[ সম্প্রতি জারীকৃত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রকাশিত হবার আগে থেকেই সম্প্রচার জগতের মাফিয়াবৃন্দ এবং টকশোজীবী (ভদ্র ভাষায় টকমারানী) সুশীলেরা “হা-রে-রে-রে-রে-রে আমায় ছেড়ে দে রে দে রে” বলে যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তা চিন্তার দাবি রাখে। সম্প্রচার নীতিমালা জনগনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলেও আলস্যপ্রিয় জনতার মঙ্গলার্থেই এটির পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ আশু প্রয়োজন। তা নইলে মিডিয়া সমর্থিত প্রবল প্রোপ্যাগান্ডার তোড়ে সত্য হারিয়ে যাবার অথবা বদলে যাবার আশংকা থাকে। এই প্রেক্ষিতে এটি একটি অসমাপ্ত (বিস্তৃত অর্থে চলমান) আলোচনা প্রচেষ্টা। মন্তব্য অংশে প্রয়োজনীয় সংযোজন/বিয়োজন/পরামর্শ/সমালোচনা লেখকের একান্ত কাম্য। ]
কোন ভূমিকার বাহুল্য না করে সরাসরি কাজের কথায় চলে যাই। কেউ জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ এর পূর্ণরূপ দেখতে চাইলে এখানে টিপি দিয়া ডাউনলোডান। আর আমি আলোচনার সুবিধার্থে ছবি দিয়ে দিচ্ছি, আশা করি কোনও সমস্যা হবে না।
প্রথমেই পটভূমি শীর্ষক অংশে পরিষ্কার ভাবেই অংশীজনদের সাথে আলোচনার কথা বলা হয়েছে। অতএব, বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘একতরফা’ বা ‘চাপিয়ে দেয়া’ বলে যে বিষেদাগার চলছে তা পুরোটাই মিথ্যাচার। কারও যদি আলোচনা হয়নি বলে মনে হয়ে থাকে তবে সাক্ষী-প্রমাণ যোগাড় করে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। বড় গলা করে চেঁচানোর দরকার পরে না।
ধারা ১.২.৮ ও ১.২.৮ এ দ্বিমতের কিছু দেখছি না। ধারা ১.২.১০ এর ‘পরিবীক্ষণ’ নিয়ে মিডিয়াগুলোতে অ্যালার্জি আছে। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে অতি অবশ্যই এটির প্রয়োজন আছে। শাপলা চত্বর, কাবা শরিফের গিলাফ, বাবরী মসজিদ, নির্বাচনপূর্ব প্রথম আলো এসব আপাত বিচ্ছিন্ন খণ্ড খণ্ড চিত্র আমরা ভুলে যাইনি।
ধারা ১.২.১২ ও ১.২.১৩ তে উল্লিখিত দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রসঙ্গেও আগের অনুচ্ছেদের কথাগুলোই প্রযোজ্য। বর্তমানে (আসলে বরাবরই) এই তিনটি জিনিসের প্রকট অভাব ছিল এই সেক্টরে। আগে মিডিয়ার সংখ্যা কম থাকায় হয়তো চোখে পড়ে নি কিংবা ব্যাপক অর্থে ক্ষতিকর হয়ে ওঠেনি।
উল্লেখ্য, এখনও কোনও ‘আইন ও বিধি’ প্রণীতই হয়নি। এক্ষেত্রেও অংশীজনের পরামর্শ গ্রহনের কথা লিপিবদ্ধ হয়েছে। একারণে অনেকের অকারণ অত্যুৎসাহ ঠাকুরঘরের কথা মনে করিয়ে দেয়।
ধারা ৩.১.১ এর (ক) তে উল্লিখিত ‘তথ্যের বস্তুনিষ্ঠটা’ অনেকেরই গাত্রদাহের কারন হচ্ছে। কিন্তু এই ধারাটি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিৎ। উপধারা (খ) তে উল্লিখিত ‘নৈতিকতা ও নিরপেক্ষতা’ এর স্বরূপ আপাতত বোধগম্য নয়। বিধিমালায় এর বিস্তারিত ব্যখ্যা থাকা বাঞ্ছনীয়। উপধারা (গ) তে উল্লিখিত ‘দায়িত্বশীলতা’ কথাটিও ব্যাখ্যার দাবিদার। তবে এই ধারা থাকলে অত্যুৎসাহী/আগ্রাসী সাংবাদিকগণ ‘কবরে নেমে’ স্টান্টবাজি করবার আগে কিংবা স্বজনহারা/দুর্ঘটনা কবলিত মানুষের মুখের কাছে বুম ধরে হাস্যোজ্জ্বল মুখে ‘অনুভূতি’ জিজ্ঞাসা করবার আগে দু’বার ভাববেন আশা করি।
ধারা ৩.২.১ এর সঙ্গে দ্বিমত নেই। ধারা ৩.২.১ এর দাগ দেয়া অংশের সঙ্গে সুতীব্র সহমত। (গতকাল কোনও এক আকাশী চ্যানেলে দেখলুম এক বিখ্যাত টকশোজীবি গোস্বাভরে টেবিল থাপড়ে বললেন “হোয়াট দ্য হেল ইজ অসত্য তথ? আমরা বাকস্বাধীনতা চাই”। গোস্বার কারণ বুঝলাম না, সত্য কথা বললেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। টকশোজীবিরা সেটা চান না কেন?) পরের বাক্যটি বুঝিনি, কেউ কি বুঝিয়ে বলবেন? সকল পক্ষকে উপস্থিত করার দায়টা কার?
ওয়াও! ডিয়াড় লিসেনাররর্স। ধারা ৩.৪.৪ দেখে যারপরনাই হ্যাপ্পি হয়েছি। হোয়াট এবাউট ইউ? আশা করি বাংলিশ আড়ড়জে গিরির দিন শেষ। ধারা ৩.৪.৫ এর সঙ্গে একেবারেই একমত নই। ‘ধর্মীয় অনুভূতি’ নামের বায়বীয় বস্তুটি কিভাবে সংজ্ঞায়িত হয় তা দেখার অপেক্ষায় আছি। দুর্বল/অস্পষ্ট সংজ্ঞা দেয়া হলে এই ধারাটিই সম্প্রচার নীতিমালার “একিলিসের গোড়ালি” হয়ে দাঁড়াবে।
৩.৬.৩-৩.৬.৬ এই সবকটি ধারার সঙ্গেই একমত। তবে ৩.৬.৪ এ উল্লিখিত ‘পরিহাস’ এর মাত্রা পরিমাপ করা হবে কি ভাবে তা বোধগম্য নয়।
ধর্মীয় হোক কিংবা রাজনৈতিক ‘অনুভূতির’ সংজ্ঞায়ন ও পরিমাপন হবে কিভাবে তা বোধগম্য নয়। (মজার ব্যাপার হল, এই ধারা গুলো নিয়ে টকশোজীবিদের মাথাব্যাথা দেখিনি!)
ধারা ৪.২.১ এর সঙ্গে একমত, তবে সম্পূরক আশা বিএসটিআই কে আরো শক্তিশালী করা হবে। ৪.২.২ এর ভাষ্য মোতাবেক ‘পণ্যের তুলনা না করে’ কিভাবে বিজ্ঞাপন করা যায় এটা ঠিক বোধগম্য হল না। তবে দাগ দেয়া অংশটুকু বাস্তবায়ন হলে আশা করা যায় রবি কর্তৃক প্রচারিত ‘৩.৫ জি’ এবং ‘পথশিশুদের জামা’ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনগুলোকে আইনের আওতায় আনা যাবে। একইভাবে আইনের আওতায় আনা যাবে, সাইফুর’স কোচিং সেন্টারের অসংখ্য বিজ্ঞাপনকে। ৪.২.৩ এর ভাষ্যমতে অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করা হলে অনেক ভাল অনুষ্ঠানও স্পন্সরের অভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ধারা ৪.২.৫ এর সঙ্গে তীব্রভাবে একমত। তবে গানের অংশ/সুরের সঙ্গে অন্যান্য জিনিস যেমন কার্টুন/ছবি এগুলোও যোগ করা উচিৎ। তারেক-মিশুক এক্সিডেন্ট করার পর সুজন্দার কার্টুন নিয়ে কালের কণ্ঠের চোট্টামি ভুলি নাই কিন্তু। ৪.২.৬ এর সাথেও একমত।
ধারা ৪.৩.১ এর দাগ দেয়া অংশটুকু নিয়ে একটু দ্বিধান্বিত। ‘দুনিয়া কাঁপানো তিরিশ মিনিট’ এর মত কর্পোরেট ভণ্ডামি আবার দেখতে চাই না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের আবেগটুকু ঘিরে অনেক সুন্দর ও সৃষ্টিশীল বিজ্ঞাপনও ইতোপুর্বে নির্মিত হয়েছে, এই ধারাটা বন্ধ হোক তাও চাই না। একটা ভারসাম্য প্রয়োজন। ধারা ৪.৩.২ এর সঙ্গে একমত।
ধারা ৪.৩.৪ এর সঙ্গেও সহমত। আশা করি ফেয়ার এন্ড লাভলী’র কুরুচিপূর্ণ বিজ্ঞাপন গুলো বন্ধ হবে। ধারা ৪.৩.৫ এর অবস্থাও ‘অনুভূতিপ্রবণ’, শালীনতার সংজ্ঞা জানতে চাই।
৪.৪.২ এর সাথেও একমত। এই ধারার সাথে যায় এমন একটা বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম, এখন মনে পড়ছে না। ৪.৪.৩ এর সাথেও দ্বিমত পোষণ করার কোনও কারণ দেখি না। ৪.৪.৪ এর ‘স্বাস্থ্যগত প্রভাব’ যাচাই করা হবে কিভাবে বুঝিনাই। এইটা কি সিগ্রেটের প্যাকেটের মতন কিছু?
ধারা ৪.৫.২ এর সঙ্গে আংশিক একমত। এর কড়াকড়িতে যেন ‘বৈজ্ঞানিক পরিভাষা, উদ্ধৃতি ও পরিসংখ্যান’ এর সৃষ্টিশীল ব্যাবহার হ্রাস না পায় সেটাও মাথায় রাখা উচিৎ। ধারা ৪.৫.৩ এর সঙ্গেও একমত। (খ) কিংবা (গ) উপধারার মাধ্যমে কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন বন্ধ করা যায় কিনা জানতে আমি আগ্রহী।
ধারা ৫.১.১-৫.১.৪ এর সঙ্গে মোটামুটি একমত। তন্মধ্যে বিশেষভাবে ৫.১.২ আমাকে আশান্বিত করে। তবে আমি এটুকুও আশা করতে চাই যে রাষ্ট্র ‘সম্ভাব্য সকল পক্ষ’ কে এই ধারার আওতায় সমান ভাবে বিচার করবে, নতুবা এটি ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের’ নির্মম অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। ধারা ৫.১.৫ এ ‘কটাক্ষ বা বিদ্রুপ’ নিয়ে দ্বিমত নেই, কিন্তু ‘পেশাগত ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে পারে’ শব্দবন্ধটুকু পুনর্লিখনের দাবি রাখে। নইলে এই অংশের তীব্র অপব্যবহার হতে পারে ভেবে শঙ্কিত হচ্ছি।
ধারা ৫.১.৬ এর প্রথম শব্দযুগল বোধহয় যুগের বাস্তবতা। কিন্তু এই ধারার পরবর্তী অংশে ‘করতে পারে’ শব্দবন্ধটির উপর্যুপরি ব্যাবহার যৌক্তিক একটি বাক্যকে দুর্বলই করে তুলেছে।
ধারা ৫.১.৯ ও ৫.১.১১ এর ‘হতে পারে/করতে পারে’ শব্দযুগলকে প্রতিস্থাপনযোগ্য ভালো কোন শব্দ প্রয়োজন, ভাবের সঙ্গে দ্বিমত নেই। ধারা ৫.১.১০ এর কড়াকড়ি প্রয়োগ দেখতে চাই।
ধারা ৬.১.১ বলছে এখনও ‘সম্প্রচার কমিশন’ গঠিত হয়নি কিন্তু। ৬.১.৩ নিয়ে আশাবাদী, এই প্রথম জনগণের কাছে জবাবদিহিতার একটা জায়গা হচ্ছে। কাজীর গরু কেতাবে থাকবে না গোয়ালে তা কেবল ভবিষ্যতই বলতে পারে। তবে এতদিন কাজীই ছিল না, গরু-কেতাব-গোয়াল তো অনেক পরের কথা।
এখানে (ঘ) উপধারা দেখে তেমন ভয়াবহ কিছু মনে হচ্ছে না। কমিশনের হাতে ‘কিছু বিচারিক ক্ষমতা’ থাকলে ক্ষতি ছিল না। এখন কমিশন>সরকার>আদালত এমন দির্ঘসূত্রীতার আশংকা থেকে যাচ্ছে।
বারবারই তো ‘অংশীজনদের’ কথা আসছে, মিডিয়া এই অংশটুকু চেপে যাচ্ছে কেন? ইচ্ছাকৃত কি?
ধারা ৬.২.১ এ ‘অধিকার ক্ষুণ্ণ’ হবার পাশাপাশি ‘আইন ভঙ্গের’ সুযোগটিও রাখা যেত। সেটি একতরফা ‘কমিশন’ এর হাত না যাওয়াই ভাল। ধারা ৬.২.৩ মোতাবেক কোনও “শাস্তি নির্ধারণ” এখনও করা হয় নি, কারণ আইনটিই হয়নি। কিন্তু শাস্তি যেন অপরাধের গুরুত্ব মোতাবেক হয় এজন্য সকলকে সজাগ সচেতন থাকা উচিৎ। নইলে ‘গরু মেরে জুতা দান’ মার্কা শাস্তি নির্ধারিত হলে তা আখেরে ক্ষতিকর হবে।
ধারা ৭.১ নিয়ে কোনও মন্তব্য নেই।
ধারা ৭.৪ নিয়েও পূনর্বিবেচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি। ধারা ৭.৫ একটি অস্থায়ী ব্যাবস্থা, মন্তব্য করছি না।
সংবিধানের ধারা-৩৯ পুরোটাই তুলে দিলাম। ‘সম্প্রচার নীতিমালা’ এখানে উল্লিখিত ‘আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ’ বিধায় টকশোজীবিদের ‘বাকস্বাধীনতা হরণ’ এবং ‘সংবিধানের সঙ্গে সাঙ্ঘর্ষিক’ মতবাদ সত্যের সুনিপুণ অপলাপ বই আর কিছু নয়।
পাদটিকাঃ
সম্প্রচার নীতিমালা সঠিকভাবে কার্যকর হলে বদলে দেবার কাণ্ডারি ‘প্রথম আলো’ সহজেই বদলে দেবার সুযোগ হারাবে তা বলাই বাহুল্য। প্রোপ্যাগান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়েছে কিন্তু বেশ জোরেশোরেই।
৮ আগস্ট প্রকাশিত ‘নিয়ন্ত্রণমূলক সম্প্রচার নীতিমালা’ শীর্ষক প্রবন্ধে লেখিকা বলেনঃ “সরকারের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু সম্প্রচার করা যাবে না, বিজ্ঞাপনও নয়।” নীতিমালা ঘেঁটে এমন কিছু পাইনি। আরো বলা হয়েছেঃ “প্রচারমাধ্যমগুলোর জন্য ‘পরিচালনা বিধি’ প্রণয়ন করবে এই কমিশন, একই সঙ্গে এই নীতিমালা ভঙ্গ করলে কী শাস্তি প্রযোজ্য হবে তাও নির্ধারণ করবে এই কমিশন।” এই কথাটুকুও সত্য নয়।
১৩ আগস্ট প্রকাশিত ‘কমিশন নয়, মিডিয়া কাউন্সিল হোক’ শীর্ষক প্রবন্ধে লেখক বলেনঃ “সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে ডামাডোলের মধ্যে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংক মামলায় সরকারের পক্ষে রায় দিয়ে বিচারপতি মমতাজউদ্দীন আহমেদ মিডিয়ায় আলোচিত হয়েছিলেন।” আইন যদি পীরের পক্ষে না যায় তাহলে হাকিম ‘আলোচিত (মতান্তরে বিতর্কিত)’ হয়ে যান কি? এরপরঃ “সশস্ত্র বাহিনীর মর্যাদা রক্ষার বর্তমান আওয়ামী আকুতি একটি অভিনব পাকিস্তানি ব্যাধি। তফাত হলো পাকিস্তান লিখেছে সংবিধানে। হাসানুল হক ইনু লিখলেন নীতির ভূর্জপত্রে।” কি বলব একে! ভুতের মুখে রাম নাম? সবশেষে নিবন্ধকার লিখেছেনঃ “আমি মনে করি, বাংলাদেশে সেলফ রেগুলেশন থাকবে। আবার একটি সরকারি নজরদারিও থাকবে।” মানে কি দাঁড়াল? লম্বা করে খাটো মত? এরপর এসেছেঃ “সে জন্য প্রেস কাউন্সিলের কাঠামো ও তার ক্ষমতার বিন্যাস বদলানো যায়। সরকার একে অকার্যকর করে রাখছে। কারণ, তারা যখন যাকে শাস্তি দিতে হয়, তা বিভিন্ন উপায়ে দিয়ে চলছে। তাদের আটকানো যাচ্ছে না। আটকাতে হলে মিডিয়া মোগলদেরই সক্রিয় হতে হবে। স্বশাসনের সামর্থ্য তাঁদের আছে, তার প্রমাণ দিতে হবে। নইলে আক্ষেপ করা বৃথা। এটা সুখকর যে বর্তমানের বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের ১৪ সদস্যের মধ্যে নয়জনই আসতে পারছে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে।” শাস্তি যদি প্রাপ্য হয়ে থাকে তবে তা যেকোনো উপায়ে আটকাতে হবে কেন? ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। তিনি একবার বলছেন প্রেস কাউন্সিল অকার্যকর (লেখকের মতে দায়ী সরকার) আরেকবার বলছেন তার ১৪ সদস্যের ৯ জনই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাহলে কি কালা মে কুছ ডাল হ্যায়? আমি বিভ্রান্ত। তবে ‘মিডিয়া মোগলদের সক্রিয়’ হবার আহবানটা আমার সাদা চোখে ‘হুমকি’ বলেই মনে হয়েছে, আপনার কি মনে হয়?
মন্তব্য
আজকে মুহম্মদ জাহাঙ্গীরের একটা লেখা আছে,
ওটাও পাদটীকায় জুড়ে দিতে হবে, চা খেয়ে এসে দিচ্ছি।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
চ্যানেল আইয়ে ১২ আগস্টে প্রচারিত "তৃতীয় মাত্রা" অনুষ্ঠানটার এই পর্বটা মনোযোগ দিয়ে দেখলে অনেক কিছু পরিষ্কার হবে আশা করি। অনুষ্ঠানটা দেখার আগে বা পরে উপ্রে লেখকের দেয়া 'জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার" মূল পিডিয়েফটা ডাউনলোড করে পড়ে নিয়ে তার সাথে মিলিয়ে দেখতে পারলে আরও ভাল হয়। এই পর্বে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু স্বয়ং 'ডেইলি স্টার' পত্রিকার সম্পাদক জনাব মাহফুজ আনামের প্রশ্ন, জেরা, সমালোচনা, সন্দেহ, অবিশ্বাস আর আক্রমণের তোড়ের মুখে 'জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার' ব্যাখ্যা ও ডিফেন্স করেছেন। তাদের এই বিতর্ক মনোযোগের দাবী রাখে। মিডিয়া মোগল প্রতিনিধি জনাব আনামের বাক্জাগ্লারি বা বাক্রোবেটিক্সও এই অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ আকর্ষন!
সঞ্চালকঃ জিল্লুর রহমান
অতিথিঃ মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং 'ডেইলি স্টার' পত্রিকার সম্পাদক জনাব মাহফুজ আনাম।
****************************************
ধন্যবাদ, এই পর্বটা দেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু ভুলে গেছিলাম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মিডিয়া এটাকে নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। একটা উদাহরণ দেই। এই নীতিমালা শুধুমাত্র রেডিও-টিভির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু প্রথম আলোসহ খবিশ পত্রিকাগুলো এটাকে অনেক সময়ই "সংবাদপত্র" ও "গণমাধ্যম"-এর ওপর সরকারের হামলা হিসেবে চালাচ্ছে। মির্জা ফখরুল এই কাজটা না জেনে করতে পারে; কিন্তু প্রথম আলোর নিউজ (একটা সম্পাদকীয়) পড়লেই বুঝা যায়, তারা সত্যটা জানে, তারপরও প্রোপাগান্ডা ছড়ায়।
পোস্টে ৫ তারা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রোপাগান্ডা জিনিসটা প্রথম আলোর "নীতি ও আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ" কিনা
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বলাই দা, 'অনলাইন' নামে একটা শব্দ দেখলাম। এ থেকে কি আমরা ধরতে পারি, অনলাইন পত্রিকা এই নীতিমালার আওতায়, কিন্তু কাগজের পত্রিকা আওতায় নেই?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
না। অনলাইন বলতে এখানে মাধ্যম বুঝানো হয়েছে; কিন্তু পত্রিকা না, টিভি, রেডিও। টিভি, রেডিওর অনলাইন স্ট্রিম এই নীতিমালার আওতাভুক্ত।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
চমৎকার একটা পোস্ট। এরকম বিশদ বিবরণসহ যুক্তিযুক্ত এবং বস্তনিষ্ঠ আলোচনা হওয়া দরকার। না পড়ে, না জেনে, বা আবছা আবছা জেনে গলা ফাটানো কোন কম্মের কথা নয়। তবে নীতিমালা মানার সময়ে নীতিমালার অনেক কিছুরই ইচ্ছেমতো ব্যাখ্যা করে নিয়ে কাউকে চেপে ধরা যায়। যেমন সকল অংশীজনের অংশগ্রহণের কথা বলা হলেও পা-চাটা কয়েকজনকে ডেকে চা-বিস্কুট খেয়ে সেটাকে সকল অংশীজনের অংশগ্রহণ বলে প্রচার করা যেতেই পারে!
সাক্ষী দাদার বিশ্লেষণ এবং জায়গামত মন্তব্যের সাথে পরিপূর্ণ সহমত।
"‘সম্প্রচার নীতিমালা’ এখানে উল্লিখিত ‘আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ’ বিধায় টকশোজীবিদের ‘বাকস্বাধীনতা হরণ’ এবং ‘সংবিধানের সঙ্গে সাঙ্ঘর্ষিক’ মতবাদ সত্যের সুনিপুণ অপলাপ বই আর কিছু নয়।" - এক্কেবারে সুনিপুণ সারাংশ। আমাদের "সাংঘাতিক" জগত আসলেও সত্যটা জেনেও প্রোপাগন্ডা তৈরি করছে।
____________________________
প্রোফেসর,
না জেনে, বা আবছা আবছা জেনে গলা ফাটানো লোকেদেরই দিন।
এদের টাইট দেবার জন্যই সম্প্রচার নীতিমালা'র বেশ কিছু অংশ দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি
সে আশংকা থেকে যায় তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারও যদি তেমনটা হচ্ছে বলে মনে হয়ে থাকে তবে সাক্ষী-প্রমাণ যোগাড় করে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। সেজন্যই আইনী কাঠামো হিসেবে "নীতিমালা" থাকাটা জরুরী।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বর্তমান প্রেক্ষাপটে লেখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, লিন্কডইন-এ শেয়ার করলাম। এই মন্তব্য সহ-
সদ্যপ্রণীত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালাটা না পড়েই যারা উদ্বাহু-নৃত্যে মাটি সহ চারদিক কাঁপিয়ে ফেলছেন, একটু কষ্ট করে এখানটায় ঘুরে আসবেন কি? আশা করি সময়ের অপচয় হবে না।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভূত-থেকে-ভূতে ছড়িয়ে দিন, বদল ঠেকাতে অংশ নিন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
প্রয়োজনীয় লেখা। বিদেশে কী ধরনের নীতিমালা আছে সেটার সাথে তুলনা করে দেখা যায়?
