যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতায় এই পর্বটি একাধিক খন্ডে দিতে হয়েছে। এটি আগের অংশের সরাসরি ক্রমধারা। (এখানে ক্লিক করে আগের অংশটুকু পড়তে পারবেন।)
মইদুল হাসানের “মূলধারা ’৭১” (২য় সংস্করণ, ৯ম মুদ্রণ, ইউপিএল) আমাদের জানাচ্ছেঃ
[ পৃষ্ঠা - ১৫ ]
[ পৃষ্ঠা - ১৬ ]
খন্দকার সাহেব বারংবার মইদুল হাসানের রেফারেন্স দিলেও এই অংশ চেপে গেছেন সুনিপূন সার্জনের মত কোমল দক্ষতায়। উল্লেখ্য খন্দকার সাহেব তখনও ক্যান্টনমেন্টে বসে দুধভাত খাচ্ছেন। সেকথা নাহয় আমরা তার মান রাখতে চেপে যাই।
নুরুল ইসলাম রচিত “Making Of a Nation Bangladesh: An Economist’s Tale” (2003, UPL) এর বাংলা অনুবাদ “বাংলাদেশঃ জাতি গঠনকালে এক অর্থনীতিবিদের কিছু কথা” (প্রথম সংস্করণ, ২০০৭, ইউপিএল) একটি সুপাঠ্য বই। বিনায়বনত লেখক শুরুতেই জানিয়েছেনঃ
[ পৃষ্ঠা - ১১ ]
ছয় দফা সম্পর্কে তিনি জানানঃ [ পৃষ্ঠা - ৭১ ]
এবং [ পৃষ্ঠা - ৭২ ]
এবং [ পৃষ্ঠা - ৭২ ]
এবং বঙ্গবন্ধুর আয়ত্বাধীন এলাকা সম্পর্কে অধ্যাপক ইসলাম জানানঃ [ পৃষ্ঠা - ৭৩ ]
অর্থাৎ, ক্যান্টনমেন্টে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান তেমন ছিল না। সেজন্যই বুঝি বেচারা খন্দকারকে বঙ্গবন্ধু একান্তে ডেকে কানে কানে কিচ্ছু বলে যাননি। সেই অভিমান খন্দকার করতেই পারেন বৈকি। তবে অন্যদের না করা অভিমানটুকুও করে দিতে চাইলে একটু সন্দেহ জাগে। বইটির ভুমিকায় অধ্যাপক ইসলাম জানিয়েছেনঃ [ পৃষ্ঠা - XII ]
আসলে খন্দকার সাহেব রিসালপুরের পাকিস্তান এয়ারফোর্স একাডেমীতে পড়াশুনা করেন সেই ১৯৫২ সালে। এরপর ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের স্টাফ কলেজ থেকে পিএসএ ডিগ্রী নেন। এরপর তিনি এত ব্যাস্ত ছিলেন যে পড়াশুনাটা ঠিক হয়ে ওঠেনি। এখন তার হাতে অফুরন্ত অবসর। অধ্যাপক ইসলাম না হোক, নিদেনপক্ষে অধ্যাপক সালাহউদ্দীন আহমেদের কাছেও তিনি বোধ হয় “ঐতিহাসিক পরিপ্রেক্ষিত” সম্পর্কে একটা শর্টকোর্স করে নিতে পারেন। শেখার নিশ্চয় কোনও বয়স নেই। অবশ্য তিনি আবার মানী লোক, তাকে শিখতে বলা উচিৎ হবে কিনা আগে ভেবে নিই।
খালেদের সহযোদ্ধা কর্নেল শাফায়াত জামিল রচিত “একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, রক্তাক্ত মধ্য আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর” (১ম সংস্করণ, ৪র্থ মুদ্রণ ২০১৩, সাহিত্য প্রকাশ) থেকে জানা যায় ২৭ মার্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিস্থিতিঃ [ পৃষ্ঠা – ২৯ ]
খন্দকার সাহেব তখন নিরাপদে ক্যান্টনমেন্টে আছেন, এই বাস্তবতা বুঝতে তাঁর বহু দেরি।
তাজউদ্দীন কন্যা শারমীন আহমদ রচিত ‘তাজউদ্দীন আহমদঃ নেতা ও পিতা’ (প্রথম সংস্করণ, ২০১৪, ঐতিহ্য) খন্দকারের সঙ্গে স্পষ্টত ভিন্নমত পোষণ করে জানাচ্ছেঃ [ পৃষ্ঠা – ৭১ ]
এবং [ পৃষ্ঠা – ১৪৭ ]
নুরুল হকের কিংবা মোরশেদের কথা খন্দকার চেপে গেছেন। ব্লাডি সিভিলিয়ান বলেই কি? [ পৃষ্ঠা – ৩০১ ]
পরিশিষ্টে সংযোজিত ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলামের সাক্ষাৎকার থেকে আমরা জানতে পারিঃ [ পৃষ্ঠা – ২৬৪ ]
এবং তিনি আরও জানান। [ পৃষ্ঠা – ২৬৫ ]
এবং ২৬ মার্চের তাৎপর্য প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছেঃ [ পৃষ্ঠা – ২৭১ ]
[অসমাপ্ত]
মন্তব্য
হ্যাঁ, আপনার, বিশেষ বিশেষ বই থেকে দেয়া বিশেষ বিশেষ অংশগুলো পড়লাম। লিখতে থাকুন। সবশেষে সবকিছু মিলিয়ে নেব। আমি নগন্য মানুষ। তাই খন্দকারদের মতো বই হয়তো লেখা হবেনা। তা বলে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেওতো কিছু বলতে পারবো।
[ ]
এইসব মসলাদার টারশিয়ারি তথ্যের বাজার বসে যাওয়ার আগেই আপনাদের প্রাইমারি স্মৃতিগুলো বাঁধাই করে রাখা দরকার, তাত্তারি করেন।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
পড়ছি, সাথে আছি -আওয়াজ দিয়ে গেলাম।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মানীলোকের মান-এর যে ছবি ফুটে উঠেছে তা রীতিমত আঁতকে ওঠার বিষয়।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হুমম
(তৃতীয় পর্ব-৩ এ আরো ভয়ঙ্কর মানহানি হবে)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
শিরোনামের গানটা শুনতে বসলেই এখন খন্দকারের বই এর কথা মনে হয়
সুন্দরগানটারে অসুন্দরের সাথে অ্যাসোসিয়েট করার কারণে তোমারে মাইনাস।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
[ নামকরণের সার্থকতা! ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
পরশ্রমী কাজের জন্যে সাধুবাদ। যদিও ছাগুরা এত পড়ার ক্ষমতা রাখে না তবুও সত্য নিয়ে কাজ করা মানুষদের জন্যে এই কাজ ভবিষ্যতের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে থাকবে।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
এত্ত খাটাখাটনি করলাম আর আমারে পরশ্রমী কইয়া গাইল দিলেন?
আমি কি লেখা "প্রথমা" প্রকাশনরে দিয়া প্রস্তুত করাইছি নাকি মিয়া?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হেহেহে পরের শ্রম নিয়েই তো যা করার করা হচ্ছে হে
হুমম... বহুব্রীহি সমাসরে কর্মধারয় সমাস ভাবছিলাম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভাবছিলাম খন্দকারের বইটা শেষ করে তারপর আপনার এই সিরিজে যোগ দেবো। কিন্তু সময়াভাবে খন্দকারকে অন্ধকারে রেখেই আপনার দুই পর্বের আলাপগুলো পড়ে ফেলতে হলো। বইটা যাদের হাতে নেই তাদের জন্য আপনার পোষ্টদুটো অতীব চমৎকার প্রাপ্তি। এতগুলো ছবি তুলে পোষ্টে দেয়া চাট্টিখানি কথা না। ধৈর্য ধরে করেছেন সেজন্য অশেষ ধন্যবাদ নেন। সংশয়বাদী লোকদের চোখে আলো দিতে সক্ষম হবে এই সিরিজটা
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
(কষ্ট হলেও) পড়ে ফেলেন নীড়'দা। আমার চোখে যেটা আটকায়নি সেটা আপনাদের অভিজ্ঞ চোখে আটকাতেই পারে। নতুন আরো দৃষ্টিভঙ্গি পেলে এই কাটাছেঁড়া আরো যথার্থ হবে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন