গতকাল বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রচারিত একটি ঢাউস বিজ্ঞাপন অনেকেরই নজর কেড়েছে। বিজ্ঞাপনের শিরোনাম “২০১৫-১৬ ইং সেশনে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজবের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বক্তব্য।” শিরোনামটি লক্ষণীয়। এখানে স্পষ্ট ভাবে “গুজবের” কথা বলা হয়েছে, অভিযোগ বা অন্য কোনও শব্দ ব্যাবহৃত হয়নি। অর্থাৎ, কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত যে এটি কেবলই গুজব। আসুন বাকিটুকু দেখা যাক।
প্রথমেই বলা হয়েছে-
এবার ২০১৫-১৬ (শিক্ষাবর্ষে) এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে ৯৮.৭৯% ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট জিপিএ নম্বর ৯.৫ এর ওপরে রয়েছে।
এই বিসমিল্লায় গলদ মার্কা বাক্যটি আমার মোটা মাথায় এখনও ঢোকেনি। জিপিএ’র সঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্পর্কটি ঠিক কি? জিপিএ ৫ পেলে মানুষ প্রশ্নপত্র ফাঁস করে না বা করতে পারে না? আমি বুঝি নি।
চতুর্থ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে-
প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে সকল অভিযোগ বিভিন্ন মহল কর্তৃক উত্থাপিত হয়েছে তা মোটেও সঠিক নয়। গত ১৫/০৯/২০১৫ ইং তারিখ মঙ্গলবার, ১৭/০৯/২০১৫ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার এবং ২২/০৯/২০১৫ ইং তারিখ মঙ্গলবার RAB কর্তৃক MBBS ও BDS ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের জালিয়াতি ও প্রতারণার সাথে জড়িত সন্দেহে ধৃত ০৩টি চক্রের কারও কাছে MBBS ও BDS ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় নাই। পরিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভুয়া প্রশ্নপত্রের প্রলোভন প্রদানকারী সংঘবদ্ধ চক্রকে RAB কর্তৃক গ্রেফতারের সংবাদ ইতিমধ্যে দেশবাসী অবগত আছেন।
এর প্রেক্ষিতে যে সব উটকো প্রশ্ন আসে তা হল- প্রথমতঃ উক্ত চক্রের কাছে কোনও প্রশ্নপত্র পাওয়া না গেলে তারা কি তাহলে নিরপরাধ (ঠকবাজি ব্যাতিত) বলে গন্য হবে? দ্বিতীয়তঃ উক্ত চক্রের ভোক্তা শ্রেণীকে ঠিক কি করা হবে? তৃতীয়তঃ কোনও প্রশ্নপত্রই পাওয়া না গেলে ভুয়া প্রশ্নপত্র শব্দটি আসছে কেন?
পঞ্চম অনুচ্ছেদে আরও বলা হয়েছে-
এখানে উল্লেখ্য যে, ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কোনও মহল কর্তৃক প্রশ্ন ফাঁসের কোনও অভিযোগ উত্থাপন হয় নাই। এমনকি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় যখন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্য ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন তখনও কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে মন্ত্রীর কাছে কোনও অভিযোগ তোলেন নাই। অধিকন্তু, সারা দেশের ২৩টি ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিদর্শকদের কাছেও কেউ প্রশ্ন ফাঁসের কোনও অভিযোগ তোলেন নাই। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উত্থাপন ও ভর্তি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে দাখিলকৃত রিট আবেদনটি মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক খারিজ ও পরবর্তীতে আপীল বিভাগ কর্তৃক উক্ত খারিজ আদেশ বহাল রাখায় এই বিষয়টি মীমাংসিত।
এই অনুচ্ছেদে আন্ডারলাইনকৃত অংশের সাথে পুর্বোক্ত অনুচ্ছেদের আন্ডারলাইনকৃত অংশ স্পষ্টত সাঙ্ঘর্শিক। উপরন্তু, প্রশ্ন তলা যেতে পারে- প্রথমতঃ তাহলে কি পরে উত্থাপিত অভিযোগ আমলে নেয়া হবে না? দ্বিতীয়তঃ আইনী প্রক্রিয়ায় উত্থাপিত অভিযোগটি এবং তার জবাবগুলো ঠিক কি ছিল? তৃতীয়তঃ রিট আবেদন দাখিলে কোনও পদ্ধতিগত দূর্বলতা ছিল কিনা?
সপ্তম অনুচ্ছেদে আবারও প্রথম অনুচ্ছেদের চর্বিত চর্বণ বিস্তারিত বলা হয়েছে-
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, কোটা ব্যাতিত কোনও ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ মোট নাম্বার ৯.০৮ এর কমে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি। মোটামুটিভাবে বলা যায় জিপিএ মোট নম্বর ৯.৫ বা তার বেশি পেয়ে ছাত্রছাত্রীরা মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সুতরাং প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এবং সুবিধা নিয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে এই অভিযোগটি সঠিক নয়।
আমি আবারও জিপিএ সীমা এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের আন্ত-সম্পর্কটি বুঝতে অপারগ। কেউ কি বুঝিয়ে বলতে পারেন? এটি কি অপ্রাসঙ্গিক এক খড়মানবকে হত্যা প্রচেষ্টা? তাছাড়া, এইচএসসিতেও কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আছে যার নিস্পত্তি হয়নি। সেক্ষেত্রে বরং অধিক জিপিএধারীদের সাথেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের (উভয় পরীক্ষায়) একটা দূর্বল যোগসূত্রের আশংকা চোখে ভাসে।
সর্বশেষ অনুচ্ছেদে আবারও বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে উল্লেখযোগ্য সঙ্খ্যক পরিক্ষার্থী যোগ্যতা অর্জন করার দাবী জানানো হয়েছে। যদিও উল্লেখযোগ্য সংখ্যার সমর্থনে কোনও পরিসঙ্খ্যান উল্লেখ করা হয়নি। এই প্রেক্ষিতে জানানো শেষকথা জানানো হয়েছে-
সুতরাং, অধিদপ্তর অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে দেশবাসীকে জানাতে চায় যে, প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি নিতান্তই গুজব ও ভিত্তিহীন। অত্র অধিদপ্তর আশ্বস্ত করতে চায় যে, MBBS/BDS ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষা করে প্রথাগত ঐতিহ্যের সাথে প্রতিবছর সম্পন্ন করা হয়।
আমি, কেন যেন এই “কদলীভক্ষণের অস্বীকৃতির” দাবিতে ঠিক আশ্বস্ত হতে পারছি না। বরঞ্চ, প্রথাগত ঐতিহ্যের অংশটি আমাকে ২০০৬ সালের ঐতিহ্যবাহী ভর্তি পরীক্ষার স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে। আর, আজকে একজন অভিযুক্তের মৃত্যু মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০০১-০৬ সময়ের অপারেশন ক্লিনহার্ট এর কথা, যার দায়মুক্তি সম্প্রতি উচ্চ আদালতে বাতিল হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তের মৃত্যুতে আরও অনেক রাঘব বোয়ালেরা ঢাকা পড়ে গেলেন কিনা, সেই সন্দেহও বাড়ছে।
কিছুদিন আগে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে একটি আপাত সফল আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। শিক্ষায় ভ্যাট আরোপ করাটা আসলেই নীতিবিরুদ্ধ কিনা আমি নিশ্চিত নই। যেহেতু ব্যাপারটি মীমাংসিত তাই এ ব্যাপারে আপাতত কথা বাড়াতে চাই না। তবে, আমার দৃষ্টিতে এই আন্দোলনে সর্বাধিক লাভকারী পক্ষটি শেষমেশ মালিকপক্ষ। শিক্ষার্থীরা (ভোক্তাপক্ষ) পেয়েছে বড়সড় মনকলা। যাকগে, দ্যাট ইজ নান অফ মাই বিজনেস! বিরক্ত হচ্ছেন? জ্বি না, বাহে। এটিই বড় আকারে জনমত, প্রশ্নফাঁসসংক্রান্ত কেইসে। তাহলে ঘরের খেয়ে ডাক্তারের মোষ তাড়াতে যাব কোন দুঃখে শুনি? হতাশার বানী বৈকি, কিন্তু তেতো সত্য। আই এম একদম ফেডআপ।
এই খবরে কি বলছে- টিপেটুপে পড়ে দেখুন, আবার বলার মুড নেই। অর্থাৎ, মনে করুন জনৈক কলিমউদ্দিন ও জনৈক ছলিমুদ্দিনের ক্লাসিক কেইস। কলিমুদ্দিন হল সামান্য তস্কর, সোজা বাংলায় সাদামাটা ছিঁচকে চোর। আর ছলিমুদ্দিন হল বেশ পয়সাদার লোক, তবে ভদ্রলোক, সমাজে একটা ভাব আছে আরকি। কেবল শিক্ষা-দীক্ষায় একটু কম আছে, যাকগে ও দিয়ে আর কি হয়। এখন, ক্লাইম্যাক্সে আসি। ছলিমুদ্দিন একদিন তারচেয়েও বড়লোক জালিমুদ্দিনের বাসায় বেড়াতে গেল। বাসায় গিয়ে দেখে মাইকেলাঞ্জেলোর ভেনাস তার সংগ্রহে। ভেনাসকে দেখে লুল্পুরুষ ছলিমুদ্দিনের তো মমিন ওষ্ঠাগত। চাইতে গিয়ে দাম শুনেই গেল মাথা ঘুরে। এখন উপায়? মমিনের জ্বালা বড় জ্বালা, একবার যখন জেগেছে পাথুরে ভেনাসকে ছাড়া তার রক্ষা নেই। শেষমেশ, ছলিমুদ্দিন গেল কলিমুদ্দিনের কাছে। চুক্তি হল, দুঁদে তস্কর কলিমুদ্দিন আগামী পূর্ণিমার আগেই ভেনাসকে এনে দেবে ছলিমুদ্দিনের হাতে। এই বাবদ কিছু আগাম খরচাও হাতবদল হল। তার পর কি হল ঠিক জানা যায় না। কেউ বলে কলিমুদ্দিন আসলে জালিমুদ্দিনের বাসাতেই ঢুকতে পারেনি। কেউ বলে ঢুকেছে ঠিকই, কিন্তু ভেনাসকে দেখে তারও মমিনের অবস্থা হাম্বান্টোটা। কাহিনী যাই হোক, ফলাফল আসল ভেনাস আর ছলিমুদ্দিনের হাতে পৌছল না। কলিমুদ্দিন ভেনাসের একটা যেনতেন কুশপুত্তলিকা গছিয়ে এল। রাতে ব্যাপারটা নজরে আসল ছলিমুদ্দির। এই দেখে, তার তো মমিনের রক্ত মাথায় ওঠে আরকি। রাগ সামাল দিয়ে কোনমতে সে ফোন করল স্পেশাল একশন কন্টিনজেন্টের এরিয়া কম্যান্ডার, মেজর ডালিমুদ্দিনকে। মেজর ডালিম এইসব হোমরাচোমরার ব্যাপার ভালই বোঝেন। তিনি কলিমুদ্দিনকে এরেস্ট করে কিংকু চৌধুরী স্টাইলে দিলেন অ্যায়সা প্যাঁদানি। চুরি করেছে, প্যাঁদানি খেয়েছে- এটুকুতে কোনও সমস্যা নেই। খালি বুকে হাত দিয়ে বলুন দেখি- ছলিমুদ্দিন কি একেবারে দুধে ধোয়া সাধুপুরুষ? রায় আপনাদের হাতে।
এইবার একটু লাইনে আসি, এইসব ভোক্তারা যতদিন থাকবে- পণ্যের অবাধ কিংবা সবাধ সরবরাহও টিকে থাকবে। আর, সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকের মালিকেরা যেভাবে কোচিং সেন্টারের অশালীন বিজ্ঞাপনের লভ সামলাতে পারেন না, সেখানে তথাকথিত গণমাধ্যমের কাছে কোনও উচ্চাশা করি না। বাকি থাকল আমজনতা। উনারা ৭ম অনুচ্ছেদ মোতাবেক সকল ক্ষমতার উৎস হয়ে আনন্দে বগল বাজাচ্ছেন। আর গণতন্ত্র* মোতাবেক আশা করছেন- “আহা, শিকেটা ছেঁড়াই থাকুক, হয়ত একদিন আমিও...” (*সবাই নন, কিন্তু বিশাল এক অংশ)। তবে আর কি? নূহের নৌকা বানিয়ে চলুন অপেক্ষা করি কোনও এক মহাপ্লাবনের। নিজের হাতে যেহেতু আস্থা নেই, আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিইবা করার আছে? আফসোস, নগরের আগুন একদিন দেবালয়েও এসে হানা দেবে।
মার্কিন দেশে আর ক্যাঙ্গারুর দেশে গোলাগুলি দেখে ঠিক অবাক হইনি। নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না। তবু এই ছোট্ট ধ্বংসযজ্ঞের মাঝেও বারাক ওবামার বক্তব্য ভালো লেগেছে, ভদ্রলোক বলেছেন-
হত্যা থামাতে প্রার্থনা যথেষ্ট নয়।
আমরা কবে এভাবে ভাবতে শিখব, পাঞ্জেরী? কার মাথা ঘরের ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তিন প্রহরের বিল দেখা যাবে? কবে আমরা মানুষের কান্না থেকে সমুদ্রের গর্জনকে পৃথক করতে শিখব?
এত মন্দের মাঝেও- সকল কিছুর চেয়ে ভাল, পাঁউরুটি আর ঝোলাগুড়। গণমাধ্যমে সবচাইতে অহংকার দেখানো ত্রয়ীর মাঝে এক উইকেট পড়ে গেছে। বাকি দুই উইকেটের পতনের পরওয়ানা চলে গেছে যার যার গন্তব্যে। এনারাও আত্ম-অহংকারে ভুলে গিয়েছিলেন- নগর পুড়লে দেবালয় সেটা এড়াতে পারেনা, কেবল আগে আর পরে। যাক গে, আম্পায়ারের আঙুল তাড়াতাড়ি উঠুক। অনেক কলুষের ভারে ভারাক্রান্ত পৃথিবী আরেকটু নির্মল হয়ে উঠুক। বাংলাদেশটা আরেকটু বাংলাদেশ হয়ে উঠুক। সকলের মঙ্গল হোক।
১০.০২.২০১৫
পৃথিবী, সৌরজগৎ
মন্তব্য
"হত্যা থামাতে প্রার্থনা যথেষ্ট নয়।"
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
হ, খালি যদি সবাই বুঝত
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
১। বিজ্ঞপ্তিটা আমিও দেখেছি।
বংগবন্ধু হত্যাকান্ডের রায়ে বিচারক গোলাম রসুল সাহেব বলেছিলাম, আসামীদের রক্ষার জন্য করা ইনডেমনিটি বিলই তো হত্যাকান্ডের প্রমান। রাষ্ট্রপক্ষ তা তুলে ধরতে পারেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তির ভাষাটাও তো পরীক্ষায় অনিয়মের প্রমান। অনেকেরই বুঝতে তা সমস্যা হচ্ছে।
২। আগামী ৬ তারিখ শুনানী, সকল পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস কারা করে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কাছে নামসহ জানতে চেয়েছি। আপনিও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়কে এভাবে দাড় করান।
কোটি কোটি টাকার বানিজ্য। ছিটেফোটা কিছু পাইলেও পাইতে পারেন।
বিপ্লব কর্মকার।
, শুভকামনা রইল
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সাক্ষী ভাই,
- এর পরে এটাও জুড়ে দিন না --
পুরো ঠিকানাটা দিয়ে দিলে অন্যকোন গ্যালাক্সি কিম্বা কোন প্যারালেল ইউনিভার্স থেকে পাঠানো চিঠি আর পথভুলে ভুল ঠিকানায় চলে যাবে না, চলে যাবে না অন্যকোন ইউনিভার্সে বা অন্যকোন গ্যালাক্সির অন্যকোন সৌরজগতের অন্যকোন পৃথিবীতে। আমার ক্ষেত্রেও একবার এই ঘটনা ঘটেছিল কিনা, তাই আপনাকে একটু সাবধান করে দিলাম। পুরো ঠিকানাটা দিয়ে দেওয়াই ভাল। আমাদের নিকটতম এ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সিতে অবস্থিত মহাজাগতিক ডাকবিভাগের ডেড লেটার আপিসে হারানো চিঠির খোঁজ নেয়াটা বড়ই ঝকমারির বিষয়!
****************************************
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
পঞ্চাশ এর সাথে সাত যোগ করলে কত হয়, কন তো দেখি?
হে হে, সাফি ভাই,
যাহাই ছাপ্পান্ন তাহাই আটান্ন, মাঝে আর কিছু নাই।
বামপন্থী সীমা আর ডানপন্থী সীমা মিলছে না কিনা!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর এর বিখ্যাত প্রবচনটি আপনার লেখার শিরোনাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন। আমি অবশ্য নামকরনের সার্থকতা ঠিকঠাক মত উপলব্ধি করতে পারি নাই। তার চেয়ে আসেন এই প্রবচনটি রচনার প্রেক্ষাপট আলোচনা করে কিঞ্চিৎ আনন্দরস সিঞ্চন করি-
সরফরাজ খাঁ কে পরাস্ত এবং হত্যা করে আলীবর্দি খাঁ যখন রাজক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হচ্ছিলেন, সেই সময় আলীবর্দির জামাতা সৌলদজঙ্গ(সৈয়দ আহমদ খাঁ) উড়িষ্যার ভুবনেশ্বর দখল, লুটপাট ও ছারখার করে দিল। ভুবনেশ্বর ছিল দুর্গা সহ শিবের সর্বদা অধিষ্ঠান, দুরাত্মা মোগল এই স্থানের দৌরাত্ম করায় শিবের শিষ্য নন্দী মহাক্রোধে প্রলয় শূল নিক্ষেপ করে যবন বিনাশ করতে উদ্যত হলে শিব তাকে নিরস্ত করে বললেন- এতে করে একজনকে বোধ করতে গিয়ে বিস্তর মারা পড়বে। তার চেয়ে আমার ভক্ত রঘুজি কে স্বপ্ন দর্শন করাও, সে ব্যবস্থা গ্রহন করবে। স্বপ্ন দর্শনে বর্গী রাজা মহাক্রোধে অধীর হয়ে তার সৈন্য সামন্ত বাঙালা দখল করার জন্য প্রেরন করলো। বর্গী সৈন্যদল বাঙালার লোকজনকে মারিয়া কাটিয়া, তাদের বৌ-ঝি' দের লুন্ঠন করিয়া, বাঙ্গালাকে শ্মশানে পরিনত করিয়া মহাপাতক যবনকে উপযুক্ত শিক্ষা প্রদান করিয়াছিল। তবে কিনা-
নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়।
বিস্তর ধার্ম্মিক লোক ঠেকে গেল দায়।।
সুত্রঃ গ্রন্থসূচনা পর্ব, অন্নদামঙ্গল কাব্য।
এই শানে নুযূল জানা ছিল না,
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বাংলাদেশ আরেকটু বাংলাদেশ হোক। সবার ভালো হোক। ৫৭ ধারার মতো অন্ধকার সকল ধারা বাতিল হোক।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আলো আনতে প্রার্থনা যথেষ্ট নয়। তবু আশা, মঙ্গল হোক।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মন্ত্রী-কোটালদের চৌদ্দগোষ্ঠীর চিকিৎসা যদি সরকারি হাসপাতালে করা বাধ্যতামূলক করা যেতো, চিকিৎসাব্যবস্থা রাতারাতি পাল্টে চকচকে হয়ে যেতো। এখন তো পেট গুড়গুড় করলেও একেকজন সিঙ্গাপুর লণ্ডনে দৌড় লাগায়।
কেন যেন মাঝেমধ্যে মনে হয়, সিঙ্গাপুরে ডাক্তারি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হবে।
১। বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রথমদিকে এর বিপরীতে অবস্থান নিয়েছিলেন। ইদানীং, তাঁর সেই অবস্থান আর দেখিনা। এই দৌড়ঝাঁপ কি পুরোপুরি স্বেছায়? নাকি পেছনে আরও কিছু আছে?
২। হে হে হে... খারাপ না। বহুদ্দিন ঝাকানাকা পড়ি না। এক কাম করেন। কিংকু চৌধারি আর ঝাকানাকারে হেলথ ভিসায় সিঙ্গাপুর পাঠায় দ্যান, প্রশ্নফাঁসের হন্ত-দন্ত-তদন্ত করে আসুক একটা। সিঙ্গাপুরের ওপর নিশ্চয় ৫৭ ধারা নেই। আমরাও একটা স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের ঝাকানাকা পড়ি।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বাংলাদেশটা আরেকটু বাংলাদেশ হয়ে উঠুক।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
আমেন।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আপ্নের কাছে পমাণ আছে প্রশ্ন পত্তর ফাঁসের? হুদাই অশান্তি করেন কেনু র্যা! স্বাস্হ্য মন্ত্রী যা বলার বলে দিয়েছেন। অতএব চুপ থাকুন।
সারা পিতিমিতে অশান্তি ছড়ালে নিজের ঘরেও তার কিছুটা প্রভাব না পড়লে কেম্নে কি! আম্রিকার হইছে সে দশা।
উইকেট মুইকেট কি আবার! আগাছা মাটির গভীর পর্যন্ত শিকড় গেড়ে ছিল। উপড়ানো হচ্ছে কেবল।
উইকেট পতনের শোকে মাতম হবে পাকমনপিয়ারু শিবিরে। এদিকে হবে আগাছার ভারমুক্তির স্বস্তি- ঠিক কিনা?
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজে যাইয়াই এই অবস্তা, না যাইলে কী যে হইতো! আগাছাগুলা সব উপড়াক, সব কয়টা।
দেবদ্যুতি
মন্তব্য করার কথা খুঁজে পাচ্ছি না তবু একটা মন্তব্য করে গেলাম
দেবদ্যুতি
বাপ রে! কথা খুঁজে পেলে না জানি কি হত! দ্রিঘাংচু'রে খবর দেই গিয়ে...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
১। প্রশ্নানুভূতি?
২। হুমম...
৩। হোক
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন