চরাচর মাতানো মাতাল সন্ধ্যাদের একটি ; তার ম্লান আলো আর তেরছা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে, কোন কারণ নেই, অকারণে প্যান্টের বাঁ পকেট থেকে পাচঁশ টাকার বিশটি নোট ডান পকেটে পুরে রাখলো সে । আরেকটা স্মৃতি গেলো তাহলে ! পুরোনো পাওয়ার টিলারটি বিক্রি করে দিয়ে ভালোই হয়েছে । জমির আলী চলে যাবার পর এটা তো স্রেফ পড়ে রয়েছিলো । পড়ে পড়ে এক সময় হয়তো অকেজোই হয়ে যেতো ! তার চেয়ে এই ভালো, হাজার দশেক টাকা তো পাওয়া গেলো – সড়কের এক পাশে দাঁড়িয়ে গেলো সে, দাঁড়িয়ে ভাবলো ।
সড়ক পেরিয়ে মাঠ, আর মাঠের ওপাড়ে নীল এক আসমান দিগন্তে দাঁড়িয়ে । তেমনি নীল নীল গন্ধ, মৃত্যুগন্ধময় সব রহস্য চেপে বসেছে তার মাথায় ! এই পলায়নপর সন্ধ্যা; আর অল্পক্ষণ – রাত্রি এসে কালো নেকাবে ঢেকে দেবে তার পথটুকু । রাস্তাঘাট । দালানকোটা । আর তাই যেন তার বিষন্নতা হয় । আরেকটু দূরে, আকাশের উজানে থালার মতো একটা চাঁদ; গ্রামের বড়বোন এই মফঃস্বলের স্ট্রীটলাইটগুলোর সাথে পেরে উঠতে পারে কী-না বুঝে উঠা দায় । তারও আগে সন্ধ্যা নামে । আধাঁর ঘনাতে থাকে । চারদিকের কতোসব শব্দ তাকে তাড়া করতে আসে । পাশের বাড়িতে কেউ চিত্কার করে বকছে কাউকে । কাছের রাস্তা ধরে কর্কশ স্বরে হর্ণ বাজিয়ে ছুটে গেলো একটা ট্রাক । মাথার খুব কাছ দিয়ে উড়ে গেলো দুটো ঘরফেরতা সারস । কোন ছাদের কোণে একটা বিড়াল ডেকে উঠলো । এইসব অস্ফুট, অশ্রুত সব ধ্বনি তাকে বিহ্ববল করে দিলে, ফের সে আকাশের দিকে তাকায় । চাঁদ এখন আরেকটু উজ্জ্বল ।
কোর্ট রোড ধরে এগিয়ে গেলে প্রথমে শালবন, তার গা ঘেঁষেই জনবসতির শুরু ।বহুজন্মের নিবিড়তা বুকে ধরে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাম নিশিকান্তপুর; তারপর মৌজানা, সারিয়া, ঘুঘুদিয়া, নালীহুরী, বলরামপুর – থরে থরে সাজানো একের পর এক । এই গ্রামগুলোর কোন একটায় যে তার বাড়ি, এই মুহুর্তে তার মনে পড়ে না । আশ্চর্য, সে মনে করতে চেষ্টাও করে না ! তার ভেতর কেবল ঝলক দিয়ে উঠে । বলক বলক কান্না আসতে চায় যেন । বাঁধভাঙা কান্না । তখন দূরে কোথাও একটা নিশাচর পাখি উড়তে শুরু করে । একটা পেঁচা কোটর থেকে বেরিয়ে বটের মোটা আর নিচু একটা ডালে উড়ে বসে । আদিগন্ত জমির একটা আল ধরে বুকে হাঁটে এক সাপ । দূরে একটা ঝাকড়া গাছের মাথায় জোনাকিরা জ্বলতে শুরু করে । ঝিঁ ঝিঁরা ঝোপের নীচে ডাকে । ধানগাছের মাথা থেকে শিশিরের মতো একবিন্দু জল ঝরে পড়ে মাঠিতে । হালকা একটা হিমেল হাওয়া মাঠের দিক থেকে ভেসে এলে বাঁ হাতে সমুহ দৃশ্য সরাতে সরাতে ডান হাতে একটা সিগারেট ধরায় সে ।
কোর্টপাড়ায় পৌঁছে গেলে, ব্রিটিশ আমলের লালরঙা দালানগুলো আগুনের তেজ নিয়ে জ্বলতে থাকে । কী আশ্চর্য, কোর্টের বারান্দায় বাবার একটা অস্পষ্ট অবয়ব ও দেখতে পায় আফতাব ! সেই আগের মতো; লম্বা বারান্দার এক কোণে টাইপমেশিনের উপর ঝুলে থাকা মাথা, ন্যুজ্ব, বাঁকা মেরুদন্ড ভ্রুক্ষেপহীন বাবার অবয়ব ! এই যে সে বাবার পাশ দিয়ে সিগারেট টেনে যাচ্ছে, কিংবা আদালত পাড়ায় যে আর একটা প্রাণীও নেই এই সন্ধায় তাতে যেন বাবার কিছুই যায় আসে না ! কী এক অদ্ভুত মগ্নতায় টাইপ করেই যাচ্ছেন । কোন ভুলচুক হলেই বুঝি সর্বনাশ হয়ে যাবে ! চব্বিশ বছরের পেশা বলে কথা ! কিছু একটা করতে যেয়ে, কোন একটা বানান ভুল হয়েছে কোনদিন, তো, বাবার সে কী অস্থিরতা !!
-‘বুঝলি খোকা, কোন কাজে যদি ভুল করিস, তো প্রমাণ হলো সেই কাজে তোর নিষ্ঠা ছিলো না শতভাগ । আর পেশা হলে তো কথাই নেই । তোর রুটি-রোজগার যেখানে জড়িত, তাতে ফাঁকি দিলে চলে?’
-‘একটা বানানই তো ভুল হয়েছে, অন্য কিছু তো নয় ! এতো হুলস্থুলের কি আছে বুঝি না !’
ছোটবেলায় বাবার টাইপ মেশিনটা যখন খুবই আগ্রহের বস্তু; সে লিখতে বসতো – বক, আম, নদী, কিংবা বড় হয়েও শখের বশে; একটা বানান ভুল হলেই সারা!
-‘ভুল তো সব ভুলই রে খোকা ! ছোট ভুল, বড় ভুল সবই এক...’
এই যে এতো শুদ্ধতাচারী তার বাবা, আরও সত্যাশ্রয়ী তাঁর জীবনদর্শন; তার ফাঁক গলেও ছোট-ছোট ভুল, বড়-বড় ভুলগুলো কি ঢুকে পড়ে নি অনায়াসে ? তার আর তর্ক করতে ইচ্ছে করতো না তখোন । আসলে কোথায় যেন বাধতো । জিজ্ঞেস করা হতো না – কোন ভুলে তুমি এমন ফাঁদে পড়লে বাবা ? কে তোমাকে এমন ফাঁদে ফেললো তবে ?
পাশ দিয়ে সাঁ ক’রে বেরিয়ে যাওয়া মোটর সাইকেলের কর্কশ ভেঁপু বেজে উঠলে তার বিভ্রম কাটে । বাবা তো নেই ! বাবার টাইপ মেশিন নেই । সেই মগ্নতা নেই । বাব বিষয়ক কতো কিছুই তো নেই আজ কতোদিন ! এইসব কথা ভাব্লে আজ শিরা কষ্ট পায় । মাথার ভেতর লুকিয়ে থাকে সাঁড়াশিগুলো হামলে পড়ে । রক্তের উজানে এক অজ্ঞাত অসুখ ! সে কি আর স্বাভাবিক হতে পারবে না কোনদিন ! অন্য সবার মতো ? কেন তার শুধু এমন হবে! এই যে স্মৃতির ভেতর স্মৃতি । সাঁড়াশির ভেতর সাঁড়াশি । রক্তের কণায় কণায় আততায়ী নৃত্য ! অথচ মানুষজন কতো দিব্যি সুখী-সুখী অভিনয় করে যায় !খায়, দায়, বাচ্চা বিয়োয় । তার গদ্য-পদ্য বুঝে না । বুঝতে চায়ও না । তাকে বুঝতে হয় কেন ?
সে কেন একটা পঙত্তির আক্রমণে সারারাত জেগে থাকবে ? কোথায়, কতোদুরে, ভুগোলের এক প্রান্তে বসরা কি নাজাফে, এই যে ধুম করে মরে গেলো মহিলা – পেটের ভেতর আট মাস বয়সী বাচ্চা নিয়ে, বুকের উপর বোমা বেঁধে ! তার শোকে সে কেন হবে তবে কাতর জলের নদী ! তবে কি সে নিজেই নিজের ভেতর তৈরী করে চলছে অনতিক্রম্য এক অন্ধকার ? তাই এমন বিভ্রম পলে পলে ! ঠুকরে খাওয়া এই মন, ছিন্ন হয়ে যাওয়া এই অতীত বয়ে নিয়ে কতোদুর যেতে পারবে সে ? চকিতে আফতাবের মনে এই প্রশ্ন জন্মায় । আর দেখে যে হাতে ধরা সিগারেট পুরোটাই ছাই হয়ে গেছে ততক্ষণে !
সেই সকালে তার শহরে আসা । প্রায়ই যেমন আসে । দুপুরে পেটে টান পড়লে দ’টো সিঙারা,এক কাপ চা কিংবা লুচি । রাত নেমে আসতে থাকলে বাড়ি ফেরা । তার কাছে আশ্চর্য এক ভালোলাগার প্রাত্যহিকী । আজ ও তার ব্যত্যয় হয় নি । দুপুরে ঠিক ঠিক দু’টো সিঙারা খাওয়া হয়েছে আশার আলো হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট-এ, তবু কেন তার খিদে পেলো এখন ! পেটটা মোচড় দিয়ে উঠলো বার কয়েক ! আজ কি তবে দেরী হয়ে গেলো ফিরতে ? তার হাত ঘড়ি নেই । তবু আফতাব আন্দাজ করতে পারে, রাত নেমেছে ভালোই । জোত্স্নাও বেশ আগ্রাশী আগের চেয়ে । সে কি একবার লেইক রোডের দিকে যাবে ? ঘুরে আসবে অলকাদের বাড়ি ? কতোদিন হলো ওদিকে যাওয়া হয় না ! অথচ এক সময় অলকাদের ‘শ্যামলিয়া’ নামের বাসাটায় তার কিংবা আর মতো আরও আরও অনেকের কতো সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-রাত যে কেটেছে সুরের পিপাসায় ! সুর ! গান ! না কি অলকা নামের খঞ্জনা পাখিটার টানেই যেতো সব ক’টা ! না হয় পারদবিন্দুর মতো ধীরে আর সুনিপুন দক্ষতায় অলকা যখন মুসা ভাইর দামী দোতলার পুষ্পশোভিত ব্যালকনিতে স্থানান্তরিত করলো নিজেকে, তারপর থেকে এই শহরের অধিকাংশ যুবকের গান শেখার আগ্রহ উবে গেলো কেন ? আর সবার কথা বাদ, সে নিজেও কি অলকার মা’কে বলতো না – ‘যে কোন মূল্যে আমি গানটা শিখতে চাই, মাসীমা।’ অলকা হয়তো হাসতো মনে মনে । আর কেউ না জানুক, অলকা তো ঠিকই ধরতে পেরেছিলো কে কোন লক্ষ্য নিয়ে ‘শ্যামলিয়া’য় আসতো । সত্যিই কি জানতো ? জানতোই যদি যে, গান শিখতে আফতাব তাদের বাসায় আসে না, সে শুধু চাইতো অলকার একটুখানি সান্নিধ্য । নারকেল গাছের দীঘল পাতার মতো থিরথির করে হৃদয়টাকে নাড়াতে, কিংবা ওই নীল প্রজাপতি, তার ডানায় রাজ্যের উচ্ছ্বাস ঢেলে দিয়ে অবাক থাকিয়ে থাকা ! বুঝলো না তো ! অলকা তো কখনোই বুঝলো না ! চোখের পাতায় আসনপাতা মখমল আলো সরিয়ে দিয়ে একবার ও কি বলতে পারতো না, কোন একদিন সন্ধ্যায়- আকাশের ঈশান কোণে পথহারা মেঘেরা জমেছে তখন, ‘আজ যে গানটা গাইলাম আফতাব ভাই, এটা তোমার জন্যেই ।’ সে তো কতোবারই বলছে, ‘কে কেমন গায়, জানি না । গান বিষয়ে আমি তো ব-কলম জানোই । তবে একটা কথা বলতে পারি অলকা, তুমি যখন ওই গানটা গাও না...’ মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে অপার আগ্রহ মাখিয়ে অলকা জানতে চাইতো-‘কোনটা?’
- ‘ওই যে, ...তুমি হঠাত্ হাওয়ায় উড়ে আসা ধন...- আমি বলে দিতে পারি কণিকাও এমন করে গাইতে পারবে না । আমাদের বন্যা,মিতা তো নস্যি !’ অলকা তখন বাঁধভাঙা নদী, সবুজ ঘাসফড়িং; আফতাব কে ছুঁয়ে বলতো- ‘এ তোমার দয়া মহারাজ, আর আমার ধন্য হওয়া ’
না, এতোরাতে’শ্যামলিয়া’য় যাওয়া ঠিক হবে না । অলকার মা যদি জিজ্ঞেস করেন সে গান শিখতে আসে কেন আর , তখন কি উত্তর দেবে সে ! বলে দেবে, আমি তো আসলে গান শিখতে আসতাম না মাসীমা । আমি তো অলকার জন্যেই...। তার হাসি পেলো । কী এক রহস্য যে আজ সন্ধ্যায় তাকে নাচাচ্ছে ! অথচ কী নির্বিকার সে ও সেজে যাচ্ছে সঙ ! কখনো বাবার সঙে মঞ্চে । কখনো অলকার সঙে জলসায় ! শহরের চেনা-অচেনা সব গলি যেন আজ ভরে উঠতে চাইছে গল্পে, স্মৃতিতে, কিংবা কানামাছি ভোঁ ভোঁয় । আর সে ও কালের ভেতর থেকে উঠে আসা আতংকিত কিশোর, এই বতাকে ধরে ফেলবে কেউ ! বাবা...অলকা...গানশেখা ইত্যকার বিষয়গুলো ভাবতে-ভাবতে কোন দূর অতীতের, কিংবা ঘাড় ঘুরালেই দেখা যায় এতোটা কাছের স্মৃতি, দুধে-আলতা জোছনার এই শহর আর নির্জনতম কোর্টপাড়া তাকে বিপন্ন করে তুলে । সাঁ সাঁ করে ধেয়ে আসা বিগত গল্প, চেনা চেনা সব মুখগুলো- এদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাবার প্রচেষ্টায় যেন, আতংকিত আফতাব হুট করে গভীর এক গুহায় নিজেকে সরিয়ে নেয় । তবু ছিদ্র থেকে যায় গোপনে । আর লহমায় সেই ছিদ্রপথ ধরে হু হু করে এবার ঢুকে পড়ে মোনা, বড়’পা, মা, আর আরো এক ভয়াবহ পূর্ণিমার রাত ।
( আগামীতে সমাপ্য )
মন্তব্য
নতুন করে আর কী বলবো।
এরকম টানটান গদ্য ক'জনই বা লিখেন? ক্যামন মোহ জাগায়...
আমি তো এমনিতেই অনেক আগের মুগ্ধ পাঠক।
মন্তব্যের ঘরে কেবল বলে যাই, এরকম লেখা আরও চাই...।
সত্যি বলতে কি আপনার মন্তব্য আশা করছিলাম শিমুল মনে মনে । দেখি, প্রথম মন্তব্যটাই আপনার । ভালো লাগলো খুব ।
---------------------------------------------------------
'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
হুম, সেই আদি অকৃত্রিম সুপান্থদা' স্টাইলিশে, বলনে, কথনে। ভালো লাগতেছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ের অপেক্ষায়।
অফটপিক: মামুন হূসাইন আমারও প্রিয় একজন গল্পকার। আচ্ছা, কবি মুজিব ইরমের বাড়ি কি নালীহুরী? তার কবিতায় এই নামটি প্রায়ই দেখি।
ধন্যবাদ পান্থ ।
মামুন হুসাইন আমার প্রিয় গল্পকারদের ছোট্ট তালিকার উপর দিকেই আছেন । তাঁর শান্ত সন্ত্রাসের চাঁদমারি , অ-সাধারণ ! পড়েছো কি ?
হাঁ, মুজিবের গ্রামের নাম নালীহুরী । আমাদের প্রতিবেশী গ্রাম । আমি আর মুজিব, বলতে গেলে প্রায় প্রতিবেশী দুই শহরে থাকি, এখানে, এই ভিনদেশেও !
---------------------------------------------------------
'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
পুরোটা পড়ে একবারে মন্তব্য করবো
সেই অপেক্ষায় র'লাম স্নিগ্ধা । ভালো থাকবেন ।
---------------------------------------------------------
'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
হু... পুরোটা পড়বো...
তারপরো তো কিছু বলার থাকবে না মুগ্ধতা ছাড়া, জানি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মূর্তি বনবার কালেও যে সময় করে পড়ে গেলেন বস্ , সেই অনেক । এই গল্প একটু বাড়তি-দীর্ঘ ! ধৈর্য্য না হারালেই হলো । মনে হয় আরো ২ পর্বে দিতে হবে ...!!!
---------------------------------------------------------
'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
কবিরা যখন গল্প লিখেন , তখন মুগ্ধ হয়ে পড়তে হয় ।
পুরোটা পড়ার পরে গল্প নিয়ে মন্তব্য করা যাবে । আপাতত গল্পভাষার প্রতি মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম ।
পুরোটা পড়ার পরে গল্প নিয়ে মন্তব্য করা যাবে । আপাতত গল্পভাষার প্রতি মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম ।
উপন্যাসিকেরা যখন মন্তব্য করেন, তখন ততোধিক মুগ্ধ হয়ে অপেক্ষায় থাকতে হয় । তাই থাকলাম ।
---------------------------------------------------------
'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
- আপনার গল্প পড়াটা একটা এডিকশনের মতো, পড়তে চাইনা তাই। দেখলে পড়তে শুরু করতে হয়, আর শুরু করলে শেষ করেই তবে ছাড়তে হয় সুপান্থ'দা।
মুগ্ধ হলাম প্রথম অধ্যায় পড়ে। বাকী অধ্যায় গুলোও পড়ার প্রহর গুণছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পড়তে চাইনা তাই
ভয়াবহ কথা গো ধুঃগোঃ দা' !! ( কি কও এইসব , আমি কী-না তোমার জন্য নিত্যদিন একটা শালী প্রার্থনা করে চলেছি এর ওর কাছে , আর সামান্য নেশা উজিয়ে তুমি আমার লেখা পড়তে চাও না !! যা ও নেশার মাত্রা কমিয়ে দিলাম আজ থেকে )
তবু ধন্যবাদ শেষ যে করেছো তাই ।
প্রহর গুনছো ?
আমি তাই গুনছি ।
তোমার জন্য একটা শালীর ।
আর আমার পরবর্ত্তী লেখার জন্য তোমার একটা মন্তব্যের ।
---------------------------------------------------------
'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
স্মৃতি সহোদর হওয়ার এই এক সমস্যা । গল্প তখন আর শুধু গল্প থাকেনা, নির্মোহ পাঠের সুযোগ সীমিত হয়ে আসে ।
যদি ও পণ করেছি এই গল্পের আমি নির্মোহ পাঠক হবো ।
যদি এটা উপন্যাস হয় প্রারম্ভিক বর্ননায় আমি মুগ্ধ। কিন্তু গল্প হলে বর্ননা কিছুটা ভারাক্রান্ত ঠেকে । গদ্যে কবিতার ঘূর্নি নিঃসন্দেহে মোহময়তা সৃষ্টি করে ।কিন্তু তবু যদি এ গল্প হয় তাহলে তো শেষপর্যন্ত তা মুলতঃ গদ্যই ।
কবিতার লাইন হিসেবে দারুন মানিয়ে যায়, কিন্তু গদ্যে? নিরেট গদ্যকার হলে হয়তো লিখতেন ' আর তাই সে বিষন্ন হয়'
বাকীপর্বের অপেক্ষায় আছি ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আশার আলো হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট
হুম,এটা সেই আশার আলো কে মনে রেখেই লেখা, যখন লেখা হয়েছিলো !
আর অল্পক্ষণ – রাত্রি এসে কালো নেকাবে ঢেকে দেবে তার পথটুকু ।
আর
আর তাই যেন তার বিষন্নতা হয়
সহমত না পোষণ করে উপায় নেই ! দারুন বলেছেন আপনি , একবারে জাত সমালোচকের মতো ! কাছের বান্ধবের মতোও । মুশকিল এই ই , কবিতার হামলে পড়া ঠেকানো কখনো কখনো কঠিনই !
গল্প হলে বর্ননা কিছুটা ভারাক্রান্ত ঠেকে । গদ্যে কবিতার ঘূর্নি নিঃসন্দেহে মোহময়তা সৃষ্টি করে ।কিন্তু তবু যদি এ গল্প হয় তাহলে তো শেষপর্যন্ত তা মুলতঃ গদ্যই ।
হুম, গদ্য শেষপর্যন্ত গদ্যই । কিন্তু কথা বেশী বলার বাতিক থেকেই মনে হয় অল্প কথায় সারতে পারি না সব কিছু । আবার , স্লিম গদ্যের আশায় , কাঠখোট্টা গদ্যেও অনিহা ও কম নেই ... কী আর করা !!
অপেক্ষায় আছেন জেনে খুশী হলাম ।
---------------------------------------------------------
'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
হাসান ভাইয়ের কথা মানতে পারলাম না। রাত্রি কেন শুধু কবিতারই হবে? অথবা কাব্যময় লাইন কেন গল্পে থাকতে পারবে না?
অবশ্যই পারে।
এই বর্ণনাই বরং বেশি ভাল লাগছে।
কবিতা বা গল্প বা আর কোন নামে কোন লেখাকেই এখন আর বোধহয় সহজে ট্যাগিং করা যায় না। বরং লেখাটা পড়ে পাঠকের যা মনে হবে, তার কাছে আসলে এটা ঠিক তা-ই, কাব্য বা গদ্য।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
মোরশেদ যেটা বলতে চেয়েছিলো,যে , গদ্যে কবিতার আক্রমণ প্রার্থিত নয় ।
আবার আপনি যখন বললেন,পাঠকের যা মনে হবে, তার কাছে আসলে এটা ঠিক তা-ই, কাব্য বা গদ্য।
সেটাও সই মনে হলো । আসলেই তাই , আমার খুব প্রিয় লেখক সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের অধিকাংশ লেখাই না-কবিতা, না-গল্প ! সন্দীপন নিজেও এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন - এই বিভাজন তিনি মানেন না !
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
---------------------------------------------------------
'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
আফতাবকে আত্মীয় মনে হচ্ছে, যেন সে কতকালের চেনা।
চলুক। পরের দুই কিস্তিও পড়ে ফেলব।
পুনশ্চ : শিরোনামের মোটা হরফের 'বিবরনী'টা অন্তত 'বিবরণী' লিখুন, বাবার অস্থিরতা নইলে বেড়ে যেতে পারে।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
পরের দুই কিস্তিও পড়ে ফেলব -
এই তো অনেক মুজিব ভাই । আফতাবরা তো ময়দানের হাওয়া থেকেই উঠে এসে নিশিন্দা মেঘের বাতিঘর 'র সন্ধান করে, আর পথ ভুল করে, কী-পথ তাদের ভুল করায়; চেনা একটু লাগবেই বৈ কি !
ধন্যবাদ মুজিব ভাই,'বিবরনী' কে 'বিবরণী' করে দিয়েছি।
( আফটপিকঃ পুরো দায়টা আমার না । এই 'ন' আর 'ণ' নিয়ে যখন মহা বিপদে, ফোন দিলাম হাসান মোরশেদ কে , এই ব্যাটা বলে কি,'ন'-ই হবে । সব চেয়ে ভালো হয় তুই জুলিয়ান ( সিদ্দিকী ) ভাই'র লগে যোগাযোগ কর্ । বলেন তো তখন কেম্নে কি ! সো...এই হাল )
---------------------------------------------------------
'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
দারুন শুরু , বাকীটা পড়ার অপেক্ষায়
পুরোনো কালের েক ভক্ত
লিপি
পড়ার জন্য, মন্তব্যের অনেক কৃতজ্ঞতা ।
পুরোনো কাল ফিরে আসুক নুতন গল্পের দেঁউরিতে ...
---------------------------------------------------------
'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
নতুন মন্তব্য করুন