'স্যার এট্টু বহেন, এট্টু...' কাচুমাচু হয়ে বাম হাতের কেনি আঙুলবাদে বাকীগুলো ভাঁজ করে নুয়ে ফেলানোর মাঝে একটা আকুতি, সেই আকুতির মানে সার্বজনীন যে বিষয়টার ইঙ্গিত দেয় সেই ইঙ্গিতের বা আবেদনকে না-মঞ্জুর করার মত পাষণ্ড আমি নই। লোকটা দাঁতকেলানো হাসিতে লুঙ্গি উঠিয়ে ফুটপাতধারে বসে পড়ার সাথে সাথে আমার বুক দিয়ে বয়ে গেলো হিমশীতল এক ভয়!। একের পর এক কু-চিন্তা মাথায় আসা শুরু হলো। চারপাশে অসহায়ের মত তাকাই। চিৎকার করে বলে উঠতে ইচ্ছা হয় 'হে মেঘ, চাঁদকে সরিয়ে দাও। হারামি, পার্সেন্টেজখোর কমিশনারের লাগানো সোডিয়াম বাতি, জ্বলে না ক্যান! রাস্তায় গাড়ি নাই কেন? হে ডেরাইভারগণ, এ রাস্তা ধরে তোমরা আরো বেশি আসো, আরো বেশি ব্যবহার করো এ রাস্তা। ঐ শ্লা রিকশাপুলার, পেটের ব্লাডার ফালায় টাঙ্কি ফিট করছোস নাকি?' কি করবো, কি হবে এসব ভাবতে ভাবতেই গলায় ধাতব, অনেক শীতল কিছু একটার অস্তিত্ব পাই। হঠাৎ, অজানা, কিন্তু অপরিচিত নয় এ স্পর্শ। চোখ রাখলাম ধাতবফলাধারীর চোখে। মৃত মাছের মত অভিব্যক্তিহীন আর ভাবলেশহীন। 'একটা আওয়াজ বাইরাইলে আজরাইলের পেয়ারা বানায় দিমু'। আমার চিৎকার করা আর হয় না। সমস্ত শব্দেরা থেমে যায়, সব কথা ঠোটের কাছে এসে থেমে যায়। শুকনো ঠোট একবার ভেজানর চেষ্টা করি জিহবা দিয়ে, খড়খড়ে জিহবাটা রাস্তার গুমোট হাওয়ায় আরো শুকিয়ে যায়। অবচেতনমনে এরকম এক স্পর্শের অপেক্ষায় ছিলাম হয়তো, কিন্তু তারপরেও অপেক্ষার অবসানে ভেতরটা বিধ্বস্ত হয়ে গেলো যেন।
সমস্ত অস্তিত্ব কাপানো সেই ভয়! শরীরের প্রতিটি রোমকূপ দিয়ে গল গল করে ঘাম বেরোচ্ছে। হাতের আঙুলগুলো মুঠো হচ্ছে আবার ছেড়ে দিচ্ছে। গলা শুকিয়ে গেলো কি? 'ভাই, সরান ওটা, মারা যাবো, দয়া করেন, যা লাগে নেন।' এক নিঃশ্বাসে বলে উঠলাম। ‘কি যে বলেন! আমরা কি এমুন নাকি? আমরা মুসলমান, ভাই ভাই। আর আমার আইজকার রিজিক রাখা আছে আপনের হাতে। সব কিছুই বিজনিস, মনে কিসু নিয়েন্না। হেহে।' মাথাটায় এখন আর কোনো নিউরন নেই যেন, সব সাবানের বুদ্বুদ হয়ে গেছে। চিন্তা করছি আর সেটার চাপে একটা একটা করে ফেটে যাচ্ছে। হিসিরত রিকশাযুবক এখনো সেভাবেই। যেন মহাকালের সমস্ত হিসি তার ব্লাডারে জমা হয়েছে। রিকশা থেকে নেমে ফুটপাথে দাড়ালাম। 'ঐ ুঙ্গির পুত, নামলি ক্যান? ওঠ হারামি, ওঠ রিকশায়।' হ্যাচ্চো করে উঠলাম, একদলা সিকনি-সর্দি-থুথু যেয়ে পড়লো হাইজ্যাকার হারামীর মুখে। 'শুয়ারের বাচ্চা শুয়ার, শুয়ারের জ্বর আমার উপরে মাইরা দিলি...' ধাতব ফলা ঝিলিক দিয়ে উঠলো। স্থবির হয়ে দেখছি আমার আগুয়ান শেষটুকু।
কষে লাত্থি বসালাম অন্ডকোষে। কি হলো না হলো কিছু বুঝতে পারছিনা! চারপাশের সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসলো। কিছুই শুনতে পারছি না, শুধু রক্তের হাজার হাজার অনুরণ চিৎকার করে উঠলো 'মারো মারো'! দরদর করে ঘামছি, এছাড়া শরীরে আর কোনো অনুভব পেলাম না। চারপাশে যেনো হাজার হাজার সোডিয়াম বাতি জ্বলে উঠেছে আমার টিকে থাকার লড়াইয়ে সমর্থন দিতে। জাউ-বার্লি খাওয়া মধ্যবিত্ত সেন্টিমেন্টের রাগের সাথে চরম আতঙ্কের মিশ্রনের দরুন দ্বিতীয় যে লাথিটা পড়লো হাইজ্যাকারের কোমরে, সেটার 'থুপ' শব্দটা ভেতর থেকে এক অনির্বচনীয় ক্রোধ বের করে আনলো। এটা কোনো হাইজ্যাকার না, এটা ধর্মের আব্দুল হক স্যার! মার শালারে। এইটা হাইজ্যাকার না, এইটা অফিসের বস। কিলা হালারে। সমস্ত না পাওয়া আর ক্ষোভ ঝর ঝর করে বইতে থাকলো হাত-পা দিয়ে। ক্ষোভ আর ক্রোধের দূর্নিবার সঙ্গমের ফলাফল — দু'হাতে তুলে ছুড়ে ফেলে দিলাম তাকে। দু'হাতে তুলে ঢিল ছুড়লাম এবার। না, কোন ইটের ডেলা না, জ্যান্ত শরীরটাকেই। এটাই কি আসুরিক শক্তি? চ্যা করে বিকটাকার ভেঁপু বাজলো, তারপর ফট; মাথাটা বাসের নীচে চাপা পড়ে থেতলে গ্যালো পুরোপুরি।
নিঃশ্বাস ফেলে সিগারেট ধরালাম। পাশ থেকে এনকিদু বলে উঠলো 'গল্পটা ছ্যাপ পর্যন্ত থাকলেই হইতো না বস!' *
* লেখকের হাতে অসীম ক্ষমতা। আমার সে ক্ষমতায় আমি নাহয় একজন হাইজ্যাকারকেই এবার সরিয়ে দিলাম
মন্তব্য
গুড জব বাডি !!!
... ভালো হইসে- এইটা আশা করি নাই ।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
তা আশাতিরিক্ত কি হইলো?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সাবাশ!
ধন্যবাদ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সত্যিই! লেখক অসীম ক্ষমতাবান!
---------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ক্রোধের বর্ণনা লেখা সহজ কাজ না। বেশ ভালো ভাবে করেছেন কঠিন কাজটা।
হাইজ্যাকারকে পিটানোর সময় রিকশাওয়ালা কি করলো জানতে মঞ্চায়।
হিসিরত ছিল সম্ভবত
অনেক ধন্যবাদ ধর্মপুত্র
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
শাহেনশাহর লেখা এবার তার নিজের বিশালতাকে ছাড়িয়ে গেলো
অসাধারণ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
একবার লীলেনদার সাথে একমত হই।
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ধন্যবাদ তনুপা
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সেগুনবাগিচার সামনে আমারেও ধরছিল একবার। কিস্যু চিন্তা না করে দৌড় দিসিলাম, একটু পর তাকায় দেখি কেউ নাই। জ্বীনে ধরসিল না হাইজাকার এইটা আমি নিশ্চিত না পুরাপুরি
...
বর্ণনা ভাল্লাগসে। কিন্তু না থ্যাতলাইলে হইত না ভাই?
নিজেকে একটু ক্ষমতাবান বানালাম আরকি
অফটপিকঃ কাল আসতেছো?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
কাল পরশু দুই দিনই আসতেছি
লেখকের হাতে জোর (!) আছে, মানতেই হবে।
লেখা ভালো লাগছে শাহেনশাহ।
ধন্যবাদ আপনার লেখাও বেশ লাগে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আমার পুরাতন একটা গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো
ঐটা এইখানে দিসেন?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হুম, আপনি সেখানে কমেন্টও করছিলেন মনে হয়
ভালো লাগলো লেখাটা, তবে থ্যাতলানোর বিষয়টা কল্পনা না করলে!
ক্রোধ থেকেই থ্যাতলানোটার উৎপত্তি। চোখে মলম বা ভোঁতা ছুরি'র আঘাত — সবগুলোই কিন্তু বাস্তবতা। লেখকের সে সামর্থ্য নাই যে সে হাইজ্যাকারকে হত্যা করতে পারবে, গল্পের বাস্তবতাতেও হয়তো সে আত্মসমর্পন-ই করতো। এটা বন্যরাগের ফল, একটা ফ্যান্টাসি।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
শেষটা অপ্রত্যাশিত। আদিম ভয়ের যে বিবরণ দিয়েছেন তা প্রশংসাযোগ্য। লেখকের অসাধারণ ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন। ধন্যবাদ।
মনামী
n.afrin[অ্যাট]live.com
পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
এইতো নিয়মিত মাশ্রুম ভক্ষনের ফল পাওয়া যাচ্ছে......
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বাহ শাহেনশাহ! বাহ!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
বেশি করে মাশরুম খান আর লিখতে থাকেন।
ভয়ের বর্ণনাটা জ্যান্ত মনে হইছে পুরাটাই।
ধন্যবাদ ভাই
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আপনের লেখা যতোগুলা পড়ছি, এইটা সেরা।
কিন্তু সবার শেষে নিজের যে নোটটা দিছেন, ঐটাই পুরা লেখাটারে অশ্লীষ বানায়ে দিছে। আপনার ক্ষমতা অক্ষমতা নিজের কাছেই রাখতেন... আমরা গল্পটাই নাহয় পড়তাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মন্তব্যে বিস্তারিত কইসি।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
হাইজাকারের বিরুদ্ধে মহাবিরত্বের সাথে যুদ্ধের জন্যে (বিশেষ করে আসল জায়গায় লাথিটা) আপনাকে বিশাল একটি পদক দেবার জন্যে মনে মনে তৈরী হচ্ছিলাম। দিলেন তো সেটা নষ্ট করে!
আসলে সব দোষ এনকিদুর! তবে গল্পটি অসাধারণ হয়েছে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
হাহাহা, ওদের 'আসল জায়গায়' লাথি মারার ফ্যান্টাসি তো সবার-ই আছে মনে হয়
আপনার উৎসাহ সবসময়-ই এসব ছাইপাশ পোস্টাতে সাহস দেয়।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
এই লাইনটার পরেই থেমে গেলে বেশি ভালো হত... গল্প দারুণ হয়েছে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
সহমত
...........................
Every Picture Tells a Story
হতো হয়ত। একটা এক্সপেরিমেন্ট-ই বলতে পারেন এটাকে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সিমন, সম্ভব হলে গল্প থেকে এই অংশটুকু বাদ দিনঃ
"নিঃশ্বাস ফেলে সিগারেট ধরালাম। পাশ থেকে এনকিদু বলে উঠলো 'গল্পটা ছ্যাপ পর্যন্ত থাকলেই হইতো না বস!' *
* লেখকের হাতে অসীম ক্ষমতা। আমার সে ক্ষমতায় আমি নাহয় একজন হাইজ্যাকারকেই এবার সরিয়ে দিলাম হাসি"
আপনি গল্প যতটুকু লিখবেন আপনার বক্তব্য ততটুকুই। এই বাইরে কোন কৈফিয়ত দেবার দরকার নেই।
এনকিদু প্রসঙ্গ আসতে পারত যদি এইখানে একটা নতুন ট্যুইস্ট আনতেন। আমার জানা মতে আপনি ট্যুইস্ট ভালো পারেন আর ট্যুইস্ট পছন্দ করেন এমন পাঠকের সংখ্যাও অনেক।
আমার ধারণা, আপনি যদি অন্য সব ধরণের লেখার প্রলোভন থেকে নিজেকে দূরে রেখে নিজেকে "গল্পে" নিবিষ্ট করতে পারেন তাতে আখেরে আমাদের লাভ হবে। আমাদের দেশে লেখকেরা হয় কবি, নয় ঔপন্যাসিক অথবা প্রাবন্ধিক - গল্পকার নেই। আপনি নাহয় গল্পকারই হলেন - ট্রেন্ডসেটার হলেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডবদা... আমার কিন্তু মনে হইছে এনকিদু এই গল্পের একটা চরিত্র। (লেখক কী বলে?)
কিন্তু এই অংশটা এই লেখা থেকে কানে ধরে বের করে দেওয়া উচিত। (এটা একেবারেই আমার নিজস্ব মত)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমারো তাই মনে হয় । শেষ পর্যন্ত সচলে একটা গল্পের চরিত্র হইতে পারছি । তবে আমি নায়ক, নায়িকা, ভিলেন কোনটাই না । একেবারে খাঁটি এনকিদু, মানে পার্শ্ব চরিত্র ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এটারে পার্শ্ব চরিত্র না, দুশ্চরিত্র বলে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মন্তব্যে আমার বক্তব্য দিয়েছি পাণ্ডবদা।
আপনার শেষ প্যারাটা পরে আমি পুরোপুরি-ই অভিভূত। ট্রেন্ডসেটার হবার মত সাহস বা যোগ্যতা আগার নেই, তবে গল্পকার হবার চেষ্টা থাকবে নিশ্চিত।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
মাশাল্লাহ্, আপনার বডিটাই তো চৌগুণা ক্ষেমতা রাখে ! বেটারে থ্যাতলানোর লাইগা লেখকের ক্ষমতার দরকার কী !
ভালো হইছে সিমন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
গল্পের বুনটটা ভালো। ভয় ডর সবকিছুই ফুটছে। দারুণ।
অনেকেই একটা লাইন, মানে শেষ লাইনের বিষয়ে আপত্তি তুলছেন। ইটালিক করা লাইনটা দেখে মনে হয় গল্পকার এই লাইনটারে গল্পের বাইরেই রাখছেন। তাই যদি হয়, তাইলে সেটা এইভাবে প্রকাশ্য করার দরকার আছে বলে মনে করি না। আর যদি লেখক বলেন, না, এইটা এই গল্পের একটা অংশ, তাইলে আমি বলবো, গল্পটা এইখানে এসে দুর্বল হয়ে গেছে। খুবি দুর্বল, বলতে গেলে নিহত হইছে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ব্যাখ্যা দিসি ভাইজান
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
- খাইছে
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কারে?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আপনারে যে হাইজ্যাকার ধরবে, তার সাহসের প্রশংসা করতেই হয়
হ, সামনাসামনি তো আপনেও একদলরে পাঠাইবেন কইলেন
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ
মন্তব্যে নজরুল ভাই, জিএমটি এবং পাণ্ডবদাদের পরামর্শ রয়েছে, যার মাঝে বোধহয় প্রশ্নও লুকিয়ে আছে। তাই মন্তব্যে আত্মপক্ষ সমর্থন ।
গল্পে চরিত্র চারটিঃ আমি, হাইজ্যাকার (মূল দুই চরিত্র), রিকশাওয়ালা এবং এনকিদু। এখানে 'আমি' চরিত্রটি একই সময়ে দুই অবস্থানে রয়েছে — কল্পনা আর বাস্তব। হাইজ্যাকার আর আমার মাঝের সাক্ষাৎ ও সঙ্ঘর্ষ সম্পূর্ন কল্পনা। রিকশাওয়ালার অবস্থান দু'জায়গাতেই। আর এনকিদু বাস্তব।
এখন শেষের আগের লাইনের ব্যাপারে পাণ্ডবদার প্রশ্নের উত্তর হতে পারে এমন, গল্পের রিকশাওয়ালা চরিত্রের বক্তব্যও একটি, যার মাধ্যমে চিন্তা বা গল্পটার সূত্রপাত। গল্পের পরিণতি এসেছে এনকিদু'র বক্তব্যে, যেখানে স্পষ্ট হয়েছে যে রিকশাওয়ালার অনুপস্থিতিতে 'আমি' চরিত্রটি একটি ঘটনা বর্ণনা করছে। আর এনকিদু কিন্তু ট্যুইস্ট এনেছে তার বক্তব্য দিয়ে। অর্থাৎ পাঠককে বাস্তবতায় নিয়ে এসেছে। এখানে এনকিদু না হয়ে পান্থ বা মনির হোসেন — যে কেউ ই হতে পারতো।
ইটালিক লাইনের ব্যাপারে সব সমালোচক-ই একমত, এটাকে রাখা ঠিক হয়নি। আমিও একমত। তাইলে ক্যান দিলাম?
এটাকে গল্পের অংশ আমি ভাবতে চাইনা একদম-ই। এটা লেখকের বক্তব্য, যার মাধ্যমে সে তার ক্ষমতা (অর্থাৎ লেখক চাইলেই চরিত্র নিয়ে যা ইচ্ছা করতে পারেন) একভাবে দেখানো। কেন? কিছুটা ভিন্নমাত্রা আনার প্রয়াসে-ই আমি, লেখক, এটা করেছি। তবে ক্ষমতা'র দম্ভ ( ) যে পাঠকের মতামতকে পাল্টে দেয়, এটা বুঝলাম।
একটা প্রশ্নঃ লেখক যদি নিজেকে লেখার মাঝে আনতে চায়, কোনো চরিত্র নয় একদম স্বয়ং লেখক হিসাবেই, তবে সে নিজেকে কীভাবে আনতে পারে?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নতুন মন্তব্য করুন