অন্ধরাতের ধারাবিবরণী ( দ্বিতীয় অধ্যায় )

সুমন সুপান্থ এর ছবি
লিখেছেন সুমন সুপান্থ (তারিখ: শনি, ২৫/১০/২০০৮ - ৭:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অন্ধরাতের ধারাবিবরণী (প্রথম অধ্যায়)

গ্রামজুড়ে সে রাতে কীর্তনের সুর । মথুরার প্রেম-বিরহ গাঁথা ধান কেটে নেয়া নগ্ন মাঠের ওপর দিয়ে হু হু করে ভেসে যাচ্ছে, মিশে যাচ্ছে কার্তিকের আসন্ন হিমের ভেতর । পালপাড়া থেকে ভেসে আসছে ঢোল-করতাল-মৃদঙ্গের মিলিত সিম্ফনি । বাবা তার ভেঙে যাওয়া চশমার ভেতর দিয়ে পড়ে যাচ্ছেন পুরোনো কোন সাপ্তাহিকী । হয়তো ওই দিনের দৈনিকই ছিলো সেটা । কিংবা কল্পনা চাকমা বিষয়ক কোন সংবাদ ; ওই যে পাহাড়ের মেয়েটাকে হাওয়া করে দিলো রাষ্ট্র,কী রাষ্ট্র নিয়োজিত জলপাই রঙেরা ! আফতাবের মনে আছে ঠিক, সময়টা তখনকার । সে সবে রাত দশটার সংবাদ শুনে ট্যু-ব্যান্ড রেডিয়োটা বন্ধ করে শুয়েছে কি শোয় নি , মোনা ঘুমের ঘোরে বড়’পা কে জড়িয়ে ধরেছে । আর বড়’পা বোধকরি তখন নির্ঘুম চোখে ভাবছিলো কাউকে । বাবা ডাকলেন, ‘শা’নারা’ । মা’র ভালো নাম শাহান আরা । বাব ডাকতেন, শা’নারা । সে খুব স্পষ্ট মনে করতে পারে, বাবা এরপর ডাকলেন কয়েকবার । দ্রুত । পরপর । শেষবার যখন ডাকলেন, বাবার গলা তখোন ধরে আসা, শ্লেষামিশ্রিত ! আতংকিত শোনাচ্ছিলো হয়তো বা । তিনি হয়তো সবার আগেই বুঝে গিয়েছিলেন কি ঘটে গেছে । কিন্তু তারা, ভাইবোন কেউই কিছু বুঝে উঠতে পারছিলো না । বড়’পা না । মোনা না । আফতাব ও না । না-ঘুম না-তন্দ্রামাখা চোখ-মুখ নিয়ে উঠে এসে সে কেবল জানতে চাইছিলো, কখনো বাবার দিকে তাকিয়ে, কখনো বড়’পা’র দিকে তাকিয়ে – ‘কী হয়েছে...? কী হয়ছে বড়’পা ? মা কোথায় কোথায়...?

মা যে সে রাতে কোথায়, কোন নিশির টানে হারিয়ে গিয়েছিলেন সেটুকু বুঝে উঠতে আফতাব আর মোনার যেটুকু সময় লেগেছিলো, বাবা আর বড়’পার তা লাগে নি । বলেই, হয়তো তারা কেউ কারো চোখের দিকে তাকাতে পারছিলেন না ! কি ভীষণ অবিশ্বাস আর সন্দেহের অধিক এক বিপন্নতা নিয়ে, পরষ্পর পরষ্পরের দিকে না-তাকিয়ে থাকছিলো তারা চার চারটি মানুষই !! বিশেষতঃ এক যুবতী কন্যা আর তার বিপন্ন জনকের মৃত্যুযন্ত্রণাধিক অস্বস্থি, ছিলো আলাদা করে রাখবার মতো ।

