সপ্তাহটা খুব খারাপই গেল। ছ্যাঁক খেতে খেতেই কিভাবে যেন কাটিয়ে দিলাম। (দুষ্টু লোকেরা তফাত যাও, ছ্যাঁক আগুনেও খাওয়া যায়, হুঁহ)। প্রথমটা খেলাম গত শনিবার বিকেল ঠিক ৫টায়। বিস্তারিত বলা যাবেনা, শরমের কথা। আর শেষটা গতকাল বিকালে, তাও উপর্যুপরি। সাইড এফেক্ট হিসাবে আপাতত বিজ্ঞানের খেতা পুড়ি। বিজ্ঞানের কাঠখোট্টা গল্পের চাইতে মানুষের গল্প অনেক মজার। আর সে গল্প যারা বানায় তারা থাকে অনেক অনেক দূরে, আফসোস।
০২।
মানুষের চাইতে বরং মস্তিষ্ক আর হৃদয়হীন এক টুকরা কাঠ হলে বরং অনেক কাজে আসতাম। বড্ড অবৈজ্ঞানিক কথা হয়ে গেল। অনার্য’দা কিংবা ওসমান ভাই নিশ্চয় মস্তিষ্ক আর হৃদয়ের এই অশ্লীল সমীকরণে বিরক্ত হবেন। কিন্তু কি আর করা, ছ্যাঁক খেলে এমনই হয়। যেদিন খাবেন সেদিন বুঝবেন, হৃদপিন্ড মাথায় উঠে বসে থাকবে, মস্তিষ্ক বোধ হয় ঘামের সাথে বেরিয়ে যাবে। ব্যাপারটা একেবারে খারাপ না অবশ্য, আমাদের সাবেক এক ইয়ে’র মত মস্তিষ্ক ভর্তি ইয়ে থাকার চাইতে মস্তিষ্ক ভর্তি হৃদয় থাকাটা নিশ্চয় অনেক চমৎকার হত নিশ্চয়, কি বলেন?
০৩।
অবশেষে তার সঙ্গে দেখা হয়েই গেল, আহা চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা। গেছিলাম দৃক গ্যলারীতে, ঠিক ৪টায়। ঢুকেই দেখি ঠিক তারেকাণুর মত এক ম্যানিকিন সামনে, হাত নাড়লুম- ওমা! দেখি মানিকিনও পালটা হাত নাড়ে। প্রথমে ঘাবড়ে গেছিলুম। পরে ভাল করে তাকিয়ে দেখলুম সেটা জলজ্যান্ত তারেকাণুই। আসলে সারাজীবন তার খোমা দেখেছি ওই বাংলাদেশ ছাপা সবুজরং নয়তো টিনটিন আঁকা ছেয়ে গেঞ্জিটার ওপরে। হঠাত নাহয় হাফ লুঙ্গি কি তোয়ালে পড়াও দেখেছি। কিন্তু সেই চেনামুখ খানা ডেস্টিনিডিলারদের মত স্যুট-প্যন্ট-টাইয়ের ওপরে দেখলে ভড়কাব না কেন বলুন তো। মেজবান দেখে লোকে তাকে ভদ্রতা করে ভবঘুরে-টুরে অনেক কিছু বললে বটে। কিন্তু এমন ফিটফাট ফুলবাবু সাজা ভবঘুরে জীবনে দেখিনি বাপু!
০৪।
আজকে মজা পেলাম স্টেজে পকেট হাতড়ে জাফর স্যার যখন কলম খুঁজছিলেন, আমরা ভেবেছিলাম কি না কি। পরে দেখি ওমা, উনি দিব্যি কলম আর বইটা তারেকাণুর দিকে এগিয়ে দিলেন অটোগ্রাফের জন্য। এই পর্যটকের জন্য এক বুক হিংসা। আর তারেকাণু একটা অভদ্র কাঁহিকা। সবাইকে টানে কিন্তু বাধনে জড়ায় না- ভাল কথা। তা বলে নিজে অটোগ্রাফ দেবার সময় নামটুকুও জিজ্ঞাসা করবেনা? বই এগিয়ে দিলুম, ইনাম ভাই কি সুন্দর করে নাম জিজ্ঞাসা করলেন। আর পর্যটক ব্যাটা ডান দিকে বই খানা বাগিয়ে ধরে সুদূর বাঁ দিকে তাকিয়ে কেবল নিজের নামখানা খোদাই করে দিলে এই স্টাইলেঃ “ nu ”। যাকগে, এই সুযোগে বই-কলম দেয়ানেয়ার ছুতোয় বেশ করে ছুয়ে দেখেছি। ভদ্রলোককে (যে সাজ দিয়ে এসেছিলেন ভদ্রলোক না বলে উপায় নেই) রক্ত মাংসের মানুষ বলেই মনে হল। আরও ভালভাবে নেড়েচেড়ে দেখব ভেবছিলাম , শেষে এই পোস্টের সতর্কবানী মনে করে ক্ষান্ত দিলাম। ও হ্যাঁ, কাছে থেকে বেশ ভালভাবে খেয়াল করে দেখেছি তারেকাণুর পষ্ট ছায়া পড়ে। তবে তাতে কিছু আসে যায় না। এমনও তো হতে পারে জ্বিনেরা আজকাল ছায়া নিয়ে গবেষণা করে এগিয়ে গেছে। জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে হবে।
০৫।
বেশ মজা পেলাম ইনাম ভায়ের সরস আচরণে। এতদিন টুপিটাপ্পা ঢাকা ছবি দেখে আর পর্যটকগিরির গপ্প শুনে ভাবতাম বেশ রাশভারী মানুষ হবেন বুঝি। অথচ বাস্তবতা পুরাই উলটা। অদ্ভুদ দুনিয়া। মুখোশ পরা মানুষ সব। মুখোশের কথাই যখন আসল তখন আরও বলি, মুখোশের আড়ালের অনেক মানুষকেই আজ সামনাসামনি দেখে ফেললাম। খালি কোনটা কে সেটা বুঝিনি। শেষ কালে অবশ্য বিডিআর ভাই আমারই মুখোশ খুলে দিলেন। সে-এ-এ-ই ৩ বছর আগে (২০১২ সালে) কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে নাকি আমাকে দেখেছিলেন, তাতেই চিনে ফেলেছেন। বিডিআর ভাই নির্ঘাত ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের লোক। ছদ্মবেশে সচলে থাকেন। আহা, আমাদের সীমান্ত প্রহরীরা সবাই যদি বিডিআর ভাইয়ের মত হত, তবে চোরাচালানীদের খবর হয়ে যেত নিশ্চয়।
০৬।
আজকের দিনের সেরা প্রাপ্তি শাহেনশাহ সিমন ভাই, দ্য ফাইটার। হঠাত হাততালি শুনে ছুটে এসে দেখি জাফর স্যার এক কোনে একা দাঁড়িয়ে আর গেটের কাছে বিশাল ভিড়। ঠিক বুঝে উঠছিলাম না কে সেই সেলিব্রিটি। ঠেলেঠুলে সামনে গিয়ে দেখি তেত্রিশ দাঁত বের করে সিমন ভাই দাঁড়িয়ে। দেখে আমারও সাড়ে বত্রিশটা দাঁত অভদ্রের মত বের হয়ে গেল। খুশির মুহুর্তে ভদ্রতায় কিছুটা ছাড় দেয়া নিশ্চয় খারাপ না। দিনশেষে এই লড়াকু মানুষটাকে দেখে আমার মাথায় ওঠা হৃতপিণ্ড আবার যথাস্থানে ফিরে আসল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মস্তিষ্কগুলোও লোমকূপ বেয়ে আবার মাথায় ফিরে আসল। পুরাটা না বোধ হয়, তবে যেটুকু আসল সেটুকু দিয়েই বেশ বুঝলাম মনুষ্যজন্মের স্বরূপ। লালন বেশ করে বলে গেছেনঃ “এমন মানবজনম, আর কি হবে/মন যা কর, ত্বরায় কর, এ ভবে”।
০৭।
সবশেষে বের হতে গিয়ে দেখলুম খানাপিনার ব্যাবস্থা আছে। অণু’দা যেহেতু আমন্ত্রণপত্রে কিছু বলেননাই তাই ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না আয়োজন সবার জন্যই কিনা। এদিকে পরিচিত কাউকে খুজেও পাচ্ছিনা ওদিকে দুপুরে পেটে কিছু পড়েনি। এমন সময় বাঁচিয়ে দিলেন সত্যপীর। না হে, সচলের পীরবাবা না। আদি ও অকৃত্রিম সৈয়দ আলী সায়েব আরকি। আলী সায়েব ঝান্ডুদা’র মুখ দিয়ে বলেছিলেন না- “দেখছ তো সবাই খাচ্ছে, চেখে দেখ এ বস্তু কি”। আমিও সে আপ্তবাক্য স্মরণ করে এগিয়ে গেলুম। তারপর খেয়ে দেয়ে ভোঁ। (ইয়ে, আমার বাড়ি কিন্তু উত্তরবঙ্গে, অন্য কিছু ভাববেন না যেন।) আর তাছাড়া আজকে থেকে বইমেলা শুরু। আগামী একমাসের জন্য “বই কিনে কেউ দেউলে হয় না” এই বেফাঁস কথার জন্য আলীসায়েবের বহুত অভিশাপ পাওনা আছে। আজ তাই তার নাম ভাঙ্গিয়ে দুটো খেয়ে নেই।
০৮।
খানাপিনা আর ছোঁয়াছুয়ির গল্প বলতে বলতে আজকে আমার ছ্যাঁক খাবার গল্পটাই তো বলা হলনা। প্রথম দাগাটা খেলাম ব্যাটারির কাছে, একেবারে ইলেকট্রিক ছ্যাঁক। ক্যামেরা অন করতে গিয়ে দেখি ব্যাটা ডাউন হয়ে বসে আছে। রিচার্যেবল ব্যাটারি যে এক মাস বসে থাকলে একাএকাই চার্য খেয়ে বসে থাকে জানতাম না। আর বলেছিলাম না হৃদপিণ্ড মাথায় উঠে থাকার কথা, আসলেই তাই ছিল। নাহলে আপাতত পেনসিল ব্যাটারি দিয়েই যে কাজ চালান যেত এ কথাটা কিনা মনে পড়ল রাতের খাবার সময়। তাই শেষমেষ কোট-টাই পরা এলোচুলের বুদ্ধমুর্তির সাথে ছবি তোলাই হলনা। এখন লোকজনকে বিশ্বাস করাব কি করে? ফটোশপ দিয়ে? যাক সেকথা। তারেকাণু কে ছুয়ে দেখা আর পৃথিবিটাকে নেড়েচেড়ে দেখা একই কথা। আপাতত এটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকি।
০৯।
ছ্যাঁক আজকে আরও একটা খেয়েছি। তাও জাফর স্যারের কাছে। বহুদিন ধরেই ভাবছি “এসো কোয়ান্টামের রাজ্যে” টাকে ভাষা একটু ভদ্রস্থ করে বাচ্চাদের জন্য বই বানিয়ে ফেলব। জাফর স্যারকে কাছে পেয়ে ভয়ে ভয়ে বলেই ফেললাম। আগেও ই-মেইলে বলেছিলাম একবার। আজকে বাগে পেয়ে আব্দার জানালামঃ বই শেষ, ভূমিকাটা যদি লিখে দিতেন। স্যার অবশ্য রাজী হলেননা। বললেনঃ নিজের কাজ নিজে কর। ভাবছি আজ থেকে সেটাই করব, বই-টই বাদ। কিন্তু নিজের কাজটা যে কি সেটাই খুজে পাচ্ছি না। হিম্ভায়ের রেসিপিমত এক-আধবেলা মাটিতে ভাত খেয়ে দেখতে হবে। চোরের ওপর রাগ করা গেলে নিজের ওপর রাগ করতে দোষ কোথায়?
১০।
যাকগে, রাগের হিসাব নাহয় আরেকদিন হবে। জাদুর শহরে ফেরার দিনে রাগ করতে নেই। ঢাকা আমার জন্মের শহর। জন্মের পরে ঢাকা ছেড়েছিলাম কিছু বোঝারও আগে। দেড়যুগ পরে সেখানে ফিরেও এসেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে। তারপর চাকুরিসুত্রে আবার বিরহ। তবু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখনও আমার কাছে একটা চলন্ত যাদুঘর কিংবা জীবন্ত গল্প। এই ক্যাম্পাসে স্রেফ মানুষ দেখেই ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেয়া সম্ভব, আডডা বাদেই। এত্তগুলা ছ্যাঁকার ভিড়ে তাই ভাল খবর এটাই যে বহুদিন পরে প্রিয় এই জাদুর শহরে ফিরলাম। তাও ফেব্রুয়ারি মাসে।
সবাইকে শুভ বইমেলা। আসছেন তো? ওখানে আবার (কিংবা বারবার) দেখা হচ্ছে নিশ্চয়।
মন্তব্য
ভাবছিলাম, কেউ একজন এই অনুষ্ঠান-এর পোস্ট দেবে না? সাক্ষী-দাদা!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
প্রথম মন্তব্যটা করে কাসটা ভালু কর্লেনা কিন্তু দা্দাই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ফটুক ছাড়া বিশ্বাস করিনা এট্টুও আপনি জাদুর শহরে গেছেন, বিদিশার নেশা অণু'পুরে দেখছেন।
পমান চাই পমান দেখান মাটিতে ভাত খাওয়া কিন্তু অনেক সুবিধার বেপার। খেয়ে দেখেন একবার।
প্লেট বাটি ধোয়াধুয়িইর চক্কর নাই একদম। আহা বই মেলার কথা কয়ে তো দিলেন মন্টা উদাস করে!
থাকগে যা! আমার না হয় নাই হলো, আপনাদের তো হোক মেলা ঘুরবার অনেকটা আনন্দ!
হেপিহেব্বি বইমেলা ঘুরন্টিস
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
তারেকাণুদা একদিন সম্মুখখোলাগামছা একদিন স্যুট্টাই ক্যাম্নে পারে? আর আপনে এমুন অনুষ্ঠানের কথা কইলেন আর বেটারির কথা বইলা ছবি দিলেন না, তা বলি গ্রামীণ থাকতে দেশে কি বেটারির আকাল? নাকি টেকাটুকার সমসা?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আবেগান্বিত হয়ে গেলাম।
ইউক্লিড
আবেগঘন ব্যাপার-স্যাপার
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
লেখাটা পড়ে যেটা বুঝলাম না, সেটা হচ্ছে গতকালের অনুষ্ঠানে আপনি সত্যি সত্যি গিয়েছিলেন কিনা। আমি সেখানে দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে রাত সাড়ে আটটা ইস্তক ছিলাম। আপনার বর্ণিত দুয়েকটা সিকোয়েন্সে মধ্যমণিদের ঠিক পাশেই ছিলাম। তাহলে আপনার সাথে দেখা হলো না কেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
যায় নাই, সাক্ষী মিছা কইছে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
পরিচয় দেবার সাহস পাইনি। এত সচলকে দেখে আবেগ ঘনতৃে ভুগছিলুম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এইটা কি বলেন ? 'যাহা বলিব, সত্য বলিব । সত্য বই মিথ্যা বলিবনা'।
সাক্ষীদাদা কি মিথ্যা বলতে পারেন ?
সাক্ষীদাদা, লেখা ভাল হয়েছে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
খুব ভাল লাগল সাক্ষী তোমার লেখাটি পড়ে। আর সেই সাথে মনটাও চরম উদাস হয়ে গেল। কতদিনের ইচ্ছে তোমাদের সাথে দেখা করার। এই সুযোগটাও মিস হয়ে গেল।
অণুর প্রথম যে আলকচিত্র প্রদর্শনী হয়েছিল দৃক গ্যালারিতে, পরিবারসহ গিয়েছিলাম। ওর প্রথম বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে থাকতে নয়া পারাটা কষ্টের। তারপরেও আমার হয়ে এবার প্রক্সি দিতে যাবে আমার স্ত্রী কন্যা। হয়ত আজ কিংবা কাল।
ভাবতে ভাল লাগছে। তোমাকে ধন্যবাদ সাক্ষী। ফেসবুকে অণুর ছবিগুলি দেখছি। চোখ জুরিয়ে যাচ্ছে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই আধুনিক্স ইবনে বতুতা মাঝে মাঝে বঙ্গদেশে আসেন এবং জনগণের সাথে তাঁর কালেভদ্রে দেখা সাক্ষাৎ ও হয়। অবিশ্বাস্য হইলেও ঘটনা সত্য! গত বইমেলায় আমার সাথেও দেখা হয়ে গেছল, তাই জানি!
তা সেই আমলে তিনি একটি পুস্তক প্রকাশ করবেন এমন বলেছিলেন, আমিও কিনব বলে মনে মনে ঠিক করেছিলাম! জানি না, এই পুস্তক সেই পুস্তক কি না, কিন্তু প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকায় তারকানুর 'প্রথম বই' না কেনার উপায় দেখছি না
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
খুব ইচ্ছা ছিল যাবার, কিন্তু হঠাৎ শরীরটা খারাপ কললো বলে যাওয়া হলো না।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
উনি এর আগে রাংতা নামের এক শখের মেলাতেও ছুট্টাই পরে এ্যাটেন্ড করছিলেন। আপনি মিস করছেন বোধহয় সেইটা।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এমনিতেই সারাদিন (এবং রাতের একটা বড় অংশ) আফসোস করেছি যাব বলেও যেতে না পারার জন্য! আপনার লেখা পড়ে আফসোসটা শতগুন বেড়ে গেলো!! যাই হোক, ঢাকায় যখন কয়েকদিন থাকছেন, দেখা হবে আশা করি।
আরেকটা কথা - আপনারা একে অন্যকে চিনেছেন কেমনে ওখানে? আমি তো সচলের কাউকেই চিনি না (রিসালাত বারী ছাড়া), সামনাসামনি দেখা হলে বুঝতেই পারবো না!!
____________________________
তারেকানু, দিশাপ্পু, সিমন ভাই আর বিডিয়ার ভাই ছাড়া কাউকে চিনি নাই... আন্দাজ করতে পারছিলাম কেবল...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ইস আসলেই অনেক মিস হয়েছে। কিন্তু আমাদের অনুদা যে সেলেব্রেটি আশা করি আগামিতেও এমন অনেক বই আসবে তার সাথে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
পরেরটা কোনভাবেই মিস হবেনা।
কিন্তু সাক্ষীদা আপনার বুদ্ধ মূর্তি কই?
বইমেলায় মেলা ঘুরাঘুরি করে বাসায় বইয়ের শেলফ আরও ভারী করেন, আর কয়দিন পড়ে হামলা করব।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
কিয়ের বুদ্ধমূর্তি? ঈমান টাইট করেন মিয়া!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন