বাস থেকে নামতেই দমবন্ধ লাগতে থাকল। এত্তো মানুষ! অফিস ছুটির এ সময়টা সবসময়ই বিরক্তিকর। জমে ওঠা মেজাজটা একদলা থুথু'র মাধ্যমে বের করার অপচেষ্টা করলাম। হাটা ধরলাম কাকলি টু গুলশান-২। টিকিটের টাকাটা পুরাই জলে। টাকার কষ্ট আর আফটার লাঞ্চ মৌখিক হাতাহাতি'র কথা মনে পড়তেই মনের গজগজানি বেড়ে গেলো। মাত্র ধরানো সিগারেট ছুড়ে ফেলার সাথে সাথে একটা ইটের টুকরায় লাথি - নাহ! আজ মঞ্জুর বারে মানে বাড়িতে যেতে হবে। মাসের শেষ ২২ দিন কাটানোটা বেশ কষ্টের হবে।
গুলশান-বনানীর নতুন ব্রীজটার কাছে আসতে আসতে মেজাজটা ভালো হতে থাকলো। বৃষ্টিহীন বর্ষাকালের উজ্জল বিকেল থেকে সন্ধ্যা হওয়া, উজ্জল নীল আকাশে সোনালী কমলার এই কেমিস্ট্রিটা আমার খুব সুইট লাগে। আশে-পাশের গাবর গাড়িয়াল ভাইদের সাথে মিষ্টি আপামনিদেরও বেশ মানিয়ে যাচ্ছে। হাতের কাফটা খুল্লাম, টাইয়ের নট চিলা করলাম। শার্টের ইন্টা খুলব? থাকগে, যা চলছে চলুক। বেশ খুশি খুশি লাগছে। শার্টটা খুলে মুক্ত -হালকা হওয়ার অর্বাচীন ইচ্ছাটাকে পাত্তা দিলামনা। এলিট এরিয়ার এলিট ফোর্সের লোকজনের ধোলাই খাওয়ার ইচ্ছা নাই।
গুলশান-২ এ, সন্ধ্যা মিলিয়ে রাত আটটা। অন্ধাকার কে ঢেকে ফেলেছে রাস্তার আর গাড়ির উজ্জল বাতি। টিভি চলছে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে ডিওএইচএস এর দিকে এগোলাম। একজনকে দেখলাম, বোধ হয় রাস্তা পার হবে। সটান দাড়িয়ে পড়লাম।
- আপনি কী রাস্তা পার হবেন? একদম সরাসরি জিজ্ঞেস। ধ্যাৎ, এতো জলদি না জিগায় একটু ঘাম শুকায় নিলেই তো হতো!
- একটু হেল্প করুন না প্লিজ! গাড়িগুলো খুব জোরে যাচ্ছে!
সবগুলা দাত বের হয়ে গেলো যেন। হেল্প করার জন্য মনটা কতদিন ধরেই তো ওৎ পেতে ছিলো। তুমি মেয়ে কোথায় ছিলেগো? হাত ধরে ফেললাম একেবারে। রবিঠাকুরের অপুর অবস্থা যেন আমার: “আমি পাইলাম ইহাকে পাইলাম”। রাস্তা পার করিয়ে দিলাম তাকে। পরিপূর্ণ ভাবে দেখলাম আবার। সাদা কামিজ। মাথায় ম্যাচিং স্কার্ফ। স্কার্ফ পেরিয়ে পিঠ ছাড়ানো চুল, চোখে শেড। ৬০ দশকীয় ফ্যাশনের মতো, বিশাল!
সিগারেট হাতে দাড়িয়ে আছি ফুটপাথে। মেয়েটা চলে গেছে বেশ কিছুক্ষণ। । না আসি, না ধন্যবাদ! মুড মারলো?
- অ্যাই চা। একটা দাও তো।
মন্তব্য
মন খুশি থাকলে বালিকাগো রাস্তা পার কইরা দেন?
লেখাটা বড় করতে পারতেন বেশী ছোট হইয়া গেছে, জমত।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হেহেহে । আসলে মন্মেজাজ খুবই খারাপ বসের সাথে কথা কাটাকাটিতে। তাই বেশীকিছু বের হইলোনা!
গল্প না সত্য
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
গল্পমোড়ানো সত্য
হা হা .. ভালো। তবে দলাপাকানো থুথুটা কি রাস্তায় ফেলেছিলেন?
ইয়ে মানে, মনে হয় রাস্তাতেই পড়ছিলো
এইসব পোলাপানে গল্প্ও লেখতে পারে না। আরে ব্যাটা, নায়িকারে যদি সাদা কামিজই পরাবি, তাইলে বর্ষার দিনে বৃষ্টি নামাইতে অসুবিধা কোথায় ছিলো?
উফ... শুধু এই অপরাধে মাইনাচ দিলাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কামিজ পড়াইছি, শেমিজতো পড়াইনাই যে বৃষ্টি আনা লাগবো
এই গল্পের কি পরের পর্ব থাকবে ? যদি থাকে তাইলে কিছু বলার নাই । ঐ পর্ব পড়ে বলব । আর যদি না থাকে তাইলে দুইটা কথা আছে ।
১. লেখা ভালৈছে
২. আপনি ডি ও এইচ এস এর দিকে কেন যান ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
পরের পর্ব আসতেও পারে, সবই পরিস্থিতি
১। ধন্যবাদ
২। ওই রাস্তায় হাটতে আমার ভাল্লাগে
গল্প ভাল, তবে খুব বেশী সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
স্ট্রেসড অবস্থায় এরচেয়ে বেশী লেখা হয়নি আসলে।
আমিও কই, জমতাছিলো, ভাবলাম এই নায়িকারে ভিজায়ে দিবেন, তা না, গল্পই শেষ কইরা ফালাইলেন!
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
হ! শেষ ই হয়ে গেলো!!!
৬০ দশকীয় ফ্যাশন ভিজুয়ালাইজ করতে পারলাম না। একটা ছবি দেয়া যাবে সিমন ভাই!
ভালো হইছে।
এই যে এমনঃ
ওই মমিন! মাইয়া তো দেখি রীতিমতো সৌন্দর্য!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হ (বিরসবদন)
নাহ....... মনে মনে গল্পটা জমিয়ে পড়ছিলাম, দিলেন মাঝপথে শেষ করে। আপসুস!!
একটা কাম করলেন এইডা? মন মেজাজ ভালো হলে আরেকটা ছাড়েন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মন্মিজাজরে ট্র্যাকে আনার প্রচেষ্টা চলছে। হয়ে গ্যালে জমায় হয়ে যাবে
আমি কস্কী মমিনের ইমোটিকন-টা দিতে শিখি নাই এখনও!
হায় হায় মমিন!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন