অবশেষে ড্রপস্ক্রিন পড়ে যায় ! শূন্য মঞ্চ থেকে দেখি হলভর্তি সারি সারি নিরবতা,সুনসান ! একদিন যে মঞ্চ থেকে ছুঁড়েছি বিদীর্ণ সব স্বপ্নরাজি; আজ সেখানে খুব একলা ...
এইবার যদি হারানো কালের কথা বলি... , বলি , শেষবার ভুবনডাঙার মাঠে ভীনদেশী বালিকারা আমদের যা দেখিয়ে গেলো সার্কাসের নামে, তাদের বিচ্ছেদে বিমূঢ় হয়ে একদল রাতজাগ...
'' .... থু ! থু ! থু ! এদের নাম নেয়াটা কি ঠিক হলো আমার শোভন বসার ঘরে ? বরং মাইকেই বাজতে দাও । এইগুলো তো গৃহপালিত । ঘুণেধরা সমাজ ব্যবস্থা যতদিন থাকবে, এসব এলিটমেন্ট আর তাদের নিয়ে মাতামাতি,গুলিস্থান-নাগরমহল জমজমাট থাকবেই । কাম প্রশমণে লোক য...
আজ অমল আর বকুল দি’র দেখা হবার কথা ছিলো । দীঘায় যাবার কথা ছিলো, তবু ঢেউয়ের কাছে না গিয়ে পাহাড়ে যাবে বলে আঙুলের ডগায় রক্ত নিয়ে বসেছিলো তারা, বহুদিন থেকে ! হয়তো বা কথা ছিলো আজ তারা এই প্রথম আর শেষবারের মতো পরষ্পরের হৃদি ভাসিয়ে দেবে বেদ...
মন খারাপ হলে কি করো তুমি ? চোখের ভেতরে উপচালে জল ?
গলার কাছে আটকে থাকলে কান্নার দলা ? দুর পাহাড়ের গায়ে গায়ে নিভু নিভু কিছু রাত-প্রদীপ,তার কাছে কি পার্থনা করো তখন ? মানুষের ভেতর আরেক অন্ধকার-গ্রাম, তার সাকিন জেনে আতকে উঠো,ভাবো,সব সবুজ...
স্মৃতি মাতৃক খুচরা কষ্ট
সু ম ন সু পা ন্থ
সারারাত মুখরিত দহন; মথুরার গল্প নেমেছে পদ্যসুরে
ঘুমহীন মফস্বল কবি গ্রন্থিত হই শিশিরে পুনবার
কতোবার বলেছি আমার শহর দেখতে আসো যোজন দূরে
নিভৃত নিধুবনে নিঃস্বরাত জানে মর্ম, হৃদি যাতনার !...
[…লিখতে বসা মাত্রই দেখি কথাগুলো হামলে পড়ে মূমূর্ষ করে তুললো ! তীব্র ভীষণ এক ইচ্ছাপাখির ডানা ঝাপ্টানি – যদি লেখা যায় আজ তেমন কিছু, যদি বলা যায় এ অন্তর্গত রক্তক্ষরণ থেকে পাওয়া কথাগুলো; সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের মতো, বলে দেয়াই যায় যদি -...
সন্ধ্যায় বৃষ্টি এলে
সু ম ন সু পা ন্থ
সন্ধ্যায় সামান্য বৃষ্টি... বৃষ্টি খেলতে শহরে এসেছেন বাল্মীকি
বিভঙ্গ চৈতন্যের কাব্য হবে এবার, এ সন্ধ্যায় আমরা কি লিখি!
প্রত্ন সভ্যতা বার্ধক্যে গ্যাছে এমনই প্রশ্নের তোড়ে -
ফি-সন্ধ্যায় আমরা উ...
ছোট্ট শহর টাঙ্গাইল,আর তার ততোধিক ছোট অলিগলি পেরিয়ে পূর্ব আদালত পাড়ার শান্তি শান্তি চেহারার বাড়িতে তিনকন্যা আর তাদের বাব-মা র সঙ্গে দেখা হলো যে সন্ধ্যায় - এখান থেকে চোখ ফেরালে,বহু বর্ষের দূর মনে হয় |মনে হয় , সরকারি বিন্দুবাসিনী স্...
বাইরে থৈ থৈ জোছনা নেমে এসে বলছিলো , বেদনা ! সমস্বরে আমরা বলি, এই বার আরতি দিলাম সিদ্বার্থের নামে,এই বোধিবক্ষতলে ! পরষ্পরের মুখের দিকে তাকিয়ে দ্যাখি আঙুলের ডগায় দু'জনেরই রক্তবিন্দু ! না মোছা সব ব্যাথারা একই সুরে বাজছে । তবু কতো স্বপ...