আমি যেহেতু মনে করি ভাষাই মনোভাব প্রকাশের সর্বত্‌কৃষ্ট মাধ্যম তাই মানুষের ঘৃণা , ভালবাসা আর যা কিছু ,সেটার সর্বোচ্চ প্রকাশ তার কথা,লেখার মাধ্যমেই হোক। মঞ্জুরাউলের যদি ঘৃণা এতই প্রকট হয় আর সেটা যদি তার লেখায় প্রকাশ পায়, তাতে আমি দোষ দেখি না বরং আমি তাই চাই, একজন পাঠক হিসেবে। আমি খারাপ কথা খারাপ ভাষায় পড়তে চাই, সেইক্ষেত্রে সুশীল ভাষা অশ্লীল ঠেকে আমার। আমি ১০০ ভাগ সত্‌ লেখক চাই।
২। "এরা তো সব ব্লগিং সাইটকেই সামহোয়্যার ইন মনে করে বসে আছে..." - আমি আশা করি এই অংশটুকু মন্তব্যকারীর চিন্তাপ্রসূত নয়, হঠাত্‌ রাগের মাথায় বলা। এটা রেসিজমের(ব্লগিং সাইট বিষয়ক) পর্যায়ে পরে বলে আমার ধারণা। লেখায় বা মন্তব্যে অযাচিত অহংকার পাঠকের মনঃপীড়ার কারন হতে পারে। সচলায়তন কে 'দি বেস্ট' মনে করি বলেই এই পরিবারের কাছে আমার প্রত্যাশা অনেক। সেগুলোর মধ্যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর অহংকারী না হওয়াও পড়ে।

শুভ ব্লগিং। ভাল থাকবেন সবাই।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

শান্তি শান্তি শান্তি....



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

মনজুরাউল এর ছবি

নিঝুম,্লিগ্ধা,কনফুসিয়াস।বিষয় একই,তাই একসাথে বলতে হচ্ছে।প্রথমত:আমি আপনাদের
‘সমাজে’ ‘অতিথি’।যদি মনেই করে থাকেন এইসব সুশীল রা হলো সমাজরে কীট আর পতংগ এদরে সবার আগ েচহ্নিতি করা প্রয়োজন । তারপর সমূল উচে্ছদে
তাহলে সম্ভবত আপনারা তা করতে পারেন, আক্রমনের ধরণ দেখে তা-ই মনে হচ্ছে।বেশ।
সাব্বির নামের লোকটির স্বাক্ষাৎকার নিয়েও নিঝুম দু”বার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন! অর্থাৎ স্বাক্ষাৎকারটি ভূয়া ! উন্মাদনা কোন পর্যায়ে ! আমি হুমায়ূনকে অবশ্যই শক্তিমান লেখক মনে করি,কিন' ওই স্বাক্ষাৎকারটি পড়ার পর প্রতিবাদ না করা হিপোক্র্যাসি। না ভাই, আপনারা এই পর্যায়ে ক্ষেপে যাবেন জানলে ‘শ্যালো’ শব্দটা ব্যবহার করতাম না । সবাই যখন ব্যাপারটা নিয়ে ধিক্কার দিচ্ছে তখন আপনারা ওর পক্ষে ছাতা ধরে ‘শ্যালো’ না ‘ডীপ’ সেটা পাঠক বিবেচনা করবেন।ভাল থ্‌কুন। রাগ প্রশমিত হোক।হুমায়ূন শতায়ূ হোন।

.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......

স্নিগ্ধা এর ছবি

বিষয় এক (রকম) বলে একসাথে উত্তর, কিন্তু আমি শুধু আমার কথার দায়িত্ব নিচ্ছি। 'এই পর্যায়ে' ক্ষেপে না গিয়ে এর চেয়ে আরেকটু কম পর্যায় পর্য্যন্ত ক্ষেপলেই কি আপনার ঐ সব বিশেষণ ব্যবহার যুক্তিসংগত ছিলো বলে আপনি মনে করেন?

আমরা কেউই তো নিজের মাপের ওপরে উঠে কিছু বিচার করতে পারি না, তাই আমি আমার অতি সাধারন মানের ভদ্রতা বোধ থেকে মনে করি - আমি হলে ওরকম অপমানসূচক কথা লিখতে পারতাম না। আর আপনি অতিথি বলে তো এখানে কোন বিশেষ ব্যাপার নেই? আপনার কি মনে হয় কোন সচল ওটা লিখলে আমি প্রতিবাদ করতাম না? অবশ্যই করতাম।

আপনি লেখেন খুব ভালো। আপনার লেখার মন্তব্যে সেটা আমি বলেওছি। কিন্তু এত ভালো লিখিয়ে হয়েও রাগ প্রশমণ করতে বলার ঠিক আগেই যে হুমায়ুন আহমেদের (যাকে এখন আমি কিনা রীতিমতো অশ্রদ্ধা করি!) ছাতা ধরতে বললেন, তাতে করে আপনার শুভকামনা কি কার্যকর হবে বলে মনে হয় ?

আশা করছি আপনার লেখা পড়তে পাবো খুব শিগগীরই, কোনরকম তেতো স্বাদ ছাড়াই হাসি

কনফুসিয়াস এর ছবি

প্রিয় মনজুরাউল,
একসাথে উত্তরের বদান্যতায় আপনি যেসব বক্তব্য আমার করা নয়, সেগুলোও আমার মুখে বসিয়েছেন দেখলাম! এবং ছাতা ধরা-টরা নিয়ে কাল্পনিক আরও যা যা বলেছেন, পড়ে টড়ে মনে হলো কথা বাড়িয়ে লাভ নেই, এইবার আমারই থামা উচিৎ।
ভাল থাকবেন।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

স্নিগ্ধা এর ছবি

কনফুসিয়াস - আমিও আপনার মতো নিজেই থেমে গিয়েছি, কারণ এ ধরনের যুদ্ধে জেতার মতো অস্ত্রই আমার নেই হাসি

আর তাছাড়া 'তেতো' জিনিষটা আমার বড়োই অপছন্দ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।