সে এক বৃষ্টিদিনের কথা

শ্যাজা এর ছবি
লিখেছেন শ্যাজা (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/০৭/২০০৮ - ১২:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সে এক মজলিশের কথা

অনেক অনেক দিন পরে ভদ্রলোক একটু বাইরে গেলেন দিন চারেকের জন্যে। তিস্তা নামক কিছু একটা টেলি-প্রোগ্রামের টাইটেল শ্যুট করতে, নর্থ বেঙ্গল। নর্থ বেঙ্গল শুনলেই যদিও আমিও লাফিয়ে উঠছি আজকাল কিন্তু ইউনিটের সাথে যাওয়াটা পোষাবে না বলে কিছু না বলেই ব্যাগ-ফ্যাগ গুছিয়ে ভদ্রলোককে রওয়ানা করে দিই। এই বর্ষায় সাধারনত কোন পাগলেও নর্থ বেঙ্গল যায় না তাও আবার শ্যুটিংএর জন্যে কিন্তু এই লোকগুলো কখন যে কি করে তা এরা নিজেরাও বোধ হয় জানে না। আজ সারাদিন সে মালবাজারের একমাত্র হোটেলটিতে বন্দি, প্রচন্ড বৃষ্টিতে শ্যুট তো দূর অস্ত বাইরে বেরুনোর জো নেই। সেটা অবশ্য আমি ওকে যাওয়ার আগেই বলেছিলাম, কাজ কদ্দূর হবে না হবে জানি না, তবে তুমি বিশ্রাম পাবে কয়েকদিন!

ওর সাথে আমার প্রথম যেদিন দেখা হয়েছিল সেদিনও নাকি সে সকালবেলায় নর্থ বেঙ্গল থেকেই ফিরেছিল, আর সেও এই জুলাই মাসই ছিল! অবশ্য সেটা জুলাইয়ের প্রথম দিকের কথা। সেদিনও সারাদিন কলকাতায় অঝোর বৃষ্টি। কলকাতার হাঁটুজল ভেঙে আমি কোনমতে পৌঁছেছিলাম সল্টলেকে, সেখানে তখন কোমর জল। একটা আড্ডার আয়োজন ছিল, কিছু মজলিশী আড্ডাবাজের। এক বন্ধুর কল্যাণে আমিও নিমন্ত্রিত ছিলাম। আড্ডা তখন শেষের পথে, ভদ্রলোক ঘরে ঢুকলেন ভিজে কাক হয়ে, হাতে একখানি ভাঁজ করা ছাতা, যার থেকে তখনও জল ঝরছে। তার চেহারা-সুরত দেখে দু-এক পিস ফিচেল তার নাম দিয়েছিল চেঙ্গিস খান। বলা বাহুল্য, আমিও সেই ফিচেলদের একজন। ব্যাঙ্গালোর থেকে আমাদের ছোট্ ভুত তাকে ফোন করে করে ঘুম থেকে তুলে পাঠিয়েছিল সেই আড্ডায়।

নামটা আমার পড়া ছিল মজলিশের পাতায়, লেখার মাথা-মুন্ডু কিছু খুঁজে পেতাম না বলে পড়ার চেষ্টাও করতাম না। আগ্রহভরে দেখছিলাম, দেখলাম, আমাদের মতই কথা বলে তো! কোন মানেবইএর দরকার নেই। দু এক কথার পরেই খেদ প্রকাশ করলেন, এইরকম বৃষ্টিদিনের আড্ডায় ইলিশ বিরিয়ানি নেই, সুরা নেই, এসব কী!! ফেরার পথে একটা ট্যাক্সিতে গাদাগাদি করে ছ'জন । একজন একজন করে নেমে যাবে রাস্তায়।

দিন পনের বাদে ঠিক ও‌ইরকমই ছোট করে একটা আড্ডার ব্যবস্থা আমার বাড়িতে, সে বোধ হয় মাঝ জুলাইয়ে। আমার কি মনে হল, তাকেও ডাকি , এলে আসবে! কিন্তু ফোন্নং নেই তো! ছোট ভুত আমার হয়ে তাকে দাওয়াৎ দিল, বলল, কাল আপুর বাড়িতে পৌঁছে যাও, আর এই নাও ফোন্নং! তো আগের দিন রাতেই ফোন এল। এই কয়েকদিন নাকি প্রবল খোঁজ চলেছে এই নম্বরের, কিন্তু কেউ দেয়নি!

পরদিন সকাল থেকেও বেশ কয়েক দফা ফোন এল। তিনি এলেন সকলের শেষে। তাকে দেখামাত্রই ফিচেলদের মুখ টিপে হাসাহাসি, গা টেপাটেপি। বুঝেছিল কিনা কে জানে তবে আমল যে দেয়নি সে ঠিক। সেদিনও আবার সেই একই অনুযোগ, সুরা নেই? ওফ!! তবে সুরাপানের নেমনতন্ন তার একটা ছিল সেদিন রাতেই তাই ভদ্রলোক খাওয়া একটু চেখে দেখলেন শুধু।

তারপর? তারপর আবার কি। তার আর পর নেই।

যাগ্গে...

আমি আজকে দুম করে এইসবই বা কেন লিখছি কে জানে!

আসলে মালবাজারের হোটেলঘর থেকে ফোন করে আজকে বেশ খানিকটা স্মৃতিচারণ হল। আমাদের সাধারনত যা হয় না।


মন্তব্য

ঝরাপাতা এর ছবি

আচ্ছা এই কথা। আরো আরো বৃষ্টি হোক, কাজ-টাজ সব চুলোয় যাক। আরো আরো স্মৃতিচারণ হোক, সেই স্মৃতিচারণে ভরে যাক সচলায়তনের পাতা।

মজলিশি আড্ডাই তাহলে সূচনা! এই মজলিশি বন্ধুদের জন্য হলেও একবার যেতে হবে কোলকাতায়।


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

রণদীপম বসু এর ছবি

বিষ্টি হইলে কইলকাতায়ও পানি জমে তাইলে ! আমি আরো ভাবছিলাম আমগো ঢাকা-ই শালার বাদাইম্যাগোর জায়গা ! আকাশ গুড়গুড় করছে তো প্যান্ট হাঁটুর উপরে ভাঁজ করা শুরু কইরা দেও।

ধন্যবাদ শ্যাজা আপসাকে। লেখার শেষের অংশ বুঝি নাই।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শ্যাজা এর ছবি

রণদীপম,
পানি জমে মানে! কোথাও কোথাও তো নৌকাও চলে বেশি বিষ্টি হইলে।

শেষ অংশ বুঝেন নাই? তাইলে পোমো হইছে হাসি


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

তানবীরা এর ছবি

নষ্টালজিক করতে বৃষ্টি আর বরফের দিনের তুলনা নেই।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বেশ ভালো লাগল শ্যাজাদি। সেই সময়কার কয়েকটা ছবি টবি দিতেন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শ্যাজা এর ছবি

সেদিনকার একখান ছবি দিয়া দিলাম হাসি


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ভালই লাগছিল পড়তে শ্যাজাদি, যেন হঠাতই শেষ হয়ে গেল লেখাটি। আরেকটু বড় হবে আশা করছিলাম জানো ! আরেকটা প্রশ্ন ছিল তোমার কাছে, 'ফিচেল' শব্দটার মানে আমি বুঝিনাই। আগে কখনো শুনেছি বলেও মনে পড়েনা। যদি বলতে তবে খুশি হতেম। বরাবরের মতন এবারেও তোমার লেখা দেখে খুবই খুশি হয়ে উঠেছিলাম।
তোমার জন্য আন্তরিক শুভকামনা।

--------------------------------------------------------

শ্যাজা এর ছবি

বাচ্চা ভুঁত,

ফিচেল হচ্ছে 'ফাজিল'এর আপগ্রেডেড ভার্শান হাসি


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

আমি আজকে দুম করে এইসবই বা কেন লিখছি কে জানে!

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
A life unexamined is not worthliving.-Socrates

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

মুশফিকা মুমু এর ছবি

তারপর?? তারপর কি হল বলতে হবে, আপনাদের রোম্যান্টিক লাভ স্টোরি শুনতে ইচ্ছে করছে খাইছে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

শ্যাজা এর ছবি

খাইসে !

রোমান্টিক লাভ ষ্টোরি শুনতে ইচ্ছে করছে!

এইভাবে তো বলা যায় না মুমু ডিয়ার, লোকে শুনলে বলবে কি!!

রোমান্টিক আর লাভষ্টোরি না হইলেও কিছু ষ্টোরি এই ব্লগের কোনা-কানাতেই আছে অবশ্য! একটু চোখ বুলালেই পেয়ে যাবে হাসি

পাইলে আওয়াজ দিও!


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বৃষ্টি আসলেই মনটাকে উদাস করে দেয়, টেনে নিয়ে যায় অনেক পেছনে, খুলে দেয় অনেক বন্ধ দরজা আর মাঝে মাঝেই বাঁধভাঙা স্মৃতির মিছিল শুরু হয়ে যায়! আরো বৃষ্টি হোক, হোক আরো স্মৃতিচারণ! হাসি

শ্যাজা এর ছবি

প্রহরী মশাই,
বৃষ্টি তো রোজই হচ্ছে আর ভালই হচ্ছে। মেঘ বৃষ্টির খেলা প্রায় সারাদিন, কত শেয়ালের না জানি বিয়েও হচ্ছে! ( গল্পটা মনে আছে তো? মেঘ আর বৃষ্টি একসাথে হলে যে শেয়ালের বিয়ে হয়?)

স্মৃতিচারণ? একটু আধটু ভাল তবে বেশি বেশি স্মৃতিচারণ আমি েখন করতে চাই না। বুড়ো বয়েসের জন্যে কিছু তোলা থাক, নাকি!


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হু, বৃষ্টির দিনেই তাইলে প্রেম-ভালোবাসা হয়। কিন্তু, এ বছরের বৃষ্টিও তো চলে যাচ্ছে, আমার যে কিছু হলো না!

শ্যাজা এর ছবি

এ'বছরে না হলেও আসছে বছর নিশ্চয়ই হবে পান্থ ভাই।

মশ্করা বাদে- বাবা সেদিন বললেন, এবছর নাকি খুব একটা বৃষ্টি হয়নি দেশে?


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

আয় বৃষ্টি ঝেপে...

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

আয় বৃষ্টি ঝেপে...

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

শ্যাজা এর ছবি

ছড়াটা পুরা শ্যাষ করেন, এক লাইনে পোষাইব না!


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

কনফুসিয়াস এর ছবি

মজলিশ - পড়ে হঠাৎ মনে হলো- ঠিক যেন গত জন্মের কথা!
ভুতো মাঝে মাঝে হুট করে মেইল করে, আগুনের সাথে যোগাযোগ নেই বহুদিন...।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শ্যাজা এর ছবি

কনফু,
আমারও গত জন্মের কথা বলেই মনে হয়। কেন কে জানে, মজলিশ যেন হঠাৎ করেই হারিয়ে গেল জীবন থেকে!

ভুতো বোধ হয় একই ভাবে সকলকেই হুটহাট মেইল করে, আমিও আজকে পেলাম একটা। তবে কোলকাতায় এলে দেখা করে যায় নিয়ম করে। আগ্নেটার সাথে আমারও কোন যোগাযোগ নেই, ও বোধ হয় কারও সাথেই যোগাযোগ রাখে না। সেদিন অনেক রাতে চ্যানেল হপ করতে গিয়ে রবীন্দ্র সংগীত শুনলাম একটা, এই গানটা আগ্নে খুব গাইতো। ফোন করলাম অত রাতে, বারোটারও বেশি বাজে তখন। ঘুমোচ্ছিল বোধ হয়, ফোন বেজেই গেল।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

রাকিব হাসনাত সুমন এর ছবি

জমে উঠছিলো মাত্র... কিন্তু দ্রুতই যে শেষ করে দিলেন..........

রাকিব হাসনাত সুমন এর ছবি

কলকাতায় আগস্ট এ বৃষ্টির প্রকোপ কেমন থাকে ? আগস্টের শেষ দিকে ভ্রমনের একটু ছোট্র ইচ্ছে আছে.... যদি শেষ পর্যন্ত সময় ম্যানেজ করতে পারি --তাই জানতে চাইলাম...

শ্যাজা এর ছবি

আগষ্টে বৃষ্টি খুব একটা হয় না। তবে কোন ঠিক ঠিকানা তো নেই, কখন যে হবে আর কখন যে হবে না! সাধারণত ভারী বৃষ্টি জুলাইতেই শেষ হয়। বেড়ানোর প্ল্যান থাকলে নিশ্চিন্তে চলে আসেন, বৃষ্টির জন্যে ভাববেন না।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ঝুম বৃষ্টিতে মন উদাসী লেখা। হাসি

কিন্তু দিদি, এ যে শেষ হইয়াও যে হইলো না শেষ! মাত্র এক বাটি ঝালমুড়ি নিয়ে ঝুল বারান্দা ঝুম বৃষ্টি দেখতে বসেছি, হঠাৎ করেই যেনো বৃষ্টিটা ধরে গেলো।...দেঁতো হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

দময়ন্তী এর ছবি

সেই আড্ডায় আমি ফোন করেছিলাম ৷ সেই প্রথম সামরানের সাথে কথা বলা ৷ তারও প্রায় একবছর পরে ইলিশে, চিংড়িতে মাখোমাখো আমাদের "গুচ্ছভাট'এর আসরে সামরানেত্র সাথে চাক্ষুষ আলাপ ৷ ভাটের দিন কনফু বোধহয় দুইবার ফোনিয়েছিলি৷ ৷

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সামরান এর ছবি

সেদিনই দমুর সাথে প্রথম কথা ফোনে, কোথায় থাকো জানতে চাওয়াতে দমু বলেছিল কোন্নগরে বাড়ি। আগি বলেছিলাম, তাইলে চলে এসো না! সুভাষিনী দমু মিষ্টি হাসিতে ফোন ভরিয়ে বলেছিল থাকি তো গুরগাঁওতে, আসবো কী করে! সেদিন কতজনের সাথে যে প্রথম আলাপ! মিতা, সিডনির ইন্দ্রাণী। সত্যিই। শুধু একটা টোকা। কত কী যে মনে পড়ে যায়..

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।