যেদিন আমি স্বাধীন হলাম

শ্যাজা এর ছবি
লিখেছেন শ্যাজা (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৭/২০০৮ - ১২:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিছুদিন ধরে প্রতি রবিবার আনন্দবজার পত্রিকার রবিবাসরীয়তে একটা বিজ্ঞাপণ দিচ্ছে, "যেদিন আমি স্বাধীন হলাম" বিষয়ে লেখা আহ্বান করে। লাইনটা যখনই আমি দেখি, নিজেকেই প্রশ্ন করি, যেদিন আমি স্বাধীন হলাম? আসলেই কী কেউ কখনো স্বাধীন হতে পারে বা পেরেছে? কি জানি! আবার মনে হয়, কেন নয়? নিশ্চয়ই মানুষ স্বাধীন হতে পারে। স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা, আমরা তো স্বাধীনই। আর যে দেশে বাস করি সেও তো স্বাধীন। তবে? মাথার ভেতর পোকা কিলবিল করে। স্বাধীন? যেদিন আমি স্বাধীন হলাম?

আজ কোনমতেই রবিবার নয়। কিন্তু সকাল থেকেই ও‌ই লাইনটা কিছুতেই মাথা থেকে নামছে না। দিন তারিখ আমার কখনোই খেয়াল থাকে না। আজ ব্যাঙ্কে গিয়ে জমার স্লিপে তারিখ লিখতে গিয়ে সেলফোনে তারিখ দেখে নিয়ে কনফার্ম হয়ে লিখতে গিয়ে খচ করে উঠল ভেতরটা, ১৭ই জুলাই? আজ ১৭ই জুলাই! নাহ..ভালো লাগছে না।

খুঁচ খাচ কাজ মিটিয়ে আমি যোগাসনের ক্লাসে যাই। শতেক বছরেরও বেশি পুরনো বাড়িটার দোতলার খুপরি খুপরি ঘরে ট্রেনাররা আসন করান। আরেক খুপরি ঘরে স্যার বসেন। সামনের বড় হলঘরটায় মেডিটেশনের ক্লাশ হয়। স্যার নিজে সেই ক্লাশ নেন। তার আগে প্রত্যেকের সাথেই স্যারের খুপরি ঘরে বার্তালাপ হয়। শরীর কেমন? বিপি এত লো কেন? ঘাড়ের ব্যথাটা কমছে না? বালিশে শোবেন না ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার সাথে এইসব গতবাঁধা কথাবার্তা ছাড়াও স্যারের কথা হয়। পদ্মার ইলিশ, বাংলাদেশ, ইসলাম, লেখালেখি ও আরও নানা বিষয়ে। স্যারের অনেক প্রশ্ন থাকে। আমি যেটুকু পারি উত্তর দিই। না পারলে বলি স্যার, আপনি আমার ওজন কমার দিকে নজর দিন! আজকে আমি স্যারকে জিজ্ঞেস করি, 'স্যার যেদিন আমি স্বাধীন হলাম' বিষয়ে দু-চার কথা বলেন তো! 'শ' উচ্চারণে আমার নাম উচ্চারন করেন বরাবর তিনি। জোরে হেসে উঠে বললেন, কেন বলুন তো শামরান? আজকে হঠাৎ স্বাধীনতার কথা কেন? তারপর বললেন, নিজেই ভেবে দেখুন না আপনি কতখানি স্বাধীন! ধেত্তেরি! মুখে কিছুই বলি না, নিচতলায় চলে আসি, যেখানে পাবলিক ডিমান্ডে তৈরি হয়েছে ছোটখাটো এক আধুনিক জিমন্যাশিয়াম।

যোগা সেন্টারের এই জিমে খুব কম লোকেই আসেন কারন বেশিরভাগ মানুষই এখানে বয়স্ক আর তাঁরা যোগাসনের পক্ষপাতি কাজেই তাঁরা সব দোতলার খুপরি ঘরে আসন করেন। অল্পবয়েসী কিছু ছেলেমেয়ে আর আমার মত কয়েকজনের নাছোড় চাহিদায় তিতিবিরক্ত হয়ে শেষপর্যন্ত স্যারকে একতলায় বসাতেই হয়েছে কিছু যন্ট্রপাতি। ট্রেডমিল, ক্রস ট্রেনার আর আর্ক ট্রেনার। আমি আজ সব ক'টাতেই প্রবল স্পীডে ছুটি। ভুলে যাই পায়ের ব্যথা। ভুলে যাই আমার কার্ডিও প্রোগ্রাম চল্লিশ মিনিটের বেশি নয়। ঝরঝর করে ঘাম ঝরে শরীর থেকে, মাথার চুল অব্দি চুপচুপে ভিজে। পা আর নিজের বশে নেই বুঝতে পেরে আমি মুখ হাত ধুয়ে আবার দোতলায়, মেডিটেশনের সময় হল। চোখ বন্ধ করে পদ্মাসনে বসে থাকি কিছুক্ষণ। সব ভাবনাগুলোকে সরিয়ে দিতে চাই মাথা থেকে। স্যার বলেন, নিজেকে ছেড়ে দিন, ছড়িয়ে দিন, মুক্ত করে দিন.. নীল আকাশ দেখতে পাচ্ছেন কী? আপনি এখন মুক্ত, স্বাধীন! দেখুন পাখিরা কেমন ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বচ্ছ নীলাকাশে! ওরাও স্বাধীন, এই মুহুর্তে আপনি যেমন!

----

অনেককাল আগে শীতার্ত এক বিষন্ন সন্ধ্যায় নিতান্তই বালিকা এক মেয়ে পাশের এই বিদেশবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। নিজের বাড়ি, শহর এমনকি দেশও ছেড়েছিল সকলের ইচ্ছায়। বুকফাটা কান্না থমকে ছিল চোখের তারায়। খানিকটা বোধ হয় গড়িয়েও পড়েছিল। আমার ঠিক মনে নেই। নিজেকে সে আড়াল করতে চাইছিল পাশের মানুষটির থেকে, আশে পাশের সকল মানুষের থেকে। সেটুকু স্বাধীনতা কি সে পেয়েছিল সেদিন? কিছুটা আড়াল দিয়েছিল সোনালী জরিতে ঢাকা লাল কাশ্মিরী চাদরটি। আগের দিনেই তার কাকা তাকে এনে দিয়েছিল সেই চাদর। কাকা কি বুঝেছিল তার ছোট্ট সোনামনিটির খানিকটা আড়াল দরকার হবে? একটিও কথা না বলে কাকা শুধু চাদরটা গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিল। স্বজন ছাড়ার কষ্ট, বাড়ি, নিজের ঘর, নিজের দেশ ছাড়ার কষ্ট। টুকিটাকি কত না জিনিসপত্র সে ফেলে এসেছিল। সব সব জমাট বেঁধেছিল সেদিন ছোট্ট ও‌ই বুকে। খানিকটা কি বেজেছিল স্বাধীনতা হারানোর কষ্টও?

দিন যায় মাস যায় বছর যায়। স্বপ্নেরা সব কোথায় যেন দূরে উড়ে যায়, তুলোর মত। মেঘের মত। দূরে বহু দূরে।ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না। এত দূরে। ছোট্ট একচিলতে ছাদে সে তার পৃথিবী সাজায়। ছোট্ট পুতুলটাকে নিয়ে সংসার সংসার খেলা করে সারা দিনমান। ছোট ছোট সব জিনিসপত্রে ঘর ভরে ওঠে। প্রতিদিন সূর্য ওঠে, ডোবে। রাত নামে। বারান্দার ওধারে নিমগাছটার ওপাশে মাঝে মাঝে চাঁদ দেখা যায়। নিমগাছের হাওয়া নাকি ভাল। কি ভাল আর কি মন্দ তা নিয়ে সে আর ভাবে না। চিন্তারাও কী পরাধীন হয়?

মাঝে মাঝে সে ময়দানে যায়। পড়শিনী বৌটিকে সঙ্গে নিয়ে। চুপচাপ বসে থাকে সবুজ ঘাসের উপর। ছোট্ট পুতুলটা খেলা করে পাশে। ছোট ছোট পায়ে টলমল টলমল করে ঘুরে বেড়ায়। নিস্পাপ প্রাণখোলা হাসিতে মুখ ভরে থাকে পুতুলের। মুক্ত বাতাস বুক ভরে নেয় বালিকা সেই মেয়েটি। এক টুকরো স্বাধীনতা ঘুরে বেড়ায় বালিকা সেই মেয়েটির আশে পাশে, ময়দানের পুরনো বটগাছে আর খোলা আকাশ জুড়ে। দূরে ছেলেরা সব ফুটবল খেলে মাঠ জুড়ে। স্বাধীন।

----

আমি অনেকদিন ময়দানে যাই না। যেখানে থাকি সেখান থেকে ময়দান বেশ দূরে। ইচ্ছে করলে যাওয়া যায় না এমন নয়। যেতেই পারি। কিন্তু ইচ্ছে করে না। মাঝে মাঝেই আমার এই শহরটা ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যেতে ইচ্ছে করে। বরাবরের জন্যে নয় বা বেশিদিনের জন্যেও নয়। বহুকাল এক জায়গায় বাস করতে করতে সেই জায়গাটার জন্যেও কেমন মায়া পড়ে যায় না? একদমই প্রতিবেশী এই দেশের এই শহরটাকে এখন আমার নিজের বলেই মনে হয়। তবুও মাঝে মাঝেই এখান থেকে কোথাও চলে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ইচ্ছে করলেই কী সব সময় যাওয়া যায়! কত রকমের বাধ্য বাধকতা নিজের মধ্যেই থাকে। পরাধীনতা যে কত রকমের!

কী এক টপিক দিয়েছে, 'যেদিন আমি স্বাধীন হলাম!' সারাটা জীবন ধরেই তো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে টুকরো টুকরো স্বাধীনতা আর তার সাথেই একেবারেই গায়ে গায়ে লেগে থাকে পরাধীনতাও। এভাবে কী বলা যায়, কোনদিন আমি স্বাধীন হলাম?


মন্তব্য

তীরন্দাজ এর ছবি

কী এক টপিক দিয়েছে, 'যেদিন আমি স্বাধীন হলাম!' সারাটা জীবন ধরেই তো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে টুকরো টুকরো স্বাধীনতা আর তার সাথেই একেবারেই গায়ে গায়ে লেগে থাকে পরাধীনতাও। এভাবে কী বলা যায়, কোনদিন আমি স্বাধীন হলাম?

একেবারে সঠিক উপলব্ধি! খুব ভালো লাগলো লেখাটি।

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

শ্যাজা এর ছবি

ধন্যবাদ তীরন্দাজ'দা।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

স্নিগ্ধা এর ছবি

দারুণ একটা লেখা!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍অ্যাবসল্যুট স্বাধীনতা বা স্ব-অধীনতা বলে কিছুই নেই। থাকা, বোধ হয়, সম্ভবও নয়। তবে পরনির্ভরশীলতা (অধীনতা না-ই বললাম)যথাসাধ্য মিনিমাম করার চেষ্টাটি সকলেরই থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ভালো লাগল লেখাটা... চিন্তাও জাগালো।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

এনকিদু এর ছবি

খুব ভাল লাগল ।
সচলে চলমাল চাপা উত্তেজনার পরিস্থিতিতে আপনার লেখাটি গভীর ধ্যানের মত শান্ত সমাহিত লাগল ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রাফি এর ছবি

থমথমে পরিবেশে লেখাটা বেশ ভালো লাগল.

--------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অগ্নি এর ছবি

চিন্তাজাগানিয়া লেখা।
আসলে স্বাধীনতা আসে নিজের ভিতর থেকে। আপনি, আমি সবাই আমরা আসলে নিজেদের স্বাধীনতা নিজেই বিকিয়ে দেই। বিভিন্ন অজুহাতে, কারণে।

চিন্তাশীল লেখার জন্য ধন্যবাদ।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

আরে !!
শ্যাজাদির নতুন লেখা দেখছি যে !
আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লেগেছে শেষের দু'অংশ।
এ লেখাটাই কি পত্রিকায় দিয়েছিলে অথবা দিচ্ছো ?
তোমার লেখা বরাবরই ভাল লাগে শ্যাজাদি। এটাও তার ব্যতিক্রম নয়। আন্তরিক শুভকামনা তোমার জন্য।

--------------------------------------------------------

শ্যাজা এর ছবি

না হে বাঁচ্চা ভুঁত। কোন লেখা পত্রিকায় দিচ্ছি না। বিজ্ঞাপণটা শুধু মাথার ভেতর কিলবিল কিলবিল করছিল।

যথারিতি ধন্যবাদ।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

দময়ন্তী এর ছবি

এ: সামরান আমার কথা একদম ভুলে গেছে গো-ও৷ এই যে আমি একটা আপাদমস্তক স্বাধীন লোক!

তো, লেখাটা পড়তে পড়তে আমার ক'টা কথা মনে হল ৷ লিখি একটু?

স্বাধীনতা -- বড্ড প্রিয় শব্দ ৷ কিন্তু শব্দটার মানে তো আসলে একেকজনের কাছে একেকরকম ৷ কারো কাছে যখনতখন মাল খেয়ে টাল হতে পারাটাই স্বাধীনতার চরম ৷ আবার কেউ হয়ত কোডে ভুল করার জন্য, টীমের একটা ছানাকে আধঘন্টা ধরে কাঁচের ঘরে ঢুকিয়ে ক্লাস নিতে পারাটাকেই নিজের স্বাধীনতা ভাবে ৷ "আমি কি চাই' সেইটে জানাটাই সবচেয়ে জরুরী ৷ তাহলেই বোঝা যাবে আমি যা চাই সেটা করতে পারছি কিনা ৷

"স্বাধীনতা'র সংজ্ঞাটাও কেমন সময় ও সমাজের সাথে সাথে বদলায় ৷ আমার দিদিমা সারাদিনের রান্নার মেনু, তাঁর ছেলেমেয়েদের খাওয়াদাওয়া, কাপড়চোপড় ইত্যাদির দায়িত্ব, কাজের লোকেদের দিয়ে নিজের সুবিধামত কাজ করাতে পারা --- এগুলির জন্যই নিজেকে যথেষ্ট স্বাধীন মনে করতেন ৷ আমার মা কিন্তু এইগুলোকে কোন স্বাধীনতা বলে মনে করেন নি৷ বরং এগুলো স্বাভাবিক ভেবেছেন ৷ তিনি শিক্ষিকা ছিলেন, তাই স্কুলের বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া, ছাত্রীদের বিভিন্ন পরামর্শ দান, আমাদের দুই ভাইবোনকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়া -- এইগুলো তাঁর স্বাধীন কাজ বলে মনে করেন ৷ আমার বাবা খুব ছোটবেলায় মারা যান, তাই মা সর্বতোভাবেই অভিভাবক হিসাবে আমাদের বড় করেছেন এবং স্বাধীনভাবে করতে পেরেছেন বলেই মনে করেন ৷

তো, আমি একদিন বললাম যে মা'ই যেহেতু আমাদের আর্থিক ও অন্যান্য বিষয়ে দায়িত্ব নিয়েছে, কাজেই আমাদের আসলে মা'য়ের পদবী ই নেওয়া উচিত্ তো ৷ মা শুনে এত অবাক হলেন যে বলার নয় ৷ শুধু অবাক নয় কিছুটা আহতও ৷ অথচ পরিবার ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি ইত্যাদির ধারণাগুলি যদি আমরা একটু খুঁটিয়ে দেখি, তাহলে কিন্তু দেখব বাবার পদবী সন্তান পায় কারণ "বাবা' হলেন অর্থ উপার্জন ও ভরণপোষণকারী ব্যক্তি ৷ তাহলে মা যেক্ষেত্রে সেটা করছেন, তাহলে লজিক্যালি তাঁর পদবীই সন্তানের পাওয়া বা নেওয়া উচিত্ ৷ কিন্তু আমার মা'র মন ঠিক এই ভাবনাটি গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয় ৷ তিনি "স্বাধীন'ভাবে কাজ করছেন কিন্তু তার সাথে অর্জিত ক্ষমতার স্বাদটা নিতে চাইছেন না ৷ এবং আমি মনে করছি যে এটা আমার "স্বাধীন চিন্তা'র ফল ৷ আমি যেভাবে, যে সময়ে বড় হয়েছি, তাতে এরকম চিন্তা করাটা স্বাভাবিক বলে আমার মনে হচ্ছে, কিন্তু মা'য়ের কাছে এটা "স্বাধীনতা' নয় "স্বেচ্ছাচারিতা' ৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

শ্যাজা এর ছবি

এ: মা.. আমাগো দমু যে..

শোনো মেয়ে, বাড়ির মেশিন আবার চুপ মেরে গেছে, ক্যাফে থেকে শুধু একটু চোখ বুলিয়ে যাওয়ার জন্যে পাতা খুলেছিলাম। তোমাকে দেখে লগইন করতেই হল।

পরে কথা হবে। শুধু প্রাপ্তি স্বীকার করে গেলাম।

নিয়মিত এসো গো ইদিকপানে হাসি


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

যথারীতি এবং যথাপূর্বক ভাল লাগল ভাবনার প্যাটার্ন-টা।

;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

শ্যাজা এর ছবি

আলাদা করে কারোর নাম নিলাম না, যারা এই লেখা পড়েছেন, মন্তব্য দিয়েছেন, আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

সাইবার ক্যাফের এই মেশিনখানা জব্বর, একটা মন্তব্য লিখতে গিয়ে জান বেরিয়ে যাওয়ার যোগাড় তাই ইচ্ছা থাকা সত্বেও আলাদা করে লেখা সম্ভব হচ্ছে না।

আবারও ধন্যবাদ সকলকে।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কোনহানে যাবি তুই, তোর গিটটু তো বাঁধা বিচির লগে। কবে কোথায় যেন পড়েছিলাম এই কথাটি। শ্যাজাদির লেখাটি পড়তে পড়তে এই কথাটিই মনে পড়ল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।