শুক্রবার সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে হুমায়ূন আহমেদের বলা নানা মন্তব্য:
\"তাহলে হুমায়ুন আজাদকে মরতে হলো কেন?\" পত্রিকাটির এই প্রশ্নের জবাবে প্রয়াত সাহিত্যিকের এককালের বন্ধু ও সহকর্মী হুমায়ূন বলেন, \"কারণ যে বইটা তিনি লিখেছিলেন, তা এতই কুৎসিত যে, যে কেউ বইটা পড়লে আহত হবে। তার জন্য মৌলবাদী হতে হয় না।\"
\"বাংলাদেশে মৌলবাদের সমস্যা- বড় কোনো সমস্যা এখনো হয়নি। জনগণ যদি ভোট দিয়ে মৌলবাদীদের নির্বাচন করে, তাহলে গণতান্ত্রিকভাবে কি তাদের বাদ দেওয়া যায়? হোক না তারা মৌলবাদী।\"
দুর্মূল্যের বাজারে বাংলাদেশের মানুষ এখন কেমন আছে- এ প্রশ্নের জবাবে হুমায়ূন আহমেদ বলেন, \"সবাই খুব ভালো আছে। বিশ্বের সব জায়গাতেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। এখনো বাংলাদেশে চালের দাম বিশ্বের যে কোন জায়গার চেয়ে কম।\"
শহীদ জননী জাহানারা প্রসংগে হুমায়ূন আহমেদ বলেন, \"ওনাকে কেউ তো খুন করেনি। উনিতো ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন। ওনাকে দেশদ্রোহী কখনোই বলা হয়নি। দেশদ্রোহী কথাটা ভুল ইনফরমেশন। তার বিরুদ্ধে কখনোই দেশদ্রোহীর মামলা হয়নি। তাছাড়া পুরো ব্যাপারটিই ছিল এত তুচ্ছ, আমরা জানি যে, পুরোটাই ছিল একটা সাজানো খেলা।...\"
দেশে এতদিন জরুরি অবস্থা জারি করে রাখা কি উচিৎ- প্রশ্নে হুমায়ূন আহমেদের উত্তর, \"আমাদের সরকার ও রাজনীতিবিদরা এতদিন দেশটার যে অবস্থা করে রেখেছিল, আগামী আরো দুবছরও যদি জরুরি অবস্থা জারি থাকে, আমি তার বিরুদ্ধে একটি কথাও বলবো না।\"
আরও দেখুন এখানে:
http://www.shamokal.com/archive.details.php?nd=2008-07-18&nid=96213
মন্তব্য
পেটে খেলে পিঠে সয়।
হুমায়ূন আজাদের মৃত্যু প্রসঙ্গে আহমেদ সাহেবের বক্তব্য শুনে আমি গভীরভাবে আহত। "হুমায়ূন আজাদের বইটি কুৎসিত, অতএব তাঁকে রাতের অন্ধকারে কেউ একজন বা কয়েকজন চাপাতি দিয়ে কোপাতেই পারে", এটা কি কোন সভ্য যুক্তি? আজকে যদি কেউ হুমায়ূন আহমেদের কোন ছাইপাঁশ উপন্যাস পড়ে "আহত" হয়ে তাঁকে আক্রমণ করে, আহমেদ কি এই যুক্তি মানবেন?
হাঁটুপানির জলদস্যু
বাণিজ্যিক পরিবেশ তো সব সময় থাকে না। সওদাগররা বাণিজ্যে যাওয়ার জন্য মৌসুমী হাওয়ার জন্য দীঘদিন অপেক্ষা করতেন। তারপরই সময় বুঝে পাল খাটাতেন।
আসলে হগলতের গাট্টির ভিতরেই একটা কইরা বিলাই থাহে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
হুমায়ুন আহমেদ তার বর্ণ পরিচয় দিয়েছিলেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের সময়। পরবর্তীতে জল অনেক গড়িয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের অনুভূতি অনুভূতি খেলা তিনি অনেক খেললেও তার অন্তসার শূন্যতা প্রকট হয়ে উঠেছে। সেটা আরো প্রতীয়মান হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তার লেখার মান দেখলে। কারো বই কুৎসিত হতেই পারে এবং হুমায়ুন আজাদের উপন্যাস পঠনযোগ্য না হতে পারে, কারো কাছে কিংবা কোন গোষ্ঠীর কাছে। কিন্তু হুমায়ুন আজাদ কখনোই বাতিল মাল ছিলেন না। যে ধরণের বাতিল মালে হুমায়ুন আহমেদ নিজে পরিণত হয়েছেন। হুমায়ুন আজাদ যদি বাংলা সাহিত্যর এক ঠ্যাংগে লং জন সিলভার হয়ে থাকেন তবে, কাজী আনোয়ার হোসেন হবেন জাহাজ এবং রোমানা আফাজ (দস্যু বনহুর) হবেন আরো বড় জাহাজ।
হুমায়ুন আজ়াদের মরবার কারণ যদি তার কুৎসিত বই হয়, তবে হুমায়ুন আহমেদের উচিত ছিলো অনেক আগেই ইঁদুরের বিষ পান করা।
উনি ইঁদুরের বিষ খেলে ইঁদুররা আপমানিত হবে।
কী জানি বাপু!!!!!!! হুমায়ুন আহমেদ আমাদের নোবেলজয়ী ডাগদর সাবের মতই কোন নতুন ফর্মুলার অংশ নয় তো?
বিডিনিউজে তার সাক্ষাৎকারের বর্ণনা পড়লাম। বুঝতে পারলাম না তিনি কি বাস্তব দুনিয়ায় আছেন নাকি বাংলাদেশের নেতা-নেতৃদের মত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন !
বড় মানুষেরা সবাই নিজের আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত!
কী ব্লগার? ডরাইলা?
ছি!
আর কোনও মন্তব্য মনে আসছে না।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
যে লোক সরকারী অনুদানের লোভে '৭১ এর নদীতে ইঞ্জিন নৌকা দেখায়(আহা বাংলার সব পালতোলা নৌকা আওয়ামী লীগের) , তার কাছে মাদারীর খেল ছাড়া আর কিছু দেখানোর নেই ।
-------------------------------------
"এমন রীতি ও আছে নিষেধ,নির্দেশ ও আদেশের বেলায়-
যারা ভয় পায়না, তাদের প্রতি প্রযোজ্য নয় "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কিভাবে কোন সুস্থবুদ্ধির মানুষ হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা নিয়ে এরকম মন্তব্য করতে পারে, তা আমার বোধের বাইরে!
এই একই মানুষই কি '১৯৭১', 'শ্যামল ছায়া' এসব লিখেছিলো ??!!
হুমায়ুন আহমেদের মা'য়ের লেখা আত্মজীবনীমূলক একটা বই আছে। বইয়ের নামটা মনে পড়ছে না। নিজ মায়ের দেয়া তথ্য থেকেই বলা যায়: কাজল (হু.আহমেদের ডাক নাম) খুবই স্বার্থপর টাইপের। কাজেই সে যে এরকম বলবে ... তাতে অবাক হইনি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এ বিষয়ক একটা লেখা এইমাত্র পোস্টালাম।
বিষয়টা নিয়ে এত মেজাজ খারাপ ছিল যে লেখার মুড পাচ্ছিলাম না। লিখতে গেলে গালাগালি বেরোত।
আপনার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পত্রিকাগুলো কোন গা করছে না।
টাকা বোধহয় সবকিছুই সম্ভব করে.
-----------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আমি সবাইকে অনুরোধ করব পুরা ইন্টারভিউটা যেন একটু পড়ে দেখেন।
এই কথা পড়ে আমার সাথে সাথে মনে হয়েছিল উনি মৌলবাদীদের পক্ষে কথা বলছেন। কিন্তু প্রশ্ন উত্তরের ধারায় গিয়ে আর এটা মনে হয়নি।
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাঁক জ্যোৎস্নায় দিও সামান্য ঠাঁই
---------------------------------------------------------
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় দিও সামান্য ঠাঁই
মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর একটা ইন্টারভিউ নেয়া যায়না এই বিষয়ে?
খুবই অবাক হই এই এক সময়কার শক্তিশালী লেখকের পরিবর্তন (পড়ুন অধঃপতন) দেখে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হুমায়ুন আহমেদ অ্যাবসলিউট কিছু নন।
তার এই পতনে তাই অবাক হই না। পচে গন্ধ হয়ে গেলে তাকে আর পাত্তা দেবার প্রয়োজন নেই।
আহ ঈশ্বর, আমাদের ক্ষোভ কি তোমাকে স্পর্শ করে?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আমি ভাবতেও পারছি না যে মৌলবাদীদের হাতে হুমায়ুন আজাদের আক্রান্ত হওয়াকে কেউ এভাবে প্রকাশ্যে প্রোমোট করতে পারে!
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
লেখক হুমায়ূন আহমেদকে আমার পছন্দ কোন কালেই হয়নি। মেয়ের বয়েসী কাউকে বিয়ে করা একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার, সে জন্য আমি তাকে অপছন্দ করলেও, কোনদিনও সমালোচনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করিনি। কারণ মনে মধ্যে কোথাও একটা ইনফরমেশন ছিলো, ইনি মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং আহসান হাবীবের ভাই। এ দুজন লোক সম্পর্কে এত চমৎকার কথা শুনেছি জনমুখে, তাঁদের ভাই নিশ্চয়ই আর যাই হোক স্বাধীন চেতনা মানুষই হবেন।
হ্যা হয়েছেন, তিনি চেতনার ব্যবসায়ী হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা পিতার ছেলে হয়ে, চেতনাকে সেরদরে বিক্রির জন্য উঠে পরে লেগেছেন। সাবাশ হুমায়ূন, আপনার আসল রং সবাইকে দেখানোর জন্য।
এ প্রসঙ্গে বহুদিন আগে পড়া এক সাক্ষাৎকারের কথা মনে পড়লো। সেটার কোন কপি আমার আছে নেই দেখে, হুবহু উদ্ধৃত করতে পারছি না, শুধু সারটুকু বলি।
হুমায়ূন আজাদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, হুমায়ূন আহমেদ এবং ইমদাদুল হক মিলন সম্পর্কে। সে প্রশ্নের উওরেই কোন এক পর্যায়ে তিনি বলেছিলেন, তারা দুজন প্রায়শই আমাদের সাথে আড্ডাতে আসতেন, মদ্যপানের আশায়, আর বিখ্যাত হওয়ার আশায়।
হুমায়ূন আহমেদ রং পাল্টাবেন না তো , কে পাল্টাবে তাহলে ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হ্যা হয়েছেন, তিনি চেতনার ব্যবসায়ী হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা পিতার ছেলে হয়ে, চেতনাকে সেরদরে বিক্রির জন্য উঠে পরে লেগেছেন। সাবাশ হুমায়ূন, আপনার আসল রং সবাইকে দেখানোর জন্য।
আজকের সবচেয়ে বড় হক কথাটা অকপটে বলার জন্যে বিপ্লব। এই ব্যাটা ১০টা তৃতীয় শ্রেণীর উপন্যাস লিখবে পয়সা বানানোর জন্যে। তার পরে ১১ নম্বর বই লেখবে "মুক্তিযুদ্ধ থীম" নিয়ে। পাঠককে দেখাতে হবে না? "দ্যাখ্ আমি সিরিয়াস, আমি রেলেভ্যান্ট, আমি এখনো যুদ্ধ নিয়ে লিখে যাচ্ছি তো!!"
ব্যাটা ভন্ড কোথাকার।
আর হুমায়ুন আজাদকে নিয়ে আজেবাজে কথা বলায় অবাক হইনি। যদ্দূর মনে পড়ে, তিনিই হুমায়ুন আহমেদ আর মিলন জাতীয় লেখকদের বই গুলোকে উপন্যাস বলতে নিষেধ করেছিলেন। তার কাছে এগুলো ছিল স্রেফ অপন্যাস।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
কার মন্তব্যে পড়লাম খেয়াল নেই, হুমায়ূন আহমেদ জোছনা এবং জননীর গল্পে ( নাকি জ্যোৎস্না ?? নাম নিয়ে নিশ্চিত নই) , জামাতে ইসলামীকে নেগেটিভ ভাবে চিত্রায়িত করা হয় নি। এর ৫০ শতাংশও যদি সত্য হয়, তাহলে বোঝার চেষ্টা করুন, কতটা কালজয়ী এবং নিরপেক্ষ হয়েছে সে উপন্যাস !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এই জায়গাটা বুঝলাম না ... হুমায়ূনের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বই লেখাটা উচিৎ হয়নি?
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
এতকিছু ধরলে চলে? ভদ্রলোকের বয়স হয়েছে। এ অবস্থায় ফ্যামিলি মেইনটেইন করার অনেক চাপ। তিনি যে এই মাতালের মত প্রলাপ বকেছেন, এ জন্য তার দোষটা কোথায়? হুমায়ুন আজাদই না তাকে মদ খাওয়া শিখিয়েছেন!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হায় রে বেচারা
রসায়নের শিক্ষক যখন অপন্যাসের ব্যাপারি হন তখন বুঝতে বাকি থাকে না-‘মেড়ো কোন রূপে মজেছে’।
মনে হচ্ছে তিন নম্বর বিবির পানি গ্রহণের সময় সমাগত !
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
শুরুতেই বলে রাখি, এই থ্রেডেই আমি হুমায়ূন আহমেদের বক্তব্যের প্রতিবাদে "ছি!" লিখেছি।
আপনার আরেক মন্তব্য থেকে উদ্ধৃতি দেয়া যাক:
আপনি নিজের রুচিকে সর্বোচ্চমার্গীয় জ্ঞান করে হুমায়ূনের পাঠকশ্রেণীকে যে-ভাষায় অপমান করলেন, তা কি সত্যিই সুরুচিসূচক?
এই মন্তব্যটি কি "যারা গার্মেন্ট নারী শ্রমিক মিছিল করলে বলে-‘িফডা মাগিগোরে’, দেশি ব্যাটসম্যানকে আম্পায়ার আউট দিলে বলে-‘ফিডা অশোকারে’, এরশাদ লুচ্চামি করলে বলে- ‘কোপা সামসু’", সেই শ্রেণীর লোকের হয়ে পড়লো না?
হুমায়ূনের বক্তব্য এবং অবস্থান নিয়ে ঘৃণা প্রকাশ করা অবশ্যই উচিত। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অশালীন ইশারাটি কি কোনও উঁচুমানের রসিকতা?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সন্যাসী'দা ... বলে লাভ নেই । যারা এইসব মন্তব্য করেন তারা তো নিজেদের এলিট শ্রেণীর বলে ভাবেন । তারা ভুলে যায় একসময় তারাই হুমায়ুনের বই ঝাঁপিয়ে পড়তেন । কোন কোন মন্তব্যে তারা আবার এইটা শোভন না ওইটা শোভন তারো পাঠদান দেন । সামোহায়ার ইনের ত্রিভুজের সাথে এদের বেসিক কোন পার্থক্য নেই ।
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
এটি এই পোস্টের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়।
অনেক দিন আগে, কোনো একটি আলোচনায় আমি আর ভাস্করদা তুমুল দার্শনিক কুতর্কে জড়িয়ে পড়েছি... কুতসিত হয়ে উঠছিল ব্যাপারটা... এসময় হঠাত তিনি আমাকে 'ত্রিভূজ'-এর সাথে তুলনা করে বসেন। আমি তো জানতাম না তখন, কার কথা বলছেন। সেটা পরে বুঝতে পেরে বেশ মন খারাপই হলো।
পরে, আরো পরে, আরেকটি পোস্টে দেখি, একদিন অরূপদা ভাস্করদাকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করলেন। আমাকে ত্রিভূজের সাথে তুলনা করার ব্যাপারটা। সেটা নিয়ে আরো ঘটনা গড়ায়।
তো, অরূপদা যে ঐ আলোচনাতে চোখ রাখছিলেন এবং এই কুতসিত ইঙ্গিতটা মনে রেখেছেন এবং এই অন্যায় তকমায় রুষ্ট ছিলেন, সেটা বুঝতে পেরে আমি বেশ অবাক হই সকৃতজ্ঞতায়।
আপনার এই ত্রিভূজের সাথে তুলনাখানি আমাকে সেকথা মনে করিয়ে দিল।
নিঝুমকে বলি, বক্তব্যে একটু সংযত হলে ভাল হয়। সবার জন্যেই ভাল সেটা।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ভাই, আমি কিন্তু বেশ সংযতই ছিলাম হুমায়ুন আহমেদ নিয়ে যে পোস্ট এবং তার পরবর্তী মন্তব্যগুলো নিয়ে । কিন্তু কিছু কিছু লেখক যারা নিজেকে হনু ভেবে ইচ্ছে মত ,গালা-গাল থেকেও বাজে ভাবে ( আপনি উপরের মন্তব্যগুলো দেখেন প্লিজ ) কথা শুরু করলেন , তখন কি আর সেক্ষেত্রে নিজেকে সংযত রাখা যায় ? আমি তো আমার প্রিয় লেখক কে ডিফেন্ড করবই । তবে "ত্রিভুজ" বলে আমি যা বুঝাতে চেয়েছি, তা হল এই ভদ্রলোক থামতে জানেন না, এই হিসেবে । ত্রিভুজের অনেক "গুনাবলীর" একটা মাত্র...
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
নিঝুম, কিছু মনে করো না... কিন্তু এত ডিফেন্ড করার তাগাদা অনুভব করছো কেন? যারা ওকে পছন্দ করে তারা তাদের কারন জানিয়েছে। যারা ওকে অপছন্দ করে, লোভী বা শঠ মনে করে, তারাও তাদের অভিমত যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছে। তুমি ওকে অন্তর থেকে ভালোবাসো, সেটা রেসপেক্ট করি। কিন্তু সেই আবেগ থেকে যে অনবরত ডিফেন্ড করে যাচ্ছো, তাতে তো আমাদের যুক্তিগুলোর ধারে কাছেও যাচ্ছো না।
সমালোচকদের ঠাস করে 'সুশীল' বা 'ত্রিভুজ' ডাকা এক জিনিস। তাদের যুক্তিগুলো গ্রাহ্য করে যুক্তিখন্ডন আরেক জিনিস।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
সুবিনয়'দা, হুমায়ুন আহমেদ কে ডিফেন্ড করার প্রয়োজন মনে করছি , কারন আমি তার ভক্ত । অনেকেই উনার লেখা ট্র্যাশ মনে করেন, ফালতু মনে করেন আমি করিনা । এই জন্যই ডিফেন্ড করি । ( আর পেশায় তো উকিল , বুঝলেন না !! হা হা হা) আর পছন্দ কিংবা অপছন্দ কিন্তু ভাই অনেকটা আবেগ দিয়েই নিয়ন্ত্রিত । আমার যদি আপনার কোন লেখা ভাল্লাগে, সারাদিন কেউ যুক্তি দিয়ে কি সেটা কেউ খারাপ বানাতে পারবে ??? অনুভুতি কি যুক্তি দিয়ে চলে ভাই ?? আপ্নিই বলেন । প্রিয় মানুষ কে সবাই ডিফেন্ড করবে যেমনটি তাকে অপ্রিয় ভেবে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন ...আমি তার সম্পর্কে যেসব সমালোচনা, যা গঠনমূলক ছিল , কিংবা মনে হয়েছে সেগুলো নিয়ে কিন্তু কোন ডিফেন্ড করবার চেষ্টা করি নাই । আপনি, হিমু ভাই, নিঘাত তিথি, কনফু ভাই , যাদের কথাই ঠিক মনে হয়েছে আমি চুপ করে গেছি । এখন আপনি আমাকে বলেন , মঞ্জুরাউল সাহেবের এই মন্তব্য গুলো...
উদ্ধৃতি
হুমায়ূন সেই ‘শ্যালো-পাঠকশ্রেণীর’ ‘সিদ্ধার্থ’ যারা গার্মেন্ট নারী শ্রমিক মিছিল করলে বলে-‘িফডা মাগিগোরে’।দেশি ব্যাটসম্যানকে আম্পায়ার আউট দিলে বলে-‘ফিডা অশোকারে’। এরশাদ লুচ্চামি করলে বলে- ‘কোপা সামসু’।
অবাস-ব স্বর্গপুরির স্বপ্নালোকে যারা অশ্বা,মেনকা,রম্ভাদের কেলিনৃত্য দেখে উরু চুলকোয়...।
উদ্ধৃতি
মনে হচ্ছে তিন নম্বর বিবির পানি গ্রহণের সময় সমাগত !
আপনি বলেছেন-
যারা ওকে অপছন্দ করে, লোভী বা শঠ মনে করে, তারাও তাদের অভিমত যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছে।
এখন আপনার কাছেই আমি জিজ্ঞেস করি, ভাই, এইটা কি ধরনের যুক্তি দিয়ে বোঝানো??? কি ধরনের অভিমত ??? আমার মগজ খুব ছোট ভাই, এই ধরনের যুক্তি আমি বুঝিনা । সেজন্য আমাকে মাফ করবেন । আমি কিন্তু "ত্রিভুজ" কেন বলেছি তা ব্যাখ্যা করেছি... আর "সুশীল" তো তারা নিজেকে ভাবেন বলেই বলেছি । যিনি ভাবনায় "সুশীল" , তাকে কি ডাকা যায় ভাই???
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
এরকম অদ্ভুত কথা কখনও শুনিনি। রসায়নের শিক্ষক উপন্যাস লিখতে পারবেন না, এরকম কথা কোথায় লেখা আছে? সংবিধানে?
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
স্রোত যেদিকে যায়, বুদ্ধিজীবিরাও সে দিকে যায়...হু। আ এই সব বলে থাকলে তিনি যে কত বড় ভুল করলেন... তিনি নিজেও সম্ভবত জানেন না ...
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?
---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন
হুমায়ুন মামুরে এইবারের মতো মাপ করন যায় না?
নতুন মন্তব্য করুন