এসব দেখি কানার হাটবাজার

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৮/০২/২০১৪ - ৯:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক) শুভ জন্মদিন, প্রিয় দুর্নীতি

গত পরশুদিন ছিল ঐতিহাসিক ৪ ফেব্রুয়ারি। আমাদের প্রিয় দুর্নীতির ৩৮ তম জন্মবার্ষিকী। শুনে হয়ত হাসছেন, দুর্নীতি আবার জন্মাল কবে? সবুর করুন বলছি। তবে তার বাবা-মায়ের নাম জিজ্ঞাসা করবেন না যেন। মতিকন্ঠ যেমন বলেছে- “কিছু কথা থাক না গুপন!” সেইরকম। (অবশ্য লেখা পড়ে কেউ দুর্নীতির জনককে চিনে ফেললে আমার দোষ নেই।) ১৯৭৬ সালের ঠিক এই দিনেই দুর্নীতি নামের কুকর্মটি এদেশেরপ্রাতিষ্ঠানিক বৈধতার পরিকাঠামোতে আনুষ্ঠানিক ভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। কিভাবে? তার বিস্তারিত কাহিনী বলব। তবে, তার আগে সবাই জোরসে বলুন- “(লেইট) হ্যাপ্পি বার্থডে টু ইউ ডিয়ার দুর্নীতি”।

১৯৭৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দিনটি ঠিক তার আগের বা পরের দিনগুলোর মতই জলপাই সবুজ আঁধারে ঢাকা ছিল। সেই অন্ধকারের আড়ালে অনেক কিছুই ঘটে গেছে এই অভাগা ছাপ্পান হাজার বর্গমাইলে। এইসব ঘটনার মাঝে অন্যতম হলঃ “Martial Law Regulation No- VI of 1976” যার শিরোনাম Income Tax (Disclosure of income) regulation 1976 এই অধ্যাদেশটির প্রভাব ছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ও সুদূরপ্রসারী, যার ধাক্কা আজো আমরা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এটি বহাল থাকলে পারবও না। পুরো অধ্যাদেশটি অনেক বড় । আমি এর উল্লেখযোগ্য অংশ উদ্ধৃত করছি, খুউপ খিয়াল কইরা, বাহে।

এর ধারা ৫ বলছেঃ

“No action of any kind whatsoever shall be taken against the person concerned for having submitted an incorrect return originally or for not submitting any return earlier or in respect of the transaction or transactions from which the income represented by the difference between the revised return and the original return or the income represented in the return or statement submitted for the first time was derived; nor will the fact of his having filed a revised return be taken as a ground for the reopening of any assessment under section-34 of the Income- tax Act, 1922.”

মজার ব্যাপার হল, সেটার নামধাম আকীকা করা হয়েছে ধারা ৬ এ, যেটা বলছেঃ

“For the purposes of this Regulations the expression “Untaxed Income” occurring hereafter shall mean the difference between the true income and the income shown in the return files earlier, the true income of the person as the case may be. ”

ধারা ৭ আবার বলছেঃ

“For the purpose of charge to tax,-

(1) the untaxed income shall not be treated as a part of the total income of the same person but separately, as if it were the total income of another person; and where it pertains to more years than one, the aggregate of the untaxed income of all such years shall be treated as the untaxed income.

(2) in all cases in which the total amount of tax due under the income tax act- 1922, on the untaxed amount is more than twenty-five percent of it, the aforesaid tax shall be compounded as follows:

(a) if full payment is made contemporaneously with the filling of the revised return or statement, it shall be compounded at twenty-five percent of the amount of the untaxed amount.

(b) if full payment is made on or before the 20th april, 1976, it shall be compounded at twenty-seven and a half percent of the amount of the untaxed income.

(c) in all other cases it shall be compounded at thirty percent of the untaxed income:

Provided that the compounded tax on the untaxed income shall not in any case exceed the total amount of tax due on it at rates applicable to the assessment year 1975-76;

(3) while calculating the amount of tax due under the Income-tax Act, 1922, on the untaxed income, no allowance shall be made for any rebate, deduction or exemption admissible under that act.”

সবশেষে ধারা ১২ বলছেঃ

“No court shall take cognizance of any offence under this regulation unless a compliant in writing is made of the facts constituting it by the National Board of Revenue or an Officer authorized by the National Board of Revenue in this behalf.”

কি বুঝলেন? আপনি যদি অবৈধভাবে ১০০ টাকা পান সেই ১০০ টাকার পুরাটাই তো অবৈধ, তাইনা। অথচ এখানে বলা হল- সেই ১০০ তাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা জমা দিলেই বাকি ৭০ টাকা আপনার। তা সে ঘুষের টাকাই হোক আর চুরির টাকাই হোক। ওই কালো আইনের সুবিধাভোগীরা বেশ গম্ভীর কন্ঠে “বাস্তবতা” বোঝাতে আসেন যে- ‘তবুতো ৩০ টাকা অন্তত পাওয়া যাচ্ছে, নইলে পুরো ১০০ টাকাই জলে যেত।’ যেনঃ ‘নাই তাই খাচ্ছ, থাকলে কোথায় পেতে?’ অথচ ইনারা হাসিমুখে বেশ করে চেপে যান যে আদতে ওই ১০০ টাকার পুরোটাই রাষ্ট্রের প্রাপ্য ছিল।

খ) কেতাবের গরু গোয়ালে নেবার পথ

আসেন দেখি “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান” এ ব্যাপারে কি বলে। সংবিধানে “অধিকার ও কর্তব্যরূপে কর্ম” শীর্ষক ২০ ধারার ২য় অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছেঃ

রাষ্ট্র এমন অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করিবেন যেখানে সাধারণ নীতি হিসাবে কোনও ব্যাক্তি অনুপার্জিত আয় ভোগ করিতে সমর্থ হইবেননা এবং যেখানে বুদ্ধিবৃত্তিমূলক ও কায়িক- সকল প্রকার শ্রম সৃষ্টিধর্মী প্রয়াসের ও মানবিক ব্যাক্তিত্বের পূর্ণতর অভিব্যাক্তিতে পরিণত হইবে।

আবার, “সংবিধানের প্রাধান্য” শীর্ষক ধারা ৭ বলছেঃ

(১) প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগন; এবং জনগনের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে।
(২) জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যাক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসমঞ্জস হয়, তাহা হইলে সেই আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইবে।

অর্থাৎ “Martial Law Regulation No- VI of 1976” যেহেতু ২০ (২) ধারায় বর্ণিত “অনুপার্জিত আয়” সংক্রান্ত নীতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ন, তার বাতিল হওয়াই নিয়তি। কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাঁধবে কে? আইন বিশেষজ্ঞ যারা এই লেখাটি পড়ছেন, তারা কি দয়া করে এর একটা বিহিত করার কোনও পথ দেখাবেন?

গ) এক কানা কয় আরেক কানারে

এই আইনের অস্তিত্ব বহাল রেখে দুর্নীতি উচ্ছেদের চেষ্টা করা আর গাছের গোড়া কেটে সোনারপাথরবাটিতে করে আগায় দুবেলা পানি ঢালা একই কথা। আশংকার কথা এই যে- এই আইনের সুবিধাভোগীরা আছে সমাজের সর্বস্তরে। সবার যদি জানাই থাকে যেঃ “৩০% দিয়ে দিলে ঘুষ, চুরি, ডাকাতি, তহবিল তছরুপ, রাহাজানি সব জায়েজ। কেউ টাকার বৈধতা নিয়ে টুঁ শব্দ করবে না, এমনকি আদালতে নালিশও করতে পারবে না।” তবে নিতান্ত বোকা না হলে মানুষ কোন দুঃখে সাদা টাকার পেছনে ছুটবে? তাই তথাকথিত ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ’ ঘোষণার আগে প্রয়োজন ‘দুর্নীতির রক্ষাকবচ’ ধ্বংস করা। আর কোনও সন্দেহ নেই সে রক্ষাকবচ হলঃ “Martial Law Regulation No- VI of 1976” রূপকথার রাক্ষসের প্রাণভোমরা বেঁচে থাকতে যেমন রাক্ষসের ধ্বংস নেই, সংসদের অনুপস্থিতিতে সামরিক ফরমানের এক খোঁচায় করা এই কালো আইনটি টিকে থাকলেও দুর্নীতি নামক রাক্ষসের মৃত্যু নেই।

আমাদের সংবিধানের ৭ (১) ধারা যে বলেঃ “প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগন”। এটি যে কেবল কেতাবি কথা নয় তা কিন্তু গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারিতে বেশ বোঝা গেছে। আমরা একবার কিন্তু পেরেছি। তাহলে আবার কেন পারবনা, বলুন তো? আমাদের যে পারতেই হবে। নিশ্চয় ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ এও আমাদের “হ্যাপ্পি বার্থডে টু ইউ, দুর্নীতি” বলতে হবেনা। শাহবাগ প্রজন্মের কাছে এইটুকু আশা তো করতেই পারি। সহসচল রায়হান আবীর গতকাল বলছিলঃ “এককথায় শাহবাগের বাস্তবতা এটিই যে গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে কাদের মোল্লা উদ্ধত আঙুল উঁচিয়ে জীবিত ছিল, এই ৫ ফেব্রুয়ারিতে নেই।” আমরা সকলে আন্তরিকভাবে চাইলে নিশ্চয় দুর্নীতির আঙ্গুলদুটোও ঘ্যাচাং করে কেটে দিতে পারি। আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি নিশ্চয় আমরা আয়েশ করে ছাগুর কাচ্চি সমেত দুর্নীতির কুলখানি উপভোগ করব। মান্না-সালওয়া কিন্তু আকাশ থেকে ঝরে পড়বে না, সে আয়োজন করতে হবে আমাদের সবাইকে মিলেই। আর সেজন্যইঃ বাঁচতে হলে- জানতে হবে, জানাতে হবে। কালোকে সাদায় বদলে দেবার দিন শেষ- আসুন জোরসে বলি।


মন্তব্য

তানিম এহসান এর ছবি

একদম জানা ছিল না। আপনাকে ধন্যবাদ।

কালোকে সাদায় বদলে দেবার দিন শেষ- আসুন জোরসে বলি। কেন যেন মনে হয় হয়ে যাবে, আর কিছুদিন।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আয়নামতি এর ছবি

কস্কি মমিন!
কেমন কথা হলো? কোথায় সাধুবাদ জানাবেন না ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও এর হল্লা শুরু করেছেন।
দেখান না এমন আইনসিদ্ধ দুর্নীতির ব্যবস্হা পিতিবির আর দু'দশটা দেশে আছে কিনা!
এমন হিড়িম্বা আইনের কথা আমারও জানা ছিল না। অনেক ধন্যবাদ জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করায় হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আরেব্বাস দুর্নীতির হ্যাপি বাড্ডের কথা জানা ছিলনা ত। তা শুধু জানালেই চলবে বলি কেক্কুক কই?? চোখ টিপি শয়তানী হাসি

কালোকে সাদায় বদলে দেবার দিন শেষ- আসুন জোরসে বলি।

চলুক হয়!!!

এই বিষয়টা একদম জানা ছিলনা।
লেখা ভাল লেগেছে সাক্ষী দাদা। হাসি

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক গবেষণা করে, রেফরেন্স ঘেঁটে এমন একটা লেখা দেবার জন্য ধন্যবাদ।
ছোটবেল থেকে শুনে আসা 'কালো টাকা-সাদা টাকা' শুনতে 'হিং টিং ছট' এর মতই লাগত। কি এক মন্তর আছে যেটা দিয়ে নাকি ধুলাবালিকে -পোলাউ-কোর্মা বানিয়ে ফেলা যাচ্ছে!

শুভেচ্ছা হাসি

[মেঘলা মানুষ]

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মন মাঝি এর ছবি

আইনকানুন খুব ভাল একটা বুঝি না। তবে যদ্দুর জানি 'অপ্রদর্শিত' টাকা মানে তা অবৈধভাবে পাওয়া বা উপার্জিত টাকা নয় বা তা অবধারিতভাবে "ঘুষ, চুরি, ডাকাতি, তহবিল তছরুপ, রাহাজানি" বা অন্য কোন দূর্নীতির প্রমান নয়। অপ্রদর্শিত অর্থ সম্পূর্ণ সৎ ও বৈধভাবেই উপার্জিত হতে পারে, হতে পারে বুদ্ধিবৃত্তিমূলক ও কায়িক- সকল প্রকার শ্রমসৃষ্টিধর্মী প্রয়াসের ফসল। হয়েও থাকে বহু ক্ষেত্রে। করযোগ্য আয় রিটার্নে প্রদর্শন ও তার উপর কর পরিশোধ না করাটা বেআইনি ও দণ্ড বা জরিমানাযোগ্য হতে পারে (নিয়মিতভাবে প্রযোজ্য করের চেয়ে কিছু বেশি), কিন্তু তাতে করে ঐ আয় নিজে বাধ্যতামূলকভাবে দূর্নীতিমূলক ভাবে উপার্জিত বলে প্রমাণিত হয় না। ঐ প্রকাশ না করা ও কর না দেয়াটাই শুধুমাত্র এখানে অবৈধ কর্ম - আয়টা সবসময় তা নয়, এবং এইটুকু কৃত অবৈধ কর্মের জন্যই নির্ধারিত জরিমানারূপী দণ্ডভোগের মাধ্যমেই এর সংশোধন সম্ভব - সেজন্যে সৎপথে উপার্জিত অর্থ কেন অসদুপায়ে উপার্জিত হয়ে যাবে বা ঘুষ, চুরি, ডাকাতি, তহবিল তছরুপ, রাহাজানি ইত্যাদির সমতূল্য দূর্নীতি বলে গণ্য হবে? তা যদি না হয়, তাহলে "১০০ টাকার ১০০ টাকাই" কেড়ে নেয়াটাও কি একরকম ক্ষমতা-মদমত্ত রাষ্ট্রীয় রাহাজানি হয়ে যাবে না? হবে না কি আপনার উল্লেখিত সংবিধানের এই ধারার - "এবং যেখানে বুদ্ধিবৃত্তিমূলক ও কায়িক- সকল প্রকার শ্রম সৃষ্টিধর্মী প্রয়াসের ও মানবিক ব্যাক্তিত্বের পূর্ণতর অভিব্যাক্তিতে পরিণত হইবে" লঙ্ঘন?

যাজ্ঞে, ভালভাবে না জেনেই কিছু প্রশ্ন করলাম। ভুল হলে বিষয়টা বুঝিয়ে দিলে খুশি হব।

****************************************

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কিঞ্চিত আমিষুলপনা করলাম। দেখেন কিছু বোঝা যায় কিনা।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- পাণ্ডব'দা

একটা বেআইনী ব্যাপারকে জরিমানা আদায়ের মাধ্যমে বৈধতা দিয়ে জাতীয় নৈতিকতার মান নামিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং সৎ নাগরিকদের অবমাননা করা হচ্ছে। গত বছরের বাজেটে বলা হয়েছিলো বৈধ ব্যবসায়ের কর ফাঁকি দেয়া আয়কে সাদা করা যাবে, অবৈধ ব্যবসায়ের নয়। আপাত দৃষ্টিতে এটিকে মন্দের ভালো মনে হলেও ব্যাপারটার নৈতিকতার মান একই প্রকার নীচ থেকে যাচ্ছে। তাছাড়া উচ্চ আমদানী শুল্ক-কর (৯০% আমদানী শুল্ক-করও আছে) ফাঁকি দেয়া আয় ২৫%-৩০% জরিমানা (কর) দিয়ে সাদা করলেও সরকারের রাজস্ব ক্ষতি কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। পুঁজি বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মাত্র ১০% কর দিয়ে টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে, যেখানে একজন বৈধ আয়ের মানুষকে ২৫% পর্যন্ত আয়কর দিতে হয়। এই ধরনের ব্যবস্থা রাষ্ট্রের রাজস্ব আয়েরই শুধু ক্ষতি করেনা নৈতিকতা ও আইন মানার প্রবনতাকে ধ্বংস করে সাধারণ মানুষকে অপরাধপ্রবন করে তোলে।

এটুকুই আসল কথা চলুক চলুক চলুক

মাঝি ভাই, অবশ্য়ই ঘুষ, চুরি, ডাকাতি, তহবিল তছরুপ, রাহাজানি ছড়ও অপ্রদর্শিত' টাকা আছে, তবে সেটার উতস দেখিয়ে হালাল করার নতুন আইন করা যেতে পারে, যেখানে আদালত ঠুটো জগন্নাথ থাকবে না, সেজন্য়ই আইন জানা লোকেদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

অট্ঃ এক উন্মুক্ত সেমিনারে ড্ঃ কামাল হোসেনকে একবার এই সংবিধানের ঐ ধারা দুটো উদ্ধ্ররিত করে কালো টাকার আইনটির ব্য়াপারে মন্তব্য় জানতে চেয়েছিলাম, উনি উত্তর এড়ইয়ে গেছিলেন। শেষে সবাই চেপে ধরায় বলেন্ঃ কেউ রিট করতে চাইলে উনি আইন্জীবী হতে রাজি। কিন্তু সোজা উত্তর পাইনি মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

৫ তারা! চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

মাসুদ সজীব

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্পর্শ এর ছবি

চলুক
আইন কানুন সব ইংরেজীতে লেখা নাকি!!! ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-
সামরিক শাসনামলের কোন আইনের বাঙলা ভাষ্য় পাইনি কখনো মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

চলুক

সাক্ষী তো আছেই - কাঠগড়ায় তুলে দাও ব্যাটা দুর্নীতিকে!!

____________________________

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এত্ত কথা বলেন কেন ?

“প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগন”।

চলুক

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমম...
তবে যে চীনেম্যানেরা বলে "বন্দুকের নলই সকল ক্ষমতার উৎস" খাইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মনজুর এলাহী এর ছবি

যতদুর জানতাম, মার্শাল 'ল জারি করার সময় সংবিধান স্থগিত করা হয়। তার মানে সংবিধানের বিধি-নিষেধ মার্শাল ল বলবৎ থাকা অবস্থায় কার্যকর হবে না।

আমার জানার পরিসর অবশ্য সীমিত, ভুল হতে পারে।

---- মনজুর এলাহী ----

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ঠিকই জানতেন... কিন্তু পাপ নাকি বাপকেও ছাড়ে না... মহামান্য হাইকোর্ট কদিন আগে মার্শাল ল এর সংশ্লিষ্ট সংশোধনী গুলা বাতিল করে দিয়েছেন... আর খুশির খবরঃ বর্তমান সংবিধানে (পঞ্চদশ সংশোধনীর পরে) মার্শাল ল জারি বা সংবিধান স্থগিত করার আর কোনও সুযোগ নেই হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।