তা, এই ইতা বিষপোকা অকল হঠাৎ ভালা মানুষ অই গেলো ক্যামনে! আছিরনের মাথায় ঢুকে না! তার ভয় ভয় লাগে। সংশয়ের চোরকাঁটা বুক বরাবর গেঁথে থাকে। এতো রাত করে ফিরে কেন রজব আলী? কোনো রাতে তো ফিরেই না! তবে যে এ, ও নানা কথা বলে, সেটাই সত্যি? রজব আলী চুরি ডাকাতিও করে এখন! তার খারাপ লাগে। আছিরনের খুব খারাপ লাগে তখন। ভয় লাগে। তার মনে হয় বিপদ একটা ঘনাচ্ছে।
বিপদ একটা সত্যি ঘনিয়েছিলো। ঘনিয়ে, রজব আলী গলা পেঁচিয়ে ধরেছিলো হিমকুয়াশায় স্থির হয়ে যাওয়া একরাতে। গ্রামের কামলাদের মধ্যে যারা দিনের প্রথম প্রহরে গরু নিয়ে লামা বিলের দিকে যাচ্ছিলো, তাদের প্রথম দলটাই আবিস্কার করতে পারে যে, অদূরে আকাশের দিকে মুখ চিৎ হয়ে পড়ে আছে যে শরীর, আর তারও হাত পাঁচেক দূরে ছিটকে থাকা মুণ্ডুটা রজব আলীরই।
১৩৮১ বাংলার ১লা মাঘ ছিলো সেইদিন, আছিরন মনে করতে পারে। প্রতিদিন এই দিনেই গোলাপ শাহ্’র ওরস হয়, মেলা বসে ধাইসার গ্রামে।
ত্রিশ বছর পর রজব আলী তাকে এসে ডাক দেয়___ ‘এই মিলনের মা, অতো সময় লাগেনি তোমার? মিলন কোয়াই!? আও না তাড়াতাড়ি...।’ রজব আলীর তাড়াহুড়োয় ভালো করে চুলটাও আছড়াতে পারেনি আছিরন! মুখে একটু পাউডার দেবে, তার সময় কই। বাইরে তারস্বরে চেঁচিয়ে যাচ্ছে রজব আলী। আরে মাইয়াদের হাঁজতে একটু তো বেশি সময় লাগেই। তার উপর জীবনের পয়লা সে আজ ছবি তুলতে যাচ্ছে ___ কিছু বুঝেনা মানুষটা! মিলনকে মাঝখানে রেখে, দাইড়ে লাগানো টাইমফুলের গাছটাকে পেছনে রেখে ঝকমকে রোদের উঠোনে এসে দাঁড়ায় তারা। রজব আলীকে কি সুন্দর লাগে শাদা পাঞ্জাবীতে! আছিরন একবার তাকিয়ে চোখ নামিয়ে রাখে। তার এতো শরম লাগে! মিলনকে ধাক্কা দিয়ে বলে, ‘ক্যামেরার মুখা চাইয়া হাস্।’ তাতে তারা এই হাস্যোজ্জ্বল রোদের মতো যুগপৎ ভঙ্গিতে ক্যামেরার দিকে তাকায়।
ক্যামেরার বোতামে আঙুল রেখে ঝুঁকে থাকা হোসেন নিপু তাদের এই অপার্থিব আনন্দের মুহূর্তকে বন্দী করেছে কি করেনি, তার আগে অথবা পরে, হয়তো সার্টার পড়ার শব্দেই, খরগোসের শরীরের মতো মখমল স্বপ্ন আছিরনের ঘুম ভেঙে পালিয়ে যায়! উঠে বসে একটা লম্বা শ্বাস নিলে তার সমস্ত চৈতন্যজুড়ে থাকা আনন্দকণা বিষাদের মতো উড়ে উড়ে তাকে কাবু করে ফেলে! আজ, ঠিক আজই কেন দেখলো সে এমন স্বপ্ন? মৃত মানুষের সঙ্গে ছবি তোলার মানে কি খারাপ কিছু! আবার নিপুকেও দেখলো! এই ছেলেটাকে অবশ্য খুব ভালো লাগে আছিরনের। কী নম্র, ভদ্র! বলতে গেলে তার চোখের সামনেই তো বড় হলো ছেলেটা। কত বিস্তর পড়াশোনা করে এখন না কি সে সাম্বাদিক হয়েছে। ঢাকা থেকে যেসব প্রতৃকা আসে প্রত্যেকদিন, তাতে নিপু লেখে! একবার সে-ই তো মিলন আর মিলনের বাপরে লইয়া কিতা জানি লেখলো! মিলনের বাপের একটা ফটোর জন্য তার কাছে এসেছিলো। ‘চাচী, চাচার কোনো ফটো থাকলে দেও। একটা লেখা লেখরাম।’ ছেলেটা অমন বুক ভরে চাচী ডাকে, যেনো আছিরন তার আপন চাচী! আছিরন আর না করতে পারেনি। রজব আলীর একটাই শাদা-কালো ছবি ছিলো, সেটাই নিপুকে দিয়েছিলো সে। কিন্তু সেটা তো অনেকদিন আগের কথা। আজ রাতের স্বপ্নে আবার নিপুর উপস্থিত থাকার মরতবাটা কি? আছিরনের মন-দিল বেশি রকম খারাপ হয়ে যায়!
পথঘাট, আল ভেঙে, গো-পাঠ ভেঙে, পায়ে হাঁটা মিহি পথ ধরে ছুটছিলো সবাই! গ্রামের নারী পুরুষ- শিশুদের দল ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ছিলো ওরসের মাঠে! সে তাতে যুক্ত হতে চায়নি প্রথমে। তার বন্ধুও বেশ ঘাইগুঁই করছিলো-যাবে না বলে। কী মনে করে যেন সে-ই পরে মত পাল্টিয়ে মিশে গেলো ছোট একটা দলে। এখন, এখানে এসে তো তার দম বন্ধ হয়ে যাবার যোগাড়! কত্ত মানুষ! কি ভিড়! কেউ হাঁটছে তো হাঁটছেই, ধাক্কা মেরে যে ফেলে যাচ্ছে কাউকে সেদিকে তার থোরাই কেয়ার! কেউবা দাঁড়িয়েছে দীর্ঘলাইনে; তবরুখ পাবার আশায়। বাচ্চাদের একটা দল তো সামনে ভেঁপু বাজিয়ে কান ঝালাপালা করে যাচ্ছে! সে যে কানে শোনে না ভালো করে, কমজোরি শব্দগুলো যে তার কানে ঢুকে না-সেটা এখন আর মনে হচ্ছে না। বরং তার কানের পর্দা যেন নতুন করে খুলে গেছে এই হুল্লোড়-চিৎকার- চেঁচামেচিতে! তার অদ্ভুত এক ঘোর লাগে তখন! আর এই ফাঁকে, তার থেকে তার বন্ধু, অথবা তার বন্ধু থেকে সে নিজে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে! ঘোর ভেঙে জেগে উঠলে বন্ধুর জন্য খুব খারাপ লাগতে শুরু করে তার। এতো এতো মানুষ দেখে, এতো শব্দ শুনে তার বন্ধু নিশ্চয় ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়ে হয়তো মুতাবাঁশের বনে বা অন্য কোথাও গুটিসুটি মেরে বসে আছে। হয়তো চলে গেছে কদমহাটার দিকেই।
এই রকম আশংকায় পড়েই তো সে সেই বিকেল থেকে এখানে দাঁড়িয়ে আছে। বিকেল ফুরিয়ে সন্ধ্যা, তারপর অজগরের মতো কালো রাত নেমেছে চরাচরে-তাও তো কতক্ষণ! তার বন্ধুর তবু ফেরার নাম নেই!
বন্ধুকে হারিয়ে এমনিতেই মিলনের মন-মেজাজ খারাপ, তার ওপর শহরফেরতা মানুষজনদের ইয়ার্কিমারা প্রশ্ন, সওয়াল তার কাছে অসহ্য ঠেকে। এরা কি ফাজলামীর আর সময় পায় না! খালি খালি ফালতু কথা!! তবু কেউ একজন জানতে চায়, ‘ও মিলন, ইখানো উবাইয়া কিতা করছ?’ একরাশ বিরক্তি আর অনিচ্ছায় সে বলে, ‘আমার দোস্ত হারাই গেছইন!’
-তোর দোস্ত রে ত দেখলাম কদমহাটা বাসস্ট্যাণ্ডে...
মিলন জানে এলাকার সবাই তার সঙ্গে ঢং-ইয়ার্কি-ই করে বেশি। ফালতু কথা ছাড়া সহজ সাদাসিধা ভালো কথা বলে খুব কমই। তবু এখন, এই অসহায় মুহূর্তে এই কথাগুলোকে তার ফাজলামি ভাবতে ইচ্ছে করলো না! বিশ্বাস করতে মন চাইলো। এবং বিশ্বাস করে সে দাঁড়িয়ে থাকলো ঠায়। সত্যি যদি তার বন্ধু কদমহাটার দিকে গিয়ে থাকে, তবে তো এই পথেই ফিরতে হবে-এই আশায়।
কিন্তু মুশকিল বাধলো কালো শার্ট-প্যান্ট, কালো কাপড় দিয়ে মাথামোড়া এই লোকগুলো নিয়ে। কোথাকার কোন কানকাটা হাবিব, তাকে মিলন চিনবো ক্যামনে! ঢাকা তো ঢাকা, সে তো জেলা শহরেই গেছে মোটের ওপর তিনবার! কিন্তু এইসব কথা এরা বুঝলে তো! আর তার এখন বুঝিয়ে বলতেও ইচ্ছে করছে না। বরং রাগ হচ্ছে। তার বন্ধুর চিন্তায়ই সে অস্থির। এদিকে তার মা-ও হয়তো তাকে খুঁজতে এতোক্ষণে বেরিয়ে পড়েছে___ সে যে কী করে এখন! সে তো ফিরে যেতেই চায়, কিন্তু এরা এমন করে তাকে ঘিরে রেখেছে, একটা ভোঁ দৌড় যে দেবে সে উপায়ও নেই! তার ওপর দ্যাখো এমন জোরে লাথি মারলো যে সে উপুড় হয়ে পড়ে গেলো! উঠে দাঁড়াতে গেলে আরেকটা। এবার দ্বিগুন জোরে। সে বুঝে উঠতে পারছে না, এরা তার সঙ্গে এরকম করছে কেন! কেউ কাউকে এতো জোরে লাথি মারে! এদের পায়ে কি লোহার জুতা? তার মনে হলো, জুতার মাথায় বুঝি কোনো বিষ ছিলো-সেটা এখন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে! চোখ মুখ ফেটে যাচ্ছে সেই বিষের দংশনে! মাকে ডাকলে মনে হয় আসান পাওয়া যেতো। মা’র কথা মনে হতেই তার কান্না মতোন পেলো। ‘আম্মা, দ্যাখো এরা আমারে খালি খালি মারের...।’ কিন্তু স্বরযন্ত্র পেরিয়ে, গলা বেয়ে কথাগুলো বেরিয়ে আসতে না। তার আগেই একটা উতপ্ত সীসাখণ্ড প্রথমে তার চিত্রল মাফলার, তারপর তার সবুজ শার্টটা ফুটো করে দিয়ে, পাঁজর গলে ভেতরে ঢুকে গেলো! ঢুকে, পুরো বুক জুড়ে সে কি তাণ্ডব; যেন ওরসের পুরো মাঠটাই তার বুকের ভেতর ঢুকে গেছে। সেই ওজন নিয়ে সে আর দাঁড়াতে পারলো না! চোখের দুই পাতাও মুদে আসলো পাথরের ভারে! গলার ভেতর প্রবল তৃষ্ণা নিয়ে সে মা’কে ডাকতে চাইলো আবার ‘আম্মা, এরা আমারে মারি লাইলো। তুমি আমারে বাঁচাও আম্মা...আ-ম্মা...আমি মরি যাইরাম...’ এবারও কথাগুলো বেরিয়ে আসতে পারলো না। মাথার পেছন দিকে আরেকটা সীসাখণ্ড ঢুকে মগজের অন্দরে এমন ছোবল মারলো-সে দিগ্বিদিকশূন্য, জ্ঞানহীন শেষবারের মতো ছুটে পালাতে চাইলো। কিন্তু ছুটতে গিয়ে খালের পানিতে পড়ে গেলে তার তৃষ্ণা বেড়ে যায় আরো। কুকুরের মতো চুকচুক করে পানি খেতে চাইলে, খালের পানিতে ভাসতে থাকা চাঁদ, গরম রক্তের সাথে মিশে তার মুখগহ্বর গলা অব্দি তেতো করে দেয়। এবং, সম্ভবতঃ জীবনে শেষবারের মতো আবার তার আলতো অভিমান হলো মা’র ওপর___ ‘আম্মা, আমি হাছাই মরি যারাম। তুমি অখনও আইলায় না...।’
দু’দিন কর্মস্থলে ফেরা হয়নি ভোরের আলো জেলা প্রতিনিধি হোসেন নিপুর। পান চাষ নিয়ে একটা ফিচার তৈরি করবে বলে বড়লেখা গিয়েছিলো সে। আজ দুপুরে শহরে ফিরে এলে, ‘বার্তা বিতান’-এ দৈনিক আজকাল-এর জেলা প্রতিনিধি শাহ্ অলিদ রেজার কাছেই সে প্রথম জানতে পারে খবরটা। নিপুকে দেখেই অলিদ উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে-‘এদিকের কোনো খবর তো জানইন না নিপু ভাই! সন্ত্রাসী মুরগি মিলন নো আপনার বাড়ির ধার থনে ধরা পড়ছে! বিকালে RAB’র কনফারেন্স পৌরসভা অডিটরিয়ামে... যাইবা না নি?’
নিপু যাবে মানে! পারলে সে উড়েই যায়। এতো বড়ো খবর! অল্প হলে মিস-ই হয়ে যাচ্ছিলো। তার তো তখন চাকুরি বাঁচানোই দায় হয়ে পড়তো! শাহ্ অলিদুর রেজাকে সঙ্গে নিয়ে নিপু যখন পৌরসভা অডিটরিয়ামে এসে পৌঁছায়, প্রেস কনফারেন্স তখন প্রায় শেষ। তবু, ‘র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী মুরগি মিলন মারা গেছে’-এই রকম একটা শিরোনাম দিয়ে, রিপোর্টটি তৈরি করে সে- ‘র্যাব-পুলিশের যৌথবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী, দুর্ধর্ষ মুরগি মিলন। র্যাব ৯ পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান কর্নেল ইমদাদ চৌধূরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এর আগেও নিহত মুরগি মিলনকে গ্রেফতার করতে কয়েকবার ব্যর্থ হয় যৌথবাহিনী। এবার নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়ে সন্ত্রাসী মুরগি মিলনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হবার পরই এই অভিযান পরিচালনা করে র্যাব । র্যাবের স্পেশাল স্কোয়াড চিতা ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত এই বাহিনী গতরাতে রাজনগর থানার নিভৃত পল্লী থেকে মুরগি মিলনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারের পর সন্ত্রাসী মুরগি মিলনের স্বীকারোক্তি মতোই র্যাব ও পুলিশ তাকে সঙ্গে নিয়ে তার অন্যান্য সহযোগি এবং তার বিপুল অস্ত্র ভাণ্ডরের খোঁজে বর্ষীজোরা পাহাড়ে অভিযান চালাতে গেলে, আগ থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশ ও র্যাবের ওপর হামলা করে মুরগি মিলনকে চিনিয়ে নিতে চায়। পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ওই সময় পাল্টাগুলি ছুঁড়লে ক্রস অব দ্যা ফায়ার লাইনসে পড়ে মিলন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন...’
রিপোর্ট লেখা শেষ করেই নিপু সদর হাসপাতালের সামনে তার পরিচিত ফোন ফ্যাক্সের দোকানে যাবে বলে রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে রিক্সা খুঁজতে থাকে। আছিরন তখনই নিপুকে দেখতে পায়। আর তার হয়তো তখন চকিতে দু’রাত আগে দেখা স্বপ্নের কথা মনে পড়ে। স্বপ্ন-নিপু-এইসব ঘটনার চক্র সংশ্লিষ্টতা যাচাই করে কি করে না, তার আগেই আসমান জমিন কাঁপিয়ে আছিরনের বিলাপ শুরু হয়___‘নি-পু, বাবা নিপুরে...আমার মিলনরে মারি লাইছে রে বা-বা-আ...।’
একটা রিপোর্টের শ্রম পন্ড হয়ে যাওয়ায় হোসেন নিপু হয়তো তখন 'ধ্যাত্' বলে উঠে ... । আর দূর গ্রামে পথ হারিয়ে ফেলা একটা উজ্জ্বল খয়েরিরঙা মোরগ বন্ধু হারানোর বেদনায় অভিমানি হয়ে সুর্যের ডুবে যাওয়া দেখতে থাকে।
মন্তব্য
ধৃষ্টতা ক্ষমা করবেন...শেষ পর্বের ঠাসবুনোট অনেক বেশী টানটান মনে হলো, পুরোটাই ভালো লাগলো!! *তিথীডোর
ধন্যবাদ রিফাত । ...শেষ পর্বের ঠাসবুনোট অনেক বেশী টানটান মনে হলো___ আগের অংশে সেটা থাকে নি, না ?
কিন্তু ২ অংশ মিলিয়েই তো গল্প, দীর্ঘ বলেই ভাগ করা । সব মিলিয়ে কি হয়েছে, আদৌ কিছু হয়েছে কি না, সেই সংশয় তো রইলোই ।
ভালো থাকবেন ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
গল্প ভালো লাগলো
কিছু কিছু ভুল বানান এড়াতে পারলে আরো ভালো লাগতো (প্রথম প্যারার কথাই ধরুন জাতিয়>জাতীয়, মনুর চড়>মনুর চর)
.........................................
I think what I think because that's how I am. You think what you think because that's how you are.
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই ।
এমনিতেই প্রচুর বানান ভুল হয় আমার । তার উপর এই `বেচারা` গল্পের ভাগ্য আরো খারাপ । অন্য একটা কারণে, গল্পটি কম্পোজ করে দিয়েছিলেন আরো একজন । তারপর কনভার্ট করতে গিয়ে এই ভয়াবহ অবস্থা । জানি, এইগুলো কোন যুক্তি নয় ।
ভালো থাকবেন
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
কনভার্ট করায় কিছু শব্দ ভেঙে গেছে। যেমন- র্যাব "র্যাব" হয়ে গেছে। ঠিক করে নিলে ভালো হয়।
ঠিক তাই । কিন্তু এখানেও 'র-য ফলা' আসছে না । অনেক চেষ্টা করেছি । আপনাকে ধন্যবাদ ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
গল্প ভালো লাগলো! কাব্যময়তা আপনার পিছু ছাড়বে বলে মনে হয় না, তবে সেটা খারাপ কিছু নয়
স্নিগ্ধা, কতো কিছু যে পিছু ছাড়ছে না !
সবচেয়ে নাছোড় `ব্যর্থতা` !
কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
দাদা, গল্পের প্রথম দিক যদিও খানিকটা শ্লথ গতিতে অগ্রসর হয়েছে তবে শেষের দিকে পাঠকমনকে গল্পে সম্পূর্ণভাবে ডুবিয়ে রাখার আবহ সৃষ্টি হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে বলতে পারি,
গল্প পড়া শেষে ভালোলাগার রেশ থেকে গেল
-------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ধন্যবাদ মউ ।
তোমার মনোযোগী পাঠের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। এই গল্পটা, বলতে গেলে খসড়া পর্যায়েই আছে এখনো । তোমার সব কথা মাথায় থাকলো ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
প্রথম পর্বের চেয়ে আমার বরং এই পর্বটাই ভালো লেগেছে বেশি- গতিময়তা আর কাহিনীর পরিণতি; এই দুটো মনে হয় সম্ভাব্য কারণ।
... আর ইয়ে, ক্ষমা করবেন এই অবোধ পাঠকের বিচার- মনে হলো এই শেষাংশের ভাগে কাব্যময়তা একটু বেশি পড়েছে (প্রথমাংশের তুলনায়)।
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
এটা অভিযোগ কী না বুঝতে পারি না সুহান । আমি আমার গদ্য, কাব্যাক্রান্ত হচ্ছে দেখল গদ্য না লেখার পণ করি প্রায়ই । কিন্তু লিখি যখন, দেখি, প্রায় সবাই তোমার মতো একই কথা বলেন !
কাব্যময়তা !!!!
গদ্যের জন্য সেটা ভয়াবহ রকমের দুর্বলতা বলেই মানি আমি। তবু সেটা কেন হয়, জানা হলো না !
আসলে শক্তির ব্যাপার এটা,সুহান । ছুরির মত ধারালো, চাবুকের মত নির্মেদ, আয়নার মত ঝকঝকে যে ভাষাটি মানিক-তারাশঙ্কর হয়ে পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের অন্বিষ্ট হয়ে উঠছিল, তার বাইরেও কেউ কেউ কোমল,স্নিগ্ধ এক ভাষা তৈরী করতে পেরেছিলেন, যেমন ___ মাহমুদুল হক, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় ।
আমার মনে হয় তৈরী হওয়া এখনো বহুদুরের পথ । তাই এই `কাব্যময়তা` ।
ভালো থেকো। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
আপনার গল্পে একটা সতত বহমান ধারা পাই।
যা জীবনকে নতুন করে কাছে টানে।
পুরোটাই পড়া হলো । বানানগুলো - ফাইনাল পর্বে ঠিক হয়ে যাবে,
তাও আমি জানি।
গল্পে , মাটিবর্তী থাকাটা জরুরী। আপনি তা পেরছেন ।
ধন্যবাদ ইলিয়াস ভাই ।
গল্পে মাটিবর্তী থাকাটা জরুরী
এটা মাথায় রাখি বটে, কিন্তু ফলাতে পারি না কিছুই !!!
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
দুই পর্ব পড়লাম একবারে। কাব্যময় গদ্য। সুন্দর। কবির সাক্ষর স্পষ্ট বোঝা যায়। যদি কিছু মনে না করেন কাহিনি হিসাবে কেমন লাগলো জানাই এবারে। সবই ব্যক্তিগত মত।
১। কোথাও কোথাও বুনোট এত ঘন একটু হাঁসফাঁস লাগে।
২। কোথাও কোথাও খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে গল্পের কাহিনির গতি, একটু একটু ছোটোখাটো সংলাপের ফুরসত থাকলে মনটা একটু থেমে বসে ছড়িয়ে ভাবার উপায় পায়।
৩। আরও একটা কথা আমার কেন জানি মনে হয়। মনে হয় এটা একটা বড় উপন্যাসের কাহিনিকে ছোটো পরিসরে ঢোকানো হয়েছে, কোথাও কোথাও তাতে কাহিনির প্রতি সুবিচার হয় নি।
৪। এত এত বছরের কাহিনি, এত ভাঙচুর, এত স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গকে কি মাত্র দুই পর্বের সীমায় দিয়ে দেওয়া যায়? এটা সত্যি বহুমাত্রিক উপন্যাস হওয়ার দাবী রাখে। ভেবে দেখবেন নাকি বড় করে লেখার কথা?
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
প্রথমেই পাঠ ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা, প্রিয় শব্দবন্ধু । খুব ভালো লাগছে, এমন মনোযোগী পাঠ-প্রতিক্রিয়া পেয়ে ।
অনেকগুলো অভিযোগের জবাব মনে হয়, একটা উত্তরেই কিছুটা দেয়া সম্ভব । দীর্ঘ এই লেখাটা আমি লিখেছিলাম, অনেক আগে ... একটা ছোটকাগজে প্রকাশিতও হয়েছিলো । ব্যক্তিগত ভাবে আমার নিজের একটা অতৃপ্তি তবু থেকে গিয়েছিলো । ভেবে রেখে ছিলাম, সময় পেলে এটাকে আবার লিখবো । সেটা আর করা হয় নি । বরং দীর্ঘ লেখা ব্লগ পাঠকদের বিরক্তি বাড়াবে এই আশংকায় কাটাছাঁট করতে যেয়ে আরো লেজেগোবরে হয়ে গেছে আর কি !
এটা একটা দীর্ঘ লেখাই, যার ৪০% হয়তো এখানে দেয়া । ঠিক শুধরে নেবো, তুলিরেখা জি ।
ধন্যবাদ আবারো ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
সুমন ভাই, একে একে কয়েকবার পড়লাম। প্রতিবারই গল্পের শেষে এসে মন খারাপ হয়ে গেলো। তুলিরেখার মন্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশ করছি। অনেক বড়ো প্রেক্ষাপট, আরও বিস্তারিত লেখার দাবী রাখে। আপনার দ্বারা সেটা সম্ভবও। একটু ভেবে দেখবেন আশাকরি
এই গল্পের প্রথম পাঠক আমার কবিবন্ধু মুজিব ইরম ঠিক এই কথাটাই প্রথম বলেছিলেন ।
তুলিরেখার মন্তব্যেই কিছুটা বলেছি মামুন ভাই । ধন্যবাদ ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
গল্প কখনো শেষ হয় না! প্রতিটি গল্পই তার শেষ প্রান্তে রেখে যায় আরো একটি নতুন গল্পের উপস্থিতি। যেকোনো উত্তীর্ণ গল্প সম্পর্কে এ কথা বলা যায়। আপনার গল্পটি একটু সময় নিয়ে ধীরে-সুস্থে পড়ে এই-ই ভাবছি! হোসেন নিপু'র ওই একটিমাত্র শব্দ 'ধ্যাৎ' আসলে আরেকটি নতুন গল্পের সুচনা করলো। এ গল্প চারপাশের জীবনে সয়ে যাওয়া ঘটনার ভেতরে ঢুকে নিজেকে নিয়ে ডুবে থাকার চিত্রের উন্মোচন যেন!
রাজনৈতিকধারার গল্প আমার ভালো লাগে। তবে এ ধারার গল্পের একটি বিপদ নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শ গল্পের গায়ে চেপে বসার সম্ভাবনা থাকে। হননপিয়াসী রাত গল্পেও কী তেমনটি আছে? না, তা নেই। তবে রজব আলী'র রূপান্তর (আওয়ামী ভাবাদর্শ থেকে জাসদ-গণবাহিনী হওয়া) সেটা তেমন পরিণতি পাইনি। এখানে আর একটু সময় দিতে পারতেন। মানে বলতে চাইছি, রজব আলী কেনো উল্টোপথ ধরলো তার ইঙ্গিত যদি রাখতেন আর কি!
মিলন চরিত্রটা আমার কাছে ঠিক স্পষ্ট মনে হয়নি। বরং চারপাশ থেকে বুঝে নিতে হচ্ছে তাকে। হুম, আপনি যে একজন নিরপরাধ মানুষ কীভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রের পেষনে মারা যাচ্ছে, তা বোঝাতে চেয়েছেন সেটা বুঝতে পেরেছি, এতে সন্দ নেই।
আর আপনার গদ্য কাব্যময়তা থেকে মুক্তি পাচ্ছে, সেটা ভালো লক্ষণ। যদিও আপনার এই কাব্যময়তা আমার অনেক অনেক প্রিয়!
উফ! কতো কথা বললাম। গল্পটি ভালো লেগেছে, এটা বলে বিদায় হই এবার!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
হুম, পান্থ, গল্প শেষ হয় না কখনোই ।
তাই একই গল্প হয়তো আমরা লিখে যাই ক্রমাগত । কিংবা একই গল্পের ভেতর দিয়ে বলে যেতে চাই সব গল্প ।
রাজনৈতিক বিষয় নির্ভর গল্প লেখার অনেক বিপদ___ সত্যি সেটা । কিন্তু গল্পকারের অক্ষমতার কারণেই হয়তো ‘হননপিয়াসী রাত’ কে রাজনৈতিক ধারার গল্প বলে ভ্রম হচ্ছে ! তিনি আসলে স্রেফ একটা গল্প বলতে চেয়েছিলেন, যে রাষ্ট্র কেবলই হননেচ্ছায় মাতছে, আর বংশ পরম্পরায় বলি হয়ে যাচ্ছে প্রান্তের মানুষগুলো । তা সে গোঁয়ার-গুণ্ডা রজব আলী কি হাবা মিলনই হোক । পিতা-পুত্রের একই দিনে মারা যাওয়ায় সেই ইঙ্গিত রাখার ছিলো ।
তোমার গভীর পাঠ পেয়ে এই গল্প পথ খুঁজে পাবে পান্থ, এটা সত্যি । ধন্যবাদ তোমাকে ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
গল্পটা পুরো শেষ করে মন্তব্য করতে চেয়েছিলাম। আপনার বর্ণনার ধরণ আমার যে খুব প্রিয় তা নতুন করে বলতে চাই না (কাব্যময়তাই বেশী টানে-কেন আমি জানিনা!)। আর এত সাবলীল ভাবে প্রসঙ্গান্তরে চলে(বর্ণনায়) যেতে পারেন যে হিংসে হয়! তবে, আমি গল্পের মূল ৩ টি চরিত্রকেই( বিশেষ করে মিলনকে) আরো একটু গভীরভাবে বুঝতে চাইব!
অনেক ভালো থাকবেন!
__________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
সন্দেহ নেই, শুধু মিলন কেন, কোন চরিত্রই হয়তো পরিষ্কার হয়ে উঠে নি, কিন্তু মিলনকে এর চেয়ে বেশী দেখাতেই চাই নি, যতোটা চেয়েছিলাম ব্রাত্যজনদের জীবনটা যে মুল্যহীন, এটা বুঝাতে । পারি নি যে, সেটা বলাই বাহুল্য ।
ভালো থাকবেন মণিকা ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
আপনার কথা মতো লিখতে বসলাম। মেইলও করলাম যদি এতো দিন পর আর না চোখে পড়ে আপনার।
আপনার গল্পটা প্রথম বার পড়ে একটু কনফিউজড ছিলাম, তারপর আরো দুবার পড়লাম। মতামত জানানোর জন্যই। কিন্তু তাতে করে লাভই হলো, ৩য় বার পড়ার পর গল্পটা ভালো লাগলো। অবশ্য তাই বলে খুঁটিনাটি বাদ দেবো ভাববেন না।
এ কথা মানি যে স্টাইলের মিশ্রণ খুব কিছু খারাপ জিনিস নয়, তবে একই পরিচ্ছেদে "সারা গতর জুড়ে " আর "পর্দায় ফ্রীজ হয়ে যায়" থাকাটা ঐ মিশ্রণেরই ফল।
গ্রুপ লীডার যখন প্রাকৃতভাষায় কথা বলেন (‘তর বন্ধুরা কই?’) তখন চেলারা নাগরিক শীলতা দেখাবে কি? (‘তোর সঙ্গীরা কোথায়’)
"আল্লা বেটা তাই এ জালিমরে আরউয়া ছাওয়াল দিয়া ভালা একখান শাস্তি দিছে! আছিরন বিবিরও এমন ধারণা।" বিবি কি সত্যি তাই ভাবেন? স্বামীপুত্র নিয়ে তাঁর এই ক্ষোভের খোঁজ কিন্তু পাই নি।
"ঝিঙা ফুলের মতো যেমন রঙ": ঝিঙা ফুল হলুদ রঙের না? এই উপমাটি কি প্রচলিত?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আমার অজ্ঞানতার কারণেই আমি বুঝি নি, রজব আলী কি ডাকাত হয়ে গেলো, নাকি পলিটিক্যাল ক্রিমিনাল?
এ সব পয়েন্ট বলার পর এবার শেষ পাতে মিষ্টি। গল্পটার স্ট্রাকচার ভালো লেগেছে, দুবার দুটি টাইমজাম্প আছে যা সহজ ভাবে করা হয়েছে। আছিরনের স্বপ্নে নিপুর উপস্থিতিও চমৎকার। আমার সবচেয়ে ভালো লাগলো মৃত্যুর মুহূর্তে মিলনের মায়ের উপর অভিমান। সব মিলিয়ে, মন ভরেছে। তবে আমার ধারণা এই জাতীয় গল্প লেখা যদি আপনার অভিষ্ট হয় তাহলে আরো রেওয়াজ করতে হবে। তাতে গল্পের ফ্লো আরো সাবলীল হবে।
আমার কিন্তু খুব একটা কাব্যময় লাগে নি লেখা। আর তুলিরেখা যা বললেন, এর পরিসর কাহিনীর মাপে ছোটো, একে বড়ো গল্প বানালে ভালো হতো হয়তো।
ভালো থাকুন।
কেবলা আপনাকে না রাজর্ষি দা`, সবার কাছেই এই গল্পটা নিয়ে বিস্তারিত শুনতে চেয়েছিলাম । কেন ? সেটা সব শেষে বলি ?
গ্রুপ লীডার যখন প্রাকৃতভাষায় কথা বলেন (‘তর বন্ধুরা কই?’) তখন চেলারা নাগরিক শীলতা দেখাবে কি? (‘তোর সঙ্গীরা কোথায়’)
এই জায়গাগুলোয় আরো কাজ করার ইচ্ছা আছে ।
আল্লা বেটা তাই এ জালিমরে আরউয়া ছাওয়াল দিয়া ভালা একখান শাস্তি দিছে! আছিরন বিবিরও এমন ধারণা।" বিবি কি সত্যি তাই ভাবেন? স্বামীপুত্র নিয়ে তাঁর এই ক্ষোভের খোঁজ কিন্তু পাই নি।
ক্ষোভ নয় । সংস্কার । স্বামীর কোন ভয়ংকর পাপের ফলে ছেলেটা এমন হাবাগোবা হয়েছে___ গ্রামীন প্রান্তিক এক নারীর এমন সংস্কার বুঝানোর ব্যর্থ চেষ্টা ছিলো এখানে ।
"ঝিঙা ফুলের মতো যেমন রঙ": ঝিঙা ফুল হলুদ রঙের না? এই উপমাটি কি প্রচলিত?
হুম, বাঙ্গলাদেশের যে অঞ্চলের উপাভাষা ব্যবহৃত হয়েছে, সেই অঞ্চলে এই উপমটা উজ্জ্বল ( হলদেটে) ফর্সা রঙ বুঝাতে খুব প্রচলিত ।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আমার অজ্ঞানতার কারণেই আমি বুঝি নি, রজব আলী কি ডাকাত হয়ে গেলো, নাকি পলিটিক্যাল ক্রিমিনাল?
না, এর কোনটাই না । কিন্তু বুর্জোয়াদের হাতে লিখিত স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভ্রান্ত এই বিপ্লবীদের প্রায় ডাকাততুল্য বলেই প্রতিষ্টা করা হয়েছে ।
এই জাতীয় গল্প লেখা যদি আপনার অভিষ্ট হয় তাহলে আরো রেওয়াজ করতে হবে
এইবার আপনাকে প্রথম প্রশ্নের জবাব দিই । হুম, এই ধারায় এটাই আমার একমাত্র গল্প । আপনাদের তাই এই বিরক্ত করা ।
ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
নতুন মন্তব্য করুন