তাক থেকে নামিয়ে - ০৫

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০১/০৭/২০২০ - ১১:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

সুবে-বাংলায় এখন রাজত্ব চলছে বখতিয়ারের ঘোড়ায় চড়ে ‘সহসা’ রাজ্য দখল করে নেয়া প্যারাডক্স উদ্দিন মুহম্মদ বিন সাজিদ খলজী এবং তাঁর অমাত্যবর্গের। বিজ্ঞান সাহিত্যে একসময় শীর্ষে ছিলেন জহুরুল হক, আবদুল্লাহ আল মুতী কিংবা দ্বিজেন শর্মারা। এরপরে কিছুদিন লিখে থেমে গেছেন অভিজিৎ রায়, অনন্ত বিজয় দাসেরা। থেমে গেছেন, কিংবা থামিয়ে দেয়া হয়েছে- এটিই বোধহয় সত্যের কাছাকাছি। পরের প্রজন্মে বিজ্ঞান সাহিত্যে এখন পর্যন্ত বেশ নিয়মিত এবং ভাল লিখছেন প্রদীপ দেব এবং সৌমিত্র চক্রবর্তী। প্রথমজন লিখে থাকেন মহাকাশবিজ্ঞান আর ভৌতবিজ্ঞান নিয়ে, দ্বিতীয়জন বেশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে লেখেন। প্রথমদিকে সৌমিত্র চক্রবর্তীর গণিত বিষয়ক লেখা মুগ্ধতা নিয়ে পড়েছি। পরে চোখে পড়েছে, তিনি জীববিজ্ঞান নিয়েও লেখেন, এবং ভাল লেখেন। পেশায় যিনি চিকিৎসক তিনি ভাল জীববিজ্ঞান জানবেন এটিই প্রত্যাশিত (বাস্তবে কি হয়, চেপে যান)। একজন চিকিৎসক নিয়মিত গণিতের বই লিখছেন, এটি সমাজের দৃষ্টিতে বেশ উঁচুজাতের অপরাধ বৈকি। আমাদের এই উদ্ভট উটের গ্রীবার মতন সমাজে জীববিজ্ঞান আর গণিতকে প্রথমেই মুখোমুখি করে দেয়া হয়। আমি নিজেই এর শিকার। কাঁটাছেড়া ভয় পেতাম (হুঁ ঠিক ধরেছেন, অতীৎ নয়, ঘটমান বর্তমান কাল হবে) বলে আগেভাগেই জীববিদ্যার পাঠ চুকিয়েছি। মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ে বিষয়টি রাখিইনি পাঠ্যক্রমে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমি প্রথমবারের মতন জীববিজ্ঞান পড়েছি স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে এসে। সম্ভবত শিক্ষকের গুণেই তখন প্রথমবারের মতন বুঝতে শিখি, আহা জীববিজ্ঞান কত সুন্দর। অথচ, আজীবন একে ভয় পেয়ে এসেছি। পপ-সায়েন্সের ঘোলে তো আর সায়েন্টিফিক দুধের স্বাদ মেলে না। তো, যা বলছিলাম- চিকিৎসক মহোদয় এতদিন লিখেছেন গণিত আর জীববিজ্ঞানের বই। এবার লিখেছেন গবেষণার গোড়ার কথা নিয়ে। যথারীতি চমৎকার লিখেছেন। বইটিতে পইপই করে বলা আছে এটি বাচ্চাদের বই। আমার ধারণা, রাজকুমার হিরানি পিকে চলচ্চিত্রে যে কারণে খামাখাই অপ্রাসঙ্গিক একটি এলিয়েনের চরিত্র সৃষ্টি করে তার মুখ দিয়ে যাচ্ছেতাই বলিয়েছেন, লেখকের উদ্দেশ্যও তেমন। নইলে এই আপাত গুরুগম্ভীর বইটি কোনভাবেই বাচ্চাদের বই নয়। তবে, বাচ্চাদের ছোট থাকতেই এমন পরিষ্কার করে গবেষণা সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো বুঝিয়ে দিলে, বয়সকালে সেটি সাজিদের টিকা হিসেবে কাজ করতে পারে।

২।

এই বইটির কথা বিশেষভাবে আলোচনা করা প্রয়োজন, কেননা জাকির নায়েক, সাজিদ, সাইফুর রহমান কিংবা শামসুল আরেফিনদের পুনরুৎপাদিত হেত্বাভাসের প্রচুর কাটতি রয়েছে বাজারে, এবং সেটি নিরংকুশ। অভিজিতেরা চলে গেছেন, আরও যারা পারতেন, তারা অনেকেই ভয়ে লেখেন না (তাঁদের দোষ দিই না, তাঁরাও মানুষ)। ফলাফল হচ্ছে, কোন আপাত বিরোধিতা ছাড়াই বক্তিয়ার খলজিরা সপ্তদশ অশ্বারোহী সহযোগে আক্রমন করে ফাঁকা মাঠের দখল নিয়ে ভাইরাসের লাল ঝাণ্ডা উড়িয়ে চলেছেন দিগ্বিদিক। বক্তিয়ার খলজিরা খুবই ধুরন্ধর, তাঁরা মানুষ যা শুনতে পছন্দ করে, ঠিক সেই কম্পাংকে লেখেন, ফলে অনুনাদটি উত্তোরত্তর ছড়িয়ে পড়ে বিবর্ধিত হয়ে। অথচ, ফাঁকা আওয়াজটিকে ফাঁকা আওয়াজ বলার মতন কেউ নেই। বহুবার মনে হয়েছে প্যারাডক্সিক্যাল হেত্বাভাসগুলোর গোছানো একটি জবাব থাকা দরকার। কিন্তু, ঐ যে বললাম, সাহস করা মুশকিল। কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে অবশ্য চেষ্টা করেছেন। তাঁদের প্রতি নিরন্তর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। আলোচ্য বইটি চমৎকার লেগেছে এজন্যই যে, আমার লিখতে চেয়েও সাহস করতে না পারা লেখাগুলো কেউ লিখেছেন, এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে লিখেছেন। আগেই বলে নেয়া ভাল, এটি কিন্তু নির্ভেজাল বিজ্ঞানের বই। কোনভাবেই এটি প্যারাডক্সিক্যাল বইগুলোকে খন্ডণ করে লেখা কোন বই নয়। চিকিৎসকেরা বলে থাকেন- নিরাময় অপেক্ষা প্রতিরোধ উত্তম। চরম উদাসের ভাষায়- আল প্রিভেনশান ইজ খাইরুম মিনাল কিউর। এ বইটি আসলে প্রতিষেধকের কাজ করতে সক্ষম। প্যারাডক্সিক্যাল ভাইরাসের টিকা একটিই, সেটি সঠিক তথ্য- যা এ বইতে অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় পাওয়া যাবে। বিজ্ঞানপ্রিয় প্রতিটি পাঠকের কাছে সৌমিত্র চক্রবর্তী একটি টুপিখোলা সম্ভাষণ পেতে পারেন।

৩।

বইটিতে লেখক পাঁচটি আলাদা অংশে সাজিয়েছেন সূচীপত্র। প্রথম অংশের নাম- ‘সত্যিকারের বিজ্ঞান’। এরপরে আছে- ‘দরকারি পরিসংখ্যান’, ‘গবেষনার আদ্যোপান্ত’, ‘শিশু-কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেস’ এবং, ‘পরিশিষ্ট’। দ্বিতীয় অংশে লেখক বেশ কড়াকড়িভাবে পরিসংখ্যান শিখিয়েছেন। তথ্য-উপাত্তের ধারণা থেকে শুরু করে, সম্ভাবনা এবং অনুকল্প যাচাই সবই এতে আছে। এই অংশটি আসলে এমনকি স্নাতক পর্যায়ের পাঠ্যবই হিসাবেও কাজ চালিয়ে নেয়ার মতন। এতে সর্বশেষে আছে “কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয় সহজ নয়” শিরোনামে একটি অধ্যায়। আহা, এই অধ্যায়টি সবাই পড়ে ফেললে ‘জ্বালানিবিহীন বিদ্যুৎ’ উদ্ভাবক আর ‘দেখুন ভিডিওসহ’ ব্যাবসায়ীরা পথে বসে যাবে। বইটির তৃতীয় অংশে লেখক আক্ষরিক অর্থেই গবেষণার হাতেখড়ি দিয়েছেন। চাকরিজীবনের গোড়ার দিকে ‘রিসার্চ মেথডলজি’ নামের এক বিদঘুটে প্রশিক্ষণে গিয়ে পাঠ্যবইয়ের অভাবে অকূল পাথারে সাঁতরেছি! আহা, সৌমিত্র! এ অধ্যায়টি কেন আগে লেখেন নি? মুহম্মদ জাফর ইকবালের কাছে জবাব চাই। পরবর্তী অংশে আসলে শিশু-কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেস নামের চমৎকার একটি উদ্যোগের বিস্তারিত জানানো হয়েছে। নামে শিশু-কিশোর হলেও এর প্রক্রিয়াটি পুরোই বিজ্ঞানসম্মত। সবশেষের পরিষিষ্ট খণ্ডে বেশ কিছু অন্তর্জালিক সংযোগ এবং সহায়ক বইপত্রাদির তালিকা আছে। সেইসাথে আছে একটি বিজ্ঞান গবেষণা পত্রের নমুনা। আর প্রথম খণ্ড? পপকর্ণ নিয়ে বসুন, বলছি। একটু চা খেয়ে আসি? তারপর।

৪।

আসলে প্রথম খণ্ডের খুব বিস্তারিত আলোচনা করতে আগ্রহী নই। এখানে কেবল প্রথম অংশের কিঞ্চিৎ ‘উস্কানিমূলক’ উপ-শিরোনামগুলো নিয়ে আগ্রহী পাঠকদের একটু চুলকে দেব। বাকিটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যপার। এতে আছেঃ
১.১ পরম সত্যের সন্ধান বিজ্ঞানের কাজ নয়
১.২ মিথ্যা প্রমাণ করতে পারাটা কেন জরুরি?
১.৩ দুনিয়াটা কি আসলেই আছে?
১.৪ বস্তু কাকে বলে?
১.৫ শুধুই একটা থিওরি- কথাটা কেন ভুল?
১.৬ স্বীকার্যেরও প্রমাণ আছে
১.৭ অণুকল্প প্রমাণ করলেই তত্ত্ব হয় না
১.৮ সবকিছুকে ব্যাখ্যা করে এমন তত্ত্ব নেই কেন?
১.৯ সত্য কতটা সত্য হলে সত্য হয়?
১.১০ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এক নয়
১.১১ আমি জানি না বলতে শেখা
১.১২ বিজ্ঞান বনাম অপবিজ্ঞান

অধ্যায়গুলোতে কি কি বলা আছে, সেটি জানি, কিন্তু বলব না! আগ্রহী পাঠক নিজ দায়িত্বে পড়ে নিন। কেবল সর্বশেষ অধ্যায়, অর্থাৎ “বিজ্ঞান বনাম অপবিজ্ঞান” থেকে একটু বিবরণ দেয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। শক্ত হয়ে বসুন। এতে লেখক বিজ্ঞান থেকে অপবিজ্ঞানকে আলাদা করার সাতটি চিহ্ন দেখিয়েছেন। এতে আলোচিত হয়েছে- (১) বিভ্রান্তি-অতিরঞ্জন, (২) মিথ্যাত্ব-যাচাই বিমুখতা, (৩) পুনঃপরীক্ষণ ভীতি**, (৪) স্ববিরোধ, (৫) অগ্রগতিহীনতা, (৬) ব্যাক্তি-নির্ভরতা এবং (৭) বাগাড়ম্বর। এরপরে অপবিজ্ঞানের পীরসায়েবরা ভাঁওতাবাজি ঢাকতে যেসব হেত্বাভাসের আশ্রয় নিয়ে থাকে, তার একটি আংশিক তালিকা দেয়া হয়েছে। এই পুরো অধ্যায়টি ঝরঝরে বাংলা ভাষায় লেখা। বাংলা বিজ্ঞান সাহিত্যে এই সংক্রান্ত এমন চমৎকার লেখা বিরল। মজার ব্যপার হলা, অধ্যায়ের শেষে একটি হারবাল ওষুধের বিজ্ঞাপন ছেপে দেয়া হয়েছে। সাথে বলা হয়েছে, তা থেকে অপবিজ্ঞান ও হেত্বাভাসের চিহ্ন খুঁজে বের করতে। একেবারে কড়া মাস্টারমশায় যাকে বলে!

**সম্প্রতি এটি কোথাও দেখেছি কি? চোখ টিপি

৫।

সবশেষে আসি বইটির প্রচ্ছদ নিয়ে। বাচ্চাদের বই হিসেবে প্রচ্ছদের রঙ ও উপস্থাপন একটু একঘেয়ে রকমের বুড়োটে লেগেছে। তবে, এটি ভিন্নভাবেও দেখা যেতে পারে। সেবা প্রকাশনীর হরর সিরিজের প্রচ্ছদে এককালে বড় অক্ষরে লেখা থাকতঃ “পাঠক, আপনি ভয়ের জগতে প্রবেশ করতে চলেছেন!” লেখকও বুঝি ইঙ্গিতে পাঠককে সাবধান করতে চাইছেনঃ “পাঠক, আপনি বিজ্ঞানের জগতে প্রবেশ করতে চলেছেন!” ইদানিং টিপটোপমার্কা** অন্তর্জালিক সংবাদমাধ্যমগুলো বিজ্ঞানকে বেশ চকচকে চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকাদের মতন আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করে থাকে। টোপ গিলতে হাঁ করে বসে থাকা মাছেরাও টুপ করে সেটি গিলে ফেলে ভাবে- “আহা, কি স্বাদ!” মুশকিল হল, বাস্তবের বিজ্ঞানের চেহারা এমন নয়। জটায়ুর ভাষায় “তবে কি, হাড়হাভাতেরা আর মোর ফোটোজেনিক দ্যান যারা খেয়ে-পরে আছে?” বাস্তবের বিজ্ঞানের চেহারা কিন্তু হাড়হাভাতে হাড়গিলের মতন, মোটেই পপ-সায়েন্স পত্রিকার প্রচ্ছদের মতন আলো ঝলমলে ফোটোজেনিক নয়। এই কথাটা সরাসরি বলা প্রয়োজন। লেখক নিতান্তই ভদ্রলোক হিসাবে এটি মুখ ফুটে বলেন নি, প্রচ্ছদে বলেছেন। আগ-প্রচ্ছদের উপরিভাগে রয়েছে বিখ্যাত ডানিং-ক্রুগার লেখচিত্রটি। লেখকের সরস উপস্থাপনে এই লেখচিত্রটি বেশ বোধগম্য এবং আকর্ষণীয় হয়ে ফুটেছে। বইটির পাছ-প্রচ্ছদে লেখক একটি কার্টুন-ছবি ব্যবহার করেছেন। তাতে কি বলা আছে, সেটি আমি জানি, কিন্তু বলব না। এজন্য পাঠককে অবশ্যই বইটি সংগ্রহ করে উল্টে দেখতে হবে। মজার ব্যাপার হল, বইটি পুরোটা বুঝে না পড়লে কার্টুনটির রস বোঝা মুশকিল হবে। দারোগা-শ্রেনীর মাস্টাররা যেমন হোমটাস্ক দেন, ঠিক সেরকম ব্যাপার-স্যাপার। গত দুদিনে বিসিএস বাছাইয়ের ফলাফল আর প্রায় শতবর্ষী একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে খোমাবইয়ের দেয়াল ভেসে যাচ্ছে। শতবর্ষী প্রতিষ্ঠানটির হনুমানেরা প্রায়ই অন্তর্জালে এঁকেওঁকে “আগে চান্স পেয়ে দেখান” বলে মোলায়েম আনন্দ লাভ করে থাকেন। এবারের বিসিএস ফলাফলের বেশ ওপরদিকেই অন্যান্য চৌধুরীগোত্রীয় প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা ভাগ বসিয়েছেন বলে তাঁরা একই সঙ্গে হতচকিত এবং গোস্বান্বিত। অন্তর্জালিক গোস্বায় আলুপুড়িয়ে খেতে বেশ লাগে। দুদিন আগেই যে কোটাছাগুরা কথিত “মেধার দাবীতে” শাহবাগ আটকে লঙ্কাকাণ্ড করছিল, তারাই যখন সুর পাল্টে বিসিএসে “চিকিৎসক-প্রকৌশলীদের” আসনসংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয়া প্রয়োজন এমন হুক্কাহুয়া রব তোলে, তখন দেখতে বেশ লাগে। হৃদয়ে সদ্য-আঘাতপ্রাপ্ত উপ-চৌধুরী ভাইদের আহ্বান জানাই, আপনারা লাইনে আসুন, আলোর পথে আসুন। আর, লাইনে আসার প্রথম ধাপ হতে পারে- এ বইটি পড়ে ফেলা। পাঠা-গার ‘দখল’ করে ঘাড় গুঁজে বকেয়া পড়া পড়তে অভ্যস্ত হওয়াদের জন্য বইপড়া ব্যাপারটি কষ্টসাধ্য হতে পারে, সেটি বেশ বুঝতে পারছি। আপনারা আপাতত প্রচ্ছদটিই পড়ুন, উপলব্ধি করুন “আগে চান্স পেয়ে দ্যাখান” এই ধামকি দিতে দিতে আপনারা এই চিত্রের “সব জাইনা ফেলছি” অবস্থানে আছেন। এই ‘জ্ঞান-আরোহণ’ শেষ হলে ধীরে ধীরে নেমে আসুন। পরিশ্রম করলে একদিন নিশ্চয় পর্যাপ্ত “জ্ঞান-আহরণ” করে চিত্রের পরবর্তী শীর্ষটিতে আরোহন করতে পারবেন। ততদিন “চান্স-পাওয়া” বাগিয়ে এঁকেওঁকে ঢুঁসাতে থাকুন, তাতেই শিঙের মোক্ষ!

**টিপটোপ=clickbait

পুনশ্চঃ আজ জুলাইস্য প্রথম দিবস। শুভ জন্মদিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! শুভ জন্মদিন, সচলায়তন! হাসি

০১-০৭-২০২০


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

বইটা উলটে দেখতে আগ্রহী। কোন প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে? বিশেষ করে ১-৭ আর ১-৯ অধ্যায়গুলো।

আর টুপিখোলা অভিবাদনের ব্যাপারটা কী?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসিব ভাই, অনুপম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত।

ইয়ে, hats off এর বাংলা তো এভাবেই দেখছি বহুদিন! ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

স্বরূপ সন্ধানী এর ছবি

সাক্ষী সত্যানন্দ,

এ সিরিজের ঠিক আগের পর্বে আপনি আমার পাঠক-মনকে ভালোভাবেই চুলকে দিয়েছিলেন। সেই উপদ্রব কমাতে ইউনিভার্সিটিতে যাওয়া আসার পথে, সাবওয়ের বিস্তর গ্যাঞ্জামে বসে-দাঁড়িয়ে ইউভাল হারারি’র বইটা পড়ে শেষ করেছি।

কিন্তু এবারে তো আপনি রীতিমতো উস্কে দিলেন। বিদেশ-বিভূঁইয়ে এ বই এখন কোথা থেকে পাই? মানুষকে এভাবে বিপদে ফেলা কি ঠিক, বলুন!

রিভিউয়ের ১ম ও ২য় অংশের জন্যে টুপিখোলা অভিনন্দন জানবেন।

শেষ জিজ্ঞাসাঃ ‘হেত্বাভাস’ শব্দের ইংরেজীটা বলবেন, প্লিজ?

শুভকামনায়...

স্বরূপ-সন্ধানী
---------------------------------------------
অন্ধকারে সব-চেয়ে সে শরণ ভালো
যে-প্রেম জ্ঞানের থেকে পেয়েছে গভীরভাবে আলো

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হেহে, হারারি ধরলে ছাড়া মুশকিল। ভদ্রলোক অদ্ভুত! চাল্লু

দেশের বাইরে বই পাবার ব্যপারে একেবারেই ধারণা নেই। এখন তো আন্তর্জাতিক চলাচল সীমিত, সেটাও মুশকিল। পরিচিত কারো মাধ্যমে আনাতে পারবেন না। ইয়ে, মানে...

হেত্বাভাসের ইংরেজি হল Logical Fallacy

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

একটি চমৎকার বই পড়েছ বোঝা যাচ্ছে। হাততালি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।