আমিও ঠিক 'অন্যান্য দেশে কী ধরনের নীতিমালা আছে' এই কথাটাই ভাবছিলাম।
এই মুহূর্তে একেবারে সময় পাচ্ছিনা ঘাঁটাঘাঁটি করার। একটু সময় পেলেই চেষ্টা করবো।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
১।
"Ofcom" (যুক্তরাজ্য)
(Independent regulator and competition authority for the UK communications industries)
(ক) সর্বশেষ অফকম সম্প্রচার নীতিমালা (কোড) --
অনলাইনঃ http://stakeholders.ofcom.org.uk/broadcasting/broadcast-codes/broadcast-code/
পিডিয়েফঃ http://stakeholders.ofcom.org.uk/binaries/broadcast/831190/broadcastingcode2011.pdf
(খ) অফকম সম্প্রচার নীতিমালা নির্দেশিকা (Ofcom Broadcasting Code Guidance) -
অনলাইনঃ http://stakeholders.ofcom.org.uk/broadcasting/guidance/programme-guidance/bguidance/
(গ) অফকম এনফোর্সমেন্টঃ http://stakeholders.ofcom.org.uk/enforcement/?a=0
(ঘ) ভোক্তাদের জন্য অফকমঃ http://consumers.ofcom.org.uk
২।
কানাডিয়ান সম্প্রচার সংবিধি ও প্রবিধিমালাঃ http://www.crtc.gc.ca/eng/statutes-lois.htm
৩।
(ক) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন্স কমিশন (এফসিসি) - http://www.fcc.gov/
(খ) এফসিসি বিধি ও প্রবিধিমালাঃ http://wireless.fcc.gov/index.htm?job=rules_and_regulations
৪।
ভারতীয় টেলিকম রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ - http://www.trai.gov.in/
৫।
আরও বিভিন্ন দেশের রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ -- http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_telecommunications_regulatory_bodies
===============================
ন্যান, এইবার গবেষণায় নেমে পড়েন। অর্ধেক কাজ আগায়া দিলাম!
****************************************
অনেক অনেক ধন্যবাদ। বাকি অর্ধেক কাজ অসমাপ্ত কাজের থলিতে ভরে রাখলাম।
ফেসবুক শেয়ারে কিছু মন্তব্য করেছিলাম। সেগুলো এই পোস্টে টুকে দেই। আমার মন্তব্যের রেফারেন্স পয়েন্ট হলো মন্ত্রী ইনু এবং মাহফুজ আনামের টকশো। প্রথম লাইনে মূল মন্তব্যের সারমর্ম।
১/ মূলঃ "আরো আউটলেট তৈরি হোক, আইন করে মিথ্যা বন্ধ করা যায় না"
আউটলেট কম থাকাটা এক সময়ের সমস্যা ছিলো, কিন্তু এখন সেই বাস্তবতা নেই। মনে তো হয় লোকের ঘরে ঘরে টিভি চ্যানেল বা পত্রিকা এখন। এই boom-টা হয়ে যাওয়ার পর কিছু রেগুলেশন অত্যাবশ্যক। আইন করে মিথ্যা বন্ধ করা না গেলেও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আইন থাকা দরকার। "কণ্ঠরোধ" একটা গুরুতর অভিযোগ, কিন্তু উপরে মন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই দেখলাম যে লাইসেন্স চুক্তি সহ বিভিন্ন আইনগত দলিল এর মধ্যেই আছে।
২/ মূলঃ "অপব্যবহারের ভয় আছে, জনপ্রতিনিধিত্বমূলক করা দরকার"
টকশো-র বক্তব্য থেকে এই ব্যাপারেও তো ভিন্ন উপাত্ত পেলাম। মন্ত্রী দেখালেন যে ১৬ জনের কমিটি এই নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে, যেখানে সাচিবিক দায়িত্ববলে ৭ জন আমলা ছিলেন, বাকি ৯ জন বাইরের লোক। মাহফুজ আনাম খুব কান্নাকাটি করলেন ৭ জন নিয়ে, কিন্তু সরকারি কমিটিতে তো বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি থাকবেনই। মন্ত্রী বললেন যে এঁরা মিটিং-এ কোনো মতামত দেন নাই, শুধু গ্রহণ করেছেন। খসড়া লিখেছেন গণযোগাযোগের ২ জন শিক্ষক। ৯ জনের মধ্যে সুপরিচিত কিছু মানুষ আছেন। এই খসড়া টিআইবি থেকে শুরু করে অনেকের কাছে পাঠানো হয়েছে, তারা আনুষ্ঠানিক ফীডব্যাক দিয়েছেন, সেটার ভিত্তিতে চূড়ান্ত নীতিমালা প্রণয়ন হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান/ব্যাক্তিই নাকি আবার মাহফুজ আনামকে জানিয়েছেন যে তাদের মতামত গ্রহণ করা হয় নাই। অথচ মন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ফীডব্যাকের কাগজ তুলে দেখালেন যে তারা কী বলেছেন, কী বিষয়ে কিছু বলেন নাই, এবং কতটা সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে।
পুরো প্রক্রিয়ার বিস্তারিত শুনার পর তো আপত্তির কারণ দেখছি না। মিডিয়ার লোকজনের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে, তাদের মতামত অনুযায়ী পরিমার্জন হয়েছে, কিন্তু সেই তথ্য না জানিয়ে শুধুই হইচই হচ্ছে এখন। হ্যাঁ, এখনও আপত্তিকর অনেক বক্তব্য/নীতি আছে। তবে সেটার দায় শুধু তো সরকারের উপর চাপানো উচিত না। রিভিউ প্রসেসে এগুলোর ব্যাপারে কেউ কিছু না বলে এখন কেঁচেগণ্ডুষ করা (মাহফুজ আনাম যেভাবে বললেন সব ফেলে একদম নতুন করে করার কথা) আবদারের পর্যায়ে পড়ে যায়।
৩/ মূলঃ "সমালোচকরা আদৌ নীতিমালা পড়েছেন কি?"
আমার কাছে একদম শুরুর দিকে দেওয়া প্রক্রিয়াগত একটা ব্যাখ্যা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। মন্ত্রী বলছিলেন যে বিভিন্ন দেশের সম্প্রচার নীতিমালা তারা পর্যালোচনা করেছেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, এবং সেটা অনুসৃত হওয়া সুলক্ষণ। তিনি আরও বলেছেন যে পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার মতো দেশের "রক্ষণশীল" নীতিমালা পরিহার করে তারা আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ভারতের মতো দেশের "উদার" নীতিমালার আলোকে তৈরির চেষ্টা করেছেন। সেই দেশগুলোতেও অনেক কড়া কড়া কথা আছে। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে সরকার তা কঠোর হাতে প্রয়োগ করেন না।
এখানে মাহফুজ আনাম দুইটা সহজ ব্যাপারে কেন এতক্ষণ ঘুরপাক খেলেন বুঝলাম না। প্রথমত, যেই দেশে বিবেক আছে সেই দেশে আইনের প্রয়োজন কম। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের কর্মী/কর্তাদের মধ্যে বিবেকের চেয়ে ট্রাইবালিজম বেশি। তাঁরা কেউ তো মাহমুদুর রহমানকে একটু বকে দিতেও পারলেন না, অথচ চাইছেন একদম laissez faire পর্যায়ের "স্বাধীনতা" থাকুক। আইন দূরে থাক, কোনো নীতিমালাও হতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, একটা নীতিমালা/গাইডলাইন তো 'আইন' না। আইনের জন্য কমিশন আছে, সেটা তৈরির প্রক্রিয়া আছে। নীতিমালার content নিয়ে অনেক গুঁতাগুঁতি করলেন, কিন্তু ওনার বক্তব্যে তুলে ধরা অংশগুলোতে এমন আহামরি কিছু তো পেলান না। মোটা দাগে এসব কথা সব দেশেই বলা থাকে। ব্লগ পোস্টে ধারাগুলো আরো বিস্তারিত ভাবে আলাপ করা। সেগুলো পড়েও তো এত বড় ইস্যু মনে হলো না।
আমাদের মিডিয়ায় সবকিছুর ওপরে কী-ওয়ার্ড হলো "পারসেপশন"। একবার পারসেপশন তৈরি করে ফেলতে পারলে তখন পারসেপশনের রেফারেন্সে অনেক কিছু করা যায়, সত্য-মিথ্যার দরকার হয় না।
যেমন, "১৬ জনের দলে অর্ধেকই সরকারী লোক" - এটা পারসেপশন তৈরি করে যে সরকারের ইচ্ছামতো নীতিমালার ধারা তৈরি হয়েছে। বিপরীতে সত্য হলো, ওই অর্ধেক (এটাও মিথ্যা, প্রকৃত সংখ্যা ৭ জন) আসলে নীতিমালার ব্যাপারে তেমন কোনো ইনপুটই দেয় নাই। এই সত্য চেপে যাওয়ার ফলে পারসেপশন পুরোপুরি সত্যের বিপরীতে অবস্থান করে।
নীতিমালার প্রক্রিয়ার ওপরে ওই পারসেপশন (মিথ্যা)-এর ওপর ভিত্তি করে মাহফুজ আনাম প্রায় পুরোটা সময় ব্যয় করেছে, বিষয়বস্তু আলোচনায় এসেছে খুব সামান্য। মূলত "কে করলো"র চাইতে নীতিমালায় "কি" আছে, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
"কে"-এর বিষয়ে তারা কোনো প্রস্তাবও দেয় নাই, আর "কি" এর বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলে নাই। তাদের সব দাবি হলো নীতিমালা বাতিল করা হোক। মানে যেমনে খবিশামি চলতেছে, তেমনেই চলতে থাকুক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বড় বড় মিডিয়া হাউজগুলির পিছনের মালিকগোষ্ঠীরা মনে হয় নানা ভাবে এদেশের রাজনীতি ও ব্যাবসা-বানিজ্যের উপর তাদের মিডিয়াস্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ ও এজেন্ডা অনুযায়ী প্রভাব বিস্তার করতে চায়, এর গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করতে চায় বা কিং-মেকার হতে চায়, দরকারমত সাবভার্সিভ বা অন্তর্ঘাতমূলক কাজকারবার করার অপশন খোলা রাখতে চায়, সরকার ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের উপর প্রয়োজনমত চাপ সৃষ্টির সুযোগ খোলা রাখতে চায়, ইত্যাদি। এগুলির সব নমুনাই আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি। সোজা কথায় এরা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা চর্চা করতে চায় মনে হয়। আল্টিমেটলি আমাদের দেশে মিডিয়াগুলি তো সবই কোন না কোন অ-মিডিয়া স্বার্থের মুখপাত্র। নীতিমালা-টালা তাই তাদের অসহ্য মনে হবেই, তা সেটা যতই ভাল হোক না কেন! দুটো প্রবাদ মনে পড়ছে - ১। জেগে জেগে ঘুমানো মানুষকে জাগানো যায় না, ও ২। চোরায় না শুনে ধর্মের কাহিনি! এইসব অলিগার্ক স্বার্থের শিখন্ডী মিডিয়াভাঁড় মাহফুজ আনামরা তাই সবকিছু বুঝেও না বুঝার ভান করে ফকফকা সহজ বিষয়কে কেন্দ্র করেও অন্তহীণ ভাবে 'ঘুরপাক' খেতে থাকবে, ত্যানা পেঁচাতে থাকবে আর পাব্লিকের চোখে ধুলা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমার শুধু তৃতীয় মাত্রার ঐ অনুষ্ঠানে মাহফুজ আনামকে দেখে মনে হচ্ছিল - বাংলাদেশ বোধহয় শেষমেশ একটা নিজস্ব জোকার নায়েক পেল!
****************************************
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অনেক ধন্যবাদ মাঝি ভাই
[ চাইল-ডাইল কিন্যা দিয়া এমনে ভাগলে হপে? এট্টূ কষ্ট কইরা রাইন্ধা খাইতে কি হয়? ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দারুণ! একটি সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় পোস্ট।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
পরিচিত সাংবাদিক বন্ধুদের পাঠিয়েছি পড়তে, কোন প্রতিক্রিয়া পেলে জানাব।
সাংবাদিকরা খুব সম্ভবত গোষ্ঠীস্বার্থ দেখে প্রতিক্রিয়া দিবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অনেক ধন্যবাদ স্যাম্ভাই অপেক্ষায় রইলাম
[ তবে বলাইদা'র আশংকার সাথে একমত ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অত্যন্ত দরকারী, প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা।
অনেক পরিশ্রমের ফসল বলে মনে হচ্ছে, প্রতি লাইন পড়ে পড়ে, দাগিয়ে, ছবি বানিয়ে পোস্ট দেয়াকে স্যালুট।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
প্রয়োজনীয় লেখা।
facebook
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দুই দিন আগে এটিএন বাংলায় আল্লামা ফারুকী এবং মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান বসেছিলেন তথ্যমন্ত্রী ইনুর সাথে সম্প্রচার নীতি নিয়ে আলোচনায় (বিরোধীতায়)। সেখানে কানাডা এবং ইংল্যান্ডের সম্প্রচার নীতিমালা পড়ে শুনিয়ে এবং বাংলাদেশের নতুন নীতিমালার ব্যাখা দিয়ে মতিউর আর আল্লামা ফারুকীর মুখ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রি। মতিউর রহমানের মতো সাম্বাাদিক আর মেথডের মাঝে কোন পার্থক্য নেই বলে বেহেয়ার মতো অনুষ্ঠান শেষ মন্তব্য জানতে চাইলে, বলে বসলো এ নীতিমালা অবৈধ, স্বাধীনতা বিরোধী। অবস্থাটা এমন যে বিচার মানি, যুক্তি মানি কিন্তু তালগাছ টা আমার। ভিড়িও লিংকটা খুঁজে পাচ্ছিনা, পেলে সংযুক্ত করে দিবো।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সম্প্রচার নীতিমালা কেমন হবে সেটা নিয়ে সর্বস্তরেই আলাপ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু একটা নীতিমালা থাকা যে কারণে জরুরি:
[ ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
Scenes: 5,
1, 2, 3,
4, 6, 7,
8, 9, 10, 11.
সিন্দবাদের দৈত্যের মত জনগনের ঘাড়ে চড়ে ক্ষমতা, হালুয়া-রুটির বা অন্য কোন অভীষ্ট ঘাটে পৌঁছুতে চাওয়া বা ছদ্মবেশী পাকিস্তানি বিষ ছড়ানোর লোকের অভাব নেই আমাদের টেলিভীষণের পর্দায়। টকশোতে এইসব সিন্দাবাদগুলারে রেগুলার দেখা যায়। এরা মনে করে এরা নিজেরা ধরা-ছোঁয়ার নাগালের বাইরে সপ্ত আকাশের উপ্রে বাস করা দেব-দেবী-মহাজ্ঞানী-সর্বজ্ঞানী। আর বাকি সবাই - আম জনতা ও দর্শক-শ্রোতারা - গরুছাগল, চাকরবাকর, অসভ্য--মূর্খ, ভোদাই শ্রেণীর প্রাণী - যারা উনারা অন-স্ক্রীন যাই হেগে-মুতে দিয়ে আসুন না কেন, সেটাই বিনাবাক্যব্যয়ে মহা পুতপবিত্রবস্তু হিসেবে গলধকরণ করতে বাধ্য থাকবে এবং সে সম্পর্কে কোনই প্রশ্ন তোলার অধিকার বা যোগ্যতা নাই তাদের। এটাই তাদের নিয়তি। তারা পাব্লিক ফিগার হয়ে কোন দায়বদ্ধতা বা জবাবদিহিতা ছাড়াই জাতীয় গণমাধ্যমে সত্যমিথ্যা-স্তুতিনিন্দা নির্বিশেষে একতরফা যা খুশি তাই বলে যাবেন, নসিহত করবেন, ওয়াজ করবেন, যার ইচ্ছা তার চোদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করবেন (অনুপস্থিত আমমানুষ সম্পর্কেও যার টিভিতে আসার সুযোগ নাই), সমাজে সহিংসতার উষ্কানি দিবেন - কিন্তু উনাদের সম্পর্কে সামান্যতম কোন প্রশ্ন করা যাবে না। করলেই মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে, ব্যক্তি-আক্রমণ হয়ে যাবে [ 3 ], বাকস্বাধীণতা হরণ হবে - যদিও একই কাজ যখন তারা স্টুডিওর নিরাপদ প্রিভিলেজড বেষ্টনীর মধ্যে বসে নিজেরা অনর্গল করে যান, তখন সেটা হয় না! এজন্যেই কোন আমদর্শক ৭১-আপনি কই ছিলেন জাতীয় অত্যন্ত ফ্যাক্ট-কেন্দ্রিক সোজা ও ন্যায়সঙ্গত প্রশ্ন করলেও [ 1 ] টিভির পর্দায় তাকে উত্তর পেতে হয় - এমনকি এক হিটলারপ্রেমী ইয়াহিয়ার দালালের স্ত্রীর কাছ থেকেও যে - বাংলাদেশের কালচার, সভ্যতা - সব অধঃপাতে গেছে [ 2 ] যার নমুনা এইরকম ধৃষ্ট প্রশ্নকারীরা। এদেরকে এবং বাংলাদেশকে শায়েস্তা করার জন্য এখন তাই এদেশে "একটা ডিক্টেটরশীপ, মানে একটা ব্রুটাল ডিক্টেটরশীপ দরকার...ব্রুটাল! ব্রুটাল! হিটলারের মত!!! [ 4 ]। বাংলাদেশের লোকের অন্য কাউকে (যেমন ইয়াহিয়া ক্যাবিনেটের কোন সদস্যকে?!) বেঈমান ডাকার অধিকার নাই কারন এদেশের বেশির ভাগ লোক নিজেরাই সর্বক্ষণ রঙ বদলায় [ 11 ]। না, মিডিয়াতে এসে পাব্লিক ফিগারের আসন দখল করে এরা অন্যদের বেঈমান বলবেন এবং 'পাব্লিকলি' সুনির্দিষ্টভাবে তাদের নাম বলার দাবী জানাবেন ও তাদের 'হিউমলিয়েট' করার চেষ্টা করবেন [ 5 ] - সেটা ব্যক্তি আক্রমণ হবে না, কিন্তু তাদের নিজেদের ব্যকগ্রাউন্ড কি জানতে চাইলেই [ 1 ] সেটা 'ব্যক্তি আক্রমণ' হয়ে যাবে, সহ্য হবে না সমালোচনা, পুরো জাতি কনডেম্ড হবে ব্রুটাল হিটলারি ডিক্টেটরশীপের জাঁতাতলে [ 4 ]।
এই সিন্দাবাদের দৈত্যদের মুখ দিয়েই বেরোয় যে সাধারণ জনগনকে জ্বলজ্যান্ত বদ্ধ বাসে পুড়ে বা অন্যকোন নৃশংসতর উপায়ে মরতেই হবে, নিরপরাধ ও অসম্পর্কিত হওয়া সত্ত্বেও তাদের পৃষ্ঠপোষক ক্ষমতাবেনিয়াদের নীতিহীণ রক্তপিপাসু ক্ষমতার লড়াইয়ের বলির পাঁঠা হতেই হবে অনন্তকাল ধরে (যতদিন না তাদের স্ব-স্ব পৃষ্ঠপোষক গোষ্ঠী ক্ষমতায় যেতে পারছে আরকি)। ঝিকে মেরে বৌকে শিখানোর মত ঝি-জিম্মী বা "আফগানিস্থানে ফেলা মার্কিন বোমায় মারা যাওয়া নিরপরাধ মানুষের মত কোল্যাটেরাল ড্যামেজ" (শ.ম.চৌ.) হওয়া ছাড়া তাদের আর কোন গতি নাই। এটাই স্বাভাবিক। এটাই তাদের নিয়তি। কিছুই করার নেই। এটাই গণতন্ত্র! -- মনুষ্যত্বের চূড়ান্ত অবমাননাকারী, নির্মম-বিভৎস-পৈশাচিক এইসব কথাবার্তা এতদিন মুখ ফস্কে গুন্ডা-পাণ্ডা রাজনীতিবিদদের মুখ দিয়ে বেরুত। এখন দেখছি মিডিয়ার টকশোতে অতি-উচ্চশিক্ষিত ঢাবির শিক্ষকদের মুখ দিয়েও এইরকম সহিংসতার উষ্কানিমূলক প্রচার ও জয়ডঙ্কা বাজছে। এই তাদের গণতন্ত্রপনা!!
এইসব উম্মাদ দৈত্যদের ছড়ানো বিষবাস্প রোধের জন্যেও উপযুক্ত সম্প্রচারনীতি দরকার।
****************************************
ছিঃ মাঝিভাই, এভাবে কেউ মানী লোকের ছিদ্রান্বেষণ করে?
এভাবে প্রমাণের মুখোমুখি হতেই তো তেনাদের যত গোস্বা,
আজ দুটো টকশো দেখে ফেললুম... ভাষা/ভঙ্গী অন্য রকম!
টকমারানীরদের মেপে কথা বলা দেখে বোঝা যায় দিন বদলাইছে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ইশশ এই মহিলার ছাত্রছাত্রী কারা! তাদের জন্য সহানুভূতি থাকলো।
তিনি নিজে যে এত বড় বড় কথা বলে গেলেন শেষটায় চেয়ার ছেড়ে উঠে গিয়ে খুব শিষ্টাচার দেখালেন না???
বলিহারি শিক্ষা। ওমন শিক্ষার মুখে ছাই(অদৃশ্য- কারণ এইখানে ছাই কই পামু )
হিহিহি দারুণ মজারু কিন্তু মাঝিভাই
মজার আর কি দেখছেন! এখানে তো অনুষ্ঠানের মাত্র শেষ ১৪ মিনিটের কিছু বাছাই করা অংশ, এর আগের দুই-তৃতীয়াংশে এর চেয়েও অনেক পিলে চমকানো মজাদার কথাবার্তা ছিল। ঐ অংশ নেটে খুঁজে পেলাম না!
****************************************
নাহ্ সাক্ষীদা, মানী লোকের মান আসলেই ঠিক মত রাখতে পারলাম না। এখানে স্রেফ শেষ ১৪ মিনিটের বাছাই করা অংশ। এর আগে মনে হয় আরও প্রায় আধা ঘন্টা ছিল, কিন্তু নেটে কোথাও খুঁজে পেলাম না! ঐখানে আরও অনেক গা-শিউরানো সম্মানজনক বিষয়বস্তু ছিল!
****************************************
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
রামছাগলটাকে পানিতে ফেলে দিলে ভালো হতো।
এত্তগুলা পানি ময়লা করা কি ঠিক হবে?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নীতিমালার পটভূমিতে পেলামঃ
১। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে সারা বিশ্বে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রচারিত সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানসমূহের অনুষ্ঠানমালা এখন বাংলাদেশেও প্রচারিত হচ্ছে। আধুনিক বিশ্বের সম্প্রচার মাধ্যমসমূহ নিজস্ব প্রযোজনার বাইরেও বেসরকারি ও সৃজনশীল ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্মিত অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যাবস্থা নিয়ে থাকে। এতে করে সম্প্রচার মাধ্যমস্মূহে প্রযোজিত ও বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত অনুষ্ঠানের মাঝে সৃজনশীল এবং নান্দনিক অনুষ্ঠানের সুস্থ প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। (প্রথম প্যারাগ্রাফ, ২য় লাইন)
২। নীতিমালার শেষ প্যারাতে নীতিমালার আওতা সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ অডিও, ভিডিও এবং অডিও-ভিজ্যুয়াল তথ্য উপকরণ (কনটেন্ট) যথাঃ অনুষ্ঠান, সংবাদ, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি টেরেস্ট্রিয়াল প্রেরক যন্ত্র, তার (ক্যাবল), ভূ-উপগ্রহ অথবা অন্য কোন উপায়ে তরংগ ব্যবহারের মাধ্যমে সর্বসাধারণের কাছে একই সাথে ছড়িয়ে দেয়া হয়; যা রেডিও, টেলিভিশন অথবা একই ধরনের অন্য কোন ইলেক্ট্রোনিক গ্রাহকযন্ত্রের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়। টেরেস্ট্রিয়াল, ভূ-উপগ্রহ, কেবল নেটওয়ার্ক, অনলাইন ইত্যাদি যে মাধ্যমেই সম্প্রচারিত হোক না কেন টেলিভিষন ও বেতারের অনুষ্ঠান, সনফবাদ ও বিজ্ঞাপনের কনটেন্টের ক্ষেত্রে সম্প্রচার নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
পটভূমি মাথায় রেখে পুরাটা পড়লাম। পড়ে বুঝলাম বাংলাদেশে সম্প্রচারিত বিদেশীচ্যানেলগুলার বা তাদের প্রচারিত কনটেন্টের উপর বাংলাদেশ সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ ছিল না, কিন্তু এখন থেকে থাকবে। সেইসাথে দেশী চ্যানেলগুলাও বাটে পড়ছে - ইচ্ছামত নিউজ করে দিয়ে বা অন্য চ্যানেলের কনটেন্ট বেমালুম প্রচার করে দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। ধরলাম এই নীতিমালা প্রয়োগের ফলে সব ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হয়ে গেলো - খুব একটা খারাপ হয় না ব্যাপারটা।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নিয়ন্ত্রণ লইয়া এত চুল্কানি ক্যান? মাহফুজ আনাম আপনারে পাইলে বাইন্ধা পিটা দিবে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হ, জন্ম বাদে সব নিয়ন্ত্রণই ওদের কাছে খারাপ, তাই তারা আর কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না। মাহফুজ আনামের ক্ষুরে দণ্ডবৎ!
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এতদিন কুথায় ছিলেঙ্গো? টকশোতে দাওয়াত পাইছিলেননি?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন