আজকাল আমি মঝে মঝেই স্বপ্নে দেখি, আমি মারা যাচ্ছি বা মারা গেছি । শুয়ে আছি কবরে, কাফনে গা ঢেকে। হাত,পা নাড়তে পারছি না , কথা বলতে চাইছি কিন্তু পারছি না,মিষ্টিকে ডাকতে চাই, মিষ্টি মিষ্টি মিষ্টি।।। কিন্তু গলা থেকে কোন স্বর বেরোয় না,ডাকতে পারি না ...আবার কখনো প্রচন্ড জোরে চেঁচিয়ে উঠি, মিষ্টিইইইই...গলা থেকে স্বর বেরুনো মাত্র ঘুম ভেঙে যায়। বিছানায় বসে কাঁপি থরথর থরথর ... একটানে খেয়ে ফেলি এক গ্লাস পানি কিন্তু তারপরেও যেন গলা শুকিয়েই থাকে...কখনো বা মিষ্টি ওঘর থেকে দৌঁড়ে আসে, জড়িয়ে ধরে বলে,এই তো আমি, কী হয়েছে? গ্লাসে পানি ঢেলে মুখের সামনে ধরে, পানি খাওয়ায়
ধরে শুইয়ে দেয় বিছানায়...কখনো বা খানিক বসে থাকে পাশে, আবার ঘুমিয়ে না পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে, আর তারপর আস্তে করে উঠে যায় ...
আবার এমনও হয়, হঠাত্ করে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে মনে হয় কেঊ যেন জানালা দিয়ে ঘরে এসে ঢুকেছে, আর দাঁড়িয়েছে খুব কাছে এসে৷ তাকিয়ে আছে অপলক, নি:শ্বাস ফেলছে গায়ের পরে, আমি পাগলের মত দৌঁড়ুই, সোজা সামনের ঘরে, যেখানে মিষ্টি ঘুমিয়ে আছে । দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ি দরজা ধরে, কাঁপি থরথর থরথর... খানিক দাঁড়িয়ে থেকে চেষ্টা করি ধাতস্থ হওয়ার৷ ফিরে আসি নিজের ঘরে, ঘরের বাতি জ্বালিয়ে জানালাগুলো টেনে বন্ধ করি পর্দাগুলো টেনে দিই ভালো করে, একটুও ফাঁক-ফোকর যেন না থাকে৷ পাশ বালিশ টেনে নিয়ে শুয়ে পড়ি গুটিসুটি মেরে, যতখানি গুটিয়ে শোওয়া যায়!
আমার ভীষণ ভয় করে, ভীষণ ভয়!
স্বপ্নেরা অনবরত ভয় দেখায়৷
কেউ যেন কাটা-ছেঁড়া করে আমায়
ছুরি কাঁচি চালায় যখন তখন
যত্র তত্র
কোন অষুধ দেয় না
দেয় না কোন অ্যানেস্থেশিয়া
কিছু একটা অপারেশন চলছে, আমি সেটা দেখি
আমারই উপর চলছে কাটা-ছেঁড়া
ব্যথার আশঙ্কায় আমি চীত্কার করি
ব্যথাহীন ব্যথায় নীল হয়ে যাই
ঘুম ভেঙে যায় আমার ঘুম ভেঙে যায়...
মন্তব্য
উহ! কি ভয়ংকর!
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হুমম...
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
খুব ছোটবেলায় সন্ধ্যার জ্বরে এক বৃদ্ধ এসে শ্বাস ফেলে যেত বুকের ওপরে। আজো জ্বরের তুমুল ঘোরে সে আসে। আমি বড় হতে হতে বাসি পক্ক ফলের মতো কুচকে গেছে তার মুখ। আসে জানালার পাশে। তাকায়, আর শ্বাস ফেলে চলে যায়। এখনো সময় হয়নি বোধ হয় তাই।
""""""""""""""""""""""""""""""""""
বহুদিন হলো নিকষ কুঠার ফেলে এসে ভুলে
দাঁড়িয়েছি আজ মেঘের কিনারে এসে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
বুড়ো হয়ে যাচ্ছো তুমি,
বুড়ি পৃথিবীটার মত।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
হুমম।
তোমার আবার কী হলো?
লেখায় অন্ধকার এসে জুড়ে বসে, বিষণ্ণতা ছড়িয়ে যায়।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
কনফু,
নাহয় তোর লজেন্স আর চানাচুরের পয়সা ডিউ আছে তাই বলে বুড়ো বলবি?
সৌরভ,
মাঝরাতে ১০০মিটারের দৌঁড় চলে প্রায় দিনেই, জ্বীনের আছর আছে, হুজুরে কইছে ! তাবিজও দিছে, কিন্তু তাবিজ পরতে আলস্য। হুজুরের মতে তাই এই দৌঁড়-ঝাপও অবধারিত
ভাবতে বসলেই অন্ধকার আর বিষন্নতা...
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
রেগুলার জিমে যাইতে হইবো। মাসল দেইখা ভয়ডর সব বাপ বাপ, থুক্কু, আম্মা আম্মা কইয়া পালাইবো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ধরলাম তোমার নিজের কথা নয় এগুলো। এমনি পড়ছি, উপন্যাসের নায়িকার কথন...তাহলে ভালো লাগলো।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
নতুন মন্তব্য করুন