অত্যাধুনিক কর্পোরেট হাউজের বিশাল কাঁচের দেয়াল। ব্ল্যাক কফি থেকে ওঠা ধোঁয়া আর মেঘলা ওয়েদারের কম্পোজিশনটাকে ছোটভাবে বলা যায়- বেশ! এবছর দেশে অনেক গরম, কামাল আতাতুর্ক এ্যাভিনিউ এর ফুটপাতক্রসারদের দেখলে তা আরো বেশী মালুম হয়। মেঘ-রোদ্দুরের খেলার সাথে ময়েশ্চার যে ঘামের প্লাবন ঘটাচ্ছে আজকে, রাতটা এলাট্রোল আর ভ্যাপারের সান্নিধ্যের জন্য এখনই আকুপাকু করছে!
আনমনা হয়ে আবার বাইরে তাকায় লিপ্টন। আব্বু-আম্মুর দেয়া এই নামের জন্যই কীনা, চা- এর বদলে কফিটাই বেশী উপভোগ করে সে। মুচকি হেসে কফির কাপে চুমুক আবার। বাতাস হচ্ছে সম্ভবত, এক তরুণের পান্জাবী'র পতপত ওড়াতে মালুম হচ্ছে। ডিসিসি মার্কেটের উল্টোপাশের বনানী মাঠে ফুটবল নিয়ে দাপাদাপি করছে কয়েকটা ছেলে। কতদিন খেলা হয়না! টাইয়ের নট একটু ঢিল দিয়ে নিজের চেয়ারটায় বসলো। 'আজকের এনওসি টা নিয়ে......' পিবিএক্সটায় কিছু আলাপচারিতা অন্যবিভাগের কলিগের সাথে। আবার কাঁচের দেয়াল দিয়ে উকি। ছেলেগুলো এখনো খেলছে। বাতাসটাও বেড়েছে। যদি একদিনের জন্য উল্টাপাল্টা হয়, তবে কী হয়? টাই-শুজোড়া খুলে মাঠে ঝাপিয়ে পড়লাম নাহয়। সিগারেটে ঝাঝরা হওয়া ফুসফুস আর কর্পোরেট আলস্যেমাখা শরীরে লাগলোই নাহয় কিছু গুতো। হাহাহা।
দু'একফোটা বৃষ্টি পড়ছে। বনানী লেকের মতান্তরে ডোবার পানিতে হালকা আলোড়ন। ফুটপাতের হাটার গতি গাড়ির গতির চেয়ে বেশি এখন। বছরের প্রথম বৃষ্টির অনেক বরকত। হয়তো আজকের সর্দিটাকে রোখা যাবে। তবে আজ বৃষ্টিতে ভেজাটা নিশ্চিত। বিরক্তিকর এক আনন্দের জন্য অপেক্ষা করাটা যথেষ্টই উত্তেজনাকর।
মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। মাঠের ছেলেগুলো দাপাচ্ছে আরো বেশী। শেষ বিকালের এ্যাভিনিউতে গাড়ির জটলা, ফুটপাতের পাশে দোকানগুলোতে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে চাওয়া মানুষের ভীড়। লিপ্টন বসে আছে, হাতে আরেক কাপ ধুমায়িত ব্ল্যাক কফি। হাসিমুখটা নস্টালজিয়া নাকি জবজবে ভিজে যাওয়ার অপেক্ষায়, তা জানতে চাওয়ার সময়টা আমারও হয়নি আজ।
মন্তব্য
বৃষ্টি...!!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আহ!
**************
শাহেনশাহ সিমন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আহারে বৃষ্টি, আয় আয়
...........................
Every Picture Tells a Story
আয় আয় আ্য আ্য কর্ছি, কিন্তুক শুনে না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
- হ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জ্বী।
**************
শাহেনশাহ সিমন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ঘুম থেকে উঠে আপনার লেখাটা পড়ে কফি তেষ্টা পেয়ে গেলো।
ও সময়টা আমার কফি টাইম
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ইশ্... বৃষ্টি আর প্যাকে কতদিন ফুটবল খেলি না...
অবশ্য আমি খেলা পারি না তেমন... কিন্তু প্যাঁকের মধ্যে গড়াগড়ি করতেই ব্যাপক আরাম।
আজকে আগারগায় গেছিলাম। দেখলাম একটা পুষ্কুনিতে একদল নেংটা পোলাপানে গোসল করে। আর প্যাঁকের মধ্যে গড়ায়। আমি তাগো ছবি তুলতে গেলাম। তারা এমন লাফালাফি শুরু করলো উৎসাহের চোটে যে প্যাঁক ছিটকে এসে আমার জিন্স রাঙায়ে দিলো। কোনোমতে লেন্স বাঁচিয়ে পলাইলাম। মন মতো ছবি তুলতে পারলাম না। ইশ্... ওগুলোর মতো আমিও একটু দাপাদাপি করতে পারতাম!!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আফসোসগুলোও নাহয় আড়াল থাকুক!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বৃষ্টিতে ভিজি প্রচুর তবে আগে ভিজতাম আনন্দে এখন ভিজি ঠ্যাকায়, উপায় নেই তাই
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
কী আনন্দনীয় ঠ্যাকা! ভাগ্যশালী আপনি!
**************
শাহেনশাহ সিমন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
এই মরা খরার মাঝে বৃষ্টি কৈ পাইলেন মিয়াভাই??
আহারে সত্যিই যদি ঝুম ঝুম করে বৃষ্টি নামতো !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ওটা প্রত্যাশা মিঞাভাই। হ যদি সত্যই নামত!
**************
শাহেনশাহ সিমন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে...
অপেক্ষায়...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমিও
**************
শাহেনশাহ সিমন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
শুভকামনা।
-----------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
নতুন মন্তব্য করুন