• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

জানো তো, নবনীতা না মাঙ্গলিক ...

শ্যাজা এর ছবি
লিখেছেন শ্যাজা (তারিখ: রবি, ১১/০৫/২০০৮ - ১০:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'মাঙ্গলিক' শব্দটি এখন আর খুব একটা অচেনা নয় ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, লাগে রহো মুন্নাভাই সিনেমার বদৌলতে। গ্রহ নক্ষত্রের ফেরে, পন্ডিত-পুরোহিতেরর কোষ্ঠিবিচারে কেউ কেউ মাঙ্গলিক হয়ে যায়। মাঙ্গলিক মেয়েটির নিজের তাতে কোন অসুবিধে বা বিপদ নেই কিন্তু সমূহ বিপদ তার হবু বরটির। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অকালমৃত্যু অনিবার্য (পুরোহিতের কোষ্টিবিচারে)। সমাধানও পুরোহিতই দিয়ে দেন। যেমন দিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন আর জয়া বচ্চনকে যখন জানা গেল ঐশ্বর্য রাই মাঙ্গলিক। প্রথম বরের উপর দিয়েই সকল বিপদ যায় বিধায় পুরোহিত বিধান দেন কন্যেটির বিবাহ দেবতার সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হোক। সকল বিপদাপদ দেবতা নিজবক্ষে ধারণ করে কন্যের দ্বিতীয় বরটিকে নিরাপদ করে দেন পার্বতীপতি শিব। কোন এক শুভদিনে শুভক্ষণে কন্যে মালা দেয় শিবের গলায়, শিবের পায়ে ফেলে রাখা সিঁদুর কন্যে নিজ মাথায় ধারণ করে আর মঙ্গলের যত দোষ সব কেটে যায়। নিশ্চিন্ত মাতা-পিতা কন্যের বিয়ে দেন নির্বাচিত পাত্রের সাথে।

কিন্তু আমাদের আমিতাভ ও জয়া বচ্চন শুধু শিব বিবাহে নিশ্চিন্ত হননি। তারা ঐশ্বর্যর তিন তিনটি বিয়ে দিয়েছিলেন নিজপুত্র অভিষেককে নিরাপদ করার জন্যে। শিবঠাকুর তো আছেনই, ঐশ্বর্যের বর হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল বটবৃক্ষ ও কলাগাছেরও। খবরের কাগজের প্রথম পাতায় প্রতিদিন বড় বড় ছবি সহ সেই সব খবর স্থান পেয়েছে । হবু পু্ত্রবধুকে নিয়ে মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার ছবিও দেখা গেছে প্রায় নিত্যই। সমস্ত শিক্ষা-দীক্ষা, আধুনিকতার মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে মঙ্গলদোষ কাটিয়ে তবেই জয়া -অমিতাভ বধু হিসেবে বরণ করেন এককালীন বিশ্বসুন্দরী অ্যাশকে।

এমনই এক মাঙ্গলিক কন্যে আমাদের নবনীতা। আমার সাথে ওর আলাপ জিমন্যাশিয়ামে। নামি এক বেসরকারী হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার নবনীতা একদিন এসে হাজির হয় আমাদের জিমে। ৯৭কেজি ওজন নিয়ে। নিজেকে নিয়ে ভীষণ বিব্রত থাকে, কথা বলে খুব কম। সামনে পড়লে শুধু একটু স্মাইল দিয়ে হাই-হ্যালো সারে। নবনীতাকে দেখে জিমনেশিয়ামেও ফিসফিস শুরু হয়ে যায় নিয়ম মেনে। হাউসকিপিংএর মেয়েরা পর্যন্ত ফিসফিস করে। নবনীতা জিমে আসার কিছুদিনের মধ্যে আমি জিম ছেড়ে দিই। বছর দুই পরে সেদিন হঠাৎ নবনীতার সাথে দেখা এক রাস্তার মোড়ে। আমি নবনীতাকে চিনতে পারিনি সেদিন দেখে। ছিপছিপে চেহারার হাসিমুখ এক মেয়ে আমাকে হ্যালো বলছে! কে রে বাবা, হাসিটি চেনা চেনা লাগছে যেন! নবনীতা! মুখ থেকে অজান্তেই বেরিয়ে যায় নবনীতার নাম। উজ্জ্বল হাসে নবনীতা ।

মধ্য তিরিশের নবনীতা তখনো অবিবাহিতা। কোন প্রেমপর্ব নেই, বিয়ের সম্মন্ধও খুব একটা আসে না। ওজন কমানোকে ধ্যান=জ্ঞান করে বছর খানেকের মধ্যে পঁচিশ কেজির মত ওজন ঝরিয়ে নবনীতা এখন বেশ ছিপছিপে। বিয়ের সম্মন্ধ আসে এদিক ওদিক থেকে। কিন্তু নবনীতার মায়ের ( যিনি এ শহরের এক নামী আইনজীবি) দুশ্চিন্তার কারণ অন্যত্র। কোষ্ঠি বিচারে নবনীতা যে মাঙ্গলিক!

এক শুভান্যুধায়ীর পরামর্শে নবনীতার মা বেনারসে গিয়ে এক গুরুদেবের সাথে দেখা করেন। গুরুদেবের পরামর্শে বেশ কিছু যাগ-যজ্ঞ করেন সেখানে, করান শতেক ব্রাহ্মণ ভোজন নবনীতার দোষ কাটানোর জন্যে। গুরুদেব সময় বলে দেন তিন মাস। এর মাঝে দোষ অনেকটাই কেটে যাবে, তখন দিন-ক্ষণ দেখে বিয়ের লগ্নে নবনীতার বিয়ে দেওয়া হবে শিবঠাকুরের সাথে। মাস তিনেক পরে নবনীতাকে সাথে করে বেনারস যেতে বলেন গুরুদেব।

তিন মাস পরে নবনীতা মায়ের সাথে বেনারসে যায়। বারে বারে কোষ্ঠি মেলান গুরুদেব, নবনীতার হাতও দেখেন। বলেন, খুব শিগগিরই নবনীতার বিয়ের যোগ। তবে তার আগে নবনীতার বিয়ে দেবতার সাথে দেওয়া আবশ্যক। যেমন কথা তেমন কাজ। নবনীতার সৌভাগ্যে তখন বিয়ের লগ্ন ছিল ঠিক দু'দিন পরেই। বিয়ে হয়ে যায়। লাল বেনারসি আর গয়নায় পুরোপুরি বৌ সাজে নবনীতা। ঠাকুরের পায়ের সিঁদুর আর বিয়ের জরির মালা গুরুদেব দিয়ে দেন নবনীতার মায়ের হাতে, বলে দেন, যত্ন করে রেখে দিতে। এই সিঁদুরেই যেন বিয়ে হয় নবনীতার আর এই মালাই যেন বরমালা হয়।

মা-মেয়ে কলকাতায় ফিরে আসে। কিছুদিনের মধ্যেই নবনীতার বিয়ের একটা সম্মন্ধ আসে অনাবাসী ভারতীয় এক ডাক্তারের জন্যে। নবনীতার মা যোগাযোগ করেন গুরুদেবের সাথে। গুরুদেব পাত্রের কোষ্ঠি চেয়ে পাঠান। ডাকযোগে সেটি পেয়ে সাথে সাথেই গুরুদেব জানান, যত শিগগির পার মেয়ের বিয়ে দিয়ে দাও এই ছেলের সাথে। এবং নবনীতার বিয়ে হয়ে যায় শিবঠাকুরের সাথে বিয়ে হওয়ার ঠিক দু'মাস পরে।

নবনীতার বর বিয়ের পরে ফেরত গেছে কাজের জায়গায় আর নবনীতা এখন তোড়-জোড় করছে এখানকার সব মিটিয়ে স্বামীর কাছে গিয়ে ঘর-সংসার করবার।

না। এতসব কথা নবনীতা আমাকে বলেনি। নবনীতার সেই শুভান্যুধায়ী বন্ধুটি কাকতালীয়ভাবে আমারও পরিচিত। পরিচয়সূত্রও জিমন্যাশিয়াম। বন্ধু না হলেও বন্ধুর মতই। মাঝে মাঝে তার সাথে ফোনালাপ হয়। কখনো সে ফোন করে তো কখনো আমি। সেদিন নবনীতার সাথে দেখা হওয়ার কথা ওকে বলতেই ও বললো জানো না তো কত কান্ড করে ওর বিয়ে হয়েছে! কান্ডগুলো শোনায় আমার উৎসাহ ছিল না, নবনীতার হাসিমুখ আর রোগা ছিপছিপে চেহারা দেখে আমার ভীষণ ভাল লেগেছিল বলেই আমি নবনীতার কথা তুলেছিলাম। কিন্তু আমি শুনতে না চাইলেই বা সে ছাড়বে কেন। অ্যাত্তবড় উপকার করেছে আর কেউ জানবে না! জানো তো, নবনীতা না মাঙ্গলিক ...


মন্তব্য

রেনেট এর ছবি

আসলেই অবাক লাগে, মানুষ আজো এসব বিশ্বাস করে শুনে।
অফটপিকঃ আপনার শাহরুখের দলের খবর কি? (দেঁতোহাসি)
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

শ্যাজা এর ছবি

আমার শাহরুখ খান! হে হে হে :)

দলের অবস্থা তো খুবই খারাপ গেল, পরপর চারটে ম্যাচে একেবারে গোহারান হেরে এখন আবার দুটো ম্যাচে জয়। পরশুর ময়াচে তো হারতে হারতে জিতল তবে আজকের ম্যাচে জয়ের মতই জয় :)


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

নিঘাত তিথি এর ছবি

বড়ই আচানক।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

শ্যাজা এর ছবি

আচানক তো বটেই।

তোর খবর কি মাইয়া? আছিস কেমন?


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

আরিফ জেবতিক এর ছবি

টাচি লেখা ।

আচ্ছা , মেয়েরা মাঙ্গলিক হয় , ছেলেরা হয় না ? মানে ছেলে বিয়ে করলে বউ মরে যাবে টাইপের কিছু একটা । নিয়মটা কি জানো কিছু ?

শ্যাজা এর ছবি

এই ঘটনা শোনার পরে আমি বেশ কয়েকজনকে মাঙ্গলিক বিষয়ে জিগাইলাম। কেউই ঠিকঠাক কিছু জানে না, যা জানে সবই ভাসা ভাসা। ছেলেরাও মাঙ্গলিক হয়। দুই মাঙ্গলিকে নাকি রাজযোটক। আর শুধু ছেলে মাঙ্গলিক হইলে? হুমম।। জিগাইতে হইব :(


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

আরিফ জেবতিক এর ছবি

ধূ-র । ঈশ্বরিয়ার বিয়ার লাগি এতো ফুল ফল কলা গাছ কচু গাছ খোঁজার দরকার কী ছিল ?

আমারে কইলেই হইতো ।
আমি কি আর রিস্ক লইতে রাজী হইতাম না ?

-----------------------------
কালের ইতিহাসের পাতা
সবাইকে কি দেন বিধাতা?
আমি লিখি সত্য যা তা,
রাজার ভয়ে গীত ভনি না।

শ্যাজা এর ছবি

:)


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই এখনও অদ্ভুত ধ্যান ধারণা মানুষের!!
-নিরিবিলি

সবজান্তা এর ছবি

মাঙ্গলিক শব্দটার মধ্যে বেশ পরিমানে অমঙ্গল জড়িয়ে আছে দেখা যাচ্ছে ;)


অলমিতি বিস্তারেণ

মুজিব মেহদী এর ছবি

এদের শিক্ষাদীক্ষা সব মাথার উপর দিয়ে যায় নাকি?

................................................................
আমার সমস্ত কৃতকর্মের জন্য দায়ী আমি বটে
তবে সহযোগিতায় ছিল মেঘ : আলতাফ হোসেন

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

শ্যাজা এর ছবি

কুসংস্কারের কাছে সব হার মানে। এখনও।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

মধুশ্রী এর ছবি

শ্যাজুদি
লেখা তো ভালো লেগেছে, আর এটি পড়ার পরে "মাঙ্গলিক" দিয়ে গুগল-সার্চাতে গিয়ে দেখলুম যে, গতবছর এই ব্যাপারে গুরুচন্ডালীতে যো'দি একটি টপিক শুরু করেছিলেন । এই বটগাছ, শিব এসবের সাথে ঐশ্বর্যর বিয়ে নিয়ে । বেশ একটু আলোচনাও হয়েছিল । :)

মধুশ্রী

শ্যাজা এর ছবি

মধু,
যো টই খুলেছিল সেটা মনে আছে, তুই লিংকটা দিয়ে ভাল করেছিস, ওতে সবক'টা খবরের লিংকও আছে যদিও এখন আর লিংকগুলো কাজ করছে না।

তুই আজকাল থাকিস কোথায়, দেখাই পাওয়া যায় না...
লিখছিস না কিছু?


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

মুশফিকা মুমু এর ছবি

'মাঙ্গলিক ' শব্দটা আজ প্রথম শুনলাম এবং জানলাম। আমিও এখন আপনাদের সাথে একমত হয়ে একি কথা বলতে পারি কিন্তু পরে হয়ত আমার জীবনে এমন সময়ও আসতে পারে যখন আমি বিশ্বাসকেই আকরে ধরব।
আমার নানু খুব ধার্মিক ছিলেন (সৈয়দ বংশের মেয়ে)। পরপর ৪টি মেয়ের পর ১টি ছেলে ছিল সবার চোখের মনি। সেই ছেলে যখন অসুস্থ্য হয়ে যায় উনি তখন সবার কথা অগ্রাজ্য করেই ফকির কবিরাজ ধরলেন যার কথায় উনি গরু মাংশ খাওয়া ছেরে দিলেন। আমার সেই বড় মামা আজ পর্যন্ত গরু মাংশ খান না। বলে রাখি এটা গরু মাংশ রিলেটেট কোনও অসুখ ছিলনা আর একবার তিনি গরু মাংশ খেয়েও ছিলেন এবং অসুস্থ্য হয়ে যান। আসলে বিশ্বাস জিনিসটা অনেক বড় কিছু হাজার এডুকেটেড হয়েও আমরা ভালোবাসার কারো জন্য যেকোনও কিছু করতে রাজি।
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কথা হলো, ৯৭ থেকে ২৫ কেজি কমালে ছিপছিপে আর রোগা গড়নের হয় কী করে? (চিন্তিত)

অ্যাশের কপাল ভালো যে ভোলানাথ গাঁজায় দম দিয়ে ছিলেন তখন, হুঁশে থাকলে অমন সুন্দরী বউকে কেউ অভিষেকের মতোন একটা জ্বলজ্যান্ত তালগাছের হাতে তুলে দেয়? আচ্ছা ধরেন কোনো অলৌকিক নিয়মে কলাগাছ মানুষের মতো কথা বলা শুরু করে দিলো, তখন অ্যাশের কপালে কী আছে? কলাগাছের সঙ্গে ঘর-বসতি?

লেখাটা ভালো লাগছে। বেশ ঝরঝরে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শ্যাজা এর ছবি


- কথা হলো, ৯৭ থেকে ২৫ কেজি কমালে ছিপছিপে আর রোগা গড়নের হয় কী করে?

কথা হলো, ৯৭কেজি দেখার পরে হঠাৎ করে যদি একদিন দেখা যায় শরীরের চার ভাগের একভাগ ওজন কমে গেছে তখন তাকে রোগা আর ছিপছিপেই লাগবে , হিসেব-অংক সব তখন মাথার উপরে :)

ধন্যবাদ ধু গো।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

বজলুর রহমান এর ছবি

(১) "মাংগলিক" = মঙ্গল গ্রহের? ঐশ্বরিয়াকে আমার কাছে এখনো অপার্থিব মনে হয়।
(২) "তারে জামিন পর" ছবিতে আমীর খান এক জায়গাতে অভিষেককে শৈশবে পাঠ-অক্ষম (ডিস্লেক্সিক) বলেছেন। সেই হিসাবে মৃত না হলেও ঐশ্বরিয়ার বর প্রতিবন্ধী।
(৩) আমার বাবা আমার জন্মের সময় তাঁর এক জ্যোতিষী বন্ধুকে দিয়ে আমার কোষ্ঠী তৈরী করে নিয়েছিলেন। সেটি খুব ছোট বেলাতে দেখে আমি ও আমার বোনেরা খুব হাসাহাসি করেছিলাম। তাতে আমার চরিত্র সম্বন্ধে অনেক গাল ছিল ( বলা যাবে না, কিন্তু সত্যি হয় নি আমার ধারণায়)। আর লেখা ছিল আমি বিপত্নীক হয়ে আবার বিয়ে করব। বাসর রাতের পরদিনই আমার স্ত্রী নিরাসক্ত কন্ঠে জানালো সে জানতে পেরেছে সে কথা আমার বোনদের কাছে থেকে। ভাবী-ননদিনীদের সম্পর্ক আর স্বাভাবিক হলো না কোনদিন। জ্যোতিষী ভদ্রলোক বহু আগেই মারা গেছেন, না হলে মুন্না ভাইকে ডাকতাম।
(৪) অবশ্য আমার কোষ্ঠীর কিছু কথা আশ্চর্যজনকভাবে মিলে গেছে। যেমনঃ বড়লোক হব না কোন দিন, আবার বেহিসাবী হবো না; শরীর হবে হাল্কা (এখনো ৫২ কেজি), লেখাপড়াতে চিরদিন শিক্ষকদের চক্ষূশূল থাকব তাঁদের নাস্তানাবুদ করে...
(৫) নিউটন জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করতেন। কেন বিয়ে করেন নি ?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।