আজকে ১৪ মার্চ। গণিত পাগলা লোকেদের কাছে এটা পাই দিবস। কেননা মার্কিন পদ্ধতিতে তারিখ লিখলে আজকের তারিখ ৩.১৪। বছর সহ লিখলে ৩.১৪১৫। এই বছর ঠিক ন’টা ছাব্বিশ মিনিট তেপ্পান্ন সেকেন্ডে আবার সেটা ৩.১৪১৫৯২৬৫৩, অর্থাৎ দশমিকের পরে নয় ঘর পর্যন্ত পাইয়ের মান। এইবার দেখলাম রীতিমত ধুমধাম করেই পাই দিবস উদযাপন হচ্ছে দেশে। দেখে ভালই লাগল, জামাতিদের পথ কুক্কুরের মত সঙ্কোচে-সত্রাসে তাড়া দিতে বিজ্ঞান আর সাংস্কৃতিক আন্দোলনের তুলনা নেই। অনেকের কাছে অবশ্য ১৪ মার্চের আরেকটা মানে আছে। ১৮৭৯ সালে ঠিক এই দিনেই জার্মানীতে জন্ম হয় হাবাগোবা একটি শিশুর। পরবর্তীকালে এই লোকটির উষ্কখুষ্ক চুল আর ঝোলা গোঁফ যতটা ‘ফ্যাশন আইকন’ হতে পেরেছে, আর কোন বিজ্ঞানীর ক্ষেত্রে বোধহয় সেটা হয়নি।
শৈশবে শিক্ষকদের কাছে বিরক্তির পাত্র হয়ে ওঠা সেই আপাত হাবাগোবা ছেলেটিই একদিন হয়ে উঠেছিলেন শিক্ষকদের শিক্ষক। প্রায় দু’শতাব্দী রাজত্ব করা স্যার আইজাক নিউটনকেও নড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁর আসন থেকে। অবসরে বেহালার মূর্ছনা তোলা এই ভাবুক লোকটিই হিটলারের নাজি জার্মানিতে হয়েছিলেন নিগৃহীত। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি যে ঈশ্বরের কথা বলতেন সেটি ইহুদী ঈশ্বর নন যদিও। নাজিরা অতশত বোঝেনা, যেমন বোঝেনা আরএসএস কিংবা জামায়াতে ইসলামী। তাই তাকে যেতে হয় দূর পরবাসে। ভদ্রলোক আফসোস করে বলেছিলেন- “আমি সফল হলে জার্মানরা বলবে আমি জার্মান... পোলিশরা বলবে আমি পোলিশ... ইত্যাদি ইত্যাদি”। তিনি নিশ্চয় জানতেন না এককালে তাঁর কানা-খোঁড়া বিষয়ক একটি খন্ডিত উক্তি জাত-পাত নির্বিশেষে ধর্মবিক্রেতারা (যেমন ডাঃ জাকির নায়েক) ব্যাবহার করবে পাঞ্চলাইন হিসেবে। ভাগ্যিস ধর্মবিক্রেতা কিংবা ধর্মক্রেতারা খুব বেশি পড়াশুনা করেন না। করলে নিশ্চয় গুঁফো লোকটা এতদিনে মুরতাদ-টুরতাদ হয়ে যেতেন। অবশ্য ইহুদীরা মুরতাদ হয় কিভাবে আমার জানা নেই। অজয় স্যারের সাক্ষাৎকারে জানলাম হিন্দু পরিবারে জন্মানো অজ্ঞেয়বাদীরা মুরতাদ হতে পারেন। তাহলে ইহুদী পরিবারে জন্মানো অজ্ঞেয়বাদীরাও নিশ্চয় চাইলে (নিজে নয়) মুরতাদ হতে পারেন।
এই পাঁড় পাইপখোর লোকটিই ভেবে বার করেন পারমাণবিক (পারমাণবিক কথাটি ভুল, প্রকৃতপক্ষে নিউক্লিয়) বোমার মূলসূত্র। তিনিই মার্কিনভূমে নির্বাসিত হবার পরে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে বুঝিয়েছিলেন কেন পারমাণবিক বোমা নিয়ে গবেষণা দরকার। হিরোশিমা-নাগাসাকিতে সেটি ব্যাবহারের পর অনুশোচনাও কম করেন নি, কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। ইজরায়েল গঠিত হবার পরে প্রথম রাষ্ট্রপতি হবার আমন্ত্রণ পেয়েও সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। ঐ দশকে নির্যাতিত ইহুদীদের ওপর সহানুভূতিশীল হওয়া স্বত্বেও তিনিই দূরদৃষ্টিতে দেখতে পেয়েছিলেন ইজরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের স্বরূপ। তাই দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছিলেনঃ
আমি দেখতে চাই আরবদের সাথে এক ন্যায়সঙ্গত চুক্তি। যার ভিত্তি হবে ইহুদী রাষ্ট্র গঠন করার পরিবর্তে দুই জাতির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান।
এই মানুষটি পৃথিবী ছেড়ে যাবার পর কার্টুনিস্ট হার্ব ব্লক এই কার্টুনটি আঁকেন।
পৃথিবীতে এমন সম্মান মনে হয় আর কেউ পাননি।
আইনস্টাইন একবার বলেছিলেনঃ “আমি বিজ্ঞানের সংজ্ঞা জানি, কিন্তু ধর্মের সংজ্ঞা জানিনা”। কি ভয়াবহ কথা। বিজ্ঞানকে অস্পৃশ্য করে মগবাদী কিংবা লুঙ্গিবাদী হওয়া সাবেক ঔষধবাদীরা কি কখনও আইনস্টাইন পড়ে দেখেছেন? নাকি অন্যের জন্য মজুদ করে রাখা উত্তপ্ত গলিত সীসা তাদের চক্ষু-কর্ণেই স্থান করে নিয়েছে? রবীন্দ্রনাথ একবার লিখেছিলেনঃ “মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ।” রবীন্দ্রনাথের এই জার্মান বন্ধুটিও তাঁর এক প্রবন্ধে সামরিক বাহিনী ও যুদ্ধ প্রসঙ্গে এই কথারই পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি লেখেনঃ
মানবজাতি সম্পর্কে আমার ধারনা অতি উচ্চ। তাই আমি বিশ্বাস করি যে এই দুষ্ট ক্ষত বহুদিন আগেই অন্তর্হিত হত যদি না বিদ্যালয় ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে ব্যাবসায়িক ও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য জনগনের শুভবুদ্ধি কলুষিত করা হত।
তিনি কি ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা ছিলেন? নইলে মতি কিংবা আলুর কথা আগেভাগে জানলেন কিভাবে? যুগে যুগে সব মতিরই বোধহয় আলুর দোষ ছিল। যাক গে। তিনি আরো লেখেনঃ
জীবনের সর্বাপেক্ষা সুন্দর অভিজ্ঞতা হল রহস্যময়তা। এই রহস্যময়তাই সত্যিকারের চারুশিল্প এবং বিজ্ঞানের মূল আবেগ হিসেবে কাজ করে। যিনি এ বিষয়ে জানেন না, বিস্ময় প্রকাশ করতে পারেন না, আশ্চার্যান্বিত হন না, তিনি মৃতের সমান এবং তাঁর চোখ দুটি হয়ে পড়ে নিষ্প্রভ।
আজকাল মনে হয় ‘মৃতের সমান’ জোম্বিদের অবাধ চলাফেরায় সংখ্যালঘু “ছহীহ” মানুষেরই চলাফেরা, চিন্তা করা কিংবা বিস্ময় প্রকাশ করা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইনস্টাইন বিশাল বিশাল অনেক কাজই করে গিয়েছেন বৈকি। সেগুলোর গল্প আজ আর করার সময় নেই। সংক্ষেপে বলি- বিজ্ঞানে কখনও এমন অবস্থা দাঁড়ায়, যখন প্রকৃতির ওপর আরোপিত ধারণার জন্য অসঙ্গতিপূর্ণ ফলাফল পাওয়া যায়। বিজ্ঞানবিরোধীরা এসময় সাধারণত চোখ-কান বন্ধ করে আসমানের দিকে তাকান। আর খুব দুঃসাহসী দু-একজন বলে বসেন নিশ্চয় আমাদের পূর্ব আরোপিত ধারণা পাল্টাতে হবে, তা যত অদ্ভুতই হোক না কেন। এমন দুঃসাহসী গুটিকয় মানুষের একজন ছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। আইনস্টাইন ঠিক কি করেছিলেন সেটি বিস্তারিত জানতে হলে আপাতত পরের পর্বগুলোর অপেক্ষা করতে হবে। ততক্ষণ চা খেয়ে আসি। আজকে গুরুর জন্মদিনটাকে খটমটে বিজ্ঞানের কচকচি ঢুকিয়ে মাটি করতে চাইছিনা। সকলকে পাই দিবসের শুভেচ্ছা।
পাদটীকাঃ বহুদিন আলসেমি করে বিজ্ঞান বিষয়ক লেখালেখি হয়না। অভিদা’র চলে যাওয়াটা এই আলসেমির ওপর একটা রাম থাপ্পড় দিয়ে গেল। প্রায়শ্চিত্তের তো উপায় নেই। তারচেয়ে বিজ্ঞান নিয়ে আরো বেশি লেখালেখি হোক। সেটাই অভিজিৎ রায়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হবে বলে মনে করি।
লেট দ্য জার্নি বিগিন, লেট দেয়ার বি লাইট, লেট দ্য লাইট বি এমপ্লিফায়েড।
৩ মার্চ ’১৫, রাত ৯টা বেজে ২৬ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড
মন্তব্য
অঢেল পাই শুভেচ্ছা হে প্রিয় ব্লগার, প্রিয় মানুষ।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
লহমাদা', পাই দিবসের বিলম্বিত শুভেচ্ছা।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ঠিক! ফালতু প্যাঁচাল না পেড়ে জোরেশোরে লেখালেখিটা চালিয়ে যেতে হবে। এক জনের বদলে দশ জন লিখলেই ইমপ্যাক্টটা পালটে যাবে। আর যদি একশ' জন লেখা শুরু করে তাহলে ত্যানাপ্যাঁচানির দল পালাবার পথ পাবে না।
পুনশ্চঃ বিজ্ঞান বিষয়ক লেখার সময় 'বুতপরস্তি' বা 'পৌত্তলিকতা' থাকলে চলবে না। কোন ব্যক্তি, কোন ব্যক্তির চিন্তা বা আবিষ্কার বা অবদান, কোন তত্ত্ব, কোন প্রকল্প/অনুকল্প, কোন ইজম পরম নয়, ঐশ্বরিকও নয়। ক্রমাগত প্রশ্ন করে যেতে হবে, অবিশ্বাস করতে হবে, পরীক্ষণ চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে সত্য এবং আরো বেশি সঠিকের কাছে পৌঁছানো যাবে। বিজ্ঞান বিষয়ক লেখার সময় এই বিজ্ঞানমনস্কতা জরুরী। আপনার লেখায় বিজ্ঞানমনস্কতার অভাব আছে অমন অভিযোগ করছি না। তবে মুগ্ধতার বহিঃপ্রকাশ তাকে দুর্বল করে দেয়।
পুনঃপুনশ্চঃ যারা বিজ্ঞান বিষয়ক লেখালেখি করেন তাদের সবাইকে অনুরোধ করছি। নিকোলা টেসলার আবিষ্কার নিয়ে কেউ একটা সিরিজ নামান।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
http://theoatmeal.com/comics/tesla
- সো ।
ডরাইলাম।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মুগ্ধতার প্রকাশ কি বিজ্ঞানমনস্কতাকে দুর্বল করে দেয়? আমি নিজে অনেকের প্রতিই খুব মুগ্ধতা প্রকাশ করি। আবার তাদেরকে নিয়ে লেখারও চেষ্টা করেছি কখনো কখনো। ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে মু্গ্ধতা নয়, বরং যদি যৌক্তিক কারণে মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জন্মায় তবে সেটা ন্যায্য হবে না?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনার্য দা,
আজকে আইনস্টাইনের জন্মদিনে আসলে হাতের জট ছোটাতে হালকা একটা লেখা লিখতে চেয়েছিলাম, বেশি হালকা হয়ে গেছে।
যৌক্তিক হোক আর অযৌক্তিক, মুগ্ধতা কিন্তু আবেগ। আইনস্টাইনের প্রতি আমার মুগ্ধতা রয়েছে এবং সেটি এই লেখায় বাড়াবাড়ি ভাবে প্রকাশ পেয়েছে এটি সত্য। আইনস্টাইন এখন পর্যন্ত পয়গম্বর নন (হলেও কিছু যেত আসত না)। কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে অকারণ মুগ্ধতার ভারে তিনি পয়গম্বর হয়ে না ওঠেন, সেই দায় সর্বাগ্রে বোধকরি বিজ্ঞান লেখকদেরই।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সে আশাই করি, পাণ্ডবদা'
পুনশ্চঃ একমত। আজকে ব্যাক্তিগত মুগ্ধতা বেশিই হয়ে গেছে।
পুনঃপুনশ্চঃ কেউ লিখে না ফেললে আমি চেষ্টা করব।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
চলুক।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
caveat:
আইনস্টাইন কি ছোটবেলায় আসলেই 'আপাত: হাবাগোবা' ছিলেন? আমার জানা মতে এটা একটা মিথ।
"After one year of homeschooling, Albert was sent to primary school, entering second grade already at age 6 ½. He may not easily have accommodated himself to the school’s expected mindless obedience and discipline aimed at instilling authoritarian civic virtues. Unable – or unwilling - to provide quick automatic responses, the boy was considered only moderately talented by his teachers. Yet at the end of his first school year his mother could proudly relate that Albert's report card was splendid and his second term marks again put him at the top of his class. If the stigma of the "bright under-achiever" - "The Einstein Factor" - had been justified at any time, now it was no more the case. The fact that, at the age of 9 ½, Albert was accepted to the competitive Luitpold-Gymnasium, disproves any observable learning disabilities. Had his grades in primary school not been above average, his entrance into the Gymnasium would not have been possible."
http://www.albert-einstein.org/article_handicap.html
শুরুর দিকে খাপ খাওয়াতে পারেনি দেখে শিক্ষকদের তাকে হাবাগোবা হতে পারে, কিন্তু পরের দিকে তার রেজাল্ট সবসময়ই বেশ ভালো ছিল। আর অঙ্কে একদম ফাটাফাটি।
তার রিপোর্ট কার্ড (উচ্চমাধ্যমিক)
http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/c/c3/Albert_Einstein%27s_exam_of_maturity_grades_%28color2%29.jpg
(সুইজারল্যান্ডে ৬ মানে এ+) ।
সিরিজ চলুক।
-সো।
ইয়ে... মানে, 'হাবাগোবা' কথাটাকে আক্ষরিক অর্থে নেবার কিছু নেই।
(বিজ্ঞানের লেখায় ভুলেও কখনও আলংকারিক কথাবার্তা লিখব না)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আইনস্টাইন যুদ্ধের বিরোধিতা করতে গিয়ে জার্মানিতেই কম হেনস্তা হননি। তবে সেইটা বোধহয় এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। আপনার বিজ্ঞান লেখা আমার পছন্দ। অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বগুলোর।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দুই বিশ্বযুদ্ধেই আইনস্টাইন 'যুদ্ধবিরোধী' প্রচারণা চালিয়েছেন। আমাদের শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর মত গোপন বিবৃতি না, সত্যিকারের প্রতিবাদ। ভাগ্যের পরিহাস, হিরোশিমা-নাগাসাকির ঘটনা থেকেও আইনস্টাইনের নাম মুছে ফেলা যাবে না, পরে তিনি যতই আফসোস করুন না কেন। যাকগে, আজকে আসলে অত ভারিক্কি কথা লিখতে চাইনি।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সাথে আছি।
রাসিক রেজা নাহিয়েন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
যদিও সাক্ষী সুলভ মানের হয়নি লেখাটা, আশা করি আগের বিজ্ঞানের সেই অসাধারণ লেখাগুলোর মতোই হবে পরের পর্বগুলো।পাই দিবসের শুভেচ্ছা
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
পাই দিবসের বিলম্বিত শুভেচ্ছা।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বিজ্ঞান শাখা/বিভাগ ছেড়েছি বহুকাল। একটা সুতীব্র ব্যথা নিয়ে লেখাটা পড়ছিলাম-এখন মনে হচ্ছে মহাবিশ্বের সকল ব্যথাই বড় বেশি আপেক্ষিক।
দেবদ্যুতি
হুমম...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
চলুক লেখালেখি।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
চলুক তবে...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আমি আপেক্ষিতার সহজ পাঠ নামে একটা বইয়ের কাজে হাত দিয়েছি। আর আপনি কিনা আমার ভাত মারবার জোগাড় করলেন। তবে স্বীকার করছি এমন রসিয়ে বিজ্ঞান লেখার সাধ্য আমার নেই। আপনি লিখুন আপনার মতো করে। আমি আমার মতো। আরেকট কথা “এসো কোয়ান্টামের রাজ্যে” আগামী বইমেলায় দুই মলাটে দেখতে চাই। আপেক্ষিতা নিয়ে আপনার লেখাটা জমবে, তার গন্ধ পেতে শুরু করেছি।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
হায়হায়... আমি তাহলে অফ যাই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আমার কি হবে সাক্ষী দাদা, আমি তো কমপ্লিট আর্টসের ছাত্রী, সায়েন্স বিষয়ক লেখা তো বুঝি না! আমাদের মতো অধমদের জন্য মাঝে মধ্যে আধুনিক ঠাকুমার ঝুলি লেখা যায়?
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
ঝেড়ে কাশুন
আপনি বিজ্ঞানবাদিতা চান কিন্তু বিজ্ঞান চান না, তাই তো?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আমি চাই কোনো আইন আমাদের লেখার পথ বন্ধ করবে না, আমি চাই বন্যাদির আঙুলের মতো আমাদের আঙুলগুলো কাটবার কোনো অস্ত্র এদেশে থাকবে না। আমি চাই অভিদার মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন আসতে এক যুগ পেরোবে না, আমি চাই অজ্ঞাতনামা আসামীর ধুয়ো তুলে চৌদ্দ বছর শেষে পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দিবে না। আমি চাই যারা যে অবস্থানে যে মেধা নিয়ে থাকে তার সবটুকু সদ্ব্যবহার করবে তাতে কারো জাত গেলো ধর্ম গেলো রব উঠবে না।
চাওয়ার শেষ নাই দাদা। আমি একটা তুচ্ছ চার ফুটি মানুষ কিন্তু চাওয়াগুলো বড্ড বেশি।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
এত স্বপ্ন দেখতে নাই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আইনস্টাইনের ওই কানা-খোড়া সংক্রান্ত উক্তিটি আমার কাছে ঠিক পরিষ্কার না, উনি কি প্রসংগে ওটা বলেছিলেন সেটা জানতে পারলে ভাল হত।
নিজেই দেখে নিন।
উল্লেখ্য যে আইনস্টাইন কর্তৃক উল্লিখিত "Religion" এর সাথে মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-কৃশ্চান-শিখ-কনফুসিয়-শিয়া-সুন্নি-কাদিয়ানি-ব্রাহ্মন-শুদ্র-ক্যাথলিক-প্রটেস্টান্ট-ইহুদি-জৈন কোন কিছুরই সম্পর্ক নাই। এইটা তাঁর স্ব-উদ্ভাবিত "Cosmic Religion", যদিও ভারতীয় টিভিস্টার ও চ্যানেল মালিক ডাঃ জাকির নায়েক এবং অনুরূপ পেশায় কর্মরতরা উদ্ধৃতি দেবার সময় এই কথাটা বেমালুম চেপে যান।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
স্বীকার করে নিচ্ছি, আমি বিজ্ঞান নিয়ে লেখা খুব একটা পড়িনা, আপনার গুলোও পড়িনি।
আপনার এই লেখার আবেগ আর মুগ্ধতা ভাল লাগলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ছাগুরা একসময় আইনস্টাইনকে নিজেদের লোক দেখানোর প্রচুর চেষ্টা করেছে। এখনো করে।
অজ্ঞাতবাস
হ বদ্দা,
[ ভাবতেছি, ভাগ্যিস ছাগশিশুরা পড়াশুনা করে না
করলে ডাঃ নায়েকের ঠ্যালা বাইর হয়ে যাইত
আর আইনস্টাইন হইতেন মুরতাদগো সর্দার।]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
পাই দিবসে পাই নাই। পাইতে পাইতে বছর ঘুরে গেলো। চমৎকার লিখেছিলেন সাক্ষী সত্যানন্দ। এই ধরনের লেখা আপনার কাছ থেকে আজকাল পাইনা। বিজ্ঞানময় কিতাব এই সবের তুলনায় যারপরনাই পাইন্যা।
---মোখলেস হোসেন।
নতুন মন্তব্য করুন