শুরুর পর্ব
-------------------------------
এমন নয়, এই পথ আমার অচেনা, এর আগে যাই নি কোনদিন। রাত্রিযাপনের জন্য কিংবা জাল ফেলতে না হোক, নদীতে তো যাওয়া হয়েছেই বহুবার। স্কুলে যেতে হলেও অনেকটা এই পথ ধরেই যেতে হতো। কোন ভাবেই এটা অচেনা পথ নয় আমার জন্য। সেই মাঠ...গ্রামের শেষপ্রান্তে বড় পাকুরগাছ, তার বাঁ দিকে নেমে গেলে খালের পাশে সেই চীরচেনা ডাহুকের ডাক...অনতি দুরে স্কুলের মাঠে জেলেশিশুদের নামতাধ্বণি ...ক্রোশ কতক গেলে পুরাতন জমিদার বাড়ি...হাফিজিয়া মাদ্রাসা, বুধবারি বাজার...সবই একই রকম। চেনা। তবু আজ, এই অন্যরকম সকালে সব কিছুর আবহ বদলে যায়! বেশী বদলে যান বোধকরি বাবা। তাঁর হাঁটার ভঙি, গতি –সবকিছু নতুন এক মাত্রা পায় সেই সকালে। তাঁর কাঁধ, গ্রীবা, চাহনী সব প্রদর্শকের তৃপ্তিতে টালমাটাল!
আমাদের দু’জনের মাথার উপর যুগপথ কৌতুহলী আর নির্লিপ্ত এক আকাশ। নাতিদীর্ঘ পথ, সর্পিল কিন্তু উদ্ভাবনের, - নদীতে পৌছার।
পুরো ভু-বাংলায় যেমন হয়, জেলেপল্লীগুলো নদীর তীর ঘেঁষেই থাকে, আমাদের গ্রামটা তেমন নয়। নদী থেকে মাইল কতেক দুরের গ্রাম। তবু, কি এক আশ্চর্য কারণে গ্রামের সবাই নদীনির্ভর জীবন যাপনের ঘরানা তৈরী করে বসে আছে অনাদিকাল থেকে। কেউ নাও বাইছে নদীতে, খেয়া দিচ্ছে... কেউ নাও কিরায়া দিচ্ছে। গ্রাম থেকে ভদ্দর লোকদের নিয়ে যাচ্ছে জেলা শহরে, কোর্ট কাছাড়িতে, ডাক্তারের কাছে । কূলবধুকে ফিরিয়ে আনছে নাইওরে, নিজ গ্রামে। আর বেশীর ভাগ মানুষ মাছ মেরে, মাছ বেঁচে পেটে দিচ্ছে দানাপানি। নদীতে, পানির উপরই বিশেষ কৌশলে তৈরী করা একেকটা বাতানঘর আছে প্রায় সবারই, যারা কেবল মাছ শিকারে যাচ্ছে নদীতে, তাদের। পানি থেকে হাত পাঁচেক উপরে বাঁশের তৈরী সেইসব বাতানঘর। নদীতে নির্দিষ্ট একটা অংশে জাল ফেলে, সারারাত তারা ওই মাচান ঘরে শুয়ে বসে, সাগর কুলের নাইয়্যা রে , অপর বেলায় , ও মাঝি কোথায় চলছো বাইয়া রে গেয়ে, জোছনায় অপার্থিব একটা স্তব্ধতা এনে চরাচরে, অপেক্ষা করবে ভোরের। সুর্যের উজ্জ্বল আলোয়, মাছেদের শরীর ঝিলিক দিয়ে উঠলে, তাদের চেহারার অভিব্যক্তি যাবে বদলে। একেকটা মানুষের দিকে তাকালে তখন মনে হবে জীবনের চেয়ে সত্য কিছু নেই। এরা বুঝিয়ে দেবে জীবনের দিকে রাঙানো চোখ নিয়ে তাকানো মানুষ তারা। হয়তো ক্লান্ত, ধ্বসনামা - তবু অবিরাম যুদ্ধ করা মানুষ। নদীতে রাত্রিবাস তাই জীবনের অন্যতম এক পাঠ বলে বিদিত আমাদের গ্রামে!
আর কেউ যদি লেখক হয়, তাঁর অনেক কথা মনে পড়বে। মহানন্দার কথা মনে পড়বে। তিস্তার কথা। তিতাস কি, রূপানারয়ণের কথা। এই ভু-বাংলা যে এখনো নদীমাতৃক বলে নন্দিত, এই নদী আর তার তীরবর্তী মানুষদের দেখে সেটা পুনরায় মনে পড়বে তার।
আমার কিন্তু তেমন মনে হলো না। বাবার সঙ্গে বাতানঘরে উঠলাম ঠিকই, কিন্তু আমার ভালো লাগলো না কিছু ! মাঝরাতে বাপ-বেটা খেয়ে নিলাম। জাল ফেলা শেষ হয়ে গিয়েছিলো আরো আগেই। আমার ঘুম ঘুম পাচ্ছিলো দেখে বাবা বললেন,’ঘুম আইলে ঘুমাই থাক্’ । আমিও তা ই করতে গিয়ে দেখি, যতোই নড়বড়ে হোক ঘর আমাদের, বাতানঘরের চেয়ে ভালো অন্তত। ওখানে ঘুমানো যায়। এখানে সে আশা করা বৃথা।
কিছুদুরে, নিজের মাচানে, শশাংক কাকা তার উদাসী গলায় গান গাইছিলেন , সেটা শুনছিলাম, আর ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম । ঘুম এসেছে কি না, হঠাত দেখি মাচানঘরে আমি একা। বাবা নেই। কিন্তু ভুবন ভুলানো একটা সুরে চারপাশ থৈ থৈ করে উঠছে ! আমার বাবা বলে বলছি না, বাঁশির সুর এতো সুমধুর হয়, আমি এই জীবনে আর শুনিনি ! মাচানের ছাদে উঠে বাঁশি বাজাতে থাকা বাবাকে দেখে আমার বিভ্রম হয় প্রথমে । আমি চিনতে পারি না তাঁকে। এই মগ্নতা আমার অচেনা । এই প্রাণউজাড়ী সুর আমার না-শোনা । এমন নিষ্টায়, প্রাণসঁপা কোন কাজ আমি তাঁকে আর করতে দেখি নি কোনদিন ! আমার মনে হলো তিনি প্রণতি দিচ্ছেন । মা’কে দেখেছি; ঠাকুর ঘরে ঢুকলে তারও এমন অভিব্যক্তি হয়। তাঁকে আর চেনা যায় না ! কিন্তু বাবা কাকে প্রণতি দেন এই পোয়াতি রাতে ! কে তাঁর ঠাকুর ? বাঁশির সুরে যার পূজা সাঙ্গ হয়ে যায়। বাবার বাঁশির সুর আমাকে এইসব প্রশ্ন, বিহবল সব দৃশ্য নির্মাণের প্ররোচণা দিচ্ছিলো, আমার মনে আছে। ফলে, পরক্ষণেই বাবাকে যাত্রায় দেখা বিবেকের মতো লাগে আমার কাছে। এই জগত-সংসারে যে খুব বেমানান। সে এসেছে অন্য জায়গা থেকে। সে যাবেও অন্য কোথাও। বাঁশি বাজানো ছাড়া যার আর কোন কাজই নেই !
শংকর কাকা হাঁক পাড়লেন প্রথম- ‘ আইজকোও বাঁশি বাজাইরায় নি রমা দা !? আইজ নো লতু তোমার লগে !!!!’
লতু আমার ডাকনাম। বাবার ডাকনাম রমা।
বাবা বাঁশি বাজানো বন্ধ করে দিলেন তত্ক্ষণাত্! যেন তারও মনে পড়লো , ভুল হয়ে গেছে একটা ! আমি আর বাবা এক সঙ্গে থাকার সাথে বাঁশির কি সম্পর্ক বুঝলাম না আমি ! কিন্তু বাবার কাচুমাচু মুখ দেখে আমার বোকা বোকা বিস্ময় বাড়লো আরো।
পরদিন বাড়ি ফেরার দুপুর ছিলো অন্যরকম। রাগী। ভয়ংকর। চেনা পথঘাট যেন অন্যরকম হয়ে গেলো ! আমার মনে হলো আমরা ভুলপথে এসে গেছি। বাবাকেও কিঞ্চিত ভীত মনে হলো আমার। মনে হলো, তাঁরও যেন অচেনা এই পথ । যেন কোন এক সর্বনাশা ঝড়ের ভেতর পড়ে যাচ্ছি আমরা ! অনির্দেশের অন্ধকারে উন্মাদের মতো ধেয়ে আসছে সেই ঝড় ! দীর্ঘদেহী ভুতূরে গাছগুলোকে জল্লাদের মতো লাগছিলো। আগের সকালেই যা কিছু এতো সুন্দর ছিলো, পরদিন দুপুরে সেটা এমন বিভত্স হয়ে পড়লো কেন, সেই উত্তর খোঁজারও ফুসরত মিললো না! আমি কিছুই না বুঝে উঠে বাবাকে অনুসরণ করতে লাগলাম।
সবচেয়ে বড় বাঁকটা পেরিয়ে, মাত্রই রাজ আইল ধরে গ্রামের ভেতর ঢুকেছি। ঘন ঝোপঝাড়, শুকনো পাতায় পা রেখে, মর্মর ধ্বনি তুলে, সমস্ত নির্জনতা ছত্রখান করে দিয়ে, আমদের পিতা-পুত্রের মাঝখানে যে মূর্তি এসে দাঁড়ালো; হাতে কলসি না থাকলে আমি তাকে নির্ঘাত স্বরসতি বলে মেনে নিতাম ! সে যেন দেখলোই না আমাকে ! সত্যিই দেখে নি হয়তো। কিন্তু আমি দেখি। আমার আর বাবার মাঝামাঝি এক বয়স তার। আমার চেয়ে বছর দশেকের বড় হলে, বাবার চেয়ে আরো দশেকের ছোট হবে হয়তো। কিন্তু তার শ্রী এমনই যে , বয়স নির্ণয় বৃথা সেখানে। এমন সুশ্রী কেউ এই গন্ডগ্রামে থাকতে পারে, আমার না-কৈশোর - না-যুবক মন বিশ্বাস করছিলো না। আমি প্রাণপণে চাচ্ছিলাম, সে আমার দিকে তাকাক আবার। আবার দেখি আমি তাকে । কিন্তু সে বিদ্যুতের গতিতে বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো । কিছুটা যেন পথ আগলেই। বাবার চোখ আনত। তবে সে এমন করে বাবার দিকে তাকালো, যেন তৃতীয় কেউ যে এখানে আছে, সেটা তার নজরহীন ! বললো...’আইজকো বাঁশি...’
কথা শেষ হলো না। বাবা ঘাড় তুলে তাকালেন আমার দিকে। সঙ্গে সঙ্গে সেও যেনো এই প্রথমবার আমাকে দেখতে পেলো। ঢোক গিলবার মতো করে গিলে ফেললো বাদ বাকী শব্দগুলো। আমার দিকে এমন দৃষ্টি নিয়ে তাকালো, আমার মনে হলো, এইবার আমি বাবার উপস্থিতি ভুলে গেছি সঙ্গে সঙ্গেই । সে আর আমি, আর যেন কেউ নেই এখানে ! চাইলাম, এমন করে সে আমার দিকে অনন্ত সময় তাকিয়ে থাকুক। আমার কি যে হলো । আমি চাইলাম বাক্যটা সে শেষ করুক। বলুক কি বলতে চাইছিলো বাবাকে । আমিও কিছু বলি তাকে। কিন্তু কি বলা উচিত সেটা আমার মনে পড়লো না তখন।
আর বাবা ? দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেলেন অনেকখানি, বলতে কি দৌড়ালেনই প্রায় । যেন কি এক রহস্য এখানে খুলে খুলে পড়ে যাচ্ছে এখুনি। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যেনো তিনি অপেক্ষা করছিলেন একটা মৃত্যুদণ্ডের ! এখনই বিচারক সেই রায় পড়বেন আর ফাঁসী হয়ে যাবে তাঁর! সেই কাঠগড়া থেকে পালিয়ে আসা বাবাকে আমার, তাড়া করছে নৃশংস সব পুলিশেরা । যেন এখনই উন্মোচিত হয়ে পড়বে জমাট এক রহস্যের পর্দা । তাতে চীরকালের ভীতু বাবা আমার আরো ভীতু হয়ে দ্রুত পায়ে চলে যাচ্ছেন নাগালের বাইরে। ধরা পড়ে যাবার পাহাড়প্রতিম শংকাসমেত ! সর্বস্ব হারানো, মার খাওয়া মানুষের মতো বুকের কাছে দু’হাত জড়ো করে পালাচ্ছেন, দোহাই, তুই, বাবা লতু আমার, তুই দেখতে চাস না কি আছে লুকানো...এই আমার শেষ রহস্য জন্ম ও জীবনের।
আমি নিজে, পেছনে নেশাজাগানিয়া ওই রমণীর দিকে ফিরে ফিরে তাকিয়ে, মৃগয়াফেরত রাজকুমারের মতো হাহাকার বুকে গেঁথে দ্রুত হাঁটতে থাকি। আর সোহরাবের অভীপ্সা নিয়ে, বাবার সমান্তরালে পৌছেও যাই এক সময়।
দুপুরের তীব্র রোদে আমাদের দু’জনের ছায়া তখন একই সমান দেখায়।
মন্তব্য
শেষপর্বের ও আরো পর্ব রয়ে গেছে বুঝা যায়।
অপেক্ষায় থাকলাম। এই গল্পটা তোর বেশ প্রস্তুতির জানি।
প্রস্তুতির পরিনতি টের পাওয়া যাচ্ছে, পারিপার্শ্বিক বর্ননায় চমৎকার দক্ষতা দেখাচ্ছিস।একটা পুরো ছবি পাওয়া যাচ্ছে।
বাকীটুকু শেষ কর।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মোরশেদ, তোর সর্বশেষ গল্পটা নিয়ে বলতে গিয়েই বলেছিলাম, গল্পকারের বেচারাপনা এই, তাকে এসে বারবার বলে দিতে হয়, আমি তো এটা বলতে চাইছিলাম,ওটা বলতে চাই নি !
আমি আসলে গল্পটা এখানেই শেষ করে দিতে চাচ্ছি । ঠিক পাঠকের ভাবনার জন্য জায়গা ছেড়ে দেবার প্রয়োজনে নয় । মনে হচ্ছে গল্পের দাবীই এই ।
হুম, এটা সত্যি দীর্ঘ একটা লেখার সংক্ষিপ্ত রূপ এই গল্পটা । সময় হলে হয়তো আস্তটাই সামনে নিয়ে আসবো কখনো ।
তোকেও ধন্যবাদ দিতে হবে ? পড়েছিস বলে ? মন্তব্য করলি বলে ?
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
প্রথম পর্বের চাইতে এই পর্ব বেশী ভালো লাগলো! কিছু শব্দবন্ধ, যেমন - "পোয়াতি রাত" কিছু বাক্য, যেমন - একেকটা মানুষের দিকে তাকালে তখন মনে হবে জীবনের চেয়ে সত্য কিছু নেই - অসম্ভব সুন্দর!
আমিও শেষপর্বের শেষের অংশের জন্য অপেক্ষা করছি।
ধন্যবাদ স্নিগ্ধা ।
আর কোন শেষ থাকলে,অপেক্ষা হয়তো দীর্ঘই হবে । আমার মনে হচ্ছে গল্পকারের যা বলবার তা বলেই দিয়েছেন এর মধ্যে । কিন্তু প্রকাশ ক্ষমতা তার এতো দুর্বল, মহান পাঠককে আরো অপেক্ষার পথ দেখিয়ে দিচ্ছে ভুল করে ! কী আর করা !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
সুপান্থ, আমার মনে হয় আপনার পোস্টের শিরোনামে (শেষপর্ব ১) বা এই ধরনের কিছু ছিলো, যা দেখে আমার অপেক্ষার ধারনাটা পোক্ত হয়েছিলো।
আর, সেটা যদি না থাকতো, তাহলেও মন্তব্যে সরাসরি জিজ্ঞেসই করতাম - "গল্পটা এখানেই শেষ?!"
একটু আগেই মোরশেদের সঙ্গে কথা বলেছি এই নিয়ে ।
ননটেকি হবার ফল স্নিগ্ধা ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
এই গল্পের কি শেষ এখানে নয়? আমার তো মনে হচ্ছে এখানেই শেষ।
খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ নীল সাহেব । প্রথম পর্ব আপনার অতোটা ভালো না লাগলেও, এই পর্ব লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
হুম গল্প এখানেই শেষ । এর পর এই গল্পের বিন্যাস যদি কিছু করাও হয়, সেটা যে নিছক অ-শিল্পিত হবে বলে এই অধমও জানেন ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
আমাদের দু’জনের মাথার উপর যুগপথ কৌতুহলী আর নির্লিপ্ত এক আকাশ। নাতিদীর্ঘ পথ, সর্পিল কিন্তু উদ্ভাবনের, - নদীতে পৌছার।
আমি গল্পটা পড়তে গিয়ে বারবার চাচ্ছিলাম অন্তত এই গল্পটাতে কবিতাশ্রিত কোনো বাক্য যেনো না দেখি। কেনো না অধিকাংশ গল্পকারের মতে, কবিরা ভালো গল্প লিখতে পারে না--তাদের গল্পগুলোও প্রায়শই কবিতা হয়ে ওঠে! যরা এইটা এখনো বলে বেড়ান তাদেরকে আমার প্রণাম!!
সব মিলিয়ে ভাললেগেছে। একেবারে শেষের অংশে অন্যএকটি চরিত্রের উপস্থিতি গল্পটাকে অনেকটা নাটকীয় করে তুলেছে। তার উপস্থিতি আর একটু স্পষ্ট হয়ে উঠলে সম্ভবত ভালো লাগতো।
সে এমন করে বাবার দিকে তাকালো, যেন তৃতীয় কেউ যে এখানে আছে, সেটা তার নজরহীন ! বললো...’আইজকো বাঁশি...’
অংশটা আমাকের কাছে ঠিক পরিষ্কার হয়ে ওঠেনি। মেয়েটি ঠিক কী বলতে চেয়েছিলো। "আইজকো বাঁশি..." বাক্যথেকে পুরোপুরি কোনো সমাপ্তির দিকে যাওয়া যায় না। অবশ্য এটার খুব একটা প্রয়োজনো আছে বলেও মনে হয় না।
আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে এই গল্পটাকে চাইলে আপনি আরো বড় ক্যানভাসে নিয়ে যেতে পারেন। সমুদ্রে নামবেন নাকি?
আমি গল্পটা পড়তে গিয়ে বারবার চাচ্ছিলাম অন্তত এই গল্পটাতে কবিতাশ্রিত কোনো বাক্য যেনো না দেখি। কেনো না অধিকাংশ গল্পকারের মতে, কবিরা ভালো গল্প লিখতে পারে না--তাদের গল্পগুলোও প্রায়শই কবিতা হয়ে ওঠে! যরা এইটা এখনো বলে বেড়ান তাদেরকে আমার প্রণাম!!
সরাসরি কপালের ঠিক মাঝখানে গুলি করলেন শাওন ! মোক্ষম জায়গায়ই আঘাত হয়েছে । এই না হলে আপনার মন্তব্যের অপেক্ষা করি মনে মনে !
শুধু এই গল্প নয়, যখনই গদ্য লিখতে চেয়েছি-এই বোঝা পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছে । পিঠে । মগজে । এখানেও যে উতরাতে পেরেছি, বলছি না । কিন্তু খুব সচেতন চেষ্টা ছিলো । তারপরও ওই যুগপথ কৌতুহলী আর নির্লিপ্ত এক আকাশ। নাতিদীর্ঘ পথ, সর্পিল কিন্তু উদ্ভাবনের, - নদীতে পৌছার এসে পড়ে । অক্ষমতা শাওন, অক্ষমতা ।
এই নিয়ে ব্যক্তিগত একটা গল্প বলি , শামীম ভাই ( ইমতিয়ার শামীম) একদিন কথায় কথায় বলেছিলেন, তোমার গল্প লিখে জায়গা করে নেয়া কঠিন হবে । কারণ তুমি আগে কবিতা লিখে ফেলছো ! আমাদের একটা ধারণাই তৈরী হয়ে আছে কবিদের গল্প/গদ্য কবিতাক্রান্ত হবেই হবে !
স্বীকার করছি শাওন, আপনার এই প্রশংগ অবতারনা একেবারেই যুক্তিযুক্ত । ব্যক্তিগত ভাবে আমিও এই রকম আবেগী,তুলতুলে শব্দে ঠাসা গদ্য এড়িয়েই যাই ।
সে এমন করে বাবার দিকে তাকালো, যেন তৃতীয় কেউ যে এখানে আছে, সেটা তার নজরহীন ! বললো...’আইজকো বাঁশি...’
অংশটা আমাকের কাছে ঠিক পরিষ্কার হয়ে ওঠেনি। মেয়েটি ঠিক কী বলতে চেয়েছিলো। "আইজকো বাঁশি..." বাক্যথেকে পুরোপুরি কোনো সমাপ্তির দিকে যাওয়া যায় না
ব্যাখ্যা করতে মন সায় দিচ্ছিলো না একেবারেই। তবু যেহেতু এটা ব্লগ । লেখক-পাঠকের দেয়া নেয়াটা ইতিবাচকার্থে সফল এখানে, তাই বলছি - এই গল্পের বাবা যে বাঁশি একটা বিশেষ উদ্দেশ্যেই বাজান, আর বিশেষ কেউ যে সেটা শুনেও প্রতিরাতে, শশাংক চরিত্রের কথা দিয়েই সেটা বুঝাতে চেয়েছিলাম । এই মেয়েটি, আগের রাতের অতৃপ্তি নিয়ে জবাব চাইছিলো ( কালরাতে কেন হঠাত্ বাঁশি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছিলে ?- এই রকম এক প্রশ্নবোধক মনোভাব নিয়ে ) - গল্পকার সেটাই বুঝাতে চাইছিলেন ।
সমুদ্রে নামবেন নাকি?
একেবারে কলজে এ-ফোঁড় করা গুলি এবার । হুম খুব ইচ্ছা আছে । সমুদ্রযাত্রা কালে জানান দেয়া হবে ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
এই গল্প এখানে শেষ হতেই পারে না।
আমিও বলবো গল্পটাকে এখানে সে শেষ হতেই পারে না । আচ্ছা করে বকে দেবো ...
ধন্যবাদ ফারুক হাসান ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
ভালো লেগেছে লেখাটি।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ধন্যবাদ ভুতুম ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
এই লেখা কি এইখানেই শেষ???
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
কে জানে নিবিড়, হয়তো শুরু ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
সুপান্থ'দা কেন যেন এই লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে দারুন একটা উপন্যাসের পটভূমি এইটা। তাই হয়ত এর মাঝে আটকে না থেকে শুরু হয়ে যাক না।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
গোপনে গোপনে বলি, ইচ্ছেটা আছে বলেই ভাবছি আসলেই কিছু একটা হবে।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
অনেকেই বলেছেন যে এই গল্প এখানে শেষ হতে পারেনা... আমি বলছি এই গল্প কখনই শেষ হবেনা... মানুষের জীবন নিয়ে যে গল্প তা সহজে শেষ হয়না...
বুঝলাম ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
খুব ভাল লাগলো ভাই।
জিফরান, তুমি এ গল্পের প্রথম পাঠক । ভালো লেগেছে শুনে, ভালো লাগলো আমারও।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
জটিল লেখা, প্রথমবার পড়ে ভালো লাগেনি। কিন্তু তার পর ধৈর্য ধরে আরেকবার পড়ার থেকে ভালো লাগার শুরু, বুঝে ওঠার ও। গল্পটার কোথাও একটা গিট্টু আছে, ধরতে পারছিনা, দেখি পড়ি আরো বার কয়েক।
হায়! আপনাকে তো মহা মুশকিলে ফেলে দিলাম সুপ্রিয় মামুন!
হুম, খুব সত্যি কথা- গল্পটার কোথাও সত্যি একটা গিট্টুই লাগাতে চাইছিলেন গল্পকার। গিট্টুটা আছেও।কেবল পাঠককে যে ধরানো যাচ্ছে না সেটা অধম গল্পকারের অক্ষমতা ।
আপনাকে ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
আমারতো মনে হচ্ছে শেষ না হওয়ার অতৃপ্তি গল্পটা ভাল লাগার আরেকটি কারণ হয়ে রইলো।
"তবে সে এমন করে বাবার দিকে তাকালো, যেন তৃতীয় কেউ যে এখানে আছে, সেটা তার নজরহীন ! বললো...’আইজকো বাঁশি...'
কথা শেষ হলো না বাবা ঘাড় তুলে তাকালেন আমার দিকে। সঙ্গে সঙ্গে সেও যেনো এই প্রথমবার আমাকে দেখতে পেলো। ঢোক গিলবার মতো করে গিলে ফেললো বাদ বাকী শব্দগুলো।"
অবশ্য এটুকু থেকে পাঠকমন অনেক কল্পনাকে আশ্রয় করে এগিয়ে যেতে পারে। আর ছোট গল্প মানেইতো অতৃপ্তির আস্বাদ।
শব্দচয়ন, ভাষাবিন্যাস বেশ ভাল লাগলো।
এ গল্প উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
জুয়েইরিযাহ মউ
তবে সে এমন করে বাবার দিকে তাকালো, যেন তৃতীয় কেউ যে এখানে আছে, সেটা তার নজরহীন ! বললো...’আইজকো বাঁশি...'
কথা শেষ হলো না বাবা ঘাড় তুলে তাকালেন আমার দিকে। সঙ্গে সঙ্গে সেও যেনো এই প্রথমবার আমাকে দেখতে পেলো। ঢোক গিলবার মতো করে গিলে ফেললো বাদ বাকী শব্দগুলো।"
ভালো বলেছেন মউ । গল্পের প্রাণভোমরাটাই এখানে । আপনি ধরলেন দেখে ভালো লাগছে ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
১.
পড়লাম। ভালো লাগলো।
প্রথম প্রথম ভাবছিলাম ফাঁকি দিচ্ছেন। জলের কথা নাই, মাছেদের কথা রূপালী ঝিকিমিকিতেই সমাপ্ত, জালের কথাই বা কোথায়? এ কেমন জলদাসের গল্প?
সোহরাব রুস্তমে এসে ঠোকনা খেলাম। আরেব্বাহ্, কাহিনী তো জটিল মনে হইতেছে। শেষকালে নারীর আবির্ভাবে বুঝিলাম গল্পনামের শানে নুযুল... এক নারীর সামনে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় খাড়া করিয়ে দিলেন বাপ বেটাকে? জোশ...
বেশ ভালো লাগলো।
২.
গদ্যে কবিতাশ্রয় আমার ভালো লাগে, এ একান্তই আমার নিজস্ব পছন্দ। তর্কহীন।
গল্প বলার নিজস্ব একটা ভঙ্গি আছে, সেই ভঙ্গিকে আরো সুরেলা করে দেয় বলে আমার কাছে মনে হয়। কেউ কেউ লিখুক না কবিতার মতো গদ্য, ক্ষতি কী? সবাইকে একরকম লিখতে হবে কেন?
সুমন সুপান্থের কাছে আমার ব্যক্তিগত অনুরোধ তাই থাকে নিজস্বতা বজায়েরই। আপনার অক্ষমতা (গদ্য লেখার)ই আমার বেশি পছন্দ।
৩.
আকমল হোসেন নীপু আমার আগে পড়া ছিলো না। আপনার কাছেই শুনে শুনে পড়ার খায়েশ হলো। এই তো সেদিন মাথায় ঝোঁক চাপলো তাঁকে পড়ার (হয়তো এখানে কিছু স্বার্থও ছিলো)। আমি আজীজ মার্কেট চষে, এখানে ওখানে ফোন করে, টুটুল ভাইকে দিয়ে স্বয়ং লেখককে ফোন করে তবে অবশেষে পেলাম জলদাসের মৎস্য ঘ্রাণ। তারপর বাড়ি ফিরতে ফিরতে গাড়িতে বসেই পড়ে ফেলা। চমৎকার। এখানে ধন্যবাদ দিয়ে রাখি কৃতজ্ঞতাসহ। এমন একজন লেখকের লেখার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
১. ধন্যবাদ বন্ধু।
গল্পের অন্তরাত্মায় হাত বুলিয়ে গেলেন। এই গূঢ় প্রতিদ্বন্দ্বীতার জায়গাটাই গল্প। আপনাকে আমার সালাম বস।
২. না সবাইকে একরকম লিখতে হবে না! কিন্তু গদ্যে কবিতার অনুপ্রবেশ, ঝনঝনানি আর সুরেলা গদ্যের ( যেমন মাহমুদুল হক...)
মাঝে প্রভেদ তো কিছু আছেই বন্ধু... !
৩. নিপু ভাইর এতো অনালোচিত থাকার কথা ছিলো কি না, সময় সাক্ষী দেবে নজরুল। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি তাঁর কাজ আমাদের সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য সংযোজন।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
সুমন ভাইয়া
প্রথম পর্বটা ভালো লেগেছিল যেমন
এই পর্বটা তেমন লাগেনি।
শুরুর পর্বে গল্প ছিল একটা
এই পর্বে চমতকার দৃশ্য আছে, গল্প কম
আচ্ছা গল্পে কবিতা থাকলে সেটা দুর্বলতা কেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
এই পর্বে চমতকার দৃশ্য আছে, গল্প কম
গল্প বলতে তুই কাহিনী 'মিন'করলি কি না , বুঝলাম না ! তাই যদি হয়, তাহলে, ইচ্ছাই ছিলো কাহিনী না ছড়ানোর ...। গল্পের আখ্যানের চেয়ে নির্মাণ, ভাষা-ভঙ্গি, করণকৌশলকে মুল্যবান ভাবছি ইদানীং ।
হুম, গল্পে কবিতা থাকলে সেটা দুর্বলতাই, যদি লেখক 'গদ্য'ই লিখতে বসেন । কিন্তু গদ্যভাষায় কবিতার স্নিগ্ধতা দোষের বলে মনে হয় না আমার ।
আগেই তো বলেছি, মাহমুদুল হকের, কিংবা সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের যে ভাষা সেটাকে প্রণাম আমার । কিন্তু কব্জিতে জোর না থাকলে যা হয়, আমার মতো আনাড়ি লেখকদের এই চেষ্টা শেষে 'কবিতাক্রান্ত' গদ্যে পরিনত হয় ।
ভালো থাকিস ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
শেষ হয়েও শেষ হয়না--এটাই সম্ভবতঃ সার্থক গল্পের কৃতিত্ব।পাঠকের ভাবনাকে গল্পের শেষেও টেনে ধরে রাখা নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের দাবীদার।
অনেক সুন্দর!
শুভেচ্ছা।
অনেক দেরীতে আপনার মন্তব্য দেখা হলো নাজনীন আপা। সরি।
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
প্রিয় সুপান্থ,
পড়তে পড়তে যা বলতে চেয়েছি তার অনেকই বলা শেষ দেখলাম। বাকিটুকু বলি-
প্রথমত কাব্যাশ্রয়ী গল্প। কেন জানিনা আমার খুব ভাল লাগে। এই লেখায় পদ্য এড়ানোর চেষ্টা খারাপ লেগেছে।
প্রথম পর্ব পড়ে খুব প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম একটা দীর্ঘ লেখা পড়ার। মনে হলো হুট করে থামিয়ে দিলি। আমি সেই রঙগুলো দেখতে পেলামনা।
কিন্তু দৃশ্য বর্ণনা, এককথায় জটিল হয়েছে।
কথা আরেকটা।-
রচনার নামটা পছন্দ হচ্ছেনা। মনে হচ্ছে সরল রেখায় যাত্রা!
একটু দেখিস এটা।
অর্জুন মান্না
বলতে কি মান্না, ইচ্ছেটা এমনই ছিলো। আরেকটু সাহসী হলে বলেই দিতাম যে, এমন করেই একটা গল্প শেষ করবো ভেবে লিখতে বসা। কিছুটা পেরেছিও হয়তো ( নিজে নিজে ভাবছি আর কি!)। কাব্যগন্ধী শব্দ নয়, 'কিচ্ছা'এড়াতে চেয়েছি আসলে।
নাম নিয়ে ভালো বলেছিস, খুব সরলরেখায় প'ড়ে গেছে এটা। কিন্তু বিকল্পও পাচ্ছি না !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
অসাধারণ সব দৃশ্য বর্ণনা( বিশেষ করে শেষ পর্বে)। গল্পের ভেতরের বোধটা আমায় খুব টানছে। কিছু কিছু বোধের বাইরের অনুভূতি যে মানুষের জীবনকে কোণ থেকে আন্দোলিত করতে পারে সেই জায়গাটায় নিয়ে গেছেন লেখক( আমি অত ভালো গুছিয়ে বলতে পারিনা)।
" সঙ্গে সঙ্গে সেও যেনো এই প্রথমবার আমাকে দেখতে পেলো। ঢোক গিলবার মতো করে গিলে ফেললো বাদ বাকী শব্দগুলো।"...আমার কেন জানি মনে হলো, গল্পের নির্যাস এখানে লুকিয়ে...।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
নতুন মন্তব্য করুন