মুহম্মদ জাফর ইকবালের একটি বিজ্ঞান কল্পগল্প সংকলন আছে ‘সিস্টেম এডিফাস’ নামে। সে বইয়ের একটি ভয়াবহ গল্পের শিরোনাম “ওয়াই ক্রোমোজোম”। অপরিণত বয়সে এ গল্পটি মনে দাগ কাটলেও তখন ঠিক মেনে নিতে পারিনি। কিন্তু এখন মাঝে মাঝে ভাবি আসলেই কি আমার এবং আমাদের বয়ে বেড়ানো ‘ওয়াই ক্রোমোজোম’ গুলোই সকল সহিংসতার উৎস? আশপাশ দেখে তো তাই মনে হয়। আমিও তো একজন ওয়াই ক্রোমোজোমধারী। তবে কি একদিন ঐ গল্পে বিধৃত দুনিয়ার শেষ পুরুষের পরিণতি একদিন আমাকেও ভোগ করতে হবে? [ খুঁজে পেতে মানবজাতির কেবলমাত্র এক্স-ক্রোমোজোম ধারী অংশটুকুকে প্রকাশ করার ভাল কোনও শব্দ নেই বলেই মনে হল। কেউ পেলে জানাবেন। ততক্ষণ স্পেডকে স্পেডই বলার অনুমতি নিয়ে নিলাম। ]
আমি বিজ্ঞানের গল্প শোনাতে পছন্দ করি। (আলসেমি টুকু ভুলে যান, আমি ওয়াই ক্রোমোজোম ধারী চৌধুরী সাহেব, হুঁ!) সচলের এই প্রকল্পে এক্স ক্রোমোজোম ধারী বিজ্ঞানীদের দুয়েকটা গল্প শুনিয়ে যাব ভেবেছিলাম। হোমওয়ার্ক করতে গিয়ে বিপত্তিটা হল। আচ্ছা, জিওর্দানো ব্রুণোর কথা প্রায় সবাই জানি, হাইপেশিয়ার নাম জানি কি? না জানলে কেন জানিনা? কেন বিজ্ঞানের রাজ্য হাতড়ে মেরি কুরি ছাড়া আর কারও নাম মনে আসে না? উজ্জ্বল অটো হ্যানের পাশে একজন নিস্প্রভ লিসা মাইটনার কেন হারিয়ে যান দিনশেষে? দোষটা কি প্রাকৃতিকভাবে ওয়াই ক্রোমোজোমে গেঁথে দেয়া? নাকি সহস্র বছরের প্রথার ভাইরাসে আক্রান্ত এই সব নাম? কেউ কি জানেন?
মোতাহের হোসেন চৌধুরীর শতাব্দী প্রাচীন অথচ আজও প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখা প্রবন্ধগুলো বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে। তাঁর ‘রেনেসাঁসঃ গোড়ার কথা ও আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক প্রবন্ধের একাংশ এখানে টুকে দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না। প্রাসঙ্গিকতার বিচার পাঠকের হাতে। চৌধুরী লিখেছেন-
একটুখানি তলিয়ে দেখলে বোঝা যায়, আমাদের ভেতরের মানুষটি কুঅভ্যাসবশত নিজেকে খুশি করার নামে অপরকে অসুখী করতে চায়। সমকক্ষের কালো মুখই আমাদের আনন্দ। এই বিকৃত দৃষ্টির ভদ্র নামই ‘কম্পিটিশন’ বা প্রতিযোগিতা। প্রয়োজন না থাকলেও ছেনে-ছুনে কেড়ে-কুড়ে সিন্দুক ভর্তি করার এই কদর্য স্পৃহা- একে বর্বরতা ছাড়া কিছুই বলা যায় না।
কোনওকালে কোনও এক কবি বলেছিলেন- ‘পুরুষ, তুমি মানুষ কবে হবে?’ কবিদের প্রশ্নের উত্তর দিতে নেই। পাশ কাটিয়ে যাই বরং। কেননা বেগম রোকেয়া (যাঁকে সবাই রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নামে ডাকতেই স্বাছ্যন্দবোধ করে) পুরাকালে অনেক দুঃখ নিয়ে লিখেছিলেনঃ
এই ধর্মগ্রন্থগুলি পুরুষ রচিত বিধি-ব্যাবস্থা ভিন্ন আর কিছুই নহে। মুণিদের বিধানে যে কথা শুনিতে পান কোনও স্ত্রী মুনির বিধানে হয়ত তাঁর বিপরীত নিয়ম দেখিতে পাইতেন। কিন্তু, স্ত্রীলোকের সেরূপ যোগ্যতা কোথায় যে মুনি ঋষি হইতে পারিতেন? ... ... ... যাহা হউক, এখন আর আমাদিগের ধর্মের নামে নতমস্তকে নরের অযথা প্রভুত্ব সহ্য করা উচিৎ নহে। আরও দেখ যেখানে ধর্মের বন্ধন অতিশয় দৃঢ় সেইখানে নারীর প্রতি অত্যাচার অত্যধিক। যেখানে ধর্মবন্ধন শিথিল সেখানে রমণী প্রায় পুরুষের ন্যায় উন্নত অবস্থায় আছেন। এস্থলে ধর্ম অর্থে ধর্মের সামাজিক বিধান বুঝিতে হইবে।
আনন্দের বিষয় সাম্প্রতিক কালে এই অনুরূপ বক্তব্য প্রচেষ্টা ক্ষীনস্বরে হলেও দেখা যাচ্ছে মনুষ্য জাতের অপর অর্ধের মুখ থেকেও। এ প্রসঙ্গে সুবর্ণ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘হাসান মাহমুদ’ এঁর “শারিয়া কি বলেঃ আমরা কি করি” বইটি থেকে উদ্ধৃত করছিঃ
দেশে-বিদেশে ইসলামের নামে বোমাবাজীর তপ্ত সন্ত্রাসের নিন্দা করেন সবাই তারস্বরে। কিন্তু যে বিধিবিধান প্রতিদিন প্রতিমুহূর্ত নিঃশব্দে হত্যা করে দুনিয়ার সাড়ে ছয়শ’ কোটি মুসলিম নারীর মানবাধিকার আর শারিয়া-দেশগুলোতে ধ্বংস করে কোটি কোটি মুসলিম নারীর জীবন সেই শীতল সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলাটাও অত্যন্ত জরুরি। ওরা তো আমাদেরই বোন, ওদের কাতর আর্তনাদ আমাদের কানে কেন পৌঁছায় না ? আমাদের প্রত্যেকটি বোনকে কেন জীবন কাটাতে হবে হঠাৎ- তালাকের সম্ভাবনায়, হঠাৎ-সতীনের সম্ভাবনায় আর ‘শর্ত মানা গায়ে দাগ না পড়া’ প্রহারের সম্ভাবনায় ? আমাদের বোনদের চাক্ষুষ সাক্ষ্য কেন আদালতে নাকচ হবে, কেন আদালতে দরখাস্ত করতে হবে স্বামী যেন তাকে প্রতিদিন না মেরে সপ্তাহে একদিন মারে ? বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জে আর কত ধর্ষিতা বালিকাকে জুতো খেতে হবে, কত নূরজাহান-ফিরোজাকে ধ্বংস হতে হবে জাতিকে এ-কথা জানাতে এআইন ইসলামি কি না ? ইসলামের ওপরে কলঙ্ক বয়ে আনা এ-সব ভয়াবহ ঘটনার বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ না করে কি করে নিজেদের দলকে ইসলামি বলে দাবি করতে পারেন আমাদের কিছু সংগঠন ?