- বাংলায় লিখছেন? কীভাবে?
ল্যাপি থেকে চোখ সরিয়ে তাকালাম। হৃদয়ে এক অশান্ত ঝড় বয়ে গেলো যেন! রাতের এয়ারপোর্ট লাউনঞ্জে একা বসে বসে সচলায়তন গুতানোর সময় এমন অযাচিত সঙ্গ পেয়ে নিজেকে 'গুগল' মনে হলো। নেশা ধরানো পারফিউম, চশমা'র লেন্স থেকে বিস্ময় দৃষ্টি আর লাউন্জের প্রায় নির্জনতা — সব মিলিয়ে অন্যরকম এক মধ্যরাত।
- তেমন কঠিন কিছুনা। সব-ই ফোনেটিক। এক ছোট ভাই মেহ্দি'র কল্যাণেই এতকিছু।
দেখালাম কিভাবে সচলায়তনে আমরা লেখালেখি করি। বেশ উচ্ছসিত সে বাংলা লেখার এমন সাবলীল উপায় দেখে।
- আমিও এখানে লিখতে পারবো?
- কেন নয়! অবশ্যই। মূলতঃ কী লিখেন আপনি?
- আসলে লেখালেখি কখনোই করা হয়নি। অনেক সময় প্রেমে পড়লে বা প্রচন্ড শক্ড হলেও লেখালেখি করেন অনেকে। তবে আমার ক্ষেত্রে সে চেষ্টাও করা হয়ে ওঠেনি কখনো।
মুখে যেন একটু অপরাধী'র ছাপ পড়লো তাঁর। আমি হোহো করে হেসে উঠলাম তাঁর এ অবস্থায়। গালের লালচেভাবে মনে হলো তিনি বেশ বিব্রত!
- আমি শাহেনশাহ। বেলজিয়াম যাচ্ছি। ব্রাসেলসে। আপনি?
- আমি পারিশা। মিউনিখ যাচ্ছি। ইতিহাদে। আপনি কোন এয়ারলাইন্সে যাচ্ছেন?
- আমিও তো! আপনার তো ফ্লাইট তো ৫টা ৫০ এ, এতো আগে এসেছেন যে?
- দূরে থাকি অনেক। তাই...
- ও আচ্ছা। ওখানে কেউ...
- আমার হাজব্যান্ড। ওখানে কয়েকদিন আগেই গিয়েছে, এখন আমিও যাচ্ছি। আপনি?
- এমনি, বেড়াতে। শস্তা'র টিকেট পেলাম। ভাবলাম ঢু মেরেই আসি একবার। আপনারা কী জার্মানীতেই সেটেন্ড হচ্ছেন?
- না। আমাদেরটাও এক অর্থে বেড়ানো বলতে পারেন। সেকেন্ড হানিমুন।
কফি খাচ্ছি চুপচাপ। এর মাঝে জানলাম, পারিশা আমার পাঁচ বছরের সিনিয়র! আজকাল যে কী সব মেক-আপ বের হয়েছে! বয়স আন্দাজ করা একদমই অসম্ভব। ঘুরতে পছন্দ করেন। ব্যক্তি জীবনে চিত্রশিল্পী। কথায় কথায় এও জানলাম তিনি বছরখানেক হলো দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। একটু অনাগ্রহী হয়েই বিশদ বৃত্তান্ত জানার ইচ্ছা প্রকাশ করলাম।
- আসলে ঘটনাটা অনেকটা গল্পের মতই। তাই বাংলা লেখার কথা জানতে চাইছিলাম।
- বলছেন কী! তবে তো শুনতেই হয় ঘটনাটা কী! গলায় খানিকটা কপট আগ্রহ ফুটিয়ে তুললাম।
- শুনুন তবে! লম্বা এক শ্বাস নিয়ে তিনি শুরু করলেন তাঁর ঘটনা।
আমার হাজব্যান্ড, এয়ারফোর্সে ছিলেন। যশোরে পোস্টিং ছিল। বেশ ছিমছাম শহর। ভালোই ছিলাম। একদিন মহড়াতে গেলেন। ওর অফিস থেকে স্পেশাল কল আসলো। শেষ! বিয়ের দু'বছরেই আমাকে বিধবা হতে হলো।
বাসার একমাত্র ছেলে ছিলো, খুব-ই ব্রাইট আর ব্রিলিয়ান্ট! সবাই মুষড়ে পড়লো এ আকস্মিকতায়। আর আমার অবস্থা বর্ণনা করবার মত না। কি হচ্ছে, কী চলছে — কোনোকিছুতেই মনোযোগ নেই। বলা যায়, একদম পাথর হয়ে গিয়েছিলাম! যাক্, সমস্ত দাপ্তরিক আর সামাজিক আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলো। নিশ্চিত হলাম, ও আর নেই।
বনানী কবরস্থানে ওর কবরের ব্যবস্থা করলেন আমার শ্বশুর। ওর দাফনের দিন আমরা, মানে মেয়েরাও কবরস্থানে গেলাম। বাইরে শেড এর নীচে দাঁড়ালাম। তখনি প্রথম আমার কান্না পেলো। আমার মায়ের পাশে দাড়িয়ে কাঁদছি। একসময় সবাই বের হয়ে এলো। ফিরে গেলাম বাবার বাড়িতে। পরের সপ্তাহে একাই কবরস্থানে গেলাম। বাইরে না থেকে কবরের কাছে চলে গেলাম কোনো তোয়াক্কা না করেই। দেখলাম, একজন ওর কবরপাশে দাড়িয়ে আছে। আমার দিকে তাকিয়ে আছে অদ্ভূতভাবে! জানতে চাইলাম, 'ও কী আপনার বন্ধু ছিলো?' পাশের কবরের দিকে দেখালো। দু'টো কবর পাশাপাশি — একটা ছোট বাচ্চার, আর বাচ্চার মায়ের!
পরের সপ্তাহে আবার গেলাম কবরস্থানে। সেদিনের ভদ্রলোক ও ছিলেন। কথায় কথায় শুনলাম তাঁর স্ত্রী আর বাচ্চা মেয়েটা রোড অ্যাক্সিডেন্টে মারা গিয়েছে। আমার হাজব্যান্ড আর তাঁর ওয়াইফ আর বেবি — একই দিন! পরে কবরস্থান ছাড়াও আমাদের দেখা হতে লাগলো। এভাবে বেশ কয়েকবার-ই সেই ভদ্রলোকের সাথে দেখা হলো। স্বাভাবিক নিয়মে ঘনিষ্ঠতাও বাড়তে থাকলো।
পারিশা থামলেন। দম নিয়ে কফি শেষ করলেন। আরেক কাপ অফার করলাম। বিনয়ের সাথে না করলেন। অস্বীকার করবোনা, সময়-টা ভালোই কাটছে।
-তারপর?
- আর কী? এই যে, সেকেন্ড হানিমুনে যাচ্ছি এবার! খিলখিল শব্দে হেসে উঠলেন পারিশা। আর এখনো আমরা বনানীতে যাই নিয়ম করে।
উঠে দাঁড়ালাম। বিদায় নিলাম। অদ্ভুত মানুষের সংযোগ! হাটতে হাটতে ভাবলাম, সময় কিভাবেই না কবরস্থানকে রুটিনমাফিক গন্তব্য বনানী করে দেয়!
মন্তব্য
ঘটনার বাড়াবাড়ি ঘনঘটা নেই, আবেগও নিয়ন্ত্রিত, অথচ নাটকীয়তা ঠিক মাপেই আছে। এমন গল্পই আমার পছন্দ। ফরমায়েশ করলে এরই করতাম। ভয়ানক রকমের ভালো লাগলো হে সিমনকুমার! খালি নামটা বাদে। এটা বাজেগল্প হলে আমরা লিখতে বসলে কী নাম দেবো, খুব্বাজেগল্প? লোকের কথা ভাবলে না?
সশ্রদ্ধ চিত্তে আপনার প্রশংসা গ্রহন করলাম, যদিও গানটা মনে পড়লো... 'এ মণিহার আমায় নাহি সাজে'!
নামের ব্যাপারে কিইবা বলার আছে। শেক্সপিয়ারের কথাটাই নাহয় মেনে নেই আমরা ।
অন্যদের ব্যাপারে জানি না, তবে আপনি ট্যাগাতে পারেন 'অসাধারন গল্প'
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
খুব ভালো লাগলো, ঘটনা এবং বর্ণনা,কিন্ত বাজে গল্প কেন!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
যা ভেবেছি, তা লেখায় ফুটেনি, তাই।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
- মিউনিখে তো আমাদের তীরুদা থাকেন। তাঁরে পারিশার ফুন নাম্বার দিয়েন না। কাসেলে বদ্দা, বলাই পরিবার আর খাইষ্টা বালক থাকে একটা, ওদেরকেও দিয়েন না। মিউনিখের আরেক আদমী পুতুল ভাই, ইনারে ফোন নাম্বার দেবার কথা ভুলেও ভাইবেন না, শুভ ভাবী পিঠের ছাল তুইলা ফেলবো, আপনার। হাসিব ভাইয়ের কথা মনে মনে ভাবতেছেন? ভুইলা যান। হেরে ফোন নাম্বার দিতে গেলে হাজারটা কোয়েচ্চন করবো, বাদ দেন! তার চাইতে এদিকে আসেন। আমারে ফোন নাম্বার দিতে হৈবো না। আসেন দুইটা সুখসুঃখের আলাপ করি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আসেন, শুরু করি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
'লেখাটা' ভালো লেগেছে। তবে কেন এটা একইসাথে গল্প, ভ্রমন্থন আর বাজেগল্প - সেটা নিয়ে একটু প্রশ্ন আছে।
আমার পর্যবেক্ষণ হলো এরকম। আপনি যদি এটাকে গল্প বলেন, তাহলে প্রথম অংশটুকুতে সচলায়তন, মেহেদি বা লেখালেখি নিয়ে অংশটুকু গল্পের জন্য প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়নি। এগুলোর কারণে শুরুতে মনে হলো গল্পটা লেখালেখি নিয়ে, কিন্তু পরে সেটা হয়ে গেলো পারিশার জীবনের কাহিনী। আমার মনে হলো আপনি গল্পকার হিসেবে সংযম না দেখিয়ে অনেককিছু একসাথে ধরার চেষ্টা করলেন।
আমার কাছে মনে হয়েছে টানটান একটা গল্প আছে "কবরস্থান কিভাবে রুটীন গন্তব্য বনানী হয়ে যায়" এটুকুর মধ্যেই, যেটা লেখকের অযত্নে বা তাড়াহুড়ায় একটু ঢিলঢিলে হয়ে গেছে। পারিশা লেখালেখি করলে গল্পটা সে যেভাবে লিখতো, সেটা একটা চমৎকার গল্প হতে পারতো। অথবা আপনি গল্পকার হয়ে শুধু তার গল্পটা লিখলে আমার কাছে সেটাও গল্প হিসেবে বেশী পছন্দ হতো।
এখন যেভাবে আছে সেটা আমার কাছে ভ্রমন্থন বা ব্লগরব্লগর হিসেবেই বেশি মানানসই লাগছে। গল্প নয়।
ক্ষেপলেন না তো?
ধর্ম্মপুত্র, গল্পটা পড়ার পর যা যা ভেবেছিলাম সেসবই একটু অন্য ভাষায় আপনি বলে দিয়েছেন। তবু কিছু বলি,
১. গল্পের ট্যাগ শুধু গল্পই হওয়া উচিত। অন্য কিছু দেবার দরকার নেই।
২. ব্যক্তি সিমন মজলিশী মানুষ, তাই সম্ভবতঃ তার গল্পগুলোতে প্রায়ই মজলিশের মানুষ-ঘটনা-বিষয়-প্রসঙ্গ চলে আসে। আমার নিজের ধারণা, এই জিনিষগুলোকে গল্প থেকে দূরে রাখা উচিত।
৩. গল্পের স্টাইল নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করাই যায়, তবে সেটা গল্পের মূল চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিলেই সমস্যা। একই ধরণের কারণে এর আগেও সিমনের একটা গল্পের ফিনিশিং নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে।
তবু ধন্যবাদ সিমন, শীতনিদ্রার দৈর্ঘ্য খুব বেশি হয়নি। লেখার মধ্যকার গল্পটা ভালো লেগেছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বড় পাণ্ডবদা, রাগ হইনাই। আশা করি আমার জবাবেও আপনি রাগবেন না।
গল্পকার যদি পাঠককে বিভ্রান্তিতে ফেলায়, তবে তাতে সমস্যা কোথায়? তারপরেও গল্পকার হিসেবে সংযমের ব্যাপারটা আরেকটু ভেঙে বললে আমার পরের লেখার জন্যে সেটা ভালো হবে।
শেষ লাইনটা এককভাবেই রেখে দিলাম। ওটা নিয়ে লেখার ক্ষমতা আমার এখনো হয়নি। অযত্ন! বালাই ষাট! তবে তাড়াহুড়ো তো ছিলোই, প্লেন মিস হয়ে যেত যে
পারিশা লিখলেন না, তাই আমি-ই লিখে ফেললাম। আর গল্প না হোক, বাজেগল্প যে হয়েছে, সেটা নিশ্চয়ই আপনি মানবেন
ভাল থাকবেন।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নাহ, মানলাম না। যদি আমি এটাকে গল্প বলেই স্বীকার না করি, তাহলে এটার বাজে হবার সুযোগ কোথায়?
গল্পকারের সংযমের কথা ভেঙ্গে বলি। একজন গল্পকারের চারপাশে অনেক কিছু থাকে, অনেক কিছু ঘটে। সেখান থেকে একটা বা অনেক গল্প বের করে নিয়ে লেখায় গাঁথাটা হলো গল্পকারের কাজ। এখন একটা গল্প লেখার সময় দেখা গেলো গল্পকারের হাতে ওই সময়ের বা ওই পরিপার্শ্বের আরও অনেক মালমশলা আছে, যা গল্পের জন্য প্রয়োজনীয় নয়। কিন্তু লেখক নিজেকে প্রকাশের আগ্রহ থেকে সবকিছু একসাথে বলে ফেলছেন। কারণ হয়তো লেখক ভাবছেন, ওই বাকি জিনিসগুলো আর কখনও অন্য কোথাও লেখা হবে না। এরকম করলে সেটা লেখক বা গল্পকার হিসেবে অসংযমী হয়ে যাওয়া হয়। অনেকটা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মত - একটু ধরে না খেলা। এ কাজটা আপনাকে আগেও আপনার ভালো ভালো সব গল্পে করতে দেখেছি।
গল্পকার হিসেবে আপনার গল্পের পেছনের অনেক গল্প থাকবেই। সব গল্পেই থাকে। কিন্তু সব পেছনের গল্পগুলোর মূল গল্পে আসার দরকার নেই। সেগুলো আসবে আপনার ব্লগে, বা বইয়ের ভূমিকায়, বা পত্রিকার পাতায় আপনার লেখা নিয়ে মন্তব্যে। ধরুন যখন টিভিতে আপনার সাক্ষাৎকার হচ্ছে এ সময়ের জনপ্রিয় লেখক হিসেবে, আপনাকে সুন্দরী উপস্থাপিকা জিজ্ঞেস করছেন, "আচ্ছা, ওই যে আপনার সেই বিখ্যাত গল্পটা, পারিশা, ওটা কখন লিখেছিলেন? কিভাবে লিখেছিলেন?" তার উত্তরে আপনি শুরু করবেন, "আর বইলেন না, আমি গেসি কেরাসি আনতে বেলজিয়ামে..." এভাবে, তারপর আপনার সেই পেছনের গল্পগুলো সবাই জানবে।
মূল গল্পে একবারে ওই যে পুরো ঝাঁপি খুলে না দেয়া, ওটাই লেখকের সংযম।
অরেকটা কথা, ক্ষেপে না যেতে বলছিলাম, কারণ আমি শুনেছি আপনি ক্ষেপে গিয়ে নজ্রুলিস্লামের বাসার চেয়ার টেবিল ভেঙ্গে ফেলেছেন। ডিসেম্বরে দেশে আসবো, আগেই আপনাকে ক্ষেপাতে চাই না। পাঠকের মন্তব্য শুনে লেখকের এই না ক্ষেপাটাও মনে হয় সংযমের মধ্যেই পড়ে।
গল্পকথক যদি শাহেনশাহ না হয়ে আব্দুস সাত্তার হতো, আর মেহ্দি'র বদলে জব্বার কাগু হতো, আর সচলায়তনের কথা না থাকতো; তবেও কী আপনার মত একই থাকতো? আপত্তির সূক্ষরেখাটা আমি এখনো ধরতে পারছিনা
ঝাঁপি খোলার কথাটা মাথায় থাকলো।
আপনার আগমনের খবর আগেই পেয়েছি। আর দুষ্টলোকের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আবার যাইতেছি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
শাহেনশাহ, আপনার লেখার ধরনটা আমার বেশ লাগে। তেমনটিই লাগলো এখানেও, শুরুতে। তারপর কাহিনীটা একটু নাটকীয়। শেষের লাইনটাতে মনে হচ্ছে অনেককিছু আছে। সে কারণেই গল্পটা আসলে শেষ হয়নি বলে মনে হচ্ছে। গল্পটা তাই বাজতেই আছে, থামেনি। সে অর্থে এটি বাজে গল্প- ঠিক আছে
ধন্যবাদ পিপিদা
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সিমন, ওয়েলকাম ব্যাক, আরো লেখা চাই।
আপাততঃ শীত নিদ্রায় যাইতেছি আবার।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভাইয়া আপনার কথাটা দিয়েই মন্তব্যটি শুরু করি-
"যা ভেবেছি, তা লেখায় ফুটেনি"।
হুম, আমিও তাই ভাবছি। আপনি যখন কাহিনীটা বলেছিলেন তখন যে গল্প পড়বো ভেবেছিলাম তা পড়া হলনা বলে মনে হচ্ছে। এই গল্পটি শুধু পারিশার গল্প হলে হয়ত ভাবনাটি আরও গভীরভাবে পাঠকমনে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হতো।
আমার কথায় আবার মাইন্ড খাবেন না যেন, জানেনইতো ওটার টেস্ট অনেক বাজে
গল্পের মূল ঘটনা বা বিষয়বস্তু নির্বাচনের জন্য
এটা আমাদের চারপাশের অনেকের জীবনের-ই ঘটনা, খুঁজলে আপনার পরিচিত কারো মাঝেও এমন ঘটনার ছায়া পাবেন। এটার মধ্যে পঠকমনে প্রভাব জাতীয় কিছু আমি ব্যক্তিগতভাবে খুঁজে পেলামনা।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বাজে ট্যাগিং-এর ফাঁদ ডিঙিয়েও লেখাটা চমৎকার মনে হয়েছে আমার কাছে। কেননা কয়েক ফোঁটা আবেগীয় নৈঃশব্দ ছিটিয়ে দিতে পেরেছেন মনে হচ্ছে, যা ওখানে দরকার ছিলো।
আপনার শুরুর দিকের আঁতেলিয় লেখা থেকে এখনকার নিরিবিলি আবেগময়তাটুকু আমার কাছে অধিকতর আকর্ষণীয়।
কোন প্রশংসা করে ফেলি নাই তো আবার ! হা হা হা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আহেম! আমি আঁতেল ছিলাম কবে?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আমার কাছে গল্পটা চমৎকার মনে হয়েছে, ভিন্ন স্ট্রাকচারের কারণেই বোধহয়।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ধন্যবাদ ভুতুম
অটঃ স্পিড বাড়াইলেননা, এইবার বিড়ি'র দাম কমান
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
এ পৃথিবীতে যা একবার বাড়ে, তা কি আর কমে সিমন ভাই? কমে না, কমে না।
-----------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
ডিশকাউন্ট আছে?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বাজে গল্প হয় নাই, ভালো গল্প হইছে।
তবে ধর্মপুত্রের সাথে একমত
হাহা, ধন্যবাদ মামুনভাই।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বাজে গল্প বেশ লাগলো, সিমন ভাই।
----------------------------------------------------------------------------
ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক
আমার খুবই ভাল লাগলো। বিশেষ করে শেষ লাইনটা
গল্প ভালো।
ভ্রমন্থন দেখে ভাবলাম - 'ব্রাসেল্স এ ঘুরতে আসলেন একটা আওয়াজ পাইলাম না। খুব খারাপ, খুব খারাপ'।
দুই পান্ডবের সাথে একমত।
''একদিন মহড়াতে গেলেন। ওর অফিস থেকে স্পেশাল কল আসলো। শেষ!''
......এয়ারফোর্সের এই ব্রাদারকে ধুম কইরা মাইরা না ফেললে চলত না?
গল্পটা কিন্তু আসলেই ভাল হইছে।।
আমার গল্পে তো নায়ক নেই, তাই চরিত্রটা এটুকুই রাখলাম ।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সিমন ভাই, আমি তেমন বোদ্ধা শ্রেণীর লোক না, তাই বেশী কিছু বলতে পারুম না, শুধু এইটুকু বলি আমি আপনার একজন ভক্ত পাঠক। আপানর লেখা পড়ে শিখার চেষ্টা করি।
ধন্যবাদ।
দলছুট।
বেশ ভাল বাজে গল্প।
সিমন ভাই, জানি জানি আপনি বলবেন আপনি গল্প নিয়ে ভাবেন না- পরিশ্রম করেন না কিন্তু শুনতে তো দোষ নাই আমার কথা , কী বলেন??
আচ্ছা, গল্পটা যেইভাবে শুরু হইসিলো- তারপর হঠাৎ মোড় পরিবর্তনের জায়গাটা ভালা লাগে নাই- বাদবাকি সব ঠিকাসে। প্লট তো আমিই সবার আগে শুনসি, নাকী ?? তাই ঐ নিয়া ভালোলাগার কথা আগেই আপনারে বইলা দিসি মালুম লাগে।
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
এভাবে আমার আলসেমির গোপনীয়তার হাড়ি ভেঙে দিলি?
হঠাৎ মোড় পরিবর্তনটা না হলে মূল গল্পে ঢোকার উপায় কি বল? তুই না হয় ও জায়গাটা বিশ্লেষন করে দে, আমি কিন্তু সিরিয়াসলি বললাম।
তুই সবার আগেই শুনসিলি।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
তানভীর, দলছুট।, দুর্দান্তদা, নির্জন স্বাক্ষর আর দোস্ত রাজপুত্র — সবাইকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
এই গল্পটা লেখার পেছনে একটা কাহিনী আছে। কোনো এক নারী সিমনরে বললো একটা গল্প লেখতে। সিমন লেখা শুরু করলো। ইদানীং আবার সিমনের নিজের চেয়ে বেশি বয়সী মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ লক্ষ্য করা যায়, তাই নায়িকার বয়স বাড়ায়া দিলো।
গল্পটা লেখা চলতে চলতেই অন্য মেয়ে চ্যাটামন্ত্রণ জানাইলো। এদিকে চলতি মেয়েটারেও কিছুক্ষণ বসায়ে রেখে নতুন মেয়ের সঙ্গে কথা বলা দরকার। তাই নতুন মেয়েকে 'বিআরবি' লেখে চট করে দুই মিনিটে কোনোরকমে এইটা লিখে পোস্ট দিয়ে পুরনো মেয়েকে পড়তে বসিয়ে নতুন মেয়েতে মজে গেলো সে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
য়্যাঁ তাই নাকি?
আহা আপনি ছাড়া আর এগুলা বুঝবে কে?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
গল্প পড়ছি। ভালু লাগছে চেয়ার ভাই বনানীতে সাবধানে যাওয়া আসা কইরেন
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
আর আমার নাম ধইরা ডাকতে কী কষ্ট হয়? নাম ই তো ডাকা লাগবে, কুর্নিশ তো করা লাগবে না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
গল্পটাতো বেশ ভাল, বাজে গল্প কেন?
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
________________________________________________
হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে
এটা 'বাজেগল্প' হলে আমার মতো অতিথি লেখকের লেখালেখির প্রতি হতাশা আর অনুৎসাহিত হওয়া ছাড়া আর গতি থাকে না
/
ভন্ড_মানব
আমার হতাশা-ও কম নয় রে ভাই...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
কবর ও এখন ডেটিং প্লেস!!! কালে কালে আর কত দেখব ?
/
স্পার্টাকাস
স্পার্টাকাসের আমল থেকে অনেক কিসুই বদলাইসে বস! টেনশনায়েননা, কয়দিন থাকেন, বর্তমানেও অ্যাডজাষ্ট হয়ে যাবে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সাক্ষাতে তো বলছিই আমার প্রতিক্রিয়া! এখানে আর বলার কিছু দেখছি না! টাইপিং ক্যালরি কমাই!
..........................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
বাজে গল্প কেন বুঝলাম না।
এটা ভাল গল্প তো৷ বেশ ভাল৷ "বাজে গল্প' লিখেছেন কেন?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ভাল গল্প
গল্পটার নাম হতে পারতো - বাজেগল্প: ভাল গল্প
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হাহাহাহা
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আল্লাহ্ করুক- এইভাবে পরবর্তী এক বছরের মধ্যে পারিশা আর শাহেনশাহ্ ফিরে ফিরে আসুক এয়ারপোর্টে, আর বাজেগল্পকার থার্ড হাজব্যান্ডের সাথেও বারকয়েক হানিমুন হোক পারিশা'র।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ঞ্যাঁ !!!!!!!!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
@ দময়ন্তী, নাজমুস সামস ও প্রবাসিনী
সৎ প্রচেষ্টা থাকা স্বত্বেও গল্পকারের গল্পগুলো সন্তুষ্টি দিতে পারেনা সেভাবে। তাই 'বাজেগল্প' বলে অক্ষম ক্ষেদ প্রকাশের অবতারনা।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
প্রচুর বাজেগল্প না ভালো সেই নিয় ভ্যান্তারা হলো, এবার পরের গল্পটা দিলে হয় না?
গল্পের গরু গাছে উঠেছে, নামাতে পারছি না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
গল্পটা বেশ ভাল লাগল ।
রাতের এয়ারপোর্ট লাউনঞ্জে একা বসে বসে সচলায়তন গুতানোর সময় এমন অযাচিত সঙ্গ পেয়ে নিজেকে 'গুগল' মনে হলো। নেশা ধরানো পারফিউম, চশমা'র লেন্স থেকে বিস্ময় দৃষ্টি আর লাউন্জের প্রায় নির্জনতা — সব মিলিয়ে অন্যরকম এক মধ্যরাত।
হাটতে হাটতে ভাবলাম, সময় কিভাবেই না কবরস্থানকে রুটিনমাফিক গন্তব্য বনানী করে দেয়!
খুব ভাল লিখেছেন।
এইবার একটু সমালোচনা করি! আমি যে মনোযোগী পাঠক তা বোঝাবার জন্য!
বানান এ কিছু ভুল আছে !! হাটঁতে, উচ্ছ্বসিত, লাউঞ্জ (নিজেই সিওর না!), ঢুঁ,
@সাইফুল ভাই হেহে!!
#বোহেমিয়ান
দারুণ!
ভালো লাগলো গল্পটা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সিমন,
অনেকদিন লেখালেখি করছেন না। চাকরি একটু কম করে এইরকম দুই চারটা বাজেগল্প পোস্টান।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
এমন-ই দৌড়ের উপ্রে যে ৪মাস পরে আপনার মন্তব্য দেখলাম শুভাশীষদা। একটু সামলে নেই, আবার চেষ্টা চালাবো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নতুন মন্তব্য করুন