(নজরুল স্মরণে)
ঈশ্বর আর খেলেন না
এ বিশ্বটাকে নিয়ে আনমনে,
পুরোনো হয়ে গেছে খেলনাটা,
বোরিং।
আদম শিশুরা খেলে আজ,
হাটে মাঠে ঘাটে, অফিস পাড়ায়,
সংসদ অধিবশেনে, শান্তির চুক্তিতে,
যুদ্ধের ঘোষনায়,
ভালবাসায়।
খেলে তারা মাতৃগর্ভ নিয়ে,
শিশুর কচি মনটি নিয়ে,
কুমারী তরুনীর কম্পমান শরিরটি নিয়ে।
খেলে তারা বৃদ্ধ পিতার স্নিগ্ধ বিশ্বাস নিয়ে,
উদ্বিগ্ন মাতার গভীর ভালবাসা নিয়ে,
সচেতনে, অকারণে।
খেলে কালাশনিকভের ট্রিগার নিয়ে,
এম ফিফটি ওয়ান আব্রাম্সের টারেট নিয়ে,
বি ফিফটি টু এর আগুনে বোমা নিয়ে।
তবু মন ভরেনা, চাই সত্তিকারের নিশানা
বানায় রক্ত-মাংসের খেলাশত্রু সন্ত্রাসী।
যাকে তাকে নিয়ে
যখন তখন।
খেলে টেন্সর ক্যলকুলাস নিয়ে,
চতুর্মাত্রিক জ্যমিতি আর সুপারফ্লুইডিটির
জটিলতা যাদের কাছে শুধুই ডালভাত।
প্রানের খোঁজে হাঁতড়ে মরে পুরো গ্যালাক্সি,
নাওয়া খাওয়া ছেড়ে জীবন উৎসর্গে রাজি
মেলে যদি মঙ্গলে প্রাণ মাত্র শুধু একটি;
দেখেনা পাশেই উন্মুখ হাজার কোটি প্রাণ,
একটু স্বীকৃতির আশায়
এই পৃথিবীতে।
শশ্রু গুম্ফমান কুঞ্চিত যৌনকেশমান
ঐসব বৃহৎ শিশুরা আজ খেলিছে এ বিশ্ব লয়ে
এক মরনখেলা মহাউল্লাসে,
আনমনে নয়
সচেতনে, অকারনে।
খেলাশেষে পুরুষ-শিশুরা যখন ক্লান্ত অবসন্ন
ঘরে ফেরে তৃষ্ণার্ত, ভালবাসার আশায়,
তখনই ঝাঁপিয়ে পড়ে ওঁত পেতে থাকা
বিশালবক্ষা ভারী নিতম্বের নারী-শিশুরা
তাদের খেলনা খেলা-পাগল
ঐ পুরুষ শিশুর দল।
মন্তব্য
সারছে।
অন্যরকম ভালো লাগল।
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
নতুন মন্তব্য করুন