এডেনের বাগানে আদম ও হাওয়ার জন্য ঈশ্বর একটা জিনিসই নিষিদ্ধ করেছিলেন তাহলো জ্ঞানবৃক্ষের ফল। কিন্তু সেটি তারা মানেনি। এ গল্পের অনেক গূঢ় অর্থ থাকতে পারে কিন্তু সবচেয়ে উপযুক্ত একটি হচ্ছে, যখন আমরা মানসিক প্রকৃতিস্থতা হারাই, শয়তানের প্ররোচণায়ই হোক বা প্রণয়ে, নিষিদ্ধ বস্তুই তখন সবচেয়ে আকাংক্ষিত হয়ে ওঠে।
প্রায় পঞ্চাশ মিলিয়ন বছর আগে আদিম বানর জাতীয় প্রাণীদের জীবন তত সহজ ছিল না। তারা ছিল আকারে ছোট, বাঁচতো গাছের পাতা অথবা পোকামাকড় খেয়ে এমন কি শত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচবার জন্য দেহে শক্ত খোলসের কোন আবরণও তাদের ছিল না। বেশিরভাগ দিনে-বিচরণকারীরা ইতোমধ্যেই হিংস্র সরিসৃপদের পেটে গেছে অথবা শিকারি পাখিদের থাবা তাদের একে একে শেষ করেছে। উপায় হিসেবে তারা যা রপ্ত করেছে তা হলো ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের উন্নয়ন এবং নিশাচারিতা। তাদের চোখের উন্নয়ন ঘটেছে স্বল্প আলোতে দেখার উপযোগিতার দিকে যতটা, বস্তুর দূরত্ব অনুধাবনে ততটা নয়। মাদাগাসকারের লেমুর, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইয়াং লরিস বা টারসির অথবা আমরা আমাদের জঙ্গলে যে লজ্জাবতী বানর দেখি তা এইরকম আদিম ছোট্ট, লাজুক এবং নিশাচর প্রাণীদেরই উন্নততর সংস্করণ।
প্রায় তিরিশ মিলিয়ন বছর আগে এই ধরনের কিছু প্রাণীই বৃক্ষবাসে উৎকর্ষ লাভ করে। সম্ভবত সে সময়ের অতিবৃষ্টি বা অন্য কোন কারণে বিশাল সব ফলদায়ী বৃশোভিত বন বেড়ে যায়। কোন কোন বৃক্ষচারী শাখা-প্রশাখায় হাঁটা বা গাছ থেকে গাছে ঝাঁপ দেয়ায় খুব পারঙ্গম হয়ে ওঠে। পর্যায়ক্রমে যারা তিনটি মুখ্য বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে তারাই পরবর্তীতে শাখা জীবনে সফলতা লাভ করে। উপরোক্ত একটি বিষয় হচ্ছে একটি লম্বা এবং পারঙ্গম লেজ ধারণ যা বৃক্ষশাখায় চার পায়ে হাঁটার সময় ভারসাম্য রক্ষার কাজ করবে। অন্যটি হচ্ছে দেখার জন্য দুটি চোখই ব্যবহার করা যা মস্তিষ্কের সহায়তায় সূক্ষ্মভাবে বস্তুর দূরত্ব নির্ণয়ে সহায়তা করে যা নিরাপদে ঝাঁপ দেয়ার জন্য আবশ্যক এবং আর একটি হচ্ছে ভাল রঙ চেনার ক্ষমতা যা দূর থেকে ফল পেকেছে কি না দেখতে সাহায্য করবে এবং খাদ্য আহরণে সমতা বাড়াবে।
বিবর্তনের মহানাটকের সেই মহানয়কদের কেউ কেউ এখনও বেঁচে আছে এবং এই প্রাইমেটদের আমাদের কোন কোন জঙ্গলেও দেখা যায়। এদের মধ্যে চশমাপড়া হনুমান, কালোমাথা হনুমান, ছোট লেজ বানর, রেসাস বানর উল্লেখযোগ্য যাদের লাউয়াছড়া বনে প্রায়ই দেখা যায়।
এইসব প্রাইমেটরা যখন শাখা প্রশাখা দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল, তখন একটি ছোট দল আবিষ্কার করে বসে যে দ্রুত চলার ক্ষমতা শাখা জীবনের প্রতিযোগিতায় ব্যাপক সুবিধা দেয়। এই গতি পাবার জন্য তারা এক অসাধারণ প্রক্রিয়া আয়ত্ব করে, তা হচ্ছে ঝোলা (swinging)। ঝুলে দোলার মাধ্যমে চলাচলের জন্য তাদের প্রয়োজন লম্বা আগুল এবং লম্বা বাহু, সামনের পা দুটো ক্রমান্বয়ে হাতে পরিণত হয় এবং দেহের গঠনেও যথেষ্ট পরিবর্তন আসে। বড় পেট মেরুদণ্ড থেকে আনুভূমিক ঝুলে থাকার বদলে তা উলম্ব কাঠামোতে খাপ খেয়ে যায়। তাদের বুক ও কাঁধ চওড়া হয়। দেহের উপরিভাগ বেশি পুষ্ট হয় এবং বাহু এবং পা লম্বা হয়। যে লেজটি প্রাইমেটদের বৃক্ষশাখায় হাঁটতে ভারসাম্যের জন্য এতো প্রয়োজনীয় ছিল, ঝুলায়মানদের কাছে তার আর কোন মূল্যই থাকে না। লেজ হারিয়ে যায়, এপদের জন্ম হয়।
এর সাথে সাথে, গতির কারণে উচ্চ ক্যানোপীতে দ্রুত তারা ফুড চেইনের সর্বোচ্চ উঠে যায় বড় ধরনের কেন প্রতিযোগিতা বা সমস্যা ছাড়াই। সম্ভবত এ কারণেই তারা তাদের দলের সংখ্যা ছোট করতে সমর্থ হয়। ঘটনাক্রমে এদের কেউ কেউ উল্লুকদের মতো একগামী জীবন শুরু করে যা বানরদের হারেম ব্যবস্থার চাইতে উন্নত। একগামীতা হারেম ব্যবস্থার চাইতে জীনগতভাবে অনেক স্থায়ী এবং রোগ বালাইতেও প্রজাতি কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এদের মস্তিষ্কও অনেক উন্নত হয় যা কঠোর সামাজিক নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারে। পরিবারের জন্ম হয়।
ঝুলে চলা প্রাইমেটদের দেহে এমন কিছু পরিবর্তন এনেছে যা আমাদের দেহেরও বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এর একটি কঠোর শর্তও ছিল তা হচ্ছে শীর্ণতা। যে কোন এপ, এটি যখন স্থূলকায় বা দীর্ঘদেহী হয়ে যায় সেটিই তার শাখা জীবনের পরিসমাপ্তি। কোন কোন এপ সত্যি সত্যিই মোটা এবং বৃহৎ হয়ে যায় যেমন গরিলা এবং ওরানউটান। তাদেরকে ভূমিতে নেমে আসতে হয়। গরিলারা প্রায় সম্পূর্ণভাবেই গাছে চড়ার যোগ্যতা হারায় কিন্তু এই ঝুলায়মানরা বেশকিছু অসাধারণ যোগ্যতার অধিকারী হয়। যেমন খাড়া দেহের ধরণ, লম্বা বাহু, লম্বা আঙ্গুল, দক্ষ হাতের কব্জি ইত্যাদি। কিন্তু ভূমিতে অধিকার স্থাপনের জন্য নতুন কিছু যোগ্যতারও প্রয়োজন দেখা দেয়। উল্লুকদের বৃদ্ধাঙ্গুল এমন স্থানে যে তারা সহজে মাটি থেকে ছোট জিনিস তুলতে পারে না। উকুন বাছা বা মাটি থেকে বাদাম কুড়ানোর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন আঙ্গুলের আলাদা নিয়ন্ত্রণ আয়ত্বে আনতে চেষ্টা করে যা মস্তিষ্কের মোটর ফাংশনও উন্নত করে। এই উন্নত বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং উন্নত মোটর ফাংশন এবং এর সাথে আগেই আয়ত্ব করা চমৎকার দূরত্ব পরিমাপক দৃষ্টি ব্যবস্থা এবং সূক্ষ্ম রং চেনার ক্ষমতা হাত-চোখ সমন্বয়ের (Hand-Eye Co-ordination) চরম উন্নতি সাধন করে। যা আসলে তাদেরকে প্রথম হাতিয়ার ব্যবহারকারীতে পরিণত করে এবং পর্যায়ক্রমে আধুনিক মানুষে বিবর্তিত করে।
মাত্র চার ধরনের এরকম এপ এ পর্যন্ত জীবিত আছে, আফ্রিকায় গরিলা এবং শিম্পাঞ্জী এবং এশিয়ায় ওরানউটান এবং গিবন। লাউয়াছড়া বনে এ ধরনেরই একটি এপ এখনও বাস করে তা হচ্ছে উল্লুক গিবন ।
বর্ষা বা শরতে যে কোন একটি উপযুক্ত দিনে একজন প্রকৃতিবিদ বা একজন অভিজ্ঞ পর্যটক লাউয়াছড়া বনে উল্লুক সহ এখানে বলা প্রায় সব রকম প্রাইমেটের দেখা পেতে পারেন। পৃথিবীতে খুব কম জায়গাই আছে যেখানে প্রাকৃতিক বনে একসাথে এতগুলো প্রাইমেট এবং একটি এপ এর দেখা মেলে।
রেললাইন এবং রাস্তার মাধ্যমে আমরা এর মধ্যেই বনটিকে ত্রি-ধা বিভক্ত করেছি। কয়েক বছর আগে একটি গ্যাসকূপে আগুন লেগে এই বন এবং তার বৃক্ষরাজি এবং প্রাণীদের যথেষ্ট ক্ষতি হয়। এর পরপরই আমরা বনের কেন্দীয় অংশের উপর দিয়ে একটি উচ্চ চাপের গ্যাস পাইপলাইন বসানোর অনুমতি দেই যা থেকে কোন দুর্ঘটনা বা আগুনে এই বনের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
গত বছর আমার একটি ভ্রমণে আমি লক্ষ্য করি যে বনের মূল অংশে সামরিক বাহিনী কমান্ডো ট্রেনিং করছে। স্থানীয়রা জানান, শতাধিক সৈন্য বনের ভিতর অবস্থান নেয় এবং প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে পরবর্তী কয়েক দিন তাদের বনজদ্রব্য আহরণ করেই বেচে থাকতে হয়। অন্য একটি দল বনের চারপাশে অবস্থান গ্রহণ করে এবং নিশ্চিত করে যেন কোন সৈন্য বন থেকে বের হতে না পারে। অথবা কোন খাদ্যদ্রব্য গ্রাম থেকে বনে ঢুকতে না পারে। সারারাত শত শত রাউন্ড গুলি বর্ষিত হয় যেন এক যুদ্ধাবস্থা তৈরি করার জন্য। জাংকিছড়াতে ঠিক যেখানে ডব্লিউটিবির উল্লুকের বিলবোর্ডটি আছে ঠিক তার সামনেই নাকি মধ্যরাতে প্রচণ্ড শব্দে বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয়রা বোমায় দেবে যাওয়া গর্তটিও দেখায়। ২০০৭-এ একাধিক বার এই সামরিক প্রশিণ হয় বলে জানা যায়।
মাস দুয়েক আগে আমি আবার লাউয়াছড়া যাই। দেখি সেখানে চলছে এক মহাযজ্ঞ। দামি ডাবল কেবিন পিকআপ গুলোর ঘন ঘন যাতায়াত। উজ্জ্বল রঙের ইউনিফর্ম পরা অনেক লোক মহাব্যস্ত। শেভরনকে অনুমতি দেয়া হয়েছে ঐ এলাকার ত্রিমাত্রিক সার্ভে করার জন্য, যাতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানও অন্তর্ভুক্ত।
আমরা কি এই ছোট্ট বনটিকে শান্তিতে থাকতে দিতে পারি না? এই ১২৫০ হেক্টর এলাকাকে রেহাই দেয়া কি এতই কঠিন? এই সার্ভের পরে ত্রিমাত্রিক মডেলে যদি দেখা যায় বনের মধ্যে প্রচুর রিজার্ভ এবং বনের মধ্যে কূপ খননই সবচেয়ে লাভজনক ও সুবিধাজনক হবে তবে ঘটনা যে দিকে ত্বরান্বিত হবে তাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব কি? ছোট্ট এই প্রাকৃতিক বনটিকে আমরা কি আর একটু মর্যাদা দেখাতে পারি না। এই সার্ভেতে একটু শুন্যতা থাকলে এত কিসের ক্ষতি ছিল? পুরাতন দ্বিমাত্রিক সার্ভের তথ্য থেকেই তো আনুমানিক হিসাব পাওয়া যেতে পারতো। এই বনের তলদেশের ত্রিমাত্রিক ছবি কেউ দেখুক আমরা তা চাই না - সেখানে যা-ই থাকুক। আসুন আমরা জীবনের এই সূতিকাগারের পবিত্রতা রা করি, মানুষের প্রয়োজনে এই বনের কোন বস্তুগত ব্যবহার নিষিদ্ধ করি।
অর্থের দাপটে অথবা বন্দুকের ক্ষমতায় আমরা সকলকে নীরব করে আমাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ করতে পারি কিন্তু কখনই তা আমাদের মস্তিষ্কের অপ্রকৃতিস্থতাকে অপ্রমাণ করে না।
- সিরাজুল হোসেন
মন্তব্য
বাঁচাও লাউয়াছড়া।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
লাউয়াছড়া রেইন ফরেস্টে গিয়েছিলাম ২০০৬-এ। বাংলাদেশে যে এমন বন আছে না গেলে কখনো বিশ্বাস হত না। তখন সেখানে একটা অচিন বৃক্ষ ছিল। ধারনা করা হয় সেটা ছিল "ক্লোরোফর্ম" গাছ। কয়েকদিন পর শুনতে পেলাম কর্তারা গাছটা কেটে ফেলেছেন। অরণ্যের প্রতি কর্তাদের আচরণ বহুদিন ধরেই এমন। কর্তাদের যখন প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তখন সম্ভবতঃ মানবিক বিষয়াবলী বা পরিবেশ সংক্রান্ত কিছু শিক্ষা দেয়া হয় না। নয়তো অযথাই তারা এমন আচরণ করবেন কেন? সিরাজের আবেদন আক্ষরিক অর্থে "অরণ্যে রোদন" হবার সম্ভাবনাই বেশী। কর্তাদের মধ্যে সংবেদনশীল লোকের বড়ই অভাব।
=================================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কথাটি ঠিক নয়, গাছটি ক্লোরোফেরা প্রজতির ছিল যার প্রচলিত নাম হচ্ছে আফ্রিকান টিক ওক। বনবিভাগ বহুদিন থেকেই ভুল করে এর গায়ে "ক্লোরোফর্ম গাছ" লিখে রেখেছিল। ২০০৬ তে গাছটি ভারী বৃষ্টির পর ঝড়ে পড়ে যায়। পরে বনবিভাগ একে কেটে সরিয়ে নেয়।
:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com
দেশের প্রতিটি মানুষকে বেঁচে থাকার কঠোর সংগ্রামের মধ্যে ফেলে দিলে মানুষগুলো আর প্রকৃতি, প্রাকৃতিক সম্পদ এইসব নিয়া মাথা ঘামায় না... তখন সব বিক্রি করে দেওয়া সহজ হয়...
সন্তানের খাবার জোগাতে গলদঘর্ম আমরা কতটুকু কাঁদতে পারি লাউয়াছড়ার তরে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই উপলব্ধির সাথে দারুনভাবে সহমত ।
নানা তরীকায় পেষন করে, হতাশা ছড়িয়ে দিয়ে,ভরসার সব জায়গাগুলোকে নষ্ট করে দিয়ে মুলতঃ মানুষকে ভেংগে ফেলা হচ্ছে । সংগঠিত মানুষের শক্তি সবসময় প্রতিরোধ করে, তাই মানুষকে ভেংগে বড় একাকী করে ফেলা হচ্ছে যেনো কোন অনাচারেই আর কোন প্রতিরোধ গড়ে না উঠে ।
প্রতিরোধের সংস্কৃতিটাই নষ্ট হয়ে গেলো । 'করে নাকো ফুসফাস,মারে নাকো ঢুঁসঢাঁস'
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
প্রতিরোধের সংস্কৃতিটা আসলে নষ্টও করে ফেলা হচ্ছে জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে। এটাই ডি-পলিটিক্যালাইজেশনের সুবিধা। এত দিনের শেষে ক্ষমতাশালীরা আরও ক্ষমতাশালী হয় এবং দুর্বলরো আরও দুর্বল হয়। কোন প্রতিরোধ গড়ে উঠে না ।
:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com
কথা ঠিক, কিন্তু ছবি তো আপলোড করেছিলাম, প্রিভিউতে ছিল, পাবলিশ হবার পরেতো দেখছিনা!
:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com
সিরাজ ভাই, ছবি যোগ করার পর আপনার পোস্টের মাত্রাই পাল্টে গেছে। এমন পোস্ট আরো চাই।
লাউয়াছড়া গিয়েছিলাম ২০০৩ এর মার্চে। মনে হচ্ছে ইহজীবনে আর দেখা হবে না এই বন।
হাঁটুপানির জলদস্যু
দারুণ পোস্ট, দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি। আরো চাই, আরো চাই।
-ধন্যবাদ
:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com
বন কর্মকর্তা আর সাকারা মিল্যা য্যামনে গাছ চুরি কইরা ব্যাচতাসে, লাউয়াছড়া কয়দিন পরে অ্যামনেই কদুর মাচা হইবো।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ভালো হয়েছে। কিন্তু আফসোস হয় এই বন আসলেই আমরা রক্ষা করতে পারব কী-না।
লেখাটা পড়েছি শুধু এটা জানিয়ে যাবার জন্যেই অনেকদিন পরে সচলায়তনে ঢুকলাম। লাউয়াছড়া সম্পর্কে জানার সুযোগ হয় নি কখনো, সে সুযোগ করে দেবার জন্যে কৃতজ্ঞতা।
হাসান ভাইর সাথে একমত।
প্রতিরোধের সংস্কৃতি কি এখনো আছে?
আমাদের ক্ষোভে আমরাই পুড়ে যাই।
সে আগুন ছড়ানোর সুযোগ এখনো আছে এই দেশে?
আহ ঈশ্বর, আমাদের ক্ষোভ কি তোমাকে স্পর্শ করে?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com
জরুরি অবস্থার মওকায় বনে জরিপ করে বোমা ফাটায় শেভ্রন আর বনের প্রশাসক সাজে ইউএসএইডপুষ্ট নিসর্গ আর বিশ্বব্যাংকের ফখর কেরানি আর মার্কিনের ভাড়াটে লেঠেলরা দেশ উদ্ধার করে।
লাউয়াছড়া একটি ঘটনা, এরকম ঘটনা দেশের প্রতিটি সম্পদ ও সম্ভাবনার বেলায়ই দেখা যাবে।
লুটেরাদের ক্ষমতার গোলমাল ঠেকানোর নামে যে জরুরি অবস্থা, তার সুবাদে বাজারে ভোজবাজির মারফত ২০ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে ব্যবসায়িদের হাতে, এ দিয়ে পুরো অর্থনীতিকে রিস্ট্রাকচার করা যায়, রুটি-রুজির সকল আন্দোলন নিষিদ্ধ, সমানে চলেছে ক্রসফায়ার। সমুদ্র উপকূলে বসছে ঘাঁটি। ....................................................................................................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
লাউয়াছড়ার মুক্তি চাই!
ছবি ও লেখায় (বিপ্লব)
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ধন্যবাদ।
:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com
টিকে থাকুক অরণ্য আমার
আপনি তো ভাই বহুমুখী প্রতিভাধর মানুষ। যেমন ছবি তোলার হাত, তেমনি দুর্দান্ত গদ্য আপনার। অভিনন্দন আপনাকে। আরো লেখা চাই। এবং নিয়মিত।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ধন্যবাদ, চেষ্টা করব।
:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com
দুর্দান্ত লেখা। দুর্ধর্ষ ছবি! আর আপনার সাইট ঘুরে এসে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আরও সচিত্র লেখার দাবি জানিয়ে রাখলাম।
সব কিছু নিয়েই ফাজলামি না করলে পেটের ভাত হজম হয় না আমার। আপনার লেখার কনটেক্সট থেকে বিচ্ছিন্ন করে তুলে আনলাম তিনটি শব্দ:
...উল্লুকদের মতো একগামী...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
কিন্তু ফাজলামি না, এই একগামীতা, মানে সারাটা জীবন একটি স্ত্রী ও তার বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কাটিয়ে দেওয়ার সিস্টেমটা এই উল্লুকদেরই উদ্ভাবন। নইলে কি সুন্দর আমাদের এক একটি হারেম থাকত ২০ থেকে ৪০ জন স্ত্রীলোকের, ঠিক বানরদের মতো!
:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com
নতুন মন্তব্য করুন