মা’র ঘর ছেড়ে যাবার পরও বাবার জীবন যাত্রায় এতোটুকু বদল আসে নি । ঠিক আগের মতোই কোর্টে যেতেন, সন্ধ্যায় ফিরতেন । শুধু গ্রাম বা কোর্টপাড়ায় প্রবীণ দলিল লেখক হিসেবে যারা সম্মান করতো, অন্যরকম ভাবতো, বাবার প্রতি তাদের আচরণ, চাহনি সব বদলে গেলো ! তাদের এই তীব্র তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থেকে নিজেকে আড়াল করতেই যেনো, বাবা তার চশমা বদলালেন । গাঢ় রঙের গ্লাস । নতুন ফ্রেম । তাতে ও রক্ষা হলো না । বাবার পাশের টেবিলে বসে টাইপ করতো যে লোকটা, একদিন বাবাকে শুনিয়ে শুনিয়েই কাকে যেনো ডেকে বললো- ‘ ঢং দেখে বাঁচি না !! ব্যাটা নপুংশক ! বউ যায় মদ্দের হাত ধইরা, বউ সামলাইয়া রাখতো পারে না- চশমা পাল্টায় ! যত্তোসব ভীমরতি...।’ সেদিন যে বাবার কী হলো ! বাড়ি ফিরলেন প্রচন্ড জ্বর নিয়ে । রাতে খেলেন না কিছুই । সটান শুয়ে পড়লেন বিছানায় । সেই যে শুয়ে পড়লেন আর উঠে দাঁড়ালেন না ! ডাক্তার বললো, স্ট্রোক । বাবা বললেন না কিছুই ।

এরই মাঝে বড়’পার বিয়ে দিয়ে দিতে পেরেছিলেন বাবা । মা’র মতোই সুন্দরী ছিলেন বড়’পা । ফলে বিলেতী পাত্রের সাথে তার বিয়ে হতে কোন অসুবিধায়ই হয় নি । এমন কি মা’র এই ঘটনা জানাজানির পরও ! অসুবিধা যেটুকু হলো, বাবার পৈত্রিক সম্পত্তির উল্লেখযোগ্য একটা বিক্রি করে দিতে হলো যৌতুক আর বিয়ের অন্যাসব খরচাদি মেটাতে । বিয়ের পর বড়’পা চলে গেলো লন্ডনে । সেই যে গেলো আর কোনও যোগাযোগই থাকলো না তাদের সঙ্গে । বাবার সাথে তো কোনও কথাই বলে নি সেই রাতের পর থেকে । বড়’পার ধারণা বাবার নিষ্পৃহতাই মা’কে এতো বড় সিদ্বান্ত নিতে বাধ্য করেছে । মোনার যুক্তিও হয়তো তাই ছিলো । জানা হয় নি । আর আফতাবের নিজের ? আফতাবের কাছে এ তো জন্ম-মৃত্যু-সৃষ্টির মতো মহারহস্যের হয়েই আছে । শত চেষ্টা করে ও সে নিজেকে বুঝাতে সক্ষম হয় নি – এতো যে আদরের এই আফতাব, তাকে ফেলে তার মা কোথাও যেতে পারে ! মা তো তাকে ছেড়ে একদিনও থাকতে পারতেন না ! আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে কোথাও বেড়াতে গেছে আফতাব, ফিরতে হয়তো একটু দেরি হয়ে যাচ্ছে- মা’র সে কী অস্থিরতা তখন !! কথায় কথায় বলতেন ‘সাত রাজার ধন আমার খোকা , আমার কলজের টুকরা – খোকা তরে একদিন না দেখলে মনে হয় কি যেন নাই কি যেন নাই !’ সেই মা এখন তাকে ফেলে থাকেন কী করে তাহলে !
এই সব ভাবলে তার অস্থিরতা বাড়ে নিজেকে শূন্য লাগে । আর ফের অতীতের কোন দৃশ্যে নিজেকে গেঁথে দিতে ইচ্ছে করে । ছোটবেলায় তার শ্বাসকষ্ট হতো খুব । সে কি ভীষণ কষ্ট !! কিন্তু তার চেয়েও বেশী কষ্টে ভুগতেন মা । তাকে কোলে নিয়ে উঠোনময় সে কি পায়চারি ! যেন হাঁটা থামালেই তার সোনামণির কষ্ট বেড়ে যাবে আবার ! আর সেই সঙ্গে কান্নামাখা কণ্ঠে সমানে পড়ে যাচ্ছেন দোয়া-দুরুদ । হামদ্‌-নাত । সব শেষে ঘুম পাড়ানি গান-
কে আইছো রে পুবের বন্দ দিয়া
আমার খোকা হজাগ নাই
ঘুমাই গেছইন গিয়া

আশ্চর্য, দোয়া-দুরুদ-হামদ্‌-নাত শেষ করে যেই না ঘুম পাড়ানি গানে এসে পৌছতেন মা, অমনি তার শ্বাসকষ্ট কমে যেতো ! সেই মা তাকে ফেলে এতোদিন আছেন কি করে ! কই আর কারো মা তো এমন করে সব ছেড়ে ছুঁড়ে, বুকের ধনদের ফেলে, এতোটা বছরের গার্হস্থ্যসুখ ফেলে, সংসারভর্তি নিজস্বতা ফেলে, এমন অন্ধকারের দিকে বেরিয়ে পড়ে না ! তবে কি সুন্দরী মা’দের এমন করতে হয় ? তাদের উপর নিশি লাগে ? সর্বনাশের বান কেবল তাদেরই ডাকে ? আফতাবের ধন্দ লাগে । না কি মোনা আর বড়’পার ধারণাই সত্যি ? বাবারই কোন ব্যর্থতা কাজ করছে নেপথ্যে ? কিন্তু, এই যে তাদের ভাই-বোনদের এতো ক্ষোভ, সন্দেহ, ছিঃ-মেশানো ব্যবহার – বাবকে তো কিছুই স্পর্শ করতো না ! নিজের তৈরি বুহ্যের ভেতর তিনি ছিলেন আশ্চর্য নিরাপদ ! আত্মপক্ষ সমর্থন করেও কোনদিন বললেন না, বলতে তো পারতেন – ‘আমার কি করার ছিলো, তোরাই বল্‌ ? তোরা তো এখন বড় । সবই বুঝিস । আমার যদি ভুল হয়েই থাকে, তো প্রায়শ্চিত্ত করে নেবো না হয় । আর কী-ই বা করতে পারি আমি !’
এই ব্যাপারে এতোটা নিরীহগোছের বাক্যও কোনদিন ব্যবহার করেন নি বাবা । যেন সবার কথা মেনে নিয়ে, নিজেই বুঝে গিয়েছিলেন, এর সবটুকু দায় তাঁর । তাতেও যে বড়’পা বা মোনা বাবাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলো, তা ও না । বড়’পার যা হোক একটা বিয়ে অন্তত নিজের হাতে দিতে পেরেছিলেন বাবা; মোনা তাকে সেই সুযোগও দেয় নি । তার আগেই নিজেদের বাড়িতে বছরচুক্তিতে কামলাখাটা জমির আলীর হাত ধরে পালিয়ে গেলো আরো এক রহস্যগন্ধী পূর্ণিমার রাতে ! পড়শীরা বহু আগে দৃশ্যত এক নাটকের দ্বিতীয় পর্ব দেখতে পেয়ে ফের, রস মেশানো এক তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বললো-‘যে মায়ের যে ঝি !’ বাবা বললেন, রক্ত । রক্ত শুধু রক্ত । দ্যাখ্‌ খোকা, শুধুই রক্তের খেলা- লালে লাল...!
ডাক্তার বললো, ব্রেইনস্ট্রোক । মস্তিষ্কে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ । বাব আবার বললেন, লাল রক্তে লাল । তারপর নিশ্চুপ । নিথর ।

ঘোরগ্রস্থতা কেটে গেলে নিজেকে ম্যাজেস্ট্রিট কলোনির পাশের রাস্তায় আবিস্কার করে আফতাব । অনেকখানি পথই তাহলে হেঁটে এসেছে এই সৃতিচর্চার ভেতর দিয়ে!
হঠাত্‌ই খেয়াল করলো আফতাব, শহরের এই অংশটা যেন আচমকাই ঢুকে পড়েছে গ্রামের পেটের ভেতর, তার সমূহ চরিত্র নিয়ে । কি নির্জন ! আলতো করে ঝরে পড়ছে কুয়াশা । পৌর কর্তৃপক্ষ হলুদরঙা সড়কবাতি বসিয়েছে শহরময় । ফলে অন্ধকার কিছুটা রহস্যগন্ধীও । গাছপালা, শালবনের নিবিড়তা ভেদ করে জোছনা আছড়ে পড়তে চাইলেও অন্ধকারের দাপটই যেন প্রবল । শহরের এই দিকে সরকারি কর্মচারি-কর্মকর্তাদের বাসস্থানই বেশি । ম্যাজেস্ট্রিট কলোনী, আফিসার্স কলোনি, পুলিশ সুপারের বাসভবন- সবগুলোই পাশাপাশি । নাগরিক হুল্লোড়, শহুরে কোলাহল থেকে আমলাদের নির্ঝঞ্ঝাট গার্হস্থ্যজীবন রক্ষাকল্পেই মাননীয় সরকার মহাশয়ের এই পরিকল্পিত গৃহায়ন যেন ! অথচ যাদের খেদমতে এদের নিয়োগ, সেই সাধারণ,অতি সাধারণ আমজনতার গৃহ তো গৃহ পুরো জীবনটাই যে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে দিন কে দিন; কি শহর, কি গ্রামে – কে সেটার কেয়ার করে থুরাই ! প্রায় রাতেই হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফেরার সময় আফতাবের এরকম মনে হয় ।

আজও হয়তো এই বিষয়টাই মনে আসতো, যদি না হিমের সাথে ভেসে আসা আচানক উচ্চারণগুলি তাকে চমকে দিতো । আশাপাশে হঠাত্‌ই কেউ যেন ফণাতোলা গোখরো ! ফোঁস ফোঁস !! আফতাব চমকে উঠে । চমকে চমকে উঠে ! তার মগজে তড়িত্‌ খেলে যায় । সে যে আফতাব, মাঝে মাঝে রাত জেগে যে কবিতা লিখতে চেষ্টা করে, ফি-রাতে বাড়ি ফেরার প্রাক্কালে ওই দামী দামী ইমারতগুলোকে যার শুয়ো্রের খোয়ার মনে হয়; যে শুয়োরগুলো সকাল ন’টায়ই ঝাঁপিয়ে পড়বে যে যার মতো, কেউ বা খাকি পোশাক পড়ে, কেউ কালো গাউন পড়ে,ঝাঁপিয়ে পড়াই আসল কাজ ! এদের আবাসস্থলের দিকে তাকিয়ে তার সমস্ত ক্ষোভ বমির মতো উঠে আসে গলা অব্দি ! আর তত্‌ক্ষণাত্‌ তার এমন বিবমিষা হয় যে, মনে হয় সে ও যদি ঝাঁপিয়ে পড়তে পারতো তামিল অই মেয়েটার মতো বুকে বোমা বেঁধে ! কিংবা বইয়ে দিতে পারতো প্লাবন এক, পেচ্ছাবে ! এই যে আফতাব, যে কি না প্রচন্ড প্রতিবাদমুখর, অন্তত নিজের ভেতর; যে কি-না কবিও – সে তার স্নিগ্ধতা কি দ্রোহের এই যৌথ অস্তিত্ব ভুলে যায় তখন । তার অর্জিত রুচি, বোধ, বিশ্বাসের কথা ভুলে যায় ! আর ভুলে গিয়ে ড্রেন টপকিয়ে পাশের দেয়ালের উপর দাঁড়িয়ে এইসব শব্দের উত্‌স খুঁজতে থাকে । সে নিচু এক ভেন্টিলেটরের ছিদ্র দিয়ে চোখ রেখে উত্‌কর্ণ হয় ভেতরের দৃশ্য দেখবার ইচ্ছায় ! সে নিজের ভেতর পাল্টে যায় ক্রমশ । এইরকম ইচ্ছা ও আচরন করছিলো বলে, আশ্চর্য, তার খারাপও লাগে না ! নিজের কাছে নিজে ক্ষুদ্রতর হয় না সে ! অথচ হবার কথা ছিলো । বিবেকভ্রষ্ট । নীতিহীন । অন্যের একান্ত ব্যক্তিগত জীবনে চোখ পাতবার কু-স্পৃহা গ্রাস করছে তাকে ! তবু সে পুলকই বোধ করে যেন ! চোখ রেখে নকশাকাঁটা ভেন্টিলেটরে, সে দেখে ঘরময় সবুজ আলো । মিহি নরম এক আলোময় কূহক যেন । তার মধ্যে ভাসছে দু’টি চেতনালুপ্তপ্রায় মানুষ ! দু’টি অনাবৃত দেহ !

নারীটিকে চিনতে পারছিলো আফতাব । নোঁয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা । প্রায় দিনই পথে দেখা হয় মহিলার সাথে । হিজাবাবৃত নত মাথা নিয়ে, নিজেকে ঢেকে-ঢুকে রেখে, এতোটা সন্তর্পণে হাঁটেন এই মহিলা যে, কখনো চোখের দিকে সে তাকাতে পেরেছে বলে মনে পড়ে না । তবু একবার, গত নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে না কোথায় যেন কথা হয়েছিলো । স্বামী সরকারি চাকুরে, মহিলার এক ছেলে ক্লাস থ্রি-তে পড়ে- এমত টুকটাক দু’একটা কথা হয়েছিলো সেবার । আজ রাতে এমন পরিস্থিতিতে, এমন রূপে তাকে দেখতে পেয়ে আফতাবের প্রচন্ড ধাক্কা লাগে । কিন্তু ঢেউ খেলানো শরীর, নেশামেশানো উচ্চারণ, আর দুর্দমনীয় এক আকাঙ্খা আফতাবকে সেই ছিদ্র দিয়ে তাকিয়ে থাকতে প্ররোচিত করে । এক ঝটকায় নোঁয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই নম্র-ভদ্র-পর্দানশীন শিক্ষিকার সম্মানী ইমেজ খসে পড়ে । বরং প্রচন্ড যৌনাবেদনময়ী এই শরীর, ততোধিক প্রচণ্ড কামুকী এই চেহারাই যেন তার কাছে অধিক প্রার্থিত মনে হয় !

প্রত্যেক নারীকেই কি পুরুষ এই রূপে দেখতে চায় না ? চায় । নারীই বরং তার অন্যসব আবরণ খুলে, পর্দা সরিয়ে, অন্য রূপ দেখাতে ভালোবাসে । সে যে মমতাময়ী, সে যে দয়াবতী ! কিন্তু কেবলই আড়াল করতে চায় তার এই রূপ, যৌনতার অপার্থিব সৌন্দর্য । কেন ? কে তৈরী করেচেহ এই বিধান ? নারী নিজে ? প্রকৃতি ? না পুরুষ ? যৌনতায় লজ্জা কেন ? পর্দা কেন ? প্রকৃতি তো তা মানে না ! অই যে ফুল ফুটে,আর প্রজাপতি গুঞ্জরে...এই বসন্ত এলে গাছে গাছে নুতন পাতা ! একটা পাখি শুনলো আরেকটা পাখির ডাক, আর সে পাড়ি দিলো মাইলকে মাইল ! ক্লান্তি লাগে, শ্রান্তি লাগে তবু মিলনে কি আকাঙ্খা ! অই যে গোয়ালে গাভী ডেকে উঠলো, আর জোয়ান ষাঁড়ের কি চাহনি ! মঙ্গলশঙ্খ বাজলো- মোরগে লাগলো মোরগ, আর কুকুরে কুকুর ! স্কুলগামী মেয়েরা তা দেখে লাল হয়ে উঠলো । চামড়ার নিচে খেললো রক্ত । গোপনে, খুব গোপনে তারা অনুভব করলো অন্য এক পুলক ! করলো না ? কিংবা অই যে পানিতে হাঁসের উপর চড়েছে হাঁস আর দুলছে । কেবল দুলছে । যেন বা তার স্বামীর মাথা শিক্ষিকা বউটির পিঠে , স্বামী তাকে দোল দিচ্ছে । কিন্তু কি নির্বিকার ! যেন কোথাও কোন লজ্জা নেই । আবরণের প্রশ্ন নেই । প্রকৃতি আবরণের প্রশ্ন তোলে না । মানুষ তোলে । আফতাবের মনে হয় এ অন্যায় । এ প্রকৃতির সাথে প্রতারণা । সে মস্তিষ্কে উত্তাপ বোধ করে । মস্তিষ্ক আহত । সে বাড়ি ফেরার পথ ছেড়ে দিয়ে অন্য পথ ধরে হাঁটতে থাকে ।

শূন্য থেকে উড়ে আসা অন্য এক আকাঙ্খা দাঁড়িয়ে যায় চাঁদের সমান্তরালে । আহা ‘চৌধুরী ভিলা’ ! ভিন্ন এক গ্রহ যেন এই শহরে । কিংবা গ্রহের ভেতর উপগ্রহ । কতো গল্প যে হাওয়া থেকে হাওয়ায় ভেসে বেড়ায় ‘চৌধুরী ভিলা’ কে ঘিরে ! ক্লাবঘরে, হোটেলে, স্টেডিয়াম পাড়ায়, ফুটপাতের চা-স্টলে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেয়া চোয়ালগুলো সেই গল্পে ডালপালা দিয়ে, বৃক্ষের ওজন বসিয়ে মহীরুহ করে তুলেছে । ধীরে ধীরে সেই মহীরুহ যেন ছেয়ে ফেলেছে পুরো শহর, আরও দুর-দুরান্ত । ‘চৌধুরী ভিলা’ আজ সত্যি ভিন্‌ এক গ্রহ ! যেখানে দামী দামী গাড়ির কালো কালো আয়নার বোরকা প'রে, দামী দামী মুখোশ ভিড় জমায় রাত বাড়লে । লাল পানি, নীল পানির নহর বয়ে যায় । হিম ভেজা রাতেও বিছানা উষ্ণ হয়ে উঠে, নিমিষে । এমন সব রহস্যে, আলো-আঁধারির খেলায়,কল্পনায়, শহরবাসী ‘চৌধুরী ভিলা’ কে অন্যরকম এক রূপমহল হিসেবেই স্থাপন করেছে তাদের নিজস্ব গল্প ও চৈতন্যে । কাড়ি কাড়ি নোটের বদলে সুন্দরী নারীরা যেখানে খুলে ফেলে নিজেদের শরীরের সকল গোপন ভাঁজ ! এই শহরে 'চৌধুরী ভিলা’ তাই না-দেখা ব্যাংকক, স্বপ্নের ম্যানিলা – মোটা মোটা উরুর মেয়েরা যেখানে ঘুরে বেড়ায় যত্রতত্র ! সবার যে প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত সেখানে, তেমন নয় । হিসেবটা কাড়ি কাড়ি টাকার । আজ আফতাবের পকেটভর্তি টাকা ।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম ...... ভাল লাগল গল্প আর তার বর্ণনা । অতিথি বলে পাঁচ তারা দেওয়ার ক্ষমতা নেই নাইলে তাই দিতাম ।
নিবিড়

সুমন সুপান্থ এর ছবি

অশেষ কৃতজ্ঞতা নিবিড় । পাঁচ তারা আমার পাওয়া হয়ে গেছে ঠিকই । ভালো থাকবেন ।

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বাহ্, মুগ্ধতার দ্বিতীয় অধ্যায়!

ভয়ে ভয়ে বলি সুপান্থ'দা, বোরকা (বা বোরখা) 'পড়া' নাহয়ে কি 'পরা' হবে না? ঔদ্ধত্য হলে করজোর!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুমন সুপান্থ এর ছবি

পরা ই হবে ধুঃ গো । ঠিক করছি এখনই । ঔদ্ধত্য হবে কেন ? দিনে ত্রিশবার আমি (হাসান) মোরশেদ কে ফোন দিই বানান বিষয়ে ! তারপর আবার সেই ভুল বানানই লিখি । যতোটা না মূর্খতা, তার চেয়েও বেশী মনে হয় কম্পোজে আনাড়িপনা ! কি আর করা !!

পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ-অশেষ ।

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

প্রথম কিছুটুকু পড়লাম... এই লেখা যতটুকু মনোযোগ দাবী করে সেটুকু দিতে পারছি না কেন জানি... তাই পড়লাম না... মন খারাপ

হয়তো কালকে পড়বো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন সুপান্থ এর ছবি

একটু দীর্ঘই হয়ে গেলো মনে হয় এই পর্বটা ! 'মন'এর
আর কী দোষ, 'যোগ' যদি না-ই দেয় !
পরেই পড়েন বস্‌ , এমন সু-খাদ্য নয় যে, ফিরে এসে আর পাবেন না !! হা হা হা...
---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সেই চিকনা ছেলেটা প্রস্থে অনেক বেড়েছে ।
কিন্তু গল্পের টানটা রয়ে গেছে আগের মতোই ।
যাক ,সব বদলে ফেলা ভালো নয় ।

অফটপিক : আরেকটু প্যারা ভাঙলে মনিটরে পড়তে সুবিধা হয় ।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

এইসব কোলাহলের ও আগে... মানুষ যখন ভুলে যায় নি এমন করে প্রিয় বন্ধুর নাম ; আমাদের সেই মিলিত সঞ্চয় থেকেই রঙ নিয়ে আহত এই সন্ধ্যাকে ডাকি, দোস্ত !

তুই তার বিপুল সাক্ষী !

( প্যারা ভেঙে দিচ্ছি । )

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভালো লাগল গল্পটি ও সাথে বর্ননার কথন ভঙ্গিটিও।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

ধন্যবাদ , পান্থ । পুরোটা পড়ে জানিয়ো আবার- কতোটা কষ্ট দিলাম, এটা পড়িয়ে নিয়ে ।

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

shamimarefin এর ছবি

সুপান্থদা,
আপনার লেখা আকারে দীর্ঘ গল্প সম্ভবতঃ এই প্রথম পড়লাম । একসময় আমি নিয়মিত পাঠক ছিলাম আপনাদের লেখার । আপনি, হাসান মোরশেদ, সুমন্ত আসলাম । আপনারা ছোট ছোট আকারের গল্প লিখতেন । লেখার পাতার আকারের কারনে নাকি এটাই আপনাদের স্টাইল ছিলো কে জানে? তবে গল্পগুলো বেশ হতো। টানটান, বর্ননার বাহুল্য নেই কিন্তু গল্প আছে ।
এই গল্প পড়ে মনে হলো, তখন লিখলে হয়তো এটা এতো বর্ননাবহুল হতোনা ।
কোনটা ভালো সে বিচার করার যোগ্যতা আমার নেই ।
ভালো থাকুন

মুনতাহা লিপি এর ছবি

আমি জানতামই জানতাম, একদিন আপনার হাত থেকে এরকম লেখা রেরুবেই । এবার আপনার নিজের জায়গায় এসে দাড়ালেন মনে হয় । এই গলপ আপনাকে আর আপনার ভকত পাঠককে নিজ নিজ বিনদু চেনালো । এমন সব লেখা ারো লিখেন - কামনা

লিপি

সুমন সুপান্থ এর ছবি

আবারো কৃতজ্ঞতা , আবারো ঋণ স্বীকার ।

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

সুমন সুপান্থ এর ছবি

সুপ্রিয় শামীম,

প্রথমেই ধন্যবাদ পড়বার আর মন্তব্য করবার জন্য ।
গল্পের টানটান বর্ননা রাখতে পারি নি , কিংবা রাখতেই চাই নি হয়তো ! আপনি আমার যে সকল বন্ধুদের কথা উল্লেখ করলেন , সেই সূত্রে ধরে নিই আপনি পাঠক ফোরাম/ বন্ধুসভা'র কথা বুঝাতে চাইছেন ।

আমার মনে হয় অন্য অনেক কিছুর মতো, সময়ের সঙ্গে লেখকের ( নিজেকে আমার লেখক বলে ভাবতে যাওয়ার সন্দেহ পুরো মাত্রায় বিদ্যমান আজতক ) দৃষ্টিভঙ্গি, নির্মাণ কৌশল, কি ভাষা ও বদালায় সমানভাবে ।

অল্প করে হলেও, শহীদুল জহির, সেলিম মোরশেদ, কাজল শাহনেওয়াজ, সৈয়দ রীয়াজুর রশীদ, মনিরা কায়েস,
মামুন হুসাইন, শাহীন আখতার, আকমল হোসেন নিপু
কিংবা অদিতি ফাল্গুনীদের তরুণ হাত ধরে আমাদের গল্পভাষা কি গদ্য পাশ ফিরতে চাচ্ছে,বাঁক নিতে চাচ্ছে । আর আমি তার নিবিড় পর্যবেক্ষক থেকেছি, থাকছি । তারই ফল কি-না জানি না, বন্ধুসভা'য় লেখালেখির পর, ( গত ৫/৬ বছরে ) এখন আমার গল্পগুলো আকারে বড়ই হচ্ছে !! আগের মতো আর অল্প কথায় গল্প সারতে পারছি না ! বরং গল্প কিংবা বিষয়ের দাবী নিয়ে ভাবছি হয়তো অনেক ! জানি না , তাতে আদৌ কিছু হচ্ছে কি-না !

তাই গল্পকার সুমন সুপান্থের সম্ভাবনা-বিপর্যয়, কি ভবিষত্‌- সময় ও মহান পাঠককূলের হাতে জমা রাখতে স্বস্তি বোধ করছি । তাদের নির্দেশপ্রায় আমন্ত্রেনে নিজেকে বদলে নেবো হয়তো একদিন ।

যেমন, আপনি । আমার অনেকগুলো পোস্টে আপনার গঠনমূলক মন্তব্যে আমি সত্যি প্রাণিত বোধ করেছি । কথাগুলো নিয়ে ভাবছি ।
আবারো ধন্যবাদ ,শামীম । ভালো থাকবেন ।

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

কনফুসিয়াস এর ছবি

( আগের পর্বে করা মন্তব্যের পর....)

আপনার বানান-ভুল খুব চোখে লাগে। কিছু নিয়মিত শব্দ নিয়েও অভিযোগ করতে পারি, যেমন- যেয়ে, দ্যাখা বা দ্যাখি! আবার অস্বস্থি দেখেও অস্বস্তি হলো খুব।
*
লেখার এই জায়গাটা বুঝলাম না। -

ডাক্তার বললো, । বাবা বললেন না কিছুই ।

আপনার গদ্য খুব বেশি পড়িনি আগে। এবারে পড়তে গিয়ে ( যেয়ে না, হা হা) আসলেই মুগ্ধ হলাম। কয়েকটা লাইন অনেকদিন মনে থাকবে, যেমন-
শূন্য থেকে উড়ে আসা অন্য এক আকাঙ্খা দাঁড়িয়ে যায় চাঁদের সমান্তরালে । বা- মথুরার প্রেম-বিরহ গাঁথা ধান কেটে নেয়া নগ্ন মাঠের ওপর দিয়ে হু হু করে ভেসে যাচ্ছে, মিশে যাচ্ছে কার্তিকের আসন্ন হিমের ভেতর

রহস্যগন্ধী- শব্দটা বেশ মায়াকাড়া। কিন্তু পরপর দু'প্যারায় এই শব্দের উপস্থিতি বাহুল্য মনে হলো।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সুমন সুপান্থ এর ছবি

আমার লেখার বানান ভুল ধরে আর লজ্জ্বা দেবেন না, প্রিয় কনফুসিয়াস । প্রায় দুরারোগ্য এই অ-সুখ নিয়েই কাটছে আমার লেখক জীবন ! চেষ্টা-ইচ্ছা যে কম , তা না , কিন্তু ওই ''ন'' আর ''ণ'' , ''ত'' আর ''থ'' কিংবা '' ই-কার'' আর''ঈ-কার''সহ আরো আরো অনেক ধন্দে পড়ে, ভুল শুদ্ধেই লিখতে হচ্ছে এইসব ছাইপাশ !

( গোপনে আপনাকে বলি , এই গল্পটা পুরোই লেখা হয়েছে , কাজের ফাঁকে আর কিছুটা হলে ফাঁকি দিয়েও । বাসায় যা ও একটা অভিধান আছে , ওখানে তো তা ও নেই ! থাকলেও যে আমার লেখায় বানান ভুল হতো না , তা নয় । হতোই )

লেখার এই জায়গাটা বুঝলাম না।

কপি করে , পেস্ট দিতে যাবার সময় ওখানে একটা শব্দ বাদ পড়েছে । ঠিক করে দিচ্ছি ।

গভীর মনোযোগের সঙ্গে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা ।
---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বাবার পাশের টেবিলে বসে টাইপ করতো যে লোকটা, একদিন বাবাকে শুনিয়ে শুনিয়েই কাকে যেনো ডেকে বললো- ‘ ঢং দেখে বাঁচি না !! ব্যাটা নপুংশক ! বউ যায় মদ্দের হাত ধইরা, বউ সামলাইয়া রাখতো পারে না- চশমা পাল্টায় ! যত্তোসব ভীমরতি...।’

এমন সব রহস্যে, আলো-আঁধারির খেলায়,কল্পনায়, শহরবাসী ‘চৌধুরী ভিলা’ কে অন্যরকম এক রূপমহল হিসেবেই স্থাপন করেছে তাদের নিজস্ব গল্প ও চৈতন্যে । কাড়ি কাড়ি নোটের বদলে সুন্দরী নারীরা যেখানে খুলে ফেলে নিজেদের শরীরের সকল গোপন ভাঁজ ! এই শহরে 'চৌধুরী ভিলা’ তাই না-দেখা ব্যাংকক, স্বপ্নের ম্যানিলা – মোটা মোটা উরুর মেয়েরা যেখানে ঘুরে বেড়ায় যত্রতত্র !

আচ্ছা এই অনুসঙ্গ গুলো অন্য কোন গল্পে ও তো ছিলো, তাইনা?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

এই গল্পটাই একটা ছোটকাগজে ছাপা হয়েছিলো । পরে আবার আজকের কাগজের 'সুবর্ণরেখা''য় ও । হয়তো তখন চোখে পড়েছে । এই অনুসঙ্গ নিয়ে আর কোন লেখা লিখি নি ।

ধন্যবাদ ধন্য করে দিয়ে যাওয়ার জন্য ।

---------------------------------------------------------

'...এইসব লিখি আর নাই লিখি অধিক
পাতার তবু তো প্রবাহেরই প্রতিক...'

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

জানা-অজানা এর ছবি

লেখা ভালই লাগছে। তবে প্রকৃতি-র থিওরিটা মানতে পাই নাই। প্রকৃতিতে সেক্স করার ক্ষেত্রে ইন্সিস্ট, রেপিষ্টের ভুরি ভুরি উদাহরন আছে। প্রকৃতিতে থাকলেই যে মানুষের জন্য তা উপাদেয়, কথাটা আমি মানতে পারি না।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

এটা গল্প । প্রবন্ধ নয় , তাই তথ্যের দায়ভার নিতে চাইছেন না গল্পকার ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।