পশু-পাখি-মাছেরা পশু-পাখি-মাছ হয়েই জন্মায়। কিন্তু মানুষ হয়ে উঠতে মানুষকে অনেক সাধনা করতে হয়। জীবনের বেশির ভাগ বোঝা মা-বোনেরাই হাসিমুখে বয়েছে চিরকাল। কিন্তু তার প্রতিদান তো দূরের কথা, স্বীকৃতিও পায়নি কোনদিন। আমরা পুরুষেরা নারীর জন্য যুদ্ধ করি, ধ্বংস করি, খুন করি, আবার আত্মহত্যাও করি। নারীর নামে আমরা তাজমহল বানাই, যক্ষ হয়ে মেঘদূত পাঠাই। নারীর বিরহে গান-গজল-কবিতায় সারা রাত জেগে থাকি আর ওদের খোঁপায় পরাই তারার ফুল। কিন্তু যে নারী পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে জন্ম দেয়, পালন করে হাসিমুখে নিরন্তর কষ্টে, জন্ম দিতে গিয়ে মরেও যায় অনেক সময়, যে নারী জন্ম দেয় নবী-রসুলকে তাদেরকে আমরা সংসারে-সমাজে-আইনে-বিধানে-সংগঠনে সমান অধিকার দিই না। এরই নাম পুরুষতন্ত্র। সমাজকে, সংস্কৃতিকে, সাহিত্যকে, রাষ্ট্রকে, আইনকে আর ধর্মকে আমরা পুরুষরা চিরকাল খুব চালাকির সাথে কাজে লাগিয়েছি ওদের শরীর আর সম্পত্তিকে কব্জায় রাখবার জন্য। ওদের শরীরের ওপর অধিকার আমরা কাউকে দিতে রাজি নই, এমনকি ওদেরকেও নয়। আমরা বুঝিনি, জীবনটা আসলে নারী-পুরুষ মিলে মধুর এক দ্বৈত-সঙ্গীত। জীবনে যে হতে পারত প্রিয়শিষ্যে ললিতে কলাবিধৌ, হতে পারত স্বর্গাদপি গরীয়সী জননী আর স্নেহময়ী ভগিনী তাকে ধর্মের নামে দুমড়ে মুচড়ে পায়ের নীচে পিষে পিষে আজ আমরা পুরুষরা দানবের মত একা হয়ে গেছি।
ধর্ম বহুযুগ ধরে মানব ইতিহাসের অংশ। কেন জানি না, এর সহিংস ও অত্যাচারী সত্ত্বাটিই বরাবর মানব সমাজে প্রভাব বিস্তার করেছে। এই সমস্যাটি কি গাড়ির নাকি চালকের তা বিশ্লেষন করা সুদীর্ঘ আলোচনার দাবী রাখে। বিশেষত, নবীনতম ধর্মটিকে নিয়ে এদেশে কোনও নির্মোহ আলোচনা করা দুষ্কর। এই প্রেক্ষিতে সেই ধর্মের সহিংসতাকে স্বীকার করে তার সামাজিক উৎস খোঁজার প্রচেষ্টার পাশাপাশি শুধুমাত্র অহিংস অংশটুকুকে ছেঁকে আলাদা করে তুলতে হাসান মাহমুদের প্রচেষ্টা সাধুবাদ যোগ্য। এমন আলোচনার আলো আরও ছড়িয়ে যাক এটিই কাম্য। পরবর্তীতে হাসান মাহমুদের বইটি নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনার ইচ্ছা আছে।
দু’বছর আগে আমার দেখা সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট** ছাত্রীদের একজন বিশাল এক চিঠি পাঠিয়েছিল, অবশ্য চিঠি না বলে অভিযোগ নামা বলাই ভাল। সেখানে তার প্রশ্ন ছিলঃ
আমার খুব ইচ্ছা একজন সম্পূর্ণ মানুষ হওয়ার, কখনো কোন ব্যাপারে কারো ওপর নির্ভর করতে হবে না যাকে। রাত তিনটার সময় ঢাকার রাস্তায় হাঁটতে চাই। অসম্ভব কল্পনা? হয়তো বিপজ্জনক! কিন্তু, তবু আমি চাই। এটা কি পিপীলিকার পাখা হয়ে যাবে? রাস্তা নিরাপদ হবে, এই আশায় আমি বসে থাকতে চাই না। বিপদ আছে জেনেই চাই। পারব না?
তেত্রিশ বছর নয়, মাত্র দু’বছর গেছে। আমি এখনও এই চিঠির উত্তর দিতে পারিনি। কেউ পারবেন? কিংবা-
আর্মিতে তো আমার হবে না। আমার যেতে ইচ্ছে করে কারণ তাহলে হয়তো সাথে একটা অস্ত্র রাখতে পারব। এই জিনিসটা তো ভয় কাটাতে পারবে। আমি ভয় পেতে চাইনা। আমার এক ক্লাসমেট কক্সবাজার থেকে কেনা ড্যাগার সবসময় সাথে নিয়ে ঘোরে। আমারও কি তাই করতে হবে?
এই প্রশ্নেরও উত্তর দু’বছর অনুচ্চারিত রেখেছি। তবে উত্তরটা বোধ করি- “হ্যাঁ, তাই করতে হবে।” চিঠিটির শেষাংশে আরো বলা ছিলঃ
যেসব জায়গায় “আমি” শব্দটা লিখলাম সবগুলোই “আমরা” হবে। আরও অনেকেই আছে এমন; আমারই ভুল ‘আমি’ শব্দটা লেখা।
মিছে আশা দিয়ে বাচ্চাদের ভোলানো যায়, বড়দের কি যায়? সেদিনের সেই পিচ্চি মেয়েটি আজ কদর্য পৃথিবীর অনেকখানি দেখে ফেলা এক মানুষ। নিজের অপারগতা (নাকি গোষ্ঠীগত অনিচ্ছা?) ধরা পড়ে যাবার আগেই বরং সত্যটা বলে দেই। জানিয়ে দেই- তোমাদের জন্য কোন নিলক্ষার নদীতীরে হাঁক দিয়ে কেউ বলবে না ‘গোল হয়ে আসুন সকলে, ঘন হয়ে আসুন সকলে’। কালপূর্ণিমায় কোন নূরলদীন দেবে না ডাক। নিজের ডাকাডাকি সারতে হবে নিজেকেই। ভুলে লেখা ‘আমি’ গুলো যত দ্রুত শুধরে নিয়ে ‘আমরা’ করা যায় ততই মঙ্গল। সেইসঙ্গে সহপাঠ হিসেবে এইখানে টিপি দিয়ে পড়ে নিতে পারো তসলিমার কবিতা। তারপর যেমন যেতে চাচ্ছ, যাও। শুভকামনার বেশি কিছু দেবার নেই বোধহয়।
[ ** ছাত্র-ছাত্রী মিলিয়ে “গণিত অলম্পিয়াড-ফেরত” ঐ একজনকেই পড়াবার সৌভাগ্য হয়েছে। ]
জন্মের ব্যাপারটা নাহয় বাদই দিলাম, ঐ ব্যাপারে কোনও স্মৃতি নেই কিনা। বানিয়ে বলা কি ঠিক? তারচেয়ে স্মৃতি থেকেই বলি। ছোটকালে দেড়-দুই বছরের মাঝে আমি বর্ণপরিচয় শেষ করে রিডিং পড়ার পর্যায়ে চলে গিয়েছিলাম আম্মা নামের এক আধপাগলা এক্স-ক্রোমোজোম ধারী মানুষের কল্যাণে। তিন বছরের মাথায় প্রথম লেখার শুরু হয়েছিল ফুপু নামের আরেক দল এক্স-ক্রোমজোম ধারী মানুষের পাগলামোতে। ছোটবোন নামের আরেক এক্স-ক্রোমোজোম ধারী জন্মানোর পরে জানলাম দুনিয়াতে কত কিছু করার আছে- বই ছেঁড়া কিংবা জানালার গ্রিল ধরে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকা কিংবা চেয়ার-টেবিল বেয়ে আলমারির মাথায় ওঠা। আমার মোটা মাথায় এসব কখনও আসেই নি। প্রতিবছর সে স্কুলের স্পোর্টসে একগাদা থালা-গ্লাস-কাপ-প্লেট জিতে আসার পরই আমার প্রথম মনে হয়েছে আরে আমার স্কুলেও তো স্পোর্টস বলে একটা জিনিস ছিল, কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি। খালাতো বোন নামের আরেক পৌনে-পাগল এক্স-ক্রোমোজোম ধারীর কারনে জীবন টা ভাজাভাজা হয়েছে বকা খেতে খেতে। এই বদের হাড্ডি সব পরীক্ষায় ফাস্ট-সেকেন্ড হয়ে আমার বাপ-মা’র কাছে আমাকে বংশের ব্লাকশিপ বানিয়ে ছেড়েছে। তারপর গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ার মতন বংশের প্রথম বুয়েট পাস চৌধুরী সাহেবা হয়ে ব্লাকশিপকে ব্লাক-বাফ্যালোও বানিয়ে ইজ্জতের বার-বি-ক্যু করে রসিয়ে রসিয়ে খেয়েছে। আর আমি অবাক চোখে দেখে গিয়েছি। এমন কি আমার দেখা সবচেয়ে ফাইটিং ক্যারেক্টারও একজন এক্স-ক্রোমোজোম ধারী। আমাদের এই সহপাঠিনী তার কিডনি-রোগাক্রান্ত বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাতেন সকাল-সন্ধ্যা টিউশনি করিয়ে। আমার ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পাওয়া সবচেয়ে চিন্তাশীল দুজনের মাঝেও একজন এক্স-ক্রোমোজোম ধারী। চারিদিকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে কেবল এক্স-ক্রোমোজোম ধারীদের ছড়াছড়ি। এমনকি এই তো সেদিন যে মানুষটিকে 'সময়মত' খুব জরুরী কিছু কথা সাহস করে বলতে না পারার খেসারত হিসেবে জীবনানন্দের কবিতায় বুঁদ হয়ে থাকলাম কিছু নির্ঘুম রাত, সেই মানুষটিও এক্স-ক্রোমোজোম ধারী। জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের স্মৃতি রেখে যাওয়া এতজন এক্স-ক্রোমোজোম ধারীদের মাঝে আমি তো মানুষ হিসেবে কোনও অস্বাভাবিকতা পাচ্ছিনা। তবে কি আমার দৃষ্টিশক্তিতে কোনও সমস্যা আছে? আবারও বদলাতে হবে চশমা? কেউ কি জানেন?
বিজ্ঞান লেখক রায়হান আবীরের “মানুষিকতা” (প্রথম সংস্করণ, শুদ্ধস্বর, ২০১৩) গ্রন্থটি জানাচ্ছে-
আমরা ধারণা বদলাতে অভ্যস্ত নই, এবং ধারণা সমর্থন করে এমন প্রমাণ ছাড়া আর কোনও ধরণের পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে আগ্রহী নই। এই মহান দুটি বৈশিষ্টের ফলে আমরা চ্যালেঞ্জকারীদের মোকাবেলা করি সংখ্যাধিক্যকে পুজো করে বা গণতন্ত্র করে, যেহেতু সংগঠিত আমরাই থাকি সংখ্যায় বেশি। তাতে করে চ্যালেঞ্জকারীর পরিণতিটি কি হয় ভেবে দেখেন একবার। আমরা চ্যালেঞ্জকারীর ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ি। ঝাঁপিয়ে পড়তে না পারলে আমরা আইন করি। আমরা তার মুখ বন্ধ রাখি, নিজেদের কান বন্ধ রাখি। আমরা ধরে নেই সবাই চুপ করে থাকলে সব আগের মতই থাকবে। পৃথিবীকে রাণী বানিয়ে ঘুরবে সূর্য-চন্দ্র-গ্রহ-তারা। আমরা মিথ্যার মাঝে বসবাস করতে চাই।
অনুচ্ছেদটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে লেখা হলেও বর্ণনা পরম্পরায় এই অগোছালো প্রবন্ধের শেষ অনুচ্ছেদ হিসেবে খুব বেশি বেমানান হচ্ছে কি? পৃথিবীকে যদি জোর করে উটপাখির ডিমের মতন লম্বাটে করে ফেলা যায়, তাহলে এটাও বোধহয় চলে- তাই না? কি বলেন?
মন্তব্য
আমার জীবনের সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ অংশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আমার আশপাশের এক্স ক্রোমোজমধারীদের। হয়তো আমাদের মতো অনেকের জীবনেই এই কথাটা সত্যি। কিন্তু তবু তাদেরকে অবহেলা করতে হবে।
ওয়াই কোমোজমধারীরা হলো বনফুলের নিমগাছ গল্পের সেই বউটার মতোন, যাকে সব কাজে লাগে, কিন্তু যাকে স্বীকার করতে আপত্তি সবার।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে এক্স-ওয়াই গুলিয়ে গেছে বোধহয়
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। তারচে' চৌধুরী সাহেবেরা আসুন একখান কবিতা পড়ি:
অপ্রাসঙ্গিক হলো কি!
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
জন্মানোর দরকার কি? ধ্বংস হয়ে যাক সবকিছু!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অসাধারণ! (কবির নাম দাওনি কেন?)
দেবারতি মিত্র-র কবিতাটা পড়তে গিয়ে আরও অনেকগুলো কবিতা পড়ে এলাম। ভালো কবিতা পড়লে মনের ভিতর কি রকম যে একটা অনুভূতি হয়!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
১। হাইপেশিয়া নিয়ে সচলে অভিজিৎ-এর লেখা একটা পোস্ট আছে। আগ্রহীদের জন্য লিঙ্ক।
২। উনার নাম বেগম রোকেয়া বা রোখেয়া সাখাওয়াত হোসেন নয়, সম্ভবত রোকেয়া সাবেরা। 'সাবেরা' নিয়ে সন্দেহ পোষণ করলে শুধু 'রোকেয়া'ই বলুন। কর্ম জীবনে কৌশলগত কারণে প্রয়াত স্বামীর নাম যোগ করতে হয়েছে।
৩।
- খাইছে! দুনিয়ার মোট লোকসংখ্যা যেখানে ৭০০ কোটি সেখানে ৬৫০ কোটিই মুসলিম নারী!!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
১।
লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ পাণ্ডব'দা। ও লেখাটা দিয়েই হোমওয়ার্ক শুরু করেছিলাম।
২।
'সাবেরা' অংশের কথা জানা নেই। মূল লেখায় ইচ্ছাকৃতভাবেই বন্ধনীবদ্ধ অংশটুকু জুড়েছিলাম।
৩।
ইয়ে, মূল বইতে এটাই ছিল। খেয়াল না করেই জুড়ে দিয়েছি। সম্পাদনা করা অনুচিৎ হবে কি?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এইজন্যে কথা পেটে রাখতে নেই।
আবার জিগায়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
১।
ধুরু মিয়া। আপনে অদ্ভুত! এই গাদাখানেক বাক্যের ভিড়ে ঠিক ওখানটাতেই
চোখ আটকে গেল? তাড়াতাড়ি চোখের ডাকতর দ্যাহান গো। নইলে মাথার।
২।
হুমমমম। আমার কোনও দোষ নাই। আমারে কেউ কিছু জিগায় নাই তো।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দুনিয়ার আদ্যেক(অর্ধেক) গণ্ডগোল মনের কথা মুখে না বলতে পারার দরুণ।
ইয়ে, কিছু গণ্ডগোল থাক না গুপন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই শেষ থেকেই আবার শুরু।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
হয়তো বা! কে জানে?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আমরা সবাই নিরাপদ রাস্তার আশায় ঘরে বসে আছি, কিন্তু এই 'বসে থাকা' রাস্তাকে দিন দিন আরও অনিরাপদ করে দিচ্ছে, শেষমেষ ঘরে দমবন্ধ হয়ে মরাই যে হবে আমাদের পরিনতি, সে কথা আমরা কেউ খেয়াল করছি না!
চিন্তাজাগানিয়া লেখা, সাক্ষীদা!
।।।।।
অন্ধকূপ
হ্যাঁ, শৌখিন রাজামশায়ের সাধের দুধের পুকুর শেষমেশ পানিতেই ভরে ওঠে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
চুপচাপ পড়ে গেলাম। মন্তব্য করার সাহস নাই। ইনফেক্ট নারী সপ্তাহের কোনো লেখাতেই কমেন্ট করার সাহস হয় না, তবুও দুই চার কথা বলে যাওয়া...
আর হ্যাঁ, আপনার ঐ ছাত্রীর প্রশ্ন কিংবা বলা কথাগুলির কোনো উত্তর আমার কাছেও নাই। থাকার কথা না...
ডাকঘর | ছবিঘর
১। হ্যাঁ, আমারও একই অবস্থা, চুপচাপ পড়ে পালিয়ে যাই নিরাপদ জীবনে
২। কারো কাছেই নেই, কখনও কখনও সিলেবাস পাল্টাতে হয় বোধহয়...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ও হ্যাঁ বলতে ভুলে গেছি, আপনার এই ব্লগের শিরোনামটা অনুপমের অসাধারণ গানটা থেকে নেয়া। কাকতালীয় ব্যাপার কি জানেন, গতকাল সন্ধ্যায় অনুপমকে প্রথমবারের মতো লাইভ শুনে এলাম। অনেক গানের সাথে এই গানটাও গেয়েছিলেন অনুপম
ডাকঘর | ছবিঘর
গানটা থেকেই শিরোনাম ধার নেয়া, তাপস দা। নিছক অলসতায় কৃতজ্ঞতা স্বীকার হয়নি। গানটা (কিংবা অনুপমের গানগুলো) আসলেই চমৎকার। প্রথম পঙক্তির বদলে ঐ গান থেকেই ধার করে "আজ শেষমেশ নেই তোর কেউ নেই..." দিলেও শিরোনামটা বেমানান হতনা বোধ করি।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সাক্ষী-দাদা, আজকে এ লেখা আর আমার লেখা একই খাতে বয়েছে। আপনার লেখা অবশ্যই আরও সমৃদ্ধ।
আপনার লেখার ত আমি সদাই গুণমুগ্ধ। তারপরে আবার এ লেখায় এক্স-ক্রোমোজোম-এর জয়গান। ভালো লাগার তাই সীমাপরিসীমা নেই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আমারও প্রায় একই অনুভূতি। আপনার বর্ণিল ক্যালিডোস্কোপ পড়ে এসেছি লহমা দা। এই প্রকল্পাধীন কোনও লেখাতেই মন্তব্য করা হয়নি, সে প্রক্রিয়া জারী রেখেছি ওখানেও। (আফসোস, সব প্রতিমারা রীতি ভাঙবার সাহস করে ওঠেন না)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
একদিন নিশ্চই অবস্থা পাল্টাবে।
ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার দেখিনা।
লেখা ভাল লাগলো। হাইপেশিয়াকেও আবার পড়া হবে।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হুমম... দেখা যাক... অপ যে ইক্ষা, তারই নাম অপেক্ষা। নিষ্ঠুর দুনিয়া!
আরও হাজারো হাইপেশিয়া জন্মাক, খালি জীবনের শেষটা ভিন্ন হোক।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মেয়েদের জীবনটা অনেক ক্ষেত্রেই শুরু আর শেষ গুলিয়ে ফেলে!
লেখা ভালো লাগলো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হুমম... ভাগ্যিস জেনেটিক লটারিতে জিতেছিলাম
বহুদ্দিন পর আসলেন মনে হয়...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আমাদের তিনটে বোনের একটিমাত্র ভাই। মাস্টার বাপ-মা কিনা বড্ড পাগল, সব কয়টায়ে পড়ালেখা করাতে চায়; এলাকার মানুষ দুঃখে শেষ, এইসব এক্স ক্রোমোজমরে পড়ানো মানে তো গুষ্টির টাকাটারই শ্রাদ্ধ শুধু, এতই যদি শখ, তাইলে শুধু ছেলেটারে পড়ালে হয়! আহা রে, আমার বাপ-মায় বুঝলো না কোনোমতে।
বাবা বরাবর আলসে মানুষ, আরামপ্রিয়। আমাদের বড় করে তোলা থেকে সংসার সামলানো, বাবার তিন তিনবারের স্ট্রোকসহ এই দুই সপ্তাহ আগের প্রেসার বাড়ার ঝক্কি সামাল দিল আমার মা, একাই। তারপরও অন্যদের কাছে মায়ের শুনতে হয়-বাড়ির মালিক কিছু না কইলে তুমি কও ক্যান? বোঝেন!
একটা কানকথা আছে। যৌন হয়রানি নিয়ে আমাদের স্কুলের বইয়ে আমরা একটা কমিক লিখলাম, আমার বসের চ্যাপ্টার ছিল সেটা। শিলা নামের ভীরু মেয়েটাকে যে বাঁচালো কমিকটায় আর বদমাশ ছেলেটার কান ফাটিয়ে দিল তার নাম জ্যোতি, মানে একেবারে খাঁটি এক্স ক্রোমোজমধারী সেও, কোনো কুংফু ক্যারাটে জানা হিরো রাখতে চাইনি আমরা।
দেবদ্যুতি
১।
হ, মাস্টর বাপ-মা একটি অভিশাপ। উনারা সবাত্তে বেশি বুজে!
২।
আমাকে বুঝতে হবে কেন? জেনেটিক লটারিতে জিতে গেছি তো!
৩।
বুঝি নাই! বিস্তারিত বলা যাবে? কোনও বইয়ের প্রকল্পে আছেন?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, সেখান থেকে একটা স্কুল প্রজেক্ট হাতে নেয়া হইছে। প্রতিষ্ঠানের অন্য স্কুল প্রজেক্টের মত দাতব্য টাতব্য নয় একেবারে রীতিমতো বাণিজ্যিক বাংলা মাধ্যম স্কুল, মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য। স্কুল চলছে গত বছর থেকে, বাচ্চারা সব এক ক্লাস করে উপরে উঠে গেল এবার। তো আমার/আমাদের চাকুরি হইল গিয়া সেই স্কুলের বাচ্চাদের জন্য ম্যাটেরিয়াল ডেভেলপ করা-মানে একেবারে পাঠ্যবই, শিক্ষক সহায়িকা থেকে শুরু করে শিক্ষকদের জন্য বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সব। স্কুলে জাতীয় পর্যায়ের বই রাখা হয় সহায়ক হিসেবে। পাঠ্যবই তৈরি করতে গিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম মেনে এবং জাতীয় পর্যায়ের বই থেকেও আমরা চেষ্টা করছি একই বিষয়বস্তুর উপর আরেকটু সমৃদ্ধ, সুখপাঠ্য, সহজ, শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করা যায় কি না। তাই আমাদের গণিত বইয়ে গল্প আসে, বিজ্ঞানে কমিক। আমি অধম কাজ করি সামাজিক বিজ্ঞানে-টানা একঘেয়ে আলোচনার বদলে বিষয়বস্তু অনুসারে গল্প, ছবি, কমিক অ্যাড করি আমরা। কাজটা করতে কষ্ট আছে আবার অনেক আনন্দও আছে। অবশ্য আগামী বছরের জন্য প্রোগ্রাম হেড বলে দিয়েছেন-‘নো বই, শুধু শিক্ষক সহায়িকা’। আমাদের মন খুব খারাপ
দেবদ্যুতি
আহা, আপনাদের প্রজেক্ট "জাতীয়করণ" করে নিতে মন চাইছে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন