১।
সাময়িক জর্মন প্রবাসী হয়রানাবীরের বিবাহ হল সেই গত বছর। স্বামীপ্রবর তো গবেষণা নিয়েই ব্যাস্ত, ওইদিকে তার বৌয়ের ‘নাই কাজ তো খই ভাজ’ অবস্থা। এখন সে রাত-বিরাতে বিবাহানুষ্ঠানের এটেন্ডেন্স খাতা নিয়ে রোলকলে ব্যাস্ত। কালকে রাত সাড়ে তিনটায় হঠাত আমারে জিজ্ঞাসা করে আমি তাদের বিয়াতে গেছি কিনা। আমার নাকি ফোটুক পাওয়া যাচ্ছে না। বললাম- ৯ মাস আগের কথা তো আমারই মনে নেই। কাহিনি এইখানে শেষ হইলে সমস্যা ছিলনা- কিন্তু, ‘৯ মাস’ কথাটা মনের মধ্যে আটকায় গেল। শাহবাগী নাস্তিক ব্লগার তো, ৯ মাস শুনলেই আগে খালি মুক্তিযুদ্ধ মনে পড়ে। ৩০ শুনলে মাসের আগে লাখের হিসাব মাথায় আসে। ৭ শুনলে ভাগ্যের আগে মার্চের কথা মাথায় আসে। ১৪ কিংবা ২৫ শুনলে... নাহ, থাক- মাথা গরম হয়ে যাবে।
২।
সপ্তাহে এক বা দেড়দিন বাসায় থাকলে আমার পদবী হয়- “পারিবারিক আইটি উপদেষ্টা”। এই বুইড়াকালে বাপ-মা দুইজনেরই ইমেইল আইডি খুলে দিয়েছি। দুইজন সেটা আবার মহা উতসাহে ব্যাবহারও করে। গতমাসে দিলাম খুলে ফেসবুক। সপ্তায় সপ্তায় রিভিশন ক্লাস নিতে হয় অবশ্য। জিমেইল আর ফেসবুকও আবার হাড় বজ্জাত। দুইদিন পরপর চেহারা বদলায়। আর বাপরে বুঝাইতে জানটা বের হয়ে যায় যে আমি কোনও মাতব্বরি করে রাখি নাই। সে যাক, এই বয়সেও উনাকে নতুন জিনিস শিখে হজম করে ফেলতে দেখে ভালই লাগে। কিন্তু মুশকিল হল গত সপ্তায়। আব্বার নতুন শখ জাগছে ব্লগ নিয়ে। ভাবছি এইবার উল্টাপাল্টা লেখা ছাড়ান দিয়ে শিশুতোষ লেখা শুরু করব।
৩।
মর্ম ভায়ার “সচলপাঠ” আর জোহরাপার "সচলায়তন, রবীন্দ্রনাথ ও জননীদের গল্প” পড়ে মাথামুথা হ্যাং হয়ে আছে। আগে মনমেজাজ খারাপ থাকলে একেকদিন একেকজনের সচলগে ঢুকে পুরানো লেখা পড়তাম। এই দুই লেখা পড়ে একেবারে পাগলের হাতে ভাইব্রেটর ধরায় দিলে যেই অবস্থা হবে, একেবারে সেই অবস্থায় আছি। এর ভাল খারাপ দুইটাই আছে। ভাল হল যে পুরা সচলের ট্রাভেলগাইড পেয়ে গেছি। আর খারাপ হল এত্ত এত্ত ভাল লেখকের লেখা পড়ে বড্ড সঙ্কুচিত বোধ করছি। আমার অবস্থা এখন “বাঙ্গালীর হাসির গল্পের” সেই নাপিতের মত। যদ্দিন বেচারা ডাক্তারীবিদ্যার কিছু জানতনা, তদ্দিন বেশ করে ঘ্যাচাং-ঘ্যাচাং ফোড়া কেটে ফেলত। কিন্তু ডাক্তারীবিদ্যা শিখেই শুরু হল হাত কাঁপাকাঁপি। আগে কীবোর্ড হাতে নিলেই গোলামাজম নয় আইনস্টাইনের গুষ্টি উদ্ধার করতে ভয় লাগতনা। কিন্তু এখন একটু হাত কাঁপছে বৈকি।
৪।
দুপুরে ঘুম তাড়াতে ‘আকবর আলী খান’ এর একটা বই পড়ছিলাম। অর্থনীতির গল্প ভাঁজতে গিয়ে তিনি যেভাবে রবিঠাকুর-মুজতবা আলী থেকে শুরু করে মোল্লা নাসিরুদ্দিনকে টেনেছেন তা রীতিমত ইর্ষনীয়। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল- এই করতে গিয়ে মূল কথার নড়চড় হয়ে যায়নি। ছোটবেলায় আব্বা ঠিক তাই করতেন- গল্প বলতে বলতে ইতিহাস আর রাজনীতি বেশ করে গুলে খাওয়াতেন, আম্মা খাওয়াতেন বিজ্ঞান আর অংক- অথচ মনে হত বেশ গল্প শুনছি। নিখাদ গল্প শুনতে শুনতে মূলকথাটা ঠিকই মাথায় গেঁথে যেত। বহুদিন পর ক’দিন আগে দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের ‘যে গল্পের শেষ নেই’ আর আব্দুল্লাহ-আল-মূতী’র ‘এসো বিজ্ঞানের রাজ্যে’ আবার পড়তে গিয়েও ঠিক একই অনুভূতি হল। আহ, দুনিয়াটা কেবল গল্পময় হত।
৫।
সালাম আজাদের একটা বইয়ে পেলাম- “রবীন্দ্রনাথের অনেক গানেরই জন্ম হয়েছে বাথরুমে”। তিনি কবিগুরুকে উদ্ধৃত করেছেন- “নাবার ঘরে গান তৈরি করবার বেশ কতকগুলো সুবিধে আছে। প্রথমত নিরালা। দ্বিতীয়ত অন্য কর্তব্যের কোন দাবী থাকেনা। মাথায় এক টিন জল ঢেলে পাঁচ মিনিট গুনগুন করলে কর্তব্য জ্ঞানে বিশেষ কোন আঘাত লাগেনা। সবচেয়ে সুবিধা হল যে- কোনও দর্শক সম্ভাবনা না থাকায় সমস্ত মন খুলে মুখভঙ্গি করা যায়। মুখভঙ্গি করতে না পারলে গান তৈরি করবার পুরো কিছুই যেন আসে না।” আমি হাজার হলেও রবিবাবুর বিমুগ্ধ পাঠক তো। বাথরুমে বিকট মুখভঙ্গি করার অভ্যাস তাই পুরোমাত্রায়ই আছে। আজকে আরো বেশিই হল। ঝোলানো তোয়ালেটা দেখে প্রথমে তিলোত্তমার সুরক্ষিত প্রাসাদে তোয়ালে পরিহিত তারেকাণুর ছবিটা মনে ভেসে উঠল, সেখান থেকে তেজসৃপ, তেজসৃপ থেকে রুপকুকথা। ঠিক তখনই, হঠাত বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত আঘাত করল ভাবনা- দ্য আইডিয়া।
৬।
সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) কোর্সে “বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস” শীর্ষক একটা আবশ্যিক কোর্স যুক্ত হতে যাচ্ছে। অতি উত্তম প্রস্তাব। কিন্তু শিক্ষক/শিক্ষার্থীদের সিংহভাগ ব্যাপারটা ভালভাবে নেননি। কারণ ইতিহাস জিনিসটা অনেকের কাছেই পাঠ্য হিসেবে বেশ বিরক্তিকর রকটা জিনিষ। ইতিহাস মানেই শায়েস্তা খাঁর আমল, মোগলাই বাদশাদের কাজকারবার, বক্তিয়ার খলজীর বাংলা বিজয়, নবাব সিরাজ আর মীরজাফর... সর্বোপরি বিশ্লেষণ বিহীন একগাদা নাম আর সাল। অবশ্য হবে নাই বা কেন? যেখানে পদার্থবিদ্যার প্রশ্ন হয়- “মহাকর্ষ ধ্রুবক ‘G’ এর মান তিন দশমিক স্থান পর্যন্ত মুখস্থ লিখ” কিংবা রসায়নের প্রশ্ন হয়- “এভোগেড্রো সঙ্খ্যার মান মুখস্থ লিখ” সেখানে ইতিহাসের এমন ব্যাবহার মোটেই অসংলগ্ন নয়। আনন্দের ব্যাপার হল জাফর স্যার, কায়কোবাদ স্যারদের গনিত অলিম্পিয়াডের ফলে রাতারাতি পরিস্থিতি পালটে না গেলেও খুব ধীরে ধীরে বিজ্ঞানবিমুখ একটা প্রজন্মের মাঝ থেকে একটা বিজ্ঞানপিপাসু অংশ তৈরি হচ্ছে, হয়ত অনেকটা হয়েও গেছে। ফলাফল হল বাজারে এখন যথেষ্ট না হলেও কিছু পরিমানে গনিত ও বিজ্ঞানের জনবোধ্য বই পাওয়া যায়, কারন তার ব্যাবহারকারী আছে। নজরুল ভাইয়ের এই পোস্টটা পড়ে মনে হয়েছিল, গনিত অলিম্পিয়াডের পর বোধ হয় আরেকটা প্যারাডাইম শিফট হতে যাচ্ছে।
৭।
আসল কথাটা কিন্তু এখনও বলতেই পারিনি। হাফডজন আপাত উল্টাপাল্টা বকবকানি শেষে এবার লাইনে আসি। আমাদের এই সচলে এত্ত এত্ত লেখক, গবেষক, বিজ্ঞানলেখক, ছড়াকার, গল্পকার, কার্টুনিস্ট, চিত্রশিল্পী, বিশ্লেষক, ইতিহাসবিদ ইত্যাদি ইত্যাদি আছে। আমরা কি ছড়া, রুপকথা এবং কমিকের আদলে আমাদের ইতিহাসের ঘটনাগুলো লিখে ফেলতে পারি? একদম বাচ্চাদের জন্য। ‘হাম্পটি ডাম্পটি স্যাট অন এ ওয়াল’ বাদ দিয়ে তাদের ছড়া শেখার শুরুটা তো হতেই পারে মুক্তিযুদ্ধের একটা দুর্দান্ত ছড়া দিয়ে। বাবা-মায়েরা বাচ্চাকে ঘুম পাড়াতে ডালিমকুমারের পাশাপাশি শোনাতে পারেন মুক্তিযুদ্ধের নায়কদের নিয়ে লেখা চমৎকার একটা রুপকথা। স্পাইডারম্যানের বদলে সদ্য পড়তে শেখা বাচ্চাদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেয়া যেতে পারে মুক্তিযুদ্ধের রংচঙে কমিক (মেজর কামরুল হাসান ভুঁইয়ার ‘সেন্টার ফর লিবারেশন ওয়ার স্টাডিজ’ ইতোমধ্যে এমন কয়েকটি কমিক প্রকাশ করেছে)। অর্থাৎ, ইতিহাস পুরোটাই থাকল, কিন্তু বাচ্চাদের রসগোল্লায় ভরে ওষুধ খাওয়াবার মত। এই বাচ্চারা যখন বড় হবে তখন দেখা যাবে সেই কালের “কাদের মোল্লারা” ভি দেখানোর সাহস পায় কিনা।
আরো উন্নততর আইডিয়ার জন্য মন্তব্যের আশায় রইলাম। চিন্তায় কোন ভুল-চুক থাকলে সেটাও চিহ্নিত করুন হাত খুলে, কীবোর্ড তো সামনেই আছে। সবাই রাজী থাকলে শিশুদের জন্য হাঁ বলুন- নইলে আমি একাই শুরু করে দেব কিন্তু।
মন্তব্য
facebook
৩ মিনিট! পইড়া? না না পইড়াই?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
চমৎকার আইডিয়া, ভালো লাগল।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কমিক আর ছড়া অবশ্যই হতে পারে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব আর আত্নত্যাগ নিয়ে,হতে পারে ছোট গল্প।মাঠ পর্যায়েও কাজ করতে হবে,সচলে লিখে শুধু মূল লক্ষ্যে পৌছানো বোধহয় যাবেনা সল্প সময়ে।প্রচারে যেতে হবে,রাষ্ট্রকে এর সাথে সংযুক্ত করতে পারলে ঘরে ঘরে পৌছানোটা তুলনামূলক কম সময়ে সম্ভব।সেইজন্যে বোধহয় আগে উৎকৃষ্ট লেখাগুলো বাছাই করতে হবে,উৎকৃষ্ট আর হৃদয়স্পর্শী লেখাগুলো নিয়ে সচলের পক্ষ থেকে বইমেলায় আমরা বই আকারে সেটা প্রকাশ করতে পারি,পারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সেই বইগুলো পৌছে দিতে।কাজটা হয়তো কঠিন কিন্তু অসম্ভবনা মোটেই।সেই জন্যে আমরা কমিটি গঠন করতে পারি,ফান্ড তৈরি করতে পারি নিজেরা,প্রয়োজন হলে সচলের বাইরেও লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ আছে যারা মুক্তিযুদ্ধকে গভীর ভাবে বুকে লালন করে তাদেরকে যুক্ত করতে পারি।আমি জানি সচলে যারা লিখে তাদের ক্ষমতা আছে মুক্তিযুদ্ধের আবেগ নিয়ে অসাধারন সব ছড়া,গল্প লিখার।আমরা হয়তো সেইভাবে আমাদের আবেগগুলোকে গুছিয়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু লিখিনি,কিন্তু চাইলেই সেটা পারবো।এ জন্যে আমাদেরকে হয়তো একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে,আরেকটু বেশি পড়তে হবে,চিন্তা করতে হবে।কিন্তু আমরা পারবোই,এইটুকু না পারলে আর কিবা পারবো আমরা?আমরা যদি আমাদের পূর্বপুরুষের মহান আত্নত্যাগের কথা না লিখতে পারি,তাদের রক্তে ভেজা এই কোমল মাটির কথা না বলতে পারি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তাহলে সেটা আমাদের জন্যে লজ্জার হবে,গ্লানির হবে।আমরা এমন একটা প্রজন্ম চাই যারা বলবেনা ”দূরু এতো বছরের পুরোনো এইসব বিচার-আচার কইরা কি হইবো?এদেরকে ফাসি দিলে কি আর দেশ আম্রিকা হইয়া যাইবো?”।দায়িত্ব টা আমাদের সকলের,আমরা যেভাবে গড়ে তুলবে সেইভাবে গড়ে উঠবে তারা।আসুন সবাই লিখতে চেষ্টা করি,সবাই সেটা প্রকাশ আর প্রচারে কাজ করি একসাথে।আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধারা যদি জীবনের সব স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে,নিজের রক্ত আর জীবন দিয়ে একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ আমাদের কে দিয়ে যেতে পারে আমরা কেন সেই দেশে তাদের সত্য গল্পগুলোকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছে দিতে পারবোনা?তাদের তুলনায় আমাদের এ কাজতো বড়্ড সহজ।আমি লিখতে পারবো কিনা জানি না,আমার লিখার ক্ষমতা সীমিত,তবে অন্য যেকোন মাধ্যমে সাহায্য করতে আমি প্রস্তুত।
জয় বাংলা,বেচে থাকুক ৭১ প্রতিটি প্রাণ স্পন্দনে শিশুর হাসি থেকে মায়ের প্রগাঢ় ভালোবাসায়।
মাসুদ সজীব
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আপনার আইডীয়াটা চমৎকার লাগল। বাচ্চাদের জন্য কাজগুলো করা গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেশটাকে জানত আরো সুন্দর ভাবে হয়তো
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
লুঙ্গীতে গিঁট দিলাম, কাছাও মারলাম। সাথে আছি।
মাঝেমাঝে চারিদিকে একই ঘ্যানঘ্যান শুনে মনে হয় এই যে আমি বা আমার মতো লোকেরা লিখে এতে কার কি হয়। যেই বুইড়া ভাম প্রতিদিন স্যুট টাই পড়ে অফিসে যায়, গলার রগ ফুলিয়ে রাজনীতি আলোচনা করে, দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলে মাথা নাড়ে, দুই মহিলারেই বিদায় করা দরকার বলে বিজ্ঞ মতামত দেয় (অথবা মহিলা দিয়ে দেশ শাসন হবেনা, এর চেয়ে এরশাদ কত ভালো ছিল বলে আফসোস করে) ... সেই ব্যটাই আবার এগারো বছরের বালিকাকে রেপ করা, নিজ হাতে মানুষ জবাই করা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কেন আরও স্বচ্ছ, আরও আন্তর্জাতিক হলোনা বলে কেঁদে মরে। পাকিস্তান আমলে আমরা এর চেয়ে কি খারাপ ছিলাম মিনমিন করে সেটা বলার চেষ্টা করে। আগামী বিশবছর ধরে লিখে কলম ভেঙ্গে ফেললেও এইসব চোখ থাকিতে অন্ধ সুশীলদের মন পরিবর্তন সম্ভব না। সেই আশা করা বৃথা।
তবে আশা রাখি আগামী জেনারেশনের পুলাপান আমাদের থেকেও আরও অনেক বেশী বুদ্ধিমান হবে। সত্য বলে কেউ কিছু তাদের মাথায় গুঁজে দিলে চাইলে প্রত্যাখ্যান করবে, প্রত্যেক বিষয়ে প্রশ্ন করবে। ওইসব পুলাপান যেন আমারে বলদ বলে গালি দিয়ে হাসাহাসি করতে না পারে এই জন্যই লেখালেখির মাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিস্কার করি আরকি।
আমি কিছু লিখলেই সেইটা খালি ১৮+ হয়ে যায়। আস্তে আস্তে ১৮- লেখা লেখার প্র্যাকটিস করে আপনার সাথে মাঠে নামতে রাজি আছি। বাচ্চা পুলাপান সুর করে আলিফ পেশ উন বে পেশ বুন পড়ুক সমস্যা নাই। সেইসাথে যেন ছোটকাল থাকে নিজ জাতির সত্যি ইতিহাস জানে। বীরত্ব এর কথা, দুঃখের কথা দুইটাই যেন আস্তে আস্তে জানে।
থাক থাক... মাথায় বাইন্ধেন না আবার
ঠিক তাই
আর যে বিষয় গুলা ১৮+ সেগুলা ১৮+ ই থাক নাহয়... এগুলারও দরকার আছে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সাব্বাস। লাইগা থাকেন
..................................................................
#Banshibir.
একা লাগুম নি? আন্নে কই যান?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
পুলাপানের লেখা আসেনা ভাইডি মেলা চেষ্টা দিছি।
..................................................................
#Banshibir.
বড়দের লিগ্যাই লিখেন... (আপ্নের মত ইতিহাসরে চাইপা গপ্প পয়দা করনের হাত থাকলে মিয়া আমিই বইসা যাইতাম) ... লেখাগুলাইন নাহয় উদাসদা'র "মেশিন" দিয়া কনভার্ট কইরা লমুনি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
তদ্দিন বাচুম কিনা জানিনা... তয়
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
একটা বয়সে মুস্তাফা মনোয়ারের 'মনের কথা' দেখতাম, মনে হয় পাপেট দিয়েও অনেক কিছু করা যায়। পাপেট এর জগত 'সত্যের জয়, মিথ্যার ক্ষয়" -এই জিনিসটা দেখতে ভালো লাগতো। কেন জানি পাপেট জিনিসটা তেমন আর নেই এখন। মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে পাপেট শো করা যায়, অন্তত ইউটিউবে রেখে দিলেও, একসময় সামনের প্রজন্ম এটা দেখবে মনে হয়।
শুভেচ্ছা
আহ, দ্য আইডিয়া... ভুলেই গেছিলাম পাপেটের কথা... "মনের কথা" আর "মুক্তির গানের" কথা মনে করায় দিলেন
আপনাকেও শুভেচ্ছা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
--- মাটির প্রদীপ ছিল সে বলিল স্বামী
আমার যেটুকু সাধ্য করিব তা আমি ---- এই বাণী মনে করে বলি আমার যেটুকু সাধ্য করিব তা আমি। সাথে আছি।
সবাই মিলে লিখে সেরা লেখাগুলোকে বাছাই করে বই প্রকাশ করা যেতেই পারে! আর সচলের কারো না কারো পরিচিত প্রকাশক আছেন, বই প্রকাশে সহায়তা করতে পারবেন।
____________________________
দীর্ঘমেয়াদে ভাবলে আমারও মনে হয় বই ছাড়া গতি নেই।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অথেনটিসিটির সমস্যা থেকেই যাবে। ব্লগের লেখা বলে ফু করে উড়িয়ে দেবে অনেকেই।
মুর্শেদ ভাই, আপাতত নাহয় নিজেদের ভাই-বোন-পিচ্চি-পাচ্চাদের জন্যই লেখা শুরু করলাম।
অথেনটিসিটি আসলেই একটা গুরুত্বপুর্ণ ব্যাপার, এই প্রসঙ্গে সবার কাছেই আরো আলোচনা আশা করছি।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই জিনিসটাতে মনে হয় ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগের যে প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে মনে হয় ফু করে উড়িয়ে দেবার দিন ফুরিয়ে আসছে। কিছুকিছু ক্ষেত্রে মানুষ এখন বস্তুনিষ্ঠ আলোচনার জন্য ব্লগের উপরই বেশি আস্থা রাখে।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
দিন আরো তাড়াতাড়ি ফুরোক
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কেউ ফু মেরে উড়িয়ে দিবে এই ভেবেতো একটা সৎ উদ্দেশ্য থেকে সরে যেতে পারি না।সবার আগে এটা নিয়ে একটা কমিটি করা যেতে পারে,সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে।পরিকল্পনা মাফিক কাজ করলে লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব।
মাসুদ সজীব
খাইসেরে, মাসুদ ভাই সরকারী চাকুরে নাকি?
সেটাই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
"সবাই রাজী থাকলে শিশুদের জন্য হাঁ বলুন"- আপনার মতো বিশ আঙ্গুলে দাঁড়িয়ে বলছি 'হাঁ'।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অসাধারণ আইডিয়া!!!! নিজের সাধ্যমত করার চেষ্টা করব !!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বাহ! সাথে আছি সমস্ত সামর্থ্য নিয়ে, কাজে লাগলে আওয়াজ দিয়েন ভাই।
এইরকম চিন্তা যিনি করতে পারেন তার জন্য
আরে সচলে এর চাইতে আরো বড় বড় চিন্তকেরা বসে আছেন... আমিও বড়দের দেইখা এট্টু ট্রাই নিলাম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এমন কিছু করা গেলে আসলেই দারুণ হয়। এবং অবশ্যই সাথে আছি।
এখন আসি কাজের কথায়। এ ধরনের সমবায় উদ্যোগ কয়েকবার নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি নানান কারণে। সেগুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা তালিকাবদ্ধ করি। কেননা ফেইলিওর ইজ দ্য পিলার অফ সাকসেস।
১) আইডিয়ার, সে যত এক্সাইটিংই হোক, বাস্তবায়ন সব সময়ই কষ্ঠকর ব্যাপার। একটা সময় পরে, অংশগ্রহনকারীরা এই কষ্ট করতে চান না আর।
২) “এসো সবাই মিলে করি।” এই মোটো খুবই উদ্দিপনাদায়ী হলেও অসম্পুর্ণ। সবাই মিলে সিনেমা বানাতে গেলেও যেমন একজন পরিচালক লাগে। তেমনই সবাই মিলে পত্রিকা বের করতে গেলেও একজন সম্পাদক লাগে। আর সেই সম্পাদককে, “জনসেবা করছি” ভেবে কাজ করলে হবে না। তাকে সত্যিই প্যাশনেট হতে হবে। গাটের পয়সা থেকে, বৌ-এর সময়- সব কিছু উদ্যোগের পিছনে বিনিয়োগ করতে। সত্যজিৎ রায়কেও সন্দেশ পত্রিকা গাটের পয়সা খরচ করেই চালাতে হয়েছে। তাই সবাই মিলেমিশে অরকেস্ট্রা বাজালেও, একজন জাদরেল কন্ডাক্টর ছাড়া সিম্ফোনি হবে না। (সচলায়তনের পিছনেও কারো কারো এমন প্যাশনেট স্যাক্রিফাইস আছে)
৩) লেখার জন্য কন্টিনিউয়াস ঘ্যান ঘ্যান করে পরিচিত লেখকদের কানের পোকা নাড়িয়ে দিতে পারংগম হতে হবে। কারণ বাঙ্গালী ঘাইগুতা না খেলে টাইমিং এর প্রিসিশন মেন্টেইন করতে পারে না।
৪) এবং এত করেও যথেষ্ট লেখা না পাওয়া গেলে, নিজেই আট দশ রকমের, গল্প, কবিতা, ছড়া, কার্টুন, ইলাস্ট্রেশন, প্রবন্ধ, বিজ্ঞান, খবর, বিভিন্ন নামে লিখে পত্রিকা ভরিয়ে ফেলার হেকমত থাকতে হবে। কাজী নজরুল ইসলাম এই কাজ করতেন। আর রবিবাবু তো এই থীমে সংগীতই রচনা করে গেছেন।
৫) ব্লগ দিয়ে যারা লেখালিখি শুরু করেছেন, তারা পত্রিকায় লিখে মজা পান না।
৬) অবশ্যই সেল্ফ সাস্টেইনেবিলিটির ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে। অর্থাৎ উদ্যোগটার চ্যারিটি নির্ভরতা অতি দ্রুত যতটা সম্ভব কমিয়ে ফেলার চেষ্টা থাকতে হবে।
৭) মানুষের আশ্বাস শুনে সন্তুষ্ট হওয়া যাবে না। কারণ সবচেয়ে ভালো মানুষটারও বেশিরভাগ আশ্বাসই ফাকা বের হয়।
আর সব শেষে, ইতিহাস হোক বা বিজ্ঞান। কোনো বিষয়ে জ্ঞান দেওয়ার উদ্দেশ্যে পত্রিকা বের করলে সেইটার পাঠকপ্রিয়তা পাওয়া মুশকিল। পত্রিকা হতে হবে ছেলে-মেয়েদের হাতে একটা আনন্দের অনুসঙ্গ তুলে দেবার উদ্দেশ্যে। এমন কিছু একটা তুলে দেবার উদ্দেশ্যে যার পরবর্তী সংখ্যার জন্য এর পাঠকরা অপেক্ষা করে থাকবে। যার পুরোনো সংখ্যাগুলো স্নেহভরে সংগ্রহ করে রাখবে। এইসব আনন্দের অনুসঙ্গ থেকে কতটা ভাবনার উপাদান পাঠক পাবে তা নির্ভর করবে কারা লিখছে তার উপর। যেমন একজন বিজ্ঞানপ্রেমী, হাসির গল্প লিখলেও তার মধ্যে বিজ্ঞানবিমুখতা কাটানোর উপাদান থাকবেই। ভাষাপ্রেমী কার্টুন আঁকলেও তার মধ্যে ভাষার প্রতি টান টা ধরা যাবে। আর এই ধরনের নিগূঢ় অভিভাবনই শেষ বিচারে কার্যকর।
ম্যালাদিন কাউকে উপদেশ দিতে না পেরে, প্রাণটা কেমন আই-টাই করছিলো। এই পোস্টটা দিয়ে বাঁচালেন ভাই!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
[ ]
তানভীর ভাই, পত্রিকার কথা বলি নি। আমারও ব্যাক্তিগত ধারণা যে এইরকম "ফোকাসড" পত্রিকা টিকবে না... বিশেষত বাচ্চাদের জন্য... এরা ব্যাপক খুঁতখুঁতে বাচ্চা ভয়ঙ্কর কাচ্চা ভয়ঙ্কর...(তবে পত্রিকার কথায় মনে পড়ে গেল- ইদানীং 'প্রথম আলো' একটা শিশু-কিশোর পত্রিকা বের করার তোড়জোড় চালাচ্ছে... রেড সিগন্যাল আগে বুড়োদের মাথা খেত... এখন ছোটদেরটাও খাবে)
আমি ভাবছিলাম (বাচ্চারা না হোক, বাবা-মা রাও) যদি কখনও রিসোর্স খুঁজেন, সেইটার অভাব যথাসম্ভব পূরণ... সামথিং দ্যান নাথিং...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আমার মন্তব্যটা পত্রিকা কেন্দ্রীক হয়ে গেলেও, যে কোনো সমবায় উদ্যোগেই আসলে কথাগুলো খাটবে। কারণ ঘুরেফিরে এই ধরনের সমস্যার কারণেই, অনুবাদ প্রকল্প থেকে শুরু করে, পত্রিকা হয়ে, সাপ্লিমেন্টারি শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট তৈরি, বিজ্ঞান বিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল, সফ্টওয়্যার বানানো, সহ কয়েকরকম প্রকল্প ব্যর্থ হয়েছে।
সচলের পান্থ রহমান রেজা ভাই কিশোরদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, ইত্যাদি নিয়ে বই লিখেছেন বলে মনে পড়ে। সেসব বই এর সাফল্য নিয়ে তার ফিডব্যাক নেওয়া যেতে পারে।
সব মিলিয়ে চ্যালেঞ্জ দুইটা। ১) রিসোর্স তৈরি। ২) রিসোর্স ব্যবহারে আগ্রহী মানুষ তৈরি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
পান্থ ভাইয়ের ফিডব্যাকের আশায় রইলাম... কয়েকদিন আগে কে যেন বাচ্চাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধের গল্প লিখলেন? সচলেই?
১ এর পরে ২/ ২ এর পরে ১/ নাকি ১ আর ২ সমান্তরালে চলবে? (ম্যাথ অলম্পিয়াডের অভিজ্ঞতা বলে সেখানে আগে ২ তারপর ১ বাস্তবায়ন হচ্ছে... কিন্তু এখানের কেসটা পুরা একরকম না... ১ নাম্বারে পিছিয়ে গেলে হিমু ভাই যে কথা বলেছেন আলুর বাজার বসে যাবে... )
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
স্পর্শ ভাই এর সাথে একমত।
মাসুদ সজীব
আপনার উল্টাপাল্টা লেখাগুলো কোথায় আছে?
লেখার শেষাংশে যে আইডিয়া ব্যক্ত করেছেন তার সাথে পূর্ন সম্মতি জ্ঞাপন করছি।
কমুনা, শ্যাষে বাপের কাছে বিচার দিবেন
লিখা শুরু করে দ্যান
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আইডিয়া
গান্ধর্বী
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
পত্রিকা বিষয়টি আমার ঠিক পছন্দ নয়,সারা বছর পত্রিকা প্রকাশ করার চেয়ে ত্রিমাসিক কিংবা বাৎসরিক সচল এর পক্ষ থেকে শিশু বিষয়ক পুস্তক প্রকাশ করা উত্তম বোধ হয়।খুব বেশি পুস্তক প্রয়োজন নেই,বছরে ২-৪টি বই যথেষ্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক।হতে পারে সেগুলো ছড়া,ছোট ছোট কবিতা,কমিকস কিংবা ছোট ছোট গল্প।সেগুলোর যথাযথ প্রচার আর প্রসারি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছানে হয়তো সম্ভব।
মাসুদ সজীব
পত্রিকার কথা আমি বলিনি তো... বইয়ের কথাই ভাবছিলাম... ক্যাম্নে কী
আপাতত নাহয় সম্মিলিত ব্লগ (যদিও ইতিহাস বলে এই জিনিসের ভবিষ্যৎ ভালো না )
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আইডিয়া চমৎকার। কোনোভাবে কাজে লাগতে পারলে ভালো লাগবে
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সহমত
আপনার লেখা বরাবরই পড়ি; এবারের লেখার '৭ নম্বর ' হৃদয় ছুঁয়ে গেল। সাথে আছি। ভাবছি কি করা যায়।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হ্যাঁ, জয়যুক্ত হয়েছে। হ্যাঁ, জয়যুক্ত হয়েছে। হ্যাঁ, জয়যুক্ত হয়েছে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অসাধারন আইডিয়া। লেখালেখি আসেনা, বাচ্চাদের জন্য লেখা তো আরও বেশি কঠিন। তবে অন্য যে কোন ব্যপারে সাথে আছি।
আন্নের লেহালেহি আহেনা??
এইখানে, এইখানে, এইখানে এবং এইখানে টিপি দিয়া দ্যাহেন... আপনার বেনামে কে না কে লিখ্যা থুয়া গ্যাছে... এক্ষণ নগদে মোডু'গো কাছে অভিযোগ দায়ের করেন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ক্যাডার হইলে কি আর ব্লগে লিখতাম,তখন প্রথুম আলুতে লেখা যেত ভাই।
কমিটি করার কথা বলেছি কারন উদ্যোগ আর পরিকল্পনা নেওয়ার জন্যে।পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে মাঠ পর্যায়েও কাজ করতে হবে।সেজন্য সচল কতৃপক্ষ উদ্যোগ নিতে পারে।আমাদেরকে আহ্বান জানাতে পারে সব ধরনের সহযোগিতার জন্যে।যেমন প্রথমেই কোথাও ছোট্ট একটা মিলনমেলা করা যায়,সবার ভাবনার কথা শুনা যায়।কি করে এই কাজ কে বাস্তবায়ন করা যায় সেটা নিয়ে কর্মপরিকল্পনা করা যায়।লেখা সংগ্রহের পর সেটা প্রকাশের জন্যে কি কি কাজ করতে হবে সেটাও ঠিক করা যায়।এক কথায় একটি উৎকৃষ্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ছোটদের বই প্রকাশ করতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি কি কাজ করতে হবে সেটার পরিকল্পনা করাই কমিটি গঠন করা।তবে সেটা বাংলাদেশের সরকারী কমিটিগুলোর মতো নয় যারা ৪৮ ঘন্টার কথা বলে ৪৮ মাসেও রিপোর্ট দিতে পারে না।আমি ঠিক জানিনা আমি একটু বেশি ভেবে ফেলছি কিনা,তবে আমি সত্যিকার ভাবেই চাই সচল থেকে উৎকৃষ্ট বই প্রকাশিত হোক,সেই বই পড়ুক নতুন প্রজন্ম।বেরিয়ে আসুক তারা এই দলাদলি আর ভুল শিখানো ইতিহাস থেকে।এই কাজে আমি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি আমার সাধ্যমতো।লিখায় না পারি অন্যভাবেতো পারবো এবং সচলের কম বেশি সবাই সেই সহযোগিতাপূর্ণ মানসিকতা নিয়ে প্রস্তুত আছে।ভালোথাকবেন।
মাসুদ সজীব
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আসাধারন আইডিয়া । বাচ্চাদের জন্য আসলেই এইধরনের লেখা খুব দরকার। নিজের বাচ্চাকে গল্প শুনানোর অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে বাচ্চারা কত বেশি মনে রাখে। অনেক গল্প আমি ভুলে যাই কিন্তু মেয়ে ভুলে না, যখনি অনেকদিন পর বলতে যেয়ে কোন কিছু উল্টাপাল্টা বলি মেয়ে খপ করে ভুল ধরে ফেলে । তাই ইতিহাসভিত্তিক কিছু গল্প যদি ছোট থেকেই আমরা শুনাতে পারি তবে মনে হয় বড় হয় ব্রেনওয়াশ করটা কঠিন হবে। লেখার ক্ষমতা তো নাই কিন্তু আত্মিকভাবে সাথে আছি।
ইসরাত
ইসরাতাপ্পু,
এমন মায়েদেরও খুবই দরকার যারা নিজের বাচ্চাকে ধৈর্য ধরে এই গল্পগুলো শোনাবেন...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
চমৎকার একটি ভাবনা।
স্পর্শ ভাইয়ার কথাগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাজে নামলে আটঘাট বেঁধেই নামা উচিত। আমার পক্ষে যতটুকু সাহায্য করা যায়- আমি আছি।
-নিয়াজ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
একদম ছোটো বাচ্চাদের জন্য কনটেন্ট তৈরি করার পাশাপাশি কিশোরদের জন্যে ইতিমধ্যে সহজলভ্য কনটেন্ট ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটাও জোরেসোরে নেওয়া দরকার। যেমন, "একাত্তরের দিনগুলি" আর "মূলধারা '৭১" এই দুটো বই পরিচিত কিশোর-কিশোরীদের পড়ানোর একটা উদ্যোগ নিতে পারি আমরা। নাহলে এরা কিশোর-আলু পড়ে নষ্ট হয়ে যাবে।
[ অফটপিকঃ আমাদের শহরে বহুবছর পর "খেলাঘর" তাদের কার্যক্রম আবার শুরু করেছে গত সপ্তাহে... ওদের এই গুঁতোটা দিয়ে আসব... ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হিমু ভাইয়ের সাথে সম্পূর্ণ একমত।
প্রথম আলু তাদের নষ্টামির আরেকটা ক্ষেত্র বাড়াতে যাচ্ছে।
মাসুদ সজীব
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সহমত
---------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন