টিক টিক করে..
মিটমিট করে.. এক.. দুই... পাঁচ।
স্বরে অ, ওরে আ... একটু খা।
মা তুমি সবচে প্রিয়। জান কি তুমি?
কাল চুল, লাল শাড়ি, একটি দুল, নীল বাতাস, খোলা আকাশ, শাহজাদী! শাহজাদী...!!
ঢাক ঢোল -নেই কাছে। হাতী ছিল এক কালো- রোগা হয়ে কাকু হলো-কাকতাড়ুয়া আমাগো বাড়ির।
শব্দ ছিল। শব্দ আছে। করে খেলা অক্ষরেরা।
কাল কালি। মেঘ খালি।
একটু আদর, আহ্লাদ, বাঁশের কঞ্চি, কাঁচা ডিম, কমপ্লান, সেদ্ধ ভাত, বাটা হলুদ।।
বুড়ি গঙ্গা করে কান্না.. খেলে তুমি, খাব আমি।
মেরে ডান্ডা করে ঠান্ডা। চুমুক দুগ্ধপান..
ভাষা তোমার না ভাষা আমার?
আজ মা তোমায় তোমার বাংলায় একটি হাপি খাব আমি।
কালো কালি, তোমার রঙে রাঙাব আমি..
একটি শ্রদ্ধাঞ্জলী মা তোমাকে।
মা তুমি সবচে খারাপ,
হয়ে গেলে আরও বড়!
ধরব তোমায় বলে আমি, ছুটে ছুটে হলাম বড়!
রাজার ছিল চার কন্যা..
শাহজাদী সবচে নরম..
রাক্ষসের গল্প করে, পায় ভয় বেড়াল মাসীকে..
জানো তুমি, আমিও জানি
শাহজাদী আর হলাম না..
মা, বলি তুমি, সবচে প্রিয়।।
একটু থেকো আমার সাথে।
করে না কান্না,
পারি না আমি রান্না..
পিচ্চু তুমি সবচে বড় আমার জন্যে।
ধোঁয়া ধোঁয়া কর তুমি
খুব কষ্ট পাই আমি।
এত কি কষ্ট তোমার
করছ তুমি সব নষ্ট আবার।
মা, করে না রাগ
ভাল থাক, ষহুধু চাই আমি।।
ভালবাসি বলে আমি
করি এতো বাড়াবাড়ি।
একটু হাসো শাহজাদী..
শাহজাদী.. ও শাহজাদী...
হাপু পরে, হাঁটু ভেঙে
কর তুমি যোগব্যায়াম
সুন্দর তুমি সবচে বেশি
বলে আমাদের কাকতাড়ুয়া।
পারছি না আর করতে এই যুদ্ধ, হয়ে রুদ্র
কর ক্ষমা, হেরে গেলাম,
জন্মদিন, ও জন্মদিন, কর তুই একটু ছোট
শাহজাদীকে আমার..
রবি এল, চলে গেল
হল স্তব্ধ সবকিছু
যাই আমি ঘুনু কত্তে,
পড়তে হবে আবার আমাকে।
টা টা বলি।
খেল হোলি আজ এই দিনে।।
Love You Mom..
দু'টো কথা।
এটি আমার মেয়ে মিষ্টি'র লেখা শুভেচ্ছাপত্র আমাকে। সাদা কাগজে লিখে আমার বালিশের তলায় রেখে দিয়েছিল সন্ধেবেলা। অনেকবার বলেও কোনদিন কিছু লেখাতে পারিনি ওকে দিয়ে। এক সময় ডায়রি লিখত নিয়ম করে, ইংরেজীতে। যদিও সে'সব আমাকে পড়তে দিত না কখনোই। অনেকগুলো শেষ হয়ে যাওয়া ডায়রি একদিন বসে বসে ছিঁড়ে ফেলল। কেন? সেটা বলেনি আমাকে। তারপর থেকে আর কোনদিন কিছু লেখেনি। ও এমন একটা স্কুলে পড়েছে যেখানে বাংলা ও পেয়েছে তৃতীয় ভাষা হিসেবে, ক্লাস টু থেকে। ক্লাস এইট পর্যন্ত। ফেল করতে চাইত না বলে পরীক্ষার আগের রাত সারারাত জেগে বাংলা পড়ে পাশ নম্বর তোলার ব্যবস্থা করে ফেলত বরাবরই । সারাক্ষণ শুধু ইংরেজী আর হিন্দিতে কচর কচর বলে বাড়িতে সকলেরই অভিমান। মায়ের জন্মদিনে মা'কে বাংলায় লেখা এই লেখাটিতে প্রচুর বানানভুল ছিল সেগুলো আমি এখানে ঠিক করে দিলাম তবে ও যেখানে স্পেস, ডট আর যতিচিহ্নগুলো দিয়েছে সেগুলো একদম সেভাবেই তুলে দিলাম। লেখার শেষে ও একটা স্কেচ বানিয়েছে, স্ক্যানার নেই বলে সেটি দেওয়া গেল না ইচ্ছে থাকা সত্বেও। বদলে ওর একটা ছবি দিয়ে দিলাম। ঢাক-ঢোল শব্দ দুটো ও মৃদুল আহমেদের লেখা থেকে নিয়েছে, ওকে আমি লেখাটি পড়ে শুনিয়েছিলাম।
মন্তব্য
বাহ্ দারুন তো!! কি মিষ্টি লেখা... ওর জন্য শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা... বয়স কতো হলো ওর?
ওর জন্য অবশ্যই ৫...
আসলে ৫০০০০০০০০০
জানিয়ে দেবেন ওকে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
প্রাপ্ত নম্বর ওকে জানিয়ে দিলাম, ভীষণ খুশি সে। জীবনে প্রথম কিছু লিখেছে আর তাতে এত নম্বর পেয়েছে, খুশি তো হবেই!
মেয়ে আইন পড়ছে, তৃতীয় বর্ষ। বড় হয়ে গেল!
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
হ... বড় হয়ে গেলো... আমি ভাবছিলাম স্কুলে পড়ে... আমার মেয়ের মোটে দেড় বছর হয় হয় করে...
এখনো কথাই বলতে পারে না... তবে বাবা ডাকতে পারে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লেখা পড়ে মনে হচ্ছে শ্যাজা 'মিনি মি' আসছে......মিষ্টিকে স্বাগতম,
- আর ধন্যবাদ মা মেয়ে দুজনকেই..
:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com
আপনাকেও ধন্যবাদ। দু'জনের তরফ থেকেই।
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
জন্মদিনের শুভেচ্ছা শ্যাজা আপনাকে।
আপনার মিষ্টি মেয়েকে অনেক অনেক অনেক আদর আর ভালবাসা। কতটুকু সে এখন? আমার খুব শখ ছিল মেয়ের। আমার তিনছেলে। ওদেরও আমি অসম্ভব ভালবাসি, মনে হয় তারাও। আমি এখনই আমার ছেলেদের লেখাটা পড়াব।
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........
ধন্যবাদ ক্যামেলিয়া।
কতটুকু সে এখন? মাথায় তো আমার সমান সমান যদিও যখন তখন দাবী করে সে নাকি আমার চেয়েও লম্বা!
ছেলেরা আসলেই মা'কে বেশি ভালবাসে। আপনার ছেলেরা আপনাকে আপনার থেকেও বেশি ভালবাসে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। মেয়েরাও বাসে তবে সে একটা সময়ের পর। যখন মা'কে বুঝতে শেখে, 'মা' কী সেটা বুঝতে শেখে তখন আবার মা'কেই বেশি ভালবাসে।
আপনার ছেলেদের জন্যে শুভাকাঙ্খা।
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
ভালো হইছে।
মিষ্টি আপনাকে থ্যাঙ্কস বলেছে।
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
আরে ! তোমার পিচ্চিটাও দেখি মজার কবিতা লেখে !
খুব মজা পেলাম আপুনি।
আমাদের দেখানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------
থ্যাঙ্ক ইউ বাচ্চা ভুঁত
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
অনেক সুন্দর কবিতা। চেষ্টা করি কিন্তু কবিতা লিখতে পারি না। আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর অনেক ধন্যবাদ আপনার মিষ্টি মেয়ের মিষ্টি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ নিরিবিলি।
মেয়ে প্রথমবার কিছু লিখেছে তাও আবার মায়ের জন্মদিনে, মা'কে নিয়ে। শেয়ার তো করতেই হয়
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
ছোটবেলায় আমি ওর মতো লিখতে যদিও পারতাম, আমার এমন মা ছিল না যিনি তা অন্যদের পড়বার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। ছিল না এমন সুন্দর ব্লগব্যবস্থাও।
কী দিনই এল!
ব্লগব্যবস্থা'র সত্যিই জুড়ি নেই।
ব্লগব্লগানি জিন্দাবাদ
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
দারুন মিষ্টি হয়েছে লেখাটা কিছু ঘটনার সাথে কিছু কথার এমন যোগসূত্র থাকে যে তা ছুঁয়ে যায় খুব সহজেই। জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আবারও!
নতুন মন্তব্য